20 January 2023 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

19 January 2023

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা পীস অর্থাৎ শান্তি স্থাপন করার নিমিত্ত হয়েছো, তাই খুব শান্তিতে থাকতে হবে, বুদ্ধিতে যেন থাকে যে, আমরা বাবার অ্যাডপ্টেড সন্তানরা নিজেদের মধ্যে হলাম ভাই বোন”

প্রশ্নঃ --

সম্পূর্ণ স্যারেন্ডার কাকে বলবে, তার নিদর্শন কি হবে?

উত্তরঃ -:-

সম্পূর্ণ স্যারেন্ডার হলো সে, যার বুদ্ধিতে থাকে যে, আমরা ঈশ্বরীয় মাতা-পিতার কাছে প্রতিপালিত হই। বাবা এই সবকিছু আপনার, আপনি আমাদের প্রতিপালন করছেন। চাকরী বাকরি হয়তো করছে কিন্তু বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে পারে এই সব বাবার জন্য। বাবাকে সহযোগিতা করতে থাকে, তার দ্বারা এমন বিশাল যজ্ঞের কারবার চলে, সকলের পালনা হয়…. এমন বাচ্চারাও অর্পণ বুদ্ধি হয়েছে। সাথে উঁচু পদ প্রাপ্তির জন্য পড়তে হবে এবং পড়াতেও হবে। শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করতে করতে অসীম জগতের মাতা-পিতাকে শ্বাসে প্রশ্বাসে স্মরণ করতে হবে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়….

