03 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের বাবার সমান মিষ্টি হতে হবে, কাউকে দুঃখ দেবে না, কখনোই ক্রোধ করবে না"

প্রশ্নঃ --

কর্মের গুহ্য গতিকে জেনে তোমরা বাচ্চারা কোন্ পাপ কর্ম আর করতে পারো না ?

উত্তরঃ -:-

আজ পর্যন্ত তোমরা দানকে পুণ্য কর্ম মনে করতে, কিন্তু এখন বুঝতে পারো, দান করলেও কখনো কখনো পাপ হয়ে যায়, কেননা এমন কাউকে যদি অর্থ দাও, যে সেই অর্থ দিয়ে পাপ করলো, তার প্রভাবও অবশ্যই তোমাদের উপর পড়বে, তাই তোমাদের বুঝে দান করতে হবে ।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে..

ওম্ শান্তি । তোমরা বাচ্চারা এখন সামনে বসে আছো বাবা বলেন, হে জীব আত্মারা, শুনছো কি । তিনি আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন । আত্মারা জানে যে — আমাদের অসীম জগতের পিতা আমাদের নিয়ে যান, যেখানে দুঃখের চিহ্নমাত্র থাকে না । গানেও বলে থাকে – এই পাপের দুনিয়া থেকে পাবন দুনিয়াতে নিয়ে চলো । কাকে পতিত দুনিয়া বলা হয়, এই দুনিয়া তা জানে না । দেখো, আজকাল মানুষের মধ্যে কাম, ক্রোধ কতো বেশী । ক্রোধের বশীভূত হয়ে মানুষ বলে দেয়, আমি এর দেশকে নাশ করে দেবো । মানুষ বলেও থাকে – হে ভগবান, আমাদের ঘোর অন্ধকার থেকে আলোর উজ্জ্বলতায় নিয়ে চলো, কেননা এ হলো পুরানো দুনিয়া । কলিযুগকে পুরানো যুগ আর সত্যযুগকে নতুন যুগ বলা হয় । বাবা ছাড়া কেউই নতুন যুগ তৈরী করতে পারে না । আমাদের মিষ্টি বাবা এখন আমাদের দুঃখধাম থেকে সুখধামে নিয়ে যাচ্ছেন । বাবা, আপনি ছাড়া কেউই আমাদের স্বর্গে নিয়ে যেতে পারে না । বাবা কতো ভালোভাবে আমাদের বুঝিয়ে বলেন । তবুও কারোর কারোর বুদ্ধিতে বসে না । এই সময় আমরা বাবার শ্রেষ্ঠ মত পাই এই শ্রেষ্ঠ মতের দ্বারা আমরা শ্রেষ্ঠ হই । এখানে শ্রেষ্ঠ হতে পারলে আমরা শ্রেষ্ঠ দুনিয়াতে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবো । এ তো হলো ভ্রষ্টাচারী রাবণের দুনিয়া । নিজের মতে চললে তাকে মনমত বলা হয় । বাবা বলেন, তোমরা শ্রীমতে চলো । প্রতি মুহূর্তে এই আসুরী মত তোমাদের নরকের দিকে ধাক্কা দেয় । ক্রোধ করা হলো আসুরী মত । বাবা বলেন, তোমরা একে অপরের প্রতি ক্রোধ করো না । প্রেমের সঙ্গে চলো । প্রত্যেকেরই নিজেদের জন্য রায় গ্রহণ করতে হবে । বাবা বলেন – বাচ্চারা, তোমরা পাপ কেন করো, পুণ্য দিয়ে কাজ চালাও । নিজের খরচ কম করে দাও । তীর্থতে ধাক্কা খাওয়া, সন্ন্যাসীদের কাছে ধাক্কা খাওয়া, এই সব কর্মকাণ্ডে তোমরা কতো খরচ করো । তোমাদের এইসব ছাড়িয়ে দেওয়া হয় । বিয়েতে মানুষ কতো জাঁকজমক করে, ধার করেও বিয়ে করে । এক তো ধার করে, দ্বিতীয়, পতিত হয়ে যায় । তাও যে পতিত হতে চায়, সে গিয়ে হতে পারে কিন্তু যারা শ্রীমতে চলে পবিত্র হয়, তাদের কেন বাধা দেওয়া হয় । মিত্র – সম্বন্ধীরা ঝগড়া করলে সহ্য তো করতেই হবে । মীরাও তো সবকিছু সহন করেছিলেন । অসীম জগতের পিতা এসেছেন তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে ভগবান – ভগবতীর পদ প্রাপ্ত করাতে । লক্ষ্মীকে ভগবতী আর নারায়ণকে ভগবান বলা হয় । কলিযুগের অন্তে তো সবাই পতিত, তাহলে তাদের কে পরিবর্তন করেছেন । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো, বাবা কিভাবে এসে স্বর্গ অথবা রামরাজ্যের স্থাপনা করান । আমরা সূর্যবংশী অথবা চন্দ্রবংশী পদ প্রাপ্ত করার জন্য এখানে এসেছি । যারা সূর্যবংশীর সুপুত্র সন্তান হবে, তারা তো খুব ভালোভাবে এই ঈশ্বরীয় পড়া পড়বে ।

