12 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

12 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

11 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"সব সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে অসীম বৈরাগী হও"

আজ আবারও একবার কল্প বাদে সব বাচ্চা তাদের আপন সাকার সুইট হোম মধুবনে পৌঁছে গেছে। সাকার বতনের সুইট হোমই মধুবন। যেখানে বাবা আর বাচ্চাদের রূহানী মেলা বসে। মিলন-মেলা হয়। তাহলে তোমরা বাচ্চারা সবাই মিলন মেলায় এসেছ। বাবা আর বাচ্চাদের এই মিলন মেলা শুধু সঙ্গমযুগে হয় আর মধুবনেই হয়। সেইজন্য সবাই দৌড়াতে দৌড়াতে মধুবনে এসে পৌঁছেছ। মধুবন সাকার রূপেও বাপদাদার সাথে মিলন করায় আর সেই সঙ্গে সহজ স্মরণ দ্বারা অব্যক্ত মিলনও করায়, কারণ মধুবন ভূমি রূহানী মিলনের, সাকার রূপে মিলনের অনুভূতির বরদান প্রাপ্ত হয়েছে। বরদানী ভূমি হওয়ার কারণে মিলনের অনুভব সহজে করতে পারো। আর কোনও স্থানে জ্ঞান সাগর আর জ্ঞান নদীর মিলন মেলা হয় না। সাগর আর নদীসমূহের মিলন মেলা হয় এই একই স্থানে। এমনই মহান বরদানী ভূমিতে এসেছ – এইরকম মনে হয় তোমাদের? তপস্যা-বর্ষে এই কল্পে প্রথমবার যে বাচ্চারা মিলন উদযাপন করছে তাদের বিশেষ গোল্ডেন চান্স লাভ হয়েছে। তোমরা কত লাকি ! তপস্যা-বর্ষের শুরুতে নতুন বাচ্চাদের এক্সট্রা বল প্রাপ্ত হয়েছে। সুতরাং শুরুতেই এক্সট্রা বলপ্রাপ্তি ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ায় সহযোগী হবে, সেই জন্য নতুন বাচ্চাদের ড্রামাও সহযোগ দিয়েছে এগিয়ে যেতে। অতএব, এই অভিযোগ করতে পারবে না যে, আমরা তো পরে এসেছি। এই এক্সট্রা ভাগ্য কম নয় ! নতুন বাচ্চারা তোমরা সবাই বিশেষভাবে তিন বরদান প্রাপ্ত হয়েছ – এই বর্ষের, মধুবন ভূমির এবং নিজের পুরুষার্থের। তাহলে তোমরা কত লাকি হলে ! এত অবিনাশী ভাগ্যের নেশা বজায় রাখো। এই নেশা যেন শুধু এখানে থাকা পর্যন্ত না হয়, বরং বাবা অবিনাশী, তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা অবিনাশী, সুতরাং তোমাদের ভাগ্যও অবিনাশী। অবিনাশী ভাগ্যকে অবিনাশী রাখো। এটা শুধু সহজভাবে অ্যাটেনশন দেওয়ার বিষয়। টেনশনের সাথে অ্যাটেনশন নয়। অ্যাটেনশন সহজ হোক, আর কঠিনই বা কী আছে? তোমরা জেনে নিয়েছ ‘আমার বাবা’, তাঁকে মেনে নিয়েছ। সুতরাং যা জেনে নিয়েছ, মেনে নিয়েছ, অনুভব করে নিয়েছ, অধিকার প্রাপ্ত হয়ে গেছে তাহলে কঠিন কী আছে? শুধুমাত্র এই অনুভব করতে থাকো – একই আমার বাবা। এটাই ফুল নলেজ।