ওম্ শান্তি । এই গীত হল প্রশস্তি সূচক (মহিমা বর্ণনা)। বাস্তবে সম্পূর্ণ মহিমা হলো উঁচু থেকে উঁচু পরমাত্মার, যাঁকে বাচ্চারা জানে এবং বাচ্চাদের দ্বারা সমগ্র দুনিয়া জানে যে, উনিই হলেন আমাদের মাতা পিতা। এখন তোমরা মাতা-পিতার সাথে পরিবারে বসে আছো। শ্রীকৃষ্ণকে তো মাতা-পিতা বলা যাবে না। যদিও ওনার সাথে রাধেও আছে তবুও তাকে মাতা পিতা বলবে না, কারণ তারা হলেন প্রিন্স-প্রিন্সেস। শাস্ত্রে এই ভুল রয়েছে। এখন ইনি অসীম জগতের পিতা তোমাদেরকে সব শাস্ত্রের সার বলে দিচ্ছেন। যদিও এই সময় শুধুমাত্র তোমরা বাচ্চারা সম্মুখে বসে আছো। কোনও বাচ্চারা দূরে আছে কিন্তু তারাও শুনছে। তারা জানে যে, মাতা-পিতা আমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন এবং সদা সুখী বানানোর পথ বা যুক্তি বলে দিচ্ছেন। এও হুবহু যেন ঘর-পরিবার । অল্প সংখ্যায় বাচ্চারা এখানে আছে, অনেকে তো বাইরে আছে। এ’হল ব্রহ্মা মুখ বংশী, নতুন রচনা। ওরা হল পুরানো রচনা। বাচ্চারা জানে যে, বাবা আমাদের সদা সুখী বানাতে এসেছেন। লৌকিক মাতা-পিতাও বাচ্চাদেরকে বড় করে স্কুলে নিয়ে যায়। এখানে অসীম জগতের পিতা আমাদের পড়াচ্ছেন, তার সাথে প্রতিপালনও করছেন। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এক ব্যতীত দ্বিতীয় আর কেউ নেই। মাতা-পিতাও বোঝেন এরা আমাদের সন্তান। লৌকিক পরিবারে ১০-১৫ জন সন্তান থাকবে, ২-৩ জনের বিবাহ হয়ে গিয়ে থাকবে। এখানে তো এরা সবাই বাবার সন্তানেরা বসে আছে। যত বাচ্চাদের জন্ম হবে তা এখন এই ব্রহ্মা মুখ কমলের দ্বারাই হবে। পরে আর কোনো সন্তানের জন্ম দেওয়া হবে না, কারণ সবাইকে ফিরে যেতে হবে। এই একজনই অ্যাডপ্টেড মাতা নিমিত্ত হয়েছেন । এ’হল খুবই ওয়ান্ডারফুল কথা। এটা তো ঠিকই যে গরিবের সন্তান বুঝবে যে, আমার পিতা গরিব। ধনীর সন্তান বুঝবে যে, আমার পিতা বিত্তবান। লৌকিক মা বাবা তো অনেক । ইনি তো হলেন সম্পূর্ণ জগতের একমাত্র মাতা-পিতা। তোমরা সবাই জানো যে, আমরা এনার মুখের দ্বারা অ্যাডপ্ট হয়েছি। উনি আমাদের পারলৌকিক মাতা-পিতা। উনি আসেনই পুরানো সৃষ্টিতে, যখন মানুষ খুব দুঃখী হয়। বাচ্চারা জানে যে, আমরা পারলৌকিক মাতা-পিতার কোলে আশ্রয় নিয়েছি। আমরা নিজেদের মধ্যে সবাই হলাম ভাই-বোন। অন্য কোনো সম্বন্ধ নেই। অতএব ভাইবোনদের একে অপরের সাথে খুব মিষ্টি, রয়্যাল, পীসফুল, নলেজফুল, ব্লিস ফুল হওয়া উচিত। কারণ তোমরা পীস অর্থাৎ শান্তি স্থাপন করছো, তাই তোমাদেরকে খুব শান্তিতে থাকা উচিত। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে, আমরা পারলৌকিক পিতার অ্যাডপডেট সন্তান। পরম ধাম থেকে বাবা এসেছেন। উনি হলেন ঠাকুর দাদা (দাদু বা গ্র্যান্ড ফাদার), ইনি হলেন দাদা (বড় ভাই), যারা সম্পূর্ণ স্যারেন্ডার হয়েছে তারা বুঝবে আমরা ঈশ্বরীয় মাতা-পিতার কাছে প্রতিপালিত হই। বাবা এইসবই আপনার। আপনি আমাদের প্রতিপালন করেন। যে বাচ্চারা অর্পণ করে, তাদের সবার দ্বারা প্রতিপালন হয়। কেউ যদি চাকরী বাকরিও করে তবুও বোঝে যে, সবকিছু বাবার জন্য। তাই বাবাও সাহায্য করেন। নাহলে যজ্ঞের কারবার কীভাবে চলবে। রাজা-রানীকেও মাতা-পিতা বলা হয়। কিন্তু তারা দৈহিক মাতা-পিতা । রাজ-মাতাও বলা হয় তো রাজ-পিতাও বলা হয়। ইনি হলেন অসীমের। বাচ্চারা জানে যে আমরা মাতা-পিতার সাথে বসে আছি। এই কথাও বাচ্চারা জানে যে, আমরা যতখানি পড়াশোনা করবো এবং করাবো ততই উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবো। তার সঙ্গে শরীর নির্বাহের জন্য কর্মও করতে হবে। এই দাদা (ব্রহ্মা বাবাও) হলেন বৃদ্ধ। শিববাবাকে কখনও বৃদ্ধ বা যুবক বলা হবে না। উনি হলেন নিরাকার। এই কথাও তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা, আমাদেরকে নিরাকার পিতা