25 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 24, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - পুরানো দেহ আর দেহের সম্পর্কযুক্ত যারা একে-অপরকে দুঃখ দিয়ে থাকে, তাদের সকলকে ভুলে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো, শ্রীমতানুসারে চলো"

প্রশ্নঃ --

বাবার সাথে ফিরে যাওয়ার জন্য, বাবার কোন্ শ্রীমৎ পালন করতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবার শ্রীমৎ হলো — বাচ্চারা, পবিত্র হও, সম্পূর্ণরূপে জ্ঞানের ধারণা করে নিজের কর্মাতীত অবস্থা গড়ে তোলো তবেই সাথে করে যেতে পারবে। কর্মাতীত না হলে মাঝপথে থেমে গিয়ে সাজা ভোগ করতে হবে। বিনাশের সময় অনেক আত্মারা শরীর পরিত্যাগ করে ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়াতে থাকে, সাথে যাওয়ার পরিবর্তে এখানেই সাজা ভোগ করে হিসেব মেটাতে থাকে, সেইজন্য বাবার শ্রীমৎ হলো – মাথার উপর পাপের যে বোঝা রয়েছে, পুরানো হিসেব-নিকেশ রয়েছে, সবকিছু যোগবলের দ্বারা ভস্মীভূত করে দাও।

