17 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 16, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"সকল অনুভূতির প্রাপ্তির আধার পবিত্রতা"

আজ স্নেহের সাগর বাপদাদা চারিদিকে নিজের রূহানী বাচ্চাদের রূহানী ফিচার্স (বৈশিষ্ট্য) দেখছেন। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ বাচ্চার ফিচার্সে অধ্যাত্ম ভাব রয়েছে, কারণ অধ্যাত্ম ভাবের আধার পবিত্রতা। তোমাদের সঙ্কল্পে, বোল আর কর্মে যতটা পবিত্রতা ধারণ করেছ সেই অনুসারে আধ্যাত্মিকতার ঝলকানি তোমাদের চেহারায় প্রতীয়মান হয়। ব্রাহ্মণ-জীবনের বিকশিত রূপ পবিত্রতা। নিরন্তর অতীন্দ্রিয় সুখ আর সুইট সাইলেন্সের বিশেষ আধার – পবিত্রতা। পবিত্রতা যদি নম্বর অনুক্রমে হয় তাহলে এই সব অনুভূতির প্রাপ্তিও নম্বরক্রম হয়। যদি পবিত্রতা নম্বর ওয়ান হয় তাহলে বাবা দ্বারা অনুভূতির প্রাপ্তিও নম্বর ওয়ান হয়। পবিত্রতার প্রকাশ আপনা থেকেই তোমাদের চেহারায় নিরন্তর দৃশ্যমান হয়। পবিত্রতার অধ্যাত্ম ভাবযুক্ত নয়ন সদাই নির্মল প্রতীয়মান হবে। নয়নে সদা রূহানী আত্মা আর রূহানী বাবার ঝলকানি অনুভব হবে। আজ বাপদাদা সব বাচ্চার এই বিশেষ তেজোময় দ্যুতি দেখছেন। বিশেষ আধার পবিত্রতা, সেই কারণে তোমরাও নিজেদের রূহানী পবিত্রতার ফিচার্স নলেজের দর্পণে দেখতে পারো। কেননা বিশেষ আধার হল পবিত্রতা। শুধু ব্রহ্মচর্য পালন করাকে পবিত্রতা বলা যায় না। কিন্তু সদা ব্রহ্মচারী আর সদা ব্রহ্মাচারী অর্থাৎ প্রতি কদমে যে ব্রহ্মা বাবার আচরণ অনুসরণ করে। তার সঙ্কল্প, বোল আর কর্মরূপী কদম ব্রহ্মাবাবার কদমে ন্যাচারালি হবে, যাকে তোমরা বলো ফুটস্টেপ। তাদের প্রতি কদমে ব্রহ্মাবাবার আচরণ দেখা যাবে। তো ব্রহ্মচারী হওয়া কঠিন নয়, কিন্তু এই মন-বাণী-কর্মের কদম ব্রহ্মাচারী হবে – এই বিষয়ে চেক করার আবশ্যকতা আছে। আর যে ব্রহ্মাচারী তার চেহারা আর আচার-ব্যবহার সদাই অন্তর্মুখী হবে আর সেই সঙ্গে অতীন্দ্রিয় সুখী অনুভব হবে।

