24 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
23 May 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা-ই সদ্গুরু রূপে তোমাদের মতো বাচ্চাদের কাছে গ্যারেন্টি করেন, বাচ্চারা আমি তোমাদের নিজের সঙ্গে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো, এই গ্যারেন্টি কোনো দেহধারীই করতে পারে না"
প্রশ্নঃ --
বাচ্চারা, তোমরা এই যে কথা শুনছো, তা কখন সমাপ্ত হবে ?
উত্তরঃ -:-
তোমরা যখন ফরিস্তা হয়ে যাবে । কথা পতিতদের শোনানো হয় । যখন পবিত্র হয়ে যাবে, তখন আর এই কথার দরকার নেই, তাই সূক্ষ্মবতনে শঙ্কর পার্বতীকে কথা বা কাহিনী শুনিয়েছিলো – এই কথা বলাও ভুল ।
প্রশ্নঃ --
শিববাবার মহিমায় কোন্ শব্দ সঠিক আর কোন্ শব্দ ভুল ?
উত্তরঃ -:-
শিববাবাকে অভোক্তা, অচিন্তক (অশোচতা), করনকরাবনহার (তিনিই করাচ্ছেন) বলা সঠিক । বাকি অকর্তা বলা সঠিক নয়, কেননা তিনি পতিতদের পাবন করেন ।
গান:-
ঐ আকাশ সিংহাসন ছেড়ে এই ধরিত্রীতে নেমে এসো.
ওম্ শান্তি । এ হলো বাচ্চাদের ডাক যে, বাবা এখনই এসো, কেননা আমরা আবার এই রাবণ রাজ্যে দুঃখী । আবার আমাদের উপর মায়ার ছায়া পড়েছে, অর্থাৎ পাঁচ বিকার রূপী রাবণ আমাদের খুবই দুঃখী করেছে । বাবা উত্তরে বলেন – হ্যাঁ বাচ্চারা, এ তো আমার নিয়ম । এ তো অবশ্যই আমি এসে বলবো, তাই না । হ্যাঁ বাচ্চারা, যখনই এই ধরণীতে ভারতবাসী সম্পূর্ণ ভ্রষ্টাচারী আর দুঃখী হয়েছে, তারা কতো গুরু করে সদ্গতির জন্য, কিন্তু তারা তো কারোরই সদ্গতি করতে পারেন না । সকল অন্ধের লাঠি তো এক প্রভুই । সবার প্রথমে বাবা জন্ম দেন, অর্থাৎ দত্তক নেন, গুরু সদ্গতি করেন । এখন তো না কেউ সদগতি করে, আর না কোনো বাবা আছে । তোমরা এখন বলো যে, পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের বাবাও, গুরুও । ওই এককেই সদ্গুরু, সৎ বাবা বলা যেতে পারে । তিনি হলেন প্রকৃত বাবা, তাঁকেই সুপ্রীম বলা হয় । তিনি সদ্গুরুও । তিনিই আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যান । তিনি গ্যারেন্টি দেন আর কোনো গুরু কখনোই গ্যারেন্টি করবেন না যে, আমি তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবো । তারা তো জানেনই না । এ সবই হলো নতুন কথা । তোমরা যখন এনাকে দেখো, তখন বুদ্ধিতে শিবকেই স্মরণ করতে হবে । তিনিই তোমাদের বাবা, টিচার এবং সদগুরু । মানুষ যখন কোনো গুরু করে বা টিচার করে তখন তাদের শরীরকেই দেখে । আত্মাই ভিন্ন শরীর ধারণ করে ভিন্ন – ভিন্ন নাম, রূপ, দেশ, কালে যায় । আচ্ছা, বাবা তো একজনই, আর তিনি একবারই আসেন । তিনি তো পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন না । সংস্কার তো আত্মার মধ্যেই থাকে । সে যখন শরীর ধারণ করবে তখনই তো তার বর্ণনা হবে, তাই না । বাচ্চারা, তোমরা বাবার মহিমা গাও – তিনি নিরাকার, কখনও সাকার শরীর ধারণ করেন না । শিবের তো নিজের শরীর হয় না, কিন্তু তিনি জ্ঞানের সাগর, পতিত – পাবন, সদগুরু । তিনি আমাদের