16 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

15 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে ঈশ্বরীয় পরিবারভুক্ত, ঈশ্বরীয় পরিবারের নিয়ম হলো - ভাই-ভাই হয়ে থাকা, ব্রাহ্মণকুলের নিয়ম হলো ভাই-বোন হয়ে থাকা, সেইজন্য বিকারের দৃষ্টি থাকতে পারে না"

প্রশ্নঃ --

এই সঙ্গমযুগ হলো কল্যাণকারী যুগ – কীভাবে ?

উত্তরঃ -:-

এইসময়েই বাবা নিজের আদরের সন্তানদের সম্মুখে আসেন আর তাঁর – বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরু রূপের ভূমিকা চলতে থাকে। বাচ্চারা, এ’টাই হলো কল্যাণকারী সময় যখন তোমরা বাবার পৃথক মত, যা নরককে স্বর্গে পরিণত করে বা সকলকে সদ্গতি প্রদান করে, সেই শ্রীমৎ-কে জানো এবং সেই অনুসারে চলো।

প্রশ্নঃ --

তোমাদের সন্ন্যাস হলো সতোপ্রধান সন্ন্যাস – কীভাবে ?

উত্তরঃ -:-

বুদ্ধির দ্বারা এই সময় তোমরা সমগ্র পুরোনো দুনিয়াকে ভুলে যাও। তোমরা এই সন্ন্যাসের দ্বারা কেবল বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো, পবিত্র হও আর সংযম রাখো, যারফলে দেবতা হয়ে যাও। ওদের সন্ন্যাস হলো সসীমের (হদের), অসীমের নয়।

গান:-

ভোলানাথের থেকে অনুপম….

