10 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

10 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

9 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন - তোমাদের শ্রেষ্ঠ মত দিয়ে সবসময়ের জন্য সুখি, শান্ত করে তুলতে। ওঁনার মতে চলো, রূহানী পাঠ পড়ো আর অন্যদেরও পড়াও তবেই এভারহেল্দী আর ওয়েল্দী হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

কোন সেই সুযোগ যা সম্পূর্ণ কল্পের মধ্যে এই সময়েই পাওয়া যায়, যা মিস করা উচিত নয় ?

উত্তরঃ -:-

রূহানী (আত্মিক) সেবা করার সুযোগ, মানুষকে দেবতা করে তোলার সুযোগ এই সময়েই পাওয়া যায়। এই সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়। রূহানী সার্ভিসে লেগে পড়তে হবে। সার্ভিসেবল হতে হবে। বিশেষ করে কুমারীদের ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্টের সেবা করতে হবে। সম্পূর্ণ রূপে মাম্মাকে ফলো করতে হবে। যদি কুমারীরা বাবার হয়েও জাগতিক সেবাই শুধু করতে থাকে, কাঁটাকে ফুল বানানোর সার্ভিস না করে থাকে, সেটাও বাবাকে ডিসরিগার্ড করা।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো..

ওম্ শান্তি । সজনীদের কে বুঝিয়েছেন ? বলা হয় সাজন (প্রেমিক) এসেছেন সজনীদের জন্য। কতজন সজনী তাঁর ? একজন প্রেমিকের জন্য এতো প্রেমিকা …কি আশ্চর্য তাইনা! মানুষ তো বলে কৃষ্ণের ১৬১০৮ প্রেমিকা ছিল, কিন্তু না। শিববাবা বলেন আমার তো কোটি সংখ্যক সজনী। সমস্ত সজনীদের আমি সঙ্গে করে সুইট হোমে নিয়ে যাব। সজনীরাও জানে বাবা আমাদের নিয়ে যেতে এসেছেন। জীব আত্মারাই তাঁর সজনী। অন্তর্মনে আছে সাজন এসেছেন আমাদের শ্রীমতের দ্বারা অলঙ্কৃত করে তুলতে। মত তো প্রত্যেকেই দিয়ে থাকে। পুরুষ স্ত্রীকে, বাবা বাচ্চাদের, সাধু নিজের শিষ্যদের, কিন্তু এঁনার মত সম্পূর্ণ আলাদা, সেইজন্যই একে শ্রীমত বলা হয়, বাকি সমস্ত মত হচ্ছে মানুষের। ওরা সবাই মত দেয় নিজের শরীর নির্বাহের জন্য। সাধু সন্তরা তো ব্যাকুল থাকে শরীর নির্বাহের জন্য। সবাই এরা একে অপরকে ধনবান হওয়ার জন্য মত দিয়ে থাকে। সবচাইতে ভালো মত সাধু এবং গুরুদের বলেই মান্য করা হয়। কিন্তু ওরা তো নিজের পেটের জন্য ধন সম্পদ একত্রিত করে। আমার তো নিজের শরীর নেই। আমি নিজের পেটের জন্য কিছুই করিনা। তোমরাও নিজেদের পেটের জন্য ব্যস্ত থাকো। তোমাদেরকে মহারাজা মহারানি হতে হবে । পেটের জন্যই সবাই অস্থির হয়। কেউ জোয়ারের তৈরি রুটি খায় কেউ আবার অশোকা হোটেলে খেতে যায়। সাধুরা টাকাপয়সা একত্রিত করে বড়-বড় মন্দির ইত্যাদি নির্মাণ করে থাকে। শিববাবা শরীর নির্বাহার্থে কিছুই করেন না। তোমাদের সবকিছু দিয়ে থাকেন – সদা সুখি করে তোলার জন্য। তোমরা এভারহেল্দী, ওয়েল্দী হয়ে উঠবে। আমি তো এভারহেল্দী হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করিনা। আমি হলাম অশরীরী। আমি আসি বাচ্চারা তোমাদের সুখি করে তোলার জন্য। শিববাবা তো নিরাকার। বাকিরা সবাই পেটের জন্য করে। দ্বাপরে বড়-বড় তত্ত্ব জ্ঞানী, সন্ন্যাসী, ব্রহ্ম জ্ঞানী ছিল। স্মরণে থাকত বলে ঘরে বসেই ওরা সবকিছু পেয়ে যেত।পেট তো সবারই আছে, সবারই ভোজন প্রয়োজন হয়। কিন্তু যোগযুক্ত হয়ে থাকার জন্য তাদের ধাক্কা খেতে হয়নি। এখন বাবা তোমাদের যুক্তি বলে দেন যে তোমরা সবসময় সুখি কীভাবে থাকবে। বাবা নিজের মত দিয়ে তোমাদের বিশ্বের মালিক করে তোলেন। তিনি বলেন চিরঞ্জীবি হও, অমর হও। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মত হল বাবার। মানুষ তো অনেক মত দেয়। কেউ পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করে ব্যারিস্টার হয়, কিন্তু সে সবই হল অল্প সময়ের জন্য। তারা পুরুষার্থ (পরিশ্রম) করে নিজের আর সন্তানদের পেটের জন্য।