বাবাও, আবার তিনি রাজযোগও শেখান । যিনি ব্রহ্মাণ্ডের, সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক, সেই তো স্বর্গের মালিক বানাবে, তাই না । শরীরধারী তো এমন তৈরী করতে পারবে না । বাচ্চারা ব্যতীত বাবাকে কেউ জানে না । তোমরা বলবে, পরমাত্মা আমাদের পড়ান । ওরা তখন বলবে, এ তো কোনো শাস্ত্রে নেই যে, নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা শরীরে আসেন । আরে, শিব জয়ন্তীর তো গায়ন আছে । গীতেও বলা হয়েছে, রূপ পরিবর্তন করে এসো । তাহলে তিনি কোন শরীর, কোন রূপে এসেছেন ? তোমাদের তো এ হলো কর্ম বন্ধনের শরীর । ভালো কর্মের দ্বারা ভালো পদ আর মন্দ কর্মের দ্বারা মন্দ পদ প্রাপ্ত হয়, এনার জন্য তো আর এমন বলা হবে না । মানুষ তো অবশ্যই পুনর্জন্ম গ্রহণ করে । বাবা পুনর্জন্মে আসেন না । তিনি এই শরীরে প্রবেশ করেছেন । এমন বলাও হয়, শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন । শিব তো হলেন নিরাকার, ব্রহ্মার দ্বারা তিনি কিভাবে স্থাপন করেন ? উপর থেকে প্রেরণা দেন কি ? তিনি পতিত দুনিয়াতে আসেন, তাহলে কোন শরীরে আসবেন যাতে রাজযোগ শেখাতে পারবেন । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন, আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনছি । তিনি এই ব্রহ্মা মুখের দ্বারা শোনান, আর সবাই দেহধারী গুরুর নাম বলবে । তোমরা জানো যে, নিরাকার শিব আমাদের বাবা । প্রথমে তো জন্মদাতা বাবার প্রয়োজন । শিববাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের দত্তক নেন । শারীরিকভাবে তো প্রজাপিতার এতো সন্তান হতে পারে না । প্রজাপিতা ব্রহ্মার তো অনেক সন্তান । ব্রাহ্মণ কুল অনেক বড়, যেই ব্রাহ্মণরা আবার দেবতা হবে । যখন দেবতা হবে, তখন আর দত্তক সন্তান হবে না । দত্তক সন্তান তো এখন । কতো ব্রাহ্মণ ।
বাচ্চারা জানে যে, আমরা শিব বাবার কাছে এসেছি । তিনি হলেন নলেজফুল । তিনি বলেন – বাচ্চারা, আমি তোমাদেরই এই জ্ঞান শোনাই । আমার তো নিজের কোনো শরীর নেই । মানুষ শিব জয়ন্তী পালন করে, কিন্তু কিভাবে শিব বাবা এসেছেন, এ কেউই জানে না । মানুষ বলেও থাকে শিব রাত্রি । রাত্রিতে কৃষ্ণের জন্মও দেখানো হয় । শিব জয়ন্তীর পর চট করে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় । শিবের জন্ম তো হয় সঙ্গম যুগে । ব্রহ্মার রাত সম্পূর্ণ হয়ে আবার দিন শুরু হয় । সেই সঙ্গমেই বাবা আসেন । এ হলো অসীম জগতের রাত্রি, আর ওটা হলো জাগতিক । অর্ধেক কল্প দিন আর অর্ধেক কল্প রাত্রি । ভক্তিমার্গে মানুষ ধাক্কাই খেতে থাকে, ভগবানকে পায় না, তাই অন্ধকারই তো হলো, তাই না । মানুষ সম্পূর্ণ বুদ্ধিহীন । গাইতেও থাকে যে – পরম পিতা পরমাত্মা উপরে আছেন…. আবার বলে দেয় যে, তীর্থযাত্রাতেই ভগবানকে পাওয়া যাবে । দান – পুণ্য করলেও পাওয়া যাবে । তোমরা কতো সময় ধরে ধাক্কা খেয়েছো । ভক্তিমার্গে অনেক মত আছে, তাই বলা হয় এ হলো ব্রহ্মার রাত । এখানে ধাক্কা খেতে খেতে দুর্গতি হয়ে মানুষ পাপাত্মা হয়ে যায় । বিকারের দ্বারা জন্ম হলে তাকে পাপাত্মা বলা হয় । তোমরা এমন তো বলবে না যে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বিকারের দ্বারা হয়েছে । এই সব কথা তোমরা ভারতবাসীরা যারা গৃহস্থ ধর্মের, তারাই জানো । সন্ন্যাসীরা এ কথা জানেও না, আর মানেও না ।
