19 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 18, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এই ভারতের এই সময় শ্রীমতের প্রয়োজন, শ্রীমতের দ্বারাই কড়ি তুল্য ভারত হিরের মতো হবে, সকলের গতি-সদগতি হবে”

প্রশ্নঃ --

সর্বশক্তিমান বাবার মধ্যে কি এমন শক্তি আছে, যা কোনও মানুষের মধ্যে নেই ?

উত্তরঃ -:-

রাবণকে মারার শক্তি এক সর্বশক্তিমান বাবার মধ্যেই আছে, যা কোনও মানুষের মধ্যে নেই। রামের শক্তি ব্যতিত এই রাবণ মরতে পারেনা। বাবা যখন আসেন তখন বাচ্চারা তোমাদেরকে এমন শক্তি প্রদান করেন যার দ্বারা তোমরাও রাবণের উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে পারো।

ওম্ শান্তি । মিষ্টি বাচ্চারা জানে যে এটা হল হোলি হংসদের সভা, এখানে সকল ব্রাহ্মণ বসে আছে। পবিত্রকে ব্রাহ্মণ বলা যায়, অপবিত্রকে শূদ্র বর্ণ বলা হয়। যে পুরুষার্থী, তাকে হাফ কাস্ট বলা হবে, না এদিকের না ওই দিকের। এক পা এপারে যাওয়া নৌকাতে আর এক পা ওই পাড়ে যাওয়ার নৌকাতে থাকলে তো মাঝখান থেকে দু-ভাগ হয়ে যাবে। এইজন্য নির্ণয় করতে হবে যে – কোন্ দিকে যাবে ? যদি কোনও অসুর বসে থাকে তো বিঘ্ন দেবে। এসব কে বোঝাচ্ছেন ? শিব বাবা। শিবের জন্যই বাবা শব্দটি মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। শিব বাবা-ই ঝুলি ভরপুর করে দেন। বাবার থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। শিবের অনেক মন্দির আছে, তিনি হলেন নিরাকার, বিশ্বের রচয়িতা। বিশ্বে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, তো অবশ্যই বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছিল। এখন তোমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছো, শূদ্র হল পাথর বুদ্ধি, লক্ষ্মী-নারায়ণ তো পরশ বুদ্ধি ছিলেন তাই না। মায়ার থেকে বুদ্ধি সরিয়ে নিতে হয়। মায়ার নাম ভারতেই প্রখ্যাত আছে। এই সময় মায়া রাবণের রাজ্য চলছে অর্থাৎ সবাই রাবণ সম্প্রদায়, এইজন্য রাবণকে মারতে থাকে, কিন্তু রাবণ মরেনা। রামের শক্তি ছাড়া রাবণের উপর জয় প্রাপ্ত করা সম্ভব নয়। সর্বশক্তিমানের থেকেই শক্তি প্রাপ্ত হয়। তিনি তো হলেন এক পরমপিতা পরমাত্মা। তাঁর না আছে সূক্ষ্ম শরীর, আর না আছে স্থুল – এটাও কারো বুদ্ধিতে আসেনা যে তিনি তো হলেন নিরাকার তাহলে ভারতে কিভাবে এসেছেন! আত্মা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়া তো কর্ম করতে পারে না। কিছুই বোঝে না, এজন্য পাথর বুদ্ধি বলা যায়। বাবা বসে বোঝাচ্ছেন যে ভগবান হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম। তাঁর মত হল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। না হলে তো ভগবানকে বারে বারে মনে কেন করবে! তাঁর শ্রীমতকেও বারে-বারে মনে করতে থাকে। অবশ্যই ভগবানের আসাও ড্রামার মধ্যে পার্ট আছে। মানুষ বুঝতে পারে না। অনেক লোক বলে যে যীশু খ্রীষ্টের থেকে ৩০০০ বছর পূর্বে গীতা