29 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

29 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

28 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"ভাবনা আর কর্মে সমতা আনাই পরমাত্ম-ভালোবাসার দায়িত্ব পূরণ করা"

আজ বাপদাদা নিজের সকল স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চাকে দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন। কারণ, তারাই স্বরাজ্য অধিকারী, যারা অনেক জন্ম বিশ্ব-রাজত্বের অধিকারী হয়। তাইতো আজ ডবল বিদেশি বাচ্চাদের কাছে বাপদাদা স্বরাজ্যের সংবাদ জিজ্ঞাসা করছেন। তোমাদের প্রত্যেক রাজ্য অধিকারীর রাজ্য ভালো ভাবে চলছে? তোমাদের রাজ্য চালনার সাথীরা সহযোগী সাথী, সদা সঠিক সময়ে যথার্থ রীতিতে সহযোগ দিচ্ছে, নাকি মাঝে মাঝে কখনো প্রবঞ্চনাও করে ? তোমাদের যত সহযোগী কর্মচারী কর্মেন্দ্রিয় আছে, স্থূল অথবা সূক্ষ্ম, সবাই তোমাদের অর্ডারে চলছে ? যাকে যে সময় যে অর্ডার করো সেই সময় সেই বিধিতে তোমাদের সহযোগী হয় ? প্রতিদিন রাজ্য দরবার লাগাও ? তোমাদের রাজত্বে কর্মচারীরা সবাই শতকরা ১০০ ভাগ আজ্ঞাকারী, বিশ্বাসী, এভাররেডি থাকে ? কী অবস্থা ? ভালো নাকি খুব ভালো, নাকি খুব খুব খুব ভালো ? রাজ্য দরবার সদা সফলতাপূর্বক ভালোভাবে হয় নাকি কখনো কখনো কোনো সহযোগী কর্মচারী চঞ্চল হয়, হয় না তো ? এই পুরানো দুনিয়ার রাজ্য সভার অবস্থা তো ভালোভাবে জানো – না ল’ আছে, না অর্ডার আছে। কিন্তু তোমাদের রাজ্য দরবার ল’ফুলও হয় আর সদা ‘হাঁ জী’, ‘জী হাজির’ ― এই অর্ডারে চলে। রাজ্য অধিকারী যতটা শক্তিশালী হয় ততই রাজ্য সহযোগী কর্মচারীও সদা আপনা থেকেই ইশারায় চলে। রাজ্য অধিকারী অর্ডার দিলো যে এটা শুনো না, এটা ক’রো না, এটা ব’লো না, তো সেকেন্ডে এই অর্ডারের ইশারা মাত্রই যেন কার্য করে। এ’রকম নয় যে, তুমি অর্ডার করলে ― ‘দেখো না’ আর সে দেখে তারপরে মাফ চাইবে যে আমার ভুল হয়ে গেছে। করে ফেলার পর যদি ভাবে তো তাকে বুঝদার সাথী বলা যাবে? মনকে অর্ডার দিলে ব্যর্থ ভেবো না, সেকেন্ডে ফুল স্টপ, দু’ সেকেন্ডও লাগা উচিত নয়। একে বলা হয়ে থাকে ― যুক্তিযুক্ত রাজ্য দরবার। এ’রকম রাজ্য অধিকারী হয়েছ ? প্রতিদিন রাজ্য দরবার বসাও নাকি যখন মনে আসে তখন অর্ডার দাও ? প্রতিদিন দিনের শেষে আপন সহযোগী কর্মচারীদের চেক করো। যদি কোনও কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা বা কর্মচারী দ্বারা বারবার ভুল হতে থাকে তাহলে ভুল কাজ করতে করতে সংস্কার পোক্ত হয়ে যায়। তারপরে চেঞ্জ করতে সময় ও পরিশ্রম দুইই লাগে। সেই সময়ই যদি তুমি চেক করে তাকে চেঞ্জ করার শক্তি দাও তবে সদাসর্বদার জন্য ঠিক হয়ে যাবে। শুধু বারবার চেক করতে থাকলে যে এটা রং, এটা ঠিক নয় আর সেটা চেঞ্জ করার যুক্তি এবং নলেজের শক্তি দিলে না তবে শুধু বারবার চেক করলেও পরিবর্তন হয় না, সেইজন্য প্রথমে কর্মেন্দ্রিয়কে নলেজের শক্তি দ্বারা চেঞ্জ করো। শুধু এটা ভেবো না যে, এটা রং, কারণ তোমরা স্পষ্টভাবে জানো রাইট কি আর কোন বিধি অনুসরণে চলা রাইট। যদি তোমরা সবসময় অন্যদের বলতে থাকবে তো বলায় কোনো পরিবর্তন হবে না, কিন্তু বলার সাথে সাথে যদি বিধি স্পষ্ট করে দাও তখন সফল হয়ে যাবে। যে আত্মা স্বরাজ্য চালনায় সফল থাকে, সেই সফল রাজ্য অধিকারীর লক্ষণ হলো সে আপন পুরুষার্থের দ্বারা সদা সন্তুষ্ট থাকবে এবং সেইসঙ্গে যে আত্মারা তার সম্পর্কে আসবে তারাও এমন আত্মার প্রতি সদা সন্তুষ্ট থাকবে। আর সদা সেই আত্মার প্রতি তাদের হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে থাকবে। সবার