23 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
22 May 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"হৃদয়ে জ্ঞানী তথা স্নেহী হও এবং লিকেজ বন্ধ করো"
আজ স্নেহের সাগর বাপদাদা নিজের স্নেহী বাচ্চাদের সাথে মিলনের জন্য এসেছেন l এই অধ্যাত্ম স্নেহ, পরমাত্ম-স্নেহ নিঃস্বার্থ প্রকৃত স্নেহ l প্রকৃত হৃদয়ের স্নেহ তোমরা সব আত্মাকে সমগ্র কল্পের স্নেহী বানিয়ে দেয়, কারণ পরমাত্ম-স্নেহ, আত্মিক স্নেহ, অবিনাশী স্নেহ, এই অধ্যাত্ম স্নেহ ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশন l আধ্যাত্মিক স্নেহের অনুভব যদি না হয় তাহলে ব্রাহ্মণ জীবনের প্রকৃত আনন্দও নেই l পরমাত্ম-স্নেহ যে কোনও পতিত আত্মাকে পরিবর্তন করার চুম্বক, পরিবর্তন হওয়ার সহজ উপায় l স্নেহ অধিকারী বানানোর, অধ্যাত্ম নেশা অনুভব করার আধার l যদি স্নেহ আছে তো তোমাদের ব্রাহ্মণ জীবন আনন্দদায়ক l আর যদি স্নেহ নেই তো ব্রাহ্মণ জীবন নীরস, পরিশ্রমের জীবন l পরমাত্ম-স্নেহ হৃদয়ের স্নেহ l লৌকিক স্নেহ হৃদয় টুকরো টুকরো করে দেয়, কারণ ভাগ হয়ে যায় l অনেকের সাথে স্নেহের দায়িত্ব পালন করতে হয় l অলৌকিক স্নেহ অনেক টুকরো হওয়া হৃদয় জুড়ে দেয় l এক বাবার প্রতি স্নেহ দিয়েছ তো আপনা থেকেই সবার সহযোগী হয়ে যাও, কারণ বাবা বীজ l সুতরাং বীজকে জল দেওয়ায় প্রতিটা পাতা নিজে থেকেই জল পেয়ে যায়, পাতায় পাতায় জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না l এইভাবে রূহানী বাবার সাথে স্নেহ সংযোগ অর্থাৎ সকলের স্নেহী হওয়া, সেইজন্য হৃদয় টুকরো টুকরো হয় না l স্নেহ সব কার্যকে সহজ করে দেয় অর্থাৎ পরিশ্রম থেকে রেহাই দেয় l যেখানে স্নেহ সেখানে স্মরণ আপনা থেকে সহজেই আসে l স্নেহীকে ভুলে যাওয়া কঠিন, তাঁকে স্মরণ করা কঠিন হয় না l জ্ঞান অর্থাৎ বোধশক্তি বুদ্ধিতে যতই থাক না কেন জ্ঞান যথার্থ হোক অর্থাৎ স্নেহ সম্পন্ন জ্ঞান হোক l যদি জ্ঞান আছে কিন্তু স্নেহ নেই তাহলে সেটা শুষ্ক জ্ঞান l স্নেহ সর্ব সম্বন্ধ অনুভব করায় l যে শুধু জ্ঞানী হয় সে মস্তিষ্ক দ্বারা স্মরণ করে আর স্নেহী হৃদয় দিয়ে স্মরণ করে l মস্তিষ্ক দ্বারা যারা স্মরণ করে তাদের স্মরণে, সেবায়, ধারণায় পরিশ্রম করতে হয় l তারা পরিশ্রমের ফল খায় আর এরা ভালোবাসার ফল খায় l যেখানে স্নেহ নেই এবং জ্ঞান বিচারবুদ্ধিযুক্ত, সেখানে জ্ঞানের বিষয়ে কেন, কী, কীভাবে… এর সাথেই বুদ্ধি লড়াই করতে থাকবে আর লড়াই লাগতে থাকবে নিজের সঙ্গে নিজের l অধিক মাত্রায় ব্যর্থ সঙ্কল্প চলবে l যেখানে কেন, কেন প্রশ্ন হবে সেখানে কেন’র ক্যু (লাইন) হবে l আর যেখানে স্নেহ আছে সেখানে যুদ্ধ নেই, বরং সেখানে তোমরা ভালোবাসায় নিমজ্জিত, সমাহিত হয়ে আছ l কারও প্রতি হৃদয়ের স্নেহ থাকলে তো স্নেহ বিষয়ে কেন, কী-এর প্রশ্নই ওঠে না l যেমন পতঙ্গ দীপবাতির স্নেহে কেন, কী করে না, বলিদান হয়ে যায়, ঠিক সে’ভাবেই পরমাত্ম-স্নেহী আত্মারা স্নেহে সমাহিত হয়ে থাকে l
