19 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 18, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - দেহ-সহ যা কিছু এই চক্ষু দ্বারা দেখে থাকো সেসব ভুলে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করো, কারণ এ'সবকিছু এখন সমাপ্ত হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগের রাজ্য পদের লটারী জয়ের জন্য পুরুষার্থ কী ?

উত্তরঃ -:-

সত্যযুগের রাজ্যপদ নিতে হলে নিজের উপর পুরোপুরি নজর দাও। ভিতরে কোনো ভূত যেন না থাকে। যদি ভূত থাকে তবে লক্ষ্মীকে বরণ করতে পারবে না। রাজা হওয়ার জন্য প্রজা তৈরী করা প্রয়োজন। ২) এখানেই ক্রন্দন-প্রুফ হতে হবে। কোনো দেহ-ধারীর প্রতি যদি আসক্তি জাগে, শরীর ছেড়ে দেয় তাহলে পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। সেইজন্য বাবার স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করতে হবে।

গান:-

আজ নয়তো কাল….

ওম্ শান্তি । শিববাবা বলেন ‘ওম্ শান্তি’, তখন এঁনার আত্মাও বলবে — ‘ওম্ শান্তি’। উনি হলেন পরমাত্মা, ইনি হলেন প্রজাপিতা। এঁনার আত্মা বলে ‘ওম্ শান্তি’। বাচ্চারাও বলে ওঁম শান্তি। আপন স্বধর্মকে জানতে হবে, তাই না! মানুষ তো নিজের স্বধর্মকেও জানে না। ‘ওম্ শান্তি’ অর্থাৎ অহম্ আত্মা শান্ত-স্বরূপ । আত্মা মন-বুদ্ধি সহ থাকে। তা ভুলে মনের নাম নিয়ে থাকে। যদি বলে আত্মা শান্তি কীভাবে পায় তাহলে বলো — বাঃ! এও কি কোনো প্রশ্ন হলো ? আত্মা হলো স্বয়ং শান্ত-স্বরূপ, শান্তিধাম-নিবাসী। শান্তি তো ওখানে পাবে, তাই না! আত্মা শরীর ত্যাগ করে চলে যাবে, তখন শান্তিতে থাকবে। এ হলো সমগ্র দুনিয়া, এখানেই আত্মাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। শান্ত কীভাবে থাকবে। কাজ করতে হবে। মানুষ শান্তির জন্য কত এদিকে-ওদিকে বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করে। ওদের এ’কথা জানাই নেই যে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের স্বধর্ম হলো শান্ত। তোমরা এখন আত্মার ধর্মকে জেনেছো। আত্মা হলো বিন্দুর মতন। বাবা বুঝিয়েছেন যে সকলেই বলে নিরাকার পরমাত্মায় নমঃ। পরমপিতা ওঁনাকেই বলা হয়। তিনি হলেন নিরাকার। ওঁনাকে শিব পরমাত্মায় নমঃ বলা হয়ে থাকে। এখন তোমাদের বুদ্ধিযোগ ওই দিকেই আছে। সব মানুষই হলো দেহ অভিমানী। তাদের বাবার সঙ্গে যোগ থাকে না। বাচ্চারা, তোমাদের প্রতিটি কথা বোঝান হয়ে থাকে। গানও করে — ‘ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ’, ব্রহ্মার নাম নিয়ে কখনো এরকম বলবে না যে “ব্রহ্মা পরমাত্মায়ঃ নমঃ”। একজনকেই পরমাত্মা বলা হয়ে থাকে। তিনি হলেন রচয়িতা। তোমরা জানো যে আমরা হলাম শিববাবার সন্তান। তিনি আমাদের ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করেছেন, আপন করে নিয়েছেন। ব্রহ্মার আত্মাকেও আপন করে নিয়েছেন, উত্তরাধিকার প্রদান করার জন্য। ব্রহ্মার আত্মাকেও বলেন — আমায় স্মরণ করো। বি.কে.- দেরকেও বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। দেহ অভিমান ত্যাগ করো। এ হলো জ্ঞানের কথা। ৮৪ জন্ম নিতে নিতে এই শরীর জরাগ্রস্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ রুগী হয়ে গেছে। বাচ্চারা, তোমরা কত নিরোগী ছিলে। সত্যযুগে কোনো রোগ ছিল না। এভারহেল্দী ছিলে। কখনো দেউলিয়া হ‌য়ে যাও নি। এখন থেকেই ২১ জন্মের জন্য নিজেদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে নেয়, সেইজন্য দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে না। এখানে তো দেউলিয়া হয়ে যায়। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে — গায়ন‌ও করা হয় “পরমপিতা পরমাত্মা শিবায়ঃ নমঃ”, ব্রহ্মাকে পরমাত্মা বলবে না। ওঁনাকে প্রজাপিতা বলা হয়ে থাকে। দেবতারা সূক্ষ্মলোকে থাকে। এ’কথা কারোর জানা নেই যে প্রজাপিতাই গিয়ে পুনরায় ফরিস্তায় পরিণত হন। সূক্ষ্মলোক-নিবাসী হন অর্থাৎ সূক্ষ্ম দেহধারী। বাবা এখন বাচ্চাদের বোঝান — মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ করো। তোমরাও নিরাকার, আমিও নিরাকার। মামেকম্ স্মরণ করতে হবে আর যেসকল দেহধারী আছে তাদের থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে নিতে হবে। দেহ-সহ এই নেত্র দ্বারা যাকিছু দেখো, সে’সবকিছুই শেষ হয়ে যাবে। পুনরায় তোমাদের যেতে হবে — সুখধাম ভায়া শান্তিধাম। সেই সুখধাম অথবা কৃষ্ণপুরীরই আকাঙ্ক্ষা তোমরা রেখে থাকো। সে’জন্য বাবা বলেন — শান্তিধাম সুখধামকে স্মরণ করো। যদিও সত্যযুগেও পবিত্রতা, সুখ, শান্তি থাকে কিন্তু তাকে শান্তিধাম বলা হবে না। কর্ম তো সকলকেই করতে হবে। রাজত্ব করতে হবে। সত্যযুগেও কর্ম করা হয় কিন্তু তা বিকর্ম হয় না কারণ সেখানে মায়াই নেই, এ তো সহজেই বোঝার মতন কথা। ব্রহ্মার হলো দিন, দিনে কখনো ধাক্কা খায় না। রাতের অন্ধকারে ধাক্কা খেতে হয়। তাহলে আধাকল্প হলো ভক্তি, ব্রহ্মার রাত। আধাকল্প হলো ব্রহ্মার দিন। বাবা বলেছেন — একটি জায়গায় ৬ মাস দিন, ৬ মাস রাত হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো শাস্ত্রে এ’সমস্ত কথার গায়ন করা হয় না। এ হলো ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত যা শাস্ত্রতে গায়ন করা হয়। এখন বিষ্ণুর রাত কেন বলা হয় না! ওখানে ওঁনার এই জ্ঞানই নেই। ব্রাহ্মণদের জানা রয়েছে — ব্রহ্মা আর ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারীদের জন্য এ হলো অসীমের দিন আর রাত। শিববাবার দিন আর রাত বলা হবে না। বাচ্চারা জানে আমাদের অর্ধেক কল্প দিন তারপর অর্ধেক কল্প হলো রাত। খেলাও এমন, সন্ন্যাসী প্রবৃত্তি মার্গের লোকেরা জানে না। তারা তো হলো নিবৃত্তিমার্গের। তারা স্বর্গ আর নরকের কথা জানে না। তারা বলে স্বর্গ কোথা থেকে এসেছে কারণ শাস্ত্রে তো সত্যযুগকেও নরক বানিয়ে দিয়েছে। এখন বাবা অতি মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনিয়ে থাকেন। তিনি বলেন — বৎস, আমি হলাম নিরাকার জ্ঞানের সাগর। আমার ভূমিকা জ্ঞান প্রদান করার যা এইসময়েই ইমার্জ হয়। বাবা নিজের পরিচয় দেন। ভক্তিমার্গে আমার জ্ঞান ইমার্জ হয় না। তা এখন ইমার্জ হয়েছে।তোমাদের মধ্যে যেমন ৮৪ জন্মের রীল ভরা রয়েছে, তেমনই আমারও যে যে ভূমিকা ড্রামায় যখন নির্ধারিত রয়েছে, তা সেইসময়েই পালিত হয়। এতে সংশয়ের কথা নেই। যদি আমার মধ্যে জ্ঞান ইমার্জ থাকতো তাহলে ভক্তিমার্গেও কাউকে শোনাতাম! ওখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের‌ও এই জ্ঞান নেই। ড্রামায় নির্ধারণ করাই নেই। মনুষ্যমাত্রেই কেউ যদি বলে যে অমুক গুরু আমাদের সদ্গতি দেন। কিন্তু গুরুরা কিভাবে সদ্গতি দেবে ? ওদেরও তো ভূমিকা রয়েছে, আর কেউ আবার বলে বরাবর দুনিয়া রিপীট হতে থাকে। এই চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। ওরা