16 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 15, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"নতুন বর্ষ - বাবা সমান হওয়ার বর্ষ"

আজ, ত্রিমূর্তি বাবা তিন সঙ্গম দেখছেন l এক হলো, বাবা আর বাচ্চাদের সঙ্গম, দুই – এই যুগ সঙ্গম, তিন – আজ বছরের সঙ্গম l তিন সঙ্গমেরই নিজ নিজ বিশেষত্ব আছে l প্রত্যেক সঙ্গম, পরিবর্তন হওয়ার প্রেরণা দেয় l সঙ্গমযুগ বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেরণা দেয় l বাবা আর বাচ্চাদের সঙ্গম সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্য এবং শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির অনুভূতি করায় l বর্ষের সঙ্গম নবীনত্বের প্রেরণা দেয় l তিন সঙ্গমেরই আপন-আপন স্থলে মহত্ত্ব আছে l আজ দেশ-বিদেশ থেকে বাচ্চারা বিশেষভাবে এসেছে পুরানো দুনিয়ার নববর্ষ উদযাপন করতে l বাপদাদা তাঁর সব বাচ্চাকে দেখছেন, যারা সাকার রূপে এখানে পৌঁছেছে এবং যারা সূক্ষ্মাকার রূপে বুদ্ধির বিমান দ্বারা পৌঁছেছে, আর নতুন বছর উদযাপন করার জন্য ডায়মন্ডসম হিসেবে অভিনন্দিত করছেন, কেননা বাচ্চারা হীরাসম জীবন তৈরি করছে l ডবল হিরো হয়েছ ? এক তো তোমরা বাবার অমূল্য রত্ন, হিরো ডায়মন্ড l দ্বিতীয়তঃ, তোমরা হিরোর ভূমিকা (পার্ট) পালনকারী হিরো, সেইজন্য বাপদাদা প্রতি সেকেন্ড, প্রতিটা সঙ্কল্প, প্রতিটা জন্মের অবিনাশী অভিনন্দন জানাচ্ছেন l তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মা শুধু আজকের দিনই অভিবাদন করছ তা’ নয়, বরং সবসময় শ্রেষ্ঠ ভাগ্য, শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির কারণে বাবাকেও সবসময় তোমরা অভিবাদন করছ আর বাবা বাচ্চাদের অভিবাদন করে উড়তি কলায় নিয়ে যাচ্ছেন l এই নতুন বছরে এই বিশেষ নবীনত্ব জীবনে অনুভব করতে থাকো যে প্রতি সেকেন্ডে আর সঙ্কল্পে সদা বাবাকে অভিনন্দন জানাচ্ছ l কিন্তু নিজেদের মধ্যেও প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা অথবা কোনও অজানা, অজ্ঞানী আত্মাও যদি সম্বন্ধ বা সম্পর্কে আসে, বাবার মতো সবসময় প্রত্যেক আত্মার প্রতি হৃদয় থেকে যেন খুশির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বের হতে থাকে l যে যেমনই হোক, তোমাদের খুশির শুভ কামনা যেন তাদেরও খুশির অনুভব করায় l অভিনন্দিত করা – খুশির লেনদেন করা l তোমরা যখন কখনও কাউকে অভিনন্দন জানাও সে’সব খুশির অভিনন্দন l দুঃখের সময় অভিনন্দন বলা হয় না l সুতরাং প্রত্যেক আত্মাকে দেখে খুশি হওয়া বা খুশি দেওয়া হলো হৃদয়ের শুভ কামনা বা অভিবাদন l অন্য আত্মা তোমার সঙ্গে যেমনই ব্যবহার করুক, তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা কিন্তু বাপদাদার থেকে সবসময় শুভ কামনা নিয়ে সবাইকে খুশি দাও l তারা যদি কাঁটাও দেয়, পরিবর্তে তোমরা অধ্যাত্ম গোলাপ দাও l তারা দুঃখ দিলেও, তোমরা সুখদাতার বাচ্চা তাদেরকে সুখ দাও l ‘যে যেমন তার সাথে তেমন’ এমন হ’য়োনা, অজ্ঞানীর সাথে তোমরা অজ্ঞানী হতে পারো না l সংস্কার-স্বভাবে বশীভূত আত্মার প্রভাবে তোমরা ‘বশীভূত’ হতে পারো না l

তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার সব সঙ্কল্পে সকলের কল্যাণের জন্য, শ্রেষ্ঠ পরিবর্তনের জন্য, ‘বশীভূত’ থেকে স্বতন্ত্র বানানোর জন্য হৃদয়ের আশীর্বাদ অথবা খুশির শুভ কামনা যেন সদা ন্যাচারাল রূপে প্রতীয়মান হয়, কারণ তোমরা সবাই দাতা অর্থাৎ দেবতা, দানকারী তোমরা l সুতরাং এই নতুন বছরে বিশেষ খুশির শুভ ভাবনা দিতে থাকো l এমন নয় যে শুধু আজকের দিন বা কালকের দিন, চলতে-ফিরতে বলবে অভিনন্দন, অভিনন্দন – শুধু এই ব’লে নতুন বছর আরম্ভ ক’র না l বললেও, হৃদয় থেকে বলো l কিন্তু সারা বছর বলো, শুধু দু’দিনের জন্য ব’লো না l কাউকে যদি হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাও তাহলে সেই আত্মা যেন হৃদয়ের অভিনন্দন নিয়ে দিলখুশ তথা প্রসন্নচিত্ত হয়ে যায় l অতএব, সবসময় ‘দিলখুশ’ মিষ্টি বিতরণ করে যাও l শুধু একদিনই মিষ্টি খেও না বা খাইও না l কালকের দিন মুখমিষ্টি যত চাও ততই খাও, সবাইকে অনেক অনেক মিষ্টি খাওয়াও l কিন্তু এইভাবে সদাই যদি প্রত্যেককে হৃদয় থেকে দিলখুশ মিষ্টি খাওয়াতে থাকো তাহলে কতো খুশি হবে ! আজকালকার দুনিয়ায় তো মুখের মিষ্টি খেতে ভয়ও আছে, কিন্তু এই দিলখুশ মিষ্টি যত চাই খেতে পারো, খাওয়াতে পারো, এতে রোগ হবে না, কারণ বাপদাদা বাচ্চাদের সমান বানায় l সুতরাং বিশেষ এই বছরে বাবা সমান হওয়ার বিশেষত্ব বিশ্বের সামনে, ব্রাহ্মণ পরিবারের সামনে দেখাও l যেভাবে প্রত্যেক আত্মা ‘বাবা’ বলতে মধুরতা বা খুশির অনুভব করে l ‘বাঃ বাবা’ বলাতে মুখ মিষ্টি হয়, কারণ প্রাপ্তি হয় l এইরকম প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা যে কোনও ব্রাহ্মণের নাম নিতেই খুশি হয়ে যায়, কেননা বাবা সমান তোমরা সবাইও একে অন্যকে বাবা দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া বিশেষত্ব দ্বারা নিজেদের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া করো, নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সহযোগী সাথী হয়ে উন্নতিকে প্রাপ্ত করাও l কার্য-সাথী যদি বা হও, জীবন সাথী হ’য়োনা l প্রত্যেক আত্মা নিজের প্রাপ্ত বিশেষত্ব দ্বারা নিজেদের মধ্যে খুশির লেনদেন যদি করো, ভবিষ্যতেও সদা করতে থেকো l যেমন, বাবাকে স্মরণ করতেই তোমরা খুশিতে নাচো, সেইরকমই প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মাকে প্রত্যেক ব্রাহ্মণ স্মরণ করতে যেন খুশির অনুভব করে, সীমিত পরিসরের খুশি নয় l সবসময় বাবার সর্ব প্রাপ্তি কার্যতঃ নিমিত্ত রূপে অনুভব করো l একে বলে, প্রতিটা সঙ্কল্পে সবসময় একে অন্যকে অভিনন্দিত করা l সবার লক্ষ্য তো একই যে বাবার সমান হতেই হবে l কারণ সমান হওয়া ব্যতীত না বাবার সঙ্গে সুইট হোমে যাবে, আর না ব্রহ্মা বাবার সঙ্গে রাজত্ব করবে l যারা ব্রহ্মাবাবার সাথে নিজের ঘরে যাবে, তারাই ব্রহ্মাবাবার সাথে রাজ্যে নামবে l উপর থেকে নিচে আসবে, তাই না ! শুধু যে সঙ্গে যাবে তাই নয়, সঙ্গে আসবেও l ব্রহ্মার সাথেই পূজ্য হবে আর পূজারীও ব্রহ্মাবাবার সাথেই হবে l সুতরাং অনেক জন্মের জন্য তোমাদের সঙ্গে সাথ থাকে l কিন্তু তার আধার হলো এই সময় সমান হয়ে তাঁর সাথে ফিরে যাওয়ার l