এখন বাবা তোমাদের শ্রীমত দিয়ে বলছেন বাচ্চারা শ্রীমতে চলে রূহানী পড়াশোনা করো যাতে মানুষ বিশ্বের মালিক হতে পারে। সবাইকে বাবার পরিচয় দাও, এইভাবে বাবার স্মরণে থাকলে এভারহেল্দী, ওয়েল্দী হতে পারবে। তিনি হলেন অবিনাশী সার্জন। তোমরা বাবার বাচ্চারাও রূহানী সার্জন, এতে কোনো কষ্ট নেই। আত্মাদের শুধু বাবার শ্রীমত শোনাতে হবে। সর্ব শ্রেষ্ঠ সেবা বাচ্চারা তোমাদের করতে হবে। এমন মত তোমাদের কেউ দিতে পারে না। এখন এই বাবার সন্তান হয়েছ সুতরাং বাবার কাজই করো বা নিজেদের শরীর নির্বাহের জন্য কাজ করো। বাবার কাছ থেকে আমরা অবিনাশী জ্ঞানের রত্ন ঝুলিতে ভর্তি করি। শিবের সামনে গিয়ে বলে আমার ঝুলি ভরপুর করে দাও। ওরা মনে করে এতে ‐ ১০-২০ হাজার টাকা পেয়ে যাবে। যদি পেয়ে গেল তখন তাঁর প্রতি নিজেকে সমর্পণ করে, খুব যত্ন করে। ও’সবই হলো ভক্তি মার্গের জন্য। এখন সবাইকে বাবার পরিচয় দাও আর অসীমের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী শোনাও। এটা খুবই সহজ। পার্থীব হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফীতে অনেক বিষয় আছে। আর এটা হচ্ছে অসীমের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী যেখানে জানা যায় বাবা কোথায় থাকেন, কীভাবে এখানে আসেন। আমরা আত্মাদের মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট কীভাবে সঞ্চিত হয়। বেশি কিছু বোঝাতে যেও না শুধু অল্ফ আর বে সম্পর্কে বোঝাও। আমি আত্মা বাবাকে স্মরণ করে বিশ্বের মালিক হব। এখন পড়তে হবে আর পড়াতেও হবে। অল্ফ মানে আল্লাহ্ (ঈশ্বর, গড), বে মানে বাদশাহী। এখন ভাবো এই কাজ করব নাকি শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করে ২-৪ ‘শ রোজগার করবে।