এক হলো সায়েন্সের সাধন আরেক হলো ব্রাহ্মণ জীবনে জ্ঞানের সাধন। সুতরাং ব্রহ্মাচারী আত্মা সায়েন্সের সাধন অথবা জ্ঞানের সাধনের আধারে সদা সুখের অনুভব করে না, কিন্তু সমস্ত সাধনকেই নিজের সাধনার স্বরূপে কার্যে প্রয়োগ করে। সাধনকে আধার বানায় না, কিন্তু নিজের সাধনার আধারে সাধনকে কার্য-ব্যবহারে নিয়ে আসে। যেমন, কোনো কোনো ব্রাহ্মণ আত্মা কখনো কখনো বলে আমরা এই চান্স পাইনি, এই বিষয়ে সহযোগিতা পাইনি। সাথে পাইনি, সেইজন্য খুশি কম হয়ে গেছে অথবা সেবার্থে নিজেদের মধ্যেকার উৎসাহ-উদ্দীপনা কম হয়ে গেছে। প্রথমে প্রথমে তো অনেক অতীন্দ্রিয় সুখ ছিলো, উৎসাহ-উদ্দীপনাও ছিলো – “আমি আর আমার বাবা” আর কিছু দেখতে পায়নি। কিন্তু মেজরিটি ৫ বছর থেকে ১০ বছরের ভিতরে নিজেদের মধ্যে কখনো একরকম, কখনো একরকম অনুভব করতে থাকে। এর কারণ কী ? প্রথম বছর থেকে দশ বছরের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দশগুন বৃদ্ধি পাওয়া উচিত তো না ! কিন্তু কেন কম হয়ে গেছে ? তার কারণ এটাই যে, সাধনার স্থিতিতে থেকে সাধনকে কার্যে প্রয়োগ করে না। কোনো না কোনো আধারকে উন্নতির আধার বানিয়ে ফেলে আর সেই আধার নড়ে যায় তো উৎসাহ-উদ্দীপনাও নড়ে যায়। সেভাবে আধার নেওয়া কোনো খারাপ ব্যাপার নয়। কিন্তু আধারকেই ফাউন্ডেশন বানিয়ে ফেলে, মাঝখান থেকে বাবা ছিন্ন হয়ে যান ; আধারকে ফাউন্ডেশন বানায় আর সেইজন্য বিপত্তি কী হয় ? যদি এটা হতো তাহলে এরকম হতো না, এটা যদি থাকে তবে হবে। এটা তো খুব প্রয়োজন – এইরকম অনুভব হতে থাকে। সাধনা আর সাধনের ব্যালেন্স থাকে না। সাধনের দিকে বুদ্ধি বেশি আকৃষ্ট হয়। সাধনার দিকে বুদ্ধি কম হয়ে যায়, সেইজন্য কোনও কার্যে, সেবায় বাবার ব্লেসিং অনুভব করে না। আর ব্লেসিংয়ের অনুভব না হওয়ার কারণে সাধন দ্বারা যদি সফলতা প্রাপ্ত হয়ে যায় তো উৎসাহ-উদ্দীপনা খুব ভালো থাকে আর সফলতা কম হলে উৎসাহ-উদ্দীপনাও কম হয়ে যায়। সাধনা অর্থাৎ শক্তিশালী স্মরণ। বাবার সঙ্গে নিরন্তর হৃদয়ের সম্বন্ধ। সাধনা তাকে বলে না যে শুধুমাত্র যোগে বসে গেলে, কিন্তু যেভাবে শরীরের সাথে বসো সেই ভাবে হৃদয়, মন, বুদ্ধি এক বাবার দিকে একাগ্র করে বাবার সাথে বসতে হবে। যদি বা শরীর এখানে বসে আছে, কিন্তু মন এক দিকে আর বুদ্ধি অন্যদিকে যাচ্ছে, হৃদয়ে অন্য কিছু আসছে তো তাকে সাধনা বলে না। মন, বুদ্ধি, হৃদয় আর শরীর এই চারের একসাথে বাবার সঙ্গে সমান স্থিতিতে যেন থাকে – এই হলো যথার্থ সাধনা। বুঝেছ ? যদি যথার্থ সাধনা না হয় তবে আবার আরাধনা চলে। আগেও তোমাদের শোনানো হয়েছিলো, কখনো তোমরা স্মরণ করো কিন্তু কখনো আবার অভিযোগ করো। স্মরণে অভিযোগ করার আবশ্যকতা নেই। যারা সাধনা করে তাদের আধার সদা বাবাই। আর যেখানে বাবা আছেন সেখানে সদা বাচ্চাদের উড়তি কলা। কম হবে না কিন্তু অনেক গুণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কখনো উপরে, কখনো নিচে – এতে ক্লান্তি আসে। তোমরা যে কোনও চাঞ্চল্যকর স্থানে যদি বসো তাহলে কী হবে? ট্রেনে যখন তোমাদের খুব ঝাঁকুনি লাগে তখন ক্লান্তিবোধ হয় তো না ! কখনো খুব উৎসাহ-উদ্দীপনায় উড়তে থাকো, কখনো মাঝখানে থাকো, কখনো নিচে এসে যাও তো চঞ্চলতা হলো তো না ! সেইজন্য হয় ক্লান্ত হয়ে যাও অথবা বোর হয়ে যাও। তারপরে আবার ভাবো এইভাবেই চলতে হবে কী ! যতই হোক, যারা সাধনার দ্বারা বাবার সাথে, সঙ্গমযুগে তাদের সব কিছু নতুনই নতুন অনুভব হয়। প্রতি মুহূর্তে, প্রতি সঙ্কল্পে নবীনত্ব, কারণ প্রতি কদমে উড়তি কলা অর্থাৎ প্রাপ্তির পর প্রাপ্তি হতে থাকে। সবসময় প্রাপ্তি। সঙ্গমযুগে সবসময় অবিনাশী উত্তরাধিকার আর বরদান রূপে বাবা তোমাদের প্রাপ্তি করান। সুতরাং প্রাপ্তিতে খুশি হয় আর খুশিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে। কম হওয়া সম্ভবই নয়। এমনকি, যদি মায়া আসেও তবুও বিজয়ী হওয়ার খুশি হবে, কারণ মায়ার উপরে কীভাবে বিজয় প্রাপ্ত করা যায় সেই ব্যাপারে তোমরা নলেজফুল হয়ে গেছ। তাহলে যারা ১০ বছরের তাদের ১০ গুন, ২০ বছরের যারা তাদের ২০ গুন হচ্ছে? তো শুধু বলার জন্য এই রকম বলা কিন্তু বাস্তবে তো অনেক গুন হয়।

