15 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

15 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

14 August 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে ঈশ্বরের অ্যাডপ্ট করা সন্তান, তোমাদের পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার জন্য বর্সা নিতে হবে, এখন অন্তিম সময় সেইজন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে"

প্রশ্নঃ --

এই সময় মানুষকে উট-পাখি টাইটেল দেওয়া যেতে পারে – কেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা উট পাখিকে যদি বলো উড়তে সে বলবে আমার পাখা (ডানা) নেই, আমি উট। বল তাহলে মালপত্র বহন করো, তখন বলবে আমি পক্ষী (পাখি)। আজকের মানুষের অবস্থাও ঠিক এইরকম। যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় তোমরা নিজেদের দেবতা বলার পরিবর্তে কেন হিন্দু বলে থাকো তখন উত্তরে বলে দেবতারা তো পবিত্র, আমরা হলাম পতিত। যদি বল আচ্ছা এখন তবে পতিত থেকে পবিত্র হও তখন বলে সময় নেই। মায়া পবিত্রতার ডানাই কেটে দিয়েছে, সেইজন্যই বলে থাকে সময় নেই। ওরা হল উট পাখি। বাচ্চারা তোমাদের উট পাখি হওয়া উচিত নয়।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়…

ওম্ শান্তি । কে বলেছে ? নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। ওম্-এর অর্থ মানুষ অনেক রকম তৈরি করেছে। বাবা বলেন এক সেকেন্ডেই অবিনাশী উত্তরাধিকারে অধিকারী হওয়া যায়। বাচ্চা জন্ম নিলে বলা হয় উত্তরাধিকারীর জন্ম হলো। তারপর নাবালক থেকে সাবালক হয়ে ওঠে। এখানেও ঠিক তাই। বাবাকে জেনেছ, চিনেছ আর উত্তরাধিকারীর মালিক হয়ে গেলে। এখানে তো তোমরা বড়। আত্মা বাবার পরিচয় পেল, সেকেন্ডে বাবার বর্সার অধিকারী হয়ে গেল। বাচ্চা জন্ম নিলেই জানা যায় যে বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবে। ইনি হলেন অসীমের পিতা। তিনি বলেন হে বাচ্চারা, আত্মারাও জানে বাবা এসেছেন। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরাই কল্পে-কল্পে বাবার কাছ থেকে রাজধানী নিয়ে থাকি। তোমরা সেকেন্ডে বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। ওম্ এর অর্থ হল অহম, আমি আত্মা আর এই আমার শরীর। আমি আত্মা কার সন্তান ? পরমাত্মার সন্তান। বাবাও বলেন আমিও ওম্ পরম আত্মা। আমার নিজের শরীর নেই। কত সহজ কথা। ওরা মনে করে ওম্ অর্থ ভগবান। সুতরাং সবাই ভগবান হয়ে গেল। ভগবান তো একজনই। তিনি বলেন আমি তোমাদের পিতা। পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা যাঁকে সম্পূর্ণ দুনিয়া আহ্বান করে বলে থাকে হে পতিত-পাবন এসো। এমনটা কেউ-ই বলবে না যে পরমপিতা পরমাত্মার আত্মা আমার মাধ্যমে তোমাদের রাজযোগ শেখান। কেউ জানেই না, না জানার কারণেই শ্রী কৃষ্ণ ভগবানের নাম লিখেছে। শ্রীকৃষ্ণ রাজযোগ শিখিয়েছিলেন বা পতিত-পাবন তাকে বলা যেতে পারে না। তিনি তো স্বর্গের প্রথম শিশু । যিনি প্রথমেও ছিলেন এবং শেষেও থাকবেন, সেইজন্যই তাকে শ্যাম-সুন্দর বলা হয়। প্রথম নম্বরে আছেন শ্রীকৃষ্ণ তারপর ৮৪ জন্মের পরে তার নাম হয় ব্রহ্মা যাকে অ্যাডপ্ট করা হয়। বাবা এসে বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করেন। তোমরা হলে বাবার অ্যাডপ্টেড সন্তান, ঈশ্বরীয় সন্তান। তোমাদের মা আছে, বাবাও আছে, প্রজাপিতাও আছে। বাবা বলেন আমি এর মুখের (ব্রহ্মা) দ্বারা বলে থাকি ‐ তোমরা হলে আমার সন্তান । তোমরাও বলে থাকো বাবা আমরা তোমার, তোমার কাছে উত্তরাধিকার নিতে এসেছি। বুদ্ধিও বলে থাকে বাবা অবশ্যই আসেন। কখন আসেন – এটাও বিচার করার বিষয় তাই না ! বলে থাকে পতিত-পাবন এসো, নিশ্চয়ই পতিত দুনিয়া শেষ হবে তবেই তো আসি তাইনা। একে বলে কল্পের আদি আর শেষের সঙ্গম। অন্তিমে সবাই পতিত, আদিতে (প্রারম্ভিক সময়) সবাই পবিত্র। শেষে পতিত দুনিয়ার বিনাশ হয়, পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হয়। তারপর বৃদ্ধি পেতে থাকে। গাওয়াও হয়ে থাকে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা। ইনি হলেন ত্রিমূর্তি।