হৃদয় থেকে সদা বাহ্-বাহ্’র গীত হৃদয়জ সুরে বাজতে থাকবে, তাদের কান সকলের থেকে বাঃ বাঃ’র কৃতজ্ঞতার সঙ্গীত শ্রবণ করবে। এই গীত অটোমেটিক, এর জন্য টেপ রেকর্ড বাজানোর প্রয়োজন হবে না। সেইজন্য কোনো সাধনের আবশ্যকতা নেই। এ’ হলো অসীম গীত। তাহলে, এমন সফল রাজ্য অধিকারী হয়েছ ? কারণ এখনের সফল রাজ্য অধিকারী ভবিষ্যতে সফলতার ফল হিসেবে বিশ্বের রাজ্য প্রাপ্ত করবে। যদি সম্পূৰ্ণ সফলতা না হয়, কখনো একরকম, কখনো আরেকরকম, কখনো বা একশ’ ভাগ সফলতা, কখনো শুধু সফলতা। শতকরা একশ’ ভাগ সফল না হলে তো সে’রকম রাজ্য অধিকারী আত্মার বিশ্বের রাজ্য-আসন, মুকুট প্রাপ্ত হয় না কিন্তু রয়্যাল ফ্যামিলিতে এসে যায়। এক হলো সিংহাসনাসীন, আরেক হলো সিংহাসনাসীন রয়্যাল ফ্যামিলি। সিংহাসনে আসীন অর্থাৎ বর্তমান সময়ও সদা ডবল সিংহাসনাসীন থাকে। ডবল সিংহাসন কী ? এক, অকাল সিংহাসন আরেক হলো বাবার হৃদয় সিংহাসন। সুতরাং যে এখন সবসময় ডবল সিংহাসনাসীন, কখনো-কখনো’র নয়, এমন সদা হৃদয় সিংহাসনাসীন বিশ্বেরও সিংহাসনাসীন হয়। অতএব, চেক করো ― সারাদিনে ডবল তখতাসীন থেকেছো ! যদি তোমার সিংহাসনে আসীন নও তাহলে তোমার সহযোগী কর্মচারী কর্মেন্দ্রিয়ও তোমার অর্ডারে চলতে পারবে না। রাজার অর্ডার মান্য করা হয়। রাজাই রাজ-সিংহাসনে নেই আর সে অর্ডার করবে, সেটা মান্য করা হয় না। আজকাল তো সিংহাসনের বদলে তাদের চেয়ার হয়ে গেছে, সিংহাসনের সংস্কৃতি সমাপ্ত হয়ে গেছে। যোগ্য নয় তাইতো সিংহাসন অদৃশ্য হয়ে গেছে। যদি তোমার চেয়ারে বসে আছ তাহলে সবাই তোমাকে মানবে। যদি চেয়ারে না থাকো তাহলে সকলে মেনে চলবে না তোমায়। কিন্তু তোমরা তো চেয়ারে বসে থাকা নেতা নও। স্বরাজ্য অধিকারী রাজা তোমরা। সবাই রাজা নাকি কেউ কেউ প্রজাও আছ? রাজযোগী অর্থাৎ রাজা। দেখ, কত পদম্ পদম্ পদম্ ভাগ্যবান তোমরা ! দুনিয়া, তার মধ্যেও বিশেষভাবে বিদেশ অস্থিরতার মধ্যে আছে। তারা ওয়ার আর হার-এর (পরাজয়ের)মধ্যে রয়েছে। কেউ পরাজিত হচ্ছে, কেউ ওয়ার করছে আর কেউ অবস্থা সম্বন্ধে শুনে অস্থিরতায় আছে। সুতরাং তারা হার আর ওয়ার এর অস্থিরতায় আর তোমরা আছ বাপদাদার ভালোবাসায়। পরমাত্ম-ভালোবাসা দূর দূরান্ত থেকে টেনে এনেছে। যে পরিস্থিতিই হোক কিন্তু পরমাত্ম-ভালোবাসার সামনে পরিস্থিতি তোমাদের থামাতে পারবে না। পরমাত্ম-ভালোবাসা বুদ্ধিমানের বুদ্ধি হতে পরিস্থিতিকে শ্রেষ্ঠ স্থিতিতে পরিবর্তন করে নেয়। ডবল বিদেশিদের মধ্যেও দেখ যারা পোল্যান্ড থেকে, তারা প্রথমে কত প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের অসম্ভব লাগতো আর এখন কেমন লাগে ? রাশিয়ার থেকে ওরাও অসম্ভব মনে করতো, এমনকি, ২৪ ঘন্টাও লাইনে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, পৌঁছে গেছে তো না ! কঠিন সহজ হয়ে গেছে। তাহলে ধন্যবাদ বলবে তো না। সদা এ’রকমই হতে থাকবে। কেউ ভাবে অন্তে বিমান বন্ধ হয়ে যাবে, তখন আমরা কীভাবে যাবো ? পরমাত্ম-ভালোবাসায় সেই শক্তি আছে যা যেকোনো কারও চোখে এমন জাদু করে দেবে যে তারা তোমাদের পাঠাতে বাধ্য হবে। যতই হোক, তোমাদের শুধু ভালোবাসা আছে তা’ নয়, তোমরা ভালোবাসার দায়িত্ব পূরণ করো। যারা ভালোবাসার দায়িত্ব পালন করে সেই আত্মাদের কাছে বাবা প্রতিজ্ঞা করেন – অন্তিম সময় পর্যন্ত প্রতিটি সমস্যাকে পার করতে প্রীতির নিয়ম-রীতি নিরন্তর পরিপূর্ণ করবেন। যাদের প্রীতি কখনো কখনো’র তাদের মতো হয়োনা। সদা ভালোবাসার দায়িত্ব পালনকারী হও। প্রীতি অনেকের মধ্যেই উৎপন্ন হয়, কিন্তু কতিপয় মাত্র জানে প্রীতির দায়িত্ব পালন করতে, এই কারণে তোমরা হও কতিপয় মাত্রের মধ্যে কেউ।