শোনানো হয়েছিল। কিন্তু এটা তো বলো যে সেই গীতা কোন্ জাতিকে, কোন্ যুগে শোনানো হয়েছে আর কে শুনিয়েছেন ? একটাই শাস্ত্রে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লেখা হয়েছে পুনরায় রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞও বলা হয়। রুদ্র তো শিব বাবাকে বলা যায়। কৃষ্ণকে কখনো বাবা বলা হয় না। শিবকে বাবা বলা হয়। শিব বাবা-ই হলেন নলেজ ফুল, ব্লিসফুল, তবেই তো ভক্তরা তাঁকে আহ্বান করে। মনে করে যে ভক্তি করার পর ভগবান প্রাপ্ত হবে। আচ্ছা ভক্তি কবে থেকে শুরু হয়েছে, ভগবান কবে প্রাপ্ত হয় ? পাপাত্মাদের দুনিয়া থেকে পূণ্য আত্মাদের দুনিয়াতে কখন যেতে হবে, এটা কেউই জানেনা। তোমরাও শূদ্র বর্ণের ছিলে। এখন তোমরা নিজেদেরকে ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দাও। ব্রাহ্মণ কে রচনা করেছেন ? শিব বাবা। ইনি হলেন রচয়িতা। ব্রাহ্মণ বর্ণ হল সবথেকে উচ্চ। ব্রাহ্মণদের চটিও (টিকি) দেখানো হয়, কেননা সাকারে আছে তাইনা। কিন্তু তাদের রচয়িতা হলেন নিরাকার। তিনি পরমপিতা পরম আত্মা মানে পরমাত্মা, এই শব্দ পাক্কা স্মরণ করে নাও। ড্রামা অনুসারে যখন সৃষ্টি তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন আমাকে আসতে হয়। আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছি। তোমাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র বানিয়ে সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার এসে প্রদান করি। এছাড়া সকলেরই শান্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে যায়। বরাবর সত্য যুগ ত্রেতা নতুন দুনিয়া ছিল, যেটা রাম স্থাপন করেছেন। রামের থেকেও শিব বাবা অক্ষরটি ঠিক আছে। শিব বাবা অক্ষর সকলের মুখে আছে। তাই বাবা হলেন নতুন দুনিয়ার রচয়িতা, তিনি এসে উত্তরাধিকার প্রদান করেন। গীতা ব্রাহ্মণদেরকেই শোনাতে হবে। যখন শূদ্র থেকে ব্রহ্মা মুখ বংশাবলি ব্রাহ্মণ হয় তখন তাদেরকে গীতা শোনানো হয়। ব্রাহ্মণদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র খুলে যায় এইজন্য বলা হয়েছে জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দিয়েছেন, অজ্ঞান অন্ধকারের বিনাশ হয়েছে। বাচ্চারা বলে যে বাবা নরকের মত দুনিয়া থেকে এখন স্বর্গে নিয়ে চলো। এই হল শিব ভগবানুবাচ, শিবাচার্য উবাচ। শিবাচার্য (শিব বাবা) অসীমের সন্ন্যাস শেখান। শঙ্করাচার্যের হলো লৌকিকের সন্ন্যাস। অসীমের বাবা বলেন যে পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যাও। এখন তোমাদের সর্বদা সুখের দুনিয়াতে যেতে হবে। কৃষ্ণপুরী আর কংস পুরী বলা হয় তাই না। কৃষ্ণ পুরী সত্যযুগকে, কংস পুরী কলিযুগকে বলা হয়। এই দুই পুরী একসাথে হতে পারেনা। সত্যযুগে পুনরায় কংস কোথা থেকে আসবে ? বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে হবে তাই না। এখন বাবা নিজে এসেছেন স্বর্গের অপরিমিত সুখ প্রদান করতে।

