28 April 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

April 27, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - যোগের দ্বারাই আত্মার খাদ নষ্ট হবে, বাবার কাছে সম্পূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে, তাই যত খানি সম্ভব যোগবল বাড়াও”

প্রশ্নঃ --

দেবী দেবতাদের কর্ম শ্রেষ্ঠ ছিল, এখন সবার কর্ম ভ্রষ্ট কেন হয়েছে ?

উত্তরঃ -:-

কারণ তারা নিজের প্রকৃত ধর্মকে ভুলে গেছে। ধর্ম ভুলে যাওয়ার জন্য যে কর্মই করে সেসব ভ্রষ্ট হয়। বাবা তোমাদের নিজ সত্য ধর্মের পরিচয় প্রদান করেন, তার সাথে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বলেন, যা সবাইকে বলতে হবে, বাবার সত্য পরিচয় দিতে হবে।

গান:-

চেহারা দেখে নে প্রাণী মনের দর্পণে……

ওম্ শান্তি । এই কথাটি কে বললো এবং কাকে ? বাবা বললেন বাচ্চাদেরকে। যে বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র করছেন। বাচ্চারা জেনেছে আমরা ভারতবাসীরা যারা দেবী দেবতা ছিলাম, তারা এখন ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করে সতোপ্রধান স্থিতি পার করে এখন সতো, রজো, তমো এবং তমোপ্রধান হয়েছি। এখন পুনরায় পতিতকে পবিত্র করেন বাবা, তিনি বলেন – নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমরা কতখানি পুণ্য আত্মা হয়েছি ?

