20 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 19, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — এই পুরানো দুনিয়া বা দেহধারীদের সাথে তোমাদের মনকে কখনও জুড়ো না, যদি এই বিষয়ে তোমাদের হৃদয় জুড়ে থাকে তবে ভাগ্য হারা হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের এই নাটকের কোন্ গুপ্ত রহস্য শুনিয়েছেন ?

উত্তরঃ -:-

বাচ্চারা ‐ এখন এই নাটক শেষ হতে চলেছে, সেইজন্য সমস্ত আত্মাদের এখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। সব ধর্মের আত্মারা এখন উপস্থিত থাকবে কেননা সবার পিতা এখানে উপস্থিত হয়েছেন । বাবাকে অভিবাদন করতে আসতেই হবে। সব ধর্মের আত্মারা মন্মনাভব’র মন্ত্র নিয়ে যাবে। ওরা কোনও মধ্যাজীভবর মন্ত্র ধারণ করে চক্রবর্তী রাজা হবে না।

গান:-

অন্তর তাঁর আশ্রয় থেকে যেন ছিন্ন না হয় …..

ওম্ শান্তি । সমস্ত সেন্টারের বাচ্চারা এই গান শুনেছে। তোমরা আজ শুনছ আর অন্যান্য বাচ্চারা ২-৪ দিন পরে শুনবে। যদি পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীরের প্রতি মন জুড়ে থাকে তবে ভাগ্যহীন হয়ে পড়বে, কেননা এই শরীর পুরানো দুনিয়ারই। সুতরাং দেহ-অভিমানের জন্য যে ভাগ্য তৈরি হয়েছিল তা ছিন্ন হয়ে যাবে। যখন দুর্ভাগ্যজনক থেকে তোমরা ভাগ্যবান হতে চলেছ তখন যতটুকু সম্ভব শুধু বাবাকেই স্মরণ কর, যিনি তোমাদের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন। বাবাকে আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ কর। এই পুরানো দুনিয়ার সময় খুব অল্পই অবশিষ্ট রয়েছে। এখানেই তোমাদের পুরুষার্থ করে অবশ্যই সর্বগুণসম্পন্ন হয়ে উঠতে হবে। অনেকেই আছে যারা পবিত্র থাকে, কেউবা প্রতি মুহূর্তে নীচে নেমে যেতে থাকে। বাবা বলেন, তোমাদের বাবার সার্ভিসের সহযোগী হওয়া উচিত, অনেক বড় এই সার্ভিস, এতো বড় এই দুনিয়াকে পবিত্র করে তুলতে হবে। এমনটাও নয় যে সবাই বাবাকে সাহায্য করবে। যারা কল্প পূর্বে বাবার সহযোগী হয়েছিল, ব্রাহ্মণ কুলভূষন বি.কে তারাই সহযোগী হবে, বিচক্ষণ হবে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার নাম তো করা হয় । ব্রহ্মার বাচ্চাদের নিশ্চয়ই বি.কে বলবে। তারা নিশ্চয়ই অতীতে বিদ্যমান ছিল। মানুষ আদিদেব ,আদি দেবীকেও স্মরণ করে, অতীতে যা কিছু হয়ে চলে গেছে তার উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে। মানুষ জানে, সত্যযুগ ছিল যা হয়ে চলে গেছে, সেখানে আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, যা এখন আর নেই। দেবী-দেবতারা যারা পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গে রাজত্ব করত , তারা এখন ৮৪ জন্মের অন্তিমে। এখন না তারা পবিত্র আছে না আছে তাদের রাজত্ব, পতিত হয়ে গেছে, তারপর বাবা এসেছেন, তাদের পবিত্র করে তুলতে। বাবা বলেন — পতিতদের দিকে বুদ্ধিযোগ লাগিও না, এক বাবাকেই স্মরণ কর।