এক ‘বাবা’ শব্দে আদি-মধ্য-অন্তের সমস্ত জ্ঞান সমাহিত হয়ে আছে, কারণ বাবা বীজ তো না। বীজে তো সমগ্র বৃক্ষ সমাহিত হয়ে থাকে, তাই না ! বিস্তার ভুলে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু ‘বাবা’ এই এক শব্দে সার এটা মনে রাখা কঠিন নয়। সদা সহজ, সহজ না? এটা নয়, কখনো সহজ, কখনো কঠিন। বাবা সদা আমার, নাকি কখনো কখনো আমার? যখন বাবা সদা আমার তো স্মরণও সদা সহজ হয়। কোনো কঠিন বিষয় নয়। ভগবান বললেন “তুমি আমার” আর তুমি বললে “তুমি আমার।” তাহলে কঠিন কী? সুতরাং নতুন বাচ্চারা আরও বেশি এগিয়ে যাও। এখনও তোমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার চান্স আছে। এখন পর্যন্ত ফাইনাল সমাপ্তির বিউগল বাজেনি। সেইজন্য ওড়ো আর অন্যদেরও উড়িয়ে নিয়ে চলো। এর বিধি হলো ওয়েস্ট অর্থাৎ ব্যর্থ বন্ধ করো। সঞ্চয়ের খাতায় নিরন্তর পুঁজি বাড়িয়ে যাও, কারণ ৬৩ জন্ম সঞ্চয় করনি, উপরন্তু খুইয়ে ফেলেছ। তোমাদের সব খাতা ব্যর্থতে শেষ করে দিয়েছ। শ্বাসের খাজানাও ক্ষয় করে ফেলেছ, সঙ্কল্পের খাজানাও নিঃশেষ করেছ, সময়ের খাজানাও নষ্ট করেছ, গুণের খাজানা খেয়ে ফেলেছ, শক্তির খাজানাকে হারিয়েছ, জ্ঞানের খাজানারও অবশিষ্ট কিছুই নেই। কত খাতা খালি হয়ে গেছে ! এখন এই সব খাতা তোমাদের জমা করতে হবে। জমা হওয়ার জন্য এখনো সময় আছে এবং জমা করার সহজ বিধিও বাবা দ্বারা তোমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে। বিনাশী খাজানা খরচ করলে কম হয়ে যায়, ফুরিয়ে যায় আর এই সব খাজানা যত নিজের জন্য এবং অন্যের জন্য শুভ বৃত্তি দ্বারা কার্যে প্রয়োগ করবে, ততই জমা হতে থাকবে, বৃদ্ধি পাবে। এখানে খাজানা কার্যে প্রয়োগ করা হলো জমা করার বিধি। ওখানে রেখে দেওয়া জমা করার বিধি আর এখানে প্রয়োগ করা জমা করার বিধি। কত প্রভেদ ! সময়কে নিজের জন্য কিংবা অন্যের জন্য শুভ কার্যে যদি ব্যবহার করো তাহলে জমা হতে থাকবে। জ্ঞানকে কার্যে প্রয়োগ করো। এইভাবে সমুদয় গুণ, শক্তিকে যত ব্যবহার করবে ততই বাড়বে। তারা যেমন লকারে সবকিছু রেখে দেয় আর ভাবে অনেক জমা আছে, সেই রকম তোমরাও ভাবো আমার বুদ্ধিতে জ্ঞান অনেক আছে, গুণও আমার মধ্যে অনেক আছে, শক্তিও আছে – এটা ভেবো না। লক আপ করে রেখো না, ইউজ করো। বুঝেছ ! জমা করার বিধি কী? কার্যে প্রয়োগ করা। নিজের জন্যও ইউজ করো, নয়তো লস হয়ে যাবে। অনেক বাচ্চা বলে সব খাজানা আমার মধ্যে সমাহিত হয়ে আছে। কিন্তু সমাহিত হয়ে থাকার লক্ষণ কী? সমাহিত হয়ে আছে অর্থাৎ সেই সব তোমরা জমা করে রেখেছ। সুতরাং তার লক্ষণ হলো যে, সেই সব প্রয়োজনের সময় নিজের জন্য এবং অন্যদের জন্য কাজে আসবে। কাজেই আসেনি কিন্তু বলবে অনেক জমা আছে অনেক জমা আছে, তাহলে তাকে জমা করার যথার্থ বিধি বলা হবে না, অতএব, যদি যথার্থ বিধি না হয় তাহলে সময়ে সম্পূর্ণতার সিদ্ধি প্রাপ্ত হবে না। তোমরা প্রবঞ্চিত হবে। সিদ্ধিপ্রাপ্ত হবে না।