বাবা বলেন এই অন্তিম জন্মে যে পড়ার সে পড়বে, পুনরায় তো রাজত্ব স্থাপন হয়ে যাবে। বাবা-ই এসে শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ তথা দেবতা তৈরি করেন। তারা তো হিন্দুদেরকে খ্রিস্টান বা বৌদ্ধি বানিয়ে দেয়। কিন্তু এটা কখনো শুনেছো কি শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বর্ণ বানিয়েছে! এটা তো শিববাবারই কাজ। তিনি-ই ব্রাহ্মণদেরকে পুনরায় দেবতা তৈরি করেন। প্রত্যেকে নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করো যে আমি প্রথমে কোন ধর্মের আর কোন বর্ণের ছিলাম ? আমাদের গুরু কে ছিলেন ? কোন্ শাস্ত্র পড়তাম? গুরুর থেকে কোন্ মন্ত্র প্রাপ্ত হয়েছিল ? পুনরায় কবে শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ বর্ণে নিয়ে এসেছেন ? এটা প্রত্যেককে লিখতে হবে। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে তো বাবা বলছেন যে আমাকে স্মরণ করো। মায়া রাবণ তোমাদের কি দুর্দশা করে দিয়েছে। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় হয়েছো, পুনরায় দৈবী সম্প্রদায় হতে হবে। তোমাদেরকে নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা কনভার্ট করেছেন। বাচ্চাদের প্রত্যেককে লেখাতে হবে যে কোন ধর্মের ছিলে, কাকে পূজা করতে ? গুরু করেছিলে না কি করোনি ? পুনরায় ব্রাহ্মণ বর্ণে কে নিয়ে এসেছে ? এই বাবাও লিখবেন যে আমিও নিজেকে হিন্দু ধর্মের বলে পরিচয় দিতাম। অনেক গুরু করেছি। শাস্ত্র অনেক পড়েছি। শিখ ধর্মাবলম্বীরা বলবে যে আমরা শিখ ধর্মের ছিলাম। কেবল ভারতবাসীদের নিজেদের দেবী-দেবতা ধর্মের সম্বন্ধে জানা নেই। এইরকম নয় যে শিখ ধর্মের আত্মারা নিজেদেরকে দেবতা বলবে। প্রত্যেকে নিজেদেরকে নিজের ধর্মেরই বলে পরিচয় দেবে। এখন বাবা বলছেন যারা শিবের ভক্ত বা শিবের রচনা দেবী-দেবতাদের ভক্ত হবে, তাদেরকে এই জ্ঞান শোনাতে হবে। তারা ভালোভাবে শুনবে। সত্য যুগ ত্রেতাতে বরাবর সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী ছিল, যাদের চিত্রও আছে। ইংরেজিতে ডিটিজ্ম বলা হয়। এখন বাবা দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপন করছেন। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ বর্ণ থেকে দেবতা বর্ণের হচ্ছো। ভারতবাসীরা নিজেরাই পূজ্য, নিজেরাই পূজারী হয়। সত্যযুগে পূজ্য ছিলে… বাবা বলেন আমি তো হলাম চিরপূজ্য। এখন তোমরা এখানে এসেছো রাজযোগ শিখতে। ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য শিব বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে। তাই ফলো করতে হবে। যতক্ষণ তোমরা ব্রহ্মা বংশী না হবে তো নিজেদেরকে ব্রাহ্মণ বলে কিভাবে পরিচয় দেবে? আচ্ছা।

