25 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 24, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

মিষ্টি বাচ্চারা ‐ নিদ্রাজীত হও, রাতে জেগে জ্ঞান চিন্তন করো, বাবার স্মরণে থাকলে খুশির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্নঃ --

ভারতে অনেক ছুটি থাকে কিন্তু সঙ্গম যুগে তোমাদের এক সেকেন্ডের জন্যও ছুটি দেওয়া হয় না কেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা এই সঙ্গমের এক-এক সেকেন্ড অত্যন্ত মূল্যবান, এই সময় প্রতিটি শ্বাসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, রাত-দিন সার্ভিস করতে হবে। আজ্ঞাকারী, বিশ্বস্ত হয়ে স্মরণের দ্বারা বিকর্মকে বিনাশ করে সম্মানের সাথে সরাসরি ঘরে ফিরতে হবে, সাজা ভোগ করা থেকে মুক্তি পেতে হবে, আত্মা আর শরীর দুই-ই কাঞ্চন করে তুলতে হবে। সেইজন্যই তোমাদের এক সেকেন্ডের জন্যও ছুটি নেই।

গান:-

আমাদের তীর্থ অনুপম..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা জানে যে তীর্থযাত্রা দুই প্রকারের হয়ে থাকে – এক হল আত্মিক (রূহানী), দুই হল শারীরিক যাত্রা। ঘাটও দুই প্রকারের হয়ে গেছে। প্রথম তো নদীর ঘাট। দ্বিতীয় তোমরা বাচ্চাদের নতুন-নতুন সেন্টার অর্থাৎ যা ঘাট হতে চলেছে। যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে কানপুরে জ্ঞান অমৃত পান করার বা জ্ঞান স্নান করার জন্য কতগুলো ঘাট আছে ? উত্তরে বলবে ৪-৫ টা ঘাট আছে। সব ঘাটের ঠিকানাও লেখা রয়েছে । এটা অমুক ঘাট, সেখানে গিয়ে যারা জ্ঞান স্নান করবে সে-ই জীবনমুক্তি পাবে। বাচ্চারা জানে যে মুক্তি আর জীবনমুক্তি কাকে বলে। প্রকৃতপক্ষেই ভারত জীবনমুক্ত ছিল, তাকেই স্বর্গ বলা হতো তারপর আবার যখন জীবনবন্ধ অবস্থায় আসে তখন তাকে নরক বলা হয়। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা তীর্থে যাই, জ্ঞান স্নান করলেই সদ্গতি হয়। সদ্গতির সাক্ষাত্কারও বাচ্চারা তোমাদের হয়েছে। সদ্গতি বলা হয় স্বর্গকে আর দুর্গতি বলা হয় নরককে। সদ্গতি নিশ্চয়ই সত্যযুগে হবে আর দুর্গতি হয় নরক রূপী কলিযুগে। তোমরা বাচ্চারা সবাইকে নিমন্ত্রণ দাও যে এই কলিযুগের নরক থেকে সত্যযুগের স্বর্গে যাবে ? স্বর্গের সাথে সত্যযুগ শব্দটি অবশ্যই বলতে হবে তবেই স্বর্গ আর নরক আলাদা-আলাদা হয়ে যাবে। তা না হলে মানুষ বলবে স্বর্গ, নরক এখানেই আছে। স্বর্গ আর নরককে ভারতবাসীরাই জানে। ওখানে যাবে দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বী, সে’কথা কেউ-ই জানে না। প্রত্যেকের নিজ-নিজ ধর্ম আর নিজেদের ধর্ম শাস্ত্র আছে। সুতরাং প্রত্যেকের নিজেদের ধর্ম শাস্ত্র পড়া উচিত। নিজেদের ধর্মশাস্ত্রই কল্যাণকারী হবে।

তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা পূর্বের মতোই উচ্চ কুলের ছিলাম। যতক্ষণ তোমরা বাচ্চারা মানুষকে ড্রামার রহস্য না বোঝাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ঘোর অন্ধকারে থাকবে, সেইজন্যই চিত্রের দ্বারা বোঝান উচিত। তোমরা বাচ্চারা সব যুগ সম্পর্কেই জেনেছ, চিত্র ছাড়া মানুষ বুঝতে পারবে না। বুদ্ধিতেই বসবে না। তোমরা স্কুলেও ম্যাপ ছাড়া কাউকে বোঝাও যে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড অমুক স্থানে আছে ওরা কিছুই বুঝতে পারবে না। সুতরাং এই বিষয়েও চিত্র ছাড়া কিছুই বুঝতে পারবে না। চিত্র সামনে এনে বোঝানো উচিত যে এটা ড্রামা। এখন বল যে তুমি কোন্ ধর্মের ? তোমার ধর্ম কবে এসেছে? সত্যযুগে কোন্ ধর্ম ছিল ? চিত্রে সম্পূর্ণ পরিষ্কারভাবে লেখা আছে। সত্যযুগ ত্রেতায় যখন সূর্যবংশী চন্দ্রবংশীরা ছিল তখন অন্যান্য ধর্ম ছিল না। এখন সেই দেবতা ধর্ম নেই, সেইজন্যই পুনরায় স্থাপন হওয়া উচিত। এখন দুনিয়া পুরানো হয়ে গেছে সুতরাং পুনরায় নতুন দুনিয়া স্থাপন হওয়া উচিত। নতুন দুনিয়াতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রই হলো মুখ্য। লক্ষ্মী-নারায়ণের নাম প্রসিদ্ধ, তাদের জন্য বড়-বড় মন্দির তৈরি হয়। শিবেরও অনেক নামকরণ করে, অনেক মন্দির নির্মাণ করেছে। ওঁনার নামও প্রসিদ্ধ। তিনি সোমরস পান করান সেইজন্য সোমনাথ নাম রাখা হয়েছে। মানুষ তো অনেক নাম রেখেছে সুতরাং বোঝাতে হবে। রুদ্র, শিব, সোমনাথ এ’সব নাম কেন রাখা হয়েছে ? বদ্রীনাথের অর্থ কি ? না বুঝেই অনেক নাম রাখা হয়েছে সেইজন্যই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। ওঁনার যথার্থ নাম হলো রুদ্র গীতা জ্ঞান যজ্ঞ। বাবা বলেন আমার এই জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারাই বিনাশের জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়। এ হলো ভগবানুবাচ। সুতরাং যখন কেউ প্রথমে আসবে তাকে গীতার আধারে অবশ্যই বোঝাও। গীতায় লেখা আছে ভগবানুবাচ মামেকম্ স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে আর তুমি আমার কাছে চলে আসবে। উনি হলেন অসীমের পিতা, যিনি স্বর্গের রচয়িতা, জীবনমুক্তির রচয়িতা। তাঁর নাম-ই হলো হেভনলি গডফাদার, যিনি হেভন স্থাপনা করেন। হেভনে তিনি থাকেন না। হেভেন স্থাপনকারী হচ্ছেন ভগবান। স্থাপনা, বিনাশ, পালনার কার্য করেন না! সুতরাং বাবা বলেন আমি পারলৌকিক পিতাকে স্মরণ কর আর নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে কর, তা না হলে আমার কাছে কিভাবে আসবে। বাবা বলেন এটা তোমাদের অন্তিম জন্ম সেইজন্যই আমার সাথে যোগযুক্ত হলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। একে বলা হয় যোগ অগ্নি। মানুষ তো শারীরিক সুস্থতার জন্য অনেক রকম যোগ শিখিয়ে থাকে। এখন পারলৌকিক বাবা বলছেন আমার সাথে যোগযুক্ত হও আর এই জ্ঞান ধারণ কর তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর আমি তোমাদের সত্যযুগে, বৈকুন্ঠের বাদশাহী দেবো। সুতরাং মানা উচিত তাইনা। বাবা বলেন হে আমার নিদ্রাজীত বাচ্চারা, নিদ্রাকে জয় করে বাবাকে স্মরণ করো কেননা তোমাদের আমার কাছে আমার নিরাকার দুনিয়াতে আসতে হবে। যদি কৃষ্ণ হতো তবে বলত আমার বৈকুন্ঠে আসতে হবে। যে যেখানকার নিবাসী হবে সে তো সেই স্থানের লক্ষ্যকে নির্দেশ করবে তাইনা। নিরাকার বাবা বলেন তোমরা আমাকে স্মরণ করলে নিরাকার দুনিয়াতে আসবে, আমার কাছে আসার এটাই একমাত্র পথ। তোমরা বাচ্চারা হলে মুখ বংশাবলী। কুখ বংশাবলী আর মুখ বংশাবলী শব্দ অতি সহজ। এখন তোমরা বলে থাকো বাবা আমি তোমার, আমিও বলি হ্যাঁ বাচ্চারা তোমরা আমার, সুতরাং এখন তোমরা আমার মতে চলো।

