04 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 3, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এই খেলা হল কবরস্থান আর পরীস্থানের। এই সময় হল কবরস্থান, এরপর আবার পরীস্থান হবে - তোমাদের এই কবরস্থানের প্রতি মন দেওয়া উচিত নয়"

প্রশ্নঃ --

মানুষ কোন্ কথাটিকে যদি জেনে যায়, তবে তাদের সংশয় দূর হয়ে যাবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা কে, তিনি কীভাবে আসেন-এ’কথা জেনে নিলে সব সংশয় দূর হয়ে যাবে। যতক্ষণ বাবাকে জানবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সংশয় দূর হতে পারে না। নিশ্চয়বুদ্ধি হলে বিজয় মালাতে এসে যাবে। কিন্তু প্রতিটি কথায় সেকেন্ডে সম্পূর্ণ নিশ্চয় হওয়া চাই।

গান:-

ঐ আকাশ সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসো..

ওম্ শান্তি । বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। ইনি হলেন অসীমের আত্মিক পিতা। আত্মারা সকলে অবশ্যই তাদের রূপ বদল করে। নিরাকার থেকে সাকারে আসেই পার্ট প্লে করতে, কর্মক্ষেত্রে । বাচ্চারা বলে বাবা, তুমিও আমাদের মতো রূপ বদল করো। সাকার রূপ ধারণ করেই তো নিশ্চয়ই জ্ঞান প্রদান করবেন। মানবের রূপকেই তো নেবেন তাই না ! বাচ্চারাও জানে যে আমরা হলাম নিরাকার, তারপর সাকার হই। সব সময় হয়ও এই রকমই। সেটা হল নিরাকারী দুনিয়া। এই সব কথা বাবা বসে শোনান। তিনি বলেন তোমরা তোমাদের ৮৪ জন্মের কাহিনীকে জানো না। আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনাকে বোঝাচ্ছি, ইনি তো সেটা জানেন না। কৃষ্ণ তো হল সত্যযুগের প্রিন্স, এনাকে আসতে হয় পতিত দুনিয়াতে, পতিত শরীরে। কৃষ্ণ ফর্সা ছিল, তাহলে কালো কী করে হল ? সে’কথা কেউই জানে না। বলে সর্প দংশনে। বাস্তবে এ হল পাঁচ বিকারের কথা। কাম-চিতাতে বসার ফলে কালো হয়ে যায়। শ্যাম সুন্দর কৃষ্ণকেই বলা হয়। আমার তো শরীর নেই যে গৌর বর্ণ বা শ্যামলা হবো। আমি তো হলাম এভার পিওর। আমি প্রত্যেক কল্পের সঙ্গমযুগে আসি যখন কলিযুগের অন্ত, সত্যযুগের আদি হয়। আমাকে এসে স্বর্গের স্থাপনা করতে হয়। সত্যযুগ হল সুখধাম। কলিযুগ হল দুঃখধাম। এই সময় মনুষ্য মাত্রই সবাই হল পতিত। সত্যযুগের লক্ষ্মী-নারায়ণ, মহারাজা- মহারাজা-মহারানীর গভর্নমেন্টকে ভ্রষ্টাচারী তো বলা হবে না। এখানে সবাই হল পতিত। ভারত স্বর্গ ছিল তো দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। একটাই ধর্ম ছিল। সম্পূর্ণ পবিত্র, শ্রেষ্ঠাচারী ছিল । ভ্রষ্টাচারী, শ্রেষ্ঠাচারীদের পূজা করে। সন্ন্যাসীরা পবিত্র হয়, তখন অপবিত্ররা তাদের সামনে মাথা নত করে। সন্ন্যাসীদের কোনো কিছুই তো গৃহস্থীরা ফলো করে না, কেবল বলে দেয় আমি হলাম অমুক সন্ন্যাসীর ফলোয়ার। ফলো করলে তবে না ! তোমরাও সন্ন্যাসী হয়ে যাও, তখন বলবে ফলোয়ার, গৃহস্থীরা ফলোয়ার হয় কিন্তু তারা পবিত্র তো হয় না। না সন্ন্যাসীরা তাদেরকে বোঝায়, না তারা নিজেরা মনে করে যে আমরা ফলো তো করি না। এখানে তো সম্পূর্ণ ফলো করতে হবে – মাতা – পিতাকে। গাওয়া হয়ে থাকে ফলো ফাদার – মাদার, অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে, সকল দেহধারীদের থেকে সঙ্গ ছিন্ন করে একমাত্র বাবার সাথে জোড়ো। তবে বাবার কাছে পৌঁছে যাবে, তারপর সত্যযুগে এসে যাবে। তোমরা হলে অলরাউন্ডার। ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকো। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত, অন্ত থেকে আদি পর্যন্ত তোমরা জানো যে, আমাদের অলরাউন্ড পার্ট চলে। অন্য ধর্মের মানুষদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত পার্ট চলে না। আদি সনাতন হলই একমাত্র দেবী-দেবতা ধর্ম। সর্ব প্রথমে সূর্যবংশীরা ছিল।

