18 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 17, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - কালেরও কাল বাবা এসেছেন, তোমাদের কালের উপর বিজয় প্রাপ্ত করাতে, 'মন্মনাভব' মন্ত্রের দ্বারাই তোমরা কালকে জয় করতে পারবে"

প্রশ্নঃ --

আত্মাদের বাবা তোমাদের মতো আত্মারূপী যাত্রীদের কোন্ বিশেষ শিক্ষা দেন ?

 

উত্তরঃ -:-

হে আত্মা রূপী যাত্রীরা – তোমরা দেহ বোধ ত্যাগ করে আত্ম – অভিমানী হও । অর্ধেক কল্প ধরে রাবণ তোমাদের দেহ – অভিমানী বানিয়েছে, এখন তোমরা আত্ম – অভিমানী হও । এই আত্মিক জ্ঞান তোমাদের সুপ্রীম আত্মাই দেন, আর কেউই তা দিতে পারে না ।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায় —

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা তাদের বাবার মহিমা শুনেছে । এমন গায়নও হয় যে, উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবান । তিনি হলেন সব বাচ্চাদের বাবা । বাকি যারাই আছে, তারা নিজেদের মধ্যে সবাই ভাই – ভাই, আর সকলের বাবাও হলেন এক । তিনি হলেন শিব বাবা । বাবা বুঝিয়েছেন যে – হে বাচ্চারা, ভক্তিমার্গে তোমাদের দুইজন বাবা থাকেন – লৌকিক বাবা আর পারলৌকিক বাবা । রচয়িতার থেকে রচনা উত্তরাধিকার পায়, ও হলো জাগতিক উত্তরাধিকার, আর এ হলো অসীম জগতের উত্তরাধিকার । অসীম জগতের বাবা তো একজনই, যাঁর থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । তিনি হলেন নিরাকার, তাঁর নাম পরমপিতা পরমাত্মা শিব । এমন বলেও থাকে – শিব পরমাত্ময়ে নমঃ, তিনি হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু । তোমাদের বুদ্ধি নিরাকার বাবার দিকে চলে যায় । তিনি পরমধামে থাকেন, যেখান থেকে তোমরা আত্মারা এখানে আসো । বাবাও ওখানেই থাকেন । তিনি সকলের সদগতি দাতা । ভারত হলো পরমপিতা পরমাত্মার জন্মভূমি, শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয় । ওই আধ্যাত্মিক পিতাকেই জ্ঞানের সাগর, পতিত – পাবন, উদ্ধারকর্তা, গাইড বলা হয় । তিনিই হলেন দুঃখহর্তা – সুখকর্তা – একথা ভারতবাসী জানে । এ হলো দুঃখধাম, ভারতই সুখধাম ছিলো । বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান – হে ভারতবাসী, তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে, যেখানে তোমাদের আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো । দেবী – দেবতা ধর্ম – শ্রেষ্ঠ, কর্ম – শ্রেষ্ঠ ছিলো, এখন এই ধর্ম – ভ্রষ্ট, কর্ম – ভ্রষ্ট হয়ে গেছে । নিজেদের পবিত্র দেবতা বলতে পারে না । কলিযুগ অন্ত পর্যন্ত ভক্তি মার্গ চলে, এখানে কোনো জ্ঞান থাকে না । জ্ঞান থেকে সদগতি হয় । সর্বের সদ্গতি দাতা বাবা যতক্ষণ না আসেন, ততক্ষণ কোনো সদগতি হতে পারে না । বাবা বলেন – আমি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি । এই সময় হলো পতিত দুনিয়া । এখানে একজনও পবিত্র থাকে না । যদিও সন্ন্যাসীরা পবিত্র হয়, তবুও তো তাদের এখানেই পুনর্জন্ম নিতে হবে । বিষের দ্বারা জন্ম নিতে হয় । ফিরে যেতে পারে না । চক্র যখন সম্পূর্ণ হয়, তখন বাবা এসে নিয়ে যান । একেই বলা হয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান । সুপ্রীম আত্মা এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান দান করেন । এই সুপ্রীম আত্মাই জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন । বাকি শাস্ত্রের জ্ঞান তো হলো ভক্তিমার্গ । বাবা বলেন – তোমরা যজ্ঞ, তপ, তীর্থ আদি করে আরো নীচে নেমে এসেছো । তোমরা প্রথমে সতোপ্রধান ছিলে । ভারতে যখন পবিত্রতা ছিলো, তখন শান্তি এবং সম্পদও ছিলো । স্বাস্থ্য এবং সম্পদ দুইই ছিলো । এ হলো আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বের কথা, যখন এই ভারত স্বর্গ ছিলো । সেই সময় আর কোনো ধর্ম ছিলো না । কেবলমাত্র এক আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো, যা পরমপিতা পরমাত্মা স্থাপন করেছিলেন । স্বর্গের স্থাপনা তো তিনিই করবেন । মানুষ তো তা করতে পারবে না । এমন তো বলবে না যে – কৃষ্ণ হলেন রচয়িতা । তা নয়, রচয়িতা হলেন এক নিরাকার শিব । বাকি সবই তাঁর রচনা । রচয়িতার থেকেই রচনা উত্তরাধিকার পায় ।

