10 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 9, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- সদা এই খুশীতেই থাকো যে, স্বয়ং ভগবান শিক্ষক হয়ে আমাদের পড়াতে এসেছেন, আমরা ওঁনার থেকে রাজযোগ শিখছি, প্রজাযোগ নয়"

প্রশ্নঃ --

এই পঠন-পাঠনের বিশেষত্ব কি ? তোমাদের কতদিন পর্যন্ত পুরুষার্থ করতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

এই পঠন-পাঠন যা অনেকসময় ধরে করে আসছে, তাদের থেকে নতুন বাচ্চারা তীব্রগতিতে এগিয়ে যায়। এই বিশেষত্বও রয়েছে যে, ৩ মাসের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন (তীব্র পুরুষার্থী) নতুন বাচ্চারা পুরোনোদের থেকেও এগিয়ে যেতে পারে। তোমাদের পুরুষার্থ ততক্ষণ পর্যন্ত করতে হবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণরূপে উত্তীর্ণ হচ্ছো, কর্মাতীত অবস্থা না হচ্ছে, সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুক্ত না হচ্ছে।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা কোথায় বসে রয়েছে ? অসীম জগতের পিতার স্কুলে। বাচ্চাদের অনেক উচ্চ নেশা থাকা উচিত। কার বাচ্চাদের ? অসীম জগতের বাবার বাচ্চাদের বা আধ্যাত্মিক বাচ্চাদের। বাবা আত্মাদেরকেই পড়ান। গুজরাটি অথবা মারাঠীদের পড়ান না। সে তো নাম-রূপই হয়ে গেল। তিনি পড়ানই আত্মাদের। বাচ্চারা, তোমরাও জানো যে আমাদের অসীম জগতের পিতা তিনিই যাকে ভগবান বলা হয়। অবশ্যই এ ভগবানুবাচই কিন্তু ভগবান কাকে বলা হয় — তা বোঝে না। কথিতও রয়েছে — শিব পরমাত্মায় নমঃ। পরমাত্মা তো অদ্বিতীয়। তিনি হলেন সর্বোচ্চ নিরাকার। তোমাদের ভগবান কৃষ্ণ পড়ান না। না কখনো পড়িয়েছেন। তোমরা জানো যে, আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। ঈশ্বর তো নিরাকারই হন। শিবের মন্দিরে যায়, ওঁনার পূজাও করে তাহলে অবশ্যই কোনো বস্তু আছে। নাম-রূপের ঊর্ধ্বে কোনও বস্তু হয় নাকি, না তা হয় না। এও তোমরা এখনই বুঝেছো। সমগ্র দুনিয়ায় কেউই জানে না। তোমরাও এখনই জানছো। অনেকপূর্ব থেকেই জেনে এসেছো। এমনও নয় যে বহুপূর্বে আগতদের থেকে নতুনরা তীব্রগতিতে যেতে পারবে না। এও ভালই। ৩ মাসের নতুন বাচ্চাও অত্যন্ত তীক্ষ্ণ হতে পারে। বলে যে — বাবা, এই আত্মার বুদ্ধি অতি তীক্ষ্ণ। নতুনরা যখন শোনে তখন অত্যন্ত গদ-গদ হয়ে যায়। এরা সকলেই গডলী স্টুডেন্ট। নিরাকার বাবা জ্ঞানের সাগর পড়াচ্ছেন। ভগবানুবাচের গায়নও রয়েছে, কিন্তু কবে ? তা ভুলে গেছে। বাচ্চারা, এখন তোমরাও জানো যে — এমনও কেউ আছে যার বাবা টিচার। কিন্তু সে একটি সাবজেক্টই পড়াবে, অন্য সাবজেক্টের অন্য টিচার পড়াবে। এখানে তো বাবা সব বাচ্চাদেরই টিচার। এ হলো ওয়ান্ডারফুল কথা। অগণিত বাচ্চা রয়েছে, যাদের নিশ্চয় রয়েছে যে শিববাবা আমাদের পড়ান। শ্রীকৃষ্ণকে তো বাবা বলতে পারবে না। কৃষ্ণকে এরকম টিচার, গুরুও মনে করে না। ইনি তো প্র্যাকটিক্যালি পড়াচ্ছেন। তোমরা