বাবা সবাইকে বোঝান — তোমরা পুরুষার্থ করে মা – বাবাকে অনুসরণ করো । এমন পুরুষার্থ করো যাতে এঁর উত্তরাধিকারী হয়ে দেখাতে পারো । মাম্মা – বাবা বলো, তাহলে ভবিষ্যত সিংহাসনে আসীন হয়ে দেখাও । বাবা তো বলেন, এমনভাবে পড়ো যাতে আমার থেকেও উচ্চে যেতে পারো । এমন অনেক বাচ্চা আছে যারা বাবার থেকেও উঁচুতে চলে যায় । অসীম জগতের পিতা বলেন, আমি তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাই । আমি তো হই না । বাবা কতো মিষ্টি । তাঁর শ্রীমৎ বিখ্যাত । তোমরা শ্রেষ্ঠ দেবী – দেবতা ছিলে, তারপর ৮৪ জন্ম নিতে নিতে এখন পতিত হয়ে গেছো । এ হলো হার আর জিতের খেলা । মায়ার কাছে হেরে গেলে হার, মায়াকে জয় করতে পারলে জিৎ । মনের ওপরে বিজয় লাভ করতে চাই এ’কথা বলা ভুল। মন, অ-মন অর্থাৎ চিন্তা রহিত হতে পারে না । মন তো সঙ্কল্প করবে । আমরা যদিও সঙ্কল্প শূন্য হয়ে বসে যাই, তাও তা কতক্ষণ ? কর্ম তো করতেই হবে, তাই না । জাগতিক সন্ন্যাসীরা মনে করে, গৃহস্থ ধর্মে থেকে কোনো কর্ম করা হয় না । এই হঠযোগী সন্ন্যাসীদেরও পার্ট আছে । তাদেরও হলো এই নিবৃত্তি মার্গের ধর্ম, আর অন্য কোনো ধর্মে কেউ গৃহত্যাগ করে জঙ্গলে যায় না । কেউ যদি গৃহত্যাগও করে, তাও এই সন্ন্যাসীদের দেখে । বাবা কখনোই ঘরের প্রতি বৈরাগ্য তৈরী করান না । বাবা বলেন, তোমরা যদিও ঘরে থাকো, কিন্তু পবিত্র থাকো । পুরানো দুনিয়াকে ভুলতে থাকো । আমি তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া তৈরী করছি । শঙ্করাচার্য ইত্যাদি সন্ন্যাসীদের এমন বলেন না যে, তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া তৈরী করছি, তাদের হলো জাগতিক সন্ন্যাস, যাতে অল্পকালের জন্য সুখ পাওয়া যায় । অপবিত্র মানুষ তাদের সামনে গিয়ে মাথা নত করে । দেখো, পবিত্রতার কতো সম্মান । এখন তো দেখো, মানুষ কতো বড় বড় ফ্ল্যাট ইত্যাদি তৈরী করে । মানুষ দান করে, এখন এতে তো তেমন কিছু পুণ্য হয় না । মানুষ মনে করে, আমরা যা কিছুই ঈশ্বরের কারণে করছি, তা পুণ্য । বাবা বলেন, আমার কারণে তোমরা কোন কোন কার্যে দান করো । দান তাকেই করা উচিত – যে কোনো পাপ করবে না । যদি পাপ করে তাহলে তোমাদের উপর তার প্রভাব পড়বে, কেননা তোমরা তাকে অর্থ দিয়েছো । পতিতকে দান করতে করতে তোমরা কাঙ্গাল হয়ে গিয়েছো । তোমাদের অর্থই সব বিফল হয়ে গিয়েছে । কখনো এতে অল্পকালের সুখ প্রাপ্ত হয়, এও ড্রামা । তোমরা এখন বাবার শ্রীমতে চলে পবিত্র তৈরী হচ্ছো, ওখানে তোমাদের কাছে অফুরন্ত অর্থ থাকবে । ওখানে কোনো পতিত থাকে না । এ হলো খুবই বোঝার মতো কথা । তোমরা তো হলে ঈশ্বরীয় সন্তান । তোমাদের মধ্যে অনেক রাজকীয়তা থাকা প্রয়োজন । বলা হয়, গুরুর নিন্দাকারী তিষ্ঠতে পারে না । ওদের মধ্যে বাবা, টিচার এবং গুরু আলাদা । এখানে তো বাবা, টিচার আর সদগুরু একজনই । তোমরা যদি কোনো বিপরীত চলন চলো তাহলে এই তিনেরই নিন্দাকারী হয়ে যাবে । সৎ বাবা, সৎ টিচার, সদগুরুর মতে চললেই তোমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে যাও । এই শরীর তো ত্যাগ করতেই হবে, তাহলে কেন না আমরা একে ঈশ্বরীয়, অলৌকিক সেবাতে লাগিয়ে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি । বাবা বলেন, আমি এ নিয়ে কি করবো । আমি তোমাদের স্বর্গের বাদশাহী প্রদান করি । আমি ওখানেও কোনো মহলে থাকি না, এখানেও আমি কোনো মহলে থাকি না । মানুষ গেয়ে থাকে — বম বম মহাদেব – আমার ঝুলি ভরে দাও । কিন্তু তিনি কখন আর কিভাবে ঝুলি ভরে দেন, এ কেউই জানে না । ঝুলি যখন ভরেছিলেন, তখন অবশ্যই চৈতন্যে ছিলেন । তোমরা ২১ জন্মের জন্য খুবই সুখী আর বিত্তবান হয়ে যাও । এমন বাবার মতে তোমাদের প্রতি পদে চলা উচিত । এ হলো অনেক বড় লক্ষ্য । কেউ যদি বলে, আমি চলতে পারছি না, বাবা বলবেন – তাহলে তোমরা আবার ‘বাবা’ কেন বলো ! শ্রীমতে না চললে অনেক সাজা ভোগ করবে । পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে । গীতাতেও শুনেছো – বলে এমন দুনিয়াতে নিয়ে চলো যেখানে সুখ আর শান্তি থাকবে । সে তো বাবাই দিতে পারেন । বাবার মতে না চললে নিজেরই ক্ষতি করে ফেলবে । এখানে কোনো খরচ ইত্যাদির কথা নেই । এমন তো বলাই হয় না যে, গুরুর সামনে নারকেল, বাতাসা ইত্যাদি নিয়ে এসো বা স্কুলে ফি ভরে দাও । এখানে কিছুই নয় । অর্থ তোমরা নিজের কাছেই রাখো । তোমরা কেবল এই জ্ঞান ধারণ করো । ভবিষ্যতকে শুধরে নিলে তো কোনো লোকসান হবে না । এখানে মাথা ঠুকতেও শেখানো হয় না । অর্ধেক কল্প তো তোমরা পয়সা রাখতে রাখতে, মাথা ঝোঁকাতে ঝোঁকাতে কাঙ্গাল হয়ে গেছো । এখন বাবা তোমাদের শান্তিধামে নিয়ে যান । ওখান থেকে তোমাদের সুখধামে পাঠিয়ে দেবেন । এখন নব যুগ, নতুন দুনিয়া আগত । সত্যযুগকে নব যুগ বলা হবে, তারপর কলা কম হতে থাকে । বাবা এখন তোমাদের উপযুক্ত তৈরী করছেন । নারদের উদাহরণ আছে যে নারদ লক্ষ্মীকে বর্ণ করতে চেয়েছিল (তাকে আয়না দেখতে বলা হয়েছিল)… । কোনো ভূত বা বিকার যদি থাকে তাহলে তোমরা লক্ষ্মীকে বরণ করতে পারবে না । বাচ্চারা, এখানে তো তোমাদের গৃহস্থালিও সামলাতে হবে আবার সেবাও করতে হবে । প্রথমে তো এরা পালিয়ে এসেছিলো কেননা এদেরকে মারধোর করা হয়েছিলো । অনেক অত্যাচার হয়েছিলো । এরা মারেরও পরোয়া করতো না । ভাট্টিতে অনেক বাচ্চা পাকা হয় আবার কেউ কাঁচাও বের হয়েছিলো । ড্রামার ভবিতব্যও এমনই ছিলো । যা হয়েছে তা আবারও হবে । গালিও দেবে । সবথেকে বেশী গালি খেয়ে থাকেন পরমপিতা পরমাত্মা শিব । মানুষ বলে