18 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 17, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে আধ্যাত্মিক সার্জেন্ আবার প্রফেসরও, তোমাদেরকে হসপিটাল কাম্ ইউনিভার্সিটি খুলে অনেকের কল্যাণ করতে হবে”

প্রশ্নঃ --

বাবাও ধর্ম স্থাপন করেন আর অন্য ধর্ম স্থাপকরাও ধর্ম স্থাপন করে, দুটোর মধ্যে পার্থক্য কি ?

উত্তরঃ -:-

বাবা কেবল ধর্ম স্থাপন করে নিজ ধামে চলে যান কিন্তু অন্য ধর্ম স্থাপকেরা নিজের প্রালব্ধ তৈরি করে যায়। বাবা নিজের প্রালব্ধ তৈরি করেন না। যদি বাবাও নিজের প্রালব্ধ তৈরি করতেন তাহলে ওঁনাকে পুরুষার্থ করানোর জন্য কাউকে প্রয়োজন হত। বাবা বলেন আমি রাজত্ব করি না। আমি তো বাচ্চাদের জন্য ফার্স্ট ক্লাস প্রালব্ধ তৈরী করি।

গান:-

রাতের পথিক ক্লান্ত হয়ো না.

ওম্ শান্তি । এই গান যেন বাচ্চাদের জন্যই বানিয়েছে। এই গানের অর্থ তো আর অন্য কেউ জানতেও পারবে না। বাচ্চারা জানে যে এখন ঘন অন্ধকার চারিদিকে ছেয়ে গেছে। ধীরে ধীরে অন্ধকার হয়েছে। এই সময় বলা হবে ঘন অন্ধকার। এখন তোমরা পথিক হয়েছো আলোর দিশায় যাওয়ার জন্য অথবা শান্তিধাম বাবার ঘরে যাওয়ার জন্য। সেটা হল পবিত্র পিতৃ গৃহ আর এটা হল পতিত পিতৃ গৃহ। প্রজাপিতাতে যে পিতা বসে আছেন তাকে তোমরা বাবা বলে ডাকছো। তিনি তোমাদেরকে পবিত্র বানিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনিও হলেন পিতা আবার ইনিও হলেন পিতা। তিনি হলেন নিরাকার আর ইনি হলেন সাকার। তোমাদেরকে বাচ্চা বলতে পারেন কেবলমাত্র অসীম জগতের বাবা এছাড়া অন্য কেউ বলতে পারেনা। বাবা’ই বলেন কেননা বাচ্চাদেরকে সাথে করে ঘরে নিয়ে যাবেন। পবিত্র বানান এবং নলেজ প্রদান করেন। বাচ্চারা বুঝতে পারে যে পবিত্র তাে অবশ্যই হতে হবে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর সমগ্র সৃষ্টিচক্রকে স্মরণ করতে হবে। এই জ্ঞানের দ্বারা তোমরা এভারহেল্দি তৈরি হচ্ছ। কেউ বলে যে আমার জন্য কোনও সেবা আছে তো বলো। সেবা এটাই হলো যে ৩ পা পৃথিবী দান করে তাতে আধ্যাত্মিক কলেজ আর হসপিটাল খোলো। তাহলে তার ওপর কোনও বোঝাও পড়বে না। এতে প্রার্থনা করার তো কোনো কথাই নেই। বাবা রায় দিচ্ছেন যে – যদি তোমাদের কাছে টাকা পয়সা থাকে তাহলে অাধ্যাত্মিক হসপিটাল খোলো। এমনও অনেকে আছে যাদের কাছে টাকা নেই। তারাও হসপিটাল কাম্ ইউনিভার্সিটি খুলতে পারে। পরবর্তী সময়ে তোমরা দেখবে অনেক হসপিটাল খুলে যাবে। তোমাদের নাম অাধ্যাত্মিক সার্জন লেখা হবে। অাধ্যাত্মিক সার্জন আর প্রফেসর। অাধ্যাত্মিক কলেজ বা হসপিটাল খুলতে কোনও খরচা হয় না। মেল অথবা ফিমেল দুজনেই আধ্যাত্মিক সার্জন অথবা প্রফেসর হতে পারবে। আগে ফিমেলস্ আধ্যাত্মিক সার্জন অথবা প্রফেসর হতে পারতো না। কার্য ব্যবহার পুরুষদের হাতেই ছিল। আজকাল তো মাতারাও বেরিয়ে এসেছে। তো এখন তোমরাও এই আত্মিক সেবা করতে পারো। যখন তোমরা জ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হবে তখন কাউকে বোঝানো খুবই সহজ হয়ে যাবে। ঘরের সামনে বোর্ড লাগিয়ে দাও। কোথাও বড় হসপিটাল আবার কোথাও ছোট হসপিটালও হয়। যদি দেখো যে বড় হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পেশেন্ট (জিজ্ঞাসু) তাহলে বলতে হবে যে চলুন আমি আপনাকে বড় হসপিটালে নিয়ে যাবো। সেখানে বড় বড় সার্জন আছে। ছোট সার্জন বড় সার্জনের কাছে রেফার করে দেয়। নিজের ফি নিয়ে নেয় তারপরে বুঝতে পারে যে এই রোগ এইরকম, একে বড় কোনও হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন, এইরকম রায় দিয়ে দেয়। তো এইরকম সেন্টার খুলে বোর্ড লাগিয়ে দাও। তো মানুষ আশ্চর্যান্বিত হয়ে যাবে তাই না। এটা তো সাধারণ বোঝার বিষয়। কলিযুগের পর সত্যযুগ অবশ্যই আসবে। ভগবান বাবা’ই হলেন নতুন দুনিয়ার স্থাপনকর্তা। এইরকম বাবার থেকে আমরা কেনই না উত্তরাধিকার নেব! মন-বাণী-কর্মের দ্বারা এই ভারতকে সুখ দিতে হবে। মন-বাণী-কর্ম সেটাও হল অাত্মিক। মন্সা অর্থাৎ স্মরণ আর বাণী তো দুটোই শোনান – মন্মনা ভব আর মধ্যাজী ভব। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো, দুটি বাণী হল তাই না। উত্তরাধিকার কিভাবে নিয়েছিলে, কিভাবে হারিয়েছিলে, এটাই হল চক্রের রহস্য। বৃদ্ধা মাতাদেরও শখ থাকতে হবে। বলতে হবে – আমাকে শেখাও। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও বোঝাতে পারে, যেটা আর কোনও বিদ্বান-পন্ডিত প্রমুখেরা বোঝাতে পারে না। তবেই তো নাম প্রখ্যাত হবে। চিত্রগুলিও হল অনেক সহজ। কারো ভাগ্যে না থাকলে তো সে পুরুষার্থ করবে না। শুধুমাত্র এটা ভেবে বসে যেওনা যে আমি তো বাবার হয়ে গেছি। সেদিক থেকে তো সকল আত্মারাই হল বাবার। সকল আত্মাদের বাবা হলেন পরমাত্মা, এটা তো হল সেকেন্ডের কথা। কিন্তু তাঁর থেকে উত্তরাধিকার কি করে প্রাপ্ত হয়, তিনি কবে আসেন – এগুলিই বোঝাতে হবে। তিনি আসেনই সঙ্গমে। এসে বোঝান যে – সত্যযুগে তোমরা এত জন্ম নিয়েছিলে। ত্রেতাতে এত জন্ম, ৮৪ র চক্র সম্পূর্ণ করেছো। এখন পুনরায় স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। সত্যযুগে আর দ্বিতীয় কোনও ধর্ম হয় না। কত সহজ কথা। অন্যদের বোঝালে অনেক খুশী হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে যাবে, কেননা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় তাই না। বৃদ্ধা মাতাদের জন্য তো খুবই সহজ। এরা তো দুনিয়ার অনুভাবী। এরা যদি কাউকে বসে বোঝান তাহলে বিস্ময় উৎপন্ন করে দেখাবে। কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই মুখ থেকে মাম্মা বাবা বলতে থাকে।তোমাদের অর্গ্যান্স তো বড় বড়। তোমরা তো বুঝে নিয়ে তারপর বোঝাতে পারবে। বৃদ্ধা মাতাদের মধ্যে অনেক শখ থাকতে হবে যে আমি তো বাবার নাম প্রখ্যাত করবো আর অনেক মিষ্টিও হতে হবে। মোহ মমতা নির্মূল করে দিতে হবে। মরতে তো হবেই। অবশিষ্ট দু-চার দিন বাঁচবো, তো কেনই না আমরা একের সাথেই বুদ্ধির যোগ রাখবো! যখনই সময় পাবে, বাবার স্মরণে থেকে অন্য সকলের থেকে আসক্তি সরিয়ে নিতে হবে। বয়স যখন ৬০ বছর হয়ে যায় তখন মানুষ বাণপ্রস্থ নেয়। তারা তো খুব ভালো বোঝাতে পারবে। জ্ঞান ধারণ করে অন্যদেরও কল্যাণ করতে হবে। ভালো ভালো ঘরের কন্যারা এইরকম পুরুষার্থ করে প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝালে তো কতই না মহিমান্বিত হবে। পুরুষার্থ করে শিখতে হবে, শখ রাখতে হবে।

