26 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
25 May 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - বিজয় মালাতে আসতে হলে নিশ্চয় বুদ্ধি হও, নিরাকার বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন, তিনি সাথে করে নিয়েও যাবেন, এই নিশ্চয়ের মধ্যে যেন কখনো সংশয় না আসে”
প্রশ্নঃ --
যারা বিজয়ী রত্ন হবে তাদের মুখ্য লক্ষণ গুলি কেমন হবে ?
উত্তরঃ -:-
তাদের কখনো কোনো কথাতে সংশয় আসবে না। তারা নিশ্চয় বুদ্ধি হবে। তাদের এই নিশ্চয় থাকবে যে – এটা হল সঙ্গমের সময়। এখন দুঃখধাম সম্পূর্ণ হয়ে সুখধাম আসছে। ২) বাবা-ই রাজযোগ শেখাচ্ছেন, তিনি দেহী-অভিমানী বানিয়ে সাথে নিয়ে যাবেন। তিনি এখন আমাদের আত্মাদের সাথে কথা বলছেন। আমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছি। ৩) পরমাত্মা হলেন আমাদের বাবা, রাজযোগের শিক্ষা দিচ্ছেন, এইজন্য শিক্ষকও আবার শান্তিধামে নিয়ে যাবেন এই জন্য সদ্গুরুও। এইরকম নিশ্চয় বুদ্ধি বাচ্চা প্রত্যেক কথাতে বিজয়ী হবে।
গান:-
তোমাকে পেয়ে মোরা…
ওম্ শান্তি । বাবা বাচ্চাদেরকে ওম্ শান্তি-র অর্থ তো বুঝিয়েছেন। প্রত্যেক কথা সেকেন্ডে বোঝার বিষয়। যেরকম বাচ্চারা বলে যে ওম্ অর্থাৎ অহম্ আত্মা মম শরীর। সেইরকম বাবাও বলেন অহম্ আত্মা পরমধাম বাসী। তাই তিনি হয়ে গেলেন পরমাত্মা। ওম্… এটা বাবাও বলতে পারেন তো বাচ্চারাও বলতে পারে। অহম্ আত্মা বা পরমাত্মা, দুজনেরই স্বধর্ম হলো শান্ত। তোমরা জানো যে আত্মা শান্তিধাম নিবাসী। সেখান থেকে এই কর্মক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে আসেন। এটাও জানো যে আমি আত্মার রূপ কিরকম আর বাবার রূপ কি রকম ? যেটা সৃষ্টিতে কোনও মনুষ্যমাত্র জানেনা। বাবা-ই এসে বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারাও বোঝায় যে – আমাদের বাবা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তিনি হলেন শিক্ষকও তো আমাদের সৎ সুপ্রিম গুরুও, যিনি আমাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাবেন। গুরু তো অনেক করে থাকে। এখন বাচ্চারা নিশ্চিত করে যে পরমপিতা পরমাত্মা হলেন বাবাও, সহজ রাজযোগ আর জ্ঞানের শিক্ষা দেন আর সাথে করে নিয়েও যাবেন। বাচ্চারা, এই নিশ্চয়েই হল তোমাদের বিজয়। বিজয়মালাতে এসে যাবে। রুদ্র মালা বা বিষ্ণুর মালা। ভগবানুবাচ – আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাচ্ছি। তো আমি তোমাদের শিক্ষকও হয়ে গেলাম। মত তো চাই, তাই না। বাবার হলো আলাদা মত, টিচারের আলাদা, গুরুর আলাদা মত হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন মত প্রাপ্ত হয়। অথচ সকলের মত একই, এতে সংশয় ইত্যাদির কোনো কথা নেই। জানো যে আমরা হলাম ঈশ্বরের ফ্যামিলি অথবা বংশাবলী। গডফাদার হলেন ক্রিয়েটার। গাইতেও থাকে – তুমি মাতা-পিতা আমি বালক তোমার… তো অবশ্যই ফ্যামিলি হয়ে গেছো। ভারতেই গাইতে থাকে। সেটা হল অতীতের কথা। এখন বর্তমানে তোমরা তাঁর বাচ্চা হয়েছো। তার জন্যই তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করছো। বাবা, তোমার শ্রীমত অনুসারে আমরা চলি। তাই যা কিছু পাপ করেছো সেটা যোগবলের দ্বারা কেটে যায়। বাবাকেই পতিত-পাবন সর্বশক্তিমান বলা হয়। বাবা তো হলেন একটাই। বরাবর মাম্মা-বাবা বলে থাকো, তাদের থেকে রাজযোগ শিখছো। অর্ধেক কল্প তোমরা এমন উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো, যে সেখানে দুঃখের নামই থাকেনা। সেটা হল সুখধাম। যখন দুঃখ ধামের অন্ত হবে তখনই তো বাবা আসবেন তাইনা। সেটা হল সঙ্গমের সময়। তোমরা জানো যে বাবা আমাদেরকে রাজযোগও শেখাচ্ছেন। দেহী-অভিমানী বানিয়ে সাথেও নিয়ে যাবেন। তোমাদেরকে কোনও দেহধারী মানুষ পড়াচ্ছে না। ইনি তো নিরাকার বাবা পড়াচ্ছেন। তোমাদের সাথে অর্থাৎ আত্মাদের সাথে কথা বলছেন। এতে সংশয়ের বা বিমর্ষ হয়ে যাওয়ার কোনো কথা নেই। সামনে বসে আছেন। এটাও তোমরা জানো যে আমরাই দেবতা ছিলাম তো পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের ছিলাম। ৮৪ জন্মের পার্ট সম্পূর্ণ করেছি। তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছো। গাইতেও থাকে – আত্মা আর পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল… সত্যযুগের আদিতে প্রথম-প্রথম দেবী-দেবতারা থাকেন, যাঁরা পুনরায় কলিযুগের অন্তে পতিত হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নেয়। বাবা হিসাবও বলে দেন। সন্ন্যাসীদের ধর্ম আলাদা। ঝাড়ে অনেক প্রকারের ধর্ম আছে। সর্বপ্রথম ফাউন্ডেশন হল দেবী-দেবতা ধর্ম। কোনো মানুষ সেই দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে পারেনা। দেবী-দেবতা ধর্ম প্রায়ঃলোপ হয়ে গেছে, পুনরায় এখন স্থাপন হচ্ছে। পুনরায় সত্যযুগে তোমরা নিজেদের প্রালব্ধ ভোগ করবে। অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ এই উপার্জন।
বাচ্চারা, তোমরা এখন বাবার থেকে সত্যিকারের উপার্জন করছো, যার দ্বারা তোমরা সত্য খন্ডে সর্বদা সুখী থাকবে। তাই অ্যাটেনশন দিতে হবে। বাবা এইরকম বলেন না যে ঘর-বাড়ি ত্যাগ করো। সেখানে তো সন্ন্যাসীদের বৈরাগ্য আসে। বাবা বলেন সেটা হল ভুল, এর দ্বারা সৃষ্টির কোনো কল্যাণ হয়না। তথাপি ভারতে এই সন্ন্যাসীদের ধর্ম ভালো। ভারতকে থামানোর জন্য সন্ন্যাস ধর্মের স্থাপনা হয়, কেননা দেবতারা বাম মার্গে চলে যায়। মহল তৈরীর অর্ধেক সময় পরে একটু মেরামত করানো হয়। এক দু-বছর পর পুনরায় রং ইত্যাদি করতে হয়। কেউ মনে করে লক্ষ্মীকে আবাহন করবে কিন্তু তিনি তখন আসবেন যখন শুদ্ধ হবে। ভক্তি মার্গে মহালক্ষ্মীর পূজা করে, তার থেকে টাকা নেওয়ার জন্য। জগদম্বার কাছে কখনও টাকা প্রার্থনা করে না। টাকার জন্য লক্ষ্মীর কাছে যায়। দীপাবলীতে ব্যবসায়ীরাও পূজার সামনে টাকা রাখে। মনে করে বৃদ্ধি হবে। মনোকামনা সম্পূর্ণ হয়। জগদম্বার কেবল মেলা বসে। মেলা তো হলোই – এই জগৎ পিতা আর জগদম্বার সাথে মিলনের