কিছু বাচ্চা বাবার সঙ্গে অধ্যাত্ম আলাপকালে এই কম্পলেন্ট (আক্ষেপ) করে, “জ্ঞান তো তাদের বুদ্ধিতে আছে, তারা ব্রাহ্মণও হয়ে গেছে, আত্মাকেও জেনে গেছে, তারা বাবাকেও তাঁর পূর্ণ পরিচয়ে জানে, সম্বন্ধ বিষয়েও তারা জ্ঞাত আছে, চক্রেরও জ্ঞান আছে, রচয়িতা আর রচনারও সমস্ত জ্ঞান আছে – তবুও স্মরণ সহজ কেন হয় না ? আনন্দের বা শক্তির, শান্তির অনুভব সদা কেন হয় না ? পরিশ্রমের দ্বারা কেন তাদের স্মরণ করতে হয়, নিরন্তর কেন স্মরণ থাকে না ? কেন বারবার তারা স্মরণ করতে ভুলে যায় ? এর কারণ তাদের জ্ঞান মস্তক পর্যন্ত, জ্ঞানের সাথে সাথে হৃদয়ের স্নেহ কম l মগজের স্নেহ l আমি বাচ্চা, তিনি বাবা, দাতা-বিধাতা – এটা মগজের জ্ঞান l কিন্তু এই জ্ঞান যখন হৃদয়ে সমাহিত হয়ে যায়, তখন স্নেহের লক্ষণ কী দেখায় ? হৃদয় l সুতরাং জ্ঞান আর স্নেহ কম্বাইন্ড হয়ে যায় l জ্ঞান বীজ আর জল হ’লো স্নেহ ! যদি বীজ জলই না পায় তাহলে ফল দেবে না l ঠিক সে’রকমই, তোমাদের জ্ঞান তো আছে কিন্তু হৃদয়ের স্নেহ নেই, তাহলে প্রাপ্তির ফল পাওয়া যায় না, সেইজন্য পরিশ্রম করতে হয় l স্নেহ অর্থাৎ সর্বপ্রাপ্তির ও সর্ব অনুভবের সাগরে সমাহিত হওয়া l যেমন, লৌকিক দুনিয়াতেও দেখ, স্নেহের ছোট একটা গিফ্ট (উপহার) কতো প্রাপ্তির অনুভব করায় ! আর যতই হোক, স্বার্থের সম্বন্ধে যদি লেন-দেন করো তাহলে কেউ এক কোটি দিলেও, যে নেয় তার কিন্তু এক কোটি পাওয়ার সন্তুষ্টতা হবে না, কোনো না কোনও ত্রুটি বের করতে থাকবে – এটা হওয়া উচিত, এটা করা উচিত l আজকাল তারা কতো খরচ করে, কতো শো করে ! কিন্তু তবুও তাদের স্নেহ কাছে আনে নাকি তাদের দূরে করে ? কোটির লেনদেন এত সুখের অনুভব করায় না, কিন্তু হৃদয়ের স্নেহের একটা ছোট জিনিসও কতো সুখের অনুভব করায় l কারণ হৃদয়ের স্নেহ হিসেবনিকেশকেও চুকিয়ে দেয় l স্নেহ এইরকম বিশেষ অনুভূতি l অতএব, নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করো, জ্ঞানের সাথে সাথে হৃদয়ের স্নেহ আছে ? হৃদয়ে লিকেজ (ফুটো) নেই তো ? যেখানে লিকেজ থাকে কী হয় ? যদি এক বাবা ব্যতীত অন্য কারও জন্য স্নেহ থাকে, এমনকি তোমাদের সঙ্কল্পেও, তা’ ব্যক্তির প্রতি হোক বা বৈভবের প্রতি, এমনকি যদি কোনো ব্যক্তির শরীরের প্রতি স্নেহ থাকে, অথবা তার বিশেষত্বের প্রতি – যদি তা’ কিছু সীমিত প্রাপ্তির আধারেই হয়, কিন্তু বিশেষত্ব যিনি দেন তিনি কে ? প্রাপ্তি কে করায় ?
