03 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

June 2, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - শিববাবা তোমাদের দেওয়া ফুল ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন না, কারণ তিনি পূজনীয় কিংবা পূজারী হন না, তোমাদেরও এই সঙ্গমযুগে ফুল-হার ইত্যাদি পরা উচিত নয়”

প্রশ্নঃ --

ভবিষ্যতে কারা রাজ সিংহাসনের অধিকারী হয় ?

উত্তরঃ -:-

যারা এখন মাতা-পিতার হৃদয়ের আসন জিতে নেয়, তারাই ভবিষ্যতে সিংহাসনে আসীন হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাচ্চারা মাতা-পিতাকেও জিতে নেয়। পরিশ্রম করে মাতা-পিতার থেকেও আগে চলে যায়।

গান:-

আকাশ সিংহাসন ত্যাগ করে নীচে নেমে এসো…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা গান শুনল। এই গানের মাধ্যমেই সর্বব্যাপী-র ধারণা ভ্রান্ত হয়ে যায়। সবাই স্মরণ করছে। ভারত এখন খুব দুঃখী হয়ে গেছে। ড্রামা অনুসারেই এইসব গান তৈরি হয়েছে। দুনিয়ার মানুষ জানেই না। পতিতদেরকে পবিত্র করার জন্য কিংবা দুঃখী মানুষদেরকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে সুখ দেওয়ার জন্যই বাবা আসেন। বাচ্চারা জেনে গেছে যে ওই বাবা-ই এখন এসেছেন। বাচ্চারা পরিচয় পেয়ে গেছে। তিনি স্বয়ং বসে থেকে বলছেন – আমি এক সাধারণ শরীরে প্রবেশ করে এই সৃষ্টির আদি-মধ্য এবং অন্তিমকালের রহস্য বলে দিই। সৃষ্টি একটাই – কেবল নতুন আর পুরাতন হয়। যেমন শরীর ছোটবেলায় নতুন থাকে, পরে পুরাতন হয়ে যায়। তাই বলে নতুন শরীর আর পুরাতন শরীরকে নিশ্চয়ই দুটো আলাদা শরীর বলা হয় না। একটাই জিনিস, কেবল নতুন থেকে পুরাতন হয়। সেইরকম দুনিয়াও একটাই। এখন নতুন থেকে পুরাতন হয়ে গেছে। তাহলে নতুন কবে ছিল ? সেটা কেউ বলতে পারবে না। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন, বাচ্চারা, যখন দুনিয়াটা নতুন ছিল, তখন ভারতও নতুন ছিল। সত্যযুগ বলা হত। সেই ভারতই এখন পুরাতন হয়ে গেছে। এটাকে পুরাতন, ওল্ড ওয়ার্ল্ড বলা হয়। নিউ ওয়ার্ল্ড থেকে ওল্ড হয়ে গেছে, এখন আবার নতুন হয়ে যাবে। বাচ্চারা নতুন দুনিয়াকে দিব্য দৃষ্টির মাধ্যমে দেখেছে। আচ্ছা, ওই নতুন দুনিয়ার মালিক কে ছিলেন ? এই লক্ষ্মী-নারায়ণই ছিলেন। আদি সনাতন দেবী-দেবতারা ওই দুনিয়ার মালিক ছিলেন। বাবা বাচ্চাদেরকে এইসব বিষয় বোঝাচ্ছেন। বাবা বলছেন – এটাই এখন নিরন্তর স্মরণ করো। পরমধাম থেকে বাবা আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, রাজযোগ শেখানোর জন্য এসেছেন। তাঁরই সব মহিমা, এনার (ব্রহ্মা) কোনো মহিমা নয়। এখন