বাবা বলেন – আমার অতি প্রিয় বাচ্চারা, তোমরা সত্যযুগে পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গে ছিলে, এরপর পুনর্জন্ম গ্রহণ করে পতিত হয়ে যাও । ভারত পবিত্র ছিলো, দেবতাদের রাজ্য ছিলো । সেখানেও শান্তি ছিলো, প্রকৃতপক্ষে শান্তিধাম হলো নির্বাণধাম, কিন্তু সত্যযুগে তোমরা যেহেতু শান্তির উত্তরাধিকার পেয়েছো, তাই ওখানে কোনো অশান্তি থাকে না । একে অপরকে দুঃখ দিয়ে কখনোই অশান্ত করে না । কেউই ওখানে কাউকে দুঃখ দেয় না । এখানে তো বাচ্চারাও মা – বাবাকে দুঃখ দিয়ে অশান্ত করে দেয় । তোমরা এখন শান্তির সাগরের কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । ওখানে কোনো লড়াই – ঝগড়া হয় না । এখানেও তোমাদের সেই অবস্থার প্রয়োজন । নিজেদের মধ্যে কখনোই নুনজল হওয়া উচিত নয় । প্রথম – প্রথম তো এই নিশ্চয় হওয়া চাই যে, অসীম জগতের পিতা এসেছেন, আমাদের দুঃখের দুনিয়া থেকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন । সত্যযুগে তো আর বাবা আসেন না । এখানে এসে তিনি এই নয়ন রূপী দ্বার থেকে তোমাদের দেখেন । এর আত্মাও দেখে, আবার শিব বাবাও দেখেন । এক শরীরে দুই আত্মা কিভাবে থাকতে পারে, মানুষ তা মানবে না । আরে, তোমরা ব্রাহ্মণদের খাওয়াও, মৃত্যুর পর পতির বা বাবার আত্মাকে ডাকো, ওরা এসে বলে । তাদের জিজ্ঞেস করো, তাহলে তো দুই আত্মাই হলো, তাই না । বাবা বলেন, ওই আত্মারা এসে বসতে পারে না । এ হতে পারে না । বাবার তো নিজের কোনো শরীর নেই । তিনি তো আসতেই পারেন । পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও আমি এমনই বলেছিলাম যে, সাধারণ বৃদ্ধ শরীরে, ভাগীরথ অর্থাৎ ভাগ্যশালী রথে আমি আসি । অবশ্যই তাহলে মানুষের তনেই আসবেন, নাকি ষাঁড়ের মধ্যে আসবেন ? সূক্ষ্মবতনে শঙ্করের সামনে ষাঁড় কোথা থেকে এলো ? যদি কেউ শঙ্কর অথবা শঙ্কর – পার্বতীর পুজো করে, তাহলে আমি সাক্ষাৎকার করিয়ে দিই । বাকি এমন দেখানো হয়েছে, শঙ্কর পার্বতীকে কথা শুনিয়েছিলো, এ সবই মিথ্যা । শঙ্কর কেন কথা শোনাবেন ? সূক্ষ্মবতনে তো প্রয়োজনই নেই । তোমরা ফরিস্তা হয়ে গেলে এই কথা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে । পতিতকে পাবন বানানোর জন্যই এই কথা শোনানো হয় । বাবা অমরকথা শোনান অমরলোকের উপযুক্ত করে নিয়ে যাওয়ার জন্য । অমরলোক সত্যযুগকে বলা হয় । এ হলো মৃত্যুলোক ।