আসন্ন বছরের বিশেষত্ব দেখ – নম্বর ৮, ৮ l আটের কতো মহত্ত্ব ! যদি নিজের পূজ্য রূপ দেখ তো সেই স্মরণিক অষ্ট ভুজধারী ও অষ্ট শক্তির l অষ্ট রত্ন, অষ্ট রাজধানী – ভিন্ন ভিন্ন রূপে আটের গায়ন আছে, সেইজন্য এই বছর বাবা সমান হওয়ার বিশেষ দৃঢ় সঙ্কল্পের বছর উদযাপন করো l যে কর্মই করো, বাবা সমান করো l সঙ্কল্প করো, বোল বলো, সম্বন্ধ-সম্পর্কে এসো, বাবা সমান হও l ব্রহ্মাবাবা সমান হওয়া তো সহজ, তাই না, কেননা ইনি সাকার – এই আত্মা ৮৪ জন্ম নিয়েছেন l পূজ্য অথবা পূজারী সবের অনুভাবী আত্মা l পুরানো দুনিয়ার, পুরানো সংস্কারের, পুরানো হিসেব-নিকেশের, সংগঠনে একসাথে চলা এবং সবাইকে একসাথে চালানো – সব বিষয়ের অনুভাবী l অতএব, অনুভাবীকে ফলো করা কঠিন হয় না l আর বাবা তো বলেন যে ব্রহ্মা বাবার প্রতি পদাঙ্কে কদম রাখো l তোমাদের কোনও নতুন মার্গ বের করতে হবে না, শুধু প্রতি কদমে কদম রাখতে হবে l ব্রহ্মাকে কপি করো l এইটুকু বোধ-বুদ্ধি তো আছে, আছে না ? শুধু পদাঙ্কে মিলিয়ে চলতে থাকো, কারণ বাপদাদা উভয়েই তোমাদের সাথে চলার জন্য থেমে আছেন l নিরাকার বাবা পরমধাম নিবাসী, কিন্তু সঙ্গমযুগে সাকার দ্বারা ভূমিকা (পার্ট) তো পালন করতে হবে, তাই না ! সেইজন্য তোমাদের এই কল্পের পার্ট সমাপ্ত হওয়ার সাথে বাবা, দাদা উভয়েরই এই কল্পের পার্ট সমাপ্ত হবে l তারপরে কল্প রিপিট হবে, সেইজন্য নিরাকার বাবাও তোমরা সব বাচ্চার পার্টের সাথে বেঁধে আছেন l এটা শুদ্ধ বন্ধন l যতই হোক, পার্টের বন্ধন তো আছে, তাই না ! স্নেহের বন্ধন, সেবার বন্ধন …কিন্তু মধুর বন্ধন l কর্মভোগের বন্ধন নয় l

