9 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 8, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - মিষ্টি বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদেরকে এই তিক্ত দুনিয়া থেকে বের করে মিষ্টি করে তুলতে, সেইজন্যই খুব মিষ্টি হয়ে ওঠো"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা এখন তোমাদের এই দুনিয়ার প্রতি কেন ঘৃণা জন্মেছে ?

উত্তরঃ -:-

কেননা এই দুনিয়া এখন অত্যন্ত ঘোর নরকে (কুম্ভী পাক, পুরাণে বর্ণিত ঘোর নরক) পরিণত হয়ে গেছে। এখানে সবাই তিক্ততায় ভরে গেছে। তেঁতো পতিতকে বলা হয়। সবাই বিষয় বৈতরণীতে হাবুডুবু খেতে থাকে, সেইজন্য তোমাদের এ’সবের প্রতি ঘৃণা জন্মেছে।

প্রশ্নঃ --

মানুষের একটি প্রশ্নের মধ্যেই দুটি ভুল রয়ে গেছে, সেই প্রশ্নটি কি আর কি সেই ভুল গুলি ?

উত্তরঃ -:-

মানুষ বলে থাকে আমার মন কীভাবে শান্ত হবে ? এতে প্রথম ভুলই হলো মন শান্ত কীভাবে হতে পারে – যতক্ষণ শরীর থেকে আলাদা না হবে আর দ্বিতীয় ভুল হল সবকিছুই হল ঈশ্বরের রূপ, পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী। তাহলে শান্তির প্রয়োজন কার আর সেটা কে দেবে ?

ওম্ শান্তি । তোমরা বাচ্চারা জানো শান্তিধাম থেকে বাবা এসেছেন এবং বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করছেন – কোন চিন্তন নিয়ে বসেছ ? তোমরা জানো বাবা সুইট হোম, শান্তিধাম থেকে এসেছেন – সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাবা বলেন এখন তোমরা নিজের সুইট হোমের কথাই স্মরণ করছ নাকি অন্য কিছুও স্মরণে আসছে। এই দুনিয়া আর সুইট নেই, অত্যন্ত তিক্ততায় ভরে গেছে। তিক্ত জিনিস দুঃখই দিয়ে থাকে। বাচ্চারা জানে এখন আমরা সুইট হোমে যেতে চলেছি। আমাদের অসীমিত জগতের পিতা খুব মিষ্টি। বাকি দুনিয়াতে যে বাবা রয়েছে প্রত্যেকেই অত্যন্ত তিক্ততা পূর্ণ পতিত আর ছিঃ ছিঃ। ইনি সবারই অসীমের পিতা। এখন কার মতে চলবে। অসীম জগতের পিতা বলেন – বাচ্চারা এখন নিজেদের শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ কর। এই দুঃখধামকে ভুলে যাও। এই দুনিয়ার তো খুব কড়া নাম দেওয়া হয়েছে – কুম্ভী পাক নরক, যেখানে বিষয় বৈতরণী নদী বয়ে চলে। বাবা বোঝান সম্পূর্ণ দুনিয়াই এখন বিষয় বৈতরণী নদী হয়ে গেছে। সবাই এই সময় দুঃখ পেয়ে চলেছে, সেইজন্যই এর প্রতি ঘৃণা জন্মেছে। ভীষণ নোংরা দুনিয়া, এর প্রতি বৈরাগ্য আসাই উচিত। যেমন সন্ন্যাসীদের বৈরাগ্য আসে, ঘর পরিবারের প্রতি। তারা মনে করে স্ত্রী হল নাগিন, ঘরে থাকা মানে হল নরকে বাস করা, নাকানি-চোবানি খেতে হয়। এসব বলে ঘর পরিবার ছেড়ে চলে যায়। এমনিতে তো দুই-ই নরকের দ্বার। ওদের ঘরে ভালো লাগে না সেইজন্য জঙ্গলে চলে যায়। তোমরা ঘর পরিবার ছেড়ে চলে যাও না, ঘরেই থাকো। জ্ঞান বুঝেছ। বাবা বাচ্চাদের বোঝান এই বিষয় হচ্ছে বৈতরণী নদী। সব ভ্রষ্টাচারী হয়ে যায়। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে শান্তিধামে নিয়ে যাব। ওখান থেকে ক্ষীরসাগরে পাঠিয়ে দেব। সম্পূর্ণ দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য করান কেননা এই দুনিয়াতে শান্তি নেই। মানুষ মাত্রই শান্তির জন্য মাথা ঠুকতে থাকে। সন্ন্যাসী ইত্যাদি যে কেউ-ই আসুক না কেন ‐ বলবে মনের শান্তি চাই অর্থাৎ মুক্তিধামে যেতে চায়। প্রশ্নই এমন করে – মন তো শান্ত হতেই পারে না। যতক্ষণ আত্মা শরীর থেকে আলাদা না হবে। এক তো বলে থাকে ঈশ্বর সর্বব্যাপী, আমরা সবাই ঈশ্বরের রূপ তারপরও এই প্রশ্ন কেন ? ঈশ্বরের কেন শান্তির প্রয়োজন হবে! বাবা বোঝান – শান্তি তো তোমাদের গলার হার। তোমরা বলছ আমাদের শান্তি চাই। প্রথমে তো বল যে আমরা কে ? আত্মা নিজের স্বধর্ম আর নিবাস স্থান ভুলে গেছে। বাবা বলেন তোমরা আত্মারা হলে শান্ত স্বরূপ। শান্তি দেশের নিবাসী তোমরা। তোমরা নিজেদের সুইট হোম আর সুইট ফাদারকে ভুলে গেছ। ভগবান একজনই। ভক্ত অনেক। ভক্ত তো ভক্তই, তাকে ভগবান কীভাবে বলবে । ভক্ত তো সাধনা, প্রার্থনা করে বলে হে ভগবান, কিন্তু ভগবান কে সেটা জানে না, সেইজন্যই দুঃখী হয়ে পড়েছে। এখন তোমরা বুঝেছ প্রকৃতপক্ষে আমরা শান্তিধাম নিবাসী ছিলাম তারপর সুখধামে গেছি এবং তারপর রাবণ রাজ্যে এসেছি।