অ্যাডপ্ট করেছেন এবং সাকারে আছেন ব্রহ্মাবাবা। অহম্ আত্মা বলে আমরা পিতাকে আপন করেছি। তারপরে নীচে নেমে বলবে আমরা ভাই বোনেরা ব্রহ্মাকে আপন করেছি। শিববাবা বলেন – তোমরা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী হয়েছো। ব্রহ্মাও বলেন তোমরা আমাদের সন্তান হয়েছো। তোমরা ব্রাহ্মণ, তোমাদের বুদ্ধিতে শ্বাসে প্রশ্বাসে এই চলবে যে, ইনি আমাদের পিতা, উনি আমাদের দাদা। পিতার থেকে বেশি দাদুকে স্মরণ করা হয়। মানুষ তো বাবার সাথে ঝগড়া বিবাদ করেও ঠাকুরদাদার প্রপার্টি নিয়ে নেয়। তোমাদেরকেও চেষ্টা করে বাবার থেকেও বেশি ঠাকুরদাদার থেকে অবিনাশী সম্পদ প্রাপ্ত করতে হবে। বাবা যখন জিজ্ঞাসা করেন তখন সবাই বলে আমরা নারায়ণকে বরণ করবো। কেউ কেউ নতুন নতুন এসে পবিত্রতা ধারণ করতে পারতো না তাই হাতও তুলতে পারতো না। তারা বলতো মায়া খুব প্রবল। তারা তো বলতেও পারতো না আমরা শ্রী নারায়ণকে বা শ্রী লক্ষ্মীকে বরণ করবো। দেখো, যখন বাবা সম্মুখে বসে শোনান তখন খুশীর পারদ কত ঊর্ধ্বে থাকে। বুদ্ধিকে রিফ্রেশ করা হয় তখন নেশা বৃদ্ধি পায়। তারপরে সেই নেশা কারো স্থায়ী থাকে, কারো কম হয়ে যায়। অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করতে হবে, ৮৪ জন্মকে স্মরণ করতে হবে এবং চক্রবর্তী রাজত্বকে স্মরণ করতে হবে। যারা স্বীকার করতে পারবে না তাদের স্মরণও টিকবে না। বাপদাদা বুঝতে পারেন যে, বাবা-বাবা বলে কিন্তু প্রকৃত সত্য স্মরণ করে না এবং না লক্ষ্মী-নারায়ণকে বরণ করার যোগ্যতা আছে। তাদের আচার-আচরণে এমন । অন্তর্যামী বাবা প্রত্যেকের বুদ্ধিকে বোঝেন। এখানে শাস্ত্রের কোনও কথা নেই। বাবা এসে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করেন, যার নাম গীতা রেখেছে। বাকি তো ছোটখাটো ধর্মের সব মানুষ নিজের নিজের শাস্ত্র তৈরি করে পাঠ করে। বাবা শাস্ত্র পড়েন না। বলেন, বাচ্চারা – আমি তোমাদেরকে স্বর্গের পথ বলে দিতে এসেছি। তোমরা যেমন অশরীরী এসেছিলে, তেমনই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। দেহ সহ সব এই দুঃখের কর্মবন্ধন গুলি ত্যাগ করতে হবে, কারণ দেহও দুঃখ দেয়। অসুখ করলে ক্লাসে আসতে পারবে না। তো এও হল দেহের বন্ধন, এতেই বুদ্ধি খুব শক্তিশালী চাই। প্রথমে তো এই দৃঢ় নিশ্চয় চাই যে, অবশ্যই বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা। এখন হল নরক। যখন কেউ মারা যায় তখন বলে স্বর্গে গেছে অর্থাৎ নিশ্চয়ই নরকে ছিল, তাইনা। কিন্তু এ’কথা তোমরা এখন বুঝেছো কারণ তোমাদের বুদ্ধিতে স্বর্গ আছে। বাবা রোজ নতুন নতুনভাবে বোঝান। কথাটি যাতে বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে বসে যায়। উনি হলেন আমাদের অসীম জগতের মাতা-পিতা । তখন বুদ্ধি একেবারে উপরে চলে যাবে। তারপরে বলবে এই সময় বাবা আবুতে আছেন। যেমন যাত্রা করতে যায় তখন বদ্রীনাথের মন্দির উপরে আছে। পান্ডারা নিয়ে যায়, বদ্রীনাথ স্বয়ং তো ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন না। মানুষ পান্ডা হয় । এখানে শিববাবা নিজে আসেন পরমধাম থেকে। বলেন হে আত্মারা, তোমাদেরকে এই শরীর ত্যাগ করে শিবপুরীতে যেতে হবে। যেখানে যেতে হবে তার চিহ্ন তো অবশ্যই স্মরণে থাকবে। বদ্রীনাথ স্বয়ং চৈতন্য স্বরূপে এসে বাচ্চাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাবেন, এমন তো হতে পারে না। উনি তো নিজেই এখানকার নিবাসী। এ’কথা পরমপিতা পরমাত্মা বলেন আমি পরমধামের নিবাসী। তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি। শ্রীকৃষ্ণ তো এমন বলবেন না। রুদ্র শিববাবা বলেন, এই রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেছেন। গীতায়ও রুদ্রের কথা লেখা আছে। শিববাবা, আত্মাদের পিতা (রূহানী