21 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
20 May 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - সর্বদা স্মরণে রাখো যে - অনেক সময় চলে গেছে, এখন আর অল্প সময় অবশিষ্ট আছে, এখন তো ঘরে যেতে হবে, এই নোংরা ছিঃ ছিঃ শরীর আর দুনিয়াকে ভুলে যেতে হবে”
প্রশ্নঃ --
কি এমন নেশা নিরন্তর থাকলে স্থিতি খুব সুন্দর হবে?
উত্তরঃ -:-
নিরন্তর এই নেশা যেন থাকে যে “মিরুয়া মৎ মলুকা শিকার”। আমরা মলুক অর্থাৎ ফরিস্তা হয়ে আমার প্রিয়তমের সাথে ঘরে ফিরে যাব, বাকি সবকিছুই বিনাশ হয়ে যাবে। এখন আমরা এই পুরানো শরীরকে ছেড়ে নতুন নেব। এই জ্ঞান সারাদিন বুদ্ধিতে যেন আসতে থাকে, তাহলে অসীম খুশি থাকবে। স্থিতি ফার্স্ট ক্লাস হয়ে যাবে।
গান:-
কে এসেছে আজ..
ওম্ শান্তি । এ’কথা কে বলছে? বাচ্চারা। অতীন্দ্রিয় সুখময় জীবনে এসে বলছে – অসীম জগতের বাবা এসে গেছেন। কিসের জন্য? এই পতিত দুনিয়াকে পরিবর্তন করে পবিত্র দুনিয়া তৈরি করার জন্য, পবিত্র দুনিয়া কত বড় হবে। পতিত দুনিয়া কত বৃদ্ধি হয়েছে, মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এ’ সব আসা চাই। এখানে কত কোটি কোটি মানুষ আছে। একে পতিত ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া বলা হয়। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এটা স্মরণে আনতে হবে যে – আমাদের নতুন দুনিয়া কত ছোটো হবে। আমরা কিভাবে রাজ্য করব। আমাদের ভারতের মতো আর কোনো দেশ হতে পারবে না। এটা কেউই বুঝতে পারেনা যে – ভারত স্বর্গ ছিল, তার মতো কোনও দেশ হতে পারবে না। তোমাদের এটা বোধগম্য হয়ে গেছে যে, এই ভারত তো এখন কোনো কাজেরই নেই। ভারত স্বর্গ ছিল, এখন নেই। এটা কারোরই স্মরণে আসে না, আমাদের ভারত সবথেকে উঁচু, সবথেকে প্রাচীন। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আসে, সেটাও আবার নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে। এত খুশি, এত সম্মান থাকে? অসীম জগতের বাবা এসে গেছেন। তিনি প্রতি কল্পেই আসেন। মায়া রাবণ যে আমাদের রাজ্য ভাগ্য ছিনিয়ে নিয়েছিল, বাবা এসে আমাদের আত্মাদেরকে পুনরায় নিজেদের রাজ্য-ভাগ্য ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এইরকম নয় যে, কোনো লড়াই-এর দ্বারা ছিনিয়ে নিয়েছিল। না, রাবণ রাজ্যে আমাদের মত ভ্রষ্টাচারী হয়ে যায়। শ্রেষ্ঠাচারী থেকে আমরা ভ্রষ্টাচারী হয়ে যাই। দুনিয়া দেখো কত বৃদ্ধি হয়ে গেছে, আমাদের ভারত দেশ কত ছোট ছিল। স্বর্গতে কত সুখী থাকবে। হিরে জহরতের মহল হবে। সেখানে রাবণ হবে না। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে খুশি হওয়া চাই, অতীন্দ্রিয় সুখে থাকা চাই। বাবা বলছেন – দেহী-অভিমানী ভব। দেহ-অভিমান ভাঙ্গার জন্য বাবা বলেছিলেন যে, ১০৮ টা তালি দেওয়া কাপড় পরিধান করো। যদিও ধনী ব্যক্তিদের সাথে, জহুরীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, সেই নেশা ভাঙবে কীভাবে। দেহী-অভিমানী হতে হবে। আমি হলাম আত্মা, এটা তো হল পুরানো শরীর। একে ছেড়ে নতুন ফার্স্ট ক্লাস শরীর নিতে হবে। সাপ তো একটা খোলস ছেড়ে দ্বিতীয়টা নিয়ে নেয়। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান আছে, এই পুরানো খোলস ছেড়ে আমরা আরেকটা নতুন নেব, পুনরায় অন্য শরীর প্রাপ্ত হবে। এই সমস্ত জ্ঞান বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আসা চাই। এটা তো হল ছিঃ ছিঃ নোংরা দুনিয়া। একে দেখেও বুদ্ধির দ্বারা ভুলতে হবে। আমরা এখন যাত্রা করছি, আমাদের বুদ্ধির যোগ ঘরের প্রতি যাচ্ছে। অভ্যাস তো করতে হবে তাই না। এই শরীরও পুরানো হয়ে গেছে, দুনিয়াও পুরানো হয়ে গেছে। সাক্ষাৎকার করে নিয়েছ, এখন এই দেহ এবং দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করে ঘরে যেতে হবে। অন্তরে খুশি হয়, এখন আমরা পুনরায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বুদ্ধির যোগ সেখানে লাগাতে হবে। এক পরস্পরকে এটাই শোনাতে হবে যে – “মন্মনা ভব” । এটা অনেক শক্তিশালী মন্ত্র। গীতা যদিও অনেকে পড়ে কিন্তু অর্থ কেউই বুঝতে পারে না। যেরকম অন্যান্য শাস্ত্র পড়ে, এইরকম পড়ে নেয়। এটা কারোর বুদ্ধিতে আসে না। আমরা ভবিষ্যতের জন্য রাজযোগ শিখছি। অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে, এখন অল্প সময় অবশিষ্ট আছে। এইরকমভাবে নিজেকে আনন্দে আর খুশিতে রাখতে হবে। এই সবকিছুই তো বিনাশ হয়ে যাবে। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ (★মিরুয়া মৎ মলুকা শিকার) । আমরা মলুক হয়ে নিজের প্রেমিকের সাথে ঘরে ফিরে যাব। আত্মাদের বাবা বসে এই শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি সাধারণ হয়েও উচ্চ থেকেও উচ্চতর। বাবা এসেছেন অসীম জগতের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করতে। তিনি প্রতি কল্পেই আসেন। এটা তো হল ছিঃ-ছিঃ নোংরা দুনিয়া। এইধরনের কথা বলতে হবে। একেই বলা যায় বিচার সাগর মন্থন। এই শাস্ত্র ইত্যাদি তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে পড়ে এসেছে, আমরা ভারতবাসীরা যত পরিমানে জপ্-তপ্ ইত্যাদি করেছি ততটা অন্য কেউই করেনি। যারা প্রথমদিকে এসেছে তারাই ভক্তি করেছে, আর তারা এই জ্ঞান-যোগেও তীব্রগতিতে যাবে কেননা তাদেরকে পুনরায় প্রথম নম্বরে আসতে হবে। দেখছো, কেউ-কেউ তো খুব ভালো পুরুষার্থ করছে।
