08 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 7, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"তপস্যাই সর্বাপেক্ষা বড় সমারোহ, তপস্যা অর্থাৎ বাবার সাথে সুখানুভবের উদযাপন"

আজ, বাপদাদা নতুন নলেজের দ্বারা সব সময় নতুন জীবন, নতুন বৃত্তি, নতুন দৃষ্টি, নতুন সৃষ্টি অনুভবকারী চারিদিকের সব বাচ্চাকে প্রীতিপূর্ণ ভালোবাসার অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এই সময় চারিদিকের বাচ্চারা নিজের হৃদয়-রূপী দূরদর্শন দ্বারা বর্তমান সময়ের দিব্য দৃশ্যকে দেখছে। সবার একই সঙ্কল্প – দূরে থেকেও নিকট হওয়ার অনুভব করা। বাপদাদাও সব বাচ্চাকে দেখছেন। সবার নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরা হৃদয়ের অভিনন্দনের সুর শুনছেন। সকলেরই স্নেহ ভরা সুরের ভ্যারাইটি খুব সুন্দর, সেইজন্য বাপদাদা রিটার্ণে রেসপন্ড করছেন – সব সময়ের জন্য অভিনন্দন, নতুন বছরের জন্য, নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্য এবং নিজেদের মধ্যে সদা দিব্যতা নিয়ে আসার জন্য। শুধু আজ নতুন বছর হওয়ার জন্য অভিনন্দন নয়, বরং অবিনাশী বাবার প্রতি অবিনাশী প্রীতি-ভালোবাসার দায়িত্ব পালনকারী বাচ্চারা সঙ্গমযুগের প্রতিটা মূহুর্তে জীবনে নবীনত্ব নিয়ে আসে, সেইজন্য প্রতি মূহুর্তে অবিনাশী বাবার অবিনাশী অভিনন্দন। বাপদাদার বিশেষ খুশি ভরা অভিনন্দনের সাথে সব ব্রাহ্মণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করছে। ব্রাহ্মণ জীবনের পরিপালনের আধার অভিনন্দন। অভিনন্দনের খুশিতেই অগ্রচালিত হয়ে চলেছ। বাবা-স্বরূপ থেকে তোমরা সবসময় অভিনন্দিত হচ্ছ। শিক্ষক-স্বরূপ থেকে সবসময় শাবাশ্! শাবাশ্ – এর বোল তোমাদের পাস উইথ অনার বানাচ্ছে। সদ্গুরু রূপ থেকে প্রতিটা শ্রেষ্ঠ কর্মের জন্য আশীর্বাদ তোমাদেরকে সহজ আর আনন্দময় জীবন অনুভব করাচ্ছে। এই কারণে তোমরা পদ্মাপদম ভাগ্যবান। ভাগ্যবিধাতা ভগবানের সন্তান হয়ে গেছ অর্থাৎ সম্পূৰ্ণ ভাগ্যের অধিকারী হয়ে গেছ। লোকে তো বিশেষ দিনে বিশেষ অভিনন্দন জানায়। আর তোমরা কি শুধু নতুন বছরের অভিনন্দন পাও ? প্রথম তারিখের পর দ্বিতীয় তারিখ যদি হয়ে যায় তাহলে অভিনন্দনও কি শেষ হয়ে যাবে ? তোমাদের জন্য সবসময়, প্রতিটা মুহূর্ত বিশেষ। সঙ্গমযুগটাই বিশেষ যুগ, অভিনন্দনের যুগ। অমৃতবেলায় প্রতিদিন বাবার থেকে অভিনন্দন নিয়ে থাকো, তাই না ! এটা তো নামে মাত্র নতুন বছরের দিন হিসেবে পালন করো। কিন্তু সদা স্মরণে রাখো যে, প্রতি মুহূর্ত অনাবিল আনন্দের মুহূর্ত । আনন্দই আনন্দ, নয় কি? কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তোমাদের জীবনে কী আছে ? তবে কী উত্তর দেবে ? শুধুই আনন্দ, আনন্দই থাকে তো না ? সমগ্র কল্পের আনন্দ এই জীবনে অনুভব করো, কারণ বাবার সঙ্গে মিলনের সুখ-আনন্দের অনুভব সারা কল্পের রাজ্য অধিকারী আর পূজ্য অধিকারী দুইয়ের অনুভব করায়। পূজ্যবোধের আনন্দ আর রাজত্ব করার আনন্দ – এই দুইয়ের নলেজ এখন এই সময়ে আছে, সেইজন্য এখন তোমাদের সুখানুভব হয়।