বাবা বোঝান যে – আমি তোমাদের অসীম জগতের পিতা, তোমাদের ২১ জন্মের জন্য অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করি । আমি সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী পবিত্র ধর্ম স্থাপন করি । ব্রাহ্মণ ধর্ম হলো শিখা । সবথেকে উচ্চ হলেন আত্মাদের বাবা, তিনি আত্মাদের নিজের সমান করেন । বাবা জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, তিনি তোমাদের তেমনই তৈরী করেন । ভারতই সতোপ্রধান ছিলো, এখন তো দুঃখধাম । বাবা কিভাবে আসেন, এ কেউই জানে না । সত্যযুগ আদি থেকে কলিযুগ অন্ত পর্যন্ত এই সম্পূর্ণ হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি ভারতেরই । এই লক্ষ্মী – নারায়ণ কতো হেলদি – ওয়েলদি ছিলেন । তাঁরা কখনোই অসুস্থ হতেন না । এখন কালকে জয় করার শিক্ষা নিচ্ছেন । যাঁকে কালেরও কাল, মহাকাল বলা হয়, তিনি তোমাদের কালকে জয় করান । তোমরা নামও শুনেছো – শিবায় নমঃ । তোমরা এমন তো বলবে না যে, পরমাত্মা সর্বব্যাপী, তিনি কুকুর – বিড়ালের মধ্যে আছেন, একে বলা হয় ধর্মের গ্লানি । মানুষ বাবার গ্লানি করে । এখন এ হলো কল্পের সঙ্গম সময় । এই সময়েই বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি বলা হয় । এখন বিনাশ তো সামনে উপস্থিত । গীতাতেও লেখা আছে – যাদব, কৌরব আর পাণ্ডবরা কি করছিলো ? সর্ব শাস্ত্র শিরোমণি হলো শ্রীমৎ ভাগবত গীতা । এর থেকেই অন্য শাস্ত্র বের হয়েছে । তোমরা জানো যে, গীতা হলো দেব ধর্মের শাস্ত্র । বাবা বলেন যে – আমি আসি, তোমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ তৈরী করি, তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবী – দেবতা বানাই । তারপর তোমরা ক্ষত্রিয় এবং শূদ্র হও । বাবা বোঝান যে, তোমরা কিভাবে ৮৪ জন্মগ্রহণ করো । সবথেকে বেশী জন্ম তারা নেয়, যারা প্রথম – প্রথম সত্যযুগে আসে । তোমরা ভারতবাসীরাই সবথেকে বেশী জন্ম নিয়েছো, সবথেকে কম হলো এক জন্ম । এও বাবা বসেই বোঝান । বাবা ছাড়া আর কাউকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয় না । পতিত – পাবন, জ্ঞানের সাগর বললেই বুদ্ধি উপরের দিকে চলে যায় । বাবাই সবাইকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে নিয়ে যান, সর্বের সদগতিদাতা এক বাবাই । আচ্ছা, তাহলে সকলের দুর্গতি কিভাবে হয় ? কে করে ? সদগতি সত্যযুগকে আর দুর্গতি কলিযুগকে বলা হয় । বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি কল্পে – কল্পে এসে তোমাদের সদগতি দান করি । বাচ্চারা, তোমরা পৃথিবীর হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি জানো । স্কুলে তো অর্ধেক হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি শেখায় । সত্যযুগ, ত্রেতাতে কারা রাজত্ব করতো, কেউই জানে না । চিত্র তো বরাবর আছে – এই লক্ষ্মী – নারায়ণ রাজত্ব করতো । কতো সময় সেই রাজত্ব চলেছিল, তা তোমরা বলতে পারো । খ্রীষ্টান রাজত্ব দুই হাজার বছর চলেছিলো । ইসলামী — তার আগে, তারও আগে চন্দ্রবংশীরা ছিলো যা ১২৫০ বছর চলেছিলো । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে সূর্যবংশী – চন্দ্রবংশী ছিলো, আর কোনো ধর্ম ছিলো না । তোমরাই সূর্যবংশী – চন্দ্রবংশী হও । এখন আবার ব্রাহ্মণবংশী হয়েছো । এই সম্পূর্ণ নাটক ভারতের উপরেই তৈরী হয়েছে । ভারতই নরক আর স্বর্গ হয়, আর ধর্মের জন্য এমন বলা হবে না । ওরা তো স্বর্গে থাকে না । কেউ যখন মারা যায় তখন বলে – স্বর্গবাসী হয়েছে কিন্তু বুঝতেই পারে না । নরকবাসীদের তো নরকেই জন্ম নিতে হবে । স্বর্গবাসীরা স্বর্গেই পুনর্জন্ম নেবে । বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারো যে, এই লক্ষ্মী – নারায়ণ স্বর্গবাসী ছিলেন । তাঁরা এই রাজধানী কিভাবে পেয়েছিলেন ? লাখ বছরের কথা তো মনে থাকতেই পারে না । সত্যযুগে এই শাস্ত্র ইত্যাদি থাকে না । এ সবই হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী । সিঁড়ি নীচে নামতেই হবে । সতোপ্রধান থেকে সতো, রজো, তমোতে, এই সিঁড়ি নামতে পাঁচ হাজার বছর লাগে । সত্যযুগে ১৬ কলা সম্পূর্ণ, তারপর ত্রেতাতে ২ কলা কম, আত্মায় রূপোর খাদ পড়ে যায় । কপার যুগে এলে আত্মায় কপার অর্থাৎ তামার খাদ পড়ে, এখন তো সম্পূর্ণ তমোপ্রধান । আত্মার মধ্যেই খাদ জমা হয় । তোমরাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করো । আত্মাদের এই পিতা শিব বাবা এসে আত্মা রূপী সন্তানদের বোঝান । তোমাদের এখন আত্ম – অভিমানী হতে হবে রাবণের প্রবেশ হলে সবাই দেহ – অভিমানী হয়ে যায় । তোমাদের এখন নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে । আমরাই ৮৪ জন্ম নিয়ে ভিন্ন – ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে এসেছি । এখন ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে । এখন তো এই শরীরও জর্জরিভূত হয়ে গেছে । দ্বাপর থেকে রাবণ রাজ্য হয় । সত্যযুগে থাকে রামরাজ্য । সত্যযুগে তোমরা আত্ম – অভিমানী ছিলে । দ্বাপর এবং কলিযুগে তোমরা দেহ বোধে এসে যাও । তোমরা তখন না আত্মাকে, আর না পরমাত্মাকে জানো । বাবা বোঝান যে – আত্মা হলো এক তারার মতো । ভ্রুকুটির মাঝে ঝলমলে এক আজব নক্ষত্র । একে দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না । এ হলো খুবই সূক্ষ্ম । আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । আমরা আত্মারা ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছি । পরমপিতা পরমাত্মাও বিন্দুই, তাঁকেই জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন, নলেজফুল বলা হয় । পরমপিতা পরমাত্মার মধ্যে এই সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে । বীজরূপ হওয়ার কারণে তাঁকে সৎ – চিৎ – আনন্দ স্বরূপ বলা হয় । বাবার মধ্যে যে জ্ঞান আছে, তা অবশ্যই শোনাতে হবে । এ হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান । সমস্ত আত্মাদের পিতা এসে আত্মাদের পড়ান । তোমাদের আত্ম – অভিমানী হতে হবে । শিববাবা আমাদের পড়ান, তিনিই হলেন নলেজফুল । বাবা এসেই স্বর্গের রচনা করেন । তিনি তোমাদের স্বর্গের উপযুক্ত করেন । এই সৃষ্টিচক্রের রহস্য কোনো মানুষই জানে না । বাবাকে না জানার কারণেই ভারতের এই হাল হয়েছে । ভারতে যখন পবিত্রতা ছিলো, তখন শান্তি এবং সম্পদও ছিলো । এখন তো এ হলো নরক, তাহলে কেউ কিভাবে স্বর্গে যেতে পারে । মানুষ সম্পূর্ণ পাথর বুদ্ধির হয়ে গেছে ।