বাচ্চারা, তোমরা যারা এই আধ্যাত্মিক সেবায় তৎপর আছো, তাদের জন্য তো খুব ভালো। সত্যিকারের ভাট্টিতে বসে আছো। সেই সম্বন্ধ অটুট হয়ে আছে আর যারা গৃহস্থ ব্যবহারে থাকে, এই জ্ঞান শুনতে এবং শোনাতে থাকে, তারা পুরানোদের থেকেও অতি তীব্র বেগে যায়। দেখা যায় যে নতুন যারা আসছে তারা দ্রুত উন্নতি করে এগিয়ে যায়। তোমরা লিস্ট বের করো তো বুঝতে পারবে। প্রথম দিকে তোমাদের মালা তৈরি হয়েছিল পুনরায় দেখা গেল যে কত ভালো ভালো বাচ্চা ৩-৪ নম্বরের বাচ্চারা ছেড়ে চলে গেল। একদম গিয়ে প্রজা হবে। এখন তোমাদের এই হল ছাত্র জীবন। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও সাথে সাথে এই কোর্স করো। অনেক বাচ্চারাই ডবল কোর্স করে, তাদের লিফ্ট প্রাপ্ত হয়। তোমাদের কোর্স হল গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এই পড়াশোনা করা। এক্ষেত্রেও কন্যাদের খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। কন্যাদের কারণেই কানাই বা গোপাল নাম গাওয়া হয়ে থাকে। আছে তো গোপ-ও কেননা প্রবৃত্তি মার্গে আছে তাই না। তোমরা সত্য যুগ দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণও প্রবৃত্তি মার্গে রাজ্য করেছিলেন। এই জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আসা চাই যে আমরা কি হতে চলেছি! দেবতারা কত ফার্স্ট ক্লাস হয়! তাঁদের কাছে গিয়ে মহিমা গান করে – আপনি সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পন্ন….আর আমরা হলাম পাপী, কপট। আমাদের নির্গুণ আত্মাতে কোনো গুণ নেই। এখন এক্ষেত্রে ভগবানেরও দয়া আসেনা বা কৃপা করেন না। বাস্তবে দয়া বা কৃপা নিজের উপর নিজেকেই করতে হয়। তোমরাই দেবতা ছিলে, এখন কি হয়ে গেছ, নিজেকে দেখো, পুনরায় পুরুষার্থ করে দেবতা হও। শ্যাম থেকে সুন্দর হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। ইনি তো ভক্তি মার্গে বলতেন যে – মরে যাচ্ছিলাম, অমুকের কৃপায় বেঁচে গেছি, তাঁর আশীর্বাদের কারণে। মহাত্মা ইত্যাদিদের হাতজোড় করে বলে – আপনাদের আশীর্বাদ চাই। এখানে তো হলো পড়াশোনা। কৃপা ইত্যাদির কোনও কথাই নেই। মন্মনা ভব-র অর্থ আছে, তাইনা। মন্ত্র তো অনেক দিয়েছেন। অনেক প্রকারের হঠযোগ শেখায়। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা শিক্ষা হয়। হঠযোগের স্যাম্পেল দেখতে হলে তো জয়পুরের মিউজিয়ামে গিয়ে দেখো। এখানে তো কতই না আরামে বসে আছো। বুদ্ধিতে আছে আমাদেরকে পুনরায় বাবা রাজ্য প্রদান করছেন। সেখানেই অদ্বৈত দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল আর অন্য কোন ধর্ম ছিল না। দুই হাত দিয়েই তালি বাজে। এক ধর্ম থাকলে তো মারামারি হবে না। এখন হলো কলিযুগ। কলিযুগ সম্পন্ন হলে ভক্তিও সম্পূর্ণ হবে। এখন তো মানুষের বৃদ্ধি কতই না হয়ে গেছে। ভারতের ধরিত্রী বৃদ্ধি হয় না। ধরিত্রী সেটাই থাকে। শুধু মানুষের সংখ্যা কম বেশি হয়। সেখানে মানুষ খুব কম হবে, দুনিয়া তো এটাই থাকবে। দুনিয়া কখনো ছোট হয়ে