দেয় পরমাত্মা সর্বব্যাপী, কুকুর – বিড়াল, কচ্ছপ – মৎস সবকিছুর মধ্যেই আছে । বাবা বলেন, আমি তো পরোপকারী । আমি তোমাদের এই বিশ্বের মালিক বানাই । শ্রীকৃষ্ণ তো স্বর্গের প্রিন্স । তাঁকে আবার বলে দেয়, সর্প দংশন করেছিলো, কালো হয়ে গিয়েছিলো । এখন ওখানে কিভাবে সর্প দংশন করবে । কৃষ্ণপুরীতে কিভাবে কংস আসবে ? এ সবই হলো চর্চিত কথা । এ হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী, যাতে তোমরা নীচে নেমে এসেছো । বাবা তো তোমাদের ফুলে পরিণত করেন । কেউ কেউ তো আবার খুব বড় কাঁটা আছে । ও গড ফাদার বলে কিন্তু কিছুই জানে না । ফাদার তো হলো কিন্তু বাবার থেকে কিভাবে উত্তরাধিকার পাওয়া যাবে, সেসব কিছুই জানে না । অসীম জগতের পিতা বলেন, আমি তোমাদের অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছি । তোমাদের এক হলো লৌকিক ফাদার, দ্বিতীয় হলো অলৌকিক প্রজাপিতা ব্রহ্মা, তৃতীয় হলো পারলৌকিক শিব । তোমাদের তিনজন বাবা হলো । তোমরা জানো যে, আমরা দাদুর কাছ থেকে ব্রহ্মার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি, তাই আমাদের শ্রীমতে চলতে হবে, তাহলেই আমরা শ্রেষ্ঠ হতে পারবো । সত্যযুগে তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করো । ওখানে তোমরা না প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে জানো, আর না শিবকে জানো । ওখানে কেবল তোমরা লৌকিক বাবাকে জানো । সত্যযুগে একজন বাবা থাকেন । ভক্তিতে হলো দুইজন বাবা । লৌকিক আর পারলৌকিক বাবা । আর এই সঙ্গম যুগে তোমাদের তিনজন বাবা । এই কথা আর কেউই বুঝিয়ে বলতে পারে না । তাই তোমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত । এমন নয় যে, এখনই নিশ্চয়, আবার এখনই সংশয় । এখনই জন্মগ্রহণ করা, আবার এখনই মৃত্যু হওয়া । মৃত্যু হলে তো উত্তরাধিকার শেষ হয়ে যাবে । এমন বাবাকে তালাক দেওয়া উচিতই নয় । তোমরা যতো নিরন্তর স্মরণ করবে, সেবা করবে, ততই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে । বাবা এও বলে দেন যে, তোমরা আমার মতে চললে বেঁচে যাবে । না হলে খুব সাজা ভোগ করতে হবে । তোমাদের সব সাক্ষাৎকার করানো হবে যে, তোমরা এই পাপ করেছিলে । শ্রীমতে চলনি । তোমাদের সূক্ষ্ম শরীর ধারণ করিয়ে সাজা দেওয়া হয় । গর্ভ জেলেও সাক্ষাৎকার করানো হয় । এই পাপ কর্ম করেছো, এখন সাজা ভোগ করো । এই সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ বৃদ্ধি পেতে থাকবে । যারা এই ধর্মের ছিলো অথচ অন্য ধর্মে চলে গিয়েছিলো, তারা সবাই আবার চলে আসবে । বাকি সবাই নিজের নিজের সেকশনে চলে যাবে । সবার সেকশন আলাদা – আলাদা । এই ঝাড় দেখো কিভাবে বৃদ্ধি পায় । ছোটো ছোটো শাখাপ্রশাখা বের হতে থাকবে ।