তোমরা জানো, আমরা বাবার শ্রীমতে চলে বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। কিভাবে উত্তরাধিকার পাওয়া যায় সেই যুক্তিও বলে দেন। মানুষ তো অনেক রকম যুক্তি রচনা করে থাকে। কারো কাছে বিজ্ঞানের অহঙ্কার আছে আবার কারো কাছে ওষুধের অহঙ্কার (ডাক্তারীতে) আছে। লিখে দেয় হার্ট কাজ না করলে প্লাস্টিকের হার্ট প্রতিস্থাপন করার কথা। আসল হার্টকে বের করে কৃত্রিম হার্ট দিয়ে কাজ চালায়।এমনই দক্ষতা । এটা হলো সাময়িকভাবে সুখ। আগামীকাল যদি সে মারা যায় তবে শরীর তো শেষ হয়ে যাবে, প্রাপ্তি তো কিছুই হবেনা। যা কিছু পেয়েছিল তা অস্থায়ী সময়ের জন্য। ওরা বিজ্ঞানের দ্বারা অনেক বিস্ময়কর জিনিস প্রকাশ করে তবে সেটাও অল্প সময়ের জন্য। এখানে বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। পবিত্র আত্মা ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে এখন পতিত হয়ে গেছে। ঐ পতিত আত্মাদের পুনরায় পবিত্র করে তোলা এক বাবা ছাড়া আর কেউ করতে পারে না। একজনেরই মহিমা করা হয়। সবার পতিত-পাবন, সবার সদ্গতি দাতা, সবার প্রতি দয়ার দৃষ্টি প্রদানকারী, লিডার এক বাবাই। মানুষ নিজেকে সর্বদয় লিডার বলে থাকে। সর্ব মানে এর মধ্যে সবাই অন্তর্ভুক্ত। সবার প্রতি দয়া প্রদানকারী এক বাবাকেই বলা হয়। একমাত্র পিতা যিনি পরম করুণাময়, পরম আনন্দময়। মানুষ সবাইকে কীভাবে দয়া করবে ? নিজের প্রতি-ই করতে পারে না সুতরাং সবার প্রতি কীভাবে করবে ! দয়া করলেও অল্প সময়ের জন্য করে এবং নিজেদের কত বড়-বড় নামকরণ করে থাকে।

বাবা বলেন, কত সহজ যুক্তিতে তোমাদের বলে দিই, এভার হেল্দী (সদা স্বাস্থ্যকর),এভার ওয়েল্দী (সদা বিত্তশালী) হওয়ার । যুক্তি সম্পূর্ণ সহজ, শুধু আমাকে স্মরণ কর, কেননা তোমরা আমাকে ভুলে গেছ। সত্যযুগে তো তোমরা সুখে থাক সেইজন্য আমাকে স্মরণ কর না। ৮৪ জন্মের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী তোমাদের শুনিয়েছি , যে তোমরা এইভাবে রাজত্ব করতে, সবসময় সুখী ছিলে তারপর একটু-একটু করে নিচে নামতে নামতে তমোপ্রধান, দুঃখী পতিত হয়ে গেছ। এখন বাবা পুনরায় তোমাদের কল্প পূর্বের মতো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করছেন, যারা কল্পে-কল্পে এসে উত্তরাধিকার গ্রহণ করে, শ্রীমতে চলে। শ্রীমত-ই হলো বাপদাদার মত, তাঁদের ছাড়া শ্রীমত কোথা থেকে পাবে । বাবা বলেন তোমরা ভেবে দেখো, এই দক্ষতা আর কারো আছে ? নেই । কাউকে বিশ্বের মালিক করে তোলার যুক্তি বাবাই বলে দেন। তিনি বলেন এ ছাড়া আর কোনো পদ্ধতি নেই। পতিত-পাবন বাবাই নলেজ দিয়ে থাকেন উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য। এমন নয় যে শুধু সৃষ্টি চক্র সম্পর্কে জানলেই তোমরা পবিত্র হতে পারবে। বাবা বলেন ‐- আমাকে স্মরণ কর। এই যোগ অগ্নি দ্বারাই তোমাদের পাপের ঘড়া যা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, তা শেষ হয়ে যাবে।