অতএব, নতুন বছর সদা অভিনন্দনের বছর l নতুন বছর সদা বাবা সমান হওয়ার বছর l নতুন বছর ব্রহ্মাবাবাকে ফলো করার বছর l নতুন বছর বাবার সাথে সুইট হোম আর সুইট রাজধানীতে সাথে থাকার বরদান প্রাপ্ত করার বছর, কারণ এখন থেকে সদা সাথে থাকবেন l এই সময় সদা তাঁর সাথে একসঙ্গে থাকার বরদান l নয়তো বরযাত্রী হবে এবং নিকট সম্বন্ধে হওয়ার পরিবর্তে দূর সম্বন্ধের হবে l কখনো কখনো দেখা হবে l শুধু কখনো কখনোই মিলিত হবে, তোমরা তো সে’রকম নও, তাই না ? প্রথম জন্মে প্রথম রাজ্যের সুখ আর প্রথম নম্বরের রাজ্য অধিকারী বিশ্ব মহারাজা-বিশ্ব মহারাণীর রয়্যাল সম্বন্ধ, তার ঝলক আর নেশা অনুপম হবে ! যদি দ্বিতীয় নম্বরের রাজ্য অধিকারী বিশ্ব মহারাজা-মহারাণীর রয়্যাল ফ্যামিলিতে এসেও যাও তাহলে তা’তেও তারতম্য আছে l এক জন্মের তফাৎ হয়ে যাবে l সেটা একসাথে হওয়া বলা হবে না l যে কোনো নতুন জিনিস একবারও যদি ইউজ করে নাও, তাহলে সেটা ইউজ করা হয়েছে বলা হবে, তাই না ! নতুন তো বলবে না l তোমাদের সাথে যেতে হবে, সাথে আসতে হবে, একসাথে প্রথম জন্মের রয়্যাল ফ্যামিলির অংশ হয়ে রাজত্ব করতে হবে l একেই বলে, সমান হওয়া l তাহলে কী করতে হবে, সমান হবে নাকি বরযাত্রী হবে ?

