24 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

24 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

23 May 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- রাবণের মতানুসারে তোমরা বাবার গ্লানি করেছো, সেইজন্য ভারত কড়ি-তুল্য হয়ে গেছে, এখন ওঁনাকে জেনে স্মরণ করো তবেই ধনবান হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

সিড়ির চিত্রে কোন্ বিস্ময়কর রহস্য সমাহিত রয়েছে ?

উত্তরঃ -:-

আধাকল্প হলো ভক্তির ডান্স আর আধাকল্প হলো জ্ঞানের ডান্স। যখন ভক্তির ডান্স হয় তখন জ্ঞানের হয় না, যখন জ্ঞানের ডান্স হয় তখন ভক্তির হয় না। বাচ্চারা, আধাকল্প রাবণের প্রালব্ধ চলে আর আধাকল্প তোমরা প্রালব্ধ(ফল) ভোগ করো। এই গুপ্ত রহস্য সিড়ির চিত্রে সমাহিত রয়েছে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ…..

ওম্ শান্তি । বাবা বসে বোঝান — ভক্তিমার্গে অনেক ভক্তির ডান্স করেছো, জ্ঞানের ডান্স কর’নি। ভক্তির ডান্স যখন হয় তখন জ্ঞানের হয় না। যখন জ্ঞানের হয় তখন ভক্তির হয় না। কারণ ভক্তির ডান্স অবরোহণ-কলায় নিয়ে যায়। সত্যযুগ-ত্রেতায় ভক্তি হয় না। ভক্তি শুরু হয় দ্বাপর থেকে। যখন ভক্তি শুরু হয় তখন জ্ঞানের প্রালব্ধ পূর্ণ হয়ে যায়, তারপর অবরোহণ-কলা শুরু হয়। কিভাবে নামে, তাও বাবা বসে বোঝান। আমি প্রতিকল্পে এসে বাচ্চাদের বলি — বাচ্চারা, তোমরা আমার অনেক গ্লানি করেছো। যখনই ভারতে এই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের অত্যন্ত গ্লানি হয় তখন আমি আসি। গ্লানি কাকে বলে, তাও বোঝানো হয়। বাবা বলেন — প্রতিকল্পে আমি ভারতের বিকারী নরকবাসীদের এসে স্বর্গবাসী করি। আসুরীয় মতানুসারে তোমরা আমার গ্লানি করার ফলে কত কাঙ্গাল হয়ে গেছ। রাম-রাজ্য ছিল, এখন হলো রাবণ-রাজ্য, যাকে জয় এবং পরাজয়, দিন এবং রাত বলা হয়ে থাকে। এখন বিচার করো যে আমি কখন আসব! যাদের রাজ্য দিয়েছিলাম তারাই রাজ্য হারিয়ে বসে আছে। সমগ্র হিসেব-নিকেশ তো বোঝানোই হয়েছে। আমি এসে তোমাদের উত্তরাধিকার প্রদান করি পুনরায় রাবণ এসে তোমাদের অভিশপ্ত করে দেয় — বিশেষভাবে ভারতকে, সাধারণভাবে সমগ্র দুনিয়াকে। ভারতের মহিমার কথাও কারো জানা নেই। সর্বপ্রথমে ভারতই ছিল, কবে ছিল, কেমন ছিল, কারা রাজত্ব করতো, কারোর কিছুই জানা নেই। কিছুই বোঝে না। যারা দেবতা ছিলেন, তাদের চেহারা ছিল মানুষের, আচার-আচরণ ছিল দেবতাদের মতন। এখন চেহারা যদিও মানুষের, আচার-আচরণ আসুরীয়। যাদের বোঝানো হয় তারা বোঝে না কারণ পারলৌকিক পিতাকেই জানে না। আরোই বসে গালি দেয়। বাবার গ্লানি করতে-করতে সম্পূর্ণ কড়ি-তুল্য হয়ে পড়ছে। ভারতের অধঃপতন (ডাউন ফল) হয়ে গেছে। এমন অবস্থা যখন হয়, বাবা বলেন — তখন আমি আসি। বাচ্চারা, এখন তোমাদের সম্মুখে এসে বোঝাই। কল্প-পূর্বেও এভাবেই বুঝিয়েছিলাম। এই দৈব-সম্প্রদায় স্থাপিত হচ্ছে, মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হচ্ছে। মানুষের এ’টাই জানা নেই যে বাবা কবে আসেন, সত্যযুগ-ত্রেতায় তোমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে প্রালব্ধ অর্থাৎ ফল ভোগ করো। পরে দ্বাপর থেকে রাবণের অভিশাপ প্রাপ্ত করতে-করতে একদম শেষ হয়ে যাও। যেমন দেবতারা প্রালব্ধ ভোগ করতে-করতে ত্রেতার অন্তে তা সমাপ্ত হয়ে