মেলা। এটাই হল সত্যিকারের মেলা, যার দ্বারা অনেক লাভ হয়। লৌকিক মেলাতেও অনেকে দিকভ্রান্ত হয়ে যায়। কোথাও নৌকা ডুবে যায়। কোথাও বাস অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। অনেক ধাক্কা খেতে হয়। ভক্তির মেলাতে অনেক শখ থাকে কেননা শুনেছে তাই না – আত্মার আর পরমাত্মার মেলা লাগে। এই মেলা সর্বজনবিদিত, যেটা পুনরায় ভক্তি মার্গে মানাতে থাকে। রাম আর রাবণের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। তো বাবা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন – মূর্ছিত হয়ে যেও না। রাম রাবণ দুজনেই হলো সর্বশক্তিমান। তোমরা এখন যুদ্ধের ময়দানে আছো। কেউ তো বারেবারে মায়ার কাছে পরাজয় হতে থাকে। বাবা বলেন যে তোমরা আমাকে এই ওস্তাদকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে কখনো পরাজিত হবে না। বাবার স্মরণেই বিজয়ী হতে থাকবে। জ্ঞান তো হল সেকেন্ডের বিষয়। বাবা বিস্তারে বোঝাচ্ছেন, এই সৃষ্টি চক্রের কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয়। নাটশেলে তোমরা বাচ্চারা বীজ আর ঝাড়কে জেনে থাকো। এর নাম হলো কল্পবৃক্ষ। এর আয়ু লক্ষ বছর তো হতে পারে না। এটা হল ভ্যারাইটি ধর্মের ঝাড়, এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের কোনও মিল নেই। সম্পূর্ণই ভিন্ন। ইসলামী ইত্যাদি কত কাল এসেছে, সেখানেও ধন অনেক আছে। ধনের পিছনে তো সবাই আছে। ভারতবাসীদের বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণই আলাদা। ভিন্ন ভ্যারাইটি ধর্মের ঝাড় আছে। তোমরা বুঝে গেছ যে কিভাবে বৃদ্ধি হতে থাকে, এর তুলনা কলকাতার বেনিয়ান ট্রী-র সাথে করা যায়। এখন প্র্যাকটিক্যালে তোমরা দেখছো যে এর ফাউন্ডেশন সমাপ্ত হয়ে গেছে। বাকি ধর্মগুলি এখন আছে। দেবী-দেবতা ধর্মের কেউ নেই। কলকাতায় তোমরা দেখবে সমস্ত ঝাড় সবুজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ফাউন্ডেশন নেই। এই ধর্মগুলিরও ফাউন্ডেশন নেই, যেটা এখন স্থাপন হচ্ছে।
বাচ্চারা বুঝে গেছে যে এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে বাবার কাছে। তোমরা আমার কাছে যাবে। এটাও জানো যে ভারত ছাড়া আর কোনো খন্ড স্বর্গ হতে পারেনা। গাইতেও থাকে প্রাচীন ভারত। কিন্তু গীতাতে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। বাবা বলেন যে – শ্রীকৃষ্ণকে তো কেউ পতিত-পাবন বলে না, নিরাকারকে মান্য করে। কৃষ্ণ সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন। সেই নামে, সেই রূপে, সেই দেশে পুনরায় কৃষ্ণ স্বর্গেই আসবেন। সেই বৈশিষ্ট্য পুনরায় থোড়াই হতে পারে! প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য আলাদা-আলাদা। কর্মও সকলের আলাদা-আলাদা। এই অনাদি ড্রামা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। প্রত্যেক আত্মার পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। আত্মা হলো অবিনাশী আর এই শরীর হলো