এই বছর তোমরা কী করবে ? নবীনত্ব আনবে, তাই না! এই বছরকে ‘সমারোহ বছর হিসেবে উদযাপন করতে হবে’ । তোমরা ভাবছ তপস্যা করবো নাকি সমারোহ উদযাপন করবো? তপস্যাই সবচাইতে বড় সমারোহ, কারণ তোমাদের তো হঠযোগ করতে হবে না। তপস্যা অর্থাৎ বাবার সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করা। মিলনের আনন্দ, সর্বপ্রাপ্তির আনন্দ, সমীপ হওয়ার অনুভবের আনন্দ, সমান স্থিতির আনন্দ, তাহলে এটা সমারোহ হলো তো না ! সেবার জন্য খুব বড় সমারোহ তোমাদের করতে হবে না, কিন্তু তপস্যার বাতাবরণ বাণীর সমারোহ থেকে বেশি আত্মাদের বাবার দিকে আকর্ষণ করবে। তপস্যা রূহানী চুম্বক যার দ্বারা আত্মাদের শান্তি আর শক্তির অনুভূতি দূর থেকে অনুভব হবে। সুতরাং নিজের মধ্যে তুমি কী নবীনত্ব আনবে? নতুনত্বই সবার প্রিয় লাগে, তাই না ! অতএব, সদাসর্বদা নিজেকে চেক করো যে, আজকের এই দিনে মন্সা অর্থাৎ নিজের সঙ্কল্প শক্তিতে বিশেষ কী বিশেষত্ব এনেছি ! আর অন্য আত্মাদের প্রতি মন্সা সেবা অর্থাৎ শুভ ভাবনা, শুভ কামনার বিধি দ্বারা বুদ্ধিকে কতটা প্রাপ্ত করেছি? অর্থাৎ শ্রেষ্ঠত্বের স্থিতিতে কী নবীনত্ব এনেছি ! সেইসঙ্গে বোলে মধুরতা, সন্তুষ্টতা, সরলতার নবীনত্ব কতটা এনেছি। ব্রাহ্মণ আত্মাদের বোল সাধারণ বোল হয় না। তোমাদের বোলে এই তিন বিষয়ে নিজের এবং অন্য আত্মাদের অনুভূতি যেন হয়। একে বলা যাবে নবীনত্ব। সেইসঙ্গে প্রতিটা কর্মে নবীনত্ব অর্থাৎ প্রতিটা কর্ম নিজের প্রতি এবং অন্যান্য আত্মাদের প্রতি প্রাপ্তির অনুভব করাবে। কর্মের প্রত্যক্ষফল এবং ভবিষ্যতের সঞ্চিত ফলের অনুভব হোক। বর্তমান সময় প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে সদা খুশি আর শক্তির প্রসন্নতার অনুভূতি এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের অনুভব হওয়া দরকার। আর তখনই তোমরা সদাসর্বদা নিজেকে সম্পূৰ্ণ আর সম্পন্ন অনুভব করবে। কর্মরূপী বীজ প্রাপ্তির বৃক্ষ দ্বারা ভরপুর হতে দাও। খালি যেন না হয়। ভরপুর আত্মার ন্যাচারাল অলৌকিক নেশা থাকে। তোমরা কী এমন নতুনত্বের কর্ম করেছ ? সেইসঙ্গে তোমাদের সম্বন্ধ-সম্পর্কে কী নবীনত্ব আনতে হবে ?

এই বছর দাতার বাচ্চা মাস্টার দাতা – এই স্মৃতিস্বরূপ হওয়ার অনুভব করো। ব্রাহ্মণ আত্মা হোক বা সাধারণ আত্মা কিন্তু যাদেরই সম্পর্ক-সম্বন্ধে আসো, সেই আত্মাদের মাস্টার দাতা দ্বারা যেন প্রাপ্তির অনুভব