বাবা বলেন — তোমরাই ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে এখন পতিত হয়ে গেছ। আজকাল তো নিজেকেই শিবোহম (আমিই শিব) ততত্বম বলে থাকে নয়তো বলে তুমি পরমাত্মার রূপ, যে আত্মা সেই পরমাত্মা। এখন বাবা এসেছেন, তোমরা জানো শিববাবার স্মৃতি অন্যদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। সবারই সদ্গতি দাতা এক পরমপিতা পরমাত্মা। শিবের জন্য আলাদা মন্দির নির্মাণ করে থাকে, শঙ্করের রূপ আলাদা। প্রদর্শনীতেও দেখানো উচিত, শিব নিরাকার, শঙ্কর সাকার। কৃষ্ণও সাকারে আছে ,তার সাথে রাধাকে দেখানো যুক্তিযুক্ত। সুতরাং এর থেকেই প্রমাণ হয় এরাই লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। কৃষ্ণ দ্বাপরে গীতা শোনাতে আসেই না। কৃষ্ণ কলিযুগের অন্তিমে পতিত হয়ে পড়ে। পবিত্র থাকে সত্যযুগে। সেইজন্য অবশ্যই তাকে সঙ্গমে আসতে হবে (পবিত্র হওয়ার জন্য)। এ’সব বিষয় বাবাই জানেন, তিনি হলেন ত্রিকালদর্শী। কৃষ্ণকে ত্রিকালদর্শী বলা হয়না। কৃষ্ণ তো তিন কালের জ্ঞান শোনাতে পারেনা। তার মধ্যে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান-ই নেই। তারা বলে থাকে-ছোট বাচ্চা, দৈবী প্রিন্স-প্রিন্সেস কলেজে বিদ্যা অর্জন করতে যায়। প্রথমে সেখানেও প্রিন্স -প্রিন্সেসদের কলেজ ছিল, এখন সব একাকার হয়ে গেছে। কৃষ্ণ প্রিন্স ছিল নিশ্চয়ই তার সাথে আরও অনেক প্রিন্স-প্রিন্সেস হবে যারা একত্রে পড়াশোনা করে। ওটা হলো নির্বিকারী দুনিয়া। এক শিববাবাই হলেন সবার সদ্গতি দাতা। মানুষ সবার সদ্গতি দাতা হতেই পারে না। বাবা এসেই সবাইকে মুক্তি-জীবনমুক্তি দিয়ে থাকেন। এটাও বোঝানো হয়েছে — দেবতাদের রাজ্যে আর কোনো ধর্ম ছিল না। ওরা তো অর্ধকল্প পরে এসেছে। সুতরাং সত্যযুগে কীভাবে থাকবে, ওরা হলো নিবৃত্তি মার্গের হঠযোগী। ওরা রাজযোগ বোঝেনা। এই রাজযোগ হলো প্রবৃত্তি মার্গের জন্য। ভারত পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গে ছিল, এখন কলিযুগে পতিত প্রবৃত্তি মার্গের হয়ে গেছে।

