11 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 10, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- সুখ - শান্তির বরদান এক বাবার কাছ থেকেই পাওয়া যায়, কোনো দেহধারীর কাছ থেকে নয়, বাবা এখন এসেছেন - তোমাদের মুক্তি এবং জীবনমুক্তির পথ বলে দিতে"

প্রশ্নঃ --

বাবার সাথে যাওয়ার এবং সত্যযুগের আদিতে আসার পুরুষার্থ কি ?

উত্তরঃ -:-

বাবার সঙ্গে যেতে হলে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । সত্যযুগের আদিতে আসতে হলে অন্য সঙ্গের সঙ্গে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে । অবশ্যই আত্ম – অভিমানী হতে হবে । এক বাবার মতে চললে উচ্চ পদের অধিকারী হতে পারবে ।

গান:-

নয়ন হীনকে পথ দেখাও…

ওম্ শান্তি । এই গান কে গেয়েছে ? বাচ্চারা, কেননা বাবা তো একজনই, তাঁকেই রচয়িতা বলা হয় । রচনা, তার রচয়িতাকে ডাকতে থাকে । বাবা বুঝিয়েছেন — ভক্তিমার্গে তো তোমাদের দুইজন বাবা । এক, লৌকিক, দ্বিতীয় হলো পারলৌকিক । সকল আত্মাদের বাবা একজনই । বাবা এক হওয়ার কারণে সকল আত্মা নিজেদের ভাই – ভাই বলে পরিচয় দেয় । তারা ওই বাবাকে ডাকে – ও গড ফাদার, ও পরমপিতা, দয়া করো, ক্ষমা করো । ভক্তের রক্ষক এক ভগবানই । সবার প্রথমে তো এই কথা বোঝা উচিত – আমাদের দুইজন বাবা । এখন পারলৌকিক বাবা তো সকলেরই এক । বাকি লৌকিক বাবা প্রত্যেকেরই আলাদা – আলাদা । এখন লৌকিক বাবা বড়, নাকি পারলৌকিক বাবা বড় ? লৌকিক বাবাকে তো কখনোই ভগবান বা পরমপিতা বলবে না । আত্মার বাবা হলেন এক পরমপিতা পরমাত্মা । আত্মা নামের কখনোই কোনো পরিবর্তন হয় না । শরীরের নামের পরিবর্তন হয় । আত্মা ভিন্ন – ভিন্ন শরীর ধারণ করে অভিনয় করতে আসে অর্থাৎ পুনর্জন্ম গ্রহণ করে । অবশেষে কতো জন্ম পায় । তা বাবা এসেই বোঝান । বাচ্চারা, তোমরা নিজের জন্মকে জানো না । বাবা এই ভারতেই আসেন । তাঁর নাম শিব । বুঝতেও পারে যে, শিব হলেন পরমাত্মা । মানুষ শিব জয়ন্তী বা শিবরাত্রিও পালন করে । তিনি হলেন নিরাকার । আত্মাও যেমন নিরাকার, নিরাকার থেকে সাকারে আসে অভিনয় করতে । এখন নিরাকার শিব তো আর শরীর ছাড়া অভিনয় করতে পারেন না । মানুষ এইসব কথা কিছুই বুঝতে পারে না, নয়ন হীন । এই শরীরের দুই নেত্র তো সকলেরই আছে । তৃতীয় জ্ঞান নেত্র আত্মার নেই, যাকে দিব্য চক্ষুও বলা হয় । আত্মা নিজের বাবাকে ভুলে গেছে, তাই ডাকতে থাকে – নয়নহীনকে পথ বলে দাও । কোথাকার পথ ? শান্তিধাম আর সুখধামের । সর্বের সদগতিদাতা, সদগুরু একজনই । মানুষ, মানুষের গুরু হয়ে সদগতি দিতে পারে না । না নিজে সদগতি পায়, আর না অন্যদের দিতে পারে । এক বাবাই সকলের সদগতি দেন । ওই অল্ফ অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করতে হবে । বাবা বোঝান যে – কোনো মানুষই মুক্তি – জীবনমুক্তি, শান্তি আর সুখ সদাকালের জন্য দিতে পারে না । সুখ – শান্তির বরদান তো এক বাবাই দিতে পারেন । মানুষ, মানুষকে দিতে পারে না । ভারতবাসী যখন সতোপ্রধান ছিলো, তখন সত্যযুগী স্বর্গবাসী ছিলো । আত্মা তখন পবিত্র ছিলো । ভারতকে স্বর্গ বলা হয় তখনই, যখন আত্মা পবিত্র ছিলো, সতোপ্রধান ছিলো ।

