19 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 18, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা হলেন ভক্ত এবং বাচ্চাদের রক্ষাকর্তা ভক্ত বৎসল, পতিত থেকে পাবন বানিয়ে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বাবার, বাচ্চাদের নয়"

প্রশ্নঃ --

প্রত্যেক কল্পে বাবার দায়িত্ব কি ? বাবা কোন্ বিষয়ে ব্যাকুল থাকেন ?

উত্তরঃ -:-

বাবার দায়িত্ব হলো বাচ্চাদের রাজযোগ শিখিয়ে পবিত্র বানানো, সকলকে দুঃখ থেকে মুক্ত করা । বাবারই চিন্তা থাকে যে, আমি গিয়ে আমার বাচ্চাদের সুখী বানাবো ।

গান:-

চেহারা দেখে নাও প্রাণী..

ওম্ শান্তি । এ কথা কে জিজ্ঞাসা করছেন ? বাবা, যাঁকে অলমাইটি অথরিটি বলা হয় । বাবার মহিমা তো করা হয় বা তাঁকে লিবারেটর, গাইডও বলা হয় । তিনিই সকলের সদগতি করেন । তিনি সকলের দুঃখহর্তা – সুখকর্তা । আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি পরমধামে থাকেন কিন্তু অজ্ঞানতার বশীভূত হয়ে মানুষ বলে দিয়েছে, তিনি সর্বব্যাপী । সব ভক্তরা হলো বাচ্চা আর ভগবান হলেন বাবা । বাচ্চাদের তো অবশ্যই এ কথা বোঝা উচিত যে, দুঃখহর্তা – সুখকর্তা হলেন আমাদের বাবা । তাঁর নামে মহিমা আছে যে, তিনি ভক্ত বৎসল । এই নাম কোনো গুরু – গোঁসাইকে দেওয়া যাবে না । এখন বাচ্চা আর ভক্ত তো অনেকই আছে আর তাদের উপর দয়া করেন একমাত্র বাবা । এক বাবা এসেই সম্পূর্ণ দুনিয়াকে সুখ, শান্তি প্রদান করেন । তিনি একথাও বোঝান যে, লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্যকে বৈকুণ্ঠ বা স্বর্গ বলা হয় । এই সময় হলো কলিযুগ, তাই বাবার কতো ব্যাকুলতা থাকে । লৌকিক বাবাও উদ্বিগ্ন থাকেন । ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা । তোমাদের জানা উচিত যে, সমস্ত ভক্তদের কল্যাণকারী একমাত্র বাবাই, তাঁরই চিন্তা থাকে যে, আমি গিয়ে বাচ্চাদের সুখী করবো। মানুষের উপর যখন বিপদ আসে তখন সবাই ভগবানকে স্মরণ করে, ডাকতে থাকে, হে পরমপিতা পরমাত্মা, বাঁচাও । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের সম্মুখে বসে আছেন । বাবা বলেন, আমার কি মনে হবে না যে, এখন সবাই পতিত হয়ে গেছে আমি গিয়ে সবাইকে রাজযোগ শিখিয়ে পবিত্র বানাবো । এ তো আমার প্রতি কল্পের দায়িত্ব । যদিও এই সময় সকলেই ডাকতে থাকে, কিন্তু সেই প্রেম নেই । তোমরা এখন সমস্ত ড্রামার রহস্য বুঝে গেছো বাবা বলেন, আমি তোমাদের পাবন বানাতে এসেছি । আমার এই কথা তোমরা সঠিক ভাবে শোনো তো । সন্ন্যাসীরাও এই বিকারকে ত্যাগ করেন । তাদের হলো জাগতিক সন্ন্যাস । আমাদের হলো সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়ার অসীম সন্ন্যাস । বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার আর কুমারীরা প্রত্যক্ষ ভাবে আছে, তাই না । বোর্ডও লাগানো আছে । বাবার কতো সন্তান, সকলেই বলে মাম্মা – বাবা । গান্ধীকেও ফাদার অফ নেশন বলা হয় । তিনিও ভারতের ফাদার ছিলেন, কিন্তু তাকে তো সম্পূর্ণ দুনিয়ার ফাদার বলা হবে না, তাই না । সম্পূর্ণ দুনিয়ার পিতা তো একজনই । সেই বাবা বলেন, কাম হলো মহাশত্রু, তোমরা একে জয় করো । এতে কোনো সুখ নেই । মানুষ পবিত্র দেবী – দেবতাদের সামনে গিয়ে মাথা নত করে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । বাবা কেবল বলেন – বাচ্চারা, তোমরা এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হও, তাহলে আমি তোমাদের ২১ জন্মের জন্য কায়া কল্পতরু করে দেবো । এ খুবই সহজ, কিন্তু মায়া এমনই যে হারিয়ে দেয় যদিও চার – পাঁচ মাস পবিত্র থাকে কিন্তু তারপর আবার কোমর ভেঙ্গে যায় । তোমরা জানো যে, বাবা পূর্ব কল্পের