16 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 15, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের কোনো দেহধারীর নাম রূপে ফাঁসলে চলবে না, তোমরা অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে আয়ু বৃদ্ধি পাবে, নিরোগী হতে থাকবে"

প্রশ্নঃ --

সেন্সীবেল বাচ্চাদের মুখ্য লক্ষণ কি হবে ?

উত্তরঃ -:-

যারা সেন্সীবেল হবে তারা প্রথমে নিজে ধারণ করবে তারপর অন্যদের করাবে। প্রথমে মেঘেরা ভরপুর হবে তারপর অন্যদের উপরে বর্ষণ করবে। পড়াশোনার সময় হাই তুলবে না। ব্রাহ্মণীদের দায়িত্ব দেওয়া আছে – এখানে তাদেরই নিয়ে আসতে হবে যারা রিফ্রেশ হয়ে গিয়ে তারপর বর্ষণ করবে। (২) এখানে তাদেরই আসা উচিত যারা ভালোভাবে যোগযুক্ত হয়ে বায়ুমণ্ডলকে শক্তিশালী বানাতে সহায়ক হবে। বিঘ্ন ঘটাবে না। এখানে আশেপাশে অনেক শান্তির দরকার। কোনো প্রকারের যেন আওয়াজ না হয়।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়..

ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তি অর্থ তো বোঝানো হয়েছে তাই না – বাবা বলেন যে আত্মা আর পরমাত্মা হল শান্ত স্বরূপ। যে’রকম বাবা সে’রকমই তার বাচ্চারা। তাই বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান তোমরা তো হলেই শান্ত স্বরূপ। বাইরের থেকে কখনোই শান্তি প্রাপ্ত করা যায় না। এটি হলো রাবন রাজ্য তাই না। এখন এই সময়ে তোমরা কেবল নিজের পিতাকে স্মরণ করো, আমি এনার মধ্যে বিরাজ করছি। তোমাদের যা মত প্রদান করি তা পালন করো। বাবা কোনো নাম রূপে ফাঁসায় না। এই নাম রূপ হল বাইরের। এই রূপে তোমাদের ফাঁসলে চলবে না। সমস্ত দুনিয়া নাম রূপে ফাঁসায়। বাবা বলেন যে এদের সকলের নাম রূপ আছে, এদের স্মরণ ক’রো না। নিজের পিতাকে স্মরণ করো তোমাদের আয়ুও স্মরণের দ্বারা বৃদ্ধি পেতে থাকবে নিরোগীও হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণও তোমাদের মতোই ছিল, কেবল ওনারা সুসজ্জিত। এ’রকম নয় যে ছাদের মত লম্বা-চওড়া ছিল। মানুষ তো মানুষ-ই হয়। তাই বাবা বলেন যে কোনো দেহধারীকে স্মরণ করো না। দেহকে ভুলতে হবে। নিজেকে আত্মা মনে করো – এই শরীরকে তো ত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ গিফিলতি ক’রো না, বির্কমের বোঝা মাথার উপরে অনেক আছে। অনেক ভারী বোঝা। এক বাবার স্মরণ ব্যতীত তা কমতে পারে না। বাবা বুঝিয়েছেন যে যারা সবথেকে বেশি পবিত্র হয়, তারাই আবার সবথেকে বেশি পতিত হয়, এটা আশ্চর্যের কোনো ব্যাপার নয়। নিজেকে দেখতে হবে। বাবাকে অনেক স্মরণ করতে হবে। যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো, এ হলো অনেক সহজ। এত প্রিয় বাবাকে উঠতে-বসতে স্মরণ করতে হবে। যাকে আহ্বানও করা হয় পতিতপাবন এসো, কিন্তু হৃদয়ের অন্তঃকরণ পর্যন্ত যে ভালোবাসা, তা থাকে না। ভালোবাসা সেই নিজের স্বামী বাচ্চা ইত্যাদিদের প্রতিই থাকে। কেবল বলে পতিত-পাবন এসো। বাবা বলেন যে বাচ্চারা, আমি কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গমে আসি। গায়নেও আছে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। কৃষ্ণ তো হলই সত্যযুগের প্রিন্স। উনি আবার ওই নাম রূপ দেশ কাল ব্যতীত আসতে পারবে না। নেহেরুও ঐ রূপে ঐ পজিশানে আবারও কল্প পরে আসবে। সে’রকমই কৃষ্ণও সত্যযুগে আসবে। ওদের ফিচার্স পরিবর্তন হবে না। এই যজ্ঞের নামই হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞ। রাজত্বের জন্য বলিহার হওয়া অর্থাৎ তারজন্য প্রস্তুত হওয়া। বাবার হয়েছো তাহলে এক’কেই স্মরণ করা উচিত। সীমিত জগতের থেকে সম্বন্ধ ছিন্ন করে অসীম জগতের সাথে যুক্ত হতে হবে, তিনি হলেন অনেক মহান পিতা। তোমরা জানো যে বাবা এসে আমাদের কি কি প্রদান করেন। অসীমের পিতা তোমাদের অসীমের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন যা কেউ দিতে পারবে না। মানুষ তো একে অপরকে মারতে, কাটতে থাকে, যেটা পূর্বে কখনোই হতো না।