বাপদাদা সদাসর্বদা ডবল বিদেশি বাচ্চাদের দেখে খুশি হন, কারণ তোমরা নির্ভীকতার সাথে বাবার সহায়তা লাভের যোগ্য হয়ে অনেক রকমের মায়ার বন্ডেজ আর অনেক রকমের নিয়ম-নীতি, প্রথার বাউন্ডারি পার করে এখানে পৌঁছে গেছ। এই নির্ভীকতাও কম নয়। সবাই খুব ভালো সাহসিকতা বজায় রেখেছ। নতুন ও পুরানো উভয়ই বসে আছে। অনেক পুরানো থেকেও পুরানো আছে আর এই কল্পের নতুনও আছে। উভয়ের সাহসিকতা ভালো। এই সাহসিকতায় তো সবাই নম্বর ওয়ান হও, তবে নম্বর কোন বিষয়ে? ডবল বিদেশি বিশেষ পুরুষার্থ করে আর আত্মিক বার্তালাপেও বলে – ১০৮-এর মালায় অবশ্যই আসব। কেউ কেউ প্রশ্ন করে তোমরা আসতে পারবে কিনা ! আসবে তো অবশ্যই। ডবল বিদেশিদের জন্যও মালায় সীট রিজার্ভড আছে। কিন্তু কত আর কে তা’ বাবা পরে শুনাবেন। তাহলে, নম্বর কেন হয়? প্রত্যেকে তোমরা নিজের অধিকারে বলো – আমার বাবা। তবে তো পুরো অধিকারও আছে, তবুও নম্বর কেন? যে নম্বর ওয়ান হবে আর যে নম্বর আট হবে, দুইয়ের মধ্যে তারতম্য হবে তো না। এতটা তারতম্য কেন হয়? ১৬ হাজারের ব্যাপার তো ছেড়েই দাও, ১০৮-এও দেখ কোথায় এক আর কোথায় ১০৮। তাহলে প্রভেদ কী হলো? নির্ভীকতায় সবাই পাস হও কিন্তু নির্ভীকতার রিটার্ণে বাবা আর ব্রাহ্মণ পরিবারের দ্বারা যে সহায়তা প্রাপ্ত হয়, সেই সহায়তা প্রাপ্ত