বাবা বলেন – আমি তো বাচ্চাদের জন্য কোনো উপহার নিয়ে আসবোই । আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানাই । পূর্ব কল্পে যারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিলো, তারাই এখন আবার নেবে । তারা মনুষ্য থেকে দেবতা হবে । বাস্তবে তো, সবাই হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান । এখন ব্রহ্মার দ্বারা শিব বাবা রচনা করছেন । তোমরা ব্রহ্মাকুমার – কুমারী হয়ে যাচ্ছো । শিব বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হলে তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে, তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে । বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের সব বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না । আত্মাদের পিতাই আত্মাদের জ্ঞান দান করেন । তোমরা এই আধ্যাত্মিক যাত্রা করো । দেহ – অভিমানকে ত্যাগ করে তোমরা দেহী – অভিমানী হও । আত্মা হলো অবিনাশী । আত্মার মধ্যেই পার্ট ভরা আছে । আত্মা কিভাবে ৮৪ জন্মের অভিনয় করে, এখন আমরা জানতে পেরেছি । আমরা সূর্যবংশী ছিলাম, তারপর চন্দ্রবংশী হয়েছিলাম, আবার আমাদের সূর্যবংশী হতে হবে বাবা এখন আমাদের সতোপ্রধান হওয়ার শিক্ষা দেন, মামেকম ( আমাকে ) স্মরণ করো । ভগবান উবাচঃ – গীতার ভগবান শিব বাবা, নাকি শ্রীকৃষ্ণ ? কৃষ্ণের আত্মাও এখন এই শিক্ষা নিচ্ছে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আধ্যাত্মিক যাত্রা করতে হবে এবং করাতে হবে। নিজেকে সতোপ্রধান বানানোর জন্য এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে । আত্ম – অভিমানী হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে ।