যাবে না। তাই বাচ্চারা তোমাদেরকে খুবই খুশিতে থাকতে হবে। আমরা যোগ বলের দ্বারা নিজের রাজ্য স্থাপন করছি, বাবার শ্রীমৎ অনুসারে। বাবা বলছেন – মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভষ্ম হয়ে যাবে। আত্মাতেই খাত পড়ে আছে তাই না। শুধু বলে যে – সতো রজঃ তমো… এটা দেখায় না যে আত্মাতেই খাদ পড়ে। প্রথমে গোল্ডেন এজড্ ছিল, পিওর সোনা ছিল তারপর রূপা হয়ে যায়, তাকে সিলভার এজড্ বলা যায়, চন্দ্র বংশী। ইংরেজি অক্ষর কত সুন্দর। গোল্ডেন, সিলভার, কপার তারপর আয়রন। বাবা বোঝাচ্ছেন যে – আত্মাতেই খাত পড়ে আছে, সেটা বেরোবে কিভাবে। সতো থেকে তমো হয়েছে পুনরায় তমো থেকে সতো কিভাবে হবে। তারা মনে করে যে গঙ্গা স্নান করলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়। গঙ্গাস্নানাদি তো প্রতিদিনই করতে থাকে। কেউ কেউ তো দৃঢ়তার সাথে এই নিয়ম পালন করে। অনেকে ক্যানেলে গিয়েও স্নান করে থাকে। তোমাদেরকে বাবা বলছেন – এই নিয়ম রাখো, বাবাকে স্মরণ করার। স্মরণের স্নান বা যাত্রা করো। জ্ঞান স্নানও করাতে থাকো, যোগের যাত্রাও শেখাতে থাকো। বাবা জ্ঞান প্রদান করেন। এতে যোগেরও জ্ঞান, সৃষ্টিচক্রেরও জ্ঞান আছে। বাকি শাস্ত্রের জ্ঞান তো অনেকেই দিয়ে থাকে কিন্তু যোগ সম্বন্ধে কিছুই জানে না। হঠযোগ বুঝে নিয়েছে। যোগ আশ্রম তো অনেক আছে। মন্মনা ভব-র মন্ত্র দিয়ে দেয় কিন্তু এক বাবা ছাড়া কোনও মানুষের কাছেই এই জ্ঞান নেই। এখন ৮৪ জন্মের চক্র সম্পন্ন হয়েছে। পুনরায় নতুন দুনিয়া হবে। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, ঝাড়ের বৃদ্ধি কিভাবে হয়। এই রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে, সবাই একসাথে থোড়াই যাবে। ব্রাহ্মণদের ঝাড় অনেক বড় হবে। তারপর অল্প অল্প করে যাবে। প্রজা হতে থাকবে। অল্প একটুও যদি এই জ্ঞান শুনে থাকে তাহলে প্রজাতে এসে যাবে। সেন্টারও অনেক বৃদ্ধি হবে। প্রদর্শনীও অনেক হবে, যেখানে-সেখানে হতে থাকবে। যেরকম মন্দির তৈরী করার সময় সবাই বের হয়, সেই রকম তোমাদের প্রদর্শনীও গ্রামে গ্রামে হবে। ঘরে ঘরে প্রদর্শনী রাখতে হবে। বৃদ্ধি হতে থাকবে। এই জন্য বিশেষ করে এই চিত্রগুলি ছাপাতে হবে। সকলের কাছে বাবার পরিচয় পৌঁছাতে হবে। বাচ্চারা তোমাদেরকে অনেক বড় সেবা করতে হবে। এখন এই প্রজেক্টর প্রদর্শনীর ফ্যাশন বেরিয়েছে, তাই গ্রামে গ্রামে গিয়ে দেখাতে হবে। তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে। শিব জয়ন্তীও গাওয়া হয়ে থাকে কিন্তু তিনি কীভাবে আসেন এটা কারো জানা নেই। শিব পুরাণ ইত্যাদিতে এই সমস্ত কথা নেই। এইসব কথা তোমরাই শুনছো। শোনার সময় ভালো লাগে তারপর ভুলে যাও। ভালভাবে পয়েন্টস ধারণ হলে তবেই সার্ভিস ভালো রীতি করতে পারবে। কিন্তু সমস্ত