করে কার্যে ইউজ করতে সমর্থ হওয়া অর্থাৎ সেই সময় যে সহায়তা অর্থাৎ শক্তি প্রয়োজন সেই শক্তি দ্বারা সময়মতো কার্য করে নেওয়া, এই নির্ণয় শক্তি আর কার্যে প্রয়োগের শক্তির মধ্যে তারতম্য হয়ে যায়।

সর্বশক্তিমান বাবা দ্বারা সর্বশক্তির উত্তরাধিকার সকলের প্রাপ্ত হয়। এ’রকম নয় যে কারও আট শক্তি, কারও ৬ শক্তি প্রাপ্ত হয়। সর্বশক্তি প্রাপ্ত হয়। আগেও তোমাদের বলা হয়েছিল তো না যে, বিধি দ্বারা সিদ্ধি হয়। কার্য-শক্তির বিধি ― এক হলো বাবার হওয়ার বিধি, দ্বিতীয় হলো বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার বিধি আর তৃতীয় হলো প্রাপ্ত হওয়া উত্তরাধিকার কার্যে প্রয়োগ করার বিধি। কার্যে প্রয়োগ করার বিধিতে তারতম্য হয়ে যায়। পয়েন্টস সবার কাছে আছে। একটা টপিকে ওয়ার্কশপ যদি করো তো কত পয়েন্টস বের করো ! সুতরাং একটা পয়েন্ট বুদ্ধিতে রাখা, এটা একটা বিধি, আরেক হলো পয়েন্ট হয়ে পয়েন্টকে কার্যে প্রয়োগ করা। পয়েন্ট রূপও হওয়া আর পয়েন্টসও থাকা। দুইয়ের ব্যালেন্স যেন থাকে। এটা হলো নম্বর ওয়ান বিধি দ্বারা নম্বর ওয়ান সিদ্ধি প্রাপ্ত করা। কখনো তোমরা পয়েন্টসের বিস্তারে চলে যাও আর কখনো পয়েন্ট রূপে স্থিত হও। পয়েন্ট রূপ আর পয়েন্ট একসাথে হতে হবে। কার্য শক্তিকে বাড়াও। বুঝেছ। নম্বর ওয়ানে যদি আসতে চাও তো এটা করতে হবে।