তোমরা জানো ভারত যখন স্বর্গ ছিল তখন, বাকি আত্মারা কোথায় ছিল ? মুক্তিধামে ছিল। ওখানে একটাই ধর্ম, সেইজন্য তালি বাজে না, লড়াই-ঝগড়ার প্রশ্নই নেই। যদিও মানুষ বলে থাকে হিন্দু চিন ভাই-ভাই, কিন্তু কোথায়। এরা তো লড়াই করতেই থাকে। গান গায় পতিত-পাবন সীতারাম নিশ্চয়ই নিজেরাই পতিত তবেই তো গেয়ে থাকে। সত্যযুগ তো পবিত্র দুনিয়া ওখানে এমন গান গাওয়া হয় না। এটা পতিত দুনিয়া তাই এমন গান গায়। পবিত্র দুনিয়া বলা হয় সত্যযুগকে,পতিত দুনিয়া বলা হয় কলিযুগকে। মানুষ এটাও বুঝতে পারে না। বুদ্ধি কত মলিন হয়ে গেছে। আমরাও বুঝতাম না। তমোপ্রধান বুদ্ধি হওয়ার কারণে সব ভুলে যেতে হয়। বাবা বলেন তোমরা সম্পূর্ণ রূপে অবুঝ হয়ে গেছ। তোমরা কত বিচক্ষণ ছিলে। তোমরাই দেবতারা সতোপ্রধান ছিলে। এখন অবুঝ শুদ্র, তমোপ্রধান হয়ে গেছ। তোমরা স্বর্গে কত সুখ পেয়েছ। তোমরা ভারতবাসীদের উচ্চ থেকে উচ্চ কুল ছিল – দেবী-দেবতাদের। এখন তোমরা তুচ্ছ নরকবাসী হয়ে গেছ। এইসব বিষয় বাবাই এসে নিজের বাচ্চাদের বলেন। বাচ্চারাও অনুভব করে প্রকৃতপক্ষে আমরাই পূজ্য দেবতা ছিলাম তারপর পূজারি হয়ে গেছি। বাবা কত বিচক্ষণ বানিয়েছিলেন, আবারও বিচক্ষণ করে তুলছেন। এ’সব বিষয়ে রাতে চিন্তন করে অতিব খুশি হওয়া উচিত। অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ কর আর চিন্তন কর তবেই খুশির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। কিছু বাচ্চারা তো সারাদিনে এক সেকেন্ডও স্মরণ করে না। যদিও এখানে শোনে কিন্তু বুদ্ধিযোগ থাকে অন্যদিকে। নিরাকার পরমাত্মা কাকে বলে, সেটাও বুঝতে পারে না। স্কুলে কেউ-কেউ দুই তিনবার পাশ না করেও পড়ে। তারপর পড়াশোনা করতে না পারার কারণে স্কুল ছেড়ে দেয়। এখানেও পড়াশোনা বুঝতে না পারলে ছেড়ে চলে যায়। মায়া সজোরে থাপ্পড় কষিয়ে দেয়। বিকারের ব্যাধি ঢুকে সর্বনাশ করিয়ে দেয়। মায়া এমনই প্রবল, বড়ই কঠিন। তোমাদের বক্সিং কোনো মানুষের সাথে হয়না, কিন্তু মায়ার সাথে হয়। মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা বাচ্চাদের তীব্র পুরুষার্থ করতে হবে। যতটা সম্ভব রাতে জেগে বিচার সাগর মন্থন করা উচিত। অভ্যাস হয়ে যাবে। ভগবানুবাচ সব বাচ্চাদের প্রতি, শুধুমাত্র এক অর্জুনের জন্য নয়। সবাই যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা সব বাচ্চাদের বলছেন বাচ্চারা রাতে জেগে মোস্ট বিলভেড বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে আর জ্ঞানের ধারণা হবে। তা না হলে বিন্দুমাত্র ধারণা হবে না। যদি আমার আজ্ঞা উলঙ্ঘণ করো, আমাকে স্মরণ না করলে অনেক সাজা ভোগ করতে হবে। ঈশ্বরীয় ডায়রেকশন পেয়ে থাকো না ? আমি তোমাদের অতি মিষ্টি বাবা, আমাকে স্মরণ করলে আমার কাছে আসতে পারবে। সাজা ভোগ করে আসা – এটা তো ঠিক নয়। সোজাসুজি (সাজা ভোগ না করে) আসলে সম্মান পাবে, সেইজন্য আমার আজ্ঞা উলঙ্ঘণ ক’রো না। যারা আজ্ঞা পালন করে না তাদের নিন্দুক বলা হয়। ইনি হলেন সত্য বাবা, সত্য সদ্গুরু। সুতরাং ওঁনার আজ্ঞা পালন করা উচিত তাইনা। শিববাবা কত মিষ্টি। আত্মা আর শরীর দুই-ই কাঞ্চন করে তোলেন। কাঞ্চন কায়া শুধুমাত্র সুস্থতাকে বলা হয় না। আত্মাও পবিত্র এবং শরীরও পবিত্র, তাকেই বলা হয় কাঞ্চন কায়া। দেবতাদের কাঞ্চন কায়া ছিল। এখন তো সবার আবর্জনার কায়া হয়ে গেছে। ৫ তত্ত্ব তমোপ্রধান হয়ে গেছে সুতরাং শরীর দেখো কেমন তৈরি হচ্ছে, চেহারা দেখ কেমন। কৃষ্ণের অনেক মহিমা আছে। এমন শরীর তো তোমরা স্বর্গেই পেতে পারো। এখন তোমরা এমন দেবতা তৈরি হচ্ছ। সুতরাং প্রধান বিষয় হলো রাতে জেগে স্মরণ করলে অভ্যাস তৈরি হবে। নিদ্রাকে জয় করতে হবে। অভ্যাস করলে সবকিছুই হয়। কাজ কারবার, রুটি বেলা, রান্না করা ইত্যাদি সবকিছুই অভ্যাস দ্বারাই শিখতে হয় তাইনা। বাবাকে স্মরণ করাও শিখতে হবে। যাঁকে সম্পূর্ণ কল্প ভুলে গেছ, এখন ঐ বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। তবেই বাবা খুশি হবেন। তা না হলে বলবেন বিশ্বস্ত, আজ্ঞাকারী বাচ্চা নয়। তারপর অনেক দন্ড ভোগ করতে হবে। তার ভাগ্যে মার আছে। এখানে সামান্য কিছু হলেও কেউ রেগে গিয়ে বিগড়ে যায়, আর ওখানে ধর্মরাজ সাজা দেবেন তখন কেউ কি কিছু করতে পারবে। যেমন জেলে গভর্নমেন্ট ফ্রি’তে কত কাজ করিয়ে নেয়, কেউ কোনো পরিশ্রম ছাড়াই জেল ভোগ করে, কাউকে পরিশ্রম করতে হয়। সুতরাং ধর্মরাজ পুরীতেও যখন ধর্মরাজ সাজা দেবেন তখন কেউ কিছু করতে পারবে না। অন্তর্মন বুঝবে যে আমার দোষেই তো সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। এটাও অনুভব করবে যে আমি বাবার আজ্ঞা পালন করিনি সেইজন্যই সাজা ভোগ করছি আর তাই বাবা বলেন যতটা সম্ভব আমাকে স্মরণ করো। আচ্ছা।