গান:-

ও, দূরের পথিক (মুশাফির)…

ওম্ শান্তি । তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের বুদ্ধি থেকে এখন সর্বব্যাপীর জ্ঞান তাহলে বেরিয়ে গেছে। এ তো ভালভাবে বোঝানো হয় যে পরমপিতা পরমাত্মা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন রচনা রচিত করে থাকেন। তিনি হলেন রচয়িতা, যাঁকে পরমাত্মা বলা হয়ে থাকে। এই বাচ্চাও জানে যে তিনি আসেন, এসে বাচ্চাদের আপন করে নেন। মায়ার থেকে মুক্ত করেন। পুরোনো দেহ, দেহ-সহ যে সকল আত্মীয় পরিজন ইত্যাদিরা রয়েছে, যারা একে-অপরকে দুঃখ দেবে তাদের ভুলে যেতে হবে। যেমন কেউ যদি বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন তার আত্মীয় পরিজনেরা বলে থাকে রামের নাম জপ করো। এখন এরাও মিথ্যেই বলে থাকে। না স্বয়ং জানে, না তাদের বুদ্ধিতে পরমাত্মার স্মরণ বসে। মনে করে, পরমাত্মা সর্বব্যাপী। একদিকে গায় ‘দূরের মুসাফির…’ আত্মারা দূর থেকে এসে শরীর ধারণ করে নিজ-নিজ ভূমিকা পালন করে। এ’সমস্ত করা মানুষের উদ্দেশ্যেই বোঝানো হয়ে থাকে। মানুষ শিবের মন্দির নির্মাণ করে। পূজাও করে। তবুও এদিকে-ওদিকে খুঁজে বেড়ায়। বলে দেয় যে আমার-তোমার সকলের মধ্যেই বিরাজিত। তাদের অনাথ বলা হয় — ধনীকে (প্রভু) জানে না যারা। স্মরণ করে — হে ভগবান! কিন্তু তাঁকে জানে না। হাত জোড় করে। মনে করে, তিনি নিরাকার। আমাদের আত্মাও হলো নিরাকার। এ হলো আত্মার শরীর। কিন্তু আত্মাকে কেউই জানে না। বলেও যে, ভ্রুকুটির মধ্যস্থলে জ্বল-জ্বল করে আজব তারা। যদি স্টার হয় তাহলে এত বড় লিঙ্গ কেন নির্মাণ করে। আত্মাতেই ৮৪ জন্মের পার্ট রয়েছে। সেও জানে না। এদিকে-ওদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে, ধাক্কা খেতে থাকে। সকলকেই ভগবান বলে থাকে। বদ্রীনাথও ভগবান, কৃষ্ণও ভগবান, পাথরের টুকরো -মাটির ভাঙা টুকরোতেও ভগবান আছে তাহলে এত দূরে-দূরে খুঁজতে কেন যায়। যারা আমাদের দেবী-দেবতা ধর্মের হবে না – না তারা ব্রাহ্মণ হবে, না তাদের ধারণা হবে। তারা কেবল ভালো ভালোই বলতে থাকবে। বাবা বলেন, আমি তোমাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাব। যখন তোমরা শ্রীমতানুসারে চলে পবিত্র হবে, জ্ঞানের ধারণা করবে, নিজের কর্মাতীত অবস্থা তৈরী করবে, তখনই আমার সাথে-সাথে ঘরে পৌঁছবে। নাহলে মাঝখানে থেমে গিয়ে কঠোর সাজাভোগ করতে হবে। মৃত্যুর পর অনেক আত্মারা ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না শরীর পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত এদিক-সেদিক ঘুরে-ঘুরে সাজাভোগ করবে। বিনাশের সময় এখানে অনেক নোংরা হয়ে যাবে। অনেক পাপের বোঝা মাথার উপর রয়েছে, সকলকে হিসেব-নিকেশ মেটাতেই হবে। অনেক বাচ্চারা তো এখনও পর্যন্ত যোগকে বোঝে না। এক মিনিটও বাবাকে স্মরণ করে না। বাচ্চারা, তোমাদের প্রতিমুহূর্তে বলা হয়ে থাকে — বাবাকে স্মরণ করো, কারণ মাথার উপর অনেক বোঝ রয়েছে । মানুষ বলে — ভগবান সর্বব্যাপী, তথাপি তীর্থ করতে এদিক-সেদিক ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ায়। মনে করে, এ’সমস্ত কর্মকান্ড ইত্যাদি করলে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের পথ খুঁজে পাব। বাবা বলেন – পতিত ভ্রষ্টাচারী তো আমার কাছে পৌঁছতেও পারে না। বলে যে, অমুকে পরপারে নির্বাণে চলে গিয়েছে, কিন্তু এরা গালগল্প করে থাকে। যায় না কেউই। এখন তোমরা জানো — ভক্তিমার্গে কত ধাক্কা খায়। এ’সব শাস্ত্রাদি পড়তে-পড়তে মানুষের পতন হবেই। বাবা উত্থানের পথে নিয়ে যান, রাবণ পতনে নিয়ে যায়। এখন বাবা বোঝান – তোমরা আমার মতে চলে পবিত্র হবে আর ভালমতন পড়বে তবেই স্বর্গে যাবে, তা নাহলে এত উচ্চপদ লাভ করতে পারবে না। প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনেক সার্ভিস হতে থাকে। এখন এই সার্ভিসও বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। গ্রামে গ্রামে যাবে। এ হলো নতুন আবিষ্কার। নতুন নতুন পয়েন্টস্ বেরিয়ে আসতেই থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাঁচবে ততক্ষণ পর্যন্ত শিখতেই হবে। তোমাদের এইম অবজেক্ট হলো ভবিষ্যতের জন্য। এই শরীর ত্যাগ করলে তখন তোমরা গিয়ে প্রিন্স-প্রিন্সেস হবে। স্বর্গ মানে স্বর্গ। ওখানে নরকের নাম-নিশান নেই। ধরনীও উথাল-পাথাল হয়ে নতুন হয়ে যায়। এই ঘর-বাড়ী সব শেষ হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে যে সোনার দ্বারকা (সমুদ্রের) নীচে চলে গেছে। নীচে কিছুই যায় না। এই চক্র তো চলতেই থাকে। এ’সমস্ত তীর্থযাত্রা হলো ভক্তিমার্গের। ভক্তি হলো রাত। যখন ভক্তির রাত সম্পূর্ণ হয় তখন ব্রহ্মা আসেন দিন করতে। দ্বাপর-কলিযুগ হলো ব্রহ্মার রাত, তারপর দিন হওয়া উচিত। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও নম্বরের অনুক্রম রয়েছে। সকলেই তো এক রকম পড়তে পারে না। আলাদা-আলাদা শ্রেনীর হয়ে থাকে। দেখ, প্রদর্শনীতে কত আসে। ৫-৭ হাজার রোজ আসে। তারপর বেরোয় কে? কোটিতে কেউ, কেউ-এর মধ্যেও কেউ। লেখে — বাবা, ৩-৪ জন বেরিয়েছে, যারা রোজ আসে। কেউ ৭ দিনের কোর্সও করে, তারপর আসে না। যারা দেবী-দেবতা ধর্মের হবে, তারাই এখানে টিকে থাকবে। সাধারণ দরিদ্ররাই বেরোয়। ধনীরা খুব কমজনই টিকে থাকে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। চিঠিও লেখে, রক্ত দিয়েও লিখে দেয়। তারপর চলতে-চলতে মায়া গ্রাস করে নেয়। যখন যুদ্ধ চলে তখন রাবণ বিজয়লাভ করে। বাকি যারা অল্পকিছু শোনে তারা প্রজায় চলে যায়। বাবা তো বোঝাতে থাকেন – শ্রীমতে চলতে হবে। যেমন মাম্মা-বাবা আর অনন্য বাচ্চারা পুরুষার্থ করছে। মহারথী-দের নাম তো নেওয়া হয়ে থাকে, তাই না! পান্ডবসেনায় কে কে আছে, তাদের নামও প্রসিদ্ধ। কৌরবসেনার মুখ্যদের নামও প্রসিদ্ধ। ইউরোপ-নিবাসী যাদবদের নামও আছে। সংবাদপত্রেও যারা গন্যমান্য, তাদের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। তাদের সকলের হলো পরমপিতা পরমাত্মার সাথে বিপরীত বুদ্ধি। পরমাত্মাকে জানবে তবে তো প্রেম(প্রীত) হবে। এখানেও বাচ্চারা ভালবাসতে পারে না। প্রতিমুহূর্তে ভুলে যায়, তখন পদ ভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। যত বাবাকে স্মরণ করবে, ততই বিকর্ম বিনাশ হবে আর উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। অন্যান্যদেরকেও নিজের মতন বানাতে হবে। দয়াশীল হতে হবে আর অন্ধের লাঠিও হতে হবে। কেউ অন্ধ, কেউ কালা, কারোর দৃষ্টি ঝাপসা হয়। এখানেও বাচ্চারা নম্বরের অনুক্রমেই হয়। এমন হলে ওখানে গিয়ে আবার সাধারণ প্রজাতেও চাকর-বাকর হবে। ভবিষ্যতে তোমরা সবকিছু সাক্ষাৎকার করবে। ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলা — এ কোনো বুদ্ধির কথা নয়। ঈশ্বর হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনিই এসে তোমাদের জ্ঞান প্রদান করছেন, রাজযোগ শেখাচ্ছেন। শ্রীকৃষ্ণের আত্মা, যিনি এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছেন, এখন তিনি রাজযোগ শিখছেন। কত গুপ্ত কথা। এইসময় সকলেই বাবাকে ভুলে যাওয়ার কারণে অত্যন্ত দুঃখী হয়ে পড়েছে। বাচ্চারা, তোমরা যত-যত পুরুষার্থ করবে, ততই তোমাদের মধ্যে থেকে ভুল-ত্রুটি বেরিয়ে যেতে থাকবে, গন্তব্য অতি উচ্চ। কোটি-কোটির মধ্যে থেকে মুখ্য ৮ বেরিয়ে আসে। তারপর ১০৮-এর মালা তৈরী হয়। তারপর হয় ১৬ হাজারের। এই ভীতিও দেখানো হয় – পুরুষার্থ করানোর জন্য। বাস্তবে ১৬ হাজার হয় না। মালা হয় ১০৮ এর। উপরে ফুল, তারপর যুগল দানা, নম্বরের অনুক্রমে বিষ্ণুর মালা তৈরী হয়। পুরুষার্থ করানোর জন্য কতকিছু বোঝানো হয়ে থাকে। যে এই ধর্মের হবে না তখন সে কিছুই বুঝবে না। স্বর্গের সুখ পাওয়ার যোগ্যই নয়। যদিও পূজারী অনেক আছে, তারাও আসবে প্রজাতে। প্রজা পদ তো কিছুই নেই। মাম্মা-বাবা বলো, তাহলে ফলো করে মাম্মা-বাবার আসনে আসীন হও। হার্টফেল করে কেন ! স্কুলে কোনো বাচ্চা যদি বলে যে আমি পাশ করবো না তখন সকলেই বলবে যে এ হলো ডাল হেডেড(নিরেট মাথা)। সেন্সীবেল বাচ্চারা অত্যন্ত ভালভাবে পড়ে আর উচ্চ নম্বরে আসে। বাচ্চারা, তোমরা প্রদর্শনীতে খুব ভাল সার্ভিস করতে পারো। বাবার থেকেও জিজ্ঞাসা করতে পারো — বাবা আমি কি সার্ভিস করার উপযুক্ত। তাহলে বাবা বলতে পারেন যে বৎস, এখনও তোমার অনেক কিছু শিখতে হবে অথবা উপযুক্ত হতে হবে। বিদ্বান ইত্যাদিদের সম্মুখে যারা বোঝাবেন, তাদেরকেও হুশিয়ার হতে হবে। সর্বপ্রথমে তো এই নিশ্চয় করানো হয় যে ভগবান এসেছেন। ডেকেও থাকো যে দূর দেশের অধিবাসী এসো, আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে চলো, কারণ আমরা অত্যন্ত দুঃখী হয়ে পড়েছি। সত্যযুগে তো এতসব মানুষ থাকবেই না। সব আত্মারাই মুক্তিধামে চলে যাবে। যার জন্য দুনিয়া এত ভক্তি করে, বাবা বলেন — আমি সকলকে নিয়ে যাবো। সেকেন্ডে মুক্তি-জীবনমুক্তি। নিশ্চয় হলেই জীবনমুক্ত হবে, জীবনমুক্তিতেও পদ ধার্য করা রয়েছে। পুরুষার্থ করতে হবে যেন জীবনমুক্তেতে রাজা-রানীর পদ প্রাপ্ত হয়। মাম্মা-বাবা মহারাজা-মহারানী হয়ে যান, তাহলে আমরাও কেন পদ পাব না? পুরুষার্থীরা লুকিয়ে থাকতে পারে না। সমগ্র রাজধানী স্থাপন করা হচ্ছে। যারা দৈবী ধর্মের তারা অবশ্যই আসবে। মাম্মা-বাবা যদি রাজা-রানী হয় তবে কেন আমরা পুরুষার্থ করবো না! বাবাকে বাচ্চারা পত্র লেখে — বাবা কখনো-কখনো সেন্টারে আসি। এখন বাচ্চার(কন্যা) বিয়ে দিতে হবে। কোনো জ্ঞানী ছেলে(পাত্র) এনে দাও তাহলে বিয়ে দিয়ে দেব। বাচ্চা বলে যে আমি বিয়ে করবো না। অনেক বাচ্চারা মার খায়। অবলাদের উপর অত্যাচার হয়। বাবা লেখেন — মা-বাবা আর কন্যা তিনজনই বাবার কাছে চলে এসো, তবেই বাবা বোঝাবেন। আদরণীয় পিতাশ্রী লিখে থাকো, তাহলে চলে এসো। টিকিটের জন্য পয়সা না থাকলে, তাও পেয়ে যেতে পারো। সম্মুখে এলে শ্রীমৎ পাবে। কুমারী হত্যা তো করবে না, তাই না! তাহলে পাপাত্মা হয়ে যাবে। বাবার শ্রীমতে চলে পবিত্র হতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জীবনমুক্ত পদ পাওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। যেমনভাবে মা-বাবা মহারাজা-মহারানী হয়ে যান, তেমনভাবে ফলো ফাদার করে সিংহাসনে আসীন (তখ্তনসীন) হতে হবে। সেন্সীবেল হয়ে ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে হবে।

