03 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 2, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- আত্ম-অভিমানী ভব, চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে এই অভ্যাসেই রত হও তবেই তোমাদের অত্যন্ত উন্নতি সাধন হতে থাকবে"

প্রশ্নঃ --

বাবার স্মরণ সঠিকভাবে কোন্ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকবে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা বাবাকে সঠিকভাবে (অ্যাকিউরেট) জেনেছে। অনেক বাচ্চারা বলে যে, বিন্দুকে আবার কিভাবে স্মরণ করবো। ভক্তিতে অখন্ড জ্যোতি মনে করে স্মরণ করে এসেছো, এখন বিন্দু বললে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, সেইজন্য সর্বপ্রথমে এই নিশ্চয় হোক যে, বাবা অখন্ডজ্যোতি নয়, তিনি তো অতি সূক্ষ্ম বিন্দু, তবেই স্মরণ সঠিকভাবে হতে পারে।

ওম্ শান্তি । সমস্ত বাচ্চারাই স্মরণ করতে বসেছে। “মন্মনাভব” । এই সংস্কৃত শব্দটি বাস্তবে নেই। বাবা যখন সহজ রাজযোগ শিখিয়েছিলেন তখন এই সংস্কৃত শব্দটি বলেননি। ইনি তো সংস্কৃত জানেনই না। বাবা তো হিন্দীতেই বোঝান। যদিও এই রথ হিন্দী, সিন্ধী তথা ইংরেজী জানেন কিন্তু বাবা হিন্দীতে বোঝান। যারা যে ধর্মের তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এখানে হিন্দী ভাষাই চলে, এই ভাষায় বোঝানো সহজ এবং এই স্কুলও ওয়ান্ডারফুল। এখানে কোনো কাগজ, পেন্সিল, পত্রাদির প্রয়োজনই পড়ে না। এখানে তো কেবল একটি শব্দকে স্মরণ করতে হয় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। গডকে বা ঈশ্বরকে অথবা পরমপিতা পরমাত্মাকে কেউই স্মরণ করে না — এ অসম্ভব, স্মরণ সকলেই করে কিন্তু ওঁনার পরিচয় জানা নেই। বাবা-ই এসে নিজের পরিচয় দেন। শাস্ত্রে কল্পের আয়ু যে এত দীর্ঘ লিখে রেখেছে, তা বাবা-ই এসে বোঝান। বিশাল বড় কোনও কথা নয়। অহল্যারা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধ মাতারা কি বুঝবে ! এ তো অতি সহজ। এ তো ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারে। বাবা শব্দটি কোনো নতুন শব্দ নয়। শিবের মন্দিরে গেলে তখন বুদ্ধিতে আসে যে, ইনি শিববাবা, তিনি নিরাকার। সকল মানুষমাত্রই ওঁনাকে বাবা বলে থাকে। আমাদের অর্থাৎ সকল আত্মাদের বাবা হলেন একজনই। সকল জীবের আত্মাই, যা শরীরে নিবাস করে, বাবাকে স্মরণ করে। সকল ধর্মাবলম্বী যারা-ই হোক না কেন, সকলেই পরমপিতা পরমাত্মাকে অবশ্যই স্মরণ করে। তিনি তো পরমধাম নিবাসী বাবা। আমরাও সেখানকারই বাসিন্দা। সে’জন্য এখন কেবল বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। ইচ্ছাও থাকে যে আমরা পবিত্র হই। আহ্বানও করে — হে অপবিত্রদের পবিত্রকারী, এসো। নতুন দুনিয়া পবিত্র ছিল, এখন পুনরায় পুরোনো হয়েছে, একে কেউ নতুন বলবে না। ভারতবাসীরা জানে — নবভারতে দেবী-দেবতারা রাজ্য করতেন। যখন নতুন ভারত ছিল, তো তার পূর্বে কি ছিল ? সঙ্গম। এর থেকেও সহজভাবে বলা উচিত। নতুনের পূর্বে পুরোনো ছিল। সঙ্গমকে মানুষ এত সহজভাবে বুঝতে পারে না। নিউ ওয়ার্ল্ড, ওল্ড ওয়ার্ল্ডের মধ্যভাগকে বলা হয় সঙ্গম। বাবার উদ্দেশ্যেই বলে থাকে — হে পতিত-পাবন এসো, এসে আমাদের পবিত্র কর। আমরা পতিত হয়ে গেছি। নতুন দুনিয়ায় কেউ ডাকবে না। এখন তোমাদের বোধ এসে গেছে যে ভারতই পবিত্র ছিল। হে পতিত-পাবন এসো, এভাবে তো অনেকসময় ধরেই ডেকে এসেছে। তাদের এ’কথা জানা নেই যে পতিত-দুনিয়া কবে সমাপ্ত হবে। তারা বলে — শাস্ত্রে এভাবেই লেখা রয়েছে যে কলিযুগ (পতিত-দুনিয়া) এখন আরো ৪০ হাজার বছর ধরে চলবে। সম্পূর্ণ গভীর অন্ধকারে রয়েছে। এখন তোমরা আলোয় রয়েছো। বাবা তোমাদের এখন আলোয় নিয়ে এসেছেন ৫ হাজার বছরে সৃষ্টির এই চক্র সম্পূর্ণ হয়। যেন কালকেরই কথা। তোমরা রাজত্ব করতে, অবশ্যই এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, স্বর্গ ছিল। পবিত্র দুনিয়ায় কোনো উপদ্রব ইত্যাদি হতে পারে না। উপদ্রব হয়ই রাবণ-রাজ্যে। এখানে বাবা তোমাদের বোঝান, তোমরা সম্মুখে বসে কর্ণগোচর করো। কে শোনে ? আত্মা। আত্মা অত্যন্ত খুশী হয়, বাবা এসে পুনরায় আমাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিলাম, এখন বাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো। এখানে কোনও লেখা-পড়ার কথাই নেই। যখন কেউ আসে তখন জিজ্ঞাসা করা হয় — আপনি কিসের জন্য এসেছেন ? তখন বলবে এখানকার মহাত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ? কেন ? আপনার কি চাই ? বলো কোনোকিছু ভিক্ষা চাই ? যদি সন্ন্যাসী হও রুটির টুকরো (ভোজন) চাই। সন্ন্যাসীরা কারও কাছে গেলে বা রাস্তায় সাক্ষাৎ হলে ধার্মিক মানুষেরা বোঝে যে, এরা তো তবুও পবিত্র মানুষ, এদের ভোজন করানো ভাল। এখন তো পবিত্রতাও নেই। সম্পূর্ণ তমোপ্রধান দুনিয়া, এখানে অনেক নোংরা অর্থাৎ অপবিত্রতা রয়েছে। মানুষ কত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এখানে তো উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কথাই নেই। বাবা বলেন, লেখালেখির কোনও কথাই নেই। কিন্তু এরা পয়েন্টস্ ইত্যাদিও লেখে — ধারণ করার জন্য। যেমন ডাক্তারদের কাছেও কত ওষুধ থাকে। এতসব ওষুধ স্মরণে থাকে। ব্যারিস্টারের বুদ্ধিতেও কত আইনের কথা মনে থাকে। তোমাদের কি স্মরণ করতে হবে — একটি কথা, সেও অতি সহজ। তোমরা বলো যে একমাত্র শিববাবাকেই স্মরণ করো। ওরা বলে শিববাবা কিভাবে আসবে। এ’কথাও তোমরা ব্যতীত আর কারোর জানা নেই। ঈশ্বর কোথায় ? ওরা বলে নাম-রূপের ঊর্ধ্বে অথবা বলে দেয় সর্বব্যাপী। রাত-দিনের পার্থক্য হয়ে যায় — দুটি শব্দের মধ্যে। নাম-রূপের ঊর্ধ্বে কোনও বস্তুই হয় না। পুনরায় বলে দেয় — কুকুর, বিড়াল সবকিছুর মধ্যে পরমাত্মা রয়েছে। দুটিই পরস্পর-বিরোধী কথা হয়ে গেছে। সেইজন্য বাবা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন — আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। গাওয়াও হয় — সহজ রাজযোগ। বাবা বলেন — ‘যোগ’ শব্দটি সরিয়ে দাও, স্মরণ কর। যেমন ছোট বাচ্চা মা-বাবাকে দেখতে পেলেই তৎক্ষণাৎ গলা জড়িয়ে ধরে। প্রথমে সে ভাববে কি যে এরা আমার মা-বাবা কিনা ? না, এখানে চিন্তার কোনো কথাই নেই। তোমাদের কেবল শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। ভক্তিমার্গেও তোমরা শিবের উপর পুষ্পার্পণ করে এসেছো। সোমনাথের মন্দির কত ঐশ্বর্য্যে সমৃদ্ধ করে নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পরে মহম্মদ গজনবী এসে লুন্ঠন করে। ভারতে সোমনাথ মন্দির বিখ্যাত। সর্বপ্রথমে তো শিবের পূজা হওয়া উচিত। বাচ্চাদের এ’সমস্ত নলেজ এখন বুদ্ধিতে এসেছে। যদিও পূজা ইত্যাদি করে এসেছো কিন্তু তোমাদের জানা ছিল না যে, এ হলো জড় চিত্র। চৈতন্যে অবশ্যই কখনও এসেছিল তবেই তো প্রতিবছর শিব-জয়ন্তী পালন করা হয়। এও বলে — শিব পরমাত্মা হলেন নিরাকার। আত্মা জানে আমরাও নিরাকার। এখন তোমরা আত্ম-অভিমানী হও, অতি সহজ। উনি তো আমাদের বাবা। জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, পতিত-পাবন। ওঁনার মহিমা অপার। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরের মহিমা এত নয়। একজনের মহিমাই গাওয়া হয়। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো — বাবা এসে আমাদের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন। যেমনভাবে লৌকিক পিতা বাচ্চাদের লালন-পালন করে কিন্তু পড়ায় না। পঠন-পাঠনের জন্য স্কুলে যায়, পরে বাণপ্রস্থে আবার গুরু করে। আজকাল ছোট-বড় সকলকেই গুরু করে দেয়। বাচ্চারা, এখানে তো তোমাদের বলা হয় — শিববাবাকে স্মরণ করো, সকলেরই অধিকার রয়েছে। সকলেই আমার সন্তান। তোমাদের মধ্যেও কেউ-কেউ আছে যারা সঠিকভাবে স্মরণ করে। অনেকেই বলে — বাবা, কিভাবে স্মরণ করবো ? বিন্দুকে কিভাবে স্মরণ করবো ? বড় বস্তুকে স্মরণ করা যায়। আচ্ছা, পরমাত্মা যাঁকে তোমরা স্মরণ করো সেই বস্তুটি কী ? তখন বলে ফেলে যে, অখন্ড জ্যোতি-স্বরূপ। কিন্তু তেমনটি নয়। অখন্ড জ্যোতিকে স্মরণ করা ভুল। স্মরণ তো সঠিকভাবে করা উচিত। প্রথমে সঠিকভাবে জানা উচিত। বাবা-ই এসে নিজের পরিচয় দেন আর পরে বাচ্চাদেরকে সমগ্র সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের সমাচার শোনান। বিস্তারিতভাবেও আবার সংক্ষেপেও। বাচ্চারা, এখন বাবা বলেন যে, তোমাদের যদি পবিত্র হতে হয় তবে তারজন্য একটিই উপায় রয়েছে — আমায় স্মরণ করো, আমায় তো বলোই পতিত-পাবন। আত্মাকে পবিত্র করতে হবে। আত্মাই বলে যে আমরা অপবিত্র হয়ে গেছি। আমরা পবিত্র ছিলাম, এখন অপবিত্র হয়ে গেছি। সবকিছুই তমোপ্রধান। প্রত্যেকটি বস্তুই প্রথমে সতোপ্রধান পরে তমোপ্রধান হয়ে যায়। আত্মা স্বয়ং বলে — আমি পতিত হয়ে গেছি, আমায় পবিত্র করো। শান্তিধামে পতিত থাকে না। এখানে অপবিত্র