তোমরা জানো শিববাবার বাচ্চারা সবাই হল ভাই। তারপর যখন রচনা হয় (ব্রহ্মার দ্বারা) তখন সবাই ভাই-বোন হয়ে যায়। মাতা-পিতা কেন বলো ? ভবিষ্যতে উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। লৌকিক উত্তরাধিকার থাকা সত্বেও পারলৌকিক উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো তোমরা । এ’হলো কলিযুগ মৃত্যুলোক। সত্যযুগকে অমরলোক বলা হয়। এখানে মানুষ তো অকালে মারা যায়। সত্যযুগ হচ্ছে দৈবী দুনিয়া। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরা থাকে। হিন্দু ধর্মের কেউ নেই। যখন জনগণনা হয় তখন জিজ্ঞাসা করে তুমি কোন্ ধর্মের ? বলে থাকে ব্রাহ্মণ ধর্মের ওরা তখন হিন্দু ধর্মে নথিভুক্ত করে কেননা ঐ ব্রাহ্মণও হিন্দু ধর্মের মধ্যে এসে যায়। আর্য সমাজের মানুষ তাকে হিন্দু ধর্মের বলে নথিভুক্ত করে। বাস্তবে হিন্দু বলে কোনো ধর্ম নেই। ইউরোপে বসবাসকারীদের ইউরোপ ধর্মাবলম্বী থোড়াই বলবে। ওদের ধর্ম তো ক্রিশ্চান তাইনা। ক্রাইস্ট ক্রিশ্চান ধর্ম স্থাপনা করেছিল। আচ্ছা হিন্দু ধর্ম কে স্থাপন করেছিল ? বেচারা তখন মুষড়ে পড়ে বলে থাকে গীতার দ্বারা স্থাপনা হয়েছিল। সুতরাং বোঝানো হয় যে গীতার দ্বারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়েছিল। তোমরা তো দেবতা ধর্মের। তখন বলে থাকে দেবতারা তো খুব পবিত্র ছিল, আমরা তো পতিত হয়ে গেছি। আমরা নিজেদের দেবী-দেবতা কিভাবে বলব । সুতরাং তখন বোঝানো হয় আচ্ছা পবিত্র হও। আবারও দেবী-দেবতা ধর্মে এসো, তখন বলে থাকে সময় কোথায়। তোমাদের এটা তো নতুন বিষয়। বরাবরই আমরা সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম। ভারতবাসীরা দেবী-দেবতাদের পূজাও করে কিন্তু পতিত হওয়ার কারণে নিজেদের দেবতা বলতে পারে না। আচ্ছা এসে তবে পবিত্র হও তখন বলে সময় নেই। বাবা বলেন তোমরা তো উট-পাখি। জিজ্ঞাসা করা হয় তোমরা দেবতা কেন বলতে পার না তখন বলে যে আমরা পতিত। আচ্ছা পতিত থেকে তবে পবিত্র হও তখন বলে সময় নেই। উটপাখীকে উড়তে বলো তখন বলবে ডানা নেই, আমি উট। তারপর বলো যে মালপত্র বহন করো, তখন বলবে আমি তো পাখি। সেইজন্যই বাবা বলেন মায়া তোমাদের পবিত্রতার ডানা কেটে দেয় ।