ওম্ শান্তি । সর্বপ্রথমে বাবা বাচ্চাদের বোঝান যে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। ৫ হাজার বছর পূর্বেও বাবা বলেছিলেন যে মন্মনাভব । দেহের সমস্ত সম্বন্ধকে পরিত্যাগ করে নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করো। সকলে নিজেদের আত্মা মনে করো কি ? নিজেকে কেউ পরমাত্মা মনে করো না তো ? গায়নও করে পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা, মহান আত্মা। মহান পরমাত্মা বলা হয় না। আত্মা পবিত্র হলে শরীরও পবিত্র পাওয়া যায়। খাদ আত্মাতেই পড়ে। বাবা বসে বাচ্চাদের যুক্তি সহকারে বোঝান। এ তো অবশ্যই যে আত্মা রূপে আমরা সকলেই হলাম ভাই-ভাই আর শরীরের সম্বন্ধে এলে তখন হলো ভাই-বোন। এখন কোনো যুগল বসে রয়েছে তাদেরকে যদি বলো নিজেদের ভাই-বোন মনে করো তাহলে রুষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এই নিয়ম বোঝানো হয় যে আমাদের অর্থাৎ সমস্ত আত্মাদের বাবা এক তাই ভাই-ভাই হয়ে গেছ। তারপর মানুষের শরীরে আসেন তখন প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই ওঁনার মুখ-বংশজাতরা পরস্পর ভাই-বোন হয়ে যায়। সকলে বলেও যে পরমপিতা পরমাত্মা। বাবাই হলেন স্বর্গের রচয়িতা। আমরা ওঁনার সন্তান তাহলে আমরা কেন স্বর্গের মালিক হবো না! কিন্তু স্বর্গ তো থাকেই সত্যযুগে। এমন নয় যে বাবা এসে কোনো নতুন সৃষ্টি রচনা করেন। বাবা এসে পুরানোকে নতুন করেন অর্থাৎ এই বিশ্বকে পরিবর্তন করেন। তাহলে অবশ্যই বাবা এখানে এসেছেন। ভারতকে স্বর্গের উত্তরাধিকার দিয়েছেন। তারই স্মারকচিহ্ন হলো সোমনাথের মন্দির যা সবচেয়ে বড় বানানো হয়েছে। বরাবর ভারতে এক দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, আর কোনো ধর্ম ছিল না, আর সব পরে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে। তাহলে অবশ্যই বাকি সমস্ত আত্মারা নির্বাণধামে বাবার কাছে থাকবে। ভারত জীবন্মুক্ত ছিল।সূর্যবংশীয় ঘরানায় ছিল। এখন জীবনবন্ধতে আছে। জনকের উদাহরণও আছে যে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়েছিল। সমগ্র স্বর্গকেই বলা হয়ে থাকে জীবনমুক্তি। আবার তাতেও যারা যেমন পরিশ্রম করেছে তেমনই পদ প্রাপ্ত করেছে। সকলকেই জীবনমুক্ত বলবে। তাই অবশ্যই মুক্তি-জীবনমুক্তি দাতা একমাত্র সদ্গুরু হওয়া উচিত। কিন্তু এ’কথা কারোর জানা নেই। এখন সকলেই মায়ার বাঁধনে রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে ঈশ্বরের মতি-গতি সম্পূর্ণ আলাদা…., ওঁনার হলো শ্রীমৎ। তিনি আসেন অবশ্যই। ভবিষ্যতে সকলেই বলবে যে ও, প্রভু। তোমরা এখন বলছো যে — ও, প্রভু, এই নরককে স্বর্গে পরিণত করার পরিকল্পনা একদম আলাদা। তোমরা জানো যে পুনরায় আমরা সহজ রাজযোগ শিখছি। কল্প-পূর্বেও সঙ্গমেই শিখিয়ছিলেন, তাই না! বাবা স্বয়ং বলেন – “আদরের বাছারা”, আমি তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সম্মুখেই আসি। তিনি হলেন সুপ্রীম বাবাও, আবার সুপ্রীম টিচারও। নলেজ দেন আর কেউই এই সৃষ্টি চক্রের নলেজ দিতে পারে না। এই সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্ত বা ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফীকে কেউ জানে না। পরমপিতা পরমাত্মা স্থাপনা এবং বিনাশের কার্য কিভাবে সম্পন্ন করান, তা কেউই জানেনা। বাচ্চারা, তোমরা এখন জেনে গেছো। মানুষ থেকে দেবতা হতে(বেশী সময় লাগে না)… এই মহিমা হলো ওঁনার। পূতিগন্ধময় কাপড় ধোয়….. এখন প্রত্যেকেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে আমরা পূতিগন্ধময় (পতিত) আছি নাকি পবিত্র হয়েছি ? এ হলো অকাল সিংহাসন, তাই না! অকালমূর্তি ওঁনার আসন কোথায় ? সে তো অবশ্যই হলো পরমধাম বা ব্রহ্ম মহাতত্ব। আমরা আত্মারাও ওখানেই থাকি। ওঁনাকেও অকাল-তখ্ত বলা হয়ে থাকে। ওখানে কেউ আসতে পারে না। সেই সুইট হোমে আমরা থাকি, বাবাও ওখানে থাকেন। এছাড়া ওখানে থাকার জন্য কোনো আসন বা সিংহাসন ইত্যাদি নেই। ওখানে তো অশরীরীরা থাকে, তাই না! সেইজন্য বোঝানো উচিত যে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ, সুযোগ্য হয়ে ওঠে। বাবা বলেন যে শিববাবাকে স্মরণ করো, বিষ্ণুপুরীকে স্মরণ করো। এখন তোমরা ব্রহ্মপুরীতে বসে রয়েছো। তোমরা হলে ব্রহ্মার সন্তান আর শিববাবার বাচ্চাও। যদি নিজেদের ভাই-বোন মনে না করো তাহলে কাম-বিকারে পতিত হবে। এ হলো ঈশ্বরীয় পরিবার। প্রথমে তোমরা বসে রয়েছো, তারপর দাদাও আছেন, বাবাও আছেন আর তোমরা হলে ওঁনার সন্তান, তাহলে তোমরা হলে ব্রহ্মার দ্বারা প্রাপ্ত শিববাবার সন্তান। তাই তোমরা হলে শিবের পৌত্র। পুনরায় মানুষের শরীরে এলে তখন ভাই-বোন হয়। এইসময় তোমরা ভাই-বোন প্র্যাকটিক্যালে রয়েছো। এ হলো ব্রাহ্মণদের কুল। এ হলো বুদ্ধির দ্বারা বোঝার মতন বিষয়। জীবনমুক্তিও সেকেন্ডে পাওয়া যায়। এছাড়া পদ তো অনেক আছে। ওখানে দুঃখ প্রদানকারী মায়া তো থাকে না। এ’রকম নয় যে সত্যযুগ থেকে নিয়ে কলিযুগ পর্যন্ত রাবণকে জ্বালাতে থাকবে। মানুষ বলে যে পরম্পরাগতভাবে জ্বালিয়ে আসছে, এটা অসম্ভব। স্বর্গে অসুর আসবে কোথা থেকে ? বাবা বলেছেন, এ হলো আসুরীয় সম্প্রদায়। আবার ওদের নাম রেখে দিয়েছে অকাসুর-বকাসুর। বলে যে, কৃষ্ণ গরু চড়িয়েছিল, এই পার্টও প্লে হয়েছে, শিববাবার গরু হলো তোমরা, তাই না! শিববাবা সকলকে জ্ঞান ঘাস খাওয়ান। (জ্ঞান) ঘাস খাওয়ান, প্রতিপালন করে থাকেন তিনিই। মানুষ মন্দিরে গিয়ে দেবতাদের মহিমা কীর্তন করে যে তোমরা সর্বগুণসম্পন্ন আর আমরা হলাম নীচ, পাপী…। নিজেদের দেবতা বলতে পারে না, হিন্দু বলে থাকে। আসল নাম হলো ভারত। গীতাতেও রয়েছে — যদা যদাহি ধর্মস্য…. গীতায় হিন্দুস্তান তো বলা হয়নি। এ হলো ভগবানুবাচ। ভগবান হলেন অদ্বিতীয়, নিরাকার যাঁকে সকলেই জানে। স্বর্গে থাকে সমস্ত দৈবী-গুণসম্পন্ন মানুষ। তাদেরকেই ৮৪ জন্ম নিতে হবে। তাহলে অবশ্যই স্বর্গ থেকে নরকে আসবে। নিজেই পূজ্য নিজেই পূজারী। তারও অর্থ আছে, তাই না! নাম্বার ওয়ান পূজ্য হলেন শ্রীকৃষ্ণ। কৈশোর অবস্থাকে সতোপ্রধান বলা হয়ে থাকে। বাল্য অবস্থাকে সতো, যুবা হলো রজো, বৃদ্ধ হলো তমো। সৃষ্টিও সতঃ-রজঃ-তমঃ হয়। কলিযুগের পরে পুনরায় সত্যযুগ আসা উচিত। বাবা আসেনই সঙ্গমে। এ হলো অতি কল্যাণকারী যুগ। এ’রকম কোনও যুগ হতে পারে না। সত্যযুগ থেকে ত্রেতায় এলে, তাকে কল্যাণকারী বলা যাবে না কারণ দুই কলা কম হলে তাকে কল্যাণকারী যুগ কিভাবে বলবে ? তারপর