এখন তোমরা জানো যে, আমরা অলরাউন্ড ৮৪ জন্মের পরিক্রমা লাগাই। পরে যারা আসে তারা তো অলরাউন্ডার হতে পারবে না। এটা তো বুঝতে হবে। বাবা ছাড়া আর কেউই বোঝাতে পারে না। সবার প্রথমে হল ডিটিজম। অর্ধ কল্প সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্ব চলে। এখন তো এটা হল খুব ছোট্ট একটা যুগ, একেই বলা হয় সঙ্গম, কুম্ভও বলা হয়। তাঁকেই স্মরণ করে থাকে – হে পরমপিতা পরমাত্মা এসে আমাদেরকে, এই পতিতদেরকে পবিত্র করে নাও। বাবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কতো এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। যজ্ঞ – তপ, দান – পুণ্য ইত্যাদি করতে থাকে। লাভ তো কিছুই হয় না। এখন তোমরা এই বিভ্রান্তির থেকে বেঁচে গেছো। সে’টা হল ভক্তি কান্ড। এটা হল জ্ঞান কান্ড। ভক্তি মার্গ অর্ধ কল্প চলে। এটা হল জ্ঞান মার্গ। এই সময় তোমাদেরকে পুরানো দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য প্রদান করে থাকি। সেইজন্য এটা হল তোমাদের অসীম জগতের বৈরাগ্য । কেননা তোমরা জানো যে, এই সমগ্র দুনিয়া কবরখানায় পরিণত হবে। এই সময় হল কবরখানা, তারপর কবরখানা হবে। এই খেলা হল কবরস্থান, পরীস্থানের। বাবা পরীস্থান স্থাপন করেন, যাকে মানুষ স্মরণ করে। রাবণকে কেউ স্মরণ করে না। এই মুখ্য কথাটাকে বুঝলে তখন সব সংশয় দূর হয়ে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাবাকে জানবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সংশয়বুদ্ধিই থাকবে। সংশয়বুদ্ধি বিনশন্তি… অবশ্যই তিনই হলেন আমাদের অর্থাৎ সব আত্মাদের বাবা, তিনি অসীমের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। নিশ্চয়ের দ্বারাই বিজয় মালাতে গাঁথা হতে পারো। এক একটি শব্দের প্রতি সেকেন্ডে নিশ্চয় হতে হবে। বাবা বলেন বলেই তাতে সম্পূর্ণ নিশ্চয় হয়ে যাওয়া উচিত। বাবা বলা হয় নিরাকারকে। এমনিতে তো গান্ধীকেও বাবু বলা হয়। কিন্তু এখানে তো ওয়ার্ন্ডের বাপু জী’কে প্রয়োজন তাই না ? তিনি তো হলেনই ওয়ার্ল্ডের গড ফাদার। ওয়ার্ল্ডের গড ফাদার হলে তিনি তো অনেক বড়ই হবেন তাই না ? তাঁর থেকে ওয়ার্ল্ডের বাদশাহী প্রাপ্ত হয় । ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়, বিষ্ণুর রাজত্বের। তোমরা জানো যে, আমরাই বিশ্বের মালিক ছিলাম। আমরাই দেবী-দেবতা ছিলাম তারপর চন্দ্রবংশী, বৈশ্য বংশী, শূদ্র বংশী হয়ে যায় । এই সব কথা গুলো তোমরা বাচ্চারাই বুঝতে পারো। বাবা বলেনও আমার এই জ্ঞান যজ্ঞে অনেক বিঘ্ন পড়বে। এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । এর দ্বারাই বিনাশ জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হবে। এর দ্বারা সমগ্র পুরানো দুনিয়ার অবসান হয়ে এক দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়ে যাবে। তোমাদেরকে বোঝান পরমাত্মা বাবা, তিনি সত্য বলেন, নর থেকে নারায়ণ হওয়ার সত্য কথা শোনান। এই কথা তোমরা এখনই শুনে থাকো। পরম্পরা অনুসারে চলে না।