যায়, তারপর রাবণের আসুরীয় প্রালব্ধ শুরু হয়। ভক্তিও প্রথমে অব্যভিচারী হয়, পরে ব্যভিচারী হয়। সিঁড়ি সঠিকভাবে তৈরী হয়েছে। প্রত্যেকটি বস্তু সতোপ্রধান, সতঃ-রজঃ-তমোঃ হয়। খাদ পড়তে থাকে। বাচ্চারা, তোমাদের অত্যন্ত ভালভাবে বোঝানো হয়, কিন্তু ধারণা কম। কারোর মধ্যে বোঝানোর বুদ্ধি তো একদমই নেই। কেউ ভাল অনুভাবী হয়, যার ধারণা অত্যন্ত ভাল হয়। নম্বরের অনুক্রমে তো হয়ই, তাই না! স্টুডেন্টরা এক সমান হয় না। কিছু না কিছু নম্বর অবশ্যই পাবে। কাউকে বোঝানো অতি সহজ। বাবা বলেন — আমাকে স্মরণ করো। আমি তোমাদের অসীম জগতের পিতা, সৃষ্টির রচয়িতা। আমাকে স্মরণ করলে তোমরা অসীম জগতের উত্তরাধিকার পাবে। স্মরণের দ্বারাই খাদ নিষ্কাশিত হবে। কেবল এ’টাই বোঝাও যে তোমরা ভারতবাসীরা সত্যযুগে সতোপ্রধান ছিলে, এখন কলিযুগে তমোপ্রধান হয়ে গেছো। আত্মাতেই খাদ পড়ে। পবিত্র না হলে সেখানে কেউ যেতে পারে না। নতুন দুনিয়ায় হয়ই সতোপ্রধান। বস্ত্র নতুন হলে বলা হবে সতোপ্রধান, পরে পুরোনো হলে তমোপ্রধান হয়ে যায়। এখন সকলের বস্ত্র ছিন্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবকিছু জীর্ণাবস্থায় পৌঁছে গেছে। যারা বিশ্বের মালিক ছিল তারাই সম্পূর্ণ দরিদ্র হয়ে গেছে। পুনরায় তাদেরই ধনবান হতে হবে। এইসমস্ত কথা মানুষ জানে না। ভারত স্বর্গ ছিল, এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, আর সব ধর্মাবলম্বীরা তো পরে আসে। বাবা বসে-বসে তোমাদের সত্যকথা বোঝান। দেখ, গীতার কত মান। অধ্যয়ন করতে-করতে সম্পূর্ণ অধঃপতনে গেছে, তখন আহ্বান করে — হে পতিত-পাবন এসো। আমরা ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছি। সদ্গতি তো ঈশ্বরই প্রদান করতে পারেন। এছাড়া শাস্ত্রে তো সবই ভক্তিমার্গ। তোমাদের বুদ্ধিতে বসে রয়েছে — আমরা বাবার জ্ঞানের দ্বারা দেবতায় পরিনত হই। এখন সমগ্র দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য আসে। সন্ন্যাসীরাও ভক্তি করে, গঙ্গা স্নানাদি করে, তাই না! ভক্তিও সতোপ্রধান, পরে রজঃ, তমঃ হয়। এও এমনই। অর্ধেককল্প দিন, অর্ধেককল্প রাতের গায়ন রয়েছে। ব্রহ্মার সাথে ব্রাহ্মণদেরও (গায়ন) হবে। তোমরা এখন দিবসে প্রবেশ করছো, ভক্তির রাত পূর্ণ হচ্ছে। ভক্তিতে দুঃখ-কষ্ট অনেক, তাকে রাত বলা হয়। অন্ধকারে ধাক্কা খেতে থাকে — ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের জন্য। ভক্তিমার্গে সদ্গতি প্রদানের কেউ থাকে না। তোমরা ব্যতীত কেউই যথাযথভাবে ভগবানকে জানে না। আত্মাও বিন্দু, পরমাত্মাও বিন্দু, এ’কথা কেউই বুঝতে পারে না। পরমাত্মাই স্বয়ং এসে ব্রহ্মার শরীরের মাধ্যমে বুঝিয়ে থাকেন। ওরা(অজ্ঞানী) আবার ভগীরথ, ষাড়-রূপে দেখিয়েছে। এখানে ষাড়ের তো কোনো কথাই নেই। বাবা সব কথা ভালভাবে বোঝান, কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে সম্পূর্ণরীতিতে বসে না। বাবা বসে থেকে বোঝান — বাচ্চারা, আমি তোমাদের আত্মাদের পিতা। তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। তবুও বলো যে ভুলে যাই। বাঃ! এরকম প্রিয়তম বা বাবাকে ভুলে যাওয়া উচিত! স্ত্রী তার স্বামীকে অথবা বাচ্চা বাবাকে ভুলে যায় কি ? এখানে তোমরা কেন ভুলে যাও ? তোমরা বলোও — বাবা তুমি আমাদের স্বর্গের মালিক করে দিচ্ছ তবুও ভুলে যাই।