হয়। হতে পারে তারা সাহস পাবে, অথবা উৎসাহ-উদ্দীপনা কিংবা শান্তি আর শক্তি পেতে পারে, সহজ বিধি অথবা খুশি পেতে পারে – তাদের অনুভবের বৃদ্ধি হচ্ছে তার অনুভূতি যেন হয়। প্রত্যেককে কিছু না কিছু দিতে হবে, নেওয়া নয়, দিতে হবে। দেওয়ার মধ্যে নেওয়া সমাহিত হয়ে আছে। কিন্তু আমি আত্মাকে মাস্টার দাতা হতে হবে। সেই অনুসারে নিজের স্বভাব-সংস্কারে বাবা সমান হওয়ার নবীনত্ব আনতে হবে। আমার স্বভাব নয়, যা বাবার স্বভাব তা’ আমার স্বভাব। যা ব্রহ্মার সংস্কার সে’সব ব্রাহ্মণের সংস্কার। এইভাবে প্রতিদিন নিজের মধ্যে নবীনত্ব আনতে আনতে নতুন দুনিয়ার স্থাপন আপনা থেকেই হয়ে যাবে। তাহলে বুঝেছ নতুন বছরে কী করবে ? বিগত বছরে

যা ঘটেছে তার সমাপ্তি সমারোহ উদযাপন করো এবং বর্তমান সমতা আর নৈকট্যের সমারোহ উদযাপন করো। আর ভবিষ্যতে সদা সফলতার সমারোহ উদযাপন করো। সমারোহ বছর উদযাপন করতে করতে নিরন্তর উড়ে চলো।

ডবল বিদেশি আনন্দে থাকা পছন্দ করে, তাই না ! সুতরাং আনন্দের জন্য দু’টো শব্দ স্মরণে রাখো এক ডট আর দুই নট। কা’কে নট করতে হবে, সেটা তো তোমরা জানো, জানো না? মায়াকে নট অ্যালাউ। কীভাবে নট করতে হয় জানো তোমরা? নাকি একটু একটু অ্যালাউ করবে? যদি ডট লাগিয়ে দাও তো নট হয়েই যাবে। ডবল নেশা আছে তো না !

ভারতবাসী কী করবে ? ভারত মহান দেশ – এটা আজকালকার স্লোগান। আর ভারতের মহান আত্মাই মহাত্মা গাওয়া হয়ে থাকে। সুতরাং ভারত মহান অর্থাৎ ভারতবাসী মহান আত্মা। তাইতো সবসময় আপন মহত্ত্ব দ্বারা সাকার রূপে তোমরা ভারতকে মহান আত্মাদের স্থান, দেব আত্মাদের স্থান বানাও। চিত্র সমাপ্ত হয়ে সবার কাছে চৈতন্য দেব আত্মাদের স্থান প্রত্যক্ষ হবে। সুতরাং তোমরা ডবল বিদেশি আর ভারত নিবাসী নও, বরং উভয়ই এখন মধুবন নিবাসী। আচ্ছা।

চারিদিকের মাস্টার দাতা সব আত্মাকে, যারা বাবা দ্বারা সদা অভিনন্দন প্রাপ্ত করে সেই বিশেষ আত্মাদের, সদা আনন্দে থাকা ভাগ্যবান আত্মাদের, সদা নিজের মধ্যে নবীনত্ব নিয়ে আসা মহান আত্মাদের, ফরিস্তা তথা দেব আত্মা হওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ। প্রতি মূহুর্তের অভিনন্দন আর নমস্কার।

পাটিদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎ –

১) অনড় – অটল আত্মা তোমরা, এইরকম অনুভব করো ? একদিকে অস্থিরতা আর অন্যদিকে তোমরা সব সদা অনড় ব্রাহ্মণ আত্মা। ওখানে যত অস্থিরতা ততো তোমাদের ভিতরে অনড় – অটল স্থিতির অনুভব বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কিছুই হয়ে যাক, সবচেয়ে সহজ যুক্তি – নাথিং নিউ। কোনো নতুন বিষয় নয়। কখনো বিস্ময় বোধ হয় যে, এটা কী হচ্ছে, কী হবে? আশ্চর্য তখন লাগে যখন নতুন কিছু হয়। যদি কোনো কিছুর সম্বন্ধে ভাবনি, সেই সম্পর্কে কিছু শোননি, বোঝনি আর তা’ হঠাৎ করেই হয়ে যায় তাহলে বিস্ময় বোধ হয়। সুতরাং বিস্মিত না হয়ে বরং ফুল স্টপ দাও। দুনিয়া বিভ্রান্ত আর তোমরা মহানন্দে থাকো। দুনিয়ার লোকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ ব্যাপারে বিভ্রান্ত হবে – কী করবো, কীভাবে করবো…! আর তোমরা সদা খুশির আনন্দে আছ, বিভ্রান্তি সমাপ্ত হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণ অর্থাৎ সুখানুভব, ক্ষত্রিয় অর্থাৎ বিভ্রান্তি। কখনো আনন্দ, কখনো তালগোল পাকানো। তোমরা সবাই নিজের নামই তো বলো – ব্রহ্মাকুমার আর ব্রহ্মাকুমারী। ক্ষত্রিয় কুমার আর ক্ষত্রিয় কুমারী নও তো না? সদা আপন ভাগ্যের খুশিতে থাকো। হৃদয়ে সদা, স্বতঃই এক গীত বাজতে থাকে – বাঃ বাবা আর বাঃ আমার ভাগ্য ! এই গীত বাজতেই থাকে, এটা বাজানোর আবশ্যকতা নেই। এটা অনাদি, বাজতেই থাকে। হায়-হায় শেষ হয়ে গেছে, এখন আছে বাহ্ বাহ্। মেজরিটি হায়-হায় করে, যারা বাঃ বাঃ করে তারা সংখ্যায় অনেক কম। তাহলে, নতুন বছরে কী মনে রাখবে? বাঃ বাঃ। যা সামনে দেখেছ, যা শুনেছ, যা বলেছ – সব বাঃ বাঃ, হায়-হায় নয়। হায়, এ’ কী হয়ে গেল ! না, বরং পরিবর্তে বাঃ এটা খুব ভালো হয়েছে। কেউ খারাপ করলেও কিন্তু তোমাদের নিজেদের শক্তি দিয়ে খারাপকে ভালোতে বদলে দাও। এটাই তো পরিবর্তন, তাই না। তোমাদের ব্রাহ্মণ জীবনে খারাপ হয়ই না। এমনকি, যদি কেউ অপমানও করে, তাহলে যে অপমান করছে সেটা তার মহত্ত্ব, কেননা সে তোমাদের সহনশক্তির পাঠ পড়াচ্ছে। এটা তার মাহাত্ম্য যে সে তোমাদের মাস্টার (শিক্ষক) হয়েছে ! অন্ততঃ জানতে তো পারলে তোমার মধ্যে কতটা সহন শক্তি আছে, সুতরাং ভালো হলো নাকি মন্দ হলো ? ব্রাহ্মণের দৃষ্টিতে মন্দ কিছু হয়ই না। ব্রাহ্মণের কান খারাপ শুনতে পায় না, সেইজন্য তো ব্রাহ্মণ জীবন নির্মল আনন্দের জীবন। এই মূহুর্তে খারাপ, এই মূহুর্তে ভালো তো আনন্দ হতে পারে না। সদা আনন্দই আনন্দ। সারা কল্পে ব্রহ্মাকুমার আর কুমারী শ্রেষ্ঠ। দেব আত্মারাও ব্রাহ্মণের সামনে কিছুই না। সদা এই নেশায় থাকো, সদা খুশি থাকো আর অন্যদেরও সদা খুশিতে রাখো। নিজেরাও থাকো, অন্যকেও রাখো। আমি তো খুশিতে থাকি, এটা নয়। আমি সবাইকে খুশি রাখি – এটাও যেন হয়। আমি তো খুশি থাকি – এটাও স্বার্থ। ব্রাহ্মণের সেবা কী? খুশির জন্য জ্ঞান দেওয়া।

২ ) বিশ্বে শ্রেষ্ঠ আত্মাদের যতই গায়ন হোক, তাদের মধ্যে তোমরা কত শ্রেষ্ঠ ! বাবা তোমাদের হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা কত শ্রেষ্ঠ হয়ে গেছ ! সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে গেছ ! সদাসর্বদা এটা স্মৃতিতে রাখো – সর্বাধিক সর্বোচ্চ বাবা সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মা বানিয়ে দিয়েছেন। দৃষ্টি কত উঁচু হয়ে গেছে, বৃত্তি কত উঁচু হয়ে গেছে ! সব বদলে গেছে। সবার প্রতি কল্যাণের বৃত্তি তৈরি হয়ে গেছে, তাইতো তোমরা এখন কাউকে যদি দেখ তো আত্মিক দৃষ্টিতে দেখ। ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ প্রত্যেক আত্মার প্রতি দৃষ্টি আর বৃত্তি শ্রেষ্ঠ হয়ে গেছে।