তোমরা সতো প্রধান পবিত্র আত্মা ছিলে, যখন এখানে সর্ব প্রথমে তোমাদের দেবী-দেবতা বলা হত, যাকে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম বলা হয়। এখন কোনো ভারতবাসী নিজেকে দেবী দেবতা ধর্মের বলে না। হিন্দু তো কোনো ধর্ম নয়। কিন্তু পতিত হওয়ার জন্য নিজেকে দেবতা বলে পরিচয় দিতে পারে না। সত্যযুগে দেবতারা পবিত্র ছিল। পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিল, যথা রাজা রানী তথা প্রজা পবিত্র ছিল। ভারতবাসীদের বাবা স্মরণ করাচ্ছেন যে তোমরা পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের ছিলে, তাকেই স্বর্গ বলা হত। সেখানে একটি ধর্ম ছিল। প্রথম নম্বর মহারাজা-মহারানী, লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিল। তাদের বংশ ছিল এবং ভারত খুব বিত্তশালী ছিল, সেইসময় সত্যযুগ ছিল। তারপরে আসে ত্রেতায় তখনও পূজ্য দেবী-দেবতা বা ক্ষত্রিয় বলা হত। সত্যযুগ লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য, ত্রেতা সীতা-রামের রাজ্য, সেই বংশও চলেছে। যেমন খ্রিষ্টানদের এডওয়ার্ড দি ফার্স্ট, সেকেন্ড …. এমন চলে। তখন এমনই ভারতেও ছিল। ৫ হাজার বছরের কথা অর্থাৎ ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। কিন্তু তারা এই রাজ্য কবে এবং কীভাবে প্রাপ্ত করলেন – সে কথা কেউ জানেনা। সেই সূর্য বংশী রাজ্য পরে চন্দ্রবংশে এলো কারণ পুনর্জন্ম নিতে-নিতে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হবে। এই ভারতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কেউ জানেনা। রচনা হল বাবার, সুতরাং নিশ্চয়ই সত্যযুগী নতুন দুনিয়ার রচয়িতা হবেন। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে স্বর্গে ছিলে। এই ভারত স্বর্গ ছিল পরে নরকে এসেছে। দুনিয়া তো এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি জানেনা। তারা তো শুধু শেষ সময়ের হিস্ট্রি জানে। সত্যযুগ-ত্রেতার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কেউ জানেনা। ঋষি-মুনিরাও বলে গেছেন আমরা রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানিনা। কেউ জানবে কীভাবে, বাবা বসে তো তোমাদেরকেই বোঝান। শিববাবা তো ভারতে দিব্য জন্ম নেন, যা শিব জয়ন্তী রূপে পালন হয়। শিব জয়ন্তীর পরে চাই গীতা জয়ন্তী। তারই সঙ্গে হওয়া উচিত কৃষ্ণ জয়ন্তী। কিন্তু এই জয়ন্তীর রহস্য ভারতবাসী জানেনা যে শিব জয়ন্তী কবে হয়েছে! অন্য ধর্মের মানুষ তো বলবে – বুদ্ধ জয়ন্তী, খ্রিষ্ট জয়ন্তী কবে হয়। ভারত বাসীদের জিজ্ঞাসা করো শিবজয়ন্তী কবে হয়েছে ? কেউ বলবে না। শিব ভারতে এসেছিলেন, এসে কি করেন ? কেউ জানেনা। শিব হলেন সর্ব আত্মাদের পিতা। আত্মা হল অবিনাশী। আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটা ধারণ করে। এই হল ৮৪-র চক্র। শাস্ত্রে তো ৮৪ লক্ষ জন্মের গল্প বলেছে। বাবা এসে সঠিক বলে দেন। বাবা ব্যতীত বাকিরা সবাই রচয়িতা ও রচনার উদ্দেশ্যে ভুল কথাই বলে কারণ এ হল মায়ার রাজ্য। প্রথমে তোমরা পারসবুদ্ধি ছিলে। সোনা, হীরা, জহরতের মহল ছিল। বাবা বসে রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য অর্থাৎ দুনিয়ার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বলেন। ভারতবাসী এই কথা জানে না যে আমরা সেই আদি কালে দেবী-দেবতা ছিলাম, এখন পতিত, কাঙাল, অধার্মিক হয়েছি, নিজের ধর্মকে ভুলেছি। এইসবও ড্রামানুসারে হওয়ার আছে। অতএব এই বিশ্বের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি বুদ্ধিতে আসা উচিত তাইনা। উঁচু থেকে উঁচু সর্ব আত্মাদের পিতা বাস করেন মূলবতনে, তারপরে আছে সূক্ষ্মবতন। এই হল স্থূলবতন। সূক্ষ্মবতনে শুধু ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর থাকেন। তাদের অন্য কোনো হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি নেই। এই হল তিনটি তল। গড ইজ ওয়ান । তাঁর রচনাও একটি, যে চক্র আবর্তিত হয়। সত্যযুগ থেকে ত্রেতা তারপরে দ্বাপর, কলিযুগে আসতে হয়। ৮৪ জন্মের হিসেব চাই তাইনা, যা কেউ জানেনা। না কোনো শাস্ত্রে আছে। ৮৪ জন্মের পার্ট তোমরা বাচ্চারাই প্লে করো। বাবা তো এই চক্রে আসেন না। বাচ্চারাই পবিত্র থেকে পতিত হয়ে যায় তাই আর্তনাদ করে – বাবা এসে আমাদের পুনরায় পবিত্র করো। এক-কেই সবাই ডাকে। রাবণ রাজ্যে যারা সবাই দুঃখী হয়েছে, তাদেরকে এসে উদ্ধার করো এবং রামরাজ্যে নিয়ে চলো। অর্ধকল্প হল রামরাজ্য। অর্ধকল্প হল রাবণ রাজ্য। ভারতবাসী যারা পবিত্র ছিল তারাই পতিত হয়। বাম মার্গে গমন করে পতিত হওয়া আরম্ভ হয়। ভক্তিমার্গ শুরু হয়। এখন বাচ্চারা তোমাদের জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে, যাতে অর্ধকল্প, ২১ জন্মের জন্য তোমরা সুখের বর্সা প্রাপ্ত কর। অর্ধকল্প জ্ঞানের প্রালব্ধ চলে, তারপরে রাবণ রাজ্য হয়। সকলের পতন শুরু হয়। তোমরা দৈবী রাজ্যে ছিলে পরে আসুরিক রাজ্যে এসেছো, একেই নরক বলা হয়। তোমরা স্বর্গে ছিলে তারপর ৮৪ জন্ম পার করে নরকে এসেছো। ওটা ছিল সুখধাম। এই হল দুঃখধাম, ১০০ শতাংশ ইন্সল্ভেন্ট। ৮৪ জন্ম চক্র পরিক্রমা করে, সেই ভারতবাসী পূজনীয় থেকে পূজারী হয়েছে। একেই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বলা হয়। তোমরা ভারতবাসীদের, এটা হল সম্পূর্ণ তোমাদের চক্র, অন্য ধর্মের মানুষ তো ৮৪ জন্ম নেয় না। তারা সত্যযুগে থাকে না। সত্যযুগ ত্রেতায় শুধুমাত্র ভারত ই ছিল। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী, শূদ্রবংশী…. এখন পুনরায় তোমরা এসে ব্রাহ্মণ বংশী হয়েছো, দেবতা বংশী হওয়ার জন্য। এ হল ভারতের বর্ণ। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়ে শিববাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। বাবা তোমাদেরকে পড়াচ্ছেন, ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন। কল্প-কল্প তোমরা পবিত্র হয়ে পুনরায় পতিত হও। সুখধামে গিয়ে আবার দুঃখধামে আসো। তারপরে শান্তিধামে যেতে হবে, যাকে নিরাকারী দুনিয়া বলা হয়। আত্মা কি, পরমাত্মা কি, এই কথা তো কোনও মানুষ জানেনা। আত্মাও হল একটি স্টার বিন্দু স্বরূপ। বলা হয় – ভ্রুকুটির মধ্যিখানে জ্বলজ্বল করে এক নক্ষত্র, সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ, যাকে দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না। বাস্তবে স্টারও বলা হবে না। স্টার তো অনেক বড় হয়, শুধু দূরত্ব অনেক বেশি তাই ছোট সাইজে দেখতে পাওয়া যায় । একটি দৃষ্টান্ত মূলক এইরূপ বলা হয়। আত্মা এতই ছোট যেমন উপরে ছোট স্টার দেখতে পাওয়া যায়। বাবার আত্মাও এক বিন্দু স্বরূপ। তাঁকে সুপ্রীম আত্মা বলা হয়। তাঁর মহিমা ভিন্ন। মনুষ্য সৃষ্টির চৈতন্য বীজ রূপ হওয়ার জন্য তাতে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা আছে। তোমাদের আত্মা এখন জ্ঞান প্রাপ্ত করছে। আত্মাই নলেজ গ্রহণ করছে, এত সূক্ষ্ম বিন্দু তে ৮৪ জন্মের পার্ট নির্দিষ্ট আছে। তাও অবিনাশী, ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করেছো। এর কোনো শেষ নেই। দেবতা ছিলে, দৈত্য হয়েছো পুনরায় দেবতায় পরিণত হতে হবে। এই রূপ চক্র আবর্তিত হচ্ছে। বাকি সবই হল বাইপ্লট। ইসলামী, বৌদ্ধি ইত্যাদি কেউ ৮৪ জন্ম নেয় না। এই সত্যযুগ ভারত রাইটিয়াস সলভেন্ট ছিল পরে ৮৪ জন্ম নিয়ে ভিশাস হয়েছে। এই হল ভিশাস ওয়ার্ল্ড। ৫ হাজার বছর পূর্বে পবিত্রতা ছিল, শান্তিও ছিল, সমৃদ্ধিও ছিল। বাবা বাচ্চাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন। মুখ্য হল – পবিত্রতা তাই বলে অপবিত্র দুনিয়াকে পবিত্র করতে এসো। তিনি সদ্গতি প্রদান করেন, তাই তিনি হলেন সদগুরু। এখন তোমরা বাবার দ্বারা বেগার টু প্রিন্স হচ্ছো। অথবা নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হচ্ছো। তোমাদের এ হল রাজযোগ। ভারতই এখন বাবার দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত করছে। আত্মাই ৮৪ জন্ম নেয়। আত্মাই পড়া করে, শরীর দ্বারা। শরীর পড়ে না। আত্মা সংস্কার নিয়ে যায়। আমি আত্মা এই শরীরের আধার নিয়ে পড়াশোনা করি – একেই বলা হয় দেহী-অভিমানী। আত্মা পৃথক হয়ে যায় তখন শরীর কোনো কাজের থাকে না। আত্মা বলে, এখন আমি পুণ্য আত্মা হচ্ছি। মানুষ দেহ-অভিমানে এসে বলে দেয় আমি এই করি…. তোমরা এখন বুঝেছো আমরা হলাম আত্মা, আমাদের এই শরীর হল বিশাল। পরমাত্মা বাবার দ্বারা আমি আত্মা পড়া করছি। বাবা বলেন , মামেকম্ স্মরণ করো। তোমরা গোল্ডেন এজে সতোপ্রধান ছিলে পরে তোমাদের মধ্যে বিকার রূপী খাদ পড়েছে। খাদ পড়ে তোমরা পবিত্র থেকে পতিত হয়েছো। এখন আবার পবিত্র হতে হবে তাই বলে – হে পতিত-পাবন এসো, এসে আমাদের পবিত্র