বাবা বলেন — স্মরণ না করলে ভিতরে যে মরচে পড়ে রয়েছে তা কীভাবে নিষ্কাশিত হবে। মুখ্য কথাই হলো স্মরণ। আমাদের কোনো অন্য ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। স্কুলে হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী তো বোঝাও। কেউ একদমই বোঝে না। বাবা পড়ান, এ’কথা বুদ্ধিতে বসে না। আচ্ছা, বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো, সে’কথাও ভুলে যাও! যারজন্য আধাকল্প ধরে ভক্তি করে এসেছো, সেই বাবাকেই স্মরণ করো না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে, এখন আমরা শরীর পরিত্যাগ করে রাজধানীতে যাব, এ হলো অন্তিম জন্ম। সূক্ষ্মলোকে ওঁনাদের ফীচার্স তো তেমনই দেখ, বৈকুন্ঠেও দেখ। তোমরা জানো যে, মাম্মা-বাবাই লক্ষী-নারায়ণ হয়, তোমরা যখন সত্যযুগে বাস করো তখন মনে করো যে, এই এক শরীর পরিত্যাগ করে অন্য ধারণ করতে হবে। ওখানে ওনাদের এ’কথা জানা থাকে না যে সত্যযুগের পর ত্রেতা আসবে, দ্বাপর আসবে, আমরা নীচে নামতে থাকব। জ্ঞানের কোনো কথা থাকে না। পুনর্জন্ম নিতে থাকে। ওখানে আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকে পরে আত্ম-অভিমানী থেকে দেহ-অভিমানী হয়ে যায়। এই নলেজ কেবলমাত্র তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদেরই রয়েছে আর কারোর কাছে নেই। ইনিই জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বর, যিনি জ্ঞানসাগর-স্বরূপ পিতা, তিনিই শোনান। অবশ্যই ব্রহ্মার সন্তান, ব্রাহ্মণদেরই শোনাবেন। ব্রহ্মার সন্তান — ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়। রাত-দিনের পার্থক্য। তোমরা পুরুষার্থ করে সম্পূর্ণ গুণবান হও। সম্পূর্ণ নির্বিকারী, গৃহস্থী জীবনে থেকেও তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, কর্ম তো করতেই হবে। বুদ্ধির যোগ যেন বাবার সঙ্গে থাকে। অবশ্যই যেকোন কর্ম করো, ছুতোরের কাজ করো অথবা রাজত্ব করো, কর্ম তো করতেই হবে। রাজা জনকের গায়ন রয়েছে, তাই না! রাজত্ব করো কিন্তু বুদ্ধির যোগসূত্র বাবার সঙ্গে স্থাপন করো তবেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন, মন্মনাভব, মামেকম্ স্মরণ করো। শিববাবা বলেন, কেবলমাত্র শিব বললে (শিব)লিঙ্গ স্মরণে আসবে। আর সকলেরই তো শরীরের নাম নেওয়া হয়, ভূমিকা পালন শরীরই করে। এখন তোমাদের আত্ম-অভিমানী করা হয়, যা অর্ধেক কল্প পর্যন্ত চলে। এইসময় সকলেই দেহ-অভিমানে রয়েছে। ওখানে আত্ম-অভিমানী হবে, যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা। আয়ু