এখন শ্রাবণ মাসে শিবের পূজা করে, ব্রত রাখে। তোমাদের জন্য শ্রাবণ মাস হল জ্ঞান বর্ষণের। তোমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হও। মানুষ ব্রত রাখে ভোজন না করার জন্য। বাবা বলেন বিষ খেও না। এর উপরেও বোঝাতে হবে। শিবের কত পূজা করে, এখন শিববাবা বলছেন পবিত্রতার ব্রত রাখো। আমি এসেছি পবিত্র দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে। এখানে কেউ পবিত্র নেই। পবিত্র দেবী-দেবতা হয় সত্যযুগে। ওখানে বিষ দ্বারা (বিকার দ্বারা) জন্ম হয় না। তা না হলে তাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী কেন বলা হয় ? লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধা কৃষ্ণ ইত্যাদি দেবী-দেবতাদের বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী। এখানে তো সবাই পতিত, যাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই। নিজেকে নিজে বলে আমরা পতিত নিচ। বাবা বলেন আমার মতে চলে তোমরা সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে পারলে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো মালিক হতে পারবে। তোমাদের পড়াশোনা কত প্রসিদ্ধ। মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো। বিশ্বের মালিক হতে হবে। সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল না ! এখন আবারও দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। তোমরা পবিত্র হয়ে স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়ে থাকো। স্ব মানে আত্মা। আত্মা রাজ্য পেয়ে থাকে। যাকে স্বরাজ্য বলা হয়। মানুষ হল দেহ-অভিমানী। দেহ-অভিমান থেকে বলে আমার রাজ্য। এখানে তোমরা বলো আমরা আত্মা, এই শরীরের মালিক। আমরা মহারাজা হব। আমরা সত্যযুগে পবিত্র শরীর পাব। এখন আমরা পতিত। যেমন আত্মা তেমনই শরীর। আত্মার মধ্যে খাদ পড়ে গেছে। আত্মা প্রথমে খাঁটি সোনা ছিল। যে সময়কে গোল্ডেন এজ বলা হয়। তারপর ত্রেতায় সিলভারের খাদ পড়ল, এরপর দ্বাপরে আসার পর তামার খাদ পড়ে। এই সময় আত্মা মিথ্যা হওয়ার সাথে-সাথে শরীরও মিথ্যা হয়ে গেছে। একে বলাই হয় মিথ্যা খন্ড। এখন বাবার সাথে যোগযুক্ত হলে খাদ বেরিয়ে যাবে, একে বলে যোগ অগ্নি। গয়না তৈরির সময় ময়লা বের করে দেওয়ার জন্য আগুনে ঢালা হয়। এ’হলো যোগ অগ্নি, যেখানে খাদ ভস্ম হয়ে আমরা আত্মারা খাঁটি সোনা হয়ে বাবার সাথে চলে যাব। বাবা বলেন তোমরা আমার সাথে যাবে। সত্যযুগে খাঁটি সোনা পাবে। শ্রীকৃষ্ণকে এখন শ্যামবর্ণ কেন বলা হয় ? কৃষ্ণের নাম রূপ তো বদলে যায়। এখন বাবা বুঝিয়ে বলেন তোমরা গৌরবর্ণ ছিলে, তোমাদের মধ্যে এখন খাদ পড়ে গেছে। সম্পূর্ণ রূপে এখন আয়রন এজেড (মরচে পড়া) হয়ে গেছ। আমি এখন স্বর্ণকার হয়ে বাচ্চাদের ভাট্টিতে ফেলি। দুনিয়াতে আগুন লাগবে। সবার শরীর শেষ হয়ে যাবে। আত্মা তো অবিনাশী। এক তো যোগ অগ্নির দ্বারা আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে, বাকিরা সবাই সাজা ভোগ করে হিসেব নিকেশ মিটিয়ে তারপর ফিরে যাবে। এটা হচ্ছে ঈশ্বরের ভাট্টি – সবাইকে পবিত্র করে তোলার জন্য। ইনি হলেন জ্ঞানের সাগর, ওঁনার দ্বারাই তোমরা জ্ঞান গঙ্গারা নির্গত হয়েছ। মানুষ জলকে গঙ্গা মনে করেছে। সেখানে দেবতার মূর্তিও রাখা হয়েছে। বাস্তবে তোমরা হচ্ছ ভগবানের সন্তান, জ্ঞান গঙ্গা যারা তারা দেবতা হবে। যখন স্বর্গে যাবে তখন তোমাদের দেবতা বলবে। ওখানে আত্মা এবং শরীর দুই-ই পবিত্র হয়। এখন হল পতিত দুনিয়া। ভারত গোল্ডেন এজ ছিল তারপর সিলভার, কপার এবং আয়রন এজ হয়ে গেছে এখন পুনরায় বাবা গোল্ডেন এজ-এ নিয়ে যাচ্ছেন। তোমাদের আত্মা এবং শরীর দুই-ই পবিত্র হয়ে যায়। বাবা বলেন আমি হলাম ধোপা, তোমাদের আত্মাকে ধুইয়ে দেওয়ার জন্য আসি। শুধুমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। যোগ যুক্ত হয়ে থাকলে তোমরা বিশ্বের মালিক হতে পারবে। বাহুবল প্রয়োগী যারা তারা কখনোই বিশ্বের মালিক হতে পারে না। তবে হ্যাঁ, ওদের মধ্যে এত শক্তি আছে, যদি ক্রিশ্চান (আমেরিকা আর ইউরোপ) দুই ভাই নিজেদের মধ্যে যদি মিলে যায় (মিলেমিশে থাকা) তবে তারা বিশ্বের মালিক হতে পারে। কিন্তু ল’ নেই। কাহিনীও আছে দুটি বিড়াল নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আর বাঁদর মাখন খেয়ে চলে যায়। সুতরাং ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মাঝখানে মাখন ভারতের ভাগ্যে জুটে যায়, এখানেও নম্বর ওয়ান হল শ্রীকৃষ্ণ, সেইজন্যই কৃষ্ণের মুখে গোলা দেখানো হয়েছে। সেটা মাখন নয়, এই স্বর্গের রাজত্ব করার ভাগ্য শ্রীকৃষ্ণ পেয়ে থাকে। বাবা বোঝান যখন সব বিনাশ হয়ে যাবে তারপর তোমরা মালিক হয়ে যাবে। তার আগে তোমাদের বাবার শ্রীমত অনুসারে অবশ্যই চলতে হবে। শ্রীমতে চলে শ্রেষ্ঠ, আসুরি মতে চলে ভ্রষ্ট হয়ে যাও। এটা হচ্ছেই আসুরি দুনিয়া। একজনও পবিত্র নয়। পবিত্র দুনিয়াতে একজনও পতিত হয়না। এখন তো সবাই পতিত। গানও গায় হে পতিত-পাবন সীতারাম, আমরা সীতারা রাবণের জেলে পড়ে আছি। আহ্বান করে বলে হে রাম এসে মুক্ত করে, পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে চল। যদিও গান তো গায় কিন্তু কিছুই জানে না যে আসে সেই গাইতে থাকে। রাবণ সম্পূর্ণ রূপে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বাবা এসে জাগিয়ে তুলছেন। পরমপিতা পরমাত্মা, পতিত-পাবন যিনি সৃষ্টির রচয়িতা তাঁর বায়োগ্রাফি সম্পর্কে আমরা জানি। ব্রহ্মা, বিষ্ণু শঙ্কর এবং লক্ষ্মী-নারায়ণের বায়োগ্রাফি সম্পর্কেও আমরা জেনেছি। লক্ষ্মী-নারায়ণের ৮৪ জন্ম সম্পর্কেও আমরা জেনেছি। সুতরাং নলেজফুল হয়েছ তাইনা। তোমরা শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে গেলে বুঝবে যে সত্যযুগের প্রথম প্রিন্স ছিল। এখন অন্তিম ৮৪ জন্মে ব্রহ্মা হয়েছে। এটাও খুব বোঝার বিষয়।