ভগবানুবাচ ‐- মামেকম্ স্মরণ করো, যদি পুরানো দুনিয়া অথবা দেহের সম্বন্ধে মন জুড়ে থাকে তবে ভাগ্যহীন হয়ে পড়বে। অনেকেরই ভাগ্য ছেদ হয়ে যায়। কোনো অকর্তব্য করলে শেষে গিয়ে সব সামনে আসবে, সাক্ষাত্কার হবে। কোনো-কোনো বাচ্চা গোপন করে থাকে, এই জন্মে করা পাপ কর্ম বাবাকে শোনালে শাস্তি অর্ধেক হয়ে যাবে, কিন্তু লজ্জার কারণে শোনায় না। নোংরা কাজ তো অনেক করে থাকে। বুদ্ধিতে তো স্মরণ থাকে তাইনা। বাবাকে বললে মুক্ত হয়ে যাবে। বাবা হলেন অবিনাশী সার্জন। লজ্জার কারণে রোগের কথা সার্জেনকে না বললে কিভাবে মুক্ত হবে। যে কোনো বিকর্মের কথা বাবাকে বললে অর্ধেক মাফ হয়ে যাবে। না বললে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আরও ফেঁসে যাবে। তারপর সৌভাগ্য শেষ হয়ে দুর্ভাগ্য নেমে আসবে। বাবা বলেন — দেহের সাথেও সম্বন্ধ রেখো না, সবসময় মামেকম্ স্মরণ করলে বিকর্ম হবে না। বাবা ধর্মরাজ । ওঁনার কাছে বিকর্মের কথা গোপন করলে তোমাদের মতো সাজা আর কেউ পাবেনা। সময় যত নিকটে আসবে সবার সাক্ষাত্কার হতে থাকবে। এখন সবারই বিনাশের সময়, সবাই পতিত। পাপের দন্ড অবশ্যই পেতে হবে। যেমন এক সেকেন্ডে জীবন মুক্তি পাওয়া যায় তেমনি এক সেকেন্ডে শাস্তির এমনই অনুভব হবে যেন দীর্ঘ সময় ধরে সাজা ভোগ করে আসছ। খুব সূক্ষ্ম বিষয়। প্রত্যেকের বিনাশের সময়। সাজা অবশ্যই পেতে হবে। তারপর সব আত্মারা পবিত্র হয়ে ফিরে যাবে। বাবা এসেই পতিত আত্মাদের পবিত্র করে তোলেন। বাবা ছাড়া আর কারো শক্তি নেই। এতো জন্ম পাপ করতে-করতে এখন তোমাদের পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সবার উপরেই মায়ার গ্রহণ লেগেছে। সবচেয়ে বড় গ্রহণ তোমাদের উপর লেগেছে। তোমরা সর্বগুণসম্পন্ন ছিলে তারপর তোমাদের উপর গ্রহণ লেগেছে। জ্ঞানও বাচ্চারা তোমরাই পেয়েছ। বাবা বলেন তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে, তোমরাই ৮৪ জন্ম ভোগ করে এসেছ।