আজ ভোগ আছে। ব্রাহ্মণদের খাওয়ানোর রীতিও প্রচলিত আছে। কিন্তু এর সাথে জ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে তো হল জ্ঞান সাগর আর জ্ঞান গঙ্গাদের মিলন। সেখানে আবার দেবতাদের সাথে তোমাদের ব্রাহ্মণদের মিলন মেলা হয়, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কথা নেই। বাবা বলেন যে দেহের সাথে দেহের সকল সম্বন্ধের থেকে মমতা সমাপ্ত করো। এক আমাকে স্মরণ করো তো অন্তিম মতি তথা গতি প্রাপ্ত হয়ে যাবে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে তোমাদেরকে স্বর্গে পাঠিয়ে দেবো। প্রতিদিন ক্লাসে জিজ্ঞাসা করো – শিব বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করো! শিব বাবা বলেন যে, আমার মত অনুসারে চলো। বাবার শ্রীমৎ হল নামীগ্রামী। শ্রীমৎ অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ মত। ব্রহ্মার মতও গাওয়া হয়ে থাকে। ব্রহ্মার থেকেও ব্রহ্মার বাবা শিব বাবা হলেন উচ্চ তাই না। যখন ভোজন করতে বসো তখনও শিব বাবাকে স্মরণ করো। বাবা হলেন অতিপ্রিয়। যেন তাঁর সাথেই আমরা ভোজন প্রাপ্ত করছি। এই স্মরণের দ্বারা অনেক শক্তি আসবে। কিন্তু বাচ্চারা প্রতিমুহূর্তে ভুলে যায়। ভারতের এখন শিব বাবার শ্রীমতের দরকার আছে, কেননা বাবা-ই হলেন সকলের সদ্গতি দাতা, পতিত-পাবন তাই না। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে। মায়া বিঘ্নও অনেক প্রকারের নিয়ে আসবে, তার থেকে ভয় পেয়োনা। জ্ঞান তো হল অনেক সহজ। এছাড়া যোগে থাকা, একের সাথে বুদ্ধির যোগ জুড়ে রাখা, এতেই পরিশ্রম আছে। প্রত্যেক জায়গায় উদ্ভ্রান্ত হওয়ার থেকে তো এক শিব বাবাকে স্মরণ করাই ভালো তাই না। গীতা পড়ারও কথা নেই। যখন বাবা নিজে এসেছেন। এছাড়া সকল শাস্ত্রের উৎসই হল গীতা। , তাই শাস্ত্র পড়ে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। অসীমের উত্তরাধিকার অসীমের বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অতিপ্রিয় বাবাকে সাথে রেখে ভোজন খেতে হবে। এক বাবার সাথেই বুদ্ধি জুড়তে হবে। একের শ্রীমতেই চলতে হবে।

২ ) বুদ্ধির দ্বারা অসীমের পুরানো দুনিয়াকে ভুলতে হবে, এর-ই সন্ন্যাস করতে হবে।

বরদানঃ-

ফরিস্তা অর্থাৎ পুরানো দুনিয়া আর পুরানো দেহের সাথে কোনও আসক্তিপূর্ণ সম্বন্ধ নেই। দেহের সাথে আত্মার সম্বন্ধ তো আছে, কিন্তু আসক্তিপূর্ণ সম্বন্ধ নেই। কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্মের সম্বন্ধে আসা আলাদা কথা কিন্তু কর্ম বন্ধনে এসো না। ফরিস্তা অর্থাৎ কর্ম করতেও কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত। না দেহের বন্ধন, না দেহের সম্বন্ধের বন্ধন, না দেহের পদার্থের বন্ধন – এইরকম বন্ধন মুক্ত যারা থাকে, তারাই হল বন্ধনমুক্ত ফরিস্তা।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য :-