বাবা বলেন কোনো কন্যা যদি বিচক্ষণ বাচ্চা হয় তবে আমি তার আত্মীয় পরিজনদেরকেও কিছু দিতে পারি যাতে তাদের শরীর নির্বাহের জন্য পরিবার চলতে পারে। কিন্তু বাচ্চাকে ভালো হতে হবে, সার্ভিসেবল হতে হবে, ভিতরে বাইরে যেন স্বচ্ছতা থাকে, কথাবার্তা যেন খুবি মিষ্টি মধুর হয়। বাস্তবে কুমারীদের উপার্জনে মা বাবার খাওয়া উচিত নয়। বাবার সন্তান হওয়ার পরেও শরীর নির্বাহের কাজে বেশি মনোযোগী হওয়া– এটা তো ডিসরিগার্ড (বাবার প্রতি) হয়ে গেল। বাবা বলেন মানুষকে হেভেনের মালিক করে তোলো। বাচ্চারা তারপরও শরীর নির্বাহের কাজে মাথা ঠোকে। স্কুল খোলা তো গভর্নমেন্টের কাজ। বাচ্চাদের এখন বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। কোন্ সার্ভিস করব ‐‐ ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্ট সার্ভিস নাকি ঐ গভর্নমেন্টের সার্ভিস ? যেমন এই বাবা (ব্রহ্মা) হীরের ব্যবসা করতেন তারপর বড় বাবা বললেন এই অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ব্যবসা করতে হবে, এটা করলে তুমি এই হতে পারবে। চতুর্ভুজেরও সাক্ষাৎকার করিয়েছেন। এখন তিনি বিশ্বের বাদশাহী নেবেন নাকি এটাই করবেন। সবচেয়ে ভালো ধান্ধা এটাই। যদিও উপার্জন ভালো ছিল কিন্তু বাবা এনার শরীরে প্রবেশ করে মত দিলেন যে অল্ফ আর বে স্মরণ করো। কত সহজ ব্যাপার। ছোট বাচ্চারাও পড়তে পারে। শিববাবা তো প্রত্যেক বাচ্চাকেই বুঝতে পারেন। এরাও শিখতে পারে। এরা বহির্যামী আর বাবা হলেন অন্তর্যামী। এই বাবাও প্রত্যকের মুখ দেখে,যকথা শুনে, অ্যাক্ট দেখে সবকিছুই বুঝতে পারেন। বাচ্চারা রূহানী সেবা করার সুযোগ একবারই পেয়ে থাকে। এখন অন্তরে আসা উচিত যে আমরা মানুষকে দেবতা করে তুলব নাকি কাঁটাকে কাঁটাই বানাব ? ভাবো কি করা উচিত ? নিরাকার ভগবানুবাচ – দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করো। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। ব্রহ্মার শরীরের দ্বারা বাবা ব্রাহ্মণদের সাথেই কথা বলছেন। ঐ ব্রাহ্মণরাও বলে থাকে – ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতায় নমঃ, ওরা হচ্ছে গর্ভজাত ব্রাহ্মণ বংশের, তোমরা হচ্ছো মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। বাবার অবশ্যই ব্রহ্মা বাচ্চাকেই চাই। কুমারকা (দাদী প্রকাশমণি) বলো বাবার কতজন সন্তান ? কেউ বলবে ৬০০ কোটি, কেউ বলবে এক ব্রহ্মা…যদিও তোমরা ত্রিমূর্তি বলো কিন্তু অ্যাকুপেশন তো ভিন্ন-ভিন্ন তাইনা। বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা, ব্রহ্মার নাভি থেকে বিষ্ণু সুতরাং একই হয়ে গেল। বিষ্ণু ৮৪ জন্ম নিক বা ব্রহ্মা নিক – একই ব্যাপার। বাকি রইল শঙ্কর। এমন তো নয় যে শঙ্করই শিব। না। ত্রিমূর্তি বলা হয়। কিন্তু রাইটিয়াস (ধর্মপুত্র) সন্তান দুই হয়ে গেল। এ’সবই হলো জ্ঞানের বিষয়।