কত সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন তোমরাই প্রকৃতপক্ষে দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলে তারপর পতিত হওয়ার কারণে হিন্দু নামকরণ হয়েছে। হিন্দু ধর্ম তো কেউ স্থাপন করেইনি। মঠ, পন্থকে ডিনায়েস্টি বলা হয় না, ডিনায়েস্টি হয় রাজাদের । লক্ষ্মী-নারায়ণের প্রথম, সেকেন্ড, থার্ড ….এইভাবে রাজত্ব চলে। পবিত্র থেকে পতিতও হতে হবে। পতিত হওয়ার কারণে দেবী-দেবতা বলা যায় না। তোমরা জানো ‐- আমরাই পূজ্য আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম , এখন নিজ ধর্মের চিত্রকেই পূজা করি। ভুলে গেছি আমরাই পূজ্য দেবী-দেবতা ছিলাম, এখন পূজারি হয়ে গেছি। এখন তোমরা বুঝেছ — বাবা আমাদের উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন তারপর পতিত হয়ে গেছি এবং নিজের চিত্রকেই বসে পূজা করেছি। নিজেই পূজ্য নিজেই পূজারি। ভারত ছাড়া আর কারো সম্পর্কে একথা বলা হয় না। বাবা ভারতে এসেই জ্ঞান প্রদান করে থাকেন, দেবতা করে তোলার জন্য। বাদবাকি সবাই হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফিরে যাবে। আত্মারা সবাই বাবাকে আহ্বান করে বলে ‐ ও গড ফাদার। এই সময় তোমাদের তিনজন পিতা এক-শিববাবা, দ্বিতীয়-লৌকিক পিতা,আর ইনি অলৌকিক পিতা প্রজাপিতা ব্রহ্মা। বাদবাকি সবার দুই পিতা লৌকিক আর পারলৌকিক । সত্যযুগে একজনই লৌকিক পিতা। পারলৌকিক পিতাকে জানেই না। ওখানে তো শুধুই সুখ তবে আর কেন পারলৌকিক পিতাকে স্মরণ করবে । দুঃখে সবাই স্মরণ করে। এখানে তোমাদের তিনজন পিতা এটা বোঝার বিষয়। সত্যযুগে আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকে তারপর ধীরে ধীরে দেহ অভিমানে আসতে থাকে। এখানে তোমরা আত্ম-অভিমানীর সাথে পরমাত্মা অভিমানীও । শুদ্ধ অভিমান এই যে আমরা সবাই বাবার সন্তান, তাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। তিনি পিতা, শিক্ষক এবং সদ্গুরু। ওঁনার মহিমা বোঝাতে হবে। তিনিই এসে সব বাচ্চাদের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। সত্যযুগে তোমাদের উত্তরাধিকার ছিল তারপর ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে সব হারিয়েছ। বাবাকে বলা হয় পতিত-পাবন, সবার সদ্গতি দাতা। এই দুনিয়া পতিতদের কেউ সদ্গতি কিভাবে দিতে পারে ! কেউ যদি অনেক শাস্ত্র পড়ে থাকে তবে তার অন্ত মতি সো গতি প্রাপ্ত হয়, তারপর পুনর্জন্ম হলে ছোটবেলাতেই সহজে কণ্ঠস্থ হয়ে যায়। বাবা তোমাদের কত মিষ্টি-মিষ্টি কথা শোনান। বাচ্চারা তোমরা তমোপ্রধান হয়ে গেছ। এখন বাবাকে স্মরণ করলে আত্মায় জমে থাকা খাদ বেরিয়ে যাবে। নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে, সবাইকে উপস্থিত হতে হবে। ক্রিশ্চান ইত্যাদি সব আত্মারা উপস্থিত,তারাও বাবার সামনে অভিবাদন জানাতে আসবে, চক্রবর্তী তো হবে না। শুধু বাবাকে স্মরণ করবে, মন্মনাভব’র মন্ত্র নিয়ে যাবে। তোমাদের জন্য মন্মনাভব আর মধ্যাজীভবর ডবল মন্ত্র। বাবা কত সুন্দর যুক্তি বলে দেন । আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই পুরানো দুনিয়ায় থেকে পুরুষার্থ করে সর্বগুণসম্পন্ন অবশ্যই হতে হবে। এই পুরানো শরীর বা পুরানো দুনিয়ার প্রতি মন যেন না জোড়ে। ভাগ্যবান হতে হবে।

২ ) আত্ম-অভিমানী এবং পরমাত্ম-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। অবিনাশী সার্জেনের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন সূর্যের সামনে দাঁড়ালে সূর্যের কিরণ আসে, তেমনি যে বাচ্চারা সবসময় জ্ঞান সূর্য বাবার সামনে থাকে তারা জ্ঞান সূর্যের সর্বগুণের কিরণ নিজের মধ্যে অনুভব করে থাকে। তার মুখমণ্ডলে অন্তর্মুখতার ঝলক আর সঙ্গম যুগের বা ভবিষ্যতের সর্ব স্বমানের ঝলক দেখা যায়। এরজন্য সবসময় যেন স্মৃতিতে থাকে যে এটাই অন্তিম মুহূর্ত । যে কোন মুহূর্তে এই শরীরের বিনাশ হতে পারে। সেইজন্য সদা প্রীত বুদ্ধি হয়ে জ্ঞান সূর্যের সামনে থেকে অন্তর্মুখী বা স্বমানের অনুভবে থাকতে হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top