বিভিন্নপ্রকারের স্টুডেন্টরা বসে রয়েছো। শিক্ষক-রূপে বাবা পড়ান, যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমরা উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছ। যতক্ষণ না কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করছো ততক্ষণ পর্যন্ত পুরুষার্থ করতে হবে। কর্মের হিসেব-নিকেশ থেকে মুক্ত হতে হবে। অন্তরে তোমাদের অত্যন্ত খুশী থাকা উচিত — বাবা আমাদের এমন দুনিয়ায় নিয়ে যান আর এরকম কোনো স্কুল হয় না যেখানে বাচ্চারা বসে রয়েছে আর মনে করে পরমধাম-নিবাসী বাবা এসে আমাদের পড়াবেন। এখন তোমরা যখন এখানে বসো আর মনে করো যে আমাদের অসীম জগতের পিতা আমাদের পড়ানোর উদ্দেশ্যেই আসেন। তখন অন্তরে অত্যন্ত খুশী হয়ে যাওয়া উচিত। বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। এ প্রজাযোগ নয়, এ হলো রাজযোগ। এই স্মরণের দ্বারাই বাচ্চাদের খুশীর পারদ চড়ে থাকা উচিত। কত বড় পরীক্ষা আর তোমরা কত সাধারণভাবে বসেছো। যেমন মুসলিমরা বাচ্চাদের শতরঞ্চির (কার্পেট) উপর বসে পড়ায়। তোমরা এই নিশ্চয়ের সঙ্গে এখানে আসো। এখন বাবার সম্মুখে বসে রয়েছো। বাবাও বলেন — আমি জ্ঞানের সাগর। আমি প্রতি কল্পে এসে রাজযোগ শেখাই। কৃষ্ণের ৮৪ জন্মই বলো বা ব্রহ্মার ৮৪ জন্মই বলো, একই কথা। ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ হয়। এ’কথা বুদ্ধিতে ভালভাবে ধারণ করতে হবে। বাবার সঙ্গে অতি প্রেম থাকা উচিত। আমরা আত্মারা সেই বাবার সন্তান, পরমপিতা পরমাত্মা এসে আমাদের পড়ান। কৃষ্ণ তো হতে পারে না। এমন করে কি কৃষ্ণ পড়িয়েছে, না তা পড়ায়নি। মুকুটাদি খুলে রেখে এসেছিলেন হয়তো। পড়াবেন যিনি তাকে তো বয়ঃবৃদ্ধ হতে হবে। এখন বাবা বলেন, আমি তো বৃদ্ধ শরীর ধারণ করেছি, এটা ফিক্সড। শিববাবা ব্রহ্মার মাধ্যমেই পড়ান। কথিতও রয়েছে, পরমপিতা পরমাত্মা অবশ্যই ব্রহ্মার মাধমে স্থাপন করেন। এখন ব্রহ্মা কোথা থেকে এসেছে, তা বোঝে না। প্রতিমুহূর্তে বাবা বসে থেকে বাচ্চাদের জাগৃত করেন। মায়া পুনরায় শুয়ে দেয়। এখন তোমরা সম্মুখে বসেছো, বোঝ যে আমি তোমাদের আধ্যাত্মিক পিতা। আমায় তো জানো, তাই না! গায়নও করা হয়, পরমপিতা পরমাত্মা জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন, দুঃখহর্তা, সুখকর্তা। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে একথা কখনো বলা হবে না। সম্মিলিতভাবে সকলকে তো পড়ানো যেতে পারে না। মধুবনে মুরলী পাঠ হয়, পরে তা সব সেন্টারে যায়। তোমরা এখন সম্মুখে রয়েছো। তোমরা জানো যে কল্প-পূর্বেও বাবা এভাবেই পড়িয়েছিলেন। এটাই ছিল সেইসময় যা পাস্ট হয়ে গেছে। তাকেই আবার প্রেজেন্ট হতে হবে। ভক্তিমার্গের কথা এখন ত্যাগ করতে হবে। এখন তোমাদের প্রেম জ্ঞানের সঙ্গে, প্রেম শিক্ষকের সঙ্গে। কেউ-কেউ যখন টিচারের কাছে পড়ে তখন তাদেরকে উপহার দেওয়া হয়। এই বাবা তো স্বয়ং-ই উপহার দেন। এখানে এসে সাকার-রূপে