আজকাল সায়েন্সের শক্তি, সায়েন্সের উপকরণের (সাধন) দ্বারা কার্য-শক্তিকে কত তীব্রগতি করছে ! জীবিত ব্যক্তি কোনো কাজ যতটা সময়ে যথার্থরূপে করতে পারে, সায়েন্সের সাধন কম্পিউটার সেই একই কাজ আরও অনেক তাড়াতাড়ি করে। এমনকি, জীবিত মানুষকেও কারেক্ট করে। সুতরাং, যদি সায়েন্সের সাধন কার্য-শক্তিকে জোরালো করতে পারে – এমন অনেক ইনভেনশন বেরিয়েছে আর বের হচ্ছেও, তখন ব্রাহ্মণ আত্মারা সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা কোনো কাজ কত তীব্র আর যথার্থরূপে সফল করতে পারে ! সেকেন্ডে নির্ণয় নাও, সেকেন্ডে কার্যকে প্র্যাকটিক্যালি সফল করো। ভাবা আর করা – এরও ব্যালেন্স দরকার। কোনো কোনো ব্রাহ্মণ আত্মা ভাবে অনেক, কিন্তু করার সময় যতটা ভাবে ততটা করে না, আর অন্যান্যরা আবার করতে শুরু করে দেয় – তারা পরে ভাবে যে ঠিক করেছি নাকি করিনি। কী করা উচিত এখন? সুতরাং ভাবা আর করা দুইই একসাথে হতে হবে। নয়তো কি হয়, ভাবে যে এটা করা উচিত, কিন্তু ভেবে যে করবে সেটা ভাবতে ভাবতে সময় আর পরিস্থিতি বদলে যায়। তখন তোমরা বলো করতে যাচ্ছিলাম, এটা ভেবেছিলাম… । যখন সায়েন্সের সাধন তীব্রগতি হচ্ছে, এক সেকেন্ডে কি না করে নেয় ! বিনাশের সাধন তীব্রগতির দিকে যাচ্ছে, তাহলে, স্থাপনের সাইলেন্সের শক্তিশালী সাধন কি না করতে পারে ! এখন তো প্রকৃতি তোমরা সব মালিককে আহ্বান করছে। তোমরা তাকে অর্ডার যদি না করো তবে প্রকৃতি কত উপদ্রব করছে ! তোমরা মালিকরা যদি তৈরি হয়ে যাও তবে প্রকৃতি তোমাদের স্বাগত জানাবে। এ’রকম তৈরি হয়েছ ? নাকি এখন তৈরি হচ্ছ ? তোমাদের ভক্তরা এখনও সম্পূৰ্ণ প্রস্তুতির মহিমা করছে। নিজেদের মহিমা জানো তোমরা ? সর্বগুণসম্পন্ন হয়েছ, সম্পূৰ্ণ নির্বিকারীও হয়েছ, সম্পূর্ণ অহিংসক আর মর্যাদা পুরুষোত্তমও হয়েছ, আর ষোল কলা সম্পন্নও হয়েছ – এখন এই সব গুলো চেক করো। সব বিষয়ে যদি ফুল (সম্পূৰ্ণ) হও তাহলে বুঝবে মালিক তৈরি হয়ে গেছ আর এর মধ্যে যদি পার্সেন্টেজ হয় তাহলে মালিক হওনি। বালক তোমরা কিন্তু এখনও মালিক হওনি। যখন হবে, প্রকৃতি তোমাদের স্বাগত জানাবে। তোমরা বাবার বালক, তা’ তো ঠিক আছে, এতে তোমরা সবাই পাস। কিন্তু এই পাঁচ বিষয়ে সম্পন্ন হওয়ার অর্থই মালিক হওয়া। প্রকৃতিকে অর্ডার করবে? আচ্ছা। তপস্যা-বর্ষে তৈরি হয়ে যাবে তো, যাবে না ? তখন অর্ডার করবে তো না ? এই তপস্যা-বর্ষ লাস্ট চান্স, নাকি আবার বলবে আরেকটু চান্স দিতে ! আবার বলবে না তো ! আচ্ছা।

চারিদিকের সর্ব রাজ্য অধিকারী আত্মাদের, সদা ডবল সিংহাসন আসীন বিশেষ আত্মাদের, সদা ভাবা আর করা দুই শক্তিকে যারা সমান বানায় সেই বরদানী আত্মাদের, সদা পরমাত্ম-ভালোবাসার দায়িত্ব যারা পালন করে সেই সত্য হৃদয়বান বাচ্চাদের দিলারাম বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