তোমরা জানো যে, বরাবর আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতে স্বর্গ এবং সতোপ্রধান রাজত্ব ছিলো । এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । এখন কলিযুগের অন্তিম সময়, একে নরক বলা হয় । এই ভারত যখন স্বর্গ ছিলো, তখন খুবই ধনবান ছিলো । হীরে – জহরতের মহল ছিলো । বাবা বাচ্চাদের মনে করিয়ে দেন । আদি সত্যযুগে লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজধানী ছিলো । তাকে স্বর্গ বা বৈকুণ্ঠ বলা হতো । বাবা বোঝান যে, এখন সেই স্বর্গ নেই । বাবা এই ভারতেই আসেন । মানুষ নিরাকার শিবের জয়ন্তীও পালন করে, কিন্তু তিনি কি করেন, এ কেউই জানে না । আমি আত্মাদের বাবা শিব, আমরা তাঁর জয়ন্তী পালন করি, কিন্তু বাবার বায়োগ্রাফিকেও জানে না । এমন গায়নও আছে যে – দুঃখে সবাই স্মরণ করে । মানুষ ডাকে – ও গড ফাদার, দয়া করো । আমরা খুবই দুঃখী, কেননা এ হলো রাবণ রাজ্য । প্রত্যেক বর্ষ রাবণকে জ্বালায়, তাই না, কিন্তু একথা কেউই জানে না যে, দশ মাথাওয়ালা রাবণ কে । আমরা তাকে কেন জ্বালাই, এ কেমন শত্রু, যে তার কুশপুত্তলিকা বানিয়ে জ্বালানো হয় । ভারতবাসী কিছুই জানে না, কেননা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র নেই, তাই তো রামরাজ্য চায় । স্ত্রীর মধ্যে পাঁচ বিকার আর পুরুষের মধ্যে পাঁচ বিকার, তাই এদের রাবণ সম্প্রদায় বলা হয় । এই পাঁচ বিকার রাবণই অনেক বড় শত্রু, যার কুশপুত্তলিকা বানিয়ে জ্বালায় । ভারতবাসীরা জানতেই পারে না যে, রাবণ কে, কাকে জ্বালানো হয় । এই রাবণ রাজ্য কবে থেকে শুরু হয়েছে এও কেউই জানে না । বাবা বোঝান যে – রামরাজ্য হলো সত্যযুগ এবং ত্রেতা । রাবণ রাজ্য – দ্বাপর এবং কলিযুগ । সত্যযুগে এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য ছিলো, এঁরা এই রাজ্য কোথা থেকে এবং কিভাবে পেয়েছিলো, এ কেউই জানে না । এ হলো বোঝার মতো কথা । এতে মনোযোগ দিতে হয় । বাবা হলেন অতি প্রিয়, তাই তো তাঁকে ভক্তিমার্গে ডাকতে থাকে । ভারতে যখন এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব ছিলো, তখন দুঃখের নামমাত্র ছিলো না । এখন হলো দুঃখধাম, এখানে এখন কতো ধর্ম । সত্যযুগে এক ধর্ম ছিলো, এতো সব আত্মা কোথায় চলে যাবে, কেউই জানে না, কারণ সকলেই নয়ন হীন । শাস্ত্র থেকে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র কেউই পায় না । জ্ঞান নেত্র জ্ঞানের সাগর পরমপিতা পরমাত্মাই প্রদান করেন । আত্মা তৃতীয় নেত্র পায় । আত্মা ভুলেই গেছে যে, সে কতো জন্ম নিয়েছে । সত্যযুগে যে দেবী দেবতার রাজ্য ছিলো, সেসব কোথায় গেলো ? এমন গায়নও আছে যে, মনুষ্য ৮৪ জন্মগ্রহণ করে । ৮৪ র চক্র বলা হয়, কিন্তু কোন আত্মা ৮৪ জন্মগ্রহণ করে ? যারা প্রথমে ভারতে এসেছিলো, তাঁরাই ছিলো দেবী – দেবতা । এঁরাই আবার ৮৪ জন্ম ভোগ করে অন্তিমে পতিত হয়ে যায় । এমন গেয়েও থাকে যে – হে পতিত পাবন, তাহলে সিদ্ধ করে যে, আমরা পতিত, তাই ডাকতে থাকে – হে পতিত পাবন, আমাদের পবিত্র বানাতে এসো । যে নিজেই পতিত, সে কিভাবে অন্যদের পবিত্র বানাবে । বাবা বোঝান -অর্ধেক কল্পের ভক্তিমার্গে রাবণ রাজ্য, পাঁচ বিকার থাকার কারণে ভারত এতো দুঃখ পেয়েছে । ৮৪ জন্ম তো নেয়ই । তার হিসাবও বোঝা উচিত । প্রথম – প্রথম সত্যযুগে থাকে সতোপ্রধান, তারপর ত্রেতাতে থাকে সতো, আত্মায় খাদ জমা হয় । বাবা এই ভারতেই আসেন । শিব জয়ন্তী আছে, তাই না । আর সমস্ত আত্মা তো গর্ভে জন্ম নেয় । বাবা বলেন যে, আমি সাধারণ বৃদ্ধ তনে প্রবেশ করি, যার এ হলো অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম । এ কখনো একজনকে বোঝানো হয় না । এ হলো গীতা পাঠশালা । এখানে মানুষকে দেবতা বানানোর জন্য এই রাজযোগ শেখানো হয় । তোমরা এখানে এসেছো স্বর্গের এই বাদশাহী প্রাপ্ত করার জন্য, যা একমাত্র বাবাই দিতে পারেন । গীতা পাঠ করে কেউই রাজা হয় না, আরো দরিদ্র হয়ে যায় । বাবা তোমাদের গীতার জ্ঞান শুনিয়ে রাজা করেন, অন্যদের কাছে গীতা শুনে দরিদ্র হয়ে গিয়েছিলে ॥ ভারতে যখন এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্বকাল ছিলো তখন পবিত্রতা, শান্তি, সম্পদ ছিলো, পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম ছিলো । ওখানে হিংসার নামমাত্র ছিলো না, তারপর দ্বাপর থেকে শুরু করে হিংসা শুরু হয়েছে। কাম কাটারি চালিয়ে তোমাদের এমন অবস্থা হয়ে গেছে । সত্যযুগে একশো শতাংশ সলভেন্ট ছিলো, সতোপ্রধান ছিলো । এই রহস্য কোনো মানুষ অথবা সাধু – সন্তরাও জানে না । বাবা, যিনি জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন, উনি এসেই সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি বলে দেন । রাবণের মতে চলে মানুষের দেখো কি হাল হয়ে গেছে । রাজারাও, যারা পবিত্র রাজা ছিলো, তাঁদের চরণে গিয়ে পড়ে, আর মহিমা করে – আপনি সর্বগুণ সম্পন্ন, আমরা নীচ – পাপী । আমাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই, তুমিই দয়া করো । তুমি এসে আমাদের মন্দিরের উপযুক্ত বানাও । কেউই বুঝতে পারে না যে, বাবা কিভাবে এসে আবার দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা করান । তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, আমরাই সেই দেবী – দেবতা ধর্মের ছিলাম । আমরাই সেই ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়েছিলাম, এতো জন্ম নিয়েছিলাম, এখন সেই ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে । এবার দুনিয়ার চক্র আবার ঘোরার প্রয়োজন, তাই তোমাদের পবিত্র এখানেই হতে হবে । পতিত তো সুখধাম বা শান্তিধামে যেতে পারে না । বাবা বোঝান যে, তোমরা যে সতোপ্রধান ছিলে, তারাই তমোপ্রধান হয়ে গেছো । গোল্ডেন এজ থেকে আয়রন এজে এসেছো, আবার তোমাদের গোল্ডেন এজের হতে হবে, তখনই মুক্তিধাম, সুখধামে যেতে পারবে । ভারত সুখধাম ছিলো । এখন তা দুঃখধাম । গানেও শুনেছো – আমার মতো নয়নহীনকে পথ বলে দাও —–আমি আমার শান্তিধামে কিভাবে যাবো । ওরা তো বলে দেয় – পরমাত্মা তো সর্বব্যাপী, অমুক অবতার, পরশুরাম অবতার । এখন বাবা পরশুরাম হয়ে কাউকে মারবেন কি ? এ হতে পারে না । বাবা বোঝান – তোমরা এই চক্রে কিভাবে ৮৪ জন্ম নিয়েছো । এখন আমি অল্ফ ( আল্লাহ )কে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো । হে আত্মারা, তোমরা দেহী অভিমানী হও । দেহ অভিমানী হয়ে তোমরা সম্পূর্ণ দুঃখী, কাঙ্গাল, নরকবাসী হয়ে গেছো । যদি স্বর্গবাসী হতে হয় তাহলে অবশ্যই আত্ম অভিমানী হতে হবে । আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে, এখন সত্যযুগ আদিতে যেতে হবে । এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর অন্যদের