18 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 17, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিশ্চয় করো, আমাদের যাকিছু আছে তা বাবার, তারপর ট্রাস্টি হয়ে দেখভাল করো তাহলেই সব পবিত্র হয়ে যাবে, তোমাদের লালন-পালন শিববাবার ভান্ডারার থেকে হবে"

প্রশ্নঃ --

শিববাবার কাছে সম্পূর্ণরূপে বলিপ্রদত্ত (সমর্পিত) হয়ে যাওয়ার পর কোন্ সাবধানতা অবলম্বন করা ভীষণ জরুরী ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা যখন বলিপ্রদত্ত হয়েছো তখন সবকিছু শিববাবার হয়ে গেছে, সেইজন্য প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার রায় নিতে হবে। যদি কোনো কু-কর্ম করো তাহলে অনেক পাপ বৃদ্ধি পাবে। যে পয়সা শিববাবার হয়ে গেছে, তা দিয়ে কোনো পাপ করতে পারবে না। কারণ এক-একটি পয়সা হীরেতুল্য, একে অনেক সামলিয়ে(সুরক্ষিত) রাখতে হবে। কিছুই যেন ব্যর্থ না যায়। বাবা তোমাদের কিছু নেন না কিন্তু যে পয়সা তোমাদের কাছে আছে, তা মানুষকে কড়ি থেকে হীরে-তুল্যে বানানোর সেবায় অর্পণ করতে হবে।

গান:-

আজ অন্ধকারে রয়েছে মানব…

ওম্ শান্তি । এ হলো ভক্তিমার্গীয়দের গান। তোমরা এই গান গাইতে পারো না কারণ বলাও হয়ে থাকে, ভগবান এসে পরিচয় দাও। প্রভুই এসে নিজের পরিচয় দেন। প্রভু, ঈশ্বর, ভগবান একই কথা হয়ে গেল। প্রভুর বদলে তোমরা বলো বাবা, তখন একদম সহজ হয়ে যায়। “বাবা”- শব্দটি হলো পারিবারিক। সমগ্র রচনা হলোই বাবার, তাহলে সকলেই হয়ে গেলো বাচ্চা। বাবা বলা অতি সহজ। কেবল প্রভু বা গড বলার জন্য বাবা কথাটি বোঝে না। এই বাবার ভালোবাসা অথবা বাবার সম্পত্তিও জানা যায় না। বাবা তো স্বর্গ রচনা করেন। এই সামান্য কথাও কেউ বোঝে না। অর্ধকল্প ধরে ধাক্কাই খেয়ে যায়। বাবা এসে সেকেন্ডে পরিচয় দেন। বাবার সামনে বাচ্চারা বসেও রয়েছে, তথাপি চলতে-চলতে নিশ্চয় ভেঙে যায়। যদি পাক্কা নিশ্চয় থাকে তাহলে প্রকৃত ব্রাহ্মণ হয়ে যাবে। আমরা হলামই শিববাবার পৌত্র, বাবার ঘরের হয়ে গেছি। মনে করে — আমরা ব্রাহ্মণ শিববাবার ভান্ডারা থেকে ভোজন করছি। ব্রাহ্মণ হয়ে গেছো, তাই ব্রাহ্মণদেরই ব্রহ্মাভোজন হয়ে থাকে। শিববাবার ভান্ডারার ভোজন হয়ে গেল, এই নিশ্চয় থাকা উচিত। আমরা হলামই শিববাবার। ছেড়ে দেওয়ার তো কোনো কথাই নেই। আমরা ব্রাহ্মণরা হলাম শিববাবার সন্তান। আমাদের সবকিছু বাবার আর বাবার সবকিছু আমাদের। ব্যবসায়ীদের হিসেব করা উচিত। আমাদের সবকিছু বাবার আর বাবার সবকিছু আমাদের তাহলে দাড়িপাল্লার ভার কাদের দিকে? আমাদের মধ্যে তো অবগুণ রয়েছে আর আমরা বলে থাকি যে বাবার রাজ্য আমাদের। তাহলে প্রভেদ তো রয়েছে, তাই না! তোমরা জানো যে আমরা ঈশ্বরের