বিনাশী। আমি আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর গ্রহণ করি। কিন্তু এই আত্মার জ্ঞানও কারোর জানা নেই। বাবা এসে নতুন কথা শোনাচ্ছেন, আমার হারানিধি বাচ্চারা। বাচ্চারাও বলে বাবা, বাবা ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে তোমার সাথে মিলন করেছি। যোগবলের দ্বারা তোমরা সমগ্র বিশ্বের মালিক হচ্ছ। প্রথম হিংসা হল একে অপরের উপর কাম কাটারী চালানো। এটাও বোঝানো হয়েছে যে বাহুবলের লড়াইয়ের দ্বারা কখনও কোনো বিশ্বের মালিক হওয়া সম্ভব নয়। যোগবলের দ্বারাই তা সম্ভব। কিন্তু শাস্ত্রে পুনরায় দেবতা আর দৈত্যদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে। সেইসব কথাই নেই। এখানে তোমরা বাবার শেখানো যোগবলের দ্বারা জয় প্রাপ্ত করছো। বাবা হলেন বিশ্বের রচয়িতা, তিনি অবশ্যই নতুন বিশ্বই রচনা করবেন। লক্ষ্মী-নারায়ণ নতুন দুনিয়া স্বর্গের মালিক ছিলেন। আমরাই স্বর্গের মালিক ছিলাম পুনরায় ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত এক পয়সারও মূল্যহীন হয়ে গেছি। এখন তোমাদেরকেই পবিত্র হতে হবে। ভক্ত তো অনেক আছে। কিন্তু সবথেকে বেশি ভক্তি কারা করেছে ? যারা এসে ব্রাহ্মণ হয় তারাই শুরু থেকে ভক্তি করে আসছে। তারাই এসে এখানে ব্রাহ্মণ হবে। প্রজাপিতা সূক্ষ্ম বতনে তো নেই। ব্রহ্মা তো এখানে চাই, তাই না, যার মধ্যে প্রবেশ করেন। তোমরা জানো যে বাবা-মাম্মা এখানে আছেন, তারাই আবার সেখানেও আছেন। এই কথা অনেক ভালো করে বুঝতে হবে। বাবা নির্দেশ দিতে থাকেন, এইরকম-এইরকম ভাবে তোমরা সেবা করো। বাচ্চারা নতুন নতুন আবিস্কার করতে থাকে। কোনো জিনিসের কোনো আবিষ্কার করলে তো বলবে যে কল্প পূর্বেও আবিষ্কার করা হয়েছিল তারপর তাকে আরো নতুন করে রূপ দেওয়া হয়। স্বর্গ আর নরকের গোলা যেটা বানানো হয়েছে, সেটা খুব ভালো বানানো হয়েছে। কৃষ্ণ সকলেরই খুব প্রিয়। কিন্তু তাদের এটা জানা নেই যে ইনিই নারায়ণ হন, এখন এটা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। তোমাদের এই গোলার চিত্র তো অনেক বড় হওয়া চাই। একদম ছাদের সমান উঁচু এবং বড় হতে হবে, যেখানে নারায়ণের চিত্র থাকবে, কৃষ্ণেরও থাকবে। বড় জিনিস মানুষ খুব ভালোভাবে দেখতে পারে। যেরকম পান্ডবদের কত বড় বড় চিত্র বানায়। পাণ্ডব তো হলে তোমরাই, তাই না। এখানে বড় তো কেউ নেই। যে রকম মানুষ হয় ছয় ফুটের, এই রকমই আছে। এইরকম মনে করো না যে সত্যযুগে আয়ু বড় হয়, এইজন্য লম্বা শরীর হবে। বেশি লম্বা মানুষ তো শোভা পায়না। তাই বোঝানোর জন্য বড়-বড় চিত্র চাই। সত্যযুগের চিত্রও ফার্স্ট ক্লাস বানাতে হবে। এখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের, নিচে রাধা-কৃষ্ণের চিত্রও দিতে হবে। এনারা হলেন প্রিন্স-প্রিন্সেস। এই চক্রের পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। ব্রহ্মা-সরস্বতী পুনরায় লক্ষ্মী-নারায়ণ তৈরি হন। আমরা ব্রাহ্মণ তথা দেবতা হই। এটা এখনই জানতে