বাপদাদা অজ্ঞানী আর জ্ঞানীদের মধ্যে এক প্রভেদ দেখছিলেন l একটা দৃশ্যরূপে দেখছিলেন l বাবার বাচ্চারা কী রকম আর অজ্ঞানী কী রকম ? আজকের দুনিয়ায় বিকারী আত্মারা কী হয়ে গেছে ! আজকাল যেমন কোনও বড় ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও যেখানে আগুন জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া বের করতে চিমনি বানায়, তার থেকে সবসময় ধোঁয়া বের হয় আর চিমনি সর্বক্ষণ কালো দেখায়, ঠিক সে’রকমই আজকের মানব বিকারী হওয়ার কারণে, কোনো না কোনও বিকার বশ হওয়ায় সঙ্কল্পে, বোলে ঈর্ষা, ঘৃণা, কিংবা কোনো না কোনও বিকারের ধোঁয়া বের হতে থাকে l চোখের থেকেও বিকারের ধোঁয়া বের হতে থাকে আর জ্ঞানী বাচ্চাদের ফরিস্তা স্থিতিতে প্রতি বোল বা সঙ্কল্প দ্বারা আশীর্বাদ উৎপন্ন হয় l তাদের হলো বিকার-অগ্নির ধোঁয়া আর ‘জ্ঞানী তু আত্মা’দের ফরিস্তা রূপ থেকে সদা আশীর্বাদ উদ্ভূত হয় l কখনও সঙ্কল্পেও কোনো বিকারের বশে বিকার-অগ্নির ধোঁয়া নির্গত হওয়া উচিত নয়, সদা আশীর্বাদ ব্যক্ত হতে দাও l অতএব, চেক করো – কখনো আশীর্বাদের পরিবর্তে ধোঁয়া নিঃসরণ হয় না তো ? ফরিস্তা সবসময়ই আশীর্বাদ-স্বরূপ l যদি কখনো এইরকম কোনও সঙ্কল্প আসে কিংবা বোল নির্গত হয় তাহলে এই দৃশ্য সামনে নিয়ে এসো – আমি কী হয়েছি, ফরিস্তা থেকে আমি বদলে যাইনি তো ? ব্যর্থ সঙ্কল্পেরও ধোঁয়া আছে l সেটা জ্বলন্ত অগ্নির ধোঁয়া, এটা অর্ধেক জ্বলা আগুনের ধোঁয়া l যদি আগুন পুরো না জ্বলে, তবুও তো ধোঁয়া উদ্গিরণ হয়, তাই না ! সুতরাং, ফরিস্তা রূপ এমন হোক যাতে সদা আশীর্বাদের উদ্ভব হয় l একে বলে মাস্টার দয়ালু, কৃপালু, মার্সিফুল l অতএব, এখন এই পার্ট পালন করো l নিজের প্রতিও কৃপা করো, অন্যের প্রতিও কৃপা করো l যা কিছু দেখেছ, শুনেছ তা’ বর্ণন ক’র না, ভেবো না l না ব্যর্থ ভাবো, না দেখ – এটা নিজের জন্য কৃপা করা আর যে করেছে বা বলেছে তার প্রতিও সদা দয়া করো, কৃপা করো অর্থাৎ যে আত্মা সম্বন্ধে ব্যর্থ যা শুনেছ, দেখেছ সেই আত্মার প্রতিও শুভ ভাবনা শুভ কামনার কৃপা করো l অন্য কোনও কৃপা নয় বা হাত দ্বারা কোনো বরদান দেওয়া নয়, কিন্তু তোমার মনের মধ্যে কোনো কিছু রেখো না – এটাই ওই আত্মার প্রতি কৃপা করা l কোনরকম ব্যর্থ বিষয় দেখে বা শুনে যদি তুমি বর্ণন করো অর্থাৎ ব্যর্থ বীজ থেকে বৃক্ষ বাড়তে দিচ্ছ, যদি বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে দিচ্ছ, তাহলে বৃক্ষ তৈরী হয়েই যায় l কারণ একজন যা কিছু খারাপ দেখে বা শোনে, সে একলা তার মনের মধ্যে রাখতে পারে না, অন্যকে অবশ্যই শোনাবে, অবশ্যই বর্ণন করবে l আর যদি একজন আরেকজনকে সেটা বলে, তাহলে কী হবে ? তখন এক থেকে অনেক হয়ে যায় l আর এক থেকে একে যখন মালা হয়ে যায়, তখন যে ব্যর্থ কিছু করে সে নিজের ব্যর্থকে ন্যায়সঙ্গত প্রতিপন্ন করার জিদ করে l সুতরাং বায়ুমন্ডলে কী ছড়িয়ে গেল ? ব্যর্থ l এই ধোঁয়াই তো ছড়িয়ে আছে, তাই না ! এ কী আশীর্বাদ নাকি ধোঁয়া ? সেইজন্য ব্যর্থ দেখে, শুনে সস্নেহে শুভ ভাবনা দ্বারা সমাহিত করো l বিস্তার ক’র না l একে বলে, অন্যের প্রতি কৃপা করা অর্থাৎ আশিস দেওয়া l সুতরাং সমান হয়ে তাঁর সাথে ফিরে যাওয়ার আর তাঁর সাথে থাকার প্রস্তুতি নাও l এইরকম মনে করো না তো, এখন এখানেই থাকা ঠিক, ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি এখন প্রয়োজন নেই, আর একটু থাকবে ! এখানে আরও থাকতে চাও তোমরা ? যদি থাকতেই চাও তো বাবা সমান হয়ে থাকো l এইরকম হয়ে থেকো না, বরং সমান হয়ে থাকো l তখন যদি বা থাকো, তার জন্য তোমাদের অনুমতি আছে l তোমরা তো এভাররেডি, তাই না ? সেবা থাকতে দেবে নাকি ড্রামা, সেটা আলাদা বিষয় কিন্তু নিজের কারণে এখানে থেকো না l কর্মবন্ধন বশে যারা থাকে, তোমরা তারা নও l কর্মের হিসেব-নিকেশের খতিয়ান স্বচ্ছ আর স্পষ্ট হওয়া উচিত l বুঝেছ ! আচ্ছা !

চারিদিকের সব বাচ্চার নতুন বছরের মহত্ত্বের দ্বারা মহান হওয়ার অভিনন্দন সদা তোমাদের সাথে থাকবে l যাদের মনোবল আছে, যারা ফলো ফাদার করে, সদা পরস্পরকে দিলখুশ মিষ্টি খাইয়ে সদা ফরিস্তা হয়ে আশীর্বাদ দেয়, এইরকম বাবা সমান দয়ালু, কৃপালু বাচ্চাদের সমান হওয়ার অভিনন্দনের সাথে বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l

“ডবল বিদেশি ভাই-বোনেদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকার”