দ্বারা বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। আমাদের কাছে যাকিছু আছে তা বাবাকে দিয়ে দিই। আবার বাবা বলেন, তোমরা ট্রাস্টী হয়ে দেখভাল করো। মনে করো এ’সবই শিববাবার। নিজেকেও শিববাবার বাচ্চা মনে করে চলো, তাহলেই সবকিছু পবিত্র হয়ে যাবে। ঘরে যে’রকম ব্রহ্মা ভোজন করা হয়। শিববাবার ভান্ডারা হয়ে যায় কারণ ব্রাহ্মণই তৈরী করে। এমনিতে তো সকলেই বলে থাকে সবই ঈশ্বরেরই দান, কিন্তু এখানে তো বাবা সম্মুখে এসেছেন। যখন আমরা তাঁর উপর বলিপ্রদত্ত হয়ে যাব। আমরা একবার বলিপ্রদত্ত হয়ে গেলে তখন তা শিববাবার ভান্ডারা হয়ে যায়। তাকেই ব্রহ্মাভোজন বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয় যে আমরা যাকিছু খাই তা শিববাবার ভান্ডারার। পবিত্র তো অবশ্যই থাকতেই হবে। ভোজনও পবিত্র হয়ে যায় কিন্তু যখন পবিত্র হয়ে যাবে তখন, তাই না! দিতে হবে না কিছুই, কেবল সমর্পিত হয়ে যেতে হবে। বাবা এ’সবকিছুই তোমার। আচ্ছা, বাচ্চারা ট্রাস্টী হয়ে দেখভাল করো। শিববাবার মনে করে খাবে যেমন শিববাবার ভান্ডারা থেকে খেয়ে থাকো। যদি শিববাবাকে ভুলে যাও তবে পবিত্র হতে পারবে না। বাচ্চারা, তোমাদের ঘর-পরিবারও সামলাতে হবে। কিন্তু নিজেদের ট্রাস্টী মনে করে ঘরে বসেও শিববাবার ভান্ডারা থেকেই খাও। যাকিছু অর্পণ করা হয়ে গেছে তা শিববাবার হয়ে গেছে। কিছুই না বুঝতে পারলে তখন জিজ্ঞাসা করো। এ’রকম নয় যে শিববাবার খাজানা থেকে নিয়ে খরচ করে কোনো পাপ করে ফেলো। শিববাবার পয়সায় পুণ্যের কাজ করতে হবে। এক-একটি পয়সা হীরেতুল্য। এর মাধ্যমে অনেকের কল্যাণ হবে, সেইজন্য অনেক সামলিয়ে রাখতে হবে। কিছুই যেন বেকার না যায়, এই পয়সার মাধ্যমেই মানুষ কড়ি থেকে হীরে-তুল্য হয়ে যায়। বাবা বলেন — আমার যাকিছু সেও তোমাদের। একমাত্র বাবা-ই আছেন যিনি নিষ্কামী। সমস্ত বাচ্চাদের সেবা করেন। বাবা বলেন — আমি কি করবো, সবকিছু তোমাদেরই। তোমরাই রাজ্য করবে। বাচ্চারা, আমার ভূমিকাই এ’রকম যে তোমাদের সুখী করে দিই। শ্রীমতও প্রাপ্ত হতে থাকে। কোনো কন্যা যদি বিয়ে করতে চায়, বলবে জ্ঞানে না এলে ছেড়ে দাও। সন্তান যদি আজ্ঞাকারী না হয় তবে সে উত্তরাধিকারের দাবীদারও হবে না। শ্রীমতে না চললে শ্রেষ্ঠও নয়, দাবীদারও নয়। তারপর সাজাও ভোগ করতে হবে। বাবার আজ্ঞা হলো অন্ধের লাঠি হও। তারা তো কিছুই বোঝে না। তোমরা জানো যে, আমরাও প্রথমে সম্পূর্ণ বাঁদরের মতন পতিত ছিলাম। বাবা এখন আমাদের সৈন্যদলকে নিয়েছেন। আমাদের শিক্ষা দান করে মন্দিরের উপযুক্ত করে গড়ে তুলছেন, বিশ্বের মালিক বানাচ্ছেন। বাকি সকলকে সাজা দিয়ে মুক্তিধামে পাঠিয়ে দেন। অসীম জগতের বাবার সবকথাই অসীমের। এ একজন রাম-সীতার কথা