সকলেরই দীর্ঘ হয়। এখানে সকলের আয়ু কম হয়। বাবা সম্মুখে বসে বাচ্চাদের কত ভালভাবে বোঝান — হে আত্মারা, কারণ আত্মাই জ্ঞান প্রাপ্ত করে, ধারণাও আত্মাতেই হয়। বাবার তো শরীর নেই। সম্পূর্ণ জ্ঞান আত্মাতেই রয়েছে। আত্মাও স্টার, বাবাও স্টার। তিনি পুনর্জন্ম নেন না, আত্মারা পুনর্জন্ম নেয় সেইজন্য বাবা কাজ দিয়েছিলেন যে পরমাত্মার মহিমা এবং বাচ্চার মহিমা লিখে নিয়ে এসো। দুজনেরই আলাদা-আলাদা। শ্রীকৃষ্ণের মহিমা আলাদা। ইনি সাকারী, উনি নিরাকারী। এত গুণবান কে তৈরী করেছে ? অবশ্যই বলবে, পরমাত্মা তৈরী করেছেন। এইসময় তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়ের। তোমাদের বাবা শেখাচ্ছেন। পুনরায় ভবিষ্যতে ফল(প্রালব্ধ) ভোগ করবে। সত্যযুগে কেউই শেখাবে না। ভক্তিমার্গের সামগ্রীই সমাপ্ত হয়ে যায়। এই দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্যও আসা চাই অর্থাৎ দেহ-সহ দেহের সর্ব-সম্বন্ধকে পরিত্যাগ করে নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করতে হবে। নগ্ন এসেছিলে, নগ্ন হয়ে যেতে হবে (শরীর রূপী খোলস পরে ধারণ হয়)। এই পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে, আমরা সকলেই নতুন দুনিয়ায় চলে যাব। ব্যস্, স্মরণের এই পরিশ্রমই করতে থাকো, এখানেই অনুত্তীর্ণ হয়ে যায়। স্মরণ করে না। যারা বুঝবার জন্য আসে, তাদেরকে এ’টাই বোঝাতে হবে — শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা বলে থাকেন যে আমায় স্মরণ করো তবেই স্মরণের মাধ্যমে তোমাদের খাদ দূরীভূত হয়ে যাবে, তোমরা বিষ্ণুপুরীর মালিক হয়ে যাবে। বিষ্ণুপুরীই স্বর্গপুরী। সে’জন্য যতখানি সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো, যে বাবাকে অর্ধেককল্প ধরে স্মরণ করে এসেছো এখন তিনি সম্মুখে এসেছেন। তিনি বলেন — আমাকে স্মরণ করো, তাঁকে কেউই জানে না। তিনি স্বয়ং-ই এসে নিজের পরিচয় দেন। আমি যা, যেমন, তেমনভাবে কোনও বিরল ব্যক্তিই আমায় জানে এবং নিশ্চয় করে। নিশ্চয় করে নিলে তখন পুরুষার্থ করে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে নেয়। শিববাবা বলেন — আমাকে স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে আর তোমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। কোনো বিকর্ম করা উচিত নয়। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পুরুষার্থ করে সম্পূর্ণরূপে গুণবান হতে হবে। কর্ম যাই হোক না কেন তা বাবার স্মরণে থেকে করতে হবে। কোনো বিকর্ম করা উচিত নয়।