মতো আবারও বোঝাচ্ছেন । কৌরব – পাণ্ডবদের ভাই – ভাই দেখানো হয় । তারা অন্য গ্রাম বা দেশে নয়, পতিত পাবন বাবা এই অবিনাশী ভারত ভূখণ্ডেই আসেন । এ হলো তাঁর জন্মভূমি । শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয় । নিরাকার শিব পরমাত্মা এখানেই জন্ম নেন, তাঁর নাম শিব । তাঁর তো শরীর নেই । আর সকলের, এমনকি ব্রহ্মা – বিষ্ণু এবং শঙ্করেরও চিত্র আছে । উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন এক ভগবান, যিনি এনার মধ্যে প্রবেশ করেন কিন্তু তিনি কিভাবে আসেন ? কখন আসেন ? একথা কেউই জানে না । এই ভারতেই শিব জয়ন্তী পালন করা হয় । সবথেকে বড় মন্দিরও এখানেই আছে, সেখানেও লিঙ্গ রেখে দেওয়া হয়েছে । তোমাদের বোঝানো উচিত যে, শিব বাবা অবশ্যই আসেন । শরীর ব্যতীত তো কিছুই হয় না । সুখ – দুঃখ আত্মা শরীরের সঙ্গেই ভোগ করে । আত্মা যদি আলাদা হয়ে যায়, তখন কিছুই করতে পারে না । শিব বাবাও অবশ্যই কিছু করেছিলেন । তিনি পতিত পাবন, কিন্তু তিনি কিভাবে এসে সবাইকে পাবন বানান, এ কেউই জানে না । বাবা এখন সাধারণ তনে প্রবেশ করে এই অভিনয় করেন । এমন গায়নও আছে যে, ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা । তাহলে পতিত দুনিয়াতে ব্রহ্মা কোথা থেকে এলেন ? পরমাত্মা স্বয়ং বলেন, আমার তো কোনো শরীর নেই । আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করেছি । আমার নাম হলো শিব । তুমি এসে আমার হও, তখনই তোমার নাম পরিবর্তন হয়। সন্ন্যাসীদের কাছে গিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করলে তখন তাদেরও নামের পরিবর্তন হয় বাবা এখন সম্মুখে এসেছেন । ঈশ্বর, যাঁকে তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করে এসেছো, চলতে – চলতে তোমরা তাঁকেও ভুলে যাও । সন্ন্যাসীরা তো সুখকে স্বীকার করেন না, তারা তো সুখকে কাক বিষ্ঠার সমান মনে করেন । স্বর্গের নাম তো উজ্জ্বল । কারোর মৃত্যু হলে মানুষ বলে দেয় যে, স্বর্গে গেছেন । নতুন দুনিয়াকে সুখধাম আর পুরানো দুনিয়াকে দুঃখধাম বলা হয় । বাবা এতো বোঝান, তাহলে আমাদের তো তাঁর মতে পূর্ণ রূপে চলা উচিত । বাবা এসেছেন সকলকে মুক্তি – জীবনমুক্তি দান করতে । বাবার পার্ট হলো বাচ্চাদের উত্তরাধিকার দান করা । নিরাকার বাবার থেকে কিভাবে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়তাও তোমরাই জানো । আমার পরিচয় তোমরা কার কাছ থেকে পেয়েছো ? ভগবান উবাচঃ । আমি কি কৃষ্ণ ? আমি কি ব্রহ্মা ? তা নয় । আমি তো সমস্ত আত্মাদের নিরাকার বাবা । ওরা নিজেদের গুরু বলে । ওখানে তো বাবা পায় না, টিচারও পায় না, চট করে গুরু পেয়ে যায় । এখানে হলো নিয়মমাফিক জ্ঞান । এখানে তোমাদের বাবা, টিচার এবং গুরু আমি একজনই । তোমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত যে, সম্পূর্ণ পতিত দুনিয়াকে কিভাবে পাবন বানাই । তোমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রদানকারী বাবার মতে প্রতি পদে চলতে থাকো । মায়া খুবই প্রবল । বাবা – বাবা করতে থাকে, পড়তেও থাকে, তবুও ‘অহো মায়া !’ মায়ার বশীভূত হয়ে বাবাকে ছেড়ে দেয়, তাই বলা হয়, তোমরা সাবধান থেকো । বাবাকে বাচ্চারা ছেড়ে দিলে বাবা তো বলবেন – আমি তোমাদের এতো পালনা করলাম, তাও তোমরা আমাকে ছেড়ে দিলে । এখানে তো অন্যদের সেবা করতে হবে, তাদের নিজের তুল্য করে তোলার জন্য । এই সাহায্য তোমরা আমাকে করবে না ? আমাকে ছেড়ে দিয়ে তোমরা নাম বদনাম করে দাও । কতো মুশকিল হয় । অবলাদের উপর অনেক অত্যাচার হয় । এই জ্ঞান যজ্ঞে অনেক বিঘ্ন উৎপন্ন হয় । মায়া কতো তুফান এনে উপস্থিত করে । ভক্তিমার্গে এমন হয় না ।