এবারে এই বছরে কী করবে? উৎসাহ-উদ্দীপনা তো বাবা দ্বারা প্রাপ্ত তোমাদের নিজেদের সম্পত্তি। বাবার প্রপার্টি নিজের বানিয়েছ, তো প্রপার্টি বাড়ানো হয় নাকি কমিয়ে দেওয়া হয়? এই বছর বিশেষ চার ধরণের সেবায় অ্যাটেনশন আন্ডারলাইন করো।

প্রথম নম্বর হলো – স্ব-সেবা। দ্বিতীয় – বিশ্ব-সেবা। তৃতীয় – মন্সা সেবা। বাণী দ্বারা সেবা একটা ব্যাপার, কিন্তু মন্সা সেবাও বিশেষ। চতুর্থ – যজ্ঞ-সেবা।

যেখানেই থাকো, যে সেবাস্থানেই থাকো সেই সব সেবাস্থান যজ্ঞকুণ্ড। এমন নয় যে, শুধু মধুবন যজ্ঞ আর তোমাদের স্থান যজ্ঞ নয়। সুতরাং যজ্ঞ-সেবা অর্থাৎ কর্মণা দ্বারা কিছু না কিছু সেবা অবশ্যই করা চাই। বাপদাদার কাছে সকলের তিন রকমের সেবার খাতা জমা থাকে। মন্সা-বাচনিক আর কর্মণা, তন-মন আর ধন। অনেক ব্রাহ্মণ মনে করে আমরা তো ধন দ্বারা সহযোগী হতে পারি না, ধন দ্বারা সেবা করতে অপারগ কারণ আমরা তো সমর্পিত, ধন উপার্জনই করি না, তাহলে ধন দ্বারা কীভাবে সেবা করবো? কিন্তু সমর্পিত আত্মা যদি নিজের অ্যাটেনশন দ্বারা যজ্ঞকার্যে ইকনমিকাল হয়, তাহলে যেভাবে তার ইকনমি দ্বারা যতটা ধন রক্ষিত হয়, সেই ধন তার নিজের নামে জমা হয়, এটা সূক্ষ্ম খাতা। যদি কেউ লোকসান করে তাহলে খাতায় বোঝা রূপে জমা হয় আর ইকনমি যদি করো তো সেটা তার খাতায় সঞ্চিত হয়। যজ্ঞের এক একটা কণা মোহরের সমান হয়। যদি হৃদয় দিয়ে কেউ (দেখানোর জন্য নয় ) যজ্ঞের ইকনমি করে তবে তার মোহর একত্রিত হতে থাকে। দ্বিতীয় বিষয় হলো – যদি সমর্পিত আত্মা সেবা দ্বারা অন্যদের ধন কার্যকর করাতে তাদের উৎসাহিত করে, তাহলে তার থেকেও শেয়ার জমা হয়, সেইজন্য সকলের তিন রকমের খাতা হয়। তিন খাতার পার্সেন্টেজ ভালো হওয়া চাই। কেউ কেউ মনে করে আমি তো বাচা সেবাতে খুব বিজি থাকি। আমার ডিউটিই বাচা সেবার, মন্সা আর কর্মণাতে পার্সেন্টেজ কম হয়, কিন্তু এই বাহানাও চলবে না। বাণীর সময় যদি বাচার সাথে সমান ভাবে কর্মণা সেবাও করো তাহলে কী রেজাল্ট হবে? মন্সা আর বাচা এক সমান ভাবে সেবা হতে পারে? বাচনিক সেবা সহজ কিন্তু মন্সাতে অ্যাটেনশন দেওয়ার ব্যাপার আছে, সেইজন্য বাচনিকে তো জমা হয়ে যায়, কিন্তু