এখন বাবা বলেন তোমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছো। এখন আবার নতুন দুনিয়াতে তোমাদের রাজত্ব হবে। এ হল রাজযোগের জ্ঞান। সহজ রাজযোগের নলেজ এক পরমপিতা পরমাত্মার কাছেই আছে, যাকে প্রাচীন ভারতের রাজযোগ বলা হয়। অবশ্যই তিনি কলিযুগকে সত্যযুগ বানিয়েছিলেন। বিনাশও শুরু হয়েছিল, মুষলের কথাও আছে। সত্যযুগ ত্রেতাতে তো কোনো লড়াই হয় না, পরে শুরু হয়। এই মুষল ইত্যাদির হল লাস্ট লড়াই। আগে তলোয়ার দিয়ে লড়তো, তারপর বন্দুক ইত্যাদি দিয়ে হয়। তারপরে তোপ এখন বম্বস বেরিয়েছে। নাহলে সমগ্র দুনিয়ার বিনাশ কীভাবে হবে। তারপর তাদের সাথে ন্যাচারাল ক্যালামেটিসও রয়েছে। মুষলধারে বর্ষা, দুর্ভিক্ষ, এ সব হল ন্যাচারাল ক্যালামেটিস। মনে করো আর্থকোয়েক (ভূমিকম্প) হল, তাকে বলা হয় ন্যাচারাল ক্যালামেটিস । তাতে কে কি করতে পারে। কেউ যদি ইন্সিওরেন্সও করে থাকে, তখন কে কাকে দেবে ? সবাই মরে যাবে। কেউ কিছুই পাবে না। এখন তোমাদেরকে আবার ইন্সিওর করতে হবে বাবার কাছে। ইনশিওর ভক্তিতেও করতে হয়, কিন্তু সেটা অর্ধ কল্পের রিটার্ন মেলে। কিন্তু এখানে তো তোমরা ডায়রেক্ট ইনশিওর করে থাকো। কেউ যদি ইনশিওর করে তবে তারা বাদশাহী পেয়ে যায়। যেমন বাবা নিজের কথা বলেন যে – তিনি সব কিছুই দিয়ে দিয়েছিলেন। বাবার কাছে ফুল ইনশিওর করে নিলে তবে ফুল বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। বাকি তো এই দুনিয়াই শেষ হয়ে যায়। এটা হল মৃত্যুলোক। কারো সম্পদ ধুলোয় মিশে যাবে, কারোর সম্পদ রাজা খাবে অর্থাৎ সরকার গ্রাস করবে… যখন কোথাও কোনো অঘটন ঘটে তখন চোরেরা লুটপাট চালায়। এই সময়ই হল অন্তের, সেইজন্য এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে । সহায়তা করতে হবে।