এই জ্ঞান হল অত্যন্ত আশ্চর্যমন্ডিত। বলো, দেখো কলিযুগ এখন সম্পূর্ণ হচ্ছে। সকলের মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে। কলিযুগের অন্তেই বাবা এসে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। কৃষ্ণকে তো বাবা বলা হয় না। সে তো হল ছোটো বাচ্চা। সত্যযুগের রাজ্য সে কিভাবে পেয়েছে! নিশ্চয়ই আগের জন্মে এইরকম পুরুষার্থ করেছে। তোমরা বোঝাতে পারো যে অবশ্যই ইনি পুরুষার্থের দ্বারাই এইরকম প্রালব্ধ বানিয়েছেন। কলিযুগে পুরুষার্থ করেছেন, সত্যযুগে প্রালব্ধ পেয়েছেন। সেখানে তো পুরুষার্থ করানোর জন্য কেউ থাকবে না। সত্যযুগ ত্রেতাতে এত যে প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয় অবশ্যই উচ্চ থেকে উচ্চতম বাবা এসে মিলন করেন যিনিই গোল্ডেন, সিলভার এজ-এর মালিক বানান, আর অন্য কেউ এইরকম মালিক বানাতে পারে না। অবশ্যই বাবা’ই এসে মিলিত হয়েছিলেন। লক্ষ্মী-নারায়ণ তো নিজেরা এসে মিলিত হবে না। এমনও নয় যে ব্রহ্মা বা শংকর এসে মিলিত হবেন। না। ভগবান এসে মিলিত হয়েছেন। তিনি হলেন নিরাকার। ভগবান ব্যতীত এমন কেউ নেই যিনি এসে পুরুষার্থ করাবেন। ভগবানুবাচ – আমি তোমাদের ফার্স্ট ক্লাস প্রালব্ধ তৈরী করে দিই। এই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়। স্থাপনা এখানেই করতে হয়। করিয়ে নেন তো এক বাবা। অন্যান্য ধর্ম স্থাপকেরা একে অপরের পিছনে পিছনে আসতে থাকে। সেই ধর্ম স্থাপকেরা প্রালব্ধ বানিয়ে যায়। বাবাকে তো নিজের প্রালব্ধ বানাতে হয় না। যদি প্রালব্ধ তৈরী করেন তবে ওঁনাকেও পুরুষার্থ করানোর জন্য কাউকে চাই। শিববাবা বলছেন আমাকে কে পুরুষার্থ করাবে! আমার পার্টই হল এইরকম, আমি রাজত্ব করি না। এই ড্রামা হল পূর্ব নির্ধারিত।

