26 April 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

April 25, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- দেবতা হতে চাও তো অমৃত পান করো এবং পান করাও, অমৃত পানকারীরাই শ্রেষ্ঠাচারী হয়"

প্রশ্নঃ --

এইসময় সত্যযুগীয় প্রজা কিসের আধারে তৈরী হচ্ছে ?

উত্তরঃ -:-

যে এই জ্ঞানের দ্বারা প্রভাবিত হয়, ভীষণ ভালো-ভীষণ ভালো বলে থাকে কিন্তু পড়া করে না, পরিশ্রম করতে পারে না, তারাই প্রজা হয়। প্রভাবিত হওয়ার অর্থ প্রজা হওয়া। সূর্যবংশীয় রাজা-রানী হওয়ার জন্য পরিশ্রম তো করা উচিত। পঠন-পাঠনের উপরে যেন সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন থাকে। স্মরণ করতে এবং করাতে থাকলে উচ্চপদ প্রাপ্ত হতে পারে।

গান:-

রাত নষ্ট করলে শুয়ে, দিবস নষ্ট করলে খেয়ে/ অমূল্য হীরে-তুল্য জীবন যা কড়ি-তুল্য হয়ে যায়…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গান শুনেছে যে আমাদের জীবন হীরে-তুল্য ছিল। এখন কড়ি-তুল্য হয়ে গেছে। এ অতি সাধারণ কথা। ছোট বাচ্চারাও বুঝতে পারে। বাবা এত সহজভাবে বোঝান, যেকোনো ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারে। সত্যনারায়ণের কথা যখন শোনায় তখন ছোট-ছোট বাচ্চারাও বসে পড়ে। কিন্তু ওই সৎসঙ্গাদিতে যা শোনানো হয় সে’সমস্ত হলো গল্পকথা। কথা কোনও জ্ঞান নয়, তৈরী করা গল্প-কাহিনী। গীতার কথা, রামায়ণের কথা হলো পৃথক-পৃথক শাস্ত্র, যার গল্প বসে-বসে শোনায়। ও’সব হলো গল্পকথা। গল্প শুনে কোনও লাভ হয় কি ! এ হলো সত্যনারায়ণের অর্থাৎ নর থেকে নারায়ণ হওয়ার সত্য কাহিনী। এ’কথা শুনলে তোমরা নর থেকে নারায়ণে পরিনত হবে। এ হলো অমরকথা। তোমরা আমন্ত্রণ জানাও যে — এসো, তোমাদের অমরকথা শোনাই তবেই তোমরা অমরলোকে চলে যাবে। তা সত্যেও কেউ বোঝে না। শাস্ত্রকথাই শুনে এসেছে। পায় না কিছুই। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে যাবে, চলো দর্শন করে আসি। মহাত্মার দর্শন করে আসি। এ একধরণের রীতি-রেওয়াজ পরম্পরাগতভাবে চলে আসছে। ঋষি-মুনি ইত্যাদিরা, যারা গত হয়ে গেছে তাদের কাছে মাথা নত করে এসেছে। তাদের জিজ্ঞাসা করো, রচয়িতা আর রচনার কাহিনী কি জানো ? তখন না বলবে। বাচ্চারা, এখন তোমরা বোঝ যে রচয়িতা এবং রচনার এই কাহিনী তো অতি সহজ। অল্ফ এবং বে-র কাহিনী। অবশ্যই প্রদর্শনীতে যায়, তারা কাহিনীও শোনে কিন্তু পবিত্র হয় না। তারা মনে করে, এই বিকারে গমনের যে রীতি-রেওয়াজ রয়েছে তাও অনাদি। মন্দিরে দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে গায়ন করে — আপনারা নির্বিকারী……পুনরায় বাইরে এসে বলে বিকারে প্রবেশ তো অনাদি(পরম্পরা)। এটা ছাড়া জগৎ চলবে কিভাবে ? লক্ষ্মী-নারায়ণাদিদেরও তো সন্তান ছিল, তাই না! এমনভাবে বলে যে এদের আর কি বলবে ! মানুষের মর্যাদাও তো দিতে পারবে না। দেবতারাও তো মানুষই ছিলেন, কত সুখী ছিলেন — লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের অত্যন্ত সহজ কথা বলেন, বরাবর এখানে ভারতেই স্বর্গ ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। চিত্রও রয়েছে, এ তো সকলেই মানবে যে সত্যযুগে ওনাদের রাজ্য ছিল। সেখানে কেউ দুঃখী ছিল না, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল, ওনাদের বড়-বড় মন্দিরও তৈরী হয়েছিল। ওনাদের ৫ হাজার বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন তারা নেই। এখন কলিযুগের অন্তিম সময়। মানুষ পরস্পরের সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করে থাকে। ঈশ্বর তো উপরেই থাকেন, নির্বাণধামে। আসলে আত্মা-রূপী আমরাও সেখানেই থাকি, এখানে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে আসি। প্রথমে আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে ছিলাম। সেখানে অপার সুখ-আনন্দ ছিল, পুনরায় আমাদের ৮৪ জন্ম নিতে হয়েছে। গায়নও করা হয়, ৮৪-র চক্র। আমরা সূর্যবংশে ১২৫০ বছর রাজ্য করেছি। সেখানে অপার সুখ ছিল, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলাম, হীরে-জহরতের মহল ছিল। আমরা রাজ্য করেছি, পুনরায় ৮৪ জন্মে আসতে হয়েছে। ওয়ার্ল্ডের এই হিস্ট্রী-জিওগ্রাফীর চক্র পুনরাবৃত হতে থাকে। অর্ধেক কল্প সুখ ছিল। রাম-রাজ্যে ছিলে পুনরায় মানুষের বৃদ্ধি হতেই থেকেছে। সত্যযুগে ৯ লক্ষ ছিল, পরে সত্যযুগের অন্তে বৃদ্ধি পেয়ে ৯ লক্ষ থেকে ২ কোটি হয়ে গেছে, তারপর ১২ জন্ম ত্রেতায় অত্যন্ত সুখে শান্তিতে ছিলে। একটিই ধর্ম ছিল। তারপর কি হয়েছে ? পুনরায় রাবণ-রাজ্য শুরু হয়েছে। রাম-রাজ্য আর রাবণ-রাজ্য। দেখো, অত্যন্ত সহজ রীতিতে বোঝাই। ছোট-ছোট বাচ্চাদেরও এরকমভাবে বলা উচিত। আর কি হয়েছে ? বড়-বড় সোনার, হীরে-জহরতের মহল ভূমিকম্পে নীচে চলে গেছে। ভারতবাসীরা বিকারী হওয়ার কারণেই ভূমিকম্প হয়েছে, তারপর রাবণ-রাজ্য শুরু হয়েছে। পবিত্র থেকে অপবিত্র হয়ে গেছে। কথিত রয়েছে যে, স্বর্ণলঙ্কা নীচে চলে গেছে। কিছু তো অবশিষ্ট রয়ে গেছে, তাই না! যার দ্বারা পরে মন্দিরাদি নির্মাণ করা হয়েছে। ভক্তিমার্গ শুরু হয় — মানুষ বিকারী হতে থাকে। তারপর যখন রাবণ-রাজ্য চলে তখন আয়ুও কম হয়ে যায়। আমরা নির্বিকারী যোগী থেকে বিকারী ভোগী হয়ে গেছি। যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজারাও সকলে বিকারী হয়ে গেছে। এই কাহিনী কত সহজ। ছোট-ছোট কন্যারাও এই কাহিনী শোনালে তখন বড়-বড় মানুষের মাথাও নীচু হয়ে যাবে। এখন বাবা বসে থেকে বোঝান, তিনিই জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। আচ্ছা, দ্বাপর থেকে ভোগী পতিত হয়ে গেছে তারপর থেকে অন্যান্য ধর্মও শুরু হতে থেকেছে। অমৃতের যে নেশা ছিল তা সমাপ্ত হয়ে গেছে। লড়াই-ঝগড়া হতে থাকে। দ্বাপর থেকে আমরা অধঃপতনে গেছি, কলিযুগে আরোই বিকারী হয়ে গেছি। পাথরের মূর্তি তৈরী করতে থাকি। হনুমানের, গনেশের…..। প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হতে থেকেছে তাই পাথরের পূজা করতে শুরু করেছে। মনে করে, ভগবান নুড়ি-পাথরে রয়েছে। এরকম করতে-করতে ভারতের এই অবস্থা হয়ে গেছে। পুনরায় বাবা বলেন — বিষ ছেড়ে অমৃত পান করে পবিত্র হও আর রাজত্ব নাও। বিষ ত্যাগ করো তবেই তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হতে পারবে। কিন্তু বিষ(বিকার) ত্যাগ করেই না। বিষের জন্য কত মারধোর করে, বিরক্ত করে তবেই তো দৌপদী (ভগবানকে) আবাহন করেছে, তাই না! তোমরা বোঝ যে, অমৃত পান ব্যতীত আমরা কিভাবে দেবতা হবো। সত্যযুগে তো রাবণ থাকেই না। বাবা বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত শ্রেষ্ঠাচারী হবে, স্বর্গেও যেতে পারবে না। যারা শ্রেষ্ঠাচারী ছিল, তারাই আজ ভ্রষ্টাচারী হয়েছে। পুনরায় এখন অমৃত পান করে শ্রেষ্ঠাচারী হতে হবে। বাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। গীতা কি ভুলে গেছো ? গীতা আমি রচনা করেছি, নাম দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণের। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে রাজ-সিংহাসন কে দিয়েছে ? অবশ্যই ভগবানই দিয়েছে। পূর্বজন্মে রাজযোগ শিখিয়েছেন, আর নাম দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণের। সেইজন্য বোঝানোর অভ্যাস করা উচিত। অতি সহজ কাহিনী। বাবার কত সময় লেগেছে ? আধঘন্টাতেও এত সহজ কথা বুঝতে পারে না তাই বাবা বলেন, একটি ছোট কাহিনী বসে কাউকে বোঝাও। চিত্র হাতে নাও। সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য, পুনরায় ত্রেতায় রাম-সীতার রাজ্য….. তারপর দ্বাপরে রাবণের রাজ্য হয়েছে। কত সহজ কাহিনী। অবশ্যই আমরা দেবতা ছিলাম, তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়েছি। এখন নিজেদের দেবতা মনে না করার কারণে হিন্দু বলে। ধর্মশ্রেষ্ঠ কর্মশ্রেষ্ঠ থেকে ধর্মভ্রষ্ট, কর্মভ্রষ্ট হয়ে গেছে। এরকমভাবে ছোট-ছোট কন্যারা বসে ভাষণ দিলে তখন সমগ্র সভায় — আর একবার-আর একবার ধ্বনি শোনা যাবে। বাবা সমস্ত সেন্টারের সকলকেই বলছেন। এই বড়রা এখন যদি না শেখে তবে ছোট-ছোট কুমারীদের শেখাও। কুমারীদের নামের মহিমাও রয়েছে। দিল্লী-বম্বেতে অনেক ভাল-ভাল কুমারীরা রয়েছে। তারা শিক্ষিত। তাদের তো দাঁড়ানো উচিত। কত কাজ করতে পারো। যদি কুমারীরা দাঁড়িয়ে পড়ে তাহলে নামের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। যারা বিত্তশালী ঘরের তাদের পক্ষে সাহস রাখা খুবই কঠিন। তাদের ধন উপার্জনের নেশা থাকে। পণ ইত্যাদি পেয়ে গেলে তো ব্যস। কুমারীরা বিবাহ করে মুখ কালো করে ফেলে আর তখন সকলের সম্মুখে নত হতে হয়। তাহলে বাবা কত সহজভাবে বোঝান। কিন্তু পারশবুদ্ধি হওয়ার চিন্তাই আসে না। দেখো, যারা পড়াশোনা করে না তারাও আজ এম.পি, এম.এল.এ ইত্যাদি হয়ে গেছে। পঠন-পাঠনের দ্বারা তো কি-কি হয়ে যায়। এখানে পড়া তো অতি সহজ। অন্যান্যদেরও গিয়ে শেখানো উচিত। কিন্তু শ্রীমতানুসারে চলে না তাই পড়েও না। অনেক ভাল-ভাল কুমারী রয়েছে কিন্তু তাদের নিজস্ব নেশাই চড়ে থাকে। সামান্য কাজ করলেই মনে করে আমরা অনেক কাজ করেছি। এখনও তো অনেক কাজ করতে হবে। আজকাল কুমারীরা তো ফ্যাশানেই ব্যস্ত থাকে। ওখানকার শৃঙ্গার(সাজ-সজ্জা) তো ন্যাচারাল। এখানে তো কত আর্টিফিসিয়ালী শৃঙ্গার করে। কেবল কেশ-সজ্জার জন্যই কত টাকা-পয়সা খরচ করে। এ হলো মায়ার আড়ম্বর (পম্প) । মায়ার রাবণ-রাজ্যে পতন, পুনরায় রাম-রাজ্যে উত্থান। এখন রাম-রাজ্য স্থাপিত হচ্ছে। কিন্তু তোমরা তো পরিশ্রম করবে, তাই না! তোমরা কি হবে ! না পড়লে ওখানে গিয়ে পাই-পয়সার( নিম্ন মর্যাদাসম্পন্ন) প্রজা হবে। এখনকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সকলেই ওখানে প্রজায় আসবে। ধনবানেরা কেবল ভাল-ভাল বলে নিজেদের কাজ-কর্মে(ধান্দা) ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অত্যন্ত ভালভাবেই প্রভাবিত হয় কিন্তু তারপর! সবশেষে কি হবে ? ওখানে গিয়ে প্রজা হবে। প্রভাবিত হওয়ার অর্থ প্রজা। যারা পরিশ্রম করে তারা রাম-রাজ্যে চলে আসবে। অতি সহজভাবেই বোঝান হয়। এই গল্পের নেশাতেও যদি কেউ থাকে তাহলেও তরী পার হয়ে যাবে। আমরা