তোমরা অলরাউন্ড ভূমিকা পালন করে থাকো। প্রথমে তোমরা সত্যযুগে ছিলে। ভারত সুখধাম ছিল। এখন দুঃখধাম হয়ে গেছে। তোমরা আত্মারা শান্তিধামে থাকো, বাবাও সেখানে থাকেন। বাবার মহিমা হল তিনি হলেন পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর। জ্ঞানের দ্বারা পবিত্র করে তোলেন। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর সেইজন্যই তাঁকে আহ্বান করা হয়। এর থেকে প্রমাণ হয় যে এখানে জ্ঞান নেই। এখন জ্ঞানের সাগর এসেছেন, তাঁর থেকে জ্ঞানের নদী নির্গত হলেই জ্ঞান স্নান হয়। জ্ঞানের সাগর একজন পরমপিতা পরমাত্মাকেই বলা হয়। তিনি যখন এসে বাচ্চার জন্ম (অ্যাডপ্ট করেন) দেন তখনই জ্ঞান প্রাপ্তি আর সদ্গতি হয়। যখন থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকেই ভক্তি শুরু হয়েছে অর্থাৎ পূজারী হয়ে যায়। এখন তোমরা আবারও পূজ্য হয়ে উঠছো। পবিত্রকে পূজ্য আর পতিতকে পূজারী বলা হয়। সন্ন্যাসীদেরকে ফুল অর্পণ করে, মাথা ঠেকায়। মনে করে ওরা পবিত্র আমরা পতিত, বাবা বলেন এই দুনিয়াতে পবিত্র কেউ-ই হতে পারে না। এখানে তো বিষয় বৈতরণী নদী। ক্ষীরসাগর বিষ্ণুপুরীকে বলা হয়, যেখানে তোমরা রাজত্ব কর। বাবা বলেন বাচ্চারা নিজেকে আত্মা মনে কর আর সুইট হোমকে স্মরণ কর। কর্ম তো করতেই হবে। পুরুষদের কাজ-কারবার, মাতাদের ঘর সামলাতেও হবে। তোমরা ভুলে যাও সেইজন্যই অমৃতবেলা হল খুব ভালো সময়। ঐ সময় স্মরণ করো, সবচেয়ে ভালো সময় হল অমৃতবেলা। যখন দুজনেই ফ্রি থাকো। এমনিতে তো সন্ধ্যা বেলায়ও সময় পাওয়া যায়। কিন্তু মনে কর সেই সময় কেউ ক্লান্ত থাকে, আচ্ছা তবে বিশ্রাম নাও। ভোরে উঠে স্মরণ কর। আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা এসেছেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। ৮৪ জন্মের পার্ট এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনই চিন্তা ভাবনা করা উচিত। তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপার্জন করার সময় হল অমৃতবেলা। এখনকার উপার্জনই সত্যযুগে কাজে আসবে। এখন তোমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাচ্ছ। ওখানে সম্পদের কোনো সমস্যা নেই, কোনো চিন্তাও নেই। বাবা তোমাদের ঝুলি এতটাই ভরপুর করে দেন যে উপার্জনের জন্য কোনো চিন্তা করতে হয় না। এখানে উপার্জন করার জন্য মানুষের কত চিন্তা থাকে। বাবা ২১ জন্মের জন্য চিন্তা মুক্ত করে দেন। সুতরাং ভোরবেলায় উঠে এমনই সব কথা নিজের সাথে নিজে কর। আমরা আত্মারা হলাম পরমধাম নিবাসী, বাবার সন্তান । প্রথমে আমরা স্বর্গে যাই। আমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে থাকি। বাবা বলেন ৫ হাজার বছর আগে তোমরা কত ধনবান ছিলে, ভারত স্বর্গ ছিল। এখন তো নরক দুঃখধাম হয়ে গেছে। এক বাবাই সবার সদ্গতি দাতা। একে অপরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত। সত্যযুগে শুধু ভারত ছিল, তাকে জীবনমুক্ত স্বর্গ বলা হয়। নরককে জীবনবন্ধ বলা হয়। প্রথমে সূর্য বংশী, চন্দ্র বংশী রাজ্য ছিল তারপর বৈশ্য, শূদ্র বংশী রাজ্য হয়েছে। আসুরি বুদ্ধি হওয়ার কারণে মানুষ একে অপরকে দুঃখ দিয়ে থাকে। প্রত্যেক লৌকিক বাবাও বাচ্চাদের জন্য সার্ভেন্ট হয়। বিকারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, তারপর তাদের নরকে ঠেলে দেয়। যখন ওরা বিষয় বৈতরণী নদীতে হাবুডুবু খেতে থাকে, তখন বাবা খুশি হয়। কতখানি ভোলা তাইনা। এই পারলৌকিক বাবাও ভোলা, বাচ্চাদের সার্ভেন্ট। ঐ লৌকিক বাবা বাচ্চাদের নরকে ঠেলে দেয়, এই বাবা শান্তিধাম, স্বর্গে নিয়ে যান। পরিশ্রম তো করেন, তাই না! কত ভোলা তিনি। নিজের পরমধাম ছেড়ে আসেন। এসে দেখেন আত্মাদের কত দুর্গতি। আমাকে গালিই দিতে থাকে, আমাকে জানেই না। আমার রথকেও গালিগালাজ করে কত মিথ্যা কলঙ্ক আরোপ করেছে । তোমাদের উপরেও কলঙ্ক লাগায়। শ্রী কৃষ্ণের উপরেও কলঙ্ক লেপন করেছে। কিন্তু কৃষ্ণ যখন গৌরবর্ণ ছিল তখন কেউ কলঙ্ক লেপন করতে পারেনি। আত্মা যখন পবিত্র থেকে অপবিত্র হয়ে যায় তখনই গালমন্দ খেয়ে থাকে। এই ড্রামা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। বেচারা মানুষ কিছুই জানে না। ভীষণ মুষড়ে পড়ে – জানা নেই, এটা কোন্ ধরনের জ্ঞান। শাস্ত্রে তো এইসব লেখা নেই। ভুলে গেছে ‐ শিব শক্তি ভারত মাতার সেনারা কি করেছিল। জগৎ অম্বাকে শিব শক্তি বলা হয় ! ওঁনার মন্দিরও তৈরি করা হয়েছে। দিলওয়ারা মন্দির আছে। দিল অর্থাৎ হৃদয় তো নিয়ে থাকেন এক শিববাবাই তাইনা। ব্রহ্মাও আছেন আর আছেন জগৎ অম্বা এবং তোমরা কুমারীরাও আছো। মহারথীও আছে। তোমরা হুবহু প্র্যাকটিক্যালে আছ। তোমাদের স্মৃতি স্মারক জড় রূপে বর্তমান আছে। এই জড় স্মৃতি স্মারক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তারপর তোমরা সত্যযুগে যাবে। সত্যযুগে এই স্মৃতি স্মারক হয় না। পাঁচ হাজার বছর আগেও এইভাবে বসেছিলে, তারপর স্মৃতি স্মারক তৈরি হয়েছিল। তোমরা সত্যযুগে ত্রেতায় রাজত্ব করেছিলে। তারপর ভক্তি মার্গে প্রজাদের জন্যই এই স্মৃতি স্মারক তৈরি করা হয়। ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করকেও তোমরা জেনেছ। বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা, ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু হতে – ৮৪ জন্ম লাগে।

