29 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 28, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সব কিছু যদি সহ্য করতেও হয় তবুও এই শেষ জন্মে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে, পবিত্রতার সহযোগিতা বাবার প্রয়োজন”

প্রশ্নঃ --

অন্তিম দৃশ্যটি কেমন হবে ? যা বুঝবার জন্য বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন আছে ?

উত্তরঃ -:-

অন্তিম দৃশ্য হল সকলের ফিরে যাওয়ার…. বলা হয়ে থাকে রাম গেল রাবণ গেল…এরপর সৃষ্টির সাফাইয়ের জন্য, নতুন দুনিয়ার প্রস্তুতির জন্য অল্প সংখ্যায় থাকবে। আমরাও যাবো তখন যেখানে জিত সেখানেই জন্ম হবে। ভারতেই জিত হবে, বাকি সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। রাজা রাজরারা যারা খুব ধনবান – তারা থাকবে যাদের কাছে আমাদের জন্ম হবে। তারপরে আমরা সৃষ্টির মালিক হবো। এই কথা বুঝবার জন্য বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন আছে।

গান:-

নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গীত শুনেছে। বলে প্রভু আমরা অন্ধ। দ্বারে দ্বারে পদে পদে আমরা হোঁচট খেয়ে থাকি। নিজেদেরকে নিজেরাই বলি যে আমরা হলাম অন্ধের সন্তান অন্ধ। গুরুদের দ্বারে, মন্দিরের দ্বারে, নদীর তীরে ধাক্কা খাই। অর্থ তো জানিনা যে উনি আমাদের পিতা। প্রভুকেও অনেক নাম প্রদান করেছে। বলে নিরাকার নাম রূপের ঊর্ধ্বে। কিন্তু নাম রূপের ঊর্ধ্বে তো কোনো জিনিস হয় না। তোমরা বলো পরম পিতা পরমাত্মা কখনও নাম রূপ থেকে পৃথক বা নাম রূপহীন হতে পারে কি ? মানুষ এই কথা তো নিজেরাই গান গেয়ে বলে যে আমরা নয়নহীন। বাবা এসে যখন পথ বলে দেন তখন শৃঙ্গারিত (সুসজ্জিত) হই। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, উনি বাচ্চারা তোমাদেরকে পড়ান, মুক্তি জীবন মুক্তির পথ বলে দেন। অন্য কোনো সাধু সন্ত সন্ন্যাসী মুক্তি জীবনমুক্তির পথ বলেন না, তাহলে তাদেরকে গুরু বলবে কীভাবে। ড্রামায় তাদের পার্ট আছে। ভারতকে পতনের মার্গে পবিত্রতার শক্তি দ্বারা থামিয়ে রাখা। তারা যদিও পবিত্র থাকে কিন্তু জ্ঞান যোগের দ্বারা পবিত্র হয় না। ঔষধ ইত্যাদি গ্রহণ করে ইন্দ্রিয় গুলি শিথিল করে শক্তিহীন করে দেয়। শক্তি তো তখন থাকবে যখন গৃহস্থে থাকবে বা স্ত্রী পুরুষ দু’জনে স্বয়ম্বরের দ্বারা বিবাহ করে পবিত্র থাকবে। তাদেরকে বলা হয় বাল ব্রহ্মচারী যুগল। এখানেও বাবার কাছে শক্তি প্রাপ্ত হয়। পরম পিতা পরমাত্মাই এসে পবিত্র মার্গের স্থাপনা করেন। সত্য যুগে দেবী দেবতা পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের ছিলেন, তাদের পবিত্র থেকেও সন্তান ছিল। মানুষ এই কথা জানেনা যে, পরম পিতা পরমাত্মা বসে কীভাবে তাদেরকে শক্তি প্রদান করেন, যারা গৃহস্থে থেকেও বিকারগ্রস্ত হয় না। দ্রৌপদী আহবান করেছিল যে, দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করুন, তেমনই এখানেও অনেক কন্যারা আহবান করে। এখন পরমাত্মা এসে ২১ জন্মের জন্য সুরক্ষিত করেন । দ্রৌপদী তো কেউ একজন নয়, তোমরা সবাই হলে দ্রৌপদী। তোমরা বাচ্চারা শিক্ষা প্রাপ্ত করো – স্বামী যদি মারধর করে তবুও তোমাকে সহ্য করে থাকতে হবে, কারণ পবিত্র না হয়ে তোমরা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে না। কল্প কল্প তোমরা মাতা’রা শিব শক্তি হয়েছো । জগৎ অম্বা সরস্বতীকে সিংহের উপরে বিরাজিত দেখানো হয়, এই মহিমাও তোমাদেরই। এ হল পতিত দুনিয়া বা আসুরিক দুনিয়া। পবিত্র দুনিয়ার অর্থ হল ঈশ্বরীয় দুনিয়া। অর্থাৎ রাম এসে রামরাজ্য স্থাপন করেন। পবিত্রতা হল ফার্স্ট। কাম বিকার অতি বলবান। ভালো ভালো মানুষও বলে – এ ‘তো ইম্পসিবল যে কোনো মানুষ পবিত্র থাকবে। আরে সত্য যুগে দেবী দেবতারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলেন। তোমরা মহিমা গান করে থাকো যে, আপনি সর্ব গুণ সম্পন্ন, আমরা নীচ পাপী। সুতরাং তাদেরকে দেবস্বরূপ প্রদান করেছেন এমন কেউ তো আছেন, তাইনা। বাবা সঙ্গম যুগে এসে সত্য যুগের স্থাপনা করেন । বাবা স্বয়ং এসে আসুরিক দুনিয়াকে দৈব দুনিয়া বানান। লোকেরা তো পতিতের অর্থ বোঝে না। তোমরা আহবান কর যে আমরা সবাই পতিত হয়েছি, হে পতিত-পাবন এসো। ভারত পবিত্র ছিল তখন ডবল মুকুট ধারী ছিল। এখন তোমরা প্রত্যেকের বায়োগ্রাফি জানো । এখন তোমরা বাবার আপন সন্তান হয়েছো । তোমাদের বুদ্ধিতে বাপদাদার স্মরণই আসে। উনি পিতা, নিরাকার, পরমধাম নিবাসী। এমন পিতার কথা কেউ জানেনা । মানুষ এই সময় অনেক দুঃখে আছে। মৃত্যুকে ভয় পায়। এখন বাবা বলেন মৃত্যু তো সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে রক্তের নদী বইবে তারপরে দুধের নদী বইবে।