শান্তিধামে যাবো পুনরায় সুখধামে আসবো, ব্যস কেবল এটাই স্মরণ করতে এবং করাতে হবে, তবেই উচ্চপদ লাভ করতে পারবে। পড়ার উপর অ্যাটেনশন দিতে হবে। চিত্র যেন হাতে থাকে। বাবা যেমন লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করতেন তখন পকেটে চিত্র রাখা থাকতো। চিত্র ছোটও রয়েছে, লকেটেও রয়েছে। এর উপরেও বোঝাতে হবে। ইনি হলেন বাবা, ওঁনার মাধ্যমেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হচ্ছে। এখন পবিত্র হও, বাবাকে স্মরণ করো। এ’সমস্ত মডেলের (ব্যাজ) মধ্যে কত জ্ঞান রয়েছে। সমগ্র জ্ঞান এঁনার মধ্যে রয়েছে। এর উপরেই বোঝানো অতি সহজ। সেকেন্ডে বাবার থেকে স্বর্গের জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার। কেউ যদি বোঝায় সে তখন জীবনমুক্তি পদের অধিকারী হয়ে যাবে। এছাড়া পঠন-পাঠন অনুসারে উচ্চপদ তো লাভ করবেই। স্বর্গে তো আসবেই, তাই না! ভবিষ্যতে তো আসবে ঠিকই, তাই না! বৃদ্ধি তো হবেই। দেবী-দেবতা ধর্ম উচ্চ, সেও তো হবে, তাই না! প্রজা তো লক্ষ-লক্ষ হবে। সূর্যবংশীয় হতেই পরিশ্রম। সেবাধারীরাই ভালো পদ প্রাপ্ত করবে। তাদের নামও বিখ্যাত হয়েছে — কুমারকা(দাদী প্রকাশমণি) রয়েছে, জনক(দাদী জানকী) রয়েছে, যারা ভালভাবে সেন্টারের দেখভাল করছে। কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বাবা বলেন — সী নো ইভিল, টক নো ইভিল (মন্দ জিনিস দেখো না, মন্দ কথা বোলো না) তবুও তেমন কথাই বলে থাকে। এরকমভাবে কি হতে(পদপ্রাপ্তি) পারবে ? এত সহজ সেবাও করে না। ছোট-ছোট বাচ্চারাও এ’সব বোঝাতে পারে। শোনাতে পারে। বানর সেনারাও বিখ্যাত। সীতারা যারা রাবণের কারাগারে বন্দী রয়েছে তাদের মুক্ত করতে হবে। কি-কি ধরনের (গল্প) কথা তৈরী করে রেখেছে। এমনভাবে কেউ ভাষণ করুক। এছাড়া শুধুই বলে যে, অমুকে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছে। জিজ্ঞাসা করো, তোমরা কি হতে চাও? কেবল বলবে যে এদের জ্ঞান অত্যন্ত ভাল। নিজে কিছুই বুঝবে না, এতে লাভ কি ? আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পারশবুদ্ধি হওয়ার জন্য পঠন-পাঠনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্যান দিতে হবে। শ্রীমতানুসারে পড়তে এবং পড়াতে হবে। পার্থিব জগতের (সীমিত) ধন-সম্পদের নেশা, ফ্যাশনাদি পরিত্যাগ করে এই অসীম জগতের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

২ ) হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল….. কোনও ব্যর্থ কথা বলা উচিত নয়। কারোর দিকে প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। সকলকে সত্যনারায়ণের ছোট গল্প শোনাতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা লাইট এবং মাইটের দ্বারা আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে পুরুষার্থ করে, তারা অবশ্যই সফলতা প্রাপ্ত করে। সফলতা প্রাপ্ত হওয়াও সৌভাগ্যের নিদর্শন। নলেজফুল হওয়াই সৌভাগ্য জাগ্রত করবার উপায় । নলেজ কেবলমাত্র রচয়িতা এবং রচনার নয় উপরন্তু নলেজফুল অর্থাৎ প্রতিটি সঙ্কল্প, প্রতিটি শব্দ(বাণী), প্রতিটি কর্মে জ্ঞান-স্বরূপ হওয়া তবেই সফলতা-মূর্তি হবে। পুরুষার্থ সঠিক হওয়া সত্ত্বেও যদি সফলতা দেখা না যায় তাহলে এটাই বুঝতে হবে যে, এ অসফলতা নয়, পরিপক্কতার সাধন।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top