সবাই নিকৃষ্ট বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে গেছে, কিছুই বুঝতে পারে না। তাই আমাকে আসতে হয় এবং এর জন্য গানও বানানো হয়েছে। এই গানের দ্বারাই সর্বব্যাপী-র ধারণা ভ্রান্ত হয়ে যায়। প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা আছে। বাবা বারংবার বলেন – তোমরা দেহের অভিমান ত্যাগ করে আত্ম-অভিমানী হও এবং এই অঙ্গের দ্বারা জ্ঞান গ্রহণ করো। যদিও চলতে ফিরতে এই বাবাকেই দেখতে পাও, কিন্তু শিববাবাকেই স্মরণ করো। এনার শারীরিক রূপ এই চোখ দিয়ে দেখতে পেলেও তোমরা মনে করো যে শিববাবা-ই সবকিছু করছেন, ব্রহ্মা নয় । তোমাদের বুদ্ধি শিববাবার দিকেই যাওয়া উচিত। শিববাবা না থাকলে এনার শরীর এবং ইনি (আত্মা) কোনো কাজের নন। সবসময় মনে করো যে এনার মধ্যে শিববাবা রয়েছেন। তিনি এই শরীরের দ্বারা শিক্ষা দিচ্ছেন। এই বাবা তোমাদের শিক্ষক নন। ওই বাবা হলেন সুপ্রীম টিচার। তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। কখনোই শরীরকে স্মরণ করা উচিত নয়। বাবার সঙ্গেই বুদ্ধি যুক্ত করতে হবে। বাচ্চারা স্মরণ করছে – পুনরায় এসে জ্ঞান যোগ শেখাও। পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া অন্য কেউ রাজযোগ শেখাতে পারবে না। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে যে তিনি স্বয়ং বসে থেকে গীতার জ্ঞান শোনাচ্ছেন। এরপর এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যাবে। ওখানে তো এর কোনো প্রয়োজনই নেই। রাজধানী স্থাপন হয়ে গেছে। সদগতি হয়ে যায়। দুর্গতি থেকে সদগতি হওয়ার জন্যই জ্ঞান দেওয়া হয়। এছাড়া ওগুলো সব ভক্তিমার্গের বিষয়। মানুষ জপ, তপ, দান ইত্যাদি যা কিছু করে, সব ভক্তিমার্গের বিষয়। এইসব করে কেউ আমাকে পায় না। আত্মার ডানা কেটে গেছে। বুদ্ধি পাথরের মত হয়ে গেছে। পাথর থেকে পরশ বানানোর জন্য আবার আমাকেই আসতে হয়। বাবা বলছেন, এখন কত মানুষ হয়ে গেছে। সর্ষের মতো এই সংসার এখন ভর্তি আছে। এরপর সব বিনাশ হয়ে যাবে। সত্যযুগে তো এতজন মানুষ থাকবে না। নতুন দুনিয়ায় অনেক বৈভব থাকবে, অথচ মানুষের সংখ্যা অল্প হবে। এখানে তো এত মানুষ হয়ে গেছে যে খাবার পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এখন যেগুলো পুরাতন অনুর্বর জমি, সেগুলোই নতুন হয়ে যাবে। ওখানে সবকিছুই নতুন। নামগুলোও কতো সুন্দর – হেভেন, বেহেস্ত, দেবতাদের নতুন দুনিয়া। পুরাতনকে ত্যাগ করে নতুনকে গ্রহণ করার ইচ্ছে হয়। নতুন দুনিয়া বা স্বর্গে যাওয়ার ব্যাপার। এক্ষেত্রে পুরাতন শরীরের কোনো মূল্য নেই। শিববাবার কোনো শরীর নেই।

