5 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 4, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সময় খুব কম এইজন্য আধ্যাত্মিক ব্যবসা করো, সবথেকে ভালো ধান্দা হল - বাবা আর বর্সাকে (স্বর্গ) স্মরণ করা, বাদবাকি সবই হল অসৎ ধান্দা”

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে কীসের উৎকন্ঠা থাকা চাই ?

উত্তরঃ -:-

কিভাবে আমরা বিগড়ে (বিপথে) যাওয়া আত্মাদের শোধরাবো (সঠিক পথ দেখাবো), সবাইকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে ২১ জন্মের জন্য সুখের রাস্তা বলবো। সবাইকে বাবার সত্য পরিচয় কিভাবে জানাবো – বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে এইরকম উৎকন্ঠা থাকা চাই ।

গান:-

ভোলানাথের থেকে অনুপম আর কেউ নেই…

ওম্ শান্তি । ভোলানাথ বাচ্চাদেরকে ওম্ শান্তি-র অর্থও বুঝিয়েছেন। নিজেও বলছেন ওম্ শান্তি তো বাচ্চারাও বলছে ওম্ শান্তি। এর দ্বারা নিজের পরিচয় দিতে হয় যে আমি আত্মা হলাম শান্ত স্বরূপ, শান্তিধামের অধিবাসী। আমাদের বাবাও সেখানকার অধিবাসী। ভক্তিমার্গেও বাবা-বাবা বলতে থাকে। যদিও মানুষ গুণগান করতে থাকে কিন্তু রাবণের মতে চলছে। রাবণ মত মানুষকে বিগড়ে দেয়। বাবা এসে বিগড়ে যাওয়া আত্মাদেরকে সংশোধন করেন। রাবণও হল এক, রামও হল এক। ৫ বিকারকে একত্রে বলা হয় রাবণ। রাবণ নিজের রাজ্য স্থাপন করে, সবাইকে শোক বাটিকাতে বসানোর জন্য। সে (রাবণ) বিগড়ে দেয়, তিনি (রাম) সংশোধন করেন। রাবণকে মানুষ বলা যায় না। সেইজন্যই দেখায় ৫ বিকার পুরুষের আর ৫ বিকার স্ত্রী-র। রাবণ রাজ্যে দুপক্ষেই বিকার আছে। তোমরা জানো যে ৫ বিকার আমাদের মধ্যেও ছিলো। এখন আমরা শ্রীমতে চলে নির্বিকারী হচ্ছি। যারা বিগড়ে গেছে বাবা তাদেরকে শোধরাচ্ছেন। যেরকম সকল বিগড়ে যাওয়া আত্মাদেরকে শোধরাচ্ছেন সেইরকমই বাচ্চাদের মধ্যেও এই উৎকন্ঠা রাখতে হবে যে কিভাবে আমি বিগড়ে যাওয়া আত্মাদেরকে শোধরাবো। মানুষ মাত্রই একে অপরকে বিগড়ে দিতে থাকে। বিগড়ে যাওয়া আত্মাদের শোধরানোর জন্য এক বাবা-ই আছেন। তো তোমরা যেভাবে শুধরেছো সেইরকমই লগণে মগ্ন থাকতে হবে যে কিভাবে দুঃখী আত্মাদের সহায়তা করবো। বাবার মধ্যে যে উৎকন্ঠা আছে সেটা সুপুত্র বাচ্চারাই পূর্ণ করতে পারবে। বাচ্চাদের মধ্যে এই উৎকণ্ঠা রাখতে হবে যে কিভাবে বিগড়ে যাওয়া আত্মাদের শোধরাবো। আত্মীয় পরিজনদেরকেও বোঝাতে হবে। তাদেরকেও রাস্তা বলে দিতে হবে। দুঃখী জীবাত্মাদের ২১ জন্মের জন্য সুখী বানাবো, তারা তো আমারই ভাই-বোন, অনেক দুঃখী অশান্ত হয়ে আছে। আমরা তো বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি তাই চিন্তা করতে হবে যে কিভাবে অন্যদেরকে বোঝাবো, ভাষণ করবো। ঘরে-ঘরে যাবো, মন্দিরে যাবো। বাবা শ্রীমত দিচ্ছেন যে মন্দিরে গিয়ে অনেক সেবা করতে পারো। ভক্ত অনেক আছে, অন্ধ শ্রদ্ধায় শিবের মন্দিরে অনেকে যায়। অন্তরে কিছু না কিছু আশা রেখে যায়। এটা জানেনা যে শিব হলেন আমাদের বাবা। ওঁনার এত যে মহিমা, তো নিশ্চই উনি আমাদের জন্য কিছু করে গেছেন।শিবের মন্দিরে কেন যায়! অমরনাথ যাত্রাতে কেন যায়! অনেক যাত্রীদের ব্রাহ্মণ বা সন্ন্যাসীরা নিয়ে যায়। এটা হল ভক্তি মার্গের ধান্দা, এর থেকে তো শোধরাবে না। ভোলানাথ বাবা-ই এসে বিগড়ে যাওয়া আত্মাদেরকে শোধরাচ্ছেন। উনি হলেন বিশ্বের রচয়িতা অথবা মালিক কিন্তু নিজে হন না। বাচ্চাদেরকে মালিক বানান। কিন্তু তিনি হলেন উচ্চ, তাঁর থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। তোমাদের বুদ্ধিতে এটা রাখতে হবে যে, কিভাবে আমি ভাইবোনদের রাস্তা বলে দেবো। কাউকে দুঃখী বা রোগী হতে দেখলে তার প্রতি করুণা আসে তাই না। বাবা বলছেন যে আমি তোমাদেরকে এমন সুখী বানাচ্ছি যে অর্ধেক কল্প তোমরা রোগী হবেনা। তো বাচ্চারা তোমাদেরকে অন্যদেরও সুখধামে যাওয়ার রাস্তা বলে দিতে হবে। যাদের মধ্যে সেবা করার উৎকন্ঠা থাকবে তারা এক জায়গায় স্থির থাকতে পারবে না। মনে মনে ভাববে যে আমিও গিয়ে কাউকে সুখধামের রাস্তা বলে দিই। বাবা তো এই সেবা করার জন্য বাচ্চাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেন। অবিনাশী জ্ঞান রত্নের সম্পূর্ণ ধারণা হলে তো অনেকের কল্যাণ করতে পারবে। এই রাজধানী স্থাপন করতে টাকা পয়সার দরকার পড়েনা। তারা তো নিজেদের মধ্যেই লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে, রাবণের মতে চলে। আমরা রাবণের থেকে আমাদের স্বরাজ্য ছিনিয়ে নিচ্ছি। রামরাজ্য রামের দ্বারাই প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগ থেকে রাম রাজ্য শুরু হয়, এখানে কলিযুগে রামরাজ্য কোথা থেকে আসবে। এখানে তো রাবণ রাজ্য চলছে, সবাই দুঃখী হয়ে আছে। এসব কথা তোমরা সবাইকে বোঝাতে পারো। প্রথমে তাদেরকে বোঝাতে হবে যারা গরীব, যারা ব্যবসায়ী। এছাড়া ধনীব্যক্তিরা তো বলবে যে, সময় নেই, আমি ব্যস্ত থাকি। তারা মনে করে যে তারা ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছে, প্ল্যান করতে থাকে। কিন্তু তোমরা জানো যে শিববাবা ছাড়া কেউ স্বর্গ বানাতে পারবে না। এখন সময় খুবই অল্প অবশিষ্ট আছে। রামরাজ্য স্থাপন করতে দেরী করো না। রাত-দিন এই চিন্তা করতে হবে যে – কিভাবে কাউকে দুঃখ থেকে মুক্ত করবো। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এটা রাখতে হবে যে, কিভাবে আমি ভাই-বোনদের রাস্তা বলে দেবো। এখন সবাই রাবণের মতে চলছে। বাবা তো বাবা-ই হন যিনি এসে বাচ্চাদেরকে উত্তরাধিকার প্রদান করেন। মানুষ কোর্টে গিয়ে বলে ঈশ্বরকে সামনে উপস্থিত রেখে সত্য বলছি। কিন্তু যদি ঈশ্বর সর্বব্যাপী হন তাহলে আবার কার প্রার্থণা করে! তাদের কিছুই জানা নেই। বাবা বারংবার বোঝাচ্ছেন, নিজের আত্মীয় পরিজনদেরকে জাগাও। বাচ্চারা, তোমাদেরকে অনেক মিষ্টি হতে হবে। ক্রোধের অংশমাত্রও যেন না থাকে, কিন্তু সব বাচ্চারা তো এইরকম হতে পারে না। অনেক বাচ্চা আছে যাদেরকে মায়া একদম নাক থেকে ধরে নেয়। যতই বোঝানো না কেন তবুও শুনতেই চায় না। বাবাও বুঝতে পারেন যে – হয়তো সময় লাগবে সকলের সঠিক ভাবে বাবার সেবাতে নিয়োজিত হতে । শখও তো রাখতে হবে তাই না, যারা এসে বলবে যে বাবা আমাকে সেবাতে পাঠাও, আমি গিয়ে অন্যদের কল্যাণ করবো। কিন্তু বলে না কেউ। বাচ্চাদের কারবারই হল সত্য গীতা শোনানো। শব্দই হল দুটি – অল্ফ আর বে মানে বাবা আর বাদশাহী। বাবা খুব ভালো ভালো যুক্তি বুঝিয়েছেন। প্রথম কথা এটাই বলবে যে – পরমাত্মার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ! নীচে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী নাম লেখা আছে। বাবা অত্যন্ত নতুন কায়দা অনেক সহজভাবে বলে দিচ্ছেন। বাবার এই উৎকন্ঠা থাকে যে – এইরকম-এইরকম বোর্ড লাগাতে হবে। বাবা ডায়রেক্শন দিচ্ছেন। বাবাকে বলাই হয় করুণাময়, ব্লিসফুল (সুখের সাগর) তো বাচ্চাদেরকেও বাবার সমান করুণাময় হতে হবে। এই চিত্রগুলিতে তো অনেক বড় খাজানা আছে। এই চিত্রগুলির মধ্যেই স্বর্গের মালিক হওয়ার যুক্তি আছে। বাবা তো অনেক যুক্তি বলতে থাকেন। কল্প পূর্বেও বলেছিলেন আর এখনও বলছেন। মানুষের বুদ্ধিতে টাচিং হবে যে এই কথা তো একদমই সত্য। বাবার থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। এটাও লিখে দাও যে – স্বর্গের বর্সার তুমিই হলে উত্তরাধিকারী। এসে বুঝে যাও, খুবই সহজ কথা। কেবল বোর্ড বানিয়ে উপযুক্ত জায়গাতে লাগাতে হবে। ১০-২০ টা জায়গায় এইরকম বোর্ড লাগাও, এটা বিজ্ঞাপনও দিতে পারো। যে বাচ্চারা পূর্ব কল্পেও এসেছিলো সেই হারানিধি বাচ্চাদের এই শব্দগুলি বুদ্ধিতে টাচিং হবে। বলবে যে জানতে হবে এরা কি বোঝাতে চাইছেন। এটাও বোর্ডে লিখে দিতে হবে যে, এই পয়েন্টকে বুঝতে পারলে তোমরা মুক্তি-জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত করতে পারবে, এক সেকেন্ডে।