পিতা) বলেন – আমাকে স্মরণ করো। বাবা এমন যুক্তি দিয়ে যাত্রা শেখান যে, এখন যদি বিনাশ হয় তবে তোমরা আত্মারা শরীর ত্যাগ করে সোজা বাবার কাছে চলে যাবে। তখন তো শুদ্ধ আত্মার শুদ্ধ শরীর চাই আর সেসব হবে যখন নতুন সৃষ্টি হবে। এখন তো সব আত্মারা মশার মতো ফিরে যাবে, বাবার সাথে, তাই তাঁকে মাঝি বলা হয়। এই ভব সাগর থেকে পার করিয়ে নিয়ে যান। শ্রীকৃষ্ণকে মাঝি বলা হয় না। কেবলমাত্র বাবা এসে এই দুঃখের সংসার থেকে সুখের সংসারে নিয়ে যান। এই ভারত বিষ্ণুপুরী, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। এখন রাবণপুরী হয়েছে। রাবণের চিত্রও দেখানো উচিত। চিত্রের দ্বারা অনেক কাজ উদ্ধার হয়। যেমন আমাদের আত্মা তেমন বাবারও আত্মা। আমরা শুধু প্রথমে ছিলাম জ্ঞানহীন, উনি হলেন জ্ঞানের সাগর। জ্ঞান হীন তাদের বলা হয়, যারা রচয়িতা এবং রচনার কথা জানেনা। রচয়িতার দ্বারা যারা রচয়িতা এবং রচনাকে জানে তাদেরকে জ্ঞানী বলা হয়। এই জ্ঞান তোমরা এখানে প্রাপ্ত কর। সত্যযুগে প্রাপ্ত হয় না। তারা বলে পরমাত্মা হলেন বিশ্বের মালিক। মানুষ সেই মালিককে স্মরণ করে, কিন্তু বাস্তবে বিশ্বের অথবা সৃষ্টির মালিক তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হন। নিরাকার শিববাবা তো বিশ্বের মালিক হন না। তাই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে মালিক হলেন নিরাকার, না, সাকার ? নিরাকার তো সাকার সৃষ্টির মালিক হতে পারেন না। উনি হলেন ব্রহ্মাণ্ডের মালিক। উনি এসে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র বানান। উনি নিজে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হন না। পবিত্র দুনিয়ার মালিক তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হন এবং মালিক বানান নিরাকার বাবা । এ’হল খুবই গুহ্য কথা, বুঝবার মতো কথা। আমরা আত্মারাও যখন ব্রহ্ম তত্বে বাস করি তখন ব্রহ্মাণ্ডের মালিক থাকি। যেমন রাজা রানী বলবে আমরা ভারতের মালিক তো প্রজাও বলবে আমরাও মালিক। সেখানে বাস করে তো না। ঠিক সেইরকম শিববাবা হলেন ব্রহ্মাণ্ডের মালিক, আমরাও হলাম মালিক । তারপরে বাবা এসে নতুন মনুষ্য সৃষ্টির রচনা করেন। বলেন আমাকে এই সৃষ্টিতে রাজত্ব করি না, আমি মনুষ্য হই না। আমি তো দেহ লোনে নিয়ে থাকি। তোমাদেরকে সৃষ্টির মালিক বানাতে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করি। তোমরা যত পুরুষার্থ করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে, এতে কোনও রকম খামতি রেখো না। টিচার তো সবাইকে পড়ান। যদি পরীক্ষায় অনেকে পাস করে তবে টিচারেরও সুনাম হয়। তখন গভর্নমেন্টের কাছে লিফ্ট প্রাপ্ত হয়। এও ঠিক তেমনই। যত ভালোভাবে পড়াশোনা করবে ততই ভালো পদ প্রাপ্ত হবে। মাতা পিতা খুশী হবেন। পরীক্ষায় পাস করলে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এখানে তো তোমরা রোজ মিষ্টি বিতরণ করো। পরে যখন পরীক্ষায় পাস করো তখন স্বর্ণপুষ্প বর্ষা হয়। তোমাদের উপরে আকাশ থেকে কোনও পুষ্প বর্ষণ হবে না কিন্তু তোমরা একেবারে স্বর্ণ মহলের মালিক হয়ে যাও। এইরকম কারো মহিমা করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণ পুষ্প তৈরি করে বর্ষা করা হয়। যেমন দারভাঙ্গার রাজা বিত্তবান ছিলেন, তার সন্তান বিদেশে যাওয়ায় পার্টি দিয়েছিলেন, বহু অর্থ খরচ করেছিলেন। স্বর্ণ পুষ্প তৈরি করে বর্ষণ করেছিলেন। তাতে অনেক খরচ হয়েছিল। তার নামও হয়েছিল অনেক। সবাই বলেছে দেখো ভারতবাসী কতো পয়সা উড়িয়ে দেয়। তোমরা তো নিজেরাই স্বর্ণ মহলে গিয়ে বসবে তো তোমাদের কতখানি নেশা থাকা উচিত। বাবা বলেন শুধু আমাকে আর চক্রকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা ভবসাগর পার হয়ে যাবে। কতো সহজ।