৩ ) নিজেরা নিজেদেরকে সফলতার নক্ষত্র হিসেবে অনুভব করো ? যেখানে সর্বশক্তি আছে, সেখানে সফলতা জন্মসিদ্ধ অধিকার। কোনও কার্য যখন করছো, তা’ শরীর নির্বাহের জন্য হোক বা ঈশ্বরীয় সেবার্থে, সেই কার্য করার আগে এই নিশ্চয় রাখো। নিশ্চয় রাখা ভালো ব্যাপার, কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি অনুভাবী আত্মা হয়ে নিশ্চয় আর নেশায় থাকো। সর্বশক্তি এই ব্রাহ্মণ জীবনে সফলতার সহজ সাধন। সর্বশক্তির মালিক তোমরা সেইজন্য যেকোন শক্তিকে যে সময় অর্ডার করবে, সেই সময় যেন হাজির হয়। যেমন কোনো সেবাধারী থাকে, সেবাধারীকে যে সময় অর্ডার করা হবে তৎক্ষণাৎ সেবার জন্য প্রস্তুত থাকবে, ঠিক একই ভাবে সর্বশক্তি তোমার অর্ডারে যেন থাকে। তোমরা যতটা মাস্টার সর্বশক্তিমানের সীটে সেট হবে ততই সর্বশক্তি সদা অর্ডারে থাকবে। সামান্য একটুও যদি স্মৃতির সীট থেকে নিচে এসে যাও তবে শক্তি অর্ডার মানবে না। সার্ভেন্টের ক্ষেত্রেও, কেউ কেউ ওবিডিয়েন্ট হয়, কেউ একটু অসুবিধাজনক হয়। তো তোমাদের সামনে সর্বশক্তি কেমন, ওবিডিয়েন্ট নাকি খানিক দেরিতে পৌঁছায়? যেমন, এই স্থূল কর্মেন্দ্রিয়গুলো, যে সময়ে যেভাবে অর্ডার করো, সেই সময় সে’গুলো তোমাদের অর্ডারে চলে, সেইরকমই এই সূক্ষ্ম সব শক্তিকেও তোমাদের অর্ডারে চলতে হবে। চেক করো যে, সারাদিনে সর্বশক্তি অর্ডারে ছিলো? কারণ যখন এই সর্বশক্তি এখন থেকে তোমাদের অর্ডারের অধীন হয় তখন অন্তেও তোমরা সফলতা প্রাপ্ত করতে পারবে। সেইজন্য বহুকালের অভ্যাস চাই। সুতরাং এই নতুন বছরে অর্ডারে চালানোর বিশেষ অভ্যাস করতে হবে, কারণ বিশ্বের রাজত্ব প্রাপ্ত করতে হবে তো না ! বিশ্ব রাজত্বের অধিকারী হওয়ার আগে স্বরাজ্য অধিকারী হও।

নিশ্চয় আর নেশা প্রত্যেক বাচ্চাকে উড়তি কলার অনুভব করাচ্ছে। ডবল ফরেনার্স লাকি, তোমরা উড়তি কলার সময়ে এসে গেছ। আরোহণ করার পরিশ্রম তোমাদের করতে হয়নি। বিজয় তিলক সদা ললাটে জ্বলজ্বল করছে। এই বিজয় তিলকই অন্যদের খুশি প্রাপ্ত করতে সমর্থ বানাবে। কারণ বিজয়ী আত্মার মুখ সদাই উৎফুল্ল থাকে। সুতরাং তোমাদের উৎফুল্ল মুখ দেখে সবাই খুশির পিছনে আকৃষ্ট হয়, কারণ দুনিয়ার আত্মারা খুশি খুঁজছে আর তোমাদের মুখে যখন খুশির উজ্জ্বল প্রকাশ দেখে তখন তারা নিজেরাও খুশি হয়। তারা ভাবে এদের কিছু প্রাপ্তি হয়েছে। তোমাদের অগ্রগতির হিসেবে তোমাদের আনন্দমন্ডিত মুখের আকর্ষণ আত্মাদের কাছে নিয়ে আসবে। কারও শোনার সময় যদি বা না থাকে তবে সেকেন্ডে তোমাদের মুখ সেই আত্মাদের সেবা করবে। তোমরাও সবাই স্নেহ-ভালোবাসা দেখে ব্রাহ্মণ হয়েছ তো না। অতএব, তপস্যা-বর্ষে এইভাবে তোমাদের সেবা করতে হবে।