তোমরা জানো যে বাবা আবারও এসেছেন। বলেন যে কল্প-কল্পের সঙ্গমযুগে, যখন নতুন দুনিয়ার স্থাপনা করতে হয় তখন আমি আসি। চাইতেও থাকো নতুন দুনিয়া, নতুন রামরাজ্য। ওখানে সুখ সম্পত্তি সমস্ত কিছুই থাকে, ঝগড়া করার কেউ থাকে না। শাস্ত্রে তো স্বর্গ ত্রেতাকেও নরক বানিয়ে দিয়েছে। এটি হলো ভুল তাই না। ওরা অসত্য শোনায়, বাবা সত্য শোনান। বাবা বলেন যে তোমরা আমার বিষয়ে বলে থাকো তাই না যে আমিই (শিব) সত্য ! আমি এসে সত্য কথা শোনাই। ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারতে কার রাজত্ব ছিল। বাচ্চারা জানে যে – প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। বলেও থাকে ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। হিসাব তো হলো একদম সোজা। বলেও যে কল্পের আয়ু এতো বেশি কেন রেখে দিয়েছে! আরে হিসাব তো করো। ক্রাইস্টের এত সময় হয়েছে। যুগ-ই হল চারটি। অর্ধকল্প হল দিন, অর্ধকল্প হল রাত। যারা বোঝাবে তাদের অনেক বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। বাবা বোঝান যে বাচ্চারা, কাম হল মহাশত্রু। ভারতবাসীরাই দেবতাদের মহিমা গায়ন করে – সর্বগুণ সম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী, ১৬ কলা সম্পন্ন….. তাহলে ১৬১০৮ রাণী এলো কোথা থেকে! তোমরা জানো যে ধর্মশাস্ত্র কোনোটাই নয়। ধর্মশাস্ত্র সেটাকে বলা হয় – যেটা ধর্ম স্থাপকরা উচ্চারণ করেছে। ধর্ম স্থাপকদের নামে শাস্ত্র তৈরী হয়েছে। এখন তোমরা বাচ্চারা নতুন দুনিয়ায় যাচ্ছো। এগুলো হল সব পুরাতন তমোপ্রধান, সেইজন্য বাবা বলেন যে পুরাতন বিষয়বস্তুর থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে মনে মনে স্মরণ করো (মামেকম্) – তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। গাফিলতি যদি করো, বাবা তখন বোঝেন যে, এদের ভাগ্যই এ’রকম। এ হল সহজ বিষয়। এটা কি তোমরা বুঝতে পারছো না? মোহের আকর্ষণ সমস্ত কিছুর থেকে মুক্ত ক’রে এক বাবাকে স্মরণ করো। ২১ জন্মের জন্য তোমাদের আর কোনো দুঃখ থাকবে না। না তোমরা এই কুব্জা ইত্যাদি হবে। ওখানে তো জানে যে কেবল আয়ু সম্পূর্ণ হয়েছে, এক শরীর পরিত্যাগ করে অন্য নিতে হবে। যে’রকম সাপের উদাহরণ, জন্তু-জানোয়ারের উদাহরণ দেওয়া হয়। হয়ত ওরা আগে থেকেই জানতে পেরে যায়। এই সময়ের মানুষের থেকে বেশি বুদ্ধি জন্তু-জানোয়ারেরও থাকে। ভ্রমরের উদাহরণও হল এখনকার । পোকা-মাকড়দের কিভাবে নিয়ে যায়। এখন তোমাদের সুখের দিন আসছে। কন্যারা বলে যে আমরা পবিত্র থাকি, সেইজন্য আমাদের অনেক মার খেতে হয়। হ্যাঁ বাচ্চারা কিছু তো সহ্য করতে হবে। অবলাদের উপর অত্যাচার গায়নেও আছে। অত্যাচার করবে তখনই তো পাপের ঘড়া পূর্ণ হবে। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে বিঘ্ন তো অনেক পড়তেই থাকে। অবলাদের উপরে অত্যাচার হবে। এটা শাস্ত্রেও গায়ন আছে। কন্যারা বলে, বাবা আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে আপনার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল। স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়েছিলাম, মহারানী হয়েছিলাম। বাবা বলেন যে হ্যাঁ কন্যারা, এতটাই পুরুষার্থ করতে হবে।