সঙ্গে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করো । গৃহস্থ জীবনেই থাকো, কিন্তু নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করো । আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । এখন তোমাদের দেহী অভিমানী হতে হবে, তাই আমাকে যদি স্মরণ করো তাহলে সব খাদ জ্বলে যাবে । তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে, আমি তখন সব বাচ্চাদের ঘরে নিয়ে যাবো । আমার মতে যদি না চলো তাহলে এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । এই লক্ষ্মী নারায়ণের হলো উচ্চ পদ । এঁদের রাজত্ব যখন ছিলো তখন অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না । দ্বাপর যুগ থেকে অন্য ধর্ম শুরু হয় । সত্যযুগে মানুষও অল্পসংখ্যক থাকে । এখন তো অনেক ধর্ম হওয়ার কারণে মানুষ কতো দুঃখী হয়ে গেছে । ওই দেবতা ধর্মের যাঁরা, তাঁরা পতিত হওয়ার কারণে নিজেদের আর দেবতা বলে না । হিন্দু নাম রেখে দিয়েছে । হিন্দু তো কোনো ধর্ম নয় । বাবা বোঝান – রাবণ তোমাদের এমন করে দিয়েছে । তোমরা যখন উপযুক্ত দেবী – দেবতা ছিলে, তখন সম্পূর্ণ বিশ্বে তোমাদের রাজত্ব ছিলো, সবাই সুখী ছিলো । এখন সবাই দুঃখী হয়ে গেছে । ভারত স্বর্গ ছিলো, এখন তা নরক হয়ে গেছে, এবার বাবা ছাড়া আর কেউই এই নরককে স্বর্গ বানাতে পারে না । দেবতাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা হয় । এখানকার মানুষ তো সম্পূর্ণ বিকারী, এদের বলা হয় পতিত । ভারত শিবালয় ছিলো, যা শিববাবার দ্বারা স্থাপনা হয়েছিলো । বাবা স্বর্গ বানান, রাবণ আবার নরক তৈরী করে । রাবণ অভিশাপ দেয়, আর বাবা ২১ জন্মের জন্য আশীর্বাদ করেন । এখন তোমরা প্রত্যেকেই এক বাবাকে স্মরণ করো, কোনো দেহধারীকে স্মরণ করো না । দেহধারীকে ভগবান বলা হয় না । ভগবান তো একজনই । বাবা তো অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করেন, তারপর রাবণ তোমাদের অভিশপ্ত করে । এই সময় ভারত অভিশপ্ত, খুব দুঃখী । এখন এই রাবণকে জয় করতে হবে । এমন গায়নও আছে – দান করলে গ্রহণ দোষ কাটে । ওই গ্রহণ যা হয়, তা তো পৃথিবীর উপর প্রতিচ্ছায়া । বাবা এখন বলছেন – তোমাদের উপর পাঁচ বিকার রূপী রাবণের গ্রহণ আছে । এই পাঁচ বিকারকে দান করে দিতে হবে । প্রথম তো এই দান করো যে, আমরা কখনো বিকারে যাবো না । এই কাম কাটারিই মানুষকে পতিত করে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবা যে জ্ঞান প্রদান করেন, তা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে । জ্ঞানের তৃতীয় নেত্রের সাহায্যে নিজের ৮৪ জন্মকে জেনে এখন এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হতে হবে ।

২ ) রাবণের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে । পাঁচ বিকারের দান করতে হবে । এক বাবার মতেই চলতে হবে ।

বরদানঃ-

বলা হয় – “যেমন সঙ্কল্প, তেমন সৃষ্টি”, নতুন সৃষ্টি রচনার নিমিত্ত যে বিশেষ আত্মারা আছে, তাদের এক একটি সঙ্কল্প শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ অলৌকিক হওয়া উচিত । স্মৃতি – বৃত্তি এবং দৃষ্টি, এই সব যখন অলৌকিক হয়ে যায়, তখন এই দুনিয়ার কোনো ব্যক্তি বা কোনো বস্তুই আকৃষ্ট করতে পারে না । যদি আকর্ষণ করে, তাহলে মনে করতে হবে, অলৌকিকতায় ঘাটতি আছে । অলৌকিক আত্মারা সর্ব আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top