সুতরাং বাচ্চাদের জন্য সার্ভিস করা ভালো নাকি ম্যাট্রিক ইত্যাদি পড়াশোনা করা ভালো ? এতে তো অল্পকালের জন্য সুখ পাওয়া যাবে। মাইনে তো কিছুই পাওয়া যাবে না। এখানে তোমরা ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্য ধনবান হতে পার। সুতরাং কি করা উচিত ? কন্যা তো নির্বন্ধন হয়। অধর কন্যা থেকে কুমারী কন্যা তীক্ষ্মতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে, কেননা তারা পবিত্র হয়। মাম্মাও কুমারী ছিলেন, তাই না! টাকাপয়সার কথাই নেই। কত তীক্ষ্মতার সাথে এগিয়েছেন মাম্মা তাঁকে ফলো করা উচিত বিশেষ করে কন্যাদের। কাঁটাকে ফুল তৈরি করো। ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের সুযোগ নেব নাকি সীমিত পড়াশোনা করব ? কন্যাদের সেমিনার করা উচিত। মাতাদের তো পতি এবং আরও অন্যান্যদের কথা স্মরণে আসে। সন্ন্যাসীরাও স্মরণ করে। কন্যাদের তো ওই সিঁড়িতে ওঠা উচিত নয়। সঙ্গের রঙ অনেক বদল ঘটিয়ে থাকে। কোনো বড়লোকের ছেলেকে দেখে মন আকৃষ্ট হলো, বিবাহ হয়ে গেল। সব খেলা শেষ। সেন্টারে ঈশ্বরীয় জ্ঞান শোনার পর বাইরে বেরোলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এ’হলো মধুবন। এখানেও এমন অনেকেই আসে, তারা বলে আমরা ফিরে গিয়ে সেন্টার খুলব। তারপর ফিরে গিয়েই হারিয়ে যায়। এখানে জ্ঞান গর্ভে ধারণ করে, বাইরে বেরোলেই ঈশ্বরীয় নেশা আর থাকে না। মায়া বিরোধিতা করে তোলে ভীষণ ভাবে। মায়াও বলে বাঃ! এরা বাবাকে জানার পরেও যখন স্মরণ করে না, তখন আমিও ঘুসি মারব। এমন বলো না যে বাবা তুমি মায়াকে বল যেন ঘুসি না মারে। এ’হলো যুদ্ধের ময়দান। একদিকে আছে রাবণের সেনা, অন্যদিকে আছে রামের সেনা। বাহাদুর হয়ে রামের দিকেই যাওয়া উচিত। আসুরি সম্প্রদায়কে দৈবী সম্প্রদায় করে তোলার কাজ করতে হবে। শারীরিক বিদ্যা তোমরা যাকে পড়াবে, যতদিনে সে পড়াশোনা করে বড় হবে ততদিনে বিনাশও সামনে এসে দাঁড়াবে। তোমরা তার নমুনাও দেখতে পাচ্ছ। বাবা বুঝিয়েছেন দুই ক্রিশ্চান ভাই-ভাই নিজেদের মধ্যে যদি বোঝাপড়া করে নেয় তবে লড়াই হতেই পারে না। কিন্তু নিয়তি সেটা বলে না। ওরা এই ব্যাপারে বুঝবে না। এখন তোমরা বাচ্চারা যোগবলের দ্বারা রাজধানী স্থাপন করছো। তোমরা হচ্ছো শিব শক্তি সেনা। যারা শিববাবার কাছে ভারতের প্রাচীনতম জ্ঞান আর যোগ শিখে ভারতকে হীরে তুল্য করে তোলো। বাবা কল্পের শেষে এসেই পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। তোমরা সবাই এখন রাবণের জেলে আছ। শোকবাটিকায়, সবাই দুঃখী হয়ে পড়েছে। তারপর রাম এসে সবাইকে মুক্ত করে অশোক বাটিকা স্বর্গে নিয়ে যান। শ্রীমত বলে – কাঁটাকে ফুল এবং মানুষকে দেবতা করে তোলো। তোমরাই মাস্টার দুঃখহর্তা (দুঃখ হরণকারী) এবং সুখকর্তা (সুখ প্রদানকারী)। এই সেবাই করতে হবে। শ্রীমতে চললে তোমরা শ্রেষ্ঠ হতে পারবে, বাবা তো পরামর্শ দিতেই থাকেন। এখন বাবা বলছেন অনুরোধ আমার আর ইচ্ছা তোমার। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। রূহানী পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সার্ভিসেবল হওয়ার জন্য ভিতরে বাইরে স্বচ্ছ হতে হবে। মুখ দ্বারা মিষ্টি কথা বলতে হবে। দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে ফেলতে হবে। সঙ্গ থেকে নিজেকে সামলে চলতে হবে।