তোমরা জানো যে, মিষ্টি বাবা এসেছেন আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, তাই তাঁকে উদ্ধারকর্তা বলা হয় । তিনি হলেন দুঃখহর্তা – সুখকর্তা । তিনি গাইড হয়ে আমাদের সুখধামে নিয়ে যাবেন । তিনি বলেনও – পাঁচ হাজার বছর পূর্বে তোমাদের সুখের সম্বন্ধে পাঠিয়েছিলাম । তোমরা ৮৪ বার জন্মগ্রহণ করেছিলে । এখন তোমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো । শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তো সকলেরই প্রীতির সম্বন্ধ । লক্ষ্মী – নারায়ণের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে আছে । মানুষ তো এসব কথা জানেই না । রাধা – কৃষ্ণই লক্ষ্মী – নারায়ণ হয় । কেউই এইসব কথা জানে না । তোমরা এখন জানো যে, রাধা – কৃষ্ণ আলাদা – আলাদা রাজধানীতে ছিলেন, এরপর স্বয়ংবরের পর লক্ষ্মী – নারায়ণ হয়েছিলেন । এরা তো কৃষ্ণকে দ্বাপর যুগে নিয়ে গেছে । কৃষ্ণকে কেউই পতিত পাবন বলবেন না । নিয়মিত পড়াশোনা না করলে কেউই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজের আচার-আচরণ খুবই রাজকীয় করতে হবে, খুব কম এবং মিষ্টি কথা বলতে হবে । সাজা থেকে বাঁচার জন্য প্রতি পদে বাবার শ্রীমতে চলতে হবে ।

২ ) এই ঈশ্বরীয় পড়া খুবই মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে পড়তে হবে । মা – বাবাকে অনুসরণ করে সিংহাসনের উপযুক্ত উত্তরাধিকারী হতে হবে । ক্রোধের বশীভূত হয়ে কাউকেই দুঃখ দেবে না ।

বরদানঃ-

প্রকৃত হীরে যেমন যতই ধুলোয় ঢাকা থাকুক না কেন, নিজের উজ্জ্বলতা অবশ্যই দেখাবে, তোমাদের জীবনও তেমনই হীরে তুল্য । তাই যে কোনো পরিবেশে, যে কোনো সংগঠনে তোমাদের চমক অর্থাৎ সেই ঝলক আর ঐশ্বর্য সকলের যেন নজরে আসে । কাজ যদিও বা সাধারণ করো, কিন্তু স্মৃতি আর স্থিতি যেন এমন শ্রেষ্ঠ হয়, যে দেখলেই যেন অনুভব করে, এ কোনো সাধারণ ব্যক্তি নয়, এ সেবাধারী হয়েও পুরুষোত্তম ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top