স্মরণ শিববাবাকে করতে হবে,এনাকে নয়। ইনি গুরু নন। এনার কানও শোনে। উঁনি হলেন তোমাদের পিতা, শিক্ষক, সদ্গুরু । এঁনার দ্বারা শিখে অন্যদেরকে শেখায়। সকলের পিতা হলেন এক। আমাকেও অর্থাৎ ব্রহ্মাকেও শেখাচ্ছেন তিনিই, সেইজন্য অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করতে হবে। বিষ্ণুকে অথবা ব্রহ্মাকে কখনো কি পতিদের পতি বলবে ? শিববাবাকেই কেবল পতিদের পতি বলা হয়। তাহলে কেন ওঁনাকেই ধরবো না। তোমরা সকলে প্রথমে মূলবতনে নিজের প্রিয়ার ঘরে যাবে তারপর শ্বশুর ঘরে আসবে। প্রথমে শিব বাবার কাছে গিয়ে সেলাম জানাতেই হবে, তারপর আসবে সত্যযুগে। কত সহজ পাই-পয়সার বিষয়।

বাবা সব দিকের বাচ্চাদেরকে দেখেন। কোথাও কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়নি তো। কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে, হাই তুললে, বুদ্ধিযোগ ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সে বায়ুমন্ডলকে দূষিত করে দেয়, কারণ বুদ্ধিযোগ বাইরে ঘুরে বেড়ায় যে। তাইতো বাবা সর্বদা বলেন যে মেঘ এমনই নিয়ে এসো যা রিফ্রেশ হয়ে গিয়ে বর্ষা করবে। বাকিরা এসে কি করবে। যারা নিয়ে আসবে তাদের ওপরও রেসপন্সিবিলিটি (দায়িত্ব) আছে। যে ব্রাহ্মণীরা সেন্সিবল, তারা ভরপুর হয়ে গিয়ে বর্ষা করবে। এইরকমদেরকে নিয়ে আসতে হবে। বাকিদের নিয়ে এসে লাভ কী হবে। শুনে, ধারণ করে তারপর ধারণা করাতে হবে। পরিশ্রমও করতে হবে। যদি তোমরা এই ভাণ্ডারী থেকে আহার গ্রহণ করো তাহলে তোমাদের দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যাবে। তাহলে তাদের এখানে আসতে হবে – যারা যোগযুক্ত থাকতে পারবে। নাহলে তো বায়ুমণ্ডল দূষিত করে দেয়। এই সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে। ফটো ইত্যাদি তোলারও কোনো দরকার নেই। যতটা সম্ভব বাবার স্মরণে থেকে যোগদান দিতে হবে। আশেপাশে অনেক শান্তির দরকার। হাসপাতাল সর্বদা বাইরে নিরিবিলি স্থানে থাকে, যাতে সেখানে আওয়াজ না হয় । পেশেন্টদের শান্তি দরকার। তোমাদেরও ডাইরেকশন দেওয়া হয় – তাই সেই শান্তিতে থাকতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এ হল প্রকৃত শান্তি। বাদ বাকি হল আর্টিফিশিয়াল। বলেও থাকে না যে – দু মিনিট ডেট সাইলেন্স। কিন্তু ঐ দুই মিনিটে বুদ্ধি কোথায় কোথায় চলে যায়। কারোরই প্রকৃত শান্তি থাকে না। তোমরা ডিট্যাচ ( উপরাম) হয়ে যাবে। আমরা হলাম আত্মা, এ হল আমাদের স্বধর্মে থাকা। বাদ বাকি হতাশ হয়ে শান্ত