বাবা বলছেন যে যদি নিজের জীবন বানাতে হয় তাহলে সেবা করো। সাগরের কাছে এসে রিফ্রেশ হয়ে পুনরায় সার্ভিস করতে হবে। ভক্তিমার্গে তো অর্ধেক কল্প ধাক্কা খেয়েছো। এখানে তো এক সেকেন্ডে বাবাকে জেনে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। এখন সকলেরই হল বাণপ্রস্থী অবস্থা। মৃত্যু সামনে অপেক্ষারত।সবথেকে ভালো ধান্দা হল এটা। মানুষ অন্যান্য যাকিছু ধান্দা করে সেসব হল অসৎ ধান্দা। এক ধান্দাই কেবল করতে হবে – বাবা আর বর্সাকে স্মরণ করো। কলেজে গিয়ে প্রিন্সিপালকে বোঝাও তাহলে শিক্ষার্থীরাও বুঝতে পারবে। তোমরা কত সহজে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। যখনই সময় পাবে বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অত্যন্ত মিষ্টি হতে হবে। ক্রোধের অংশমাত্রও থাকলেও বের করে দিতে হবে। বাবার সমান করুণাময় হয়ে সেবাতে তৎপর থাকতে হবে।

২ ) মৃত্যু সামনে অপেক্ষারত। তোমাদের এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা এইজন্য বাবাকে আর বর্সাকে (স্বর্গকে) স্মরণ করতে হবে। ভারতকে রামরাজ্য বানানোর সেবাতে নিজের সবকিছু সফল করতে হবে।

বরদানঃ-

সবথেকে বড় দুর্বলতা হল দেহ-অভিমান। দেহ-অভিমানের সূক্ষ্ম বংশও হল অনেক বড়। দেহ-অভিমানের বলিদান দেওয়া অর্থাৎ অংশ আর বংশ সহকারে সমর্পিত হওয়া। এইরকম যারা বলিদান দেয়, তারাই মহাবলবান হয়। যদি দেহ অভিমানের কোনও অংশও লুকিয়ে রেখেছো বা অভিমানকেই স্বমান মনে করে নিয়েছো তো তাতে অল্প সময়ের জন্য বিজয় দেখা গেলেও অনেক কালের পরাজয় সমাহিত রয়েছে ।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজীর অমূল্য মহাবাক্য –

১ – এই অবিনাশী জ্ঞানকে পরমাত্ম জ্ঞান বলা হয়, এই জ্ঞানের সারই হল বেঁচে থেকেও মরে যাওয়া। এইজন্য কোটির মধ্যে কোনও বিরল-ই এই জ্ঞান ধারণ করার সাহস রাখে। এটা তো আমরা জানি যে এই জ্ঞান বাস্তবিক জীবনশৈলী নির্মাণ করে, আমরা যেটা শুনি, সেইরকমই আমরা তৈরী হচ্ছি, এইরকম জ্ঞান কোনও সাধু সন্ত মহাত্মা দিতে পারবেন না। তারা এইরকম বলতে পারবে না যে মন্মনা ভব, এখন এই নির্দেশ কেবল এক পরমাত্মাই করতে পারেন। মন্মনা ভব-র অর্থ হল আমার সাথে যোগ লাগাও। যদি আমার সাথে যোগযুক্ত হয়ে থাকবে, তাহলে আমি তোমাদেরকে সকল পাপ থেকে মুক্ত করে বৈকুন্ঠের বাদশাহী প্রদান করবো। সেখানে গিয়ে তোমরা রাজ্য করবে, এইজন্য এই জ্ঞানকে রাজাদেরও রাজা বলা হয়। এই জ্ঞান ধারণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ব্যবসা, জ্ঞান নেওয়া অর্থাৎ এক ঝটকায় বেঁচে থেকেও মরে যাওয়া। শাস্ত্র ইত্যাদির জ্ঞান নেওয়া তো অত্যন্ত সস্তা ব্যবসা। ওখানে তো প্রতি মুহূর্তে মরতে হয় কেননা তারা পরমাত্মার জ্ঞান দেয় না এইজন্য বাবা বলেন এখন যা করতে হবে তা এখনই করো, পরে এই ব্যবসা আর থাকবে না।

২ – পরমপিতা পরমাত্মাকে সৎ চিৎ আনন্দ স্বরূপও বলা হয়, এখন পরমাত্মাকে সৎ কেন বলা হয় ? কেননা তিনি হলেন অবিনাশী অমর, তিনি কখনও অসৎ হন না, তিনি হলেন অজর অমর আর পরমাত্মাকে চৈতন্য স্বরূপও বলা হয়। চৈতন্য কথার অর্থ হল পরমাত্মারও মন-বুদ্ধি আছে, তাঁকে নলেজফুল, পীসফুল বলা হয়। তিনি জ্ঞান আর যোগ শেখাচ্ছেন। এইজন্য পরমাত্মাকে চৈতন্যও বলা হয়, যদিও তিনি হলেন অজন্মা, আমরা আত্মারা যেভাবে জন্ম নিই তিনি সেই ভাবে জন্ম নেন না। পরমাত্মাকেও এই নলেজ আর শান্তি দেওয়ার জন্য ব্রহ্মার শরীরকে লোন নিতে হয়। তো তিনি হলেন চৈতন্য স্বরূপ, তবেই তো মুখ দ্বারা আমদের জ্ঞান যোগ শেখাচ্ছেন আবার পরমাত্মাকে সৎ চিৎ আনন্দ স্বরূপও বলা হয়, তো এইসব গুণ পরমাত্মার মধ্যে ভরপুর আছে এইজন্য পরমাত্মাকে সুখ দুঃখ থেকে পৃথক বলা হয়। আমরা এইরকম বলতে পারিনা যে পরমাত্মা হলেন দুঃখ দাতা, না। তিনি সর্বদা সুখ আর আনন্দের ভান্ডার, যখন তাঁর গুণই হল সুখ আর আনন্দ প্রদাণ করা তাহলে তিনি আমাদের (আত্মাদের) দুঃখ কিভাবে দিতে পারেন!