গুণ, শক্তি কার্যে ব্যবহার করলে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সুতরাং সঞ্চয়ের বিধি, সম্বলের বিধিকে ব্যবহার করো। তারপরে ব্যর্থের খাতা আপনা থেকেই পরিবর্তন হয়ে সফল হয়ে যাবে। যেমন ভক্তিমার্গে এই নিয়ম আছে যে তোমার কাছে যতটা স্থূল ধন আছে তা’ দান করো, সময়োপযোগী বানাও, তবে বর্ধিত হতে থাকবে। এমনকি ভক্তিতে সময়োপযোগী করার জন্য তারা তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা কত বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং তোমরাও তপস্যা-বর্ষে শুধু এটা চেক ক’রো না যে, ব্যর্থ কত নষ্ট করেছ ! ব্যর্থে নষ্ট করেছ সে’তো আলাদা বিষয়। কিন্তু এটা চেক করো কত সফল করেছ? যে সমুদয় খাজানা সম্বন্ধে তোমাদের বলা হয়েছে। গুণও রয়েছে যা বাবার দান। আমার গুণ আছে, আমার শক্তি আছে ― এই ভুল স্বপ্নেও ক’রো না। এই সব বাবার দান, সুতরাং প্রভুর দান, পরমাত্ম-দানকে আমার মনে করা মহাপাপ। অনেকবার অনেক বাচ্চা সাধারণ ভাষায় এমন ভাবেও আর বলেও যে, আমার এই গুণকে ইউজ করা হয় না, আমার এই শক্তি আছে, আমার বুদ্ধি খুব ভালো, সেটা ইউজ করা হয় না। ‘আমার’ কোথা থেকে এলো ? ‘আমার’ বললে আর ময়লা হলো। ভক্তিতেও ৬৩ জন্ম ধরে এই শিক্ষা দিতে থাকে যে, আমার মনে ক’রো না, তোমার মনে করো। কিন্তু তবুও সেই শিক্ষা গ্রহণ করা হয়নি। সুতরাং জ্ঞান মার্গে বলবে তোমার আর মনে করা হবে আমার – এই প্রতারণা এখানে চলে না, সেইজন্য প্রভু প্রসাদকে নিজের মনে করা, এটা অভিমান আর অপমান করা হয়। “বাবা-বাবা” শব্দ কখনও ভুলো না। বাবা শক্তি দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন, বাবার কার্য, বাবার সেন্টার, সব জিনিস বাবার। এই রকম ভেবো না, আমার সেন্টার, আমি বানিয়েছি, আমার অধিকার। ‘আমার’ শব্দ কোথা থেকে এলো? তোমার কি? বোঁচকা একপাশে সামলে রেখেছ কি? কিছু বাচ্চা এমন নেশা দেখায় – আমি সেন্টারের জন্য নিবাস স্থান তৈরি করেছি, সুতরাং আমার অধিকার আছে। কিন্তু কার সেন্টার তৈরি করেছ? বাবার সেন্টার তো না ! তাহলে, যখন বাবাকে অর্পণ করে দিয়েছ তো আবার তোমার কোথা থেকে হলো ? আমার কোথা থেকে এলো ? যখন বুদ্ধি বদলে যায় তখন বলে আমার। আমার-আমার এটাই ময়লা করেছে, আবারও ময়লা হতে চাও ? যখন ব্রাহ্মণ হয়েছিলে তো বাবার কাছে করা ব্রাহ্মণ জীবনের প্রথম প্রতিজ্ঞা কী করেছিলে মনে আছে তোমাদের? যারা নতুন তারা প্রতিজ্ঞা করেছে, নাকি পুরানোরা করেছে? নতুনরা এখন পুরানো হয়ে এসেছ তো না? নিশ্চয়বুদ্ধির ফর্ম পূরণ করে এসেছ তো? সুতরাং সবার প্রথম প্রতিজ্ঞা ছিলো ― তন, মন, ধন আর বুদ্ধি সব তোমার। এই প্রতিজ্ঞা সবাই করেছিলে তোমরা?