বাবা বসে বোঝাচ্ছেন – আমি তোমাদেরকে সকল বেদ-শাস্ত্রের সার বোঝাচ্ছি। এই সব হল ভক্তি মার্গ। এখন ভক্তি মার্গ সম্পূর্ণ হচ্ছে। তাদের হল অবনতি কলা। এখন তোমাদের হল উন্নতি কলা। বলা হয় না যে – চড়তি কলায় সকলের ভালো হয়। সবাই মুক্তি-জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত করে। পুনরায় ১৬ কলা থেকে নামতে নামতে নো কলাতে (কোনও কলা-ই নেই) আসতে হয়। গ্রহণ লেগে যায় তাই না। অল্প অল্প করে গ্রহণ লাগে। এটা তো অসীমের কথা। এখন তোমরা সম্পূর্ণ হচ্ছ। পুনরায় ত্রেতাতে ২ কলা কম হয়ে যায়। অল্প কালাে হয়ে যায় এইজন্য সত্যযুগের রাজত্বের জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। কম কেন নেবে ? কিন্তু সবাই তো পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না যে ১৬ কলা সম্পূর্ণ হবে।বাচ্চাদেরকে পুরুষার্থ করতেও হবে আর করাতেও হবে। এই চিত্রগুলির বিষয়ে খুব ভালো সেবা করা যেতে পারে। অত্যন্ত ক্লিয়ার করে লেখা আছে। বলো, বাবা স্বর্গের রচনা রচিত করছেন তাহলে কেন আমরা নরকে পড়ে থাকবো। এই পুরানো দুনিয়া হল নরক তাই না, এখানে দুঃখই দুঃখ তাই পুনরায় সত্যযুগ অবশ্যই আসবে। বাচ্চারা নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে আছে। এখানে কোনও অন্ধ শ্রদ্ধার কথা নেই। কোনও কলেজে অন্ধ শ্রদ্ধার কথা হয় না। এইম্ অবজেক্ট সামনে দাঁড় করানো আছে। পার্থিব কলেজগুলিতে এই জন্মের জন্য পড়াশোনা করে, এই জন্মেই প্রালব্ধ পায়। এখানে এই পড়াশোনার প্রালব্ধ বিনাশের পরে নতুন জন্মে তোমরা পাবে। দেবতারা কলিযুগে কিভাবে আসবে? বাচ্চাদেরকে বোঝানো বড়ই সহজ। চিত্রও খুব সুন্দর বানানো হয়েছে। কল্পবৃক্ষের ঝাড়ের চিত্রও খুব ভালো। খ্রীষ্টানরাও ঝাড়কে (খ্রীষ্টমাস ট্রি) মান্যতা দেয়। তারাও খ্রীষ্টানিটিকে আনন্দের সাথে পালন করে। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পার্ট রয়েছে । তোমরা এটাও জানো যে – ভক্তিও অর্ধেক কল্পের জন্য হয়। সেখানে যজ্ঞ তপস্যা তীর্থ ইত্যাদি সব কিছুই হয়। বাবা বলেন আমি তাদের সাথে মিলিত হই না। যখন তোমাদের ভক্তি সম্পূর্ণ হয় তখন ভগবান আসেন। অর্ধেক কল্প হল জ্ঞান, অর্ধেক কল্প হল ভক্তি। কল্প বৃক্ষের (ঝাড়ের) চিত্রে ক্লিয়ার করে লেখা আছে। শুধু চিত্র যদি থাকে, যদি তাতে কিছু লেখা নাও থাকে তবুও তোমরা তার উপরে বোঝাতে পারবে। চিত্রের প্রতি অ্যাটেনশন চাই, এতে কতো আশ্চর্যমন্ডিত জ্ঞান আছে। এইরকম থোড়াই হবে যে এই শরীর লোন নিয়েছে তো তাকে নিজের সম্পত্তি মনে করবে। না, মনে করবে আমি এই শরীরের ভাড়াটিয়া। এই ব্রহ্মা নিজেও বসে আছেন, তাঁকেও (শিববাবা) বসাতে হবে। যেরকম কোনো বাড়িতে মালিক নিজেও থাকে আবার ভাড়াটিয়াও থাকে। বাবা তো সবসময় এনার মধ্যে থাকেন না, একে হুসেনের রথ বলা হয়। যেরকম যিশু খ্রীষ্টের আত্মা কোনো বড় শরীরে প্রবেশ করে খ্রীষ্টান ধর্ম স্থাপন করেছে। শৈশবে সেই শরীর অন্যের ছিল, সে শৈশব থেকেই অবতার ছিল না। নানকেরও মধ্যে আত্মা প্রবেশ করে শিখ ধর্ম স্থাপন করে। এসব কথা তারা বুঝতে পারে না। এইসব হল অনেক বোঝার মতো বিষয় । পবিত্র আত্মাই এসে ধর্ম স্থাপন করে। কৃষ্ণ তো হল সত্যযুগের প্রথম প্রিন্স, তাকে দ্বাপরে কেন নিয়ে গেছে! সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য দেখায়। এটাও তোমরা জানো যে – রাধা-কৃষ্ণই লক্ষ্মী-নারায়ণ হন, তারপর বিশ্বের মালিক হন। তাঁদের রাজধানী কীভাবে স্থাপন হয়েছে ? এটা কারো বুদ্ধিতে নেই।