৪) এক বাবা, দ্বিতীয় কেউ নয় – তোমরা এ’রকম স্থিতিতে সদা স্থিত সহযোগী আত্মা ? এককে স্মরণ করা সহজ। অনেককে স্মরণ করা কঠিন হয়। অনেক বিস্তারকে ছেড়ে সার স্বরূপ এক বাবা – এই অনুভবে কত খুশি থাকে। খুশি জন্মসিদ্ধ অধিকার; বাবার রত্নভাণ্ডার, তাইতো বাবার রত্নভাণ্ডার বাচ্চাদের জন্য জন্মসিদ্ধ অধিকার হয়। রত্নের ভান্ডার নিজের যদি হয় তাহলে নিজের জন্য গর্ব হয় – নিজের আছে। আর প্রাপ্তি কার থেকে হয়েছে ? অবিনাশী বাবার থেকে। সুতরাং অবিনাশী বাবা যা দেবেন, অবিনাশী দেবেন। অবিনাশী খাজানার নেশাও অবিনাশী। এই নেশা কেউ ছাড়াতে পারে না, কারণ তা’ ক্ষতিকারক নেশা নয়। এই নেশা প্রাপ্তি করায়। ওই সব প্রাপ্তি খুইয়ে ফেলার নেশা। তো সদা কী স্মরণে থাকে ? এক বাবা, দ্বিতীয় কেউ নয়। দ্বিতীয় তৃতীয় কেউ এলে দ্বন্দ্ব হবে, আর যদি এক বাবা তো একরস স্থিতি হবে। একের রসে লাভলীন থাকা খুব ভালো লাগে কারণ, আত্মার অরিজিনাল স্বরূপই – একরস।

বিদায়কালে নতুন বছরের শুভারম্ভের অভিনন্দন –

চারিদিকের সব লাভলি আর লাকি বাচ্চাকে বিশেষ উদ্যম, উৎসাহের মুহূর্তের জন্য অভিনন্দন। তোমরা নিজেরাও ডায়মন্ড আর তোমাদের জীবনও ডায়মন্ড এবং সদা ডায়মন্ড মর্নিং, ইভনিং, ডায়মন্ড নাইট হতে দাও। এই বিধির দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি আপন রাজ্য স্থাপন করবে আর রাজত্ব করবে। নিজের রাজ্য প্রিয় লাগে তো না ! সুতরাং তাড়াতাড়ি নিয়ে এসো আর রাজত্ব করো। নিজেদের রাজ্য সামনে দেখা যাচ্ছে তো না ! তাহলে, এখন ফরিস্তা হও এবং দেবতা হও। চারিদিকের বাচ্চাদের বিশেষ পদম্ গুন স্মরণ-স্নেহ স্বীকার হোক। বিদেশের হও বা দেশের, তপস্যার উৎসাহ-উদ্দীপনা তোমাদের ভালো আর যেখানে তপস্যা সেখানে সেবা অবশ্যই আছে। সদা সফলতায় অভিনন্দিত হও। তোমাদের প্রত্যেককে এমন নবীনত্ব দেখাতে হবে যাতে সারা বিশ্ব তোমাদের দিকে দেখে। নবীনত্বের লাইট হাউস হও। আচ্ছা। প্রত্যেকে নিজের জন্য স্মরণ-স্নেহ আর অভিনন্দন স্বীকার করো।

বরদানঃ-

তোমরা সব ব্রাহ্মণ বাচ্চার জন্য প্রতিদিনের মুরলীই শুদ্ধ সঙ্কল্প। কত শুদ্ধ সঙ্কল্প বাবার দ্বারা প্রতিদিন সকালবেলাতেই প্রাপ্তি হয়, এই সব শুদ্ধ সঙ্কল্পে বুদ্ধিকে বিজি রাখো আর সাদা বাবার সঙ্গে থাকো তো হালকা হয়ে খুশিতে ডান্স করতে থাকবে। খুশি থাকার সহজ সাধন -সদা হালকা থাকো। শুদ্ধ সঙ্কল্প হালকা হয় আর ব্যর্থ সঙ্কল্প ভারী হয়। সেইজন্য সদা শুদ্ধ সঙ্কল্পে বিজি থেকে হালকা হও আর খুশির ডান্স করতে থাকো, তবেই বলা যাবে অলৌকিক ফরিস্তা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top