পাটিদের সাথে অব্যক্ত সাক্ষাৎ :― মহারাষ্ট্রে থেকে প্রকৃত রূপে তোমরা মহান হয়ে গেছ – এই খুশি থাকে তো না ? তারা তো সব নামে মাত্র মহান, মহাত্মা, কিন্তু তোমরা প্র্যাকটিক্যাল স্বরূপে মহাত্মা। এই খুশি আছে তোমাদের, আছে না? সুতরাং মহান আত্মারা সদাসর্বদা উঁচু স্থিতিতে থাকে। তারা তো উঁচু আসনে বসে যায়, শিষ্যদের নীচে বসাবে, নিজে উঁচুতে বসবে, কিন্তু তোমরা কোথায় বসো? উঁচু স্থিতির আসনে। উঁচু স্থিতিই উঁচু আসন। যখন উঁচু স্থিতির আসনে থাকো তখন মায়া আসতে পারে না। তারা তোমাদের মহান মনে করে তোমাদের সামনে ঝুঁকবে। আঘাত করবে না, পরাজয় স্বীকার করবে। যখন উঁচু আসন থেকে নীচে আসো তখন মায়া আঘাত করে। যদি সদা উঁচু আসনে থাকো তো মায়ার আসার শক্তি নেই। সে উঁচুতে চড়তে পারে না। তাহলে তোমাদের কত উঁচু আসন প্রাপ্ত হয়েছে ! ভাগ্যের সামনে ত্যাগ কিছুই না। কী বা ছেড়েছ? অলঙ্কার পরে আছ, কাপড় পরে আছ, ঘরে থাকো। যদি কিছু ছেড়ে থাকো তো আবর্জনা ত্যাগ করেছ। তাইতো সদা শ্রেষ্ঠ আসনে থাকা মহান আত্মা তোমরা। যতটা তোমরা ভাবতেও পারনি তার অতিরিক্ত শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির তোমরা অধিকারী হয়ে গেছ। এই ভাগ্যের খুশি তোমাদের আছে তো না ! দুনিয়ায় খুশি নেই। কালোধন আছে কিন্তু খুশি নেই। খুশির ভান্ডার থেকে তারা সব নিঃস্ব, ভিখারী। তোমরা খুশির ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ। এই খুশি কত সময় পর্যন্ত চলবে? সারা কল্প চলতে থাকবে। তোমাদের জড় চিত্র থেকেও খুশি নেবে। সুতরাং চেক করো এত খুশি তোমাদের সঞ্চয় হয়েছে কিনা ! এ’রকম তো নয় যে শুধু এক দু’টো জন্ম চলবে, তারপরে আবার শেষ হয়ে যাবে। এত স্টক সঞ্চয় করো যাতে অনেক জন্ম সাথে থাকে। যার কাছে যত সঞ্চিত থাকে তার মুখে ততই খুশি আর নেশা থাকে। তোমরা বলো, বা না বলো, কিন্তু তোমাদের মুখ বলবে। বলা হয় তো না – ব্রহ্মাকুমারীরা সদা খুশি থাকে, আমরা জানিনা কী কারণ ঘটেছে এদের সাথে। দুঃখেও খুশি থাকে। তোমরা বলো, বা না বলো, তোমাদের আকৃতি, তোমাদের কর্ম বলে। ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারীদের লক্ষণই হলো খুশি থাকা। দুঃখের দিন সমাপ্ত হয়ে গেছে। এত রত্ন-ভান্ডার তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে, তারপরে দুঃখ কোথা থেকে আসবে? আচ্ছা !

বরদানঃ-

যখন তোমরা বিশ্ব পরিবর্তক আত্মারা সংগঠিতভাবে সম্পন্ন, সম্পূৰ্ণ স্থিতি দ্বারা পরিবর্তনের সঙ্কল্প করবে, তখন এই প্রকৃতি সম্পূৰ্ণ উথাল-পাথাল এর ডান্স শুরু করবে। বায়ু, মাটি, সমুদ্র, জল… এদের অস্থিরতাই সবকিছু পরিষ্কার করবে। কিন্তু এই প্রকৃতি তোমাদের অর্ডার তখন মানবে যখন তোমাদের নিজেদের সহযোগী কর্মেন্দ্রিয়, মন-বুদ্ধি সংস্কার, তোমাদের অর্ডার মানবে। সেই সঙ্গে এত পাওয়ারফুল তপস্যার উঁচু স্থিতি হতে হবে যাতে সবার একসাথে সঙ্কল্প হবে ‘”পরিবর্তন” আর প্রকৃতি হাজির হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top