দ্বাপরে এলে আরও কলা কমে যাবে। তখন এ আর কল্যাণকারী যুগ রইলো না। কল্যাণকারী হলো এই সঙ্গমযুগ, যখন বাবা বিশেষভাবে ভারতকে আর সাধারণভাবে সকলকেই সদ্গতি দেন। এখন তোমরা স্বর্গের জন্য পুরুষার্থ করছো। বাবা বলেন যে এই দেবী-দেবতা ধর্মই সুখ দেবে। তোমরা নিজের ধর্মকে ভুলে গেছো তবেই অন্যান্য আরো ধর্মে প্রবেশ করেছো। বাস্তবে তোমাদের ধর্ম হলো সবথেকে উঁচু। এখন পুনরায় তোমরা সেই রাজযোগ শিখছো, সেইজন্য শ্রীমতে চলতে হবে। বাকি সকলেই চলে আসুরীয় রাবণ মতানুসারে। সকলের মধ্যেই ৫ বিকার আছে, তারমধ্যেও প্রথম নম্বরে হলো অশুদ্ধ অহংকার। বাবা বলেন দেহ-অহংকার ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হও, অশরীরী ভব। তোমরা আমায় অর্থাৎ বাবাকে ভুলে গেছো। এও হলো গোলকধাঁধাঁর খেলা। অনেকে আবার বলে নীচে যখন পড়তেই হবে তখন পুরুষার্থ কেন করবো? আরে, পুরুষার্থ না করলে স্বর্গের রাজত্ব কিভাবে পাবে ? ড্রামাকেও বুঝতে হবে। এ হলো একই সৃষ্টি, যা আবর্তিত হতেই থাকে। সত্যযুগের আদি(শুরুও) হলো সত্য, থাকেও সৎ, হবেও সত্য…..বলাও হয়ে থাকে যে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী রিপীট হয়। তাহলে কবে শুরু হবে? কিভাবে শুরু হবে? তারজন্য তোমরা পুরুষার্থ করো। বাবা বলেন — পুনরায় তোমাদের রাজযোগ শেখাতে এসেছি। তোমরাও শেখো। রাজত্ব স্থাপন হবে। যাদব, কৌরব শেষ হয়ে যায় আর জয়-জয়কার হয়। তারপর মুক্তি-জীবনমুক্তির দ্বার খুলে যায়। নাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। যখন লড়াই লাগে তখনই গেট খোলে। বাবা এসে গাইড হয়ে নিয়ে যান। মুক্তিদাতাও তিনি। মায়ার ফাঁদ থেকে মুক্ত করে। গুরুদের শৃঙ্খলে সম্পূর্ণ আবদ্ধ হয়ে রয়েছে। অত্যন্ত ভয় পায় যে কখনো গুরুর আজ্ঞা না মানলে, কিছু অভিশাপ না দিয়ে দেয়। আরে, আজ্ঞা তো তোমরা কোথায় মানো! ওরা হলো নির্বিকারী পবিত্র আর তোমরা হলে বিকারী অপবিত্র। গুরুদের জন্য মানুষের কত ভাবনা থাকে। কি করে, কিছুই জানা নেই। ভক্তিমার্গের প্রভাব রয়েছে। এখন তোমরা সমঝদার চালাক(শেয়ানা) হয়েছো, তোমরা জানো যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকর হলেন সূক্ষ্মলোক-নিবাসী। তারমধ্যেও ব্রহ্মা তথা বিষ্ণুর ভূমিকা এখানেই পালন করা হয়। শঙ্করের এখানে আসার প্রয়োজনই নেই। এখানে থাকে জগদম্বা, জগৎ-পিতা আর তোমরা বাচ্চারা। তারপর এত-এত ভূজবিশিষ্ট দেবী ইত্যাদিদের বসে-বসে বানিয়ে থাকে, প্রচুর চিত্র রয়েছে। এইসমস্ত চিত্র হলো ভক্তিমার্গীয়দের জন্য। মানুষ তো মানুষই। রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতিদেরকেও চার ভূজ দিয়ে দেয়। দীপাবলীতে মহালক্ষ্মীর পূজা করে, সে’টা হলো দুই ভূজ লক্ষ্মীর আর দুইভূজ নারায়ণের সেইজন্য দুইজনেরই পূজা হয়, যুগলরূপে। এ হলো প্রবৃত্তিমার্গ, আর কিছুই নয়। কালীর জিব কিরকম দেখানো হয়। কৃষ্ণকেও কালো করে দিয়েছে। বাম-মার্গে যাওয়ার কারণে কালো হয়ে যায়। তারপর জ্ঞান চিতায় বসে গৌরবর্ণের(ফর্সা) হয়ে যায়। জগদম্বা হলেন এমন মিষ্টি মাম্মা যিনি সকলের মনোকামনা পূর্ণ করেন, তাঁর মূর্তিকেও কালো করে দিয়েছে। কত দেবী(মূর্তি) তৈরী করে। পূজো করে সমুদ্রে(জলে) ডুবিয়ে দেয়। তাহলে এ’সব হলো পুতুল-পূজা, তাই না! বাবা বলেন — এইসব ড্রামায় নির্ধারিত, আবারও হবে। ভক্তিমার্গে বিস্তার অনেক। কত মন্দির, কত চিত্র, শাস্ত্র ইত্যাদি রয়েছে। সে’কথা আর জিজ্ঞাসা কোরো না। ওয়েস্ট অফ টাইম(সময় নষ্ট)….. ওয়েস্ট অফ মানি(অর্থ নাশ)…..