দেখ ভারতে সবাই যত ছুটি পেয়ে থাকে এমনটা কিন্তু আর কোথাও পাওয়া যায় না। কিন্তু এখানে আমাদের এক সেকেন্ডও ছুটি নেই। কেননা বাবা বলেন প্রতিটি শ্বাসে-শ্বাসে স্মরণে থাকো। এক-একটি শ্বাস ভীষণ মূল্যবান। বাচ্চাদের রাত-দিন বাবার সার্ভিস করা উচিত।

তোমরা অলমাইটি বাবার প্রতি আশিক নাকি তাঁর রথের প্রতি ? নাকি দুইয়ের প্রতিই ? নিশ্চয়ই দুইয়ের প্রতিই আশিক হতে হয়। বুদ্ধিতে এটাই থাকবে যে উনি এই রথে আছেন। সেইজন্যই তোমরা এর প্রতি আশিক হয়েছ। শিবের মন্দিরে ষাঁড় রাখা হয়। তাকেও পূজা করা হয়। কত গুহ্য বিষয় ! যে রোজ শুনবে না, কিছু না কিছু বিষয় মিস হয়ে যাবে। যারা রোজ শুনবে তারা কখনোই অসফল হবে না। ম্যানার্সও সুন্দর হবে। বাবাকে স্মরণ করলে অনেক প্রফিট হয়। তারপর তার থেকেও বড় প্রফিট হলো নলেজকে মনন করা। যোগেও প্রফিট হয়, জ্ঞানেও প্রফিট। বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হয় আর উচ্চ পদ পাওয়া যায়। বাবা যেখানে থাকেন সেটা হলো মুক্তিধাম, ব্রহ্ম লোক। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হল এই ব্রাহ্মণদের লোক। ব্রাহ্মণ পৈতা অবশ্যই ধারণ করে, টিকিও রাখে কেননা বাবা আমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের চটি ধরে নিয়ে যান। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শরীর এবং আত্মা দুই-ই কাঞ্চন করে তোলার জন্য বাবাকে স্মরণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কখনও বাবার আজ্ঞা উলঙ্ঘণ করবে না।

২ ) ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করার সময় চেক করবে বুদ্ধি এদিক-ওদিক দৌড়চ্ছে না তো ! কখনও পড়াশোনা মিস করবে না। মায়ার বক্সিং-এ হার মানবে না।

বরদানঃ-

শুধুমাত্র বাণীর সেবাই সেবা নয়, শুভ ভাবনা, শুভ কামনা রাখাও সেবা। ব্রাহ্মণদের অক্যুপেশনই হল ঈশ্বরীয় সেবা । যেখানেই থাকো সেবা করে যাও। যে যেমনই হোক না কেন, পাক্কা রাবণই হোক না কেন, কেউ তোমাদের গালিগালাজ করলেও তোমরা তাদের নিজের খাজানা থেকে শুভ ভাবনা, শুভ কামনার অঞ্জলি অবশ্যই দেবে, তবেই বলা হবে প্রকৃত সেবাধারী।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top