বাবা বলেন – তোমরা সচেতন বাচ্চারা, তোমরা আমার মতে চলো । নিজের হৃদয় রূপী দর্পণে দেখা উচিত, আমরা কোনো বিকর্ম করি নি তো । বাবার হয়ে সামান্য বিকর্মও যদি করো, তাহলে শত গুণ দণ্ড ভোগ করতে হয় । তোমরা অনেক ক্ষতি করে ফেলো । দেখতে হবে যে, আমরা নিজের খাতা জমা করছি, নাকি করছি না । মায়ার ভূতকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত । এমন অবস্থা হলেই হৃদয়ে বিরাজ করতে পারবে আর তখনই সিংহাসনেও আসীন হতে পারবে । তোমরা এও বুঝতে পারো যে, আমাদের আসন কেমন হবে । শিব বাবার মন্দির তৈরী করো তাহলে তোমাদের মহল কতো সুন্দর আর উচ্চ হবে । আমি তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাই, তোমাদের কাছে অগাধ ধন থাকবে । এরপর তোমরা আমার মন্দির বানাও । সমস্ত ধন তো মন্দির বানাতে লাগাবে না । তোমরা এখন জানো যে, আমরা বিশ্বের মালিক ছিলাম । ওখানে বিশ্ব মহারাজনকে ধন দাতা বলা হবে, তিনি ভক্তি মার্গে কতো বড় মন্দির বানিয়েছিলেন । তোমরাও বানাও । ওখানে দ্বাপর যুগে সমস্ত রাজাদের নিজস্ব মন্দির থাকে । প্রথম – প্রথম শিবের মন্দির তৈরী হয়, তারপর অন্য দেবতাদের মন্দির তৈরী হয় । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের কতো সত্য সমাচার শোনান । বাচ্চারা, তোমাদের এই পড়াতে খুব খুশী হওয়া উচিত । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, পুরুষার্থের দ্বারা আমরা এমন তৈরী হবো, তাহলে শ্রীমতে কেন চলো না । তোমরা কেন ভুলে যাও । এ তো কাহিনী । ঘরে মিত্র – সম্বন্ধীরা গল্প গাঁথা শোনায় । বাবাও তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের কাহিনী শোনান । তোমরা পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই বিশ্বের মালিক ছিলে । বাবা রোজ এই কাহিনী শোনান । তোমরা বাবার বাচ্চা হয়ে যাও । রাজ্য – ভাগ্য নেওয়ার জন্য নিজেকে উপযুক্ত তৈরী করো । এ হলো সত্যনারায়ণের কাহিনী । এই কাহিনী তোমরা শুনে অন্যদেরও শোনাবে অমর বানানোর জন্য । এরপর ভক্তিমার্গে কথা শোনাবে । এরপর সত্যযুগ আর ত্রেতাযুগে এই জ্ঞান ভুলে যাবে । বাবা কতো সাধারণ ভাবে চলেন । তিনি বলেন – বাচ্চারা, আমি তোমাদের সেবক । তোমরা যখন দুঃখী হও, তখন আমাকে ডাকো যে, তুমি এসে আমাদের এই বিশ্বের মালিক বানাও । পতিতকে পাবন বানাও । মানুষ তো বুঝতেই পারে না । তোমরা বুঝতে পারো যে, বাবা আমাদের পতিত থেকে পাবন বানাচ্ছেন, তাই বাবাকে ভুলে যাওয়া উচিত নয় । তোমাদের উচ্চ সার্ভিস করতে হবে । বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর ঘরে ফিরে যেতে হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) রোজ নিজের মন রূপী দর্পণে দেখতে হবে যে, কোনো বিকর্ম করে নিজের বা অন্যের ক্ষতি করছি না তো । সচেতন হয়ে বাবার মতে চলতে হবে, ভূতকে তাড়াতে হবে ।