যদি তোমরা এখন প্রতিজ্ঞা করতে চলেছ তো হাত তোলো। যারা মনে করে যে, ভবিষ্যতের জন্য কিছু সরিয়ে রাখতে হবে, সবকিছু বাবাকে কীভাবে দিয়ে দেবে ? কিছু তো সরিয়ে রাখতে হবে, যারা এটা ভাবে যে সেটা বিচক্ষণতার কাজ, তারা হাত উঠাও। কিছু কী সরিয়ে রেখেছ? দেখো, পরে যেন ব’লো না যে আমাদের কে দেখেছে? এত ভিড়ের মধ্যে আমাকে কে দেখতে যাচ্ছে? বাবার কাছে খুব ক্লিয়ার টিভি আছে। তার থেকে তোমরা লুকাতে পারবে না, সুতরাং ভেবে-চিন্তে যদি কিছু রাখতে চাও তো রাখো। পাণ্ডবরা কী ভাবছ? অল্প কিছু রাখা উচিত? ভালো করে ভাবো। যারা কিছু রাখতে চায় তারা এখনই হাত তোলো ! বেঁচে যাবে ! নয়তো, এই সময়, এই সভা, তোমাদের এই কাঁধ ঝাঁকানো – এই সব দেখা যাবে। কখনও আমিত্বভাব রেখো না। যখন তোমরা বলো বাবা, পাপ সমাপ্ত হয়ে যায়। যখন বাবা বলো না তখন পাপ হয়ে যায়। যখন পাপের বশীভূত হও, তোমাদের বুদ্ধি কাজ করে না। যতই কেউ বোঝানোর চেষ্টা করুক, তোমরা বলো, না, এটাই ঠিক, এটা তো হতেই হবে, এটা তো করতেই হবে। বাবারও দয়া হয়, কারণ সেই সময় পাপের বশীভূত হও। বাবাকে ভুলে যাও বলেই তো পাপ এসে যায়। আর পাপের বশ হওয়ার কারণে যা তোমরা বলো, যা করো তা’ তোমরা নিজেরাই বোঝো না যে আমরা বলছি, আমরা কী করছি ! কারণ বশ্যতা। অতএব, সদা জ্ঞানের স্মরণে থাকো। পাপের উত্তেজনায় এসো না। মাঝে-মধ্যে মায়ার এই তরঙ্গ আসে। তোমরা নতুনরা এই বিষয় থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রেখো। আমার-আমার এই বোধে থেকো না। একটু পুরানো যদি হয়ে যায় তাহলে এই আমার-আমার বোধের মায়া অনেক বেশি আসে। আমার বিচার, বুদ্ধিই আমার নয় তো আমার বিচার কোথা থেকে এলো? সুতরাং বুঝেছ, জমা করার বিধি কী? কার্যে প্রয়োগ করা। সময়োচিত পদক্ষেপ করো, নিজের ঈশ্বরীয় সংস্কারকেও সময়োপযোগী করো, তবে ব্যর্থ সংস্কার আপনা থেকেই চলে যাবে। ঈশ্বরীয় সংস্কারকে যদি কার্যে প্রয়োগ না করো তবে তা’ লকারে থেকে আরও পুরানো কাজ করতে থাকে। অনেকেরই এই অভ্যাস থাকে – ব্যাঙ্কে কিংবা আলমারিতে রাখার। অনেক ভালো কাপড় থাকবে, পয়সা থাকবে, জিনিস থাকবে, কিন্তু তবুও পুরানোই ইউজ করবে। পুরানো বস্তুর প্রতি তাদের ভালোবাসা থাকে আর আলমারির জিনিস আলমারিতেই থেকে যাবে, তারা পুরানো দিয়েই চালিয়ে দেবে। কিন্তু তোমরা এই রকম ক’রো না – পুরানো সংস্কার ইউজ করবে আর ঈশ্বরীয় সংস্কার বুদ্ধির লকারে রেখে দেবে !