থাকা, এটা কোনো প্রকৃত শান্তি নয়। বলা হয় তিন মিনিট সাইলেন্স, অশরীরী ভব – এইরকম আর কারোরই বলার ক্ষমতা নেই যে এটা বলতে পারে। বাবার-ই হল এটা মহাবাক্য – প্রিয় বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ কেটে যাবে। নাহলে পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে আর দন্ড ভোগ করতে হবে। শিববাবার ডাইরেকশনে চললেই কল্যাণ হবে। বাবাকে সর্বদা স্মরণ করতে হবে। যতটা সম্ভব মোস্ট সুইট বাবাকে স্মরণ করতে হবে। স্টুডেন্টদের নিজের টিচারের সম্মান রক্ষার জন্য অনেক খেয়াল রাখতে হয়। অনেক স্টুডেন্ট পাশ না করতে পারলে টিচাররা পারিশ্রমিক পায় না। এখানে কৃপা অথবা আশীর্বাদের কোন বিষয় থাকে না। প্রত্যেককে নিজের উপর কৃপা অথবা আশীর্বাদ করতে হবে। স্টুডেন্টরা নিজেদের উপর কৃপা করে, পরিশ্রমও করে। এও হল পঠন-পাঠন। যত যোগযুক্ত হবে ততই বিকর্মাজীত হবে, উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। স্মরণের দ্বারা চির নিরোগী হবে। মন্মনাভব । এইরকম কৃষ্ণ কখনোই বলতে পারবে কি ? এই নিরাকারী পিতা বলেন – বিদেহী হও। এ হল ঈশ্বরীয় অসীম জগতের পরিবার। মা-বাবা, ভাই-বোন ব্যস্ আর কোনো সম্বন্ধ নয়। আর সমস্ত সম্বন্ধে কাকা, মামা, জ্যাঠা থাকে। এখানে আছে কেবল ভাই বোনের সম্বন্ধ। এই রকম কখনই হয় না, সঙ্গম ব্যতীত। যেহেতু আমরা মাতা-পিতার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। গহন সুখ প্রাপ্ত করছি। রাবণ রাজ্যে আছে গভীর দুঃখ । রামরাজ্যে আছে গহন সুখ, যার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো। যারা যতখানি পুরুষার্থ করবে তারা কল্প কল্পের জন্য নিশ্চিত (সিদ্ধ) হয়ে যাবে। প্রাপ্তিও অনেক ভালো। যারা কোটিপতি, পদমপতি তাদের সমস্ত টাকা-পয়সা মাটিতে মিশে যাবে। অল্পবিস্তর লড়াই শুরু হতে দাও তখন দেখো কি হয়। বাদ বাকি কাহিনী হল – বাচ্চারা তোমাদের। সত্য কাহিনী শুনে তোমরা বাচ্চারা সত্যখন্ডের মালিক হও। এ হল দৃঢ় নিশ্চয় তাই না। নিশ্চয় ব্যতীত এখানে কেউ আসতে পারে না। বাচ্চারা তোমাদের কোনো গাফিলতি করা উচিত নয় । বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নিতে হবে, যেমন মাম্মা-বাবা নিচ্ছেন। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শরীর থেকে ডিট্যাচ হয়ে স্বধর্মে স্থিত থাকার অভ্যাস করতে হবে। যতটা সম্ভব মোস্ট বিলাভেড বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মোহের সমস্ত রকম আকর্ষণ থেকে মুক্ত হতে হবে।