যদি কোনরকম স্নেহ অর্থাৎ মোহ তা’ সঙ্কল্প মাত্র হোক বা বাণীতে অথবা কর্মে সামান্যতম হোক, একে লিকেজ বলা হবে l অনেক বাচ্চা সরলভাবে বলে – মোহ নেই কিন্তু ভালো লাগে, চাইনা কিন্তু মনে পড়ে l কিন্তু মোহের লক্ষণ হলো – সঙ্কল্প, বোল আর কর্ম দ্বারা বশ্যতা স্বীকার করা l সেইজন্য লিকেজ হওয়ার কারণে শক্তি বৃদ্ধি হয় না l আর শক্তিশালী না হওয়ার কারণে বাবাকে স্মরণ করতে পরিশ্রম লাগে l আর পরিশ্রম হওয়ার কারণে সন্তুষ্টতা থাকে না l যেখানে সন্তুষ্টতা নেই, সেখানে এই মুহূর্তে স্মরণের অনুভূতি দ্বারা পরমানন্দে বিভোর হয়ে যাবে আর পরমুহূর্তেই আবার নিরাশ হয়ে যাবে, কারণ লিকেজ হওয়ার জন্য শক্তি অল্প সময়ই ভরে, সদা স্থায়ী হয় না l সেইজন্য সহজ নিরন্তর যোগী হতে পারো না l সুতরাং চেক করো – কোনো ব্যক্তি বা বৈভবের প্রতি মোহ নেই তো অর্থাৎ লিকেজ নেই তো ? এই লিকেজ লাভলীন (ভাবে বিভোর) স্থিতি অনুভব হতে দেবে না l বৈভবের প্রয়োগ যদি বা করো তবে যোগী হয়ে প্রয়োগ করো l এইরকম যেন না হয় যে, যেটা তুমি আরামের সামগ্রী ভাবছ তা’ মনের স্থিতিকে আরামহীন করে ! কেননা, অনেক বাচ্চা বৈভবের বশ হয়েও মনের মোহ বুঝতে পারে না l তাদের রয়্যাল ভাষা এটাই বলে যে তারা হঠযোগী নয়, সহজ যোগী l সহজযোগী হওয়া তো ভালো কিন্তু তোমরা কি যোগী ? যা বাবার স্মরণে ব্যাঘাত ঘটায় অর্থাৎ যা কিছু তার নিজের দিকে যদি আকৃষ্ট করে, অধীন বানায়, তাহলে যোগী হয়ে প্রয়োগ করছ বলা যাবে না, কেননা, বাবার হওয়ার কারণে সময় সময়ে প্রকৃতি দাসী অর্থাৎ বৈভবের উপকরণের প্রাপ্তি বেড়ে চলেছে l ১৮-১৯ বছরের মধ্যে এখনই তো কতো প্রাপ্তি হচ্ছে ! আরামের সবরকম সামগ্রী উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে l এই প্রাপ্তি সবই কিন্তু বাবার হওয়ার ফল হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে l সুতরাং ফল খেতে গিয়ে বীজকে ভুলে যেও না l অল্প সময়ের জন্য এই সুযোগ-সুবিধা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে l কিন্তু আরামে থাকতে গিয়ে