২ ) বাবা যে সত্য সমাচার বা কাহিনী শোনান, তা শুনে অন্যদেরও শোনাতে হবে ।

বরদানঃ-

স্নেহের কারণে যেমন প্রত্যেকেরই হৃদয়ে আসে যে, আমাকে বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতেই হবে । তেমনই নিজের সঙ্কল্প, বাণী এবং কর্মের দ্বারা হৃদয়ে প্রত্যক্ষতার ঝান্ডা ওড়াও, সদা খুশীতে থেকে নৃত্য করো, কখনো খুশী, কখনো উদাস, এমন নয় । এমন দৃঢ় সঙ্কল্প অর্থাৎ ব্রত ধারণ করো যে, যতক্ষণ বাঁচবো, ততক্ষণ খুশীতে থাকবো । মিষ্টি বাবা, প্রিয় বাবা, আমার বাবা – এই গীত যেন অটোমেটিক বাজতে থাকে, তাহলে প্রত্যক্ষতার পতাকা উড়তে থাকবে ।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য — “পরমাত্মা হলেন সুখ দাতা, নাকি দুঃখদাতা ?”

এ তো সকল মানুষই জানে যে, ভাগ্য বানান একজনই, পরমাত্মা । কথিত আছে যে – ভাগ্য বিধাতা, একবার সামনে তো এসো — তাই এই সমস্ত মহিমা বা গায়ন এক পরমাত্মার । এতো বুঝেও যখন কোনো কষ্ট আসে, তখন দুঃখী হওয়ার কারণে বলে দেয়, এই দুঃখ – সুখ, ভালো – মন্দ, এই ভাগ্য পরমাত্মাই বানিয়েছেন । এরপর বলে, প্রভুর দান এইসব ভালোভাবেই ভোগ করবো । এতেই নিজেকে সন্তুষ্ট রাখবো, এখন প্রভুর দেওয়া ফলও তাদের সম্পূর্ণ ভালো থাকতে দেয় না। কিন্তু মানুষের এতটুকু বুদ্ধিও নেই যে, আমি পরমাত্মাকে এই দোষ কেন দিচ্ছি ? এই দোষ তো একমাত্র মানুষের নিজেদের । মানুষ যা কর্ম করে, তা ভোগ করতে হয় । তাই প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের কর্ম অনুসারেই ফল ভোগ করে । কেউ যদি শ্রেষ্ঠ কর্ম করে, তখন সে সুখ ভোগ করে আর কেউ ভ্রষ্ট কর্ম করলে দুঃখী হয় । এখন সেই ফলকেও মিষ্টি করে নিয়ে ভোগ করার জন্য মানুষের প্রথমে বোধ আসা প্রয়োজন, তাই পরমাত্মা এসে নিজেই জ্ঞান আর যোগ শেখান । এখন এই নিয়ম আছে যে, যারা মায়ার সাথ ছেড়ে পরমাত্মার সাথ গ্রহণ করে, মায়া কিন্তু তাদের পিছু ছাড়ে না, বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । এখন পরমাত্মার সঙ্গে থেকে যা কিছুই সহ্য করে, সেই ভোগও মিষ্টি লাগে । তিনি আমাদের মাইট আর লাইট প্রদান করেন । এখন পরমাত্মা বলেন – বাচ্চারা, তোমাদের বিগড়ে যাওয়া ভাগ্য আমি তৈরী করে দিই, আমিই তো ভাগ্য বিধাতা । বাকি সব কিছু মানুষ নিজেরা বিস্মৃত হয়, তারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই বিগড়ে দেয়। কিন্তু যে মানুষ আমার সঙ্গে মিলিত হয়ে ভোগ করে, তাদের দায়িত্ব আমার । এখন তাও তখনই হবে, যখন এমন বলবে যে, পরমাত্মা তোমার আমার মতি এক। যতই দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ যা কিছুই বলুক না কেন, কিন্তু তাদের পূর্ণ নিশ্চয় থাকবে যে, আমাদের পড়ান স্বয়ং পরমাত্মা, আমরা তাঁর কাছে সওদা করেছি, এখন কারোর পরোয়া করি না । তাই তো বলা হয় — পরোয়া একমাত্র পার ব্রহ্মের, তাঁকে আমি পেয়েছি — পরমাত্মা এখন বলছেন, যে কেবল আমার কথা শোনে, আর আমাকেই দেখে, এমন সিঁড়িতে যে চরণ রেখেছে, তাদের যদিও বা মায়ার ঢেউ হেলিয়ে দেয়, কিন্তু যার সম্পূর্ণ নিশ্চয় হয়ে গেছে, সে প্রভুর হাত কখনোই ছাড়বে না । বাকি এমন যেন না হয় যে, সামান্য মায়ার ঢেউ এসে গেলো, আর নিজের ভাগ্যে গণ্ডি টেনে দিলো। ভাগ্যকে বিগড়ে দেওয়া আর বানানো, এ মানুষেরই হাতে । আচ্ছা — ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top