এখন বাবা তোমাদের বিষয় সাগর থেকে পার করিয়ে ক্ষীর সাগরে নিয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ্মী-নারায়ণ, ক্ষীর সাগরে সত্যযুগে থাকেন। এখানে দুধ খাওয়ার জন্য নেই, পাউডার পাওয়া যায়। সত্যযুগে কোনো জিনিস কম নয়। যথাযথভাবে ভারত প্রথমে স্বর্গ ছিল, এখন নরক হয়েছে। একে অপরকে আহত করতে থাকে। চেহারা মানুষের কিন্তু স্বভাব নোংরা। একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে থাকে। এ হল পাপ আত্মাদের দুনিয়া, এইখানে সদাচারী আসবে কোথা থেকে। কেউ দান পুণ্য করলেই সদাচারী হয়ে যায় কি ? এখন তো সবাই রাবণের মতানুযায়ী চলছে। দেবতারা অনেক পবিত্র সুখী ছিল। রামরাজ্য এবং রাবণের রাজ্য কাকে বলে, সে কথাও ভারতবাসী জানেনা। রামরাজ্য চায়, কিন্তু কে স্থাপন করে – সেই কথা জানেনা। এই সময় মানুষকে যতটুকু টাকা দাও সেই দিয়ে পাপ করতেই থাকে কারণ এ’হলোই পাপ আত্মাদের দুনিয়া। এখন তোমাদের বাবার মতানুসারে চলতে হবে। তোমরা বুঝেছো আমরা তো বাবার কাছে বর্সা অবশ্যই নেবো। কিন্তু এই শেষ জন্ম পবিত্র থাকো, ৬৩ জন্ম তোমরা বিকার গ্রস্ত হয়েছো। এখন এই একটি জন্ম পবিত্রতার সহযোগিতা করো তারজন্য পবিত্র থাকতে হবে। কৃষ্ণ গৌর বর্ণ ছিলেন পরে কাম চিতায় বসে শ্যাম বর্ণে পরিণত হন। পুনরায় জ্ঞান চিতায় বসে গৌর বর্ণের স্বর্গের মালিক হন। তোমরা ই দেবতা ছিলে এখন অসুর হয়েছো। এ হল চক্র – পূজ্য থেকে পূজারী…. আত্মাই পরমাত্মা। রাত দিনের পার্থক্য। ড্রামা অনুযায়ী সবাইকে নীচে নামতেই হয়। এখন তোমরা গুরুদের গুরু, পতিদেরও পতি অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছো, তাই তাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে। পরমপিতা পরমাত্মাকে বিশ্বাস করো তাইনা। শিব জয়ন্তীও পালন করে কিন্তু কিছু বুঝতে পারে না যে শিববাবা এসে কি করেছেন। কীভাবে করেছেন। সোমনাথের বিশাল মন্দির বানিয়েছে, নিশ্চয়ই ভারতেই এসেছিলেন। কীভাবে এসেছেন, কি করেছেন, কিছুই বলতে পারে না। এইসব পরম্পরা অনুযায়ী হয়ে আসছে। গঙ্গার মেলা, কুম্ভের মেলা তারা বলে পরম্পরা ধরে হয়ে আসছে। এই সব উল্টো কথা বলে। তাহলে কি সত্য যুগ থেকেই দুনিয়া পতিত ছিল ? যা কিছু বলে, তার অর্থ কিছু বোঝেনা। একেই ভক্তি মার্গ বলা হয়। খ্রিষ্ট এসেছিলেন পুনরায় কবে আসবেন ? কেউ জানেনা। প্রদর্শনীতে তোমরা হাজার মানুষকে বোঝাও তবুও কোটিতে একজন জ্ঞান অর্জন করে।