রামকে ভুলে যেও না l প্রকৃত সীতা হয়ে থাকো l মর্যাদার রেখা থেকে সঙ্কল্প রূপী অঙ্গুষ্ঠও যেন বাইরে বের না হয়, কারণ সাধনা ব্যতীত যদি এই উপকরণ ইউজ করো তাহলে তা’ স্বর্ণ-মৃগের মতো কাজ করে নেবে, সেইজন্য ব্যক্তি আর বৈভবের মোহ এবং বশ্যতা থেকে সদাসর্বদা নিজেকে সেফ রাখো, নয়তো বাবার স্নেহী হওয়ার পরিবর্তে, সহজ যোগী হওয়ার পরিবর্তে কখনো সহযোগী, কখনো সহজ যোগী, কখনো বিয়োগী – এইরকম অনুভূতি করতে থাকবে l কখনো স্মরণ, কখনো দোষারোপ – এই দুইই তোমরা অনুভব করতে থাকবে আর কম্পলেন্টও কখনো পুরো হবে না l
ব্যক্তি আর বৈভবের অধীনতার লক্ষণ – এক তো তোমাদের বলা হয়েছে যে কখনো সহজ যোগী, কখনো যোগী, কখনো অভিযোগকারী l দ্বিতীয় বিষয় হলো এইরকম আত্মার সব প্রাপ্ত হবে, হয় তা’ সামগ্রী, অথবা সহযোগ বা স্নেহ, কিন্তু যে আত্মার লিকেজ আছে তার প্রাপ্তি হলেও সন্তুষ্ট হবে না l তার মুখ থেকে সবসময় কোনো না কোনভাবে না চাইতেও অসুন্তুষ্টতার বোল বেরোতে থাকবে l অন্যেরা অনুভব করবে যে এই আত্মার অনেক প্রাপ্তি, এর মতো কারও প্রাপ্তি হয় না l কিন্তু সেই আত্মা সদা নিজের অপ্রাপ্তির দুঃখ বর্ণন করতে থাকবে l লোকে বলবে – এর মত সুখী কেউ নেই আর সে বলবে, আমার মতো দুঃখী কেউ নেই, কারণ সে গ্যাস বেলুন – যখন এটা বড় তো অনেক উঁচু যায়, কিন্তু যখন শেষ হয়ে যায় কোথাও পড়ে যায় ! যখন ওড়ে দেখতে কতো সুন্দর লাগে ! উড়ন্ত, কিন্তু অল্পকালের হয় l নিজের ভাগ্যের প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না l সদা কাউকে না কাউকে নিজের ভাগ্যের অপ্রাপ্তির নিমিত্ত বানাতে থাকবে – এ এইরকম করে, এটা এইরকম হতো, সেইজন্য আমার ভাগ্যে নেই ! ভাগ্যবিধাতা ভাগ্য বানান l যেখানে ভাগ্যবিধাতা ভাগ্য বানাচ্ছেন, সেই পরমাত্ম-শক্তির সামনে আত্মার শক্তি ভাগ্যকে নড়াতে পারবে না l এ সবই বাহানার খেলা ! উড়তি কলার খেলা তাদের জানা নেই তো অনেক অজুহাত দেখিয়ে দেয় l এতে সবাই চতুর l সেইজন্য এটা চেক করো – স্নেহের কারণে অধীনতা, নাকি হিসেবনিকেশ চুকে যাওয়ার কারণে !