না, কার্যে প্রয়োগ করো, সময়োপযোগী করো। সুতরাং এই চার্ট রাখো যে, সফল কতটা করেছি ! সময়োপযোগী করা মানে কার্যে প্রয়োগ করা এবং বৃদ্ধি করা। মন্সা দ্বারা সফল করো, বাণী দ্বারা সফল করো। সম্বন্ধ-সম্পর্ক দ্বারা, কর্ম দ্বারা, নিজের শ্রেষ্ঠ সঙ্গ দ্বারা, নিজের অতি শক্তিশালী বৃত্তি দ্বারা সফল করো। এমন ভেবো না যে, আমার বৃত্তি তো সবসময় ভালোই থাকে। কিন্তু তা’ কতটা সফল হতে দিয়েছ ? আমার সংস্কার তো শান্তই কিন্তু সফল কতটা করেছ? কার্যে প্রয়োগ করেছ? সুতরাং এই বিধি গ্রহণ করলে সম্পূর্ণতার সিদ্ধি সহজভাবে অনুভব করতে থাকবে। সময়োপযোগী করাই সফলতার চাবি। বুঝেছ, কি করতে হবে? শুধু নিজের মধ্যেই খুশি হতে থেকো না – আমি খুব ভালো, গুণবান, আমি খুব ভালো ভাষণ করতে পারি, আমি খুব ভালো, আমি জ্ঞানী, আমার যোগও খুব ভালো। কিন্তু ভালো যখন ইউজ তো করো। সেই সব সফল করো। সহজ বিধি হলো – কার্যে প্রয়োগ করো আর বাড়াও। বিনা পরিশ্রমে বৃদ্ধি হতে থাকবে, তারপরে ২১ জন্ম সুখ-প্রসন্নতার সাথে তা’ ব্যবহার করবে। ওখানে পরিশ্রম করতে হবে না।

বিশাল সম্মেলন (ওম্ শান্তি ভবনের হল্ একদম পুরোপুরি ভরে গেছে, সেইজন্য কিছুজনকে নীচে মেডিটেশন হল্ এবং হিস্ট্রি হলে বসতে হয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে হল্ ছোট হয়েছে।) শাস্ত্রে তোমাদের স্মারকচিহ্নের যে গায়ন রয়েছে, প্রথমে গ্লাসে জল রাখা হয়েছে, তারপরে তা’ থেকে ঘড়ায় রাখা হয়েছে, তার পরে ঘড়া থেকে পুকুরে, পুকুর থেকে নদীতে। শেষমেষ কোথায় গেল ? সাগরে। তো এই সম্মেলন প্রথমে হিস্ট্রি হলে হয়েছিল, তারপরে মেডিটেশন হলে, এখন ওম্ শান্তি ভবনে হচ্ছে। এরপরে কোথায় হতে চলেছে? যেমনই হোক, তার মানে এই নয় যে সাকার মিলন ব্যতীত অব্যক্ত মিলন উদযাপন করতে পারবে না। অব্যক্ত মিলন উদযাপনের অভ্যাস সময় অনুসারে বৃদ্ধি হওয়ারই আছে আর বৃদ্ধি হতেই হবে। এটা তো দাদিরা কৃপালু হয়ে তোমরা সব নতুনদের প্রতি বিশেষ কৃপা করেছেন। কিন্তু অব্যক্ত অনুভবকে বাড়ানো – এটাই সময়তে কাজে আসবে। দেখ, নতুন-নতুন বাচ্চাদের জন্যই বাপদাদা সাকারে মিলনের এই বিশেষ পার্ট এখনো পর্যন্ত প্লে করছেন। কিন্তু সেটাও কত সময় চলবে?

সবাই তোমরা রাজিখুশী, সন্তুষ্ট? বাইরে থেকেও তোমরা সন্তুষ্ট? ড্রামাতে এটাও পার্ট। কেননা, তোমরা বলো সমগ্র আবু আমাদের হবে, তাহলে তা’ কীভাবে হবে? প্রথমে তোমরা চরণ তো রাখো। তারপরে এখন যে স্থানকে ধর্মশালা বলা হয় তা’ তোমাদের হয়ে যাবে। দেখ, বিদেশে ইতিমধ্যেই এই রকম হতে চলেছে। চার্চ যেগুলো বেশি চলে না সেগুলো বি. কে.দের দিয়ে দিয়েছে। এই রকম বড়-বড়ো স্থান যা লোকে চালাতে অপারগ তারা অফার করছে তো না ! সব জায়গায়-জায়গায় ব্রাহ্মণদের চরণ পড়ছে, এতেও রহস্য আছে। তাইতো ড্রামাতে ব্রাহ্মণের থাকার পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। সুতরাং তখন কী করবে যখন সমগ্র আবুই তোমাদের হয়ে যাবে? তারা নিজেরাই তোমাদের অফার করে বলবে তোমরাই এটা দেখাশোনা করো। আমাদেরও দেখভাল করো, আর অশ্রমও দেখভাল করো। যে সময় যে পার্ট প্রাপ্ত হয়, তা’তে সম্মত হয়ে পার্ট প্লে করো। আচ্ছা।