নয়। বাবা বসে থেকে সমস্ত শাস্ত্রের সারকথা (নির্যাসটুকু) বোঝান। মানুষ, পড়ে তো অনেক, কিন্তু বোঝে না কিছুই। তাহলে সেই পড়া যেন না পড়ার মতনই হয়ে যায়। পড়তে-পড়তে কলাগুলি আরোই কম হয়ে পতিত, ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে। বলে যে, পতিত-পাবন এসো। আবার গঙ্গায় দাঁড়িয়ে বলে থাকে দান করো। আরে, আমাদের তো পবিত্র হতে হবে, এরমধ্যে দানের কোন্ কথা আছে। গঙ্গার জলে দান করে। বড়-বড় রাজারা স্বর্ণমুদ্রা (আশরফী) ফেলতেন, পূজারীরা আবার জীবিকানির্বাহের জন্য কিছু না কিছু শুনিয়ে থাকে। বাবা তোমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য জীবন ধারণের (আজীবিকা) উপায় করে দেন। বাবা কত ভালভাবে বুঝিয়ে পবিত্র করে দেন। ভারতই পবিত্র ছিল, এখন পতিত হয়ে গেছে। বাচ্চারা, বাবা বসে থেকে তোমাদের পরিচয় দেন যে তোমরা যারাই ব্রাহ্মণ হয়েছো, স্যারেন্ডার (সমর্পিত) হয়েছো তখনই তোমরা শিববাবার ভান্ডারা থেকে খেয়ে থাকো। স্যারেন্ডার না করলে আসুরীয় ভান্ডারার থেকে খেয়ে থাকো। বাবা এমন বলেন নাকি যে নিজের দায় দায়িত্ব ইত্যাদি এখানে নিয়ে এসো, তুমিই দেখভাল করো কিন্তু ট্রাস্টী হয়ে। নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে তখন তোমরা শিববাবার ভান্ডারা থেকে খেয়ে থাকো। তোমাদের হৃদয় শুদ্ধ হয়ে যাবে। গায়নও করে যে ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতায় নমঃ, এই ব্রাহ্মণেরাই নমঃ(নমন) করার উপযুক্ত। তোমরা জানো যে, ব্রহ্মার দ্বারা বাবা আমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ করছেন। প্রতি কল্পে বাবা এসে রাবণ-রাজ্য থেকে আমাদের মুক্ত করে সুখী বানান। ওখানে দুঃখের নামই নেই। ভারতে কত অগণিত গুরু, বিদ্বান, পন্ডিত আছে। এক-একজন স্ত্রীর পতিও গুরু হয়। কত অধিকসংখ্যক গুরু হয়ে গেছে। কত উল্টোপাল্টা কারবার (ব্যবসা) করছে। এগ্রিমেন্ট করিয়ে নেয় যে পতিই তোমাদের সবকিছু। তার আজ্ঞানুসারেই চলতে হবে। প্রথম আজ্ঞা করে — কুমারী যে পূজ্য ছিল সে হঠাৎ পূজারী হয়ে যায়। সকলের সম্মুখে মাথা নত করতে হয়। তারপরে দ্বিতীয় আজ্ঞা করে — কাম-কাটারী চালাও। তাহলে কত অন্তর হয়ে যায়। এখানে তো বাবা বলেন যে আমার সাহায্যকারী বাচ্চা চাই। ওরা পায়ে কেন পড়বে! বাচ্চারা হলো উত্তরাধিকারী। নম্রতা দেখানোর জন্য পায়ে পড়ার কোনো দরকার নেই। নমস্কার বলতে পারে। তোমরা বলো যে আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে এসেছি কিন্তু মায়া সম্পূর্ণ ভুলিয়ে দেয়। ছেড়ে চলে যায়। মায়া বুদ্ধিকে শেষ করে দেয়। আজ বাবা বুঝিয়েছেন, শিবের ভান্ডারা থেকে যে খেয়েছে, পান করেছে, সেই