তোমরা বাচ্চারা হলে চৈতন্য বহ্নি পতঙ্গ, বাবা হলেন চৈতন্য দীপশিখা। তোমরা বলো এখন আমাদের রাজ্য স্থাপন হচ্ছে। এখন সত্য পিতা এসেছেন ভক্তির ফল প্রদান করতে। বাবা স্বয়ং বলে দিয়েছেন আমি কীভাবে এসে নতুন ব্রাহ্মণদের সৃষ্টি রচনা করি। আমাকে নিশ্চয়ই আসতে হয়। তোমরা জানো আমরা ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারী । শিববাবার পৌত্র। এই ফ্যামিলি হল ওয়ান্ডারফুল। কীভাবে দেবী-দেবতা ধর্মের চারা রোপণ হচ্ছে। বৃক্ষে ক্লিয়ার আছে। নীচে তোমরা বসে আছো। তোমরা বাচ্চারা হলে কতখানি সৌভাগ্যশালী। মোস্ট বিলাভেড বাবা বসে বোঝাচ্ছেন যে, আমি এসেছি বাচ্চারা তোমাদেরকে রাবণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে দিতে। রাবণ তোমাদেরকে রুগী বানিয়ে দিয়েছে। এখন বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো অর্থাৎ শিববাবাকে স্মরণ করো, এর দ্বারা তোমাদের জ্যোতি জাগ্রত হবে, তখন তোমরা উড়তে সক্ষম হবে। মায়া সকলের পাখা (ডানা) ভেঙে দিয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বুদ্ধিকে ভালো এবং শক্তিশালী বানাতে দেহতে থেকে, দেহের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অসুস্থতার সময়েও বাবাকে স্মরণ করতে থাকতে হবে।

২ ) পারলৌকিক মাতা-পিতার সন্তান হয়েছো, তাই খুব মিষ্টি, রয়্যাল, পিসফুল, নলেজফুল এবং ব্লিস ফুল হতে হবে। পীস এ থেকে পীস স্থাপন করতে হবে।

বরদানঃ-

অনেক বাচ্চারা হাসি মজা করে এবং তাকেই তারা রমণীক স্বরূপ ভেবে নেয়। সেই রকম রমণীকতার গুণকে ভালো মনে করা হয়, কিন্তু ব্যক্তি, সময়, সংগঠন, স্থান, বায়ুমন্ডল অনুযায়ী রমণীকতা ভালো লাগে। যদি এই সবক’টির মধ্যে থেকে একটি যদি ঠিক না থাকে, তবে রমণীকতা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আর এই সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে যে উনি মজার কথা তো বেশ বলেন কিন্তু বেশি কথা বলেন। তাই হাসিমজা করা ভালো, তাতে আত্মিকতা থাকবে এবং অন্য আত্মার লাভ হবে, সীমার মধ্যে থেকে বলতে হবে। তখন বলা হবে মর্যাদা পুরুষোত্তম।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top