২ ) কালকে জয় করার জন্য বাবার শিক্ষাতে মনোযোগ দিতে হবে। নিজেকে আত্মা মনে করে অন্য আত্মাদের এই জ্ঞান প্রদান করতে হবে ।

বরদানঃ-

বীজের মধ্যে যেমন সম্পূর্ণ বৃক্ষ অন্তর্লীন হয়ে থাকে, তেমনই আওয়াজের ঊর্ধ্ব স্থিতিতে সঙ্গম যুগের সর্ব বিশেষ গুণ অনুভবে আসে । মাস্টার বীজ রূপ হওয়া অর্থাৎ কেবল শান্তি নয়, কিন্তু শান্তির সঙ্গে জ্ঞান, অতীন্দ্রিয় সুখ, প্রেম, আনন্দ, শক্তি আদি – আদি সর্ব মুখ্য গুণের অনুভব করা । এই অনুভব কেবল নিজেরই হয় না, কিন্তু অন্য আত্মারাও তাদের চেহারা দেখে সর্বগুণের অনুভব করে । এক গুণের মধ্যে সর্ব গুণ বিলীন হয়ে থাকে ।

স্লোগানঃ-

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য :

“যার সাথী ভগবান, তাকে কিভাবে আটকাবে ঝড় আর তুফান”

যার সাথী ভগবান, তাকে কিভাবে আটকাবে ঝড় আর তুফান… দেখো, এই গীত প্রমাণিত করে আত্মা আর পরমাত্মা দুই আলাদা জিনিস, ঈশ্বর সর্বব্যাপী নন। কেননা যার সাথী ঈশ্বর, সেই ঈশ্বর হাজির হওয়া সত্ত্বেও সৃষ্টিতে এতো দুঃখ কেন ? মানুষ এতো কাঙ্গাল আর নির্ভরশীল কেন ? পরমাত্মা তো সুখ স্বরূপ, তাই পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলা অর্থাৎ পরমাত্মাকে অপমান করা হলো । ভগবান হাজির হলে দুনিয়া তো সুখ স্বরূপ হওয়া চাই, নাকি দুঃখ স্বরূপ ? তাহলে পরমাত্মাকে ডাকার দরকার কেন ? তাহলে এই সময় মায়া কি সর্বব্যাপী, নাকি পরমাত্মা হাজির । পরমাত্মা কেবল একবার এই সঙ্গমে আসেন, তখন তাকে উপস্থিত বলা যেতে পারে, বাকি তাঁর স্মরণ সকলের হৃদয়ে অবশ্যই ব্যাপক । শরীরের চালনাকারী শক্তি তো প্রত্যেকের মধ্যে ভিন্ন – ভিন্ন সংস্কার সম্পন্ন আত্মা, নাকি পরমাত্মা । এখন ভালো করে ভেবে দেখতে হবে যে, পরমাত্মার সাথ কেন চাওয়া হয়েছে ? এই মায়ার ঝড় আর তুফান থেকে পার হওয়ার জন্য। তাহলে অবশ্যই কোনো মায়ার তুফান আছে, যার থেকে পার হওয়ার জন্য আমরা আত্মারা ওই পরমাত্মার সাথ চাই। তিনি যদি উপস্থিত থাকতেন, তাহলে না মায়ার অস্থিরতা থাকতো, আর না তাঁর সাথ পাওয়ার জন্য স্মরণ করতে হতো । তাই এই খেলায় আত্মা আর পরমাত্মা উভয়েরই পার্ট আছে । তাই পরমাত্মা যখন আসেন, তখন তাঁর সম্পূর্ণ সাথ নিয়ে তাঁর হয়ে যেতে হবে, তখনই মায়ার তুফান থেকে মুক্ত হতে পারবে । যদিও তিনি সকলেরই সুখদাতা, কিন্তু যে প্রত্যক্ষভাবে তাঁকে অবলম্বন করে, সেই তাঁর সাহায্য পেয়ে থাকে । তাই সেই বাচ্চাদের অতিরিক্ত প্রাপ্তি হয়, যদিও তিনি এই দুনিয়ার অন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছেন, তবুও আহা ! আশ্চর্যবৎ! দুনিয়া তাঁকে না জানার কারণে তাঁর সহয়তা নেয় না, যদি তাঁর সম্পূর্ণ সাথ নিতে পারে, তাহলে সাহায্যকারী হিসাবে তিনি ওস্তাদ । বলা হয় – তুমি এক কদম এগিয়ে চলো, তাহলে তিনি দশ কদম এগিয়ে আসবেন, তখন তিনি সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার দেবেন, যাতে কোনো অপূর্ণতা থাকবে না । আচ্ছা ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top