বাবা বাচ্চাদের বোঝান – বাচ্চারা সতর্ক থাকবে, কখনও কাউকে দুঃখ দেবে না। বাবা তো হলেন দুঃখ হর্তা, সুখ কর্তা তাইনা। তোমরাও ৫ বিকারকে দান করে দাও। দান করলেই গ্রহণ থেকে মুক্ত হবে। গ্রহণ লাগলে ফকিররা বলে থাকে দান করো। এখন বাবা বলছেন আমার আদরের বাচ্চারা, বিকারকে দান করে দিলে সর্বগুণসম্পন্ন হয়ে দেবতা হয়ে যাবে। দুঃখের গ্রহণ ছেড়ে যাবে। তোমরা সুখধামের মালিক হয়ে যাবে, সেইজন্যই ৫ বিকারের দান নেওয়া হয়। এটা তো ভালো তাইনা। এখন তোমাদের উপরে বিকারের গ্রহণ লাগায় একদম কালো হয়ে গেছ। আমি তোমাদের কাছে বিকারকেই চেয়ে থাকি আর কিছুই চাইনা। বাবা বোঝান এখন বাচ্চারা তোমাদের আত্ম-অভিমানী হতে হবে। আমি আত্মা, পরমাত্মাকে স্মরণ করতে হবে। ওঁনার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে, সেইজন্যই দেহী-অভিমানী হও। দেবতারা আত্ম-অভিমানী হয়। আমি বাবাকে স্মরণ করলেই তোমাদের পাপ ভস্ম হবে। আমিই রক্ষা করব। তোমরা আমাকে স্মরণ না করলে কিভাবে রক্ষা করব। বাবা কতভাবে বোঝান, এ’সব কথা কোনো শাস্ত্রে নেই। ওসবই হলো ভক্তি মার্গের সামগ্রী। বাবা তোমাদের সদ্গতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পড়ান। আমি এই শরীরের দ্বারা তোমাদেরকে বোঝাই। এটা আমার শরীর নয়। এ তো এনার (ব্রহ্মা) পুরানো জুতা, আমি লোন নিয়েছি। আমি এর মধ্যে প্রবেশ করি, তারপর পবিত্র করে তুলি। কত সুন্দর রীতিতে বাবা বুঝিয়ে থাকেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার শ্রীমতে চলে সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে। ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করেই রাজত্ব নিতে হবে। আত্মার মধ্যে যে খাদ পড়েছে তাকে যোগ অগ্নির দ্বারাই বের করতে হবে।

২ ) আত্ম-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যত স্মরণে থাকবে ততই বাবা রক্ষা করতে থাকবেন।

বরদানঃ-

যেখানে আমিত্ব সেখানেই দোলাচল আসে। আমার রচনা, আমার দোকান, আমার পয়সা, আমার ঘর…এই আমার ভাবকে যদি এতটুকু হলেও কাছাকাছি রাখো, তবে লক্ষ্যকে কাছে পাবে না। শ্রেষ্ঠ লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করার জন্য আমার-কে তোমার-এ পরিবর্তন করো। সীমিত কিছুই আমার নয়, অসীমিত আমার। তিনি হলেন আমার বাবা। বাবার স্মৃতি আর ড্রামার জ্ঞানের দ্বারা নাথিং নিউ-এর অচল স্থিতি থাকবে আর নষ্টমোহ হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top