যার প্রতি ঈর্ষা বা ঘৃণা হয় সেখানেও অধীনতা থাকে l বারবার সেই স্মরণে আসতে থাকবে l বাবাকে তোমরা স্মরণ করতে বসবে আর স্মরণে আসবে যাকে ঘৃণা বা ঈর্ষা করো l তুমি ভাববে যে তুমি স্বদর্শন চক্রধারী আর চক্র চালাবে পর-দর্শনের ! সুতরাং উভয় তরফের অধীনতা নিচে নামিয়ে আনে, সেইজন্য দু’টোই চেক করো l আবার বাবার কাছে অনুরোধ করো, “সাধারণতঃ আমি ভালোই, কিন্তু এই একটা বিষয়েই শুধু এইরকম, এটা আপনি চুকিয়ে দিন !” বাবা হাসেন নিজে হিসেব বানিয়েছ আর চুকাবে বাবা ! চুকিয়ে দেবেন – সেতো না হয় ঠিক আছে, কিন্তু তোমার জন্য বাবাকে চুকাতে হবে এটা ঠিক নয় l হিসেব বানানোর সময় বাবাকে ভুলে গেছ আর হিসেব চুকানোর টাইমে বাবা-বাবা বলো ! করণকরাবনহার (করানোর মালিক) করানোর জন্য বেঁধে আছেন, কিন্তু করতে তো হবে তোমাকেই l তাহলে শুনেছ, বাচ্চাদের কী কী সমাচার বাপদাদা দেখেন ? সার কী ছিল ? শুধু নীরস জ্ঞানী হ’য়োনা l হৃদয়ের জ্ঞানী আর স্নেহী হও এবং লিকেজ চেক করো l বুঝেছ ?
১৮ জানুয়ারি আসছে, তাই না ! সেইজন্য আগে থেকেই বাবা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যাতে ১৮জানুয়ারির দিন সদা সমর্থ তথা শক্তিশালী দিবস উদযাপন করতে পারো l বুঝেছ ? শুধু জীবন কাহিনী শুনিয়ে উদযাপন ক’র না বরং তোমাদের জীবনও সমান বানাতে উদযাপন করো l আচ্ছা !
সদা ব্যক্তি আর বৈভবের বশ্যতা থেকে স্বতন্ত্র, বাবার স্নেহে সমাহিত হয়ে, সদা যথার্থ জ্ঞান আর হৃদয়ের স্নেহ – উভয়তঃ কম্বাইন্ড স্থিতির অনুভব করে, সদা যোগী হয়ে সাধনার স্থিতিতে স্বাচ্ছন্দের উপকরণ ব্যবহার করে, সদা স্নেহী এবং হৃদয়ে সমাহিত হওয়া সেই বাচ্চাদের দিলারাম বাবার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
পাটিদের সাথে বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ- নিজেদের তোমরা ডবল হিরো মনে করো ? তোমাদের জীবন হিরেতুল্য হয়ে গেছে l সুতরাং তোমরা হীরাসম হয়ে গেছ আর সৃষ্টি ড্রামাতে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তোমরা হিরোর ভূমিকা (পার্ট) পালন করো l তাহলে তোমরা ডবল হিরোই তো হয়ে গেলে, তাই না ! সীমিত পরিসরের যে কোনো ড্রামাতে যে অ্যাক্টর হিরোর পার্ট প্লে করে তারই গায়ন হয়, কিন্তু ডবল হিরো কেউ হয় না l আর সেক্ষেত্রে তোমরা ডবল হিরো l বাবার সঙ্গে পার্ট প্লে করা – এটা কতো বড় ভাগ্য ! তাহলে তোমরা সদা এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যকে স্মৃতিতে রেখে এগিয়ে চলেছ, তাই না ! নিশ্চল হয়ে তো থাকো না, তাই না ? যে ক্লান্ত হয় না সে থেমেও থাকে না, সমানে এগিয়ে চলে l তাহলে তোমরা কী নিশ্চল নাকি পরিশ্রান্ত ? তোমরা যখন একা হয়ে যাও, তোমরা ক্লান্ত হয়ে যাও l বোর হয়ে যাও, তাইতো ক্লান্ত হও l কিন্তু যেখানে সাথ আছে সেখানে সদাই উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে l যখন কোনো তীর্থযাত্রায় যাও তখন তোমরা কী করো ? দল তথা সংগঠন তৈরি করো, তাই না ? কেন বানাও ? সংগঠনের সাথে, সাথে থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনায় তোমরা সামনে এগিয়ে যেতে থাকো l সুতরাং আধ্যাত্মিক যাত্রায় তোমরা সদা অগ্রচালিত হতে থাকো, কারণ বাবার সাথ, ব্রাহ্মণ পরিবারের সাথ কতো মহান সঙ্গ ! যদি কোনও ভালো সাথী থাকে, তাহলে তোমরা কখনো বোর হও না, ক্লান্ত হও না l অতএব, যারা সদা অগ্রচালিত তারা সবসময়ই প্রফুল্ল, সদা খুশিতে নাচতে থাকে l তাহলে সদাই বৃদ্ধি হচ্ছে, তাই না ! বৃদ্ধি হতেই হবে, কেননা যেখানে যে কোণেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বাচ্চারা আছে, সেখানের সেই আত্মাদের অবশ্যই কাছে আসতে হবে, সেইজন্য সেবাতে বৃদ্ধি হতেই থাকে l যতই চাও শান্ত হয়ে বসে যাবে, বসতে পারবে না l সেবা বসতে দেবে না, তোমাদের অগ্রচালিত করবে, কারণ যে আত্মারা বাবার ছিল, তাদের আবারও বাবার হতেই হবে l আচ্ছা !