এখন তোমরা অসীম জগতের পিতার কাছে অসীমের বর্সা প্রাপ্ত করছো। তোমরা জানো এখন দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তোমরা বলো যে আমরা সন্ন্যাসীদের পবিত্র থেকে দেখাবো। ভবিষ্যতে লোকেরা স্বীকার করবে যে এদেরকে শিক্ষা প্রদান করেন পরম পিতা পরমাত্মা। তোমরা শুধু এইটুকু প্রমাণ করে বলো যে, বাবা সর্বব্যাপী নন, গীতার উচ্চারণ শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা হয়নি, এতেই তাদের সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে। এইসব ভবিষ্যতে হবে। তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছো পরম পিতা পরমাত্মা হলেন আমাদের পিতা। প্রথমে সূক্ষ্ম বতনে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর এই রচনা করেন। ব্রহ্মা হলেন প্রজাপিতা। ব্রহ্মাই ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। ব্রাহ্মণ বর্ণ হল সবচেয়ে উঁচু। শিববাবার মুখ বংশী ব্রাহ্মণ। তারা হল দেহধারী ব্রাহ্মণ (কুখ বংশী ব্রাহ্মণ) । বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চললে তোমরা পবিত্র হবে। দেহধারীদের ভুলে যেতে হবে। পরিশ্রম আছে তাইনা। এখন নাটক পূর্ণ হয়েছে, সব অ্যাক্টররা চলে যাবে, খুব অল্পজন বাকি থেকে যাবে। রাম গেল, রাবণ গেল…. বাকি থাকবে কারা ? দুই দিকের অল্পজন বেঁচে থাকবে, বাকিরা সবাই ফিরে যাবে। তখন গৃহ নির্মাণ করবে যারা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবে যারা তারাও থাকে। সময় চাই তাইনা। আমরাও চলে যাব। তোমাদের জন্ম হবে রাজার কুলে। তারা সাফ সাফাই করবে। বাবা বলেছেন যেখানে জিত সেখানে জন্ম। ভারতেই জিত হবে। বাকি সব শেষ হয়ে যাবে। ধনী রাজারা থাকবে, যাদের কাছে তোমাদের জন্ম হবে। সম্পূর্ণ সৃষ্টির মালিক হতে হবে তোমাদের। এমনও নয় এখানকার ধন সম্পদ সেখানে কোনো কাজে লাগবে । এখানকার সম্পত্তি ওয়ার্থ নট এ পেনি (কোনো কাজের নয়) । সেখানে সবকিছু নতুন থাকবে। হীরে জহরতের খনি ভরপুর হয়ে যাবে। তা নাহলে মহল তৈরি হবে কীভাবে। বুঝবার জন্য অনেক বুদ্ধি চাই।

তোমরা বাচ্চারা এখন ডবল অহিংসক হও, তোমরা জানো যে, আমরা কোনোরকম হিংসা করি না। এখানে তো ডবল হিংসা আছে। সত্য যুগে হিংসা থাকেই না। তাকেই স্বর্গ বলা হয়। বাবা বলেন তোমরা বুঝেছো – এই জ্ঞান ধনীদের জন্য কঠিন। বাবা হলেন গরিব নিবাজ, দীনের নাথ, শিববাবা তো হলেন দাতা। এই ভবন ইত্যাদি সবই তোমাদের জন্যই । বিশ্বের মালিক তোমাদেরকে বানাই। তাহলে নতুন ভবনে আমি কেন বসবো! বাবা বলেন আমি তো বসবো না। বাবা বলেন আমি বসবো না তো তোমরা কীভাবে বসবে। শিববাবা বলেন – আমি অভোক্ত (কোনো কিছুই ভোগ করি না), অচিন্তক (কোনো কিছু চিন্তা করি না), এই অভোক্ত, অচিন্তক এর অর্থ কি – সেসব অর্থ তোমরা জানো । আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে, ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। কোনো দেহধারীকে স্মরণ করবে না।