মন্সার খাতা খালি থেকে যায়। আর বাচনিকে তো সবাই বাবার থেকেও দক্ষ ! দেখ, আজকালকার সব ছোট ছোটরাও বড় দাদীদের থেকে ভালো ভাষণ দেয়, কারণ নিউ ব্লাড তো না ! যদি বা এগিয়েও যাও, বাপদাদা খুশি হন। কিন্তু মন্সার খাতা খালি থেকে যাবে কারণ সব খাতায় ১০০ মার্কস আছে। শুধুমাত্র স্থূল সেবাকে কর্মণা সেবা বলা হয় না। কর্মণা অর্থাৎ সংগঠনে সম্পর্ক সম্বন্ধে আসা। এটা কর্মের খাতায় জমা হয়ে যায়। তো অনেকের তিন খাতায় অনেক পার্থক্য থাকে আর তারা খুশি হতে থাকে যে, আমি অনেক সেবা করছি, সেগুলো খুব ভালো। যদি বা খুশি থাকলেও কিন্তু খাতা খালি থাকা উচিত নয়। বাপদাদা তো বাচ্চাদের জন্য স্নেহী, তাই না? পরে আবার এই অনুযোগ ক’রো না আমাদের ইশারাও দেওয়া হয়নি যে এরকমও হয় ! সেই সময় বাপদাদা এই পয়েন্ট স্মরণ করাবে। টি.ভি. তে চিত্র সামনে প্রদর্শিত হবে, সেইজন্য এই বছর সেবা যদি বা অনেকও করো তবুও এই তিন ধরনের খাতা আর চার ধরনের সেবা একসাথে করো। বাচার দিকে ভারী হয়ে যাবে আর মন্সা তথা কর্মণা হাল্কা হবে তাহলে কী হবে? ব্যালেন্স তো থাকবে না, তাই না ! ব্যালেন্স না থাকার কারণে উৎসাহ-উদ্দিপনাও দোলাচলে এসে যায়। এক তো তোমাদের অ্যাটেনশন রাখতে হবে, যাই হোক, বাপদাদা তোমাদের বারবার বলেন, অ্যাটেনশনকে টেনশনে বদলে দিও না। অনেক সময়ই তোমরা অ্যাটেনশনকে টেনশন বানিয়ে ফেল – এটা ক’রো না। সহজ আর ন্যাচারাল অ্যাটেনশন যেন থাকে। ডবল লাইট স্থিতিতে অ্যাটেনশন ন্যাচারাল হয়ই। আচ্ছা !

সদা যাদের নিজেদের চেহারায় আর আচরণে পবিত্রতার রূহানিয়াতের তথা স্বচ্ছতা, সততা ও সরলতার ঔজ্জ্বল্য থাকে, সদা প্রতি কদমে যারা, ব্রহ্মাচারী শ্রেষ্ঠ আত্মা, সদা নিজের সেবার সব খাতাকে পরিপূর্ণ রাখে, সদা হৃদয়ে উন্নতির দৃঢ় সঙ্কল্প করে, সদা স্ব-উন্নতিতে নম্বর ওয়ান হওয়াতে নিজেকে নিমিত্ত বানায় – এমন আত্মারা বাবার প্রিয় আর বিশেষভাবে ব্রহ্মা মায়ের স্নেহপ্রাপ্ত, আজ তোমরা মাতৃদিবস উদযাপন করেছ তো না ! তাইতো ব্রহ্মা মায়ের রাজকুমার বাচ্চাদের ব্রহ্মা মায়ের আর বাবার হৃদয়ের বিশেষ স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