“মুখ্য ভ্রাতাদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ-” পান্ডবরা ভাবে শক্তিরা ভালো চান্স পায়, দাদী হওয়া ভালো l যতই হোক, পাণ্ডবের যদি প্ল্যানিং বুদ্ধি না থাকত তাহলে শক্তিরা কী করতো ! অন্তিম জন্মেও পাণ্ডব হওয়া কম ভাগ্য নয় l কারণ পাণ্ডবদের বিশেষত্ব তো তারা সদা ব্রহ্মাবাবার সাথেই আছে l সুতরাং পাণ্ডব কম নয় l পাণ্ডব ব্যতীত শক্তি নেই, শক্তি ব্যতীত পাণ্ডব নেই l চতুর্ভুজের দুই ভুজ তারা আর অন্য দুই ভুজ এরা l সেইজন্য পাণ্ডবদের বিশেষত্ব তাদের নিজস্ব l নিমিত্ত সেবা এঁদের (দাদীদের) প্রাপ্ত হয়েছে, সেই কারণে তাঁরা এটা করে l যাই হোক, সদা পাণ্ডবদের জন্য শক্তিদের আর শক্তিদের জন্য পাণ্ডবদের স্নেহ থাকে, রিগার্ড থাকে আর সদা থাকবে l শক্তিরা পাণ্ডবদের সামনে রাখে – এতেই সফলতা আর তোমরা পাণ্ডবরা শক্তিদের সামনে রাখ – তাতেই সফলতা l উভয়েরই ‘প্রথমে তুমি’র পাঠ পাকা l ‘প্রথমে তুমি’, ‘প্রথমে তুমি’ বলতে বলতে নিজেই ‘প্রথমে তুমি’ হয়ে যাবে l বাবা যখন মাঝখানে আছেন তো দ্বন্দ্বই নেই l পাণ্ডবরা বুদ্ধির বরদান ভালোই প্রাপ্ত করেছ l যে কার্যের নিমিত্ত হয়েছ সেই কার্য অনুসারেই তোমরা সেই বিশেষত্ব লাভ করেছ আর প্রত্যেকের বিশেষত্ব প্রত্যেকের হিসেবে ভালো l সেই কারণে তোমরা নিমিত্ত আত্মা l আচ্ছা !
বরদানঃ-
নিজের সঙ্কল্প, বৃত্তি আর স্মৃতি চেক করো – এইরকম নয় যে কিছু ভুল হয়ে গেল, অনুশোচনা করলে, ক্ষমা চেয়ে নিলে আর নিষ্কৃতি পেয়ে গেলে ! যে যতই ক্ষমা প্রার্থণা যাচনা করুক, কিন্তু যে পাপ বা ব্যর্থ কর্ম হয়েছে তার চিহ্ন মুছে ফেলা যায় না l রেজিস্টার পরিষ্কার স্বচ্ছ হয় না l শুধু রীতি-নীতিই আপন ক’র না, বরং এই স্মৃতি যেন থাকে যে “আমি সম্পূর্ণ পবিত্র ব্রাহ্মণ” – অপবিত্রতা, সঙ্কল্প বৃত্তি অথবা স্মৃতিকেও টাচ্ করতে পারে না, এর জন্য প্রতি কদমে সাবধান থাকো l
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!