ভান্ডারা পরিপূর্ণ তো কাল-কন্টকও সব দূর হয়ে গেছে। অমর হয়ে যায়। তোমরা বলিপ্রদত্ত হয়ে গেলে তখন সবকিছু শিববাবার হয়ে যায়, এতে পাক্কা নিশ্চয় চাই। কোনো কু-কর্ম করে ফেললে তখন বড় পাপ হয়ে যাবে। প্রতিটি পদক্ষেপে রায় নিতে হবে, লম্বা-চওড়া (বিস্তারিত) আছে। কতজনের পতন হয়। বাবা-বাবা বলে ৮-১০ বছর থাকার পরেও মায়া থাপ্পড় মেরে দেয়। বাবা বলেন — প্রতিটি পদক্ষেপে কোথাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়লে পরামর্শ নাও। অনেক বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে যে আমরা মিলিটারীতে সার্ভিস করি। ওখানকার ভোজন খেতে হয়। বাবা বলেন — করবেই বা আর কি! বাবার থেকে মত নিলে তখন রেসপন্সিবেল হয়ে যান বাবা। অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, বিদেশে যেতে হবে, পার্টিতে গিয়ে বসতে হয়। যদিও নিরামিষ পাওয়া যায়, কিন্তু সেও তো হলো বিকারী, তাই না! তোমরা যেকোনো বাহানা করতে পারো। আচ্ছা, চা পান করে ফেলো। অনেক প্রকারের যুক্তি প্রাপ্ত হতে থাকে। এঁনার রাইটহ্যান্ড ধর্মরাজও বসে রয়েছেন। এইসময় প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রীমত গ্রহণ করতে হবে। এ হলো অতি উচ্চপদ। স্বপ্নেও কারোর স্মরণে আসবে না — আমরা বিশ্বের মালিক হতে পারি। একদমই জানে না। কত হীরে-জহরতের ঘর-বাড়ী ছিল। সোমনাথ মন্দিরে কত ঐশ্বর্য ছিল, সবই উটে করে ভরে-ভরে নিয়ে গেছে। এখন এমন সময় আসছে যে কারোর ধুলোয়(মাটিতে) চাপা পড়ে যাবে…..বলাও হয়, তাই না যে — রাম নামই হলো সত্য। সত্যিকারের উপার্জন যারা করবে তাদের হাত ভরপুর থাকবে। বাকি সকলেই খালি হাতে যাবে। বাবা বলেন — তোমাদের জিনিস তো তোমাদের জন্যই। আমি হলাম নিষ্কামী। এ’রকম নিষ্কামী আর কেউ হয় না। এইসময় সকলকে তমোপ্রধান পতিত হবেই হবে। সম্পূর্ণ পতিত হয়ে পুনরায় সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হতে হবে। বাবা বলেন যে আমার সঙ্কল্প উঠেছিল যে নতুন দুনিয়া রচনা করবো। আমি আমার ভূমিকা পালন করতে এসেছি। যারা প্রধান তারা সকলেই এমন-এমন সময়েই ভূমিকা পালন করতে আসে। বাচ্চারা, এখন তোমরা জেনেছো যে নলেজফুল বাবা তোমাদেরও নলেজফুল বানাচ্ছেন। পূর্বে এ’সমস্ত নলেজ ছিল নাকি। এখন তোমরা সকলের বায়োগ্রাফী জেনেছো। ধর্মস্থাপন হলো মুখ্য, তাই না! উপর থেকে ধরলে সর্বোচ্চ হলেন শিববাবা, রচয়িতা। তারপর ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর, তারপর ব্রহ্মার মাধ্যমে ব্রাহ্মণ রচনা করেন। আর কেউ কি জানে যে এই জগদম্বা সরস্বতী হলেন ব্রাহ্মণী। পূর্বেও এইসময়েই ইনি তপস্যা করেছিলেন। রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। এখনও