এখন তোমরা আবারও পুরুষার্থ করছ, মাম্মা বাবাকে ফলো করা উচিত। যত পুরুষার্থ করবে ততই সুন্দর হবে। পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ কত সহজেই বাবা শিখিয়ে থাকেন। বাবা এবং সুইট হোমকে স্মরণ করতে থাকলে তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পারবে। এই অভ্যাস তৈরি করতে হবে, ভোরবেলায় উঠে স্মরণ করতে হবে। তারপর যখন পরিপক্ক হয়ে যাবে তখন চলতে ফিরতেও স্মরণ থাকবে। তোমাদের সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে স্মরণ করতে হবে। প্রথমে আমরা সতোপ্রধান হবো, তারপর সতঃ, রজঃ এবং তমঃ’র মধ্যে আসতে হবে, এতে কোনো সংশয় ওঠা উচিত নয়। মুষড়ে পড়ার কোনো ব্যাপার নেই। পবিত্র থাকতেই হবে। দেবতাদের ভোজনও কত পবিত্র হয়। সুতরাং তোমাদের খুব সংযমী হতে হবে। এর মধ্যে জিজ্ঞাসা করার কিছুই নেই। বুদ্ধি জানে – বিকার হল স্ব থেকে খারাপ। দ্বিতীয় হল – মদ। মদিরা, কবাব খাওয়া উচিত নয়। রসুন পেঁয়াজ ইত্যাদি আর পতিতদের ভোজন অসুবিধার সৃষ্টি করে। বাবা বোঝান পবিত্র ভোজন ব্রাহ্মণ ছাড়া, কোথাও পাওয়া যাবে না। বাবার স্মরণে থাকতে হবে। যত তোমরা স্মরণে থাকবে ততই পবিত্র হয়ে যাবে। বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে। আমি নিজেকে কোন্ যুক্তি দিয়ে বাঁচাতে পারব। বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। ঘর গৃহস্থে থাকতে হবে, সেইজন্য লৌকিকের সাথেও সম্পর্ক রাখতে হবে। তাদেরও কল্যাণ করতে হবে। ওদেরও এইসব কথা শোনাতে হবে। বাবা বলেন পবিত্র হও, নয়তো অধিক সাজা ভোগ করতে হবে আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। মালা (বিজয় মালা) হল পাস উইথ অনারদের জন্যই । এখন হল সকলের কয়ামতের (মহাবিনাশ) সময়, সকলের পাপের হিসেব নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে।