মধুবন নিবাসীদের সাথে –

মধুবন নিবাসীদের ভালো আর গোল্ডেন চান্স প্রাপ্ত হয়। সেইজন্য ড্রামা অনুসারে বারবার যাদের গোল্ডেন চান্স প্রাপ্ত হয়, তাদেরকে বাপদাদা সর্বাপেক্ষা বড় চ্যান্সেলর বলে থাকেন। সেবার ফল আর বল দুইই প্রাপ্ত হয়। বল প্রাপ্তও হচ্ছে, সেই বল সেবাও করছে এবং ফল সদা শক্তিশালী বানিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সবচাইতে বেশি মুরলী কে শোনে? মধুবনে যারা থাকে। অন্যেরা তো মুরলী শোনে সংখ্যার গুন্তিতে আর তোমরা সদাই মুরলী শুনতে থাকো। শোনার ক্ষেত্রে তোমরা তো নম্বর ওয়ান আর সেটা অভ্যাস করায় ? অভ্যাস করতেও ওয়ান নম্বর হও নাকি কখনো দুই নম্বরও হয়ে যাও? যারা সমীপে থাকে তাদের উপরে বিশেষ অধিকার (হুজ্জত) থাকে, তাইতো বাপদাদারও বিশেষ অধিকার থাকে, তোমাদের অভ্যাস করতেই হবে আর করতে হবে নম্বর ওয়ান হিসেবে। কারও শেষে তোমাদের নম্বর থাকবে না। জমার সব খাতা হতে হবে নম্বর ওয়ান এবং পরিপূর্ণ (ফুল)। একটা খাতাও সামান্য খালি থাকা উচিত নয়। ঠিক যেমন মধুবনে তোমাদের সব প্রাপ্তি থাকে, হয় তা’ আত্মিক অথবা শারীরিক, তোমাদের সবকিছু প্রাপ্তি হয় নম্বর ওয়ান, একইরকম ভাবে এটা অভ্যাস করার ক্ষেত্রে নম্বর ওয়ান হও। ওয়ানের লক্ষণ হলো সব বিষয়ে উইন করা। যদি তোমরা বিজয়ী (উইন ) তাহলে তোমরা অবশ্যই ওয়ান। কখনো কখনো বিজয়ী তো নম্বর ওয়ান হতে পারবে না। আচ্ছা ! সেবার জন্য অনেক অভিনন্দন, সেবার সার্টিফিকেট তো তোমাদের অনেক প্রাপ্ত হয়েছে আর কোন সার্টিফিকেট নিতে হবে? এক – পুরুষার্থ নিজের মনপছন্দ হবে, দুই – প্রভুপছন্দ হবে এবং তিন – পরিবার-পছন্দ হবে। এই তিন সার্টিফিকেট সবাইকে নিতে হবে। এ’ রকম নয় যে, একটা সার্টিফিকেট মনপছন্দের হবে আর অন্যটা না হোক। তিনটেই চাই। তাহলে বাবার পছন্দ কে ? বাবা যা বলেন সেটা যারা করে। এটা হলো প্রভু পছন্দের সার্টিফিকেট। আর নিজের পছন্দ অর্থাৎ যে হৃদয় তোমার, সেটাই বাবার হৃদয় হোক। নিজের সীমাবদ্ধ মনপছন্দ নয়, কিন্তু বাবার হৃদয় সেই আমার হৃদয়। যা বাবার মনপছন্দ তাই আমার মনপছন্দ, একে বলে মনপছন্দের সার্টিফিকেট এবং পরিবারের সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেট। তো এই তিন সার্টিফিকেট নিয়েছ? যে সার্টিফিকেট পেয়েছ সে’সব ভেরিফাইও করা হয়। বড়দের থেকে ভেরিফাই করতে হবে। বাবা তো অবিলম্বে সম্মত হন কিন্তু এখানে সবার সহমত পোষণ অনিবার্য। সুতরাং যে সাথে থাকে তার থেকে সার্টিফিকেট ভেরিফাই করতে হবে। বাবা তো সর্বাধিক দয়াময় তো না ! সেইজন্য তিনি ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন। আচ্ছা, সবার ডিপার্টমেন্ট নির্বিঘ্ন রয়েছে? নিজেও নির্বিঘ্ন? সেবার সুবাস তো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তো সূক্ষ্মবতনেও ছড়ায়। এখন শুধু তিন সার্টিফিকেট ভেরিফাই করতে হবে। আচ্ছা !