বাচ্চারা বলে – বাবাকে হার পরাব। কিন্তু এনাকে হার পরালে তোমাদের বুদ্ধি এনার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে। শিববাবা বলেন, হার পরানোর দরকার নেই। তোমরাই তো পূজনীয় হয়ে যাও। আবার তোমরাই পূজারী হয়ে যাও। নিজেরাই পূজনীয় এবং নিজেরাই পূজারী। তখন নিজের ছবিকেই পূজা করতে শুরু করবে। বাবা বলেন, আমি কখনো পূজনীয় হই না, তাই ফুল ইত্যাদির কোনো প্রয়োজন নেই। আমি কেন এগুলো পরবো ? তাই কখনোই এইসব ফুলের মালা ইত্যাদি নেন না। তোমরাই পূজনীয় হয়ে যাও। তারপর যত ইচ্ছে ফুলের মালা পরবে। বাচ্চারা, আমি তোমাদের মোস্ট বিলাভেড ওবিডিয়েন্ট ফাদার, টিচার এবং সার্ভেন্ট। বড়ো বড়ো রাজার মতো মানুষেরা যখন সই করে, তখন মিন্টো, কারজন ইত্যাদি লেখে, নিজেকে লর্ড ইত্যাদি বলে লিখবে না । এখানে শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ন, শ্রী অমুক। একেবারে শ্রী শব্দটাই লিখে দেয়। তাই বাবা এখন বোঝাচ্ছেন, তোমরা এখন কোনো শরীরকে স্মরণ ক’রো না। নিজেকে আত্মা মনে করো এবং বাবাকে স্মরণ করো। এই পুরাতন দুনিয়ায় আত্মা এবং শরীর দুটোই পতিত। নয় ক্যারেট সোনা থেকে নয় ক্যারেট গয়নাই তৈরি হবে। সোনাতেই খাদ পড়ে। আত্মাকে কখনোই নির্লেপ মনে করা ঠিক নয়। তোমাদের এখন এই জ্ঞান রয়েছে। তোমরা অর্ধেক কল্প, ২১ জন্মের জন্য পুরস্কার পেয়ে যাও। তাই কতো পুরুষার্থ করতে হবে। কিন্তু বাচ্চারা প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায়। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন। ব্রহ্মার আত্মাও তাঁকেই স্মরণ করছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্কর হলো সূক্ষ্মবতনবাসী। বাবা প্রথমে সূক্ষ্ম দুনিয়া তৈরি করেন। নির্বাণধাম হলো সর্বোচ্চধাম। আত্মাদের নির্বাণধাম সবথেকে উঁচু। এক ভগবানকেই সকল ভক্ত স্মরণ করে। কিন্তু তমোপ্রধান হয়ে যাওয়ার জন্য বাবাকে ভুলে গিয়ে নুড়ি পাথর সকলের পূজা করছে। আমরা জানি, যা কিছু হচ্ছে, সেটাই ড্রামাতে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। যেটা একবার রেকর্ড হয়ে যাবে, সেটাই হবে। মনে করো হঠাৎ কোনো পাখি উড়ে এলো, তাহলে প্রত্যেকবার ওটাই রিপিট হবে। এভাবেই শ্যুট হচ্ছে। এটা পূর্বনির্মিত ড্রামা। তোমরা অভিনেতারা সাক্ষী হয়ে গোটা ড্রামাকে দেখছ। এক একটা সেকেন্ড ড্রামা অনুসারেই অতিবাহিত হচ্ছে। একটা গাছের পাতাও যদি নড়ে, তবে সেটাও ড্রামা অনুসারে। এমন নয় যে ভগবানের আদেশ অনুসারেই পাতা নড়ছে। না, এগুলো সব ড্রামাতেই আছে। এগুলো সব ভালো করে বুঝতে হবে। বাবা এসেই রাজযোগ শেখাচ্ছেন এবং ড্রামার জ্ঞান দিচ্ছেন। ছবিগুলোও খুব সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে। ঘড়ির কাঁটা সঙ্গমযুগে রয়েছে। কলিযুগের অন্তিম এবং সত্যযুগের আদিকালের সঙ্গম। এখন এই পুরাতন দুনিয়ায় অনেক ধর্ম রয়েছে। নতুন দুনিয়ায় এগুলো আর থাকবে না। তোমরা বাচ্চারা সবসময় এটাই মনে করো যে আমাদেরকে বাবা পড়াচ্ছেন, আমরা ঈশ্বরীয় শিক্ষার্থী। ভগবান উবাচ, আমি তোমাদেরকে রাজাদের রাজা বানিয়ে দিই। রাজারাও লক্ষ্মী-নারায়ণকে পূজা করেন। আমিই ওদেরকে ঐরকম পূজনীয় বানিয়ে দিই। যারা পূজনীয় ছিল, তারাই এখন পূজারী হয়ে গেছে। তোমরা বাচ্চারা বুঝে গেছ যে আমরাই পূজনীয় ছিলাম এবং আমরাই পূজারী হয়ে গেছি। বাবা কখনো এইরকম হন না। বাবা বলেন, আমি পূজনীয় কিংবা পূজারী কিছুই হই না। তাই আমি মালা পরি না, আর মালা পরাই না। তাহলে আমি কেন এইসব ফুল গ্রহণ করব ? তোমরাও গ্রহণ করতে পারো না। ওই দেবতাদের অধিকার আছে, কারণ তাদের আত্মা এবং শরীর দুই-ই পবিত্র। ওরাই ফুলের দাবিদার। ওখানে স্বর্গে খুব সুগন্ধি ফুল থাকবে। ফুল তো সুগন্ধের জন্যই থাকে। পরিধান করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। বাবা বলেন, তোমরা বাচ্চারা এখন বিষ্ণুর গলার হার হয়ে যাও। ক্রমানুসারে তোমাদেরকে সিংহাসনে বসতে হবে। আগের কল্পে যারা যত বেশি পুরুষার্থ করেছে, তারা এখন পুনরায় করছে। ক্রম তো আছেই। বুদ্ধি বলে, অমুক বাচ্চা খুব ভালো সেবা করে। যেমন দোকানে কেউ শেঠ হয়, কেউ অংশীদার, কেউ ম্যানেজার। যারা নীচে আছে, তারাও লিফট পেয়ে যায়। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও মাতা-পিতাকে জয় করতে হবে। তোমরা হয়তো অবাক হও যে মাতা-পিতার থেকে আগে কিভাবে যাব ! বাবা বাচ্চাদেরকে পরিশ্রম করে যোগ্য বানাচ্ছেন। সিংহাসনে বসানোর জন্য বলছেন, এখন যে আমার হৃদয় সিংহাসন জিতে নেবে, সে ভবিষ্যতে সিংহাসনে আসীন হবে। নর থেকে নারায়ন হওয়ার পুরুষার্থ করো। মুখ্য এইম অবজেক্ট একটাই। এরপর রাজধানী স্থাপন হবে, সেখানে অনেক রকমের পদমর্যাদা থাকবে।