আবার চরকা রেখে দিয়েছে। এ হলো সৃষ্টির চক্র। আশ্চর্য দেখো, চরকা ঘোরালে পেট পূজা হয়। এখানে এই সৃষ্টি চক্রকে জানলে ২১ জন্মের জন্য তোমাদের প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয়। বাবা যথার্থ রীতি অনুসারে বসে অর্থ শুনিয়ে থাকেন। বাকি সকলেই বেঠিক রীতি অনুসারে শুনিয়ে থাকে। তোমাদের বুদ্ধির তালা খোলা রয়েছে। সর্বোচ্চ হলেন ভগবান, তারপর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর হলেন সূক্ষ্মলোক-নিবাসী। তারপর স্থূললোকে প্রথমে লক্ষ্মী-নারায়ণ, তারপর হলেন জগদম্বা, জগৎ পিতা। ওঁনারা হলেন সঙ্গমের। তারা তো হলো মানুষই। ভূজ ইত্যাদি কিছুই নেই। ব্রহ্মারও দুটি ভূজ (হাত) রয়েছে। ভক্তিমার্গের চিত্রে কতগুলো করে ভূজ দিয়ে দিয়েছে। যদি কারো আটটি ভূজ হয় তবে তো আটটি পা’ও হওয়া উচিত। এরকম তো হয় না। দেখানো হয়, রাবণের দশটি মাথা, তবে তো পা কুড়িটি হওয়া উচিত। এ সমস্ত হলো পুতুল খেলা। কিছুই বোঝে না। রামায়ণ যখন শোনানো হয় তখন অত্যন্ত কান্নাকাটি করে। বাবা বোঝান — এ’সব হলো ভক্তিমার্গ, যবে থেকে তোমরা বামমার্গে গিয়েছো তবে থেকে কাম-চিতায় বসে তোমরা কালো হয়ে গিয়েছো। এখন এক জন্ম জ্ঞান-চিতার হস্তবন্ধনে(জ্ঞানের সঙ্গে গাঁটবন্ধনে) ২১জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। ওখানে আত্ম-অভিমানী হয়। এক শরীর ত্যাগ করে অন্য নিয়ে নেয়। কান্নাকাটির কথাই থাকে না। এখানে সন্তানের জন্ম হলে অভিনন্দন জানাবে। ধুমধাম করে পালন করা হবে। কাল সন্তান মারা গেলে তখন হায়, ঈশ্বর! বলে শোরগোল করবে। এ হলো দু্ঃখধাম, তাই না! জানো যে সমগ্র এই খেলা ভারতের উপরেই। ভারত হলো অবিনাশী খন্ড। এরমধ্যেই সুখ-দুঃখ, নরক-স্বর্গের উত্তরাধিকার লাভ হয়। অবশ্যই হেভেনলী গডফাদারই হেভেন(স্বর্গ) স্থাপন করেছিলেন। লক্ষ-লক্ষ বছরের কথা হলে তখন কারোর স্মরণে কিকরে আসবে! কারোর জানা নেই – স্বর্গ আবার কখন হবে! বলে যে কলিযুগের আয়ু এখন চল্লিশ হাজার বছর। তাহলে এখন চল্লিশ হাজার বছরে কত জন্ম নিতে হবে! যেমন পাঁচ হাজার বছরে হলো ৮৪ জন্ম। বাচ্চারা, এখন তোমরা বুঝতে পেরেছো। তোমরা আলোয় রয়েছো। বাকি যাদের জ্ঞান নেই, তারা অজ্ঞান নিদ্রায় শায়িত রয়েছে। এ হলো অজ্ঞানতার অন্ধকার রাত অর্থাৎ সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান নেই। আমরা হলাম অ্যাক্টর, এই সৃষ্টি চক্রের চারটি ভাগ আছে। এই কথাগুলি মানুষই জানবে। বাচ্চারা, এখন তোমরা জেনেছো, বাবা হলেন নলেজফুল। ওঁনার মধ্যে যে যে গুণগুলি আছে, সে’সব তোমাদের দান করে দেন। জ্ঞানের সাগরের থেকে তোমরা উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। বাবা সর্বদাই বলেন — দেহধারীকে স্মরণ কোরো না। যদিও আমিও দেহ দ্বারাই শুনিয়ে থাকি। কিন্তু স্মরণ তোমরা নিরাকার আমাকেই করবে। স্মরণ করতে থাকলে ধারণাও হবে, বুদ্ধির তালাও খুলবে। ১৫ মিনিট বা আধা ঘন্টা থেকে শুরু করো, তারপর বাড়াতে থাকো। পরবর্তী সময়ে একমাত্র বাবা ছাড়া আর কেউ যেন স্মরণে না থাকে, সেইজন্যই সন্ন্যাসীরা সবকিছু ত্যাগ করে। তপস্যায় বসে, যখন শরীর ত্যাগ করে সেইসময় আশেপাশের বায়ুমন্ডলও শান্তির (শান্ত) হয়ে যায়। যেন কোনো শহরে কোনো মহাপুরুষ শরীর ত্যাগ করেছেন। তোমাদের তো এখন জ্ঞান আছে। আত্মা হলো অবিনাশী, সে বিলীন হতে পারে না। ওদের মধ্যে এই জ্ঞান নেই।

বাবা বোঝান যে আত্মার কখনো বিনাশ হয় না। তার মধ্যে যে জ্ঞান রয়েছে তারও বিনাশ হয় না। এ হলো চিত্তাকর্ষক ড্রামা। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ….. এই চক্র আবর্তিত হতে থাকে। তোমরা পুনরায় লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে থাকো। তারপর নম্বরের ক্রমানুযায়ী আর সব ধর্মাবলম্বীরা আসতে থাকে। গডফাদার হলেন একজনই। সত্যযুগ থেকে কলিযুগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতেই থাকে, অন্য বৃক্ষের উৎপত্তি হতে পারে না। চক্রও একটাই, স্মরণও একজনকেই করা হয়ে থাকে। গুরুনানক-কে স্মরণ করে কিন্তু ওনাকে আবার নিজের সময়ানুসারে আসতে হবে। জন্ম, মৃত্যুতে তো সকলকেই আসতে হবে। লোকেরা মনে করে — কৃষ্ণ হলেন হাজিরা-হুজুর(সেবায় উপস্থিত)। কেউ কাউকে মানে, কেউ কাউকে। বাবা বোঝান — বাচ্চারা, যুক্তি সহকারে বোঝাও যে ঈশ্বর সকলের এক, তিনি হলেন নিরাকার। এখানে গীতা হলো সকলের মাতা-পিতা কারণ তার দ্বারাই সকলের সদ্গতি প্রাপ্ত হয়। বাবা হলেন সকলের দুঃখ-হরণকারী, সুখ-প্রদানকারী। ভারত হলো সকলের তীর্থস্থান। সদ্গতি বাবার দ্বারাই প্রাপ্ত হয়। এ’টা হলো ওঁনার বার্থপ্লেস(জন্মস্থান), সকলেই ওঁনাকে স্মরণ করে। বাবা-ই এসে সকলকে রাবণের রাজ্য থেকে মুক্ত করেন। এখন এই হলো অতি ভয়াবহ নরক।

বাবা এখন বলেন – হে দেহধারী আত্মারা, এখন ফিরে যেতে হবে, কেবল আমায় স্মরণ করো। কখনো দেহধারীতে আবদ্ধ হয়ে পড়লে ক্রন্দন করতে হবে। একজনকেই স্মরণ করতে হবে, ওখানে আসতে হবে। ২১ জন্মের জন্য তোমাদের কান্নাকাটি বন্ধ হয়ে যায়। কেউ মারা গেল আর তোমরা কান্নাকাটি করতে থাকবে তাহলে তো তোমরা ক্রন্দন-প্রুফ হতে পারবে না। কারোর স্মরণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে আর মারা গেলে তাহলে তো দুর্গতি হয়ে যাবে। তোমাদের তো শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে,তাই না! হার্টফেলও হয়ে যায়। তোমাদের তো উঠতে-বসতে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। এও বুদ্ধিতে বসাতে হয় কারণ সারাদিনে স্মরণ না করলে তখন সংগঠনে বসাতে হয়। সকলের একত্রতায় ফোর্স(জোর) আসে। যদি আর কারোর স্মৃতি বুদ্ধিতে থাকে তবে পুনরায় জন্ম নিতে হবে। যাকিছুই হয়ে যাক, স্থির(স্থেরিয়াম) থাকতে হবে। দেহের অভিমান যেন না থাকে। যতখানি বাবাকে স্মরণ করো, সেই স্মরণ (স্মৃতির) রেকর্ডে নির্ধারিত হয়ে যায়। তোমাদের খুশিও হবে অনেক। আমরা দ্রুত চলে যাব। গিয়ে সিংহাসনে বসবো। বাবা সর্বদাই বলেন — বাচ্চারা, তোমরা কখনো কান্নাকাটি করবে না, কান্নাকাটি করে বিধবারা (পতিহীনা)। এখানেই তোমাদের সর্বগুণসম্পন্ন হতে হবে, যা পরে অবিনাশী হয়ে যায়। পরিশ্রম করা চাই। নিজের উপর নজর রাখতে হবে, কোনো ভূত থাকলে তাহলে উচ্চপদ পেতে পারবে না। নারদ ভক্ত ছিল – লক্ষ্মীকে বরণ করতে চাইত, কিন্তু চেহারা অর্থাৎ (আচরণ) দেখেছো তো বাঁদরের মতন…। তোমরা পুরুষার্থ করছো লক্ষ্মীকে বরণ করবার জন্য, যার মধ্যে পাঁচ ভূত থাকবে সে কীভাবে বরণ করবে! অনেক পরিশ্রম করা চাই। অতি মুল্যবান লটারী জেতো। আমরা রাজা অবশ্যই হবো, তাহলে প্রজাও হবে। হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ বৃদ্ধি হতে থাকবে। কেউ এলে সর্বপ্রথমে তাদের বাবার পরিচয় দাও। পতিত-পাবন, পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কীসের সম্বন্ধ! তখন অবশ্যই বলবে যে তিনি হলেন পিতা। আচ্ছা লেখো, একজনই হলেন পতিত-পাবন, সকলকে পবিত্র করেন। লিখিয়ে নিলে কেউ তর্ক করবে না। বলো, তুমি এখানে শুনতে এসেছো, নাকি শোনাতে ? সকলের সদ্গতিদাতা হলেন এক নিরাকার, তাই না! তিনি কখনো আকার-সাকারে আসেন না। আচ্ছা, তাহলে প্রজাপিতার সঙ্গে কিসের সম্বন্ধ? ইনি হলেন সাকারী, উনি হলেন নিরাকারী। আমরা অদ্বিতীয় পিতাকেই স্মরণ করি। আমাদের এইম অবজেক্ট হলো এ’টা। এঁনার থেকে আমরা রাজত্ব পাবো।আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনো দেহধারীর দিকে নিজের বুদ্ধি যেন আবদ্ধ না হয়ে পড়ে। স্মরণের রেকর্ড ঠিক রাখতে হবে। কখনো কান্নাকাটি (আক্ষেপ) করা উচিত নয়।

২ ) নিজের শান্তির স্বধর্মে স্থির থাকতে হবে। শান্তির জন্য এদিকে-ওদিকে ঘোরাঘুরি করা উচিত নয়। সকলকে এই ঘোরাঘুরি করা থেকে মুক্ত করতে হবে। শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে।

বরদানঃ-

কখনোই পুরুষার্থে নিরাশ হয়ো না। করতেই হবে, হতেই হবে, বিজয়মালা আমারই স্মারকচিহ্ন, এই স্মৃতিতেই বিজয়ী হও। এক সেকেন্ড বা মিনিটের জন্যও নিরাশাকে নিজের অন্তরে স্থান দিও না। অভিমান আর নিরাশা — এই দুটিই মহাবলবান হতে দেয় না। অভিমানীদের অপমান বোধের ফিলিংস অতি প্রবল, সেইজন্য এই দুটি বিষয়ের থেকে মুক্ত হয়ে নির্মাণ (নিরহংকারী) হও তবেই নব নির্মাণের কার্য করতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top