২ ) বাবার সাথে সত্যিকারের প্রেমের সম্পর্ক রাখতে হবে। দয়াশীল হয়ে অন্ধদের পথ দেখাতে হবে। বাবার সম্মুখে বসে শ্রীমৎ নিয়ে পাপাত্মা হওয়ার থেকে সুরক্ষিত থাকতে এবং রাখতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগে বাপদাদার বিশেষ দান হলো সন্তুষ্টতা। সন্তোষী আত্মার সামনে যেকোনো রকমের নড়বড়ে করে দেওয়া পরিস্থিতি এইরকম অনুভূত হবে যেন কাঠপুতুলের খেলা। আজকাল কার্টুন শো’য়ের ফ্যাশন চলছে। তাই কখনো কোনো পরিস্থিতি এলে, তাকে এইরকমই মনে করো যে অসীমের স্ক্রিনে(পর্দায়) কার্টুন শো বা পাপেট শো(কাঠপুতুলের খেলা) চলছে। এ হলো মায়া বা প্রকৃতির এক শো, যা সাক্ষী স্থিতিতে স্থির হয়ে, নিজের আভিজাত্যে থেকে, সন্তুষ্টতার স্বরূপে দেখতে থাকো – তবেই বলা হবে সন্তোষী আত্মা।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য –

“পরমাত্মার প্রকৃত সন্তান হওয়ার সময় কোনো সংশয়ে আসা উচিত নয়”

ভগবানুবাচ বাচ্চাদের প্রতি — বাচ্চারা, যখন পরমাত্মা স্বয়ং এই সৃষ্টিতে অবতরিত হয়েছেন, তাই সেই পরমাত্মাকে আমাদের পাক্কা(সত্যের) হাত দিতে হবে কিন্তু পাকাপোক্ত সত্যিকারের বাচ্চারাই বাবাকে হাত দিতে পারে। এই বাবার সঙ্গ কখনও ছাড়বে না, যদি ছেড়ে দাও তখন নির্ধন অর্থাৎ অনাথ হয়ে কোথায় যাবে! যখন পরমাত্মার হাত ধরে নিয়েছি তখন আবার সূক্ষ্ম এই সঙ্কল্পও আসা উচিৎ নয় যে আমি ছেড়ে দিই বা সংশয় আসা উচিৎ নয়। জানি না, আমরা পার হতে পারবো কি না, এমনও কোনো বাচ্চা থাকে, যে পিতাকে না জানার কারণে পিতার সামনেই পড়তে থাকে আর এ’রকমও বলে দেয় যে আমি কারোর পরোয়া করিনা। যদি এমন খেয়াল আসে তবে এ’রকম অযোগ্য বাচ্চার দেখভাল বাবা কিভাবে করবেন, তখন তো ধরে নাও পতন হলো কি হলো কারণ মায়া তো ফেলার খুব চেষ্টা করতে থাকে কারণ পরীক্ষা তো অবশ্যই নেবে যে কতক্ষণ পর্যন্ত যোদ্ধা বীর পালোয়ান থাকে! এখন এও জরুরী, যত অধিক মাত্রায় আমরা প্রভুর সাথে থেকে বীর পালোয়ান হতে থাকব, ততই মায়াও পালোয়ান হয়ে আমাদের ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে। জোড়া সমানে-সমানে হবে, যত প্রভু বলবান হবে, ততই মায়াও বল দেখাবে, কিন্তু আমাদের তো পাক্কা নিশ্চয় রয়েছে যে শেষে পরমাত্মাই মহান বলবান প্রতিপন্ন হবেন, সবশেষে ওঁনারই জয় হবে। প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে এই বিশ্বাসে স্থির হতে হবে। মায়াকে তার শক্তি দেখাতেই হবে, সে প্রভুর সামনে নিজের দুর্বলতা দেখাবে না। ব্যস্, একবার যদি দুর্বল হয়ে পড়ো তাহলে শেষ হয়ে যাবে সেইজন্য যদিও মায়া নিজের ফোর্স(জোর) দেখাবে, কিন্তু নিজে মায়াপতির(বাবা) হাত ছাড়বো না, সেই হাত সম্পূর্ণরূপে ধরে থাকা অর্থাৎ তার বিজয় নিশ্চিত, যখন পরমাত্মা আমাদের মালিক, তখন তার হাত ছেড়ে দেওয়ার সঙ্কল্পও আসা উচিত নয়। যদি হাত ছেড়ে দাও তো বড় মূর্খ প্রতিপন্ন হবে, সেইজন্য পরমাত্মা বলেন — বাচ্চারা, যখন স্বয়ং আমিই সমর্থ, তখন আমার সাথে থেকে তোমরাও অবশ্যই সমর্থ হয়ে যাবে। বুঝেছো বাচ্চারা!

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top