বাবা বুঝিয়েছেন স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে, এতেই পরিশ্রম আছে। জ্ঞান তো খুবই সহজ। সমগ্র ড্রামা আর কল্পের বৃক্ষ বুদ্ধিতে চলে আসে। এইবার সুইট বাবা, সুইট রাজধানী আর সুইট হোমকে স্মরণ করতে হবে। নাটক এখন সম্পূর্ণ হতে চলেছে, ঘরে ফিরে যেতে হবে। পুরানো শরীর ত্যাগ করে সবাইকে ফিরে যেতে হবে। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে হবে। এইভাবেই স্মরণ করতে-করতে শরীর ছেড়ে যাবে আর তোমরা আত্মারা চলে যাবে। কত সহজ ব্যাপার। এখন তোমরা সামনে বসে শুনছ এরপর বাচ্চারা টেপের মাধ্যমে শুনবে। একদিন অবশ্যই টেলিভিশনেও এই জ্ঞান শুনবে বা দেখবে। সবকিছু হবে। পরে যারা আসবে তাদের জন্য তো আরও সহজ হয়ে যাবে। তোমার সাহস, সহায়তা বাবার (হিম্মতে বচ্চে মদদে বাপ) । সেটাও ব্যবস্থা হয়ে যাবে । সার্ভিসেবল বাচ্চারাও ভালো হবে। সুতরাং বাচ্চাদের উন্নতির জন্যও সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। যার প্রয়োজন হবে নিতে পারবে। এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। মুসলিমরাও ভোরবেলায় উঠে প্রভাত ফেরী করে সবাইকে জাগিয়ে তোলে। ওরাও ভোরবেলায় উঠে আল্লাহ্কে স্মরণ করে। এই সময় শোওয়ার জন্য নয়। বাস্তবে এই কথা এখনকার জন্য। আল্লাহ্কে স্মরণ করো কেননা তোমরা বহিস্তের (স্বর্গ) বাদশাহী পেতে চলেছো। বহিস্তকে ফুলের বাগিচা বলা হয়। ওরা তো এমনিই গেয়ে থাকে। তোমরা তো প্র্যাকটিক্যালী বাবাকে স্মরণ করে দেবতা হয়ে ওঠো। ভোরবেলায় ওঠার অভ্যাস করা ভালো। ভোরবেলার বায়ুমণ্ডল খুব ভালো থাকে। ১২ টার(রাত) পর ভোর শুরু হয়। প্রভাত কাল ২-৩ টে’র সময়কে বলা হয়। ভোরবেলায় উঠে শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করা উচিত। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার স্মরণে থেকে পবিত্র, শুদ্ধ ভোজন খেতে হবে। অশুদ্ধ ভোজনের প্রতি অত্যন্ত সংযমী হতে হবে। মাম্মা বাবাকে ফলো করে পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে।

২ ) ভোরবেলায় উঠে মিষ্টি বাবাকে আর সুইট রাজধানীকে স্মরণ করতে হবে। এই কয়ামতের সময় বাবার স্মরণেই সব হিসেব নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে।

বরদানঃ-

যে কোনো কাজ করার সময় এই স্মৃতিই যেন থাকে যে “মহান (বড়) বাবা বসে আছেন” তবেই স্থিতি সদা নিশ্চিত থাকবে। এই নিশ্চিত স্থিতিতে থাকাই হল সবচাইতে বড় বাদশাহী। আজকাল সবাই চিন্তার বাদশাহ আর তোমরা বেফিকির (চিন্তাহীন) বাদশাহ। যারা শুধুই চিন্তা করে তারা কখনোই সফলতা পায় না কেননা তারা চিন্তা করেই সময় আর শক্তি ব্যর্থ নষ্ট করে। যে কাজের জন্য চিন্তা করে সেই কাজ বিগড়ে যায় । কিন্তু তোমরা নিশ্চিত থাকো আর সেইজন্যই সময়ানুসারে টাচিং হয় আর সেবাতেও সফলতা প্রাপ্ত হয়ে থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top