মানুষ এইসময় একদমই তুচ্ছ বুদ্ধিসম্পন্ন। কড়ি-তুল্য হয়ে যায়। বাবা বলেন, ভক্তিমার্গে এখন অনেক ধাক্কা খেয়েছো। এখন বাবা তোমাদের এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত করে দেন। কেবল বাবাকে আর উত্তরাধিকার-কে স্মরণ করো আর অতি পবিত্রও হতে হবে। সংযমও রাখতে হবে। নাহলে যেমন অন্ন তেমনই মন হয়ে যায়। সন্ন্যাসীদেরকেও গৃহস্থীদের কাছে জন্ম নিতে হয়। ও’টা হলো রজোপ্রধান সন্ন্যাস। এ’টা হলো সতোপ্রধান সন্ন্যাস। তোমরা পুরোনো দুনিয়ার থেকে সন্ন্যাস নাও। সেই সন্ন্যাসেও কত শক্তি আছে। প্রেসিডেন্টও গুরুর সম্মুখে মাথা নত করে। ভারত পবিত্র ছিল। তার মহিমা গাওয়া হয়ে থাকে। ভারতবাসী সর্বগুণসম্পন্ন ছিল। এখন তো সম্পূর্ণ বিকারী। দেবতাদের মন্দিরে যায় তাহলে অবশ্যই সেই ধর্মের হবে। গুরুনানকের মন্দিরে গেলে তখন অবশ্যই শিখ ধর্মের হবে, তাই না! কিন্তু এরা সকলেই নিজেদের দেবতা ধর্মের বলতে পারে না কারণ পবিত্র নয়। এখন বাবা বলেন — পুনরায় আমি শিবালয় তৈরী করতে এসেছি। স্বর্গে কেবল দেবী-দেবতারাই থাকেন। পুনরায় এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। গীতা, রামায়ণ ইত্যাদি সব শেষ হয়ে যাবে। ড্রামানুসারে পুনরায় আপন সময়ে আসবে। কত বুঝবার মতন বিষয়। এই পাঠশালাই হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার। মানুষ কিন্তু মানুষের সদ্গতি কখনোই করতে পারে না। অল্পকালের সুখ তো সকলেই একে-অপরকে দিতে থাকে। এখানে হলো অল্পকালের সুখ, বাকি হলো দুঃখই দুঃখ। সত্যযুগে দুঃখের নামই নেই, নামই হলো স্বর্গ, সুখধাম। স্বর্গের নামের কত মহিমা। বাবা বলেন — অবশ্যই গৃহস্থী জীবনে থাকো, কিন্তু এই অন্তিম জন্মে বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে আমরা হলাম তোমার সন্তান। এই অন্তিম জন্মে অবশ্যই পবিত্র হয়ে, পবিত্র দুনিয়ার উত্তরাধিকার নেব। বাবাকে স্মরণ করা অত্যন্ত সহজ। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ-অহংকার ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হতে হবে। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

২ ) ড্রামাকে যথাযথভাবে বুঝে পুরুষার্থ করতে হবে। ড্রামায় থাকলে করবো, এ’রকম ভেবে পুরুষার্থহীন হওয়া উচিত নয়।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগ হলো ছোট যুগ, এই যুগেই বাবার সাথের অনুভব হয়। সঙ্গমের সময় এবং এই জীবন দুই-ই হীরেতুল্য। সেইজন্য এত মাহাত্ম্য জানার ফলে, এক সেকেন্ডও সঙ্গ ছাড়বে না। সেকেন্ড চলে গেলে তখন সেকেন্ড নয় বরং অনেককিছু চলে যায়। এই যুগ হলো সমগ্র কল্পের শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ জমা করার, যদি এই যুগের মাহাত্ম্যকেও স্মরণে রাখো তবে তীব্র পুরুষার্থের দ্বারা রাজ্য অধিকার প্রাপ্ত করে নেবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top