৩ – অনেক মানুষ এইরকম মনে করে যে এইযে অনাদি শাশ্বত চিরন্তন সৃষ্টিরূপী ড্রামা চলছে, এটা পরমাত্মা পরিচালনা করছেন এইজন্য তারা বলে যে এখানে মানুষের কোনও হাত নেই… করণ-করাবনহার হলেন স্বামী… সবকিছু পরমাত্মাই করছেন। সুখ দুঃখ দুই ভাগই পরমাত্মা বানিয়েছেন। এখন এইরকম বুদ্ধিমত্তার লোকেদের কিরকম বুদ্ধি বলা যাবে ? সবার আগে তাদেরকে এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে অনাদি শাশ্বত চিরন্তন সৃষ্টির খেলা অটোমেটিক চলতে থাকে। সাথে সাথে এটাও বলতে থাকে যে এই সবকিছু পরমাত্মাই করছেন। এইযে পরমাত্মাকে করণ-করাবনহার বলা হয়, এই নাম আর কোন হস্তিকে বলা হয়? এখন এই কথাগুলিকে বুঝতে হবে। প্রথমে তো এটা বুঝতে হবে যে এই সৃষ্টির যে অনাদি নিয়ম আছে সেটা হল শাশ্বত চিরন্তন, যেরকম পরমাত্মা হলেন অনাদি, সেইরকম এই চক্রও আদি থেকে শুরু করে অন্ত পর্যন্ত অনাদি অবিনাশী চিরন্তন রূপে আছে। যেরকম বীজের মধ্যে সুপ্তভাবে বৃক্ষের জ্ঞান আছে আর বৃক্ষের মধ্যেই সুপ্ত বীজ আছে, দুটোই কম্বাইন্ড, দুটোই হল অবিনাশী, বাকি বীজের কি কাজ থাকে, বীজ বপন করলে ঝাড় বেরিয়ে আসবে। যদি বীজ বপন না করা হয় তাহলে বৃক্ষও উৎপন্ন হয় না। তো পরমাত্মাও হলেন এই সমগ্র সৃষ্টির বীজ স্বরূপ আর পরমাত্মার কাজ হল বীজ বপন করা। পরমাত্মাই বলেন যে আমি তখন পরমাত্মা হই যখন বীজ বপন করি, না হলে তো বীজ আর বৃক্ষ হল অনাদি, যদি বীজ না বপন করা হয় তাহলে বৃক্ষ কিভাবে জন্ম নেবে! আমার নাম পরমাত্মা তখন হয় যখন আমার কার্যও পরম হয়, আমার সৃষ্টি সেটাই যেটা আমি নিজে পার্টধারী হয়ে বীজ বপন করি। সৃষ্টির আদিও করি আবার অন্তও করি, আমি করণধারী হয়ে বীজ বপন ইত্যাদি করি, বীজ বপন করার সময় পুনরায় অন্তেরও বীজ আসে তখন সমগ্র ঝাড় বীজের শক্তি ধারণ করে। বীজের কাজ হল রচনা করা আবার তার অন্ত করা। পুরানো সৃষ্টির অন্ত করা আর নতুন সৃষ্টির আদি করা, এটাকেই বলে দেয় পরমাত্মা সবকিছু করেন। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top