মায়াকে পরাজিত করার জন্য তোমাদেরকে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। পরিবার বা সন্তানাদিদেরকে অবশ্যই ভালোবাসবে, কিন্তু ট্রাস্টি হয়ে থাকবে। ভক্তিমার্গে বলে – প্রভু, এইসব তোমার দেওয়া। তোমার আমানত তুমি নিয়ে নিয়েছ, তাহলে কান্নাকাটির কি প্রয়োজন ? কিন্তু এটা তো কান্নার দুনিয়া। মানুষ অনেক রকমের কাহিনী শোনায়। মোহজিৎ রাজার কাহিনীও শোনায়। কোনো দুঃখের অনুভব হয় না, একটা শরীর ত্যাগ করে আরেকটা নিয়েছি। ওখানে কোনো রোগ ব্যাধি থাকবে না। ২১ জন্মের জন্য সদা স্বাস্থ্যবান রোগমুক্ত শরীর থাকবে। বাচ্চারা সবকিছুই দিব্যদৃষ্টির মাধ্যমে দেখেছে। ওই পার্ট এখন অতীত। তখন এত জ্ঞান ছিল না। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে দিনে দিনে অনেক শক্তি আসছে। এইসব ড্রামার মধ্যেই আছে। কত আশ্চর্যের, তাই না ? পরমপিতা পরমাত্মার কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিজে বসে থেকে বোঝাচ্ছেন। ভক্তিমার্গেও ওপরে বসে থেকে অনেক কাজ করি। প্রতি কল্পে একবারই নীচে আসি। অনেকেই নিরাকারের উপাসনা করে, কিন্তু নিরাকার পরমাত্মা কিভাবে এসে শিক্ষা দেন, সেটাই উল্লেখ করতে পারেনি। গীতাতেও কৃষ্ণের নাম দিয়ে দেওয়ার জন্য নিরাকারের সঙ্গে ভালোবাসা ছিন্ন হয়ে গেছে। পরমাত্মা এসেই সহজ যোগ শিখিয়েছিলেন এবং এই দুনিয়াকে বদলে দিয়েছিলেন। দুনিয়ার পরিবর্তন হতেই থাকে। যুগের আবর্তন হয়। তোমরা এখন এই ড্রামার চক্রকে বুঝে গেছ। মানুষ কিছুই জানে না। সত্যযুগের দেবী-দেবতাদেরকেও জানে না। কেবল দেবতাদের চিহ্নটুকু রয়েছে। বাবা বলছেন, সবসময় নিজেকে শিববাবার সন্তান মনে করো। শিববাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। শিববাবা, এই ব্রহ্মার দ্বারা আমাদেরকে শিক্ষা দেন। শিববাবাকে স্মরণ করলে খুব আনন্দের অনুভব হবে। এইরকম গড ফাদার আমাদের কে হন ? তিনি একাধারে ফাদার, টিচার এবং সদগুরু। কোনো বাবা যদি তার সন্তানকে পড়ায়, তাহলে সেই বাচ্চা বলবে যে ইনি আমার বাবা এবং শিক্ষক। কিন্তু বাবা নিজেই গুরু, এইরকম হয় না। টিচার হতে পারে। ফাদারকে কখনোই গুরু বলা হয় না। এনার পিতাও টিচার ছিলেন, পড়াতেন। তিনি ছিলেন লৌকিক জগতের ফাদার এবং টিচার। তোমরা যদি নিজেকে ঈশ্বরীয় শিক্ষার্থী বলে মনে করো, তাহলেও অহো সৌভাগ্য ! গড ফাদার শিক্ষা দিচ্ছেন, কত স্পষ্ট ব্যাপার। কতোই না মিষ্টি বাবা। মিষ্টি জিনিসকে স্মরণ করা হয়। যেমন প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা। ওদের ভালোবাসা বিকারের জন্য হয় না। কেবল একে অন্যকে দেখতেই থাকে। তোমাদের মতো আত্মাদের পরমাত্মা পিতার সাথে যোগ রয়েছে। আত্মা বলে, বাবা কতো জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর। এই পতিত দুনিয়া, পতিত শরীরে এসে আমাদেরকে কতো শ্রেষ্ঠ বানাচ্ছেন। গায়ন আছে – বিনাযুদ্ধে মানুষ থেকে দেবতা বানিয়েছেন। এক সেকেন্ডে বৈকুণ্ঠে চলে যায়, মানুষ থেকে দেবতা হয়ে যায়। এটাই এইম অবজেক্ট। তবে তার জন্য পড়াশুনা করতে হবে। গুরু নানকও বলেছিল, তিনি নোংরা কাপড় পরিষ্কার করেন। ভগবান পিতা হলেন লাক্স সাবান। বাবা বলছেন, আমি কত ভালো ধোপা। তোমাদের বস্ত্র, তোমাদের শরীর এবং আত্মাকে কত শুদ্ধ বানিয়ে দিই। এনাকে (ঠাকুরদাদা) কখনো স্মরণ ক’রো না। এই সমস্ত কাজই শিববাবার, তাঁকেই স্মরণ করো। তিনি এনার থেকে আরও মিষ্টি। তিনি আত্মাদেরকে বলছেন, তোমরা হয়তো এই চোখ দিয়ে ব্রহ্মার রথকেই দেখতে পাচ্ছ, কিন্তু তোমরা শিববাবাকেই স্মরণ করো। এনার দ্বারা শিববাবা তোমাদেরকে কড়িতুল্য থেকে হীরাতুল্য বানিয়ে দিচ্ছেন। আচ্ছা –