দুর্ভাগ্য আর সৌভাগ্য এই দুটি শব্দ কিসের আধারে চলে ? এটা তো আমরা জানি যে সৌভাগ্য তৈরি করে দেন পরমাত্মা, আর দুর্ভাগ্য বানায় মানুষ নিজেই। যখন মানুষ সর্বদা সুখী থাকে তখন তাদের ভাগ্য খুব ভাল বলা হয় আর যখন মানুষ নিজেকে দুঃখী মনে করে তখন তারা নিজেকে দুর্ভাগ্যবান মনে করে। আমরা এরকম বলতে পারি না যে দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য কোনও পরমাত্মার দ্বারা প্রাপ্ত হয়, ন। ভাগ্যকে বিগড়ে দেওয়া বা তৈরী করা, এইসব কর্মের উপর আধারিত। এই সব মানুষের সংস্কারের উপরেই আছে। পুনরায় যেভাবে পাপ আর পূণ্যের সংস্কার ধারণ করে সেইরকমই ভাগ্য তৈরি হয় কিন্তু মানুষ এই রহস্যকে না জানার কারণে পরমাত্মার উপর দোষারোপ করে দেয়। এখন দেখো মানুষ নিজেকে সুখী রাখার জন্য কত মায়ার প্রকার বের করে পুনরায় সেই মায়ার দ্বারাই কেউ নিজেকে সুখী মনে করে আবার কেউ পুনরায় সেই মায়ার-ই সন্ন্যাস করে মায়াকে ত্যাগ করে নিজেকে সুখী মনে করে। বিভিন্ন প্রকারের প্রযত্ন করতে থাকে কিন্তু এত প্রকারের প্রযত্ন করেও রেজাল্ট দুঃখের দিকেই যায়। যখন সৃষ্টির উপর অতি দুঃখ হয় তখন সেই সময় স্বয়ং পরমাত্মা এসে গুপ্ত রূপে নিজের ঈশ্বরীয় যোগ শক্তির দ্বারা দৈবী সৃষ্টির স্থাপন করিয়ে সকল মনুষ্য আত্মাদেরকে সৌভাগ্যবান তৈরি করেন।

২ ) মানুষ গাইতে থাকে – তুমি মাতা-পিতা আমি বালক তোমার, তোমার কৃপাতে সুখ অপার… এখন এই মহিমা কার জন্য গাওয়া হয়ে থাকে ? অবশ্যই পরমাত্মার জন্যই গায়ন আছে কেননা পরমাত্মা স্বয়ং মাতা-পিতা রূপে এসে এই সৃষ্টিকে অপার সুখ প্রদান করছেন। পরমাত্মা অবশ্যই কোনও একদিন সুখের সৃষ্টি বানিয়েছিলেন তবেই তো তাঁকে মাতা পিতা বলে আহ্বান করে। কিন্তু মানুষ এটা জানে না যে সুখ কি জিনিস ? যখন এই সৃষ্টির উপর অপার সুখ ছিল, তখন শান্তিও ছিল কিন্তু সেই সুখ এখন আর নেই। এখন মানুষের ভিতরে এই চাহিদা উৎপন্ন হয় যে সেই সুখ আমার চাই, আবার কেউ ধন-পদার্থ প্রার্থনা করে, কেউ বাচ্চা প্রার্থনা করে, কেউ তো পুনরায় এমনই প্রার্থনা করে যে আমি পতিব্রতা নারী হব, যতক্ষণ আমার পতি জীবিত থাকবে, আমি যেন বিধবা না হই। তো চাহিদা তো সুখেরই থাকে তাই না। তো পরমাত্মাও কোনও সময় তাদের এই আশা অবশ্যই পূর্ণ করেন। সত্যযুগের সময় যখন সৃষ্টির উপর স্বর্গ ছিল তখন সেখানে সর্বদা সুখ ছিল, যেখানে স্ত্রী কখনো বিধবা হতো না। তাে তাদের এই আশা সত্যযুগে পূর্ণ হয়, যেখানে অপার সুখ থাকে। বাকি তো এই সময় হলই কলিযুগ। এই সময় তো মানুষ দুঃখই ভোগ করতে থাকে। দুঃখী মানুষ বলে ভগবানের দেওয়া দুঃখ আমরা ভালোবেসে ভোগ করি। কিন্তু পরমাত্মা পিতা তো কাউকে দুঃখ দেন না। তিনি আমাদের সমস্ত কর্মের খাতা সমাপ্ত করে দেন তবেই তো আমরা বলে থাকি তুমি মাতা পিতা আমি বালক তোমার…। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top