করো, তাই বাবা পরামর্শ দেন হে পতিত আত্মা আমি পিতা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের খাদ নষ্ট হয়ে যাবে এবং তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। একেই প্রাচীন যোগ বলা হয়। এই স্মরণ বা যোগ অগ্নির দ্বারা বিকাররূপী খাদ ভস্ম হবে। মুখ্য কথা হল – পতিত থেকে পবিত্র হওয়া। সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি সবাই হল পতিত। পবিত্র হওয়ার উপায় একমাত্র বাবা বলে দেন – “মামেকম্ স্মরণ করো” । এই শেষ জন্ম পবিত্র থাকো। খাওয়া দাওয়া করে, চলতে-ফিরতে মামেকম্ স্মরণ করো কারণ তোমরা সব আত্মাদের (প্রিয়তমাদের) প্রিয়তম , হলাম আমি। তোমাদেরকে আমি পবিত্র করেছিলাম পুনরায় পতিত হয়েছো। সব ভক্তরা হল প্রিয়তমা। প্রিয়তম বলেন কর্ম করো। বুদ্ধির দ্বারা আমাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এই হল পরিশ্রম। তাই বাবাকে স্মরণ করা উচিত তাইনা, স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য। যারা বেশি স্মরণ করবে তারা উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। এই হল স্মরণের যাত্রা। যারা বেশী স্মরণ করবে তারাই পবিত্র হয়ে এসে আমার গলার হার হবে। সকল আত্মাদের নিরাকারী দুনিয়ায় একটি বংশ বৃক্ষ আছে। তাকে ইনকরপরিয়াল ট্রি বলা হয়। এই হল করপরিয়াল ট্রি, নিরাকারী দুনিয়া থেকে সবাইকে ক্রমানুসারে আসতে হবে, আসতে থাকতে হবে। বৃক্ষটি বিশাল । আত্মা এখানে আসে পার্ট প্লে করতে। যে সকল আত্মারা আছে, সবাই হল এই ড্রামার অ্যাক্টর্স । আত্মা হল অবিনাশী, তার পার্টও হল অবিনাশী। ড্রামা কবে তৈরি হয়েছিল, সে কথা বলা যাবে না। এই ড্রামা তো চলতেই থাকে। ভারত বাসী প্রথমে সুখে ছিল তারপরে দুঃখে আসে, পরে শান্তিধামে যেতে হবে। তারপরে বাবা সুখধামে পাঠিয়ে দেবেন। তার জন্য যে যতখানি পুরুষার্থ করে উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে, বাবা রাজধানী স্থাপন করেন। সেখানে পুরুষার্থ অনুসারে রাজ্য পদ প্রাপ্ত হবে। সত্যযুগে তো অবশ্য মানুষের সংখ্যা কম থাকবে। আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের বৃক্ষটি ছোট, বাকি সব বিনাশ হয়ে যাবে। এই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম স্থাপন হচ্ছে অর্থাৎ স্বর্গের গেট খুলছে। ৫ হাজার বছর পূর্বেও এই যুদ্ধের পরে স্বর্গের স্থাপনা হয়েছিল। অনেক ধর্ম বিনাশ হয়ে ছিল। এই যুদ্ধকে বলা হয়, কল্যাণকারী যুদ্ধ। এখন নরকের গেট খুলেছে, পরে স্বর্গের গেট খুলবে। স্বর্গের দ্বার বাবা খোলেন, নরকের দ্বার খোলে রাবণ। বাবা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন, রাবণ অভিশাপ দেয়। এইসব কথা দুনিয়া জানেনা, বাচ্চারা তোমাদেরকে বোঝাই। শিক্ষা মন্ত্রীও অসীম জগতের জ্ঞান অর্জন করতে চান। সেই জ্ঞান তো তোমরা দিতে পারো। কিন্তু তোমরা হলে গুপ্ত। তোমাদের কেউ চেনে না। তোমরা যোগবলের দ্বারা নিজের রাজত্ব প্রাপ্ত করছো। লক্ষ্মী-নারায়ণ এই রাজ্য কীভাবে পেয়েছেন সে কথা তো তোমরা জানো। একেই বলা হয় অসপিসিয়াস কল্যাণকারী যুগ। যখন বাবা এসে পবিত্র করেন। কৃষ্ণকে তো সবাই পিতা বলবে না। পিতা তো নিরাকারকে বলা হয়, সেই পিতাকেই স্মরণ করতে হবে, পবিত্র হতে হবে। বিকার ত্যাগ করতেই হবে। ভারত ভাইসলেস সুখধাম ছিল এখন ভিসিয়াস, দুঃখধাম হয়েছে। ওয়ার্থ নট এ পেনি হয়েছে। এ হল ড্রামার খেলা, যা বুদ্ধিতে ধারণ করে অন্যদেরকেও করাতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্মরণের দ্বারা পবিত্র হয়ে বাবার গলার হার হতে হবে। কর্ম করা কালীন বাবার স্মরণে থেকে বিকর্মজিত হতে হবে।

২) পুণ্য আত্মা হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা নিজের প্রতি, নিজের পুরুষার্থ বা সার্ভিসের প্রতি, ব্রাহ্মণ পরিবারের সম্পর্কের প্রতি সদা সন্তুষ্ট থাকে, তাদেরকেই সন্তুষ্টমণি বলা হয়। সর্ব আত্মাদের সম্পর্কে নিজেকে সন্তুষ্ট রাখা বা সর্বকে সন্তুষ্ট করা – এতেই যারা বিজয়ী হয় তারাই বিজয়মালায় স্থান অর্জন করে। পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য সর্বজনের সন্তুষ্টির পাসপোর্ট প্রাপ্ত হওয়া উচিত। এই পাসপোর্ট প্রাপ্ত করার জন্য শুধুমাত্র সহ্য শক্তি বা সমায়িত করার শক্তি ধারণ করো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top