হয় তাই দুঃখী। যখন পবিত্র ছিলে তখন সুখী ছিলে। তাই আত্মাই বলে — আমাদের পবিত্র করো তবেই আমরা দুঃখ থেকে মুক্ত হয়ে যাব। তোমরা জানো যে আত্মাই সবকিছু করে। আত্মাই জজ, ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়। আত্মাই বলে — আমি রাজা, আমি অমুক। এখন এই শরীর পরিত্যাগ করে অন্য ধারণ করতে হবে। একে বলা হয় আত্ম-অভিমানী। দেহ থাকতেও আত্ম-অভিমানী। রাবণের রাজ্যে দেহ-অভিমানী হয়ে যায়। এখনই বাবা আত্ম-অভিমানীতে পরিনত করেন। এইসময় আত্মা অপবিত্র, দুঃখী সেইজন্য আহ্বান করে — বাবা এসো। এও তোমরা জানো যে ড্রামা প্ল্যান অনুসারেই পতিত থেকে পবিত্র, পবিত্র থেকে পতিত হয়। চক্র পুনরাবৃত হতেই থাকে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে বসেছে যে আমাদের ৮৪ জন্ম কিভাবে হয়েছে। এখন এ’কথা ভুলে যেয়োনা। স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে থাকো। উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে আমাদের বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের সমগ্র নলেজ রয়েছে। তোমরা জানো, অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে আমরা অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। বাবা বাচ্চাদের বোঝান যে, তোমাদের অদ্বিতীয় পিতাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, টুকরো রুটি ভোজন করতে হবে। ব্যস। প্রতিমুহূর্তে বাবা মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে বলেন — বাচ্চারা, পেটের জন্য কেবল এক টুকরো রুটি খেতে হবে। পেট কিন্তু অধিক খায় না। আড়াই’শো গ্রাম আটা খায়। ডাল-রুটি ব্যস। ১০ টাকাতেও মানুষ পেট ভরায় আবার ১০ হাজার টাকাতেও পেট চালায়। দরিদ্ররা খায়ই বা কি ! তবুও শক্তপোক্তই থাকে। বিভিন্নপ্রকারের জিনিস মানুষ খায় তাই আরোই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকেরাও বলেন — একধরনের খাবার খাও তাহলে অসুস্থ হবে না। তাই বাবাও বোঝান — এক টুকরো রুটি খাও। যা পাবে তাতেই খুশী থেকো। ডাল-রুটির মতন কোনও জিনিস হয়ই না। অধিক লালসা থাকাও উচিত নয়। সন্ন্যাসীরা কি করে ? ঘর-বাড়ী পরিত্যাগ করে জঙ্গলে চলে যায়। তত্বকে পরমাত্মা মনে করে স্মরণ করে, তারা মনে করে ব্রহ্মতে বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু এমন তো হয় না। আত্মা তো অমর। বিলীন হওয়ার কোনো কথাই নয়। এছাড়া আত্মা তো পবিত্র, অপবিত্র হয়। তোমরা কত সঠিক জ্ঞান পেয়েছো। তোমরাই প্রালব্ধ(ফল) ভোগ করো পরে এই জ্ঞান ভুলে যাও। তখন সিড়ি ধরে নীচে নেমে যেতে হয়। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সমগ্র জ্ঞানই বসে রয়েছে। আমরা ৮৪ জন্ম কিভাবে ভোগ করি। এই ভূমিকা (পার্ট) পালন কখনও কারোর বন্ধ হয়ে যায় না। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা যা পুনরাবৃত হতেই থাকে। এ’কথা বলা যাবে না যে ভগবান কবে, কিভাবে, কোথায় বসে তৈরী করেছেন ? না। এ তো ঘটেই চলেছে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী পুনরাবৃত হতেই থাকে। এ’সমস্ত কথা কেউ বোঝেই না। তোমরা জানো — আমরা ড্রামা প্ল্যান অনুসারেই এসেছি। পুনরায় এখন ড্রামানুসারেই রাজ্য প্রাপ্ত করছি। এ’সমস্ত কথা আর কেউ বুঝতে পারে না। জিজ্ঞাসা করা হয় — ড্রামা সর্বশক্তিমান নাকি ঈশ্বর ? তখন বলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। মনে করে, তিনি সর্বকিছুই করতে পারেন। বাবা বলেন — আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। অপবিত্রকে পবিত্র করতে আমায় আসতে হয়। তোমরা সত্যযুগে সুখী হয়ে যাও। আমিও তখন বিশ্রামে চলে যাই — পরমধামে। তোমরা আমার মাথায়-কোলে চড়ে যাও। সিংহই তোমাদের বাহন(সত্যযুগে)। তোমরা জানো যে, সেকেন্ড বাই সেকেন্ড যা কিছুই অতিক্রান্ত হয়ে যায় তা ড্রামায় পূর্ব-নির্ধারিত। বাচ্চারা, তোমাদের কাছে কত ভালো নলেজ রয়েছে। এখন কেবল বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। ব্যস্, কাগজ, পেন্সিল ইত্যাদির কোনও প্রয়োজন নেই। ব্রহ্মাবাবাও পড়েন, উনি তো কিছুই রাখেন না। কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে তবেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। কত সহজ। স্মরণের দ্বারাই তোমরা এভার-হেল্দী (সদা-সুস্থ) হবে। এ হলো ধারণার বিষয়। লেখায় কি লাভ হবে, এ’সবকিছুই তো বিনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ আবার স্মরণে রাখার জন্য লেখে। যেমন কোনও কথা স্মরণে রাখার জন্য গিঁট বেঁধে রেখে দেয়। তোমরাও গিঁট বেঁধে রাখো যে শিববাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে। এ তো অতি সহজ — যোগ অর্থাৎ স্মরণ। বলে — বাবা স্মরণ করতে মনে থাকে না। যোগে কিভাবে বসবো ? আরে, লৌকিক বাবার চিন্তা উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতেও থাকে, তোমরা কেবল স্মরণ করো। ব্যস, তরী পার। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের চক্রকে আবর্তিত করতে হবে। অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে, পবিত্র হতে হবে।

২ ) কোনো জিনিসের জন্য লোভ করবে না। যা পাওয়া যাবে তাতেই খুশীতে থাকতে হবে। টুকরো রুটি খেতে হবে, বাবার স্মরণে থাকতে হবে।

*বরদানঃ-*

যে বাচ্চাদের বুদ্ধি-রূপী চরণ, মর্যাদার গন্ডীর বাইরে এতটুকুও বেরোয় না তারা সৌভাগ্যশালী (লাকি) এবং রমণীয় (লাভলী) হয়ে যায়। তাদের কখনো কোনো বিঘ্ন অথবা ঝড়, সমস্যা, উদাসীনতা আসতে পারে না। যদি আসে তবে বুঝতে হবে যে অবশ্যই বুদ্ধি-রূপী চরণ মর্যাদার গন্ডীর বাইরে বেরিয়েছে। গন্ডীর বাইরে যাওয়া অর্থাৎ ফকির হয়ে যাওয়া, সেইজন্য কখনও ফকির অর্থাৎ ভিক্ষুক নয়, সর্বপ্রাপ্তিসম্পন্ন শক্তিশালী হও।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top