২ ) বাবার শক্তির দ্বারা এই শেষ জন্মে স্ত্রী পুরুষ একত্রে থেকেও পবিত্র হয়ে দেখাতে হবে। অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছি তাই তাঁর শ্রীমৎ অনুসারে নিশ্চয়ই চলতে হবে।

বরদানঃ-

যখন তোমরা বাচ্চারা নিজেদের সত্য যুগী রাজ্যে ছিলে তখন ব্যর্থ বা মায়ার প্রভাব থেকে ইনোসেন্ট ছিলে, তাই দেবতাদের সেন্ট বা মহান আত্মা বলা হয়। অতএব নিজেদের সেই সংস্কার ইমার্জ করে, ব্যর্থ থেকে অবিদ্যা স্বরূপ হও । সময়, শ্বাস, বাণী, কর্ম সবেতেই ব্যর্থ থেকে অবিদ্যা অর্থাৎ ইনোসেন্ট। যখন ব্যর্থ থেকে অবিদ্যা হবে তখন দিব্যতা স্বতঃ এবং সহজ অনুভব হবে। তাই এই কথা ভাববে না যে পুরুষার্থ তো করছি – কিন্তু পুরুষ রূপে এই দেহ রূপী রথের দ্বারা কার্য করাও। একবারের ভুল যেন দ্বিতীয়বার রিপিট না হয়।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য –

অনেক মানুষ প্রশ্ন করে যে, কি প্রমাণ আছে যে আমরা আত্মা। এই বিষয়ে বোঝানো হয়, যখন আমরা বলি অহম্ আত্মা সেই পরমাত্মার সন্তান, তখন এটাই হল নিজেকে জিজ্ঞাসা করার মতো কথা। আমরা যে সারা দিন আমি আমি বলে থাকি, সেই শক্তিটি কি এবং যাকে আমরা স্মরণ করি উনি আমাদের কে হন ? যখন কাউকে স্মরণ করা হয় তখন অবশ্যই আমরা আত্মারা তার কাছে কিছু প্রাপ্ত করতে চাই, সবসময় তাকে স্মরণ করলেই আমাদের প্রাপ্তি হবে। দেখো, মানুষ যা কিছু করে অবশ্যই মনে কিছু শুভ আশা রাখে, কারো সুখের আশা, কারো শান্তির ইচ্ছে থাকে তখন নিশ্চয়ই ইচ্ছা উৎপন্ন হয়। তাহলে অবশ্যই কেউ নিতে চায় এবং যার দ্বারা সেই ইচ্ছা পূরণ হয় তিনি নিশ্চয়ই কিছু দেবেন, দাতা তিনি। তাই তো তাকে স্মরণ করা হয়। এখন এই রহস্যটিকে পুরোপুরি বুঝতে হবে, সে কে ? এই শক্তি যে বলছে আমি নিজেই আত্মা, আকারে জ্যোতির্বিন্দু সম, যখন মানুষ স্থূল দেহ ত্যাগ করে তখন সে বেরিয়ে যায়। যদিও স্থূল চক্ষুর দ্বারা দৃশ্যমান নয়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় তার কোনো স্থূল আকার নেই কিন্তু মানুষ নিশ্চয়ই অনুভব করে যে আত্মা বেরিয়ে গেল। অতএব আমরা তাকে আত্মা বলবো, যে আত্মা হল জ্যোতি স্বরূপ, তাই আত্মার জন্ম দাতা পিতাও তার রূপের সম রূপ হবে, যে যেমন হবে তার সন্তানও সেই রূপ হবে। তাহলে আমরা আত্মারা পরমাত্মাকে কেন বলি উনি হলেন সর্ব আত্মার চেয়ে পরম ? কারণ তাঁর উপরে মায়ার ছাপ পড়ে না । আমরা আত্মাদের উপরে মায়ার ছাপ পড়ে যায় কারণ আমরা জনম মরণের চক্রে আসি। এটাই হল আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে পার্থক্য। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top