তোমরা জানো যে বাবা একই বার অবতীর্ণ হন, পতিতদেরকে পবিত্র বানানোর জন্য। কৃষ্ণ জয়ন্তীতেও প্রমাণ করতে হবে যে শ্রীকৃষ্ণ তো জ্ঞান দেননি, যিনি ওনার আত্মাকে কৃষ্ণ বানিয়েছেন, প্রথমে তো তাঁর জয়ন্তী পালন করতে হবে। শিব জয়ন্তীতেও মানুষ ব্রত ইত্যাদি করে। পাথরের লিঙ্গকে দুধ দিয়ে স্নান করায়। সারারাত জাগে। এখানে তো হলই রাত, এখানে যতদিন বাঁচবে পবিত্রতার ব্রত পালন করতে হবে। ব্রত পালন করলেই পবিত্র রাজধানীর মালিক হয়ে যাবে। শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বোঝাতে হবে যে কৃষ্ণ সুন্দর গৌর বর্ণের ছিল, এখন শ্যাম বর্ণ হয়ে গেছে, সেইজন্য তাকে শ্যামসুন্দর বলা হয়। কত সহজ এই জ্ঞান। শ্যামসুন্দরের অর্থও বোঝাতে হবে। কীভাবে চক্রের পুনরাবৃত্তি হয়। বাচ্চারা তোমাদেরকে সেবার জন্য তৎপর থাকতে হবে। শিবশক্তিরাই ভারতকে স্বর্গ বানিয়েছে, এটা কারোর জানা নেই। বাবাও গুপ্ত, জ্ঞানও গুপ্ত আর শিবশক্তিরাও গুপ্ত। তোমরা এইসব চিত্র নিয়ে যে কারোর বাড়িতে যেতে পারো। বলো – তুমি সেন্টারে যাওনা এইজন্য আমি তোমার বাড়িতে এসেছি, তোমাকে সুখধামের রাস্তা বলে দেওয়ার জন্য। তাহলে সে বুঝবে যে এ আমার শুভচিন্তক। এখানে কানরস (মুখরোচক গল্প শোনা) এর কোনো ব্যাপার নেই। পরবর্তী সময়ে মানুষ বুঝবে যে অবশ্যই আমরা আমাদের জীবন ব্যর্থ নষ্ট করেছি, লাইফ তো হল এদের ! আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মোহমুক্ত হয়ে এক বাবার সাথেই নিজের বুদ্ধির যোগ রাখতে হবে, দেহী-অভিমানী হয়ে এই শিক্ষা ধারণ করতে হবে এবং অন্যদেরকেও করাতে হবে।

২ ) মন-বাণী-কর্মের দ্বারা ভারতকে সুখ দিতে হবে। মুখ থেকে প্রত্যেককে জ্ঞানের দুটি কথা শুনিয়ে তাদেরও কল্যাণ করতে হবে। শুভ চিন্তক হয়ে সবাইকে শান্তিধাম, সুখধামের রাস্তা বলে দিতে হবে।

বরদানঃ-

যেরকম বাবার এত বড় পরিবার হওয়া সত্ত্বেও সর্বদা তিনি নিশ্চিন্তপুরের বাদশা ছিলেন, সবকিছু জেনে, দেখেও নিশ্চিন্ত। এইরকম ফলো ফাদার করো। বায়ুমন্ডলের উপরে নিজের প্রভাব বিস্তার করো। বায়ুমন্ডলের প্রভাব নিজের উপরে যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। কেননা বায়ুমণ্ডল হল রচনা আর তোমরা হলে মাস্টার রচয়িতা। রচয়িতার প্রভাব রচনার উপরে বিস্তার করে। কোনো পরিস্থিতি এলে তখন স্মরণ করো যে আমি হলাম বিজয়ী আত্মা। এর দ্বারা সর্বদা নিশ্চিন্ত থাকবে, ঘাবড়ে যাবে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top