২ ) এই পুরোনো বস্ত্র(শরীর) জীর্ণ হয়ে গেছে, এর থেকে মমতা সরিয়ে ফেলতে হবে। আত্মাকে সতোপ্রধান করার জন্য পূর্ণমাত্রায় পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

সদা যেন অ্যাটেনশন থাকে যে প্রথমে করতে হবে তারপর বলতে হবে। বলা সহজ, করতেই পরিশ্রম। পরিশ্রমের ফল ভাল হয়। কিন্তু যদি অন্যদের বলে তা নিজে না করো তখন সার্ভিসের সঙ্গে ডিসসার্ভিসেরও প্রত্যক্ষতা হয়। যেমন অমৃতের মধ্যে যদি বিষের একটি ফোঁটাও পড়ে তবে সম্পূর্ণ অমৃত বিষে পরিণত হয়, তেমনই যতই সেবা করো, ছোট্ট একটি ভুল কিন্তু সম্পূর্ণ সেবাকে সমাপ্ত করে দেয়। সেইকারণে প্রথমে নিজের উপর অ্যাটেনশন দাও, তবেই বলা হবে সত্যিকারের সেবাধারী।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী-জীর অমূল্য মহাবাক্য :

"আরোহণ-কলা এবং অবরোহণ-কলার মুখ্য ভিত কি ?"

অসংখ্য মানুষ এই প্রশ্ন করে যে যখন এত পুরুষার্থ করে জীবনমুক্তি পদ প্রাপ্ত হয় তখন পুনরায় সেখানে কি কারণ ঘটে যে আমরা অধঃপতনে যাই ? যদিও আমরা বলি যে, এ হলো জয়-পরাজয়ের খেলা, এর মাঝে আরোহণ-কলা এবং অবরোহণ-কলারও নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। যে কারণের আধারে এই খেলা চলে। যেমন পুরুষার্থের মাধ্যমে আমরা উত্তরণ করছি তেমনই অধঃপতনেরও কোনও কারণ অবশ্যই রয়েছে। কারণও এখন কোনো বড়কিছু নয় সামান্য ভুল, যেমন পরমাত্মা বলেন — আমায়কে স্মরণ করো তাহলে আমি তোমাদের মুক্তি-জীবনমুক্তির পদ প্রাপ্ত করাও, তেমনই যখন বডি কনশাস হও তখন পরমাত্মাকে ভুলে গিয়ে অধঃপতন হয়। পুনরায় বাম-মার্গে যায় তারপর পঞ্চবিকারে আবদ্ধ হয়ে দুঃখবরণ করে, এইটাই হলো নিজের দোষ, রচনার দোষ নয়। যে মানুষেরা বলে দুঃখ-সুখ সব পরমাত্মাই দেন, এ’কথা বলা সম্পূর্ণ ভুল। বাবা সুখের রচনা করেন, দুঃখের রচনা নয়। এছাড়া আমরা শ্রেষ্ঠ কর্মের দ্বারা সুখ ভোগ করি এবং ভ্রষ্ট কর্মে দুঃখভোগ করি। এছাড়াও ভালকর্মের ফল এবং খারাপ কর্মের দন্ডভোগ পরমাত্মার দ্বারা অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। কিন্তু এরকম বলা যাবে না যে সুখ-দুঃখ দুই-ই পরমাত্মা দেন, না। পরমাত্মা তো আরোহণ-কলায় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, আর অধঃপতনে নিয়ে যায় মায়া। সাধারণ নিয়মানুসারেও সুখের জন্য কেউ-কেউ সঙ্গ অথবা সহায়তা নেয়। এছাড়া দুঃখভোগের জন্য কেউ কারোর সহায়তা নেয় না। এছাড়া যেমন-যেমন কর্ম তেমন-তেমনই ফলের রেজাল্ট। সে’জন্য এই ড্রামার ভিতরে দুঃখ-সুখের খেলা আপন কর্মফলের উপরেই তৈরী হয়ে রয়েছে, কিন্তু তুচ্ছবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই রহস্যকে জানে না। আচ্ছা — ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top