আজ বাবা জিজ্ঞেস করেছেন, শিব বাবা স্নান করেন ? বলেন, বাপদাদা করেন । আমি বললাম, স্নান তো দাদা করেন । শিব কেন করবেন ! তাঁকে তো আর শৌচাগারে যেতে হয় না যে তিনি স্নান করবেন । শিব তো হলেন অভোক্তা । এ তো বোঝার মতো কথা, তাই না । তিনি তো অপবিত্রই হন না, যে স্নান করবেন । তিনি তো আসেনই পতিতকে পবিত্র বানাতে । তিনি করনকরাবনহার, অভোক্তা এবং অচিন্তক, কিন্তু অকর্তা বলা ভুল হয়ে যাবে । তিনি পতিতকে পবিত্র করেন । করনকরাবনহার । (বাবার কাশি হলো ) এই আত্মার শরীর রূপী বাজনা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তাহলে শিব বাবা কি করবেন ? তোমরা এমন বলবে না যে, শিব বাবার বাজনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তা নয়, এই শরীর ওনার নয়, উনি লোন নিয়েছেন । লোন নেওয়া জিনিস যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সেই জিনিসের মালিকেরই তো ক্ষতি হবে, তাই না । শিব বাবা এই শরীরের মালিক নন । মালিক হলেন এই ব্রহ্মা । উনি এই শরীর ধার নিয়েছেন । এ হলো ভাগ্যশালী রথ । ষাঁড় হলো এক । আবার গোমুখও বলা হয় । বাবা বলেন, বরাবর কোনো কোনো বাচ্চা এতো সচেতন হয় না । কাউকে ওঠাতে হলে আমি বাচ্চার মধ্যে গিয়ে ওঠাই । পতিত দুনিয়াতে, পতিত শরীরে তো আসতেই হয় । তাই কারোর কল্যাণ করার জন্যও আমি বাচ্চাদের মধ্যে প্রবেশ করি । বাচ্চারা বুঝতে পারবে না । তার থেকেও যারা শোনে তারা খুব তীক্ষ্ণ হয়ে যায় । এই বাবার সাহায্যও পাওয়া যায় এক তো নিশ্চয়বুদ্ধি, দ্বিতীয় হলো, দৃষ্টি পাওয়া যায় । বাবা বলেন, আমি প্রবেশ করতে পারি, কিন্তু এমন নয় যে, আমি সর্বব্যাপী । আমাকে বহুরূপী কেন বলে ? যে যাঁর পুজো করে, আমি তাকে তাঁর সাক্ষাৎকার করাই । সাক্ষাৎকারে এমন দেখে যে, সামনে আসছে । বিষ্ণুর সাক্ষাৎকার হয়, তখন বিষ্ণু চৈতন্য হয়ে যায় । মাথার উপর হাত রাখে । তখন বলে, আমার চতুর্ভুজের সাক্ষাৎকার হয়েছে, কিন্তু তাতে কি লাভ ? কিছুই নয় । কেবল মন খুশী হয়ে গেলো — আমার ভগবানের দর্শন হয়েছে । ভক্তিতে অনেক দর্শন হয়, কিন্তু তাতে সদ্গতি লাভ হয় না । যেখানে মানুষ গেয়ে থাকে – সদ্গতি দাতা, পতিত পাবন এক । বিষ্ণু তা হতে পারেন না । তিনি তো বাবা হবেনই না । বাবা হলেন এক, আর তাঁর বাচ্চাও এক, প্রজাপিতা ব্রহ্মা । এমন কখনো বলা হবে না যে, প্রজাপিতা বিষ্ণু বা শঙ্কর । প্রজাপিতা এক, তারপর তিনি ব্রাহ্মণদের দত্তক নেন । বাচ্চারা জানে যে, আমরা প্রথমে ব্রাহ্মণ হই, তারপর দেবতা হই । ব্রাহ্মণদের মালা সঠিক তৈরী হয় না, কেননা অদলবদল হতেই থাকে । কেউ নেমে যায়, কারোর পতন হয় । তাহলে কি করবে ! তাদের বের করে দেবে ? অন্তিম সময়ই রুদ্র মালা সঠিক তৈরী হবে । এই মিষ্টি – মিষ্টি কথা বাবাই শোনান আর কেউই জানে না । অনেকেই আছে যারা বলে – হে রাম জী, এই সংসার তৈরীই হয়নি…. এখন রামচন্দ্র তো এখান থেকে প্রালব্ধ নিয়ে যান, তিনি ত্রেতা যুগে গিয়ে রাজা হন, তাঁর এই অজ্ঞানতা কোথা থেকে আসবে যে, বশিষ্ঠ তাঁকে জ্ঞান দেবেন যে, এই সংসার তৈরীই হয়নি । এ হলো সৃষ্টিচক্র । সবাই নানা বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আছে । কেউই জানে না বা বুঝতেও পারে না । শিব বাবাকেই লুকিয়ে দিয়েছে । মানুষ শিব জয়ন্তী পালনও করে কিন্তু বুঝতেই পারে না । শ্রীকৃষ্ণও কালো বা পতিত হয়ে যায় । বাবা তখনই আসেন, যখন এনাকে কালো থেকে সুন্দর বানাতে হবে । শিব জয়ন্তীর পরে চট করে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় । শিব বাবা এসে রাজযোগ শেখান, কাকে ? ব্রাহ্মণদের । প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলীদের । তারাই আবার রাজা – রানী হয় । শিব বাবা যখন চলে যাবেন, তখনই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য হবে, তাই বাবা কৃষ্ণকে এমন বানান । ওরা আবার বাবার পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । কৃষ্ণকে ওরা দ্বাপর যুগে নিয়ে গেছে । শিব বাবা এখন রাজযোগ শেখান । তোমরা জানো যে, আমরা এখন স্বর্গের রাজধানী স্থাপন করছি, আরো অনেকেই প্রিন্স – প্রিন্সেস হয় । সঙ্গম আর সত্যযুগের খবর কেউই জানে না । আমি আসি কল্পের এই সঙ্গমে । ওরা আবার তা যুগে – যুগে বলে দিয়েছে । সেও চার যুগ হয় । দ্বাপরের পরে কলিযুগ হয় । তাহলে এই দ্বাপর যুগে কৃষ্ণ এসে কি করবেন ! অবতরণের কলায় সবাইকে যেতেই হবে । আমার তো তখনই পার্ট, যখন চড়তি কলা হয়, একে তো নীচে নামতেই হবে । বাচ্চারা, তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করতে হবে । উঁচুর থেকে উঁচু হলো ব্রাহ্মণ বর্ণ । ব্রাহ্মণ, তারপরে দেবতা, ক্ষত্রিয়… এই বর্ণের গায়নও ভারতেই আছে । বিরাট রূপের চিত্র বানানো হয়েছে, তাতে ব্রাহ্মণ আর শিবকে লুকিয়ে দিয়েছে । এই কথা কোনো শাস্ত্রে নেই । শিব বাবা এসে ব্রহ্মার দ্বারা দত্তক নেন । তিনি শূদ্রর থেকে ব্রাহ্মণ তৈরী করেন । বাকি সূক্ষ্মবতনবাসী ব্রহ্মা, তিনি কিভাবে প্রজাপিতা হতে পারেন । প্রথমে এই নিশ্চয়তা চাই যে, বরাবর তিনি বাবাও, টিচারও, আবার সদ্গুরুও । মানুষ বলেও থাকে, সদ্গতি দাতা একজনই, কিন্তু তাঁর নাম – রূপ – দেশ – কাল সম্বন্ধে জানে না । আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) শান্তির সাগর বাবার কাছ থেকে শান্তি – সুখের উত্তরাধিকার নিয়ে শান্ত চিত্ত থাকতে হবে । কখনোই কাউকে দুঃখ দিয়ে অশান্ত করবে না । নুনজল হবে না ।
২ ) বাবার সমান অন্ধের লাঠি হতে হবে । বাবার সাহায্য প্রাপ্ত করার জন্য নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে সেবা করতে হবে ।
বরদানঃ-
তপস্যায় সফলতার বিশেষ আধার বা সহজ সাধন হলো — এক শব্দের পাঠ পাকা করো । তপস্যা অর্থাৎ এক এর হওয়া, তপস্যা অর্থাৎ মন – বুদ্ধিকে একাগ্র করা, তপস্যা অর্থাৎ একান্তপ্রিয় থাকা, তপস্যা অর্থাৎ স্থিতিকে একরস রাখা, তপস্যা অর্থাৎ সর্ব প্রাপ্ত সম্পদকে ব্যর্থ হওয়া থেকে রক্ষা করা অর্থাৎ ইকোনমি করা । এই একের পার্টকে স্মৃতিতে রাখো তাহলে নিরন্তর যোগী, সহজ যোগী হয়ে যাবে । পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!