সদা নিজেদের সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ আত্মা হিসেবে অনুভব করো ? শ্রেষ্ঠ আত্মাদের প্রত্যেক সঙ্কল্প বা বোল অথবা সব কর্ম স্বতঃই শ্রেষ্ঠ হয় l তাহলে তো সব কর্ম শ্রেষ্ঠ হয়ে গেছে, তাই না ? যে যেমন হয়, সে’রকমই তার কার্য হয় l সুতরাং শ্রেষ্ঠ আত্মাদের কর্মও শ্রেষ্ঠই হবে, তাই না ! স্মৃতি যেমন হয়, সে’ভাবে স্থিতি নিজে থেকেই হয় l সুতরাং শ্রেষ্ঠ স্থিতিই তোমাদের ন্যাচারাল স্থিতি, কারণ তোমরাই যে বিশেষ আত্মা l উঁচুতম থেকেও উঁচু বাবার হয়ে গেছ তোমরা, সুতরাং যেমন বাবা তেমন বাচ্চা, তাইতো হলে, না ? বাচ্চাদের সবসময় বলা যায়, ‘সন রোজ ফাদার l’ তাহলে তোমরা কি এইরকম ? তোমাদের হৃদয়ে কে সমাহিত হয়ে আছে ? যিঁনি হৃদয়ে, বুদ্ধিতে তিনিই হবেন, বোলে হবেন, সঙ্কল্পেও তিনিই হবেন l তোমরা কার্ডও তো আনো হার্টের, তাই না ! তোমরা গিফ্টও পাঠাও হার্টের l তাহলে এই যে সব চিত্র পাঠাও সেগুলো তোমাদের স্থিতির চিত্র, তাই না ! সুতরাং যারা সদা বাবার হৃদয়ে থাকে, তারা সদাই যা বলবে, যা করবে তা’ আপনা থেকেই বাবা সমান হবে l বাবা সমান হওয়া তো কঠিন নয়, না ? শুধু ডট অর্থাৎ বিন্দু স্মরণে রাখো, তাহলে তো মুশকিলই নট হয়ে যাবে l ডট যদি ভুলে যাও তবে নট হয় না l কতো সহজ ডট বানানো বা ডট লাগানো l সারা জ্ঞান এই এক শব্দে সমাহিত হয়ে আছে l তোমরাও বিন্দু, বাবাও বিন্দু আর যা অতীত হয়ে গেল তা’তেও বিন্দু লাগিয়ে দাও, ব্যস্ ! ছোট বাচ্চাও, যখন লিখতে শুরু করে। তো প্রথমে কাগজের উপরে পেন্সিল রাখে, তখন কী তৈরি হবে ? ডট তৈরি হবে, তাই না ? সুতরাং এও বাচ্চাদের খেলা l এই জ্ঞানের সমগ্র পঠন-পাঠন খেলতে খেলতে হয়ে যায় l কঠিন কাজ দেওয়া হয়নি, সেইজন্য কাজও সহজ আর তোমরাও তো সহজ যোগী l বোর্ডেও তো লেখ “সহজ রাজযোগ” l সুতরাং এটা সহজ অনুভব করাকে জ্ঞান বলা হয় l যে নলেজফুল সে আপনা থেকেই পাওয়ারফুল হবে, কেননা নলেজকে লাইট আর মাইট বলা হয় l সুতরাং নলেজফুল আত্মারা সহজেই পাওয়ারফুল হওয়ার কারণে সব বিষয়ে সহজে সামনে এগিয়ে যায় l অতএব, এই পুরো গ্রুপ সহজযোগীদের গ্রুপ, তাই না ! এইরকমই সহজযোগী থাকো l আচ্ছা l

বরদানঃ-

কখনও আগে থেকে যেন সংশয়ের সঙ্কল্প উৎপন্ন না হয় যে “জানিনা, হয়তো ফেল হয়ে যাব”, সংশয়বুদ্ধি হওয়াতেই পরাজয় হয় l সেইজন্য সদা এই সঙ্কল্প হোক যে তোমরা বিজয় প্রাপ্ত করে দেখাবেই l বিজয় তো তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার, এইরকম অধিকারী হয়ে কর্ম করলে বিজয় অর্থাৎ সফলতার অধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত হয়, এইভাবে বিজয়ী রত্ন হয়ে যাবে, সেইজন্য মাস্টার নলেজফুলের মুখ থেকে ‘জানিনা’ শব্দ কখনো বের হওয়া উচিত নয় l

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top