২ ) পড়াশোনার ওপরে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে নিজের উপরেই নিজেকে কৃপা বা আশীর্বাদ করতে হবে। বুদ্ধিযোগ সীমিত জগৎ থেকে ছিন্ন করে অসীম জগতের সাথে যুক্ত করতে হবে। বাবার হয়ে বাবার উপর সম্পূর্ণরূপে বলিহার হতে হবে।

বরদানঃ-

যে কোনো দুর্বলতা তখনই আসে যখন সৎ সঙ্গ থেকে পৃথক হয়ে যায় আর অন্য কোনো সঙ্গ যুক্ত হয়ে যায়। সেইজন্যই ভক্তিতে বলে সর্বদা সৎসঙ্গে থাকো। সৎসঙ্গ অর্থাৎ সর্বদা সত্য বাবার সঙ্গে থাকা। তোমাদের সকলের জন্য সত্য বাবার সঙ্গ হল অতি সহজ, কারণ এটি হল সমীপের সম্বন্ধ। তাই সর্বদা সৎসঙ্গে থেকে দুর্বলতাকে সমাপ্তকারী সহজ যোগী, সহজ জ্ঞানী হও।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজীর অমূল্য মহাবাক্য “মুক্তি আর জীবন মুক্তির স্টেজ”

মুক্তি আর জীবনমুক্তি উভয় স্টেজ-ই হল পৃথক-পৃথক, যখন আমরা মুক্তি শব্দ উচ্চারণ করি তখন মুক্তির অর্থ হল আত্মা শরীরের পার্ট থেকে মুক্ত, তাহলে আত্মার শরীরের সাথে এই সৃষ্টিতে পার্ট নেই। যখন আত্মার মানব শরীরে কোনো পার্ট নেই তাহলে আত্মা নিরাকারী দুনিয়ায় আছে, সুখ-দুঃখ থেকে পৃথক দুনিয়াতে আছে, একেই বলে মুক্ত স্টেজ।একে কোনো মুক্তি পদ বলা হয় না আর যে সমস্ত আত্মারা কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত অর্থাৎ শরীরের পার্টধারী হয়েও তারা কর্মবন্ধন থেকে পৃথক থাকে, তাই তাকে জীবনমুক্ত পদ বলা হয়, যেটা হল সর্বোচ্চ স্টেজ। এ হল আমাদের দেবত্বের প্রালব্ধ, এই জন্মেই পুরুষার্থ করার জন্য এই সত্যযুগী দেবত্বের প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয়, সেটি হল আমাদের উচ্চ পদ কিন্তু যে সমস্ত আত্মা পার্টে নেই তাদের পদ কীভাবে বলা হবে ? যখন আত্মার স্টেজে পার্ট নেই তাহলে মুক্তি কোনো পদ নয়। এখন এতো যে মনুষ্য সম্প্রদায় আছে তারা কেউই সকলে সত্যযুগে যায় না কেননা সেখানে মনুষ্য সম্প্রদায় কম থাকে। তাহলে যারা যত বেশি প্রভুর সাথে যোগযুক্ত হয়ে কর্মাতীত হয়েছে, তারাই সত্যযুগী জীবনমুক্ত দেবী দেবতা পদ প্রাপ্ত করবে। বাকি যারা ধর্মরাজের দন্ড ভোগ করে কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে শুদ্ধ হয়ে মুক্তিধামে যায়, তারা মুক্তিতে আছে কিন্তু মুক্তিধামে কোনো পদ নেই, এই স্টেজ তো বিনা পুরুষার্থে স্বতঃতই নির্দিষ্ট সময় অনুসারে প্রাপ্ত হয়েই যায়। মানুষের যে সব চাহিদা দ্বাপর থেকে শুরু করে কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থেকেছিল যে আমরা জন্ম-মরণের চক্রে আসবো না, সেই আশা এখন পূর্ণ হচ্ছে। এর অর্থ হল সকল আত্মাকে ভায়া মুক্তিধাম অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে। আচ্ছা।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top