চারিদিকের চাত্রক আত্মাদের, যারা মিলন উদযাপন করে, জ্ঞান রত্ন ধারণ করে আকার রূপে বা সাকার রূপে মিলন মেলা উদযাপনকারী শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা সমুদয় রত্ন-ভান্ডার সফল করে সফলতাস্বরূপ হওয়া আত্মাদের, সদা আমার বাবা এবং সীমাবদ্ধতার কোনও আমিত্বভাবের লেশমাত্র যাদের থাকে না, এই রকম অসীমের বৈরাগী আত্মাদের সদা বিধি দ্বারা সব সময় সম্পূর্ণতার সিদ্ধি প্রাপ্ত করা বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

দাদিদের সাথে:- সদাসর্বদা কোনও নতুন সীন হওয়া উচিত তো না। ড্রামাতে এটাও নতুন সীন ছিল যা রিপিট হয়েছে। এটা ভেবেছিলে যে, এই হল্ ছোট হবে? সদা এক সীন তো ভালো লাগে না। কখনো কখনো নতুন সীন ভালো লাগে। এও এক জাঁকজমকপূর্ণ রূহানী শোভা তো না ! এই সব আত্মাদের সঙ্কল্প সম্পূৰ্ণ হওয়ার ছিল, সেইজন্য এই সীন হয়েছে। এখান থেকে তোমাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তোমরা আসতে পারো। তাহলে কী করবে? এখন তো নতুন আরও বৃদ্ধি পাবে, আর পুরানোরা তো পুরানো হয়ে গেছে। যেভাবে উৎসাহের সাথে এসেছে, সেই ভাবে নিজেদেরকে সেট করেছে, সেটা ভালো করেছে। বিশাল তো হওয়ারই আছে। কোনভাবেই কম হওয়ার নয়। যখন বিশ্ব কল্যাণকারীর টাইটেল আছে তখন তো বিশ্বের সামনে এত কিছুই না। বৃদ্ধিও হতে হবে আর বিধিও নতুন থেকে নতুনতর হতে হবে। কিছু না কিছু বিধি তো হতেই থাকা উচিত। এখন বৃত্তি পাওয়ারফুল হবে। তপস্যা দ্বারা যখন তোমাদের বৃত্তি পাওয়ারফুল হবে, তখন আপনা থেকেই তোমাদের বৃত্তি দ্বারা আত্মাদেরও বৃত্তি চেঞ্জ হয়ে যাবে। আচ্ছা, সবাই তোমরা সেবা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাও না তো না ! তোমরা আনন্দের সাথে এখানে আসছ। আচ্ছা।

বরদানঃ-

যে কর্মই করো তার জন্য আশীর্বাদ নাও আর আশীর্বাদ দাও। শ্রেষ্ঠ কর্ম করলে সবার আশীর্বাদ আপনা থেকেই প্রাপ্ত হয়। সবার মুখ থেকে বের হয়, ইনি তো খুব ভালো। বাঃ ! তাঁর কর্মই স্মরণিক হয়ে যায়। যে কাজই করো, কিন্তু খুশি নাও আর খুশি দাও, আশীর্বাদ দাও। এখন সঙ্গমে যখন আশীর্বাদ নেবে আর দেবে তখন তোমাদের জড় চিত্র দ্বারাও আশীর্বাদ প্রাপ্ত হতে থাকবে এবং বর্তমানেও চৈতন্য দর্শনীয় মূর্ত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top