এই সময় সবাই হল পতিত, তারা পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করতে পারবে না। এটা তো হল বাবারই কাজ। বাবাকেই আহ্বান করে, নিরাকারী অ ধরো। তো বাবা বলেন আমি সাকারে এসেছি, রূপ ধারণ করেছি। কিন্তু সব সময় এর মধ্যে থাকতে পারি না। সারাদিন কেউ সওয়ার হয়ে থাকে নাকি। ষাঁড়ের সওয়ারী দেখানো হয়েছে। আবার ভাগ্যশালী রথ মানুষের এটাও দেখায়। এখন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল ? গোশালা দেখানো হয়েছে না ? গোমুখও দেখানো হয়েছে। ষাঁড়ের উপর সওয়ার তারপর গোমুখের দ্বারা নলেজ প্রদান । এই জ্ঞান অমৃত বেরিয়ে আসে। অর্থ তো কিছু আছে। গোমুখের মন্দিরও আছে। বহু মানুষ যায়, মনে করে গোরুর মুখ থেকে অমৃত টপটপ করে পড়ছে, গিয়ে তা পান করতে হবে। ৭০০ টি সিঁড়ি রয়েছে। সবথেকে বড় গোমুখ তো হল এখানে। অমরনাথে মানুষ কত কষ্ট করে যায়। সেখানে কিছুই নেই। সব ঠকানো, দেখানো হয়েছে যে, শংকর পার্বতীকে কাহিনী শুনিয়েছিল। পার্বতীর কী দুর্গতি হয়েছিল যে ওনাকে বসে কথা শোনাতে হয়েছিল ? মানুষ মন্দির ইত্যাদি নির্মাণ করতে কতো অর্থ ব্যয় করে। বাবা বলেন খরচা করতে করতে তোমরা সব অর্থ শেষ করে ফেলেছো। তোমরা কতো সলভেন্ট ছিলে, এখন ইনসলভেন্ট হয়ে গেছো, এরপর আমি এসে সলভেন্ট বানাই। তোমরা জানো যে, আমরা অবিনাশী সম্পদের উত্তরাধিকার নিয়ে এসেছি। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এখন দিচ্ছি। ভারত হল পরমপিতা পরমাত্মার বার্থ প্লেস। তাহলে সব থেকে বড় তীর্থ হয়ে গেল এটা, তাই না ? তারপর সকল পতিতকে পবিত্র বাবা’ই বানান। গীতাতে যদি বাবার নাম থাকত তবে সকলে এখানে এসে ফুল চড়াতো। বাবা ছাড়া সবাইকে সদ্গতি কে করতে পারে ? ভারতই সব থেকে বড়’ র থেকেও বড় তীর্থ, কিন্তু সে’কথা কারোরই জানা নেই। নাহলে তো যেমন বাবার মহিমা হল অপরমপার, তেমনই ভারতেরও মহিমা। হেল আর হেভেন ভারতই হয়। অপরম অপার এই মহিমা হলই হেভেনের। অপর অপার নিন্দা তারপর হেল এর করা হবে।

তোমরা বাচ্চারা সত্যখন্ডের মালিক হয়ে ওঠো। এখানে এসেছো বাবার কাছ থেকে অসীম জগতের সম্পদের উত্তরাধিকার নিতে। বাবা বলেন মন্মনাভব আর সব কিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে মামেকম্ স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হবে। নলেজের দ্বারা উত্তরাধিকার নিয়ে থাকে, জীবনমুক্তির বর্সা তো সকলেই পায় কিন্তু স্বর্গের বর্সা যারা রাজযোগ শেখে তারাই পায়। সদ্গতি তো সকলেরই হয়, তাই না ? সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। বাবা বলেন আমি হলাম কাল এরও কাল। মহাকালেরও মন্দির রয়েছে। বাবা বুঝিয়েছেন, অন্তিমে প্রত্যেক্ষতা হবে, তখন বুঝতে পারবে যে, এদেরকে অবশ্যই অসীম জগতের পিতাই বুঝিয়েছেন । কথা যারা শোনায়, এখন যদি তারা বলে যে, গীতার ভগবান কৃষ্ণ নয়, শিব, তখন তো সবাই বলবে একেও বি. কে. র ভূতে ধরেছে। সেইজন্য তাদের এখন টাইম নেই। পরে গিয়ে মানবে। এখন যদি মেনে নেয় তবে তাদের সব রোজগার চলে যাবে। আচ্ছা

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করে মাতা-পিতাকে সম্পূর্ণ রূপে ফলো করতে হবে। এই পুরানো দুনিয়ার থেকে অসীমের বৈরাগ্য রেখে একে ভুলে যেতে হবে।

২ ) এ হল অন্তিম সময়, সব সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে নিজের কাছে যা কিছু আছে, তাকে ইনশিওর করে ভবিষ্যতে ফুল বাদশাহীর অধিকারী নিতে হবে।

বরদানঃ-

বিশ্বের মালিকের আমরা হলাম বালক তথা মালিক – এই ঈশ্বরীয় নেশা আর খুশীতে থাকো। বাঃ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য অর্থাৎ নসীব। এই খুশীর দোলায় সদা দুলতে থাকো। সদা সৌভাগ্যবানও সাথে সাথে সদা খুশীর পুষ্টিকর আহার খেয়ে এবং খাইয়েও থাকো। অন্যদেরকেও খুশীর মহাদান দিয়ে সৌভাগ্যের অধিকারীও বানিয়ে দিয়ে থাকো। তোমাদের জীবনই হল খুশী । খুশী থাকা মানেই বেঁচে থাকা। এটাই হল ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠ বরদান।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –

১) এই ঈশ্বরীয় জ্ঞান আমাদের নিজেদের মাথা (বুদ্ধি) থেকে বের হয়নি, না কারো নিজের বোধবুদ্ধি বা কল্পনা এ’সব অথবা সংকল্প। কিন্তু এই জ্ঞান সমগ্র সৃষ্টির যিনি রচয়িতা তাঁর দ্বারা উচ্চারিত। আর সাথে সাথে শুনে অনুভব আর বিবেকে যেটাকে নিয়ে আসা হয়, সেটাকেই প্র্যাকটিক্যাল আপনাদেরকে শোনানো হচ্ছে। এ’সব যদি নিজের বিবেকের কথা হত, তবে কেবল নিজেদের মধ্যেই চলত, কিন্তু এটটা তো পরমাত্মার থেকে শুনে বিবেকের দ্বারা অনুভবে ধারণা করতে হয়। যে কথা ধারণ করা হয়, সেটা নিশ্চয়ই যখন বিবেক আর অনুভবে আসে, তখনই সেটাকে নিজের বলে মানা হয়। এ’সব আমরা এনার দ্বারাই জেনেছি। তো পরমাত্মার রচনা কোনটি ? পরমাত্মা কী ? বাকি কোনো নিজের সংকল্পের ব্যাপার নয়, তা যদি হতো তবে সেটা আমাদের মনে উৎপন্ন হতো যে এটা আমার সংকল্প। সেইজন্য স্বয়ং পরমাত্মার দ্বারা মুখ্য ধারণা যোগ্য যে পয়েন্ট প্রাপ্ত হয়েছে, তা হল মুখ্যতঃ যোগ লাগানো। কিন্তু যোগের আগে জ্ঞানের প্রয়োজন। যোগ করবার জন্য প্রথমে জ্ঞান কেন বলা হয় ? প্রথমে ভাবতে হবে, বুঝতে হবে তার পরে যোগ লাগানো… সব সময় এই ভাবেই বলা হয় যে প্রথমে সমঝ অর্থাৎ বোধের প্রয়োজন । নাহলে উল্টো কর্ম চলবে। সেইজন্য প্রথমে জ্ঞান জরুরী । জ্ঞান হল এক উচ্চ স্টেজ যাকে জানার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন। কেননা উচ্চ থেকে উচ্চ পরমাত্মা আমাদেরকে পড়ান।

২ ) এই ঈশ্বরীয় জ্ঞান এক দিকে ছিন্ন করা আরেক দিকে যুক্ত করা। এক পরমাত্মার সাথে যুক্ত হও, যে শুদ্ধ সম্বন্ধের দ্বারা আমাদের জ্ঞানের সিঁড়ি এগিয়ে যেতে লবে। কেননা এই সময় আত্মা কর্ম বন্ধনের বশ হয়ে গেছে । আত্মা আদিতে কর্ম বন্ধন রহিত ছিল, পরে কর্ম বন্ধনে এসেছে এবং তারপর পুনরায় নিজের কর্ম বন্ধনের থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এখন কর্ম যেন আর বাঁধতে না পারে আর কর্ম করে যাওয়া নিজের হাতে থাকা মানে কর্মের উপরে কন্ট্রোল থাকবে, তখনই কর্ম আর বাঁধতে পারবে না। একেই জীবনমুক্তি বলা হয় ।নাহলে কর্ম বন্ধনে, চক্রে এলে সদা কালের জন্য যে জীবনমুক্তি, তা আর পাবে না। এখন তো আত্মার থেকে পাওয়ার বেরিয়ে গেছে আর তার ওপরে বিনা কন্ট্রোলে কর্ম চলছে, কিন্তু আত্মার দ্বারা হওয়া উচিত। আর আত্মার ওপরে জোর আসাটা জরুরী। কর্মকে এই স্থিতিতে আসা চাই কর্ম যাতে না বাঁধতে পারে। নাহলে মানুষ দুঃখের আবর্তে চলে আসবে। কেননা কর্ম তাদেরকে টানতে থাকবে, কর্মের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য আত্মা নিজের মধ্যে এই শক্তিকে বিকশিত করে। এটাই হল রেজাল্ট । এই কথা গুলিকে ধারণ করলে সেটা সহজ হয়ে যাবে, এই ক্লাসের উদ্দেশ্য হল সেটাই। বাকি কোনো বেদ শাস্ত্র পড়ে ডিগ্রি অর্জন করতে হবে না। বরং এই ঈশ্বরীয় জ্ঞানের দ্বারা নিজেকে নিজের জীবন বানাতে হবে, যার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে শক্তি গ্রহণ করতে হবে। আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top