পারো যে আমরাই সেই লক্ষ্মী-নারায়ণ হব, পুনরায় আমরাই সেই রাম-সীতা হব। এইভাবে রাজত্ব করব। বাচ্চারা এইরকম চিত্রের উপর কাউকে বোঝালে তো অনেক মজা আসবে। বলবে যে – এটা তো বড়ই ফার্স্ট ক্লাস জ্ঞান। বরাবর হটযোগীরা তো এই জ্ঞান দিতে পারেনা। সত্যযুগে পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিল। এখন হলো অপবিত্র। বাবা ছাড়া অসীমের উত্তরাধিকার কেউ দিতে পারবে না। জানো যে বাবা আমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানানোর শিক্ষা দিচ্ছেন। সেটা ভালোভাবে ধারণ করতে হবে। পড়াশোনা করে মানুষ অনেক শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়। তোমরা এখন অহিল্যা, কুব্জা ইত্যাদি আছো। বাবা বসে পড়াচ্ছেন, যে পড়ার দ্বারা পুনরায় তোমরা বিশ্বের মালিক হও। জ্ঞানের সাগরও হলেন তিনি। এখন বাবা বলছেন যে নিজেকে অশরীরী মনে করো। অশরীরী এসেছিলে, পুনরায় অশরীরী যেতে হবে।
তোমরা জানো যে আমাদের এই ৮৪ র চক্র এখন সম্পূর্ণ হচ্ছে। এটা তো খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। এত ছোট আত্মাতে কত বড় ভারী পার্ট ভরা আছে, যেটা কখনো বিনাশ হওয়ার নয়। এর না আদি আছে আর না অন্ত আছে। কতইনা ওয়ান্ডারফুল কথা। আমরা আত্মারা ৮৪-র চক্র লাগিয়েছি, এর কখনো অন্ত হয়না। এখন আমরা পুরুষার্থ করছি। আত্মার মধ্যেই সমস্ত জ্ঞান আছে। স্টারেরই ভ্যালু হয়। স্টার যত তীক্ষ্ণ ততই তার দাম বেশি। এখন এই একটা স্টারে কত জ্ঞান আছে! গাইতেও থাকে ভ্রুকুটির মাঝে ঝলমল করে এক অদ্ভুত তারা। এই ওয়ান্ডারকে তোমরাই জানো। বাবা বলেন যে আমিও হলাম স্টার, যার সাক্ষাৎকারও হতে থাকে। কিন্তু শুনেছে যে সেই স্টার হল অনেক তেজোময়, অখন্ড জ্যোতি। সূর্যের মতো। তো বাবা যদি স্টার রূপ দেখায় তো মানবে না। এই রকম অনেকেই ধ্যানে যেত, তো তেজোময় যে বলছে সেটারই সাক্ষাৎকার হত। এখন তোমরা বুঝে গেছো যে পরমাত্মা হলেন স্টারের মত। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সত্য খন্ডের মালিক হওয়ার জন্য বাবার থেকে সত্যিকারের উপার্জন করতে হবে। বাবা যিনি হলেন ওস্তাদ, তাঁর স্মরণে থেকে মায়াজিৎ হতে হবে।
২ ) বাবার থেকে অসীমের উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য বাবার থেকে যাকিছু শিক্ষা প্রাপ্ত হয়েছে, তার উপরে সম্পূর্ণ মনঃসংযোগ করতে হবে। সেই শিক্ষা গুলিকে ভালোভাবে ধারণ করতে হবে।
বরদানঃ-
যারা মহান আত্মা হয়, তারা সর্বদাই উচ্চ স্থিতিতে স্থিত থাকে। উচ্চ স্থিতিই হল উচ্চ আসন। যখন উচ্চ স্থিতির আসনে স্থিত থাকো তখন মায়া আসতে পারে না। মায়া তোমাদেরকে মহান মনে করে নিজে তোমাদের সামনে মাথা নত করবে, আক্রমন করবে না, পরাজয় স্বীকার করে নেবে। যখন উচ্চ আসন থেকে নিচে নেমে আসো, তখন মায়া আক্রমণ করে। তোমরা সর্বদা উচ্চ আসনে উপর স্থিত থাকো, তো মায়ার আসার শক্তি নেই। মায়া উঁচুতে চড়তে পারে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!