বাচ্চাদের দেখেন, এরা আমার সন্তান। বাচ্চাদের এই জ্ঞানও রয়েছে যে — সকলেই ৮৪ জন্ম নেয় না। কারোর এক জন্ম, সেও সুখ-দুঃখের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হবে। তোমরা এখন এইসব কথা বুঝতে পেরেছো। এ হলো মনুষ্য-সৃষ্টির পুষ্পস্তবক। প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রহ্মা-সরস্বতী, আদিদেব-আদিদেবী। তারপরে আবার অনেক ধর্ম হতে থাকে। তিনি হলেন সর্ব আত্মাদের বীজ-রূপ। বাকি সকলে হলো পাতা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা সকলের পিতা। এ’সময় প্রজাপিতা উপস্থিত রয়েছেন। উনি বসে-বসে শূদ্র থেকে কনভার্ট করে ব্রাহ্মণে পরিনত করেন। এমন কেউ করতে পারে না। বাবা-ই তোমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ করে পুনরায় দেবতায় পরিনত করার উদ্দেশ্যেই পড়াচ্ছেন। এ হলোই সহজ রাজযোগের পড়া। রাজা জনকও সেকেন্ডে জীবনমুক্তি পেয়েছেন অর্থাৎ স্বর্গবাসী হয়ে গেছেন। মানুষ গাইতে তো থাকে কিন্তু তারপরেও বোঝাতে পারে না। এখন বাবা বলেন — বাচ্চারা, দেহ-অভিমানী হও। তোমরা অশরীরী এসেছিলে, তারপর শরীর ধারণ করে নিজেদের ভূমিকা পালন করেছো। অবশ্যই ৮৪ জন্ম নিয়েছো। বাবা যিনি সত্যম, তিনি তো সত্যই বলবেন। রাজধানী হয়েছে, তাই না! রাজযোগ কি একজনই শিখবে নাকি, না তা নয়। তোমরা সকলেই এখন কাঁটা থেকে ফুলে পরিনত হতে চলেছো। কাঁটা এবং ফুল কাকে বলা হয় — সেও তোমরা এখনই বুঝতে পারছো। এ হলোই বিকারী(ছিঃ ছিঃ) কাঁটার জগৎ। আমরা ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করে নরকবাসী হয়েছি। পুনরায় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী রিপীট করা হবে । আমরা পুনরায় অবশ্যই স্বর্গবাসী হবো। প্রতি কল্পেই আমরা হই। প্রতিমুহূর্তে এ’কথা স্মরণ করতে হবে আর নলেজ বোঝাতে হবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ সূর্যবংশীয় ছিলেন। খ্রাইস্টের আগমনের পূর্বে অনেক স্বল্পসংখ্যক ছিল, রাজধানী ছিল না। বাবা এসে এখন সত্যযুগীয় রাজধানী স্থাপন করেন। স্থাপিত হয়ই সঙ্গমযুগে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে এ হলো — সত্যিকারের কুম্ভমেলা। আত্মা অসংখ্য, পরমাত্মা এক। পিতা-পরমাত্মা বাচ্চাদের কাছে আসেনই তাদের পবিত্র করতে। একেই সঙ্গমযুগের, কুম্ভমেলা বলা হয়। এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছো। বাবা এসে স্বর্গবাসী করেন, তারপরে নরক, পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হওয়া উচিত। প্রতিকল্পেই বিনাশ তো হয়ই। নতুন থেকে পুরোনো, পুরোনো থেকে নতুন হয়। এ তো অবশ্যই হবে। নতুনকে স্বর্গ, পুরোনোকে নরক বলা হয়। এখন তো মানুষের কতই বৃদ্ধি হতে থাকে। আনাজপাতি পাওয়া যায় না তখন মনে করে যে আমরা অনেক আনাজ উৎপাদন করবো, কিন্তু বাচ্চাও তো কত জন্ম নিতে থাকে। আনাজপাতি কোথা থেকে নিয়ে আসবে। এই জ্ঞান মানুষের ভালোও লাগে কিন্তু বুদ্ধিতে কিছুই বসে না। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে নরকের পর স্বর্গ আসবে। সত্যযুগের দেবী-দেবতারা এসে চলে গেছেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ভারতের মালিক ছিলেন, চিত্র রয়েছে। সত্যযুগে হয় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। এখন নিজেকে দেবতা ধর্মের বলে না, তার বদলে হিন্দু বলে। বাচ্চারা ভালভাবেই জানে যে আমরা এমন(দেবী-দেবতা) হতে চলেছি। বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা। বাবা বলেন — তা নাহলে আমি তোমাদের পড়াব কিভাবে! তিনি আত্মাদেরকেই পড়ান কারণ আত্মাতেই খাদ পড়ে। এখন তোমাদের নিখাদ সোনা হতে হবে, গোল্ডেন এজ থেকে সিলভার এজে অর্থাৎ রুপোর খাদ পড়ে তোমরা চন্দ্রবংশীয় হয়ে যাও। সত্যযুগ অর্থাৎ স্বর্ণযুগে ছিলে, সেখান থেকে অধঃপতনে গিয়েছো আবার বৃদ্ধিও তো হয়ে যায়। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে — আমরা গোল্ডেন, সিলভার, কপার, আয়রনে ৮৪-র চক্র পরিক্রমণ করে এসেছি। অসংখ্য বার এই ভূমিকা পালন করেছি, এই ভূমিকা পালন করা থেকে কেউই মুক্ত হতে পারে না। ওরা বলে, আমরা মোক্ষ চাই কিন্তু বাস্তবে বিরক্ত তো তোমাদের হওয়া উচিত। ৮৪-র চক্র তোমরা পরিক্রমা করেছো। মানুষ মনে করে আসা আর যাওয়া তো চলতেই থাকে, কেন না আমরা এরথেকে মুক্ত হয়ে যাই। কিন্তু এমন তো হতে পারে না। গুরুরাও বলে দেয় — তোমরা মোক্ষলাভ করবে। ব্রহ্মকে স্মরণ করো তাহলেই ব্রহ্মতে বিলীন হয়ে যাবে। অনেক মত-মতান্তর ভারতেই রয়েছে, আর কোনো স্থানে(খন্ডে) এত নেই। অগণিত মত রয়েছে, একটি অপরটির সঙ্গে মেলে না। রিদ্ধি-সিদ্ধিও (তন্ত্রমন্ত্র) অনেক শেখে। কেউ কেসর বের করে আনে, কেউ আরো কি-কি….. এতে মানুষ অত্যন্ত খুশী হয়। কিন্তু এখানে এ হলো স্পীরিচুয়্যাল নলেজ। তোমরা জানো — স্পীরিচুয়্যাল ফাদার, তিনি আত্মা-রূপী আমাদের পিতা। আধ্যাত্মিক পিতা আত্মাদের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। তিনি এসে সত্যনারায়ণের কথা শোনান বা অমরকথা শোনান যার দ্বারা অমরলোকের মালিকে পরিনত করেন, নর থেকে নারায়ণে পরিনত করেন। পরে পুনরায় কড়ি-তুল্য হয়ে যায়। এখন তোমরা হীরে-তুল্য অমূল্য জীবন প্রাপ্ত করেছো পুনরায় তা কড়ির পিছনে কেন নষ্ট করো ! এই দুনিয়ার আর কত বছর বাকি রয়েছে। কত লড়াই-ঝগড়া হতে থাকে, সব শেষ হয়ে যাবে। মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, পরে এত লক্ষ-কোটি কে বসে খাবে! একে সফল করা উচিত নয় কি ? এমন আধ্যাত্মিক কলেজ খুলে দিলে মানুষ এভার-হেল্দী, ওয়েল্দী, হ্যাপী হয়ে যাবে। তাও এ কম্বাইন্ডরূপে রয়েছে — হসপিটাল এবং ইউনিভার্সিটি। হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপীনেস তো আছেই। যোগের দ্বারা অবশ্যই দীর্ঘায়ু লাভ হয়। তোমরা কত সুসাস্থ্যের অধিকারী হয়ে যাও, তারপর কারুনের খাজানা (অপরিসীম সম্পদ) লাভ করো। আল্লাহ্-আলাদিনের নাটক দেখানো হয়, তাই না! তোমরা জানো, ঈশ্বর যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করেন, তাতে অনেক সুখ আছে। নামই হলো স্বর্গ। তোমরা শান্তিধাম নিবাসী ছিলে পরে তোমরাই সর্বপ্রথমে সুখধামে এসেছো পুনরায় ৮৪ জন্ম নিয়ে নীচে নেমে এসেছো। বাচ্চারা, প্রতিকল্পে আমি তোমাদের এভাবেই বসে বোঝাই। তোমরা নিজেদের জন্মকে জানো না, আমি তোমাদের বলে দিই। তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছো, এই বস্ত্র (শরীর) অপবিত্র। আত্মাও তমোপ্রধান হয়ে গেছে। বাবা সঠিক বলেন। বাবা কখনও ভুল বলবেন না। তিনিই হলেন সত্য (ট্রুথ)। সত্যযুগ হলোই নির্বিকারী দুনিয়া, ন্যায়নিষ্ঠ দুনিয়া। রাবণ পুনরায় অসাধু করে দেয়। এ হলোই অসত্য দুনিয়া। গাওয়াও হয় — মায়া মিথ্যা, কায়া মিথ্যা…. কেমন এই সংসার ? সমগ্র এই পুরোনো সংসারই অসত্য। সত্যযুগে সংসার সুখের ছিল। জগৎ একটিই, দুটি জগৎ নেই। নতুন দুনিয়া থেকে পুনরায় পুরোনো হয়। নতুন বাড়ী, পুরোনো বাড়ীর মধ্যে পার্থক্য তো থাকেই। নতুন যখন নির্মাণ হয় তখন মনে করে যে নতুনে বসি। এখানেও বাচ্চাদের জন্য নতুন বাড়ী নির্মাণ করা হয়, বাচ্চারা সংখ্যায় অধিক হতে থাকবে। বাচ্চারা, তোমাদের তো অত্যন্ত খুশী হওয়া উচিত। বাবা বলেন — আমার অর্থাৎ জ্ঞানসাগরের বাচ্চারা সকলে, কাম-চিতায় বসে সম্পূর্ণ জ্বলে-পুড়ে গিয়েছে বেচারারা। এখন পুনরায় তাদের জ্ঞান-চিতায় বসানো হয় জ্ঞান-চিতায় বসিয়ে স্বর্গের মালিক করে দেন। কাম-চিতায় বসে সম্পূর্ণই কালো হয়ে গেছে। কৃষ্ণকে শ্যাম-সুন্দর নাম দিয়েছে। কিন্তু অর্থ কেউই বুঝতে পারে না। এখন তোমরা কি থেকে কি হয়ে যাও। বাবা কড়ি থেকে হীরেতুল্য করে দেন সে’জন্য এতটা অ্যাটেনশন তো দেওয়া উচিত। বাবাকে স্মরণ করা উচিত। স্মরণের দ্বারাই তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই হীরে-তুল্য অমূল্য জীবনকে কড়ির অর্থাৎ সামান্য পাই-পয়সার জন্য হারিয়ে ফেলা উচিত নয়। মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেইজন্য নিজের সর্বকিছু আধ্যাত্মিক সেবায় সফল করতে হবে।

২ ) পড়াশোনা এবং যিনি পড়ান তাঁর সঙ্গে সত্যিকারের প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ঈশ্বর আমাদের পড়াতে আসেন, এই খুশীতে মত্ত থাকতে হবে।

বরদানঃ-

যদি বুদ্ধির যোগসূত্র (সম্বন্ধ) একমাত্র বাবার সঙ্গেই জুড়ে থাকে তবে সর্বশক্তির (পারলৌকিক) পিতৃদত্ত সম্পদ অধিকার-রূপে প্রাপ্ত হয়। যারা নিজেদের অধিকারী মনে করে সর্বকার্য সম্পন্ন করে তাদের বাণী অথবা সঙ্কল্পেও চাইবার আবশ্যকতা থাকে না। এই অধিকারবোধের স্মৃতিই সর্বশক্তিগুলিকে প্রাপ্ত করার অনুভব করায়। সেইজন্য যেন এই নেশা থাকে যে সর্বশক্তি আমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার। অধিকারী হয়ে চলো তবেই অধীনতা সমাপ্ত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top