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার হৃদয়রূপী সিংহাসন জিতে নেওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। পরিবারের মধ্যে ট্রাস্টি হয়ে থেকে সকলের সঙ্গে প্রেমপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। মোহজিৎ হতে হবে।

২ ) যোগবলের দ্বারা আত্মাকে স্বচ্ছ বানাতে হবে। এই চোখ দিয়ে সবকিছু দেখেও কেবল ওই বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। এখানে ফুল, মালা ইত্যাদি গ্রহণ না করে সুগন্ধি ফুল হতে হবে।

বরদানঃ-

যেসব সন্তান নিজের চঞ্চল বৃত্তিকে পরিবর্তন করে নেয়, তারাই সতোপ্রধান বায়ুমন্ডল বানাতে পারে, কারণ বৃত্তির দ্বারা বায়ুমন্ডল তৈরি হয়। বৃত্তি তখনই চঞ্চল হয়, যখন বৃত্তিতে এত বড় কার্যের স্মৃতি থাকে না। যদি কোনো খুব চঞ্চল বাচ্চা ব্যস্ত থাকার সময়েও চঞ্চলতা ত্যাগ করে না, তখন তাকে বেঁধে রাখা হয়। সেইরকম, যদি জ্ঞান যোগে ব্যস্ত থাকলেও বৃত্তি চঞ্চল হয়, তাহলে কেবল বাবার সাথে সর্ব সম্বন্ধের বন্ধনে বৃত্তিকে বেঁধে দিলেই সহজে সাফল্য পেয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top