সেই কার্যই করছেন। এই জ্ঞানের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে বিচরণ (রমণ) করা উচিত। থাকতে হবে নিজের ঘরে। সকলেই তো এখানে বসে পড়বে না। হ্যাঁ, পরেও সকলেই আসবে, রইবে সেই যে বাবার সেবায় তৎপর থাকে। সে অনেক বিস্ময়কর পার্ট দেখবে। বৈকুন্ঠের বৃক্ষ কাছে আসতে থাকবে। বসে-বসে সাক্ষাৎকার করতে থাকবে। তোমরা সম্পূর্ণ ফরিস্তা এখানেই হয়ে যাও। যে সকল মনুষ্যাত্মারা রয়েছে সকলেই শরীর পরিত্যাগ করবে। আত্মারা ফিরে চলে যাবে। বাবা পান্ডা হয়ে সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এই জ্ঞানও এখনই রয়েছে। সত্যযুগে জ্ঞানের কোনো নামও নেই। ওখানে হলো প্রালব্ধ (ফলভোগ), এখন হলো পুরুষার্থ।

তোমরা পুরুষার্থ করো ২১ জন্মের জন্য বাবার কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য। তোমরা বোঝাতে পারো যে আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। মিত্র-সম্বন্ধীয় ইত্যাদিদের তোমরা বাবার স্মরণে থেকে ভোজন তৈরী করে খাওয়াও তাহলে তাদের হৃদয়ও শুদ্ধ হয়ে যাবে। পরে যারা বেঁচে থাকবে তারা অনেক মজা দেখবে। বাবা প্রতিমুহূর্তে আপন ঘর ইত্যাদি সবকিছু দেখাতে থাকবেন। শুরু-শুরুতে তোমরা অনেককিছু দেখেছো, আবার অন্তেও অনেককিছু দেখতে হবে। যে চলে যাবে সে কিছুই দেখতে পাবে না। এই বিকারগুলিকে পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে তবেই হীরে-জহরতে সুসজ্জিত হতে পারবে। ত্যাগ না করলে তো এত সাজতেও পারবে না। এখন তোমরা জ্ঞান রত্নের দ্বারা সুসজ্জিত হচ্ছো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রকৃত উপার্জনের মাধ্যমে হাত ভরে নিয়ে যেতে হবে। অদ্বিতীয় পিতার সঙ্গে সত্যিকারের সওদা করে প্রকৃত সওদাগর(ব্যবসায়ী) হয়ে উঠতে হবে।

২ ) হৃদয়কে বিশুদ্ধ করার জন্য বাবার স্মরণে থেকে ব্রহ্মাভোজন বানাতে হবে। যোগ-যুক্ত ভোজন খেতে এবং খাওয়াতে হবে। বিকারগুলিকে পরিত্যাগ করে জ্ঞান রত্নের দ্বারা সুসজ্জিত হতে এবং (অন্যদেরকেও) করতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চা পরমাত্ম-প্রিয় হয়, সে সদাই হৃদয়াসনে থাকে। কারোর ক্ষমতা নেই যে হৃদয়রাজের হৃদয় থেকে তাকে আলাদা করতে পারে, সেইজন্য তোমরা দুনিয়ার সামনে গর্ব করে বলে থাকো যে আমরা পরমাত্ম-প্রিয় হয়ে গিয়েছি। এই গৌরবে থাকার কারণে সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে যাও। এখন কখনো ভুল করেও বলতে পারো না যে আজ আমার মন একটু উদাস হয়ে রয়েছে, আমার মনই লাগছে না……, এই কথাই হলো ব্যর্থ কথা। “আমার” বলা অর্থাৎ মুশকিলে পড়ে যাওয়া।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top