২ ) বাবার মতো মাস্টার দুঃখ হর্তা সুখ প্রদানকারী হতে হবে। আত্মিক সেবার দ্বারা প্রকৃত উপার্জন করতে হবে। আত্মিক পিতার মতে চলে আত্মিক সোশাল ওয়ার্কার হতে হবে।

বরদানঃ-

ব্রাহ্মণ হওয়া অর্থাৎ দেহ, সম্বন্ধ এবং সাধনের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া। দেহের সম্বন্ধীদের সাথে দেহের সম্পর্কে নয়, আত্মিক সম্বন্ধ। যদি কেউ কারো বশীভূত হয়ে পড়ে তবে বন্ধন তৈরি হয়, কিন্তু ব্রাহ্মণ অর্থাৎ জীবনমুক্ত। যতক্ষণ কর্মেন্দ্রিয়ের আধার আছে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্ম করে যেতেই হবে কিন্তু কর্ম বন্ধন নয়, সেটা হল কর্ম সম্বন্ধ। এমনভাবে যে মুক্ত হয়ে কর্ম করে সে সফলতা মূর্তি হয়ে ওঠে। এর সহজ সাধন হলো – আমি আর আমার বাবা। এই স্মরণই সহজযোগী, সফলতা মূর্তি আর বন্ধনমুক্ত করে তোলে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য –

এই যে মানুষ গান গায় যে গীতার ভগবান নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে চলে এসো। এখন গীতার ভগবান স্বয়ং কল্প পূর্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য এসেছেন এবং বলছেন বাচ্চারা, যখন ভারতে ধর্মের অতি গ্লানি শুরু হয় সেই সময়েই আমি নিজের দেওয়া কথা রাখার জন্য অবশ্যই আসি। এখন আমার আসার মানে এটা নয় যে আমি যুগে-যুগে আসি। সব যুগে তো আর ধর্মের গ্লানি হয়না, ধর্মের গ্লানি হয় কলিযুগে, সুতরাং পরমাত্মা কলিযুগের অন্তিমে আসেন। আর কলিযুগ কল্পে-কল্পেই আসে, সুতরাং তিনিও নিশ্চয়ই কল্পে-কল্পে আসেন। কল্পের মধ্যে চারটি যুগ আছে, তা নিয়েই কল্প বলা হয়। অর্ধকল্প সত্যযুগ এবং ত্রেতা সতোগুণ আর সতোপ্রধান থাকে, সেখানে পরমাত্মার আসার কোনো প্রয়োজন পড়ে না তারপর দ্বাপর থেকে অন্যান্য ধর্ম শুরু হয়, ঐ সময়েও ধর্মের অতি গ্লানি হয়না। এর থেকে প্রমাণ হয় যে পরমাত্মা ঐ তিনটি যুগে আসেন না, বাকি থাকল কলিযুগ, যার শেষে গিয়ে ধর্মের অতি গ্লানি হয়। ঐ সময়েই পরমাত্মা অধর্মের বিনাশ ঘটিয়ে সত্য ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন। যদি তিনি দ্বাপরে আসতেন তবে তো দ্বাপরের পর সত্যযুগ হওয়া উচিত কলিযুগ কেন আসবে ? এমনটা তো বলবে না যে পরমাত্মা ঘোর কলিযুগের স্থাপনা করেছেন, এটা তো হতেই পারে না, সেইজন্যই পরমাত্মা বলেন আমি এক এবং একবারই এসে অধর্ম বা কলিযুগের বিনাশ করে সত্যযুগের স্থাপনা করে থাকি সুতরাং আমার আসার সময় হলো সঙ্গম যুগ। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top