ভারতবাসীর সাথে – এমন অনুভব কি তোমাদের হয় যে, তোমরা সুখদাতা বাবার সঙ্গে সুখী বাচ্চা হয়ে গেছ ? বাবা সুখদাতা তো বাচ্চারাও সুখ স্বরূপ হবে, তাই না? কখনো দুঃখের তরঙ্গ আসে? সুখদাতা বাচ্চাদের কাছে দুঃখ আসতে পারে না, কারণ সুখদাতা বাবার রত্নভাণ্ডার নিজের রত্নভাণ্ডার হয়ে গেছে। সুখ নিজের প্রপার্টি হয়ে গেছে। সুখ, শান্তি, শক্তি, খুশি – তোমাদের রত্নভাণ্ডার। যা বাবার ভাণ্ডার তা’ তোমাদের ভাণ্ডার হয়ে গেছে। বালক তথা মালিক হও তো না ! আচ্ছা ! ভারতও কম নয়। সব গ্রুপে এখানে পৌঁছে যায়। বাবাও খুশি হন। পাঁচ হাজার বছর ধরে হারিয়ে যাওয়া সবাইকে যদি আবার খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কত খুশি হবে ! ১০-১২ বছরের হারিয়ে যাওয়া যদি কাউকে ফিরে পাওয়া যায় তাহলে কত খুশি হয় ! আর এতো ৫ হাজার বছর ধরে বাবা আর বাচ্চারা আলাদা হয়ে গেছে, এখন আবার সবাই একসাথে মিলেছে, সেইজন্য খুব খুশি, তাই না ! সবচাইতে বেশি খুশি কার কাছে আছে? সবার কাছে আছে, কারণ এই খুশির খাজানা এত বড় কে কত নেবে, যতই নিক, অখন্ডিত খাজানা, কখনো নিঃশেষ হয়ে যায় না। সেইজন্য তোমরা প্রত্যেকে অধিকারী আত্মা। এইরকমই তো না? সঙ্গমযুগকে কোন যুগ বলা হয়? সঙ্গমযুগ খুশির যুগ। খাজানাই খাজানা, যত খাজানা চাও নিজেদের ভরে নিতে পারো। ধনবান ভব, সর্ব খাজানা ভব-র বরদান লাভ করেছ তোমরা। সর্ব খাজানার বরদানপ্রাপ্ত তোমরা। ব্রাহ্মণ জীবনে তো খুশি আর শুধুই খুশি। এই খুশি কখনো গায়েব হয়ে যায় না তো? খাজানা মায়া চুরি করে না তো? যারা সাবধান, বুদ্ধিমান হয় তার খাজানা কখনো কেউ লুঠ করতে পারে না। যে সামান্য একটু অসতর্ক

হয় তার খাজানা লুঠ করে নেয়। তোমরা তো সাবধান, তাই না ! নাকি কখনো কখনো ঘুমিয়ে পড়ো? কেউ যদি ঘুমিয়ে যায় তাহলে চুরি হয়ে যায়, যায় না? অসতর্ক হয়ে গেছে। যদি সদা সজাগ, সদা প্রজ্জ্বলিত জ্যোতি থাকে তবে মায়ার সাহস নেই যে রত্নভাণ্ডার লুঠ করে নিয়ে যায়। আচ্ছা ! যেখান থেকেই এসে থাকো সবাই পদ্মাপদম ভাগ্যবান ! এই গীত গাইতে থাকো – সবকিছু পেয়ে গেছি। ২১ জন্মের জন্য গ্যারান্টি যে, এই ভাণ্ডার সাথে থাকবে। এত বড় গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তো এই গ্যারান্টি কার্ড নিয়ে নিয়েছ, নিয়েছ না ! এই গ্যারান্টি কার্ড কোনো সাধারণ আত্মা দেবে না। তিনি দাতা, সেইজন্য কোনো ভয় নেই, কোনো সংশয় নেই। আচ্ছা !

বরদানঃ-

যারা ফলো ফাদার করা বাচ্চা তারাই সমান হয়, কারণ যা বাবার কদম তা’ তোমাদের কদম। বাপদাদা সুযোগ্য তাদের বলেন, যারা প্রতি কর্মে প্রমাণ দেবে। সুযোগ্য অর্থাৎ সদা বাবার শ্রীমতের হাত আর সাথ অনুভব করে। যেখানে বাবার শ্রীমৎ এবং বরদানের হাত আছে সেখানে সফলতা আছেই, সেইজন্য কোনও কার্য করার সময় স্মৃতিতে এটা নিয়ে এসো যে বাবার বরদানের হাত আমাদের উপরে আছে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top