পয়েন্ট কারোর ধারণ হয়না। ভাষণ করতে আসবে তারপর মনে পড়বে – যদি এই পয়েন্টও বোঝানো যেত তাহলে ভালো হতো, যার দেহ অভিমান থাকবে না সে-ই শীঘ্র বোঝাতে পারবে। ভাষণ করে পুনরায় বিচার করবে – আমি সব পয়েন্ট ঠিক বুঝিয়েছি? হয়ত এই পয়েন্ট ভুলে গিয়েছিলাম, পয়েন্টস কারো সাথে যাবে না। এসব এখনকার জন্য। তারপর তো এই সব বিনাশ হয়ে যাবে। এই চোখের দ্বারা যা কিছু এখন দেখছো পুনরায় সত্য যুগে এসব থাকবে না। তোমাদের এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়, এখন তোমরা ত্রিনেত্রি হচ্ছ। বাবা এসে তোমাদেরকে জ্ঞান প্রদান করছেন, যেটা আত্মা ধারণ করছে। আত্মাদের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে এই জ্ঞান কারোর মধ্যে নেই যে – আমি হলাম আত্মা। এই শরীরের দ্বারা এই কাজ করছি। বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। এটা বুদ্ধিতে রাখতে হবে – এতেই পরিশ্রম আছে। বাচ্চাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে আর খুশিতেও থাকতে হবে। ব্যস্, এখন আমাদের রাজ্য অতি নিকটাসন্ন। তোমরা জানো যে আমাদের রাজ্যে কি কি থাকবে। বাচ্চারা তোমাদেরকে তো অত্যন্ত খুশিতে থাকতে হবে কারণ আমরা এই পড়াশোনার দ্বারা রাজ্য প্রাপ্ত করছি। যারা পড়াশোনা করে তাদের লক্ষ্য স্মরণে থাকে। আমরা পড়াশোনা করছি ভবিষ্যতের জন্য। ভালোভাবে পড়লে তো রাজগদিতে বসবে। তারা তো সম্মানীয় হয়ে যায়। এখন লিস্ট বের করলে, মালা বানানো হলে তো সবাই বলবে যে অমুক বাচ্চীকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দাও, রিফ্রেশ করার জন্য। যারা ভাষণ করতে পারে তাদেরকেই আহ্বান করে, তাই তাঁদের সম্মানও রাখতে হবে। আমাকে এঁনার মতো হুশিয়ার হতে হবে। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করার জন্য দেহের অভিমানকে ত্যাগ করার পুরুষার্থ করতে হবে। এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে, এইজন্য বুদ্ধির যোগ ঘরের সাথে যুক্ত করতে হবে।
২ ) গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পড়াশোনাও পড়তে হবে, ডবল কোর্সও করতে হবে। জ্ঞানের স্নান আর স্মরণের যাত্রা করতেও হবে এবং অন্যদেরকেও করাতে হবে।
বরদানঃ-
যেরকম কোনও বস্ত্র ধারণ করা বা না করা নিজের হাতেই থাকে, এই রকম অনুভব – এই শরীররূপী বস্ত্রেও থাকবে। যেরকম বস্ত্র ধারণ করে কার্য করা হয় আর কার্য সম্পন্ন হতেই বস্ত্র থেকে পৃথক হয়ে যায়। যখন শরীর আর আত্মার পৃথকত্ব চলতে-ফিরতে অনুভব হবে – তখন বলা যাবে নিরন্তর সহজযোগী। এইরকম পৃথক থাকা বাচ্চাদের দ্বারা অনেক আত্মাদেরকে ফরিস্তারূপ আর ভবিষ্যতের রাজপদের সাক্ষাৎকার হবে। অন্তিম সময়ে এই সেবার দ্বারাই প্রভাব বের হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!