14 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 13, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যোগবলের দ্বারা লোকসানের খাতাকে মিটিয়ে দিয়ে, সুখের খাতা জমা করো, ব্যাপারি (ব্যবসায়ী) হয়ে নিজের সম্পূর্ণ হিসেব বের করো"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা তোমরা বাবার কাছে কি প্রতিজ্ঞা করেছ, ঐ প্রতিজ্ঞা পালনের সহজ সাধন কোনটি ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা প্রতিজ্ঞা করেছ – আমাদের তো একমাত্র শিববাবা, দ্বিতীয় কেউ নেই….ভক্তি মার্গেও বলতে বাবা তুমি এলে আমরা সব সঙ্গ ত্যাগ করে শুধুই তোমার সাথে জুড়ে থাকব। এখন বাবা বলছেন বাচ্চারা দেহ সমেত দেহের সব সম্বন্ধ বুদ্ধি দিয়ে ত্যাগ করে একমাত্র আমাকে স্মরণ করো। এই পুরানো শরীর থেকে মনকে সরিয়ে ফেলো, কিন্তু এতে পরিশ্রম আছে। এই প্রতিজ্ঞা পালন করতে হলে অমৃতবেলায় উঠে নিজের সাথে কথা বলো বা মনন করো – এই নাটক এখন সম্পূর্ণ হতে চলেছে।

গান:-

ছেড়ে দাও আকাশ সিংহাসন…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা আহ্বান করে বলে পরমধাম থেকে এসো। এই গান গেয়েছে পতিত মানুষেরা। ওরা নিজেরাই এর অর্থ জানে না। ডেকেও থাকে হে পতিত-পাবন এসো কেননা এই সময় রাবণ রাজ্য। বাচ্চারা জানে ভারতে দৈবী শ্রেষ্ঠাচারী রাজ্য ছিল। এখন তোমরা শ্রেষ্ঠাচারী হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছ। বাবা বলেন বাচ্চারা এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে। পুরানো পাপের খাতা মিটিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবসায়ীরা ১২ মাসের ১২ মাসের পুরানো খাতা বন্ধ করে, লাভ লোকসানের হিসেব বের করে থাকে। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো ভারতে আমরা অর্ধ কল্প লাভ, অর্ধকল্প লোকসানের মধ্যে থাকি অর্থাৎ অর্ধকল্প সুখ, অর্ধকল্প দুঃখ পেয়ে থাকি। তার মধ্যেও দুঃখ খুব সামান্যই পেয়ে থাকি, যখন তমোপ্রধান অবস্থা হয়, ব্যভিচারী ভক্তিতে যাই। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান। এখন তোমাদের লাভ করতে হবে। লোকসানের খাতাকে যোগবলের দ্বারা মেটাতে হবে। তোমাদের পাপের খাতা এখন কাটা উচিত, এবং সুখের খাতা জমা হওয়া উচিত। তোমরা যত আমাকে স্মরণ করবে ততই তোমাদের পাপের খাতা ভস্মীভূত হবে আর পবিত্র হয়ে গীতার জ্ঞান ধারণ করতে হবে। এখানে কেউ গীতা শাস্ত্র শোনায় না। এই গীতার জ্ঞান স্বয়ং ভগবান দিয়েছেন। এই সময় মানুষের বুদ্ধি তমোপ্রধান হওয়ার কারণে বাবাকে জানে না সেইজন্যই তাদের অরফ্যান্স (অনাথ) বলা হয়। তোমরা জানো এই ভারতেই পুণ্য আত্মা, শ্রেষ্ঠাচারীদের দুনিয়া ছিল, যাদের চিত্রও আছে। ভারতে সত্যযুগের শুরুতে অনেক বিত্তবান ছিল পরে যে ইসলাম, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্ম এসেছে, শুরুতে তারাও অল্প সংখ্যক ছিল। ধর্ম স্থাপকরা প্রথম এসেছে তারপর সেই ধর্মের আত্মারা, আসা যাওয়া করতে শুরু করেছে। ওরা কোনো রাজধানীতে আসে না। নিজের ধর্মে আসে। যখন লক্ষ কোটি আন্দাজে হয় তখন রাজা রাণী ইত্যাদি হয়। এখানে তোমাদের শুরু থেকেই রাজত্ব চলে। সত্যযুগের শুরুতেই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল – ভারত মহান এবং উচ্চ ছিল যখন শ্রেষ্ঠাচারী ছিল। উচ্চ থেকে উচ্চতর ভগবানকে বলা হয়। ওঁনাকেই সত্য বলা হয়। উনিই এসে প্রকৃত নলেজ দিয়ে থাকেন আর সবাই বাবার সম্বন্ধে মিথ্যা জ্ঞান দিয়ে থাকে। সবাই স্মরণ করে বলেও গডফাদার। কিন্তু ফাদারকে কেউ-ই জানে না। কখনও তোমরা কাউকে জিজ্ঞাসা করো – লৌকিক ফাদারকে জানো তখন এটা তো কখনও বলবে না যে তিনি সর্বব্যাপী। ফাদার অর্থাৎ ফাদার। ফাদারের কাছেই উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। বাবা বোঝান ‐ আমি অসীমের রচয়িতা। আমাকে আহ্বান করাই হয় এই পতিত দুনিয়াতে। কখনও প্রলয় হয়না। এটা সম্পূর্ণ রূপে পতিত দুনিয়া, বাচ্চারা তোমাদের জন্যই আমাকে আসতে হয়। বাচ্চারা তোমাদেরকেই বুঝিয়ে থাকি। মানুষ গুরু ইত্যাদি করে থাকে – শান্তির জন্য। কিন্তু সে’সবই হলো ভক্তি মার্গের জন্য, ওরা হঠযোগ ইত্যাদি শিখিয়ে থাকে। ওদের কাছ থেকে কখনও অনন্ত উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না। গুরু করে থাকে, অল্প সময়ের জন্য ওদের কাছ থেকে সুখ পাওয়া যায়। ওরা সবাই সীমিত সুখ প্রদানকারী। অসীম জগতের পিতা হলেন অনন্ত সুখ প্রদানকারী। বাবা মুক্তি-জীবনমুক্তির উপহার নিয়ে আসেন। সত্যযুগে একটাই ধর্ম হয়। এখানে অনেক ধর্ম, বৃদ্ধি পেতেই থাকে। এখন এতো অসংখ্য আত্মারা ফিরে যাবে শান্তিধামে। এখানে তোমরা বাচ্চারা আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান প্রাপ্ত করছো। বাবা হলেন এই মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, ওঁনার কাছে সমস্ত জ্ঞান আছে। সর্বব্যাপী বললে জ্ঞান বা ভক্তির কোনো বিষয় প্রমাণ হতে পারে না। ভগবান সর্বব্যাপী যখন তখন ভগবানকে ভক্তি করার কি দরকার! ভক্তি করে কিন্তু কিছুই জানে না। নুড়ি পাথর সবাইকে ভক্তি করে চলেছে। গঙ্গা স্নানও কত করে চলেছে। যদি গঙ্গাই পতিত-পাবন হয় তবে তো সবাইকেই পবিত্র হওয়া উচিত। মুক্তি-জীবনমুক্তি ধামে যাওয়া উচিত। কিন্তু কেউ-ই যায় না। একজন গুরু ফিরে গেলে তার ফলোয়ার্সদেরও নিয়ে যাবে। কিন্তু না নিজে যেতে পারে, না ফলোয়ারদের কিছু বলতে পারে। ভীষণ ভাবে দেহ-অভিমান থাকে। এমনটাও কেউ বলতে পারবে না যে আমি নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা তোমরা বাচ্চাদের পিতা, আমি তোমাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে এসেছি। এই বাবা একজনই। এখন এই পুরানো দুনিয়া ছাড়তে হবে, সেইজন্যই যোগবল অবশ্যই প্রয়োজন। ফাঁকিবাজি করলে পদ পাবে না।

তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা আমাদের যোগ্য করে তুলছেন। বাচ্চারা যারা অযোগ্য হয় তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। কল্প কল্প তোমাদের ১০০ শতাংশ নির্বিকারী করে তুলি। তারপর রাবণ তোমাদের বিকারগ্রস্ত করে তোলে। তোমরা বুঝতেও পারো যে কথাটা ঠিকই, এখন কলিযুগের অন্তিম সময়, আর সত্যযুগের প্রারম্ভিক সময় সঙ্গম যুগ চলছে। মনে করো বাড়ির আয়ু ১০০ বছর। যদি ২৫ বছর কেটে যাওয়ার পর সেটা এক চতুর্থাংশ পুরানো হয়ে যায়। ৫০ বছর হয়ে গেলে পুরানো বলা হয়। এখানেও ৪টি ভাগ রাখা হয়েছে। সতঃ রজঃ আর তমঃ। এখন এই পুরানো দুনিয়া আবার নতুন হবে। এমনকি সম্পূর্ণ দুনিয়ার নতুন জন্ম হয়। এখন দুনিয়া পুরানো হয়ে গেছে। বাবা বলেন এখন আমি নতুন জন্ম দিতে চলেছি। দুনিয়া পুরানো থেকে নতুন হচ্ছে। তোমরা এসেছ রাজযোগ শিখতে। তোমরা জানো আমরা হলাম ড্রামার অ্যাক্টর। আমরা আত্মারা শরীর ধারণ করে এখানে ভূমিকা পালন করতে এসেছি। দুনিয়াতে আর কেউ-ই জানে না। নিজেকে অ্যাক্টর মনে করলে ক্রিয়েটার, ডাইরেক্টরকেও জানা যায়। বলার জন্যই শুধু বলে থাকে এটা কর্মক্ষেত্র কিন্তু কবে থেকে এই খেলা শুরু হয়েছে, এর ক্রিয়েটারই বা কে কিছুই জানে না। মানুষেরই তো জানা উচিত না! নিজেদের মধ্যে লড়াই করা তো অনাথদের কাজ। দেবতাদের অনাথ বলা হয় না। ওখানে লড়াই-ঝগড়া হয় না। এখানে দেখো বাচ্চারা বাবাকেও মারে। সবাই পতিত ভ্রষ্টাচারী সেইজন্যই দুঃখ দেয়। অর্ধ কল্প সম্পূর্ণ নির্বিকারী দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এখন তো একজনও সম্পূর্ণ নির্বিকারী নেই। এখন বাবা তোমাদের শ্রীমত দিচ্ছেন। এই পুরানো দুনিয়া শেষ হতে চলেছে। আমি এসেছি নতুন দুনিয়া স্থাপন করার জন্য। তোমরা প্রতিজ্ঞা করে থাকো যে বাবা তুমি এলে সব সঙ্গ ছেড়ে তোমার সঙ্গে জুড়ব। আমার তো এক শিববাবা দ্বিতীয় কেউ নেই। এখন বাবা এসে বলছেন, বাচ্চারা দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে আমাকে স্মরণ করো। এতেই পরিশ্রম করতে হয়। বাচ্চারা বলে – বাবা আমরা জানি এই যে সব মিত্র সম্বন্ধ ইত্যাদি আছে সবাই মরে পড়ে আছে। এই শরীরও শেষ হয়ে যাবে, পুরানো হয়ে গেছে। এখন আমরা পুরানো শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর ধারণ করব। পুরানো শরীর থেকে মন সরে যায়। এখন আমরা যাওয়ার পথে। পুরানো দুনিয়া ভস্মীভূত হয়ে যাবে। বাবা বোঝান ভোরবেলায় উঠে এমনই সব মনন কর। এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে, আমাদের ফিরে যেতে হবে। এখন একমাত্র বাবার শ্রীমতেই চলতে হবে। এখন নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে সেইজন্যই বেঁচে থেকেও সবার থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে একের সাথে জুড়তে হবে, এরজন্য অনেক অভ্যাস করতে হবে। অভ্যাসের জন্যই বাবা বলছেন ভোরবেলায় ওঠো। দিনের বেলায় তো শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করতে হবে। রাতের অভ্যাসে বৃদ্ধি পায়। যতটুকু সময় পাওয়া যায় বাবাকে স্মরণ করো। বাবাকে স্মরণ করