18 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 17, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - নিজেকে ২১ জন্মের জন্য স্বরাজ্য তিলক দিতে হবে তাই দেহ সহ দেহের সব চেতনা ভুলে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করো”

প্রশ্নঃ --

গরিব বাচ্চাদের কোন্ বুদ্ধিমানী দেখে বাবা খুশী হন, তাদেরকে কি পরামর্শ দেন ?

উত্তরঃ -:-

গরিব বাচ্চারা – যারা নিজের কানাকড়ি সব বাবার সেবায় সফল করে, ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য নিজের ভাগ্য জমা করে নেয়, বাবাও সেই সব বাচ্চাদের বুদ্ধিমানী দেখে খুব খুশী হন। বাবা এমন বাচ্চাদের ফার্স্ট ক্লাস পরামর্শ দেন – বাচ্চারা তোমরা ট্রাস্টি হও। নিজের ভেবো না। সন্তান ইত্যাদিকে ট্রাস্টি হয়ে লালন পালন করো। জ্ঞানের দ্বারা তোমরা নিজের জীবনকে সংশোধন করে রাজার রাজা হও।

গান:-

ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা দুটি শব্দ শুনলো। বাচ্চারা বুঝেছে যে আমরা এইখানে নতুন দুনিয়ার জন্য ভাগ্য নির্মাণ করতে এসেছি। ভাগ্য নির্মাণ করার জন্য উপায় থাকা উচিত। বাচ্চারা জানে এখানে শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয়, মহামন্ত্র প্রাপ্ত হয়, মন্মনাভব। শব্দ তো আছে, তাইনা। এই মন্ত্র কে প্রদান করেন ? উনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু এবং মতামত প্রদানকারী সাগর। তাঁর মত একবারই প্রাপ্ত হয়। ড্রামায় একবার যা হয়ে গেছে সেসব পুনরায় ৫ হাজার বছর পরে হয়। এই একটি মহামন্ত্রের দ্বারা তরী পার হয়ে যায়। পতিত-পাবন বাবা এসে একবারই শ্রীমৎ প্রদান করেন। পতিত-পাবন কে ? পরম পিতা পরমাত্মাই পতিত থেকে পবিত্র করে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে যান। তাঁকেই পতিত-পাবন, সদ্গতি দাতা বলা হয়। তোমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছো। তোমরা জানো উনি হলেন আমাদের সব। উঁচু থেকে উঁচু ভাগ্যের নির্মাণ কর্তা আমাদের। তোমাদের নিশ্চয় আছে, এই মহামন্ত্র প্রাপ্ত হয়, অসীমের পিতার দ্বারা। তিনি তো বাবা, তাইনা। এক হলেন নিরাকার, আর এক হল সাকার। বাচ্চারাও স্মরণ করে, পিতাও স্মরণ করেন। কল্প-কল্প নিজের সন্তানদের জ্ঞান প্রদান করেন। বাবা বলেন সর্বজনের সদ্গতির জন্য মন্ত্র একটি এবং প্রদান করেনও একজন। সদ্গুরু তো সত্য মন্ত্র প্রদান করবেন। তোমরা জানো আমরা এখানে এসেছি নিজের সুখধামের ভাগ্য নির্মাণ করতে। সুখ ধাম সত্য যুগকে বলা হয়, এ হল দুঃখ ধাম। যারা ব্রাহ্মণ স্বরূপে পরিণত হয়, তাদেরকেই শিববাবা, ব্রহ্মা মুখের দ্বারা মন্ত্র প্রদান করেন। অবশ্যই সাকারে আসতে হবে, তা নাহলে দেবেন কীভাবে। তিনি বলেন কল্প-কল্প বাচ্চারা তোমাদের এই মহামন্ত্র প্রদান করি – মামেকম্। দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে, দেহ ও দেহের সব ধর্মকে ভুলে যাও। নিজেকে দেহ নিশ্চয় করলে দেহের সম্বন্ধের আত্মীয় স্বজন কাকা, মামা, গুরু গোঁসাই ইত্যাদি সবাই স্মরণে আসে। এই কথাও বলা হয় আমি মরলে মরলে আমার কাছে দুনিয়া ও মৃত। বাবা বলেন আমি তোমাদের এমন মন্ত্রই প্রদান করি। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে, অশরীরী হয়ে যাও। শরীরের বোধ ত্যাগ করো। এখানে হল দেহ-অভিমানী। সত্য যুগে হল আত্ম – অভিমানী। এই সঙ্গমে তোমরা আত্ম – অভিমানীও হও এবং পরমাত্মার পরিচয় জেনে আস্তিকও (ঈশ্বরে বিশ্বাসী) হও। আস্তিক তাদের বলা হয় যারা পরমপিতা পরমাত্মা এবং তাঁর রচনাকে জানে। আস্তিক না কলিযুগে থাকে, না সত্যযুগে হয়, সঙ্গমেই হয়। বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত করে তারাই আবার সত্যযুগে রাজত্ব করে। এখানে নাস্তিক, আস্তিক এই সব কথা চলে, সেখানে হয় না। আস্তিক ব্রাহ্মণরা হয়, যারা আগে নাস্তিক ছিল। এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া হল নাস্তিক । কেউ বাবাকে বা বাবার রচনাকে জানে না। সর্বব্যাপী বলে দেয়। বাচ্চারা, তোমাদের এক বাবার সাথেই সবকিছু। তাঁর শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয় অথবা উপায় বলে দেন। বলেন বাচ্চারা দেহ সহ দেহ বোধ ভোলো, কাউকে স্মরণ করবে না। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমি পিতাকে স্মরণ করো। একেই মহামন্ত্র বলা হয়, যার দ্বারা তোমাদের ভাগ্য নির্মাণ হয়। তোমাদের স্বরাজ্য তিলক প্রাপ্ত হয় – ২১ জন্মের জন্য। ওটা হল প্রালব্ধ। গীতা হল নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য।

তোমরা বাচ্চারা জানো এই দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন দুনিয়ার জন্য ভাগ্য নির্মাণ হচ্ছে। এটা হল মৃত্যুলোক। এখানে দেখো মানুষের ভাগ্য কেমন। এর নামই হল দুঃখ ধাম। এই কথাটি কে বলেছে ? আত্মা। এখন তোমরা আত্ম অভিমানী হয়েছো। আত্মা বলে এটা হল দুঃখ ধাম। আমাদের পরম ধাম হল সেইখানে যেখানে বাবা থাকেন। এখন বাবা জ্ঞান প্রদান করছেন এবং ভাগ্য নির্মাণ করছেন। বাবা একটি মহামন্ত্র দেন – আমাকে স্মরণ করো। কোনো দেহধারীর কথা শুনতে হলে শোনো, কিন্তু স্মরণ আমি বিদেহীকে করো। শুনতে তো অবশ্যই হবে দেহধারীকে। ব্রহ্মাকুমার – কুমারীরা মুখ দিয়েই তো বলবে যে পতিত-পাবনকে স্মরণ করো। তোমাদের মাথায় যে বিকর্মের বোঝা আছে সেসব স্মরণের বল এর দ্বারা ভস্ম করতে হবে। নিরোগী হতে হবে। তোমরা বাচ্চারা বাবার সম্মুখে বসে আছো। জানো যে বাবা এসেছেন ভাগ্য নির্মাণ করতে এবং খুব সহজ পথ বলে দেন তিনি । বাচ্চারা বলে বাবা স্মরণ থাকে না। বাবা বলেন তোমাদের লজ্জা বোধ হয় না ! লৌকিক পিতা যে তোমাদের পতিত বানায়, তার স্মৃতি থাকে আর পারলৌকিক পিতা যিনি তোমাদের পবিত্র বানান, বলেন মামেকম্ স্মরণ করো, তবে বিকর্ম বিনাশ হবে। তাঁর জন্য বলো বাবা ভুলে যাই। বাবা বলেন আমি তোমাদের মন্দিরের যোগ্য করতে এসেছি। তোমরা জানো ভারত শিবালয় ছিল – আমরা রাজত্ব করেছিলাম পরে আমাদের জড চিত্র গুলির পূজা করে এসেছি মন্দিরে। আমরা সেই দেবতা ছিলাম, সে কথা ভুলে গিয়েছি। তোমাদের মাম্মা-বাবা পূজ্য দেবী-দেবতা ছিলেন, পরে পূজারী হয়েছিলেন। এই নলেজ বুদ্ধিতে আছে। বৃক্ষের চিত্রেও মুখ্য দেখানো হয়েছে। প্রথমে ফাউন্ডেশনে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ছিল, এখন নেই। ৫ হাজার বছর পূর্বে সত্যযুগ ছিল, এখন হল কলিযুগ। কলিযুগের পরে পুনরায় সত্যযুগ আসবে। অবশ্যই শ্রীমৎ প্রদানকারী বাবাকে আসতে হবে। দুনিয়া বদলাবে নিশ্চয়ই। খবর ছড়িয়ে দিতেই থাকো। বৃক্ষের বৃদ্ধি শীঘ্র হবে না। বিঘ্ন পড়ে যায়। ভিন্ন ভিন্ন নাম রূপে আটকে যায়। বাবা বলেন কোথাও আটকা পড়বে না। যদি গৃহস্থেও থাকো, বাবাকে স্মরণ করো এবং পবিত্র থাকো। ভগবানুবাচ – কাম হল মহাশত্রু। পূর্বেও গীতার ভগবান বলেছিলেন – এখন পুনরায় বলছেন। গীতার ভগবান অবশ্যই কাম বিকার রূপী শত্রুকে পরাজিত করিয়ে ছিলেন। এক হল রাবণের রাজ্য, আরেক হল রামের রাজ্য। রাম রাজ্য দিন, রাবণের রাজ্য রাত। বাবা বলেন এখন এই রাবণের রাজ্য শেষ হবে, তার জন্য সব প্রস্তুতি চলছে। বাবা পড়াশোনা করিয়ে নিয়ে যাবেন তারপরে তোমাদের রাজত্ব চাই। তখন আর এই পতিত পৃথিবীতে রাজত্ব করবে না। শিববাবার তো চরণ নেই, যে এখানে চরণ রাখবেন। দেবতাদের চরণ এই পতিত দুনিয়ায় পড়তে পারে না। তোমরা জানো আমরা দেবতায় পরিণত হচ্ছি। তারপরে ভারতেই আসবো। কিন্তু সৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে কলিযুগ থেকে সত্যযুগ হয়ে যাবে। এখন তোমরা শ্রেষ্ঠ হচ্ছো। অনেক বাচ্চারা বলে বাবা ঝড়ঝঞ্ঝা আসে। বাবা বলেন তোমরা বাবাকে ভুলে যাও সেই কারণেই আসে। বাবার মতানুসারে চলো না। শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ বাবার মত প্রাপ্ত হয় – বাচ্চারা, ভ্রষ্টাচারী হবে না। তোমাদের পড়াচ্ছেন একমাত্র বাবা। উনি বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। ব্রহ্মার রথকেও স্মরণ করবে না। রথী এবং রথবান (শিববাবা এবং ব্রহ্মাবাবা) । ঘোড়ার গাড়ির তো কথাই নেই। তাতে বসে কি জ্ঞান প্রদান করা যায় ? আজকাল তো বিমানের দ্বারা যাত্রা হয়। বিজ্ঞান উন্নতির শিখরে যাচ্ছে । মায়ার পাম্প বা আড়ম্বর চলছে রমরমা। এই সময় একে অপরের কত খাতির যত্ন করা হচ্ছে । অমুক স্থানের প্রাইম মিনিস্টার এলো, সম্মানিত হল। ১৫ দিন পরে সেই সম্মান হারিয়ে গেল। বাদশাহদের সামনেও বিপদ অনেক। ভয় থাকে। তোমরা কত সহজ জ্ঞান প্রাপ্ত করো। তোমরা খুব গরিব, কানা কড়ি নেই। ট্রাস্টি বানাও – বাবা এই সব কিছু আপনার। বাবা বলেন আচ্ছা তোমরাও ট্রাস্টি হয়ে থাকো। যদি নিজের ভাববে তবে এই তোমাদের বুদ্ধিমানী নয়। শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। যারা ট্রাস্টি হবে তারা শ্রীমৎ অনুসারে চলবে। তোমরা গরিব, বুঝেছো এই সব কানা কড়ি বাবাকে অর্পণ করি। বাবা তখন ফার্স্টক্লাস পরামর্শ দেন। সন্তানদের লালন পালনও করতে হবে। এই সময় তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করো, যার দ্বারা তোমাদের ভবিষ্যৎ বদলে যায় এবং রাজাদের রাজা হয়ে যাবে। বাবার কর্তব্য হল পরামর্শ দেওয়া। বাবাকে স্মরণ করো। দয়া অনুভব হওয়া উচিত। যে আত্মাই হোক তাকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। খুব যুক্তি যুক্ত হয়ে চলতে হয়। সূর্পণখা, পুতনা, অজামিল, দুর্যোধন ইত্যাদি সবই এখনকার নাম। বর্তমানের সীন পুনরায় কল্প পরে রিপিট হবে। সেই বাবা সম্মুখে এসে নলেজ প্রদান করেন। মানুষ থেকে দেবতা পদ প্রাপ্ত করান। তোমরা এসেছো ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন বর্সা নিতে। পূর্বেও মহাভারী লড়াই হয়েছিল। এর সাথেই সম্বন্ধ রয়েছে। বাবা ভালো ভাবে বুঝিয়ে মানুষ থেকে দেবতা পদে উন্নীত করেন। তোমরা এসেছো বাবার কাছে বর্সা নিতে। ব্রহ্মা বা জগৎ অম্বা অথবা বি.কে.দের কাছে বর্সা প্রাপ্তি হবে না। এনারাও শিববাবার কাছেই বর্সা প্রাপ্ত করেন। অন্যদেরও বোঝান। তোমরাও জগৎ পিতার সন্তান হয়ে তাঁর কাছ থেকে বর্সা প্রাপ্ত করো। সবাইকে আলাদা-আলাদা করেই বলেন, বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো। এর ফলে ডাইরেক্ট জ্ঞানের বাণ লেগে যায়। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমাদের বর্সা নিতে হবে আমার কাছে। তোমাদের আত্মীয় মিত্রপরিজন কেউ মারা গেলেও বর্সা তোমাদের বাবার কাছ থেকেই নিতে হবে। এতে খুব খুশী থাকা প্রয়োজন। আরে, তোমরা নিজের ভাগ্য নির্মাণ করতে এসেছো, জানো যে বাবা পুনরায় আমাদের স্বর্গের মালিক বানাচ্ছেন । তাই সেই সব ম্যানার্স ধারণ করতে হবে। বিকারের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আমরা পবিত্র নির্বিকারী হচ্ছি। ড্রামা এবং কল্পবৃক্ষকে বুঝতে হবে, অন্য কোনো কষ্ট নেই, সিম্পল থেকেও সিম্পল। তা সত্ত্বেও বাচ্চারা বলে বাবা ভুলে যাই। ভূত এসেছিল। বাবা বলেন এই ভূত গুলিকে দূর করো। নিজের হৃদয় দর্পণে দেখো – আমরা উপযুক্ত হয়েছি ? নর থেকে নারায়ণ হতে হবে। বাবা বসে বোঝান – মিষ্টি -মিষ্টি সৌভাগ্যশালী বাচ্চারা, তোমরা সৌভাগ্যশালী হওয়ার জন্য এসেছো। এখন তো সবাই দুর্ভাগ্যশালী তাইনা। ভারতবাসীই সৌভাগ্যশালী ছিল, অনেক ধনী ছিল। ভারতেরই কথা। বাবা বলেন তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো – কারণ তোমাদের তো আমার কাছে আসতে হবে, তাই অন্তিম সময়ে যেমন মতই তেমনই গতি প্রাপ্ত হবে। এখন নাটক সমাপ্তির মুখে, আমরা ফিরে যাব। বাবা উপায়ও বলে দেন। সবাই পাপ থেকে মুক্ত হয়ে পুণ্য আত্মায় পরিণত হবে। পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া ছিল, যা পুনরায় স্থাপন হচ্ছে। পুরানো দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে নতুন হবে। তারা বোঝে – ভারত প্রাচীন ছিল, স্বর্গ হেভেন ছিল। হেভেনলি গড ফাদার হেভেন নির্মাণ করেছিলেন। তিনি কবে এসেছিলেন ? এই সময়েই আসেন। এই সময়কেই কল্যাণকারী পিতার আগমনের সময় বলা হয়। এই রাবণের সম্প্রদায় কতো বিশাল। রামের সম্প্রদায় খুবই ছোট। এইখানে বৃদ্ধি হতে থাকে। বাচ্চারা বাবার কাছে পুনরায় বর্সা নিতে আসতে থাকবে। প্রদর্শনী অথবা প্রজেক্টর দিয়ে বোঝাতে থাকো তোমরা। এখন তো অনেক সার্ভিস করতে হবে। বাবা বলতে থাকেন প্রিয় বাচ্চারা – এ হল ড্রামা। কিন্তু এই সময় পর্যন্ত যা কিছু তৈরি হয়েছে তাকে অ্যাক্যুরেট ড্রামা বলা হবে। ড্রামায় যা নির্ধারিত রয়েছে সেই বিষয়ে বাবা বলেন – আমিও এর মধ্যে রয়েছি। বাচ্চারা, পতিত দুনিয়ায় আমাকেও আসতে হয়। পরমধাম থেকে দেখো আমি কীভাবে এইখানে আসি, বাচ্চাদের জন্য। প্লেগ হলে ডাক্তাররা দূরে সরে যায় না। তাকে তো আসতেই হবে। গায়নও করে – পতিত-পাবন এসো, এসে ৫ বিকার থেকে মুক্ত করে পবিত্র করো অথবা উদ্ধার করো। দুঃখধাম থেকে সুখধামে নিয়ে চলো। গড ইজ লিব্রেটর (ঈশ্বর হলেন উদ্ধার কর্তা)। উনি সর্বজনের লিব্রেটর তাইনা এবং গাইড রূপে ফিরিয়ে নিয়ে যান, পরে নম্বর অনুসারে আত্মারা আসে । সূর্যবংশী তারপরে চন্দ্র বংশী, তারপর দ্বাপর আরম্ভ হলে পূজারী হয়ে যায়। গায়নও করে দেবতারা বাম মার্গে চলে গেছে। বাম মার্গের চিত্রও দেখানো হয়। এখন তোমরা প্রাক্টিক্যালে বুঝেছো – আমরা সেই দেবতা ছিলাম, কতখানি সহজ কথা মতো বুঝবার। এই কথা তো ভালো ভাবে বুদ্ধিতে ধারণ করা উচিত।

এখন তোমরা বাচ্চারা নিজের ভাগ্য তৈরী করবার জন্য এসেছো। এইখানে বাবা সম্মুখে বসে আছেন। যদিও টিচাররা নম্বর অনুসারে আছে। এইখানে প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ দিয়ে ভগবান সব বেদ শাস্ত্রের সার বলে দিয়েছেন। প্রথমে তো ব্রহ্মা শুনবেন তাইনা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে সূক্ষ্মবতনে দেখানো হয়েছে। এখন বিষ্ণু তো হলেন সত্য যুগের মালিক এবং ব্রহ্মা হলেন সঙ্গম যুগের। ব্রহ্মা তো এখানেই চাই, যখন ব্রাহ্মণরা দেবতায় পরিণত হয়। এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। পূর্বেও যজ্ঞ রচনা হয়েছিল, এতেই সম্পূর্ণ দুনিয়া স্বাহা হয়ে যাবে, সব শেষ হয়ে যাবে। তোমরা বাচ্চারা পুনরায় এইখানে এসে রাজত্ব করবে নতুন দুনিয়াতে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অন্তর থেকে ভূত (বিকার) গুলিকে দূর করে নর থেকে নারায়ণ হওয়ার উপযুক্ত হতে হবে, হৃদয় দর্পণে দেখতে হবে, আমরা কতটা যোগ্য হয়েছি।

২ ) নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। শরীরের বোধ যেন না থাকে – এই অভ্যাস করতে হবে।

বরদানঃ-

পবিত্রতার রয়্যালটি অর্থাৎ রিয়ালিটি সম্পন্ন আত্মারা সদা খুশীতে নাচতে থাকে । তাদের খুশী কখনও কম, কখনও বেশি হয় না। দিন দিন সব সময় আরও খুশী বৃদ্ধি হতে থাকবে, তাদের অন্তরে এক বাইরে অন্য ভাব থাকবে না। বৃত্তি, দৃষ্টি, বোল ও আচরণ সব হবে সত্য । এমন রিয়্যাল রয়্যাল আত্মাদের চিত্ত এবং ভাব ভাবেও সদা প্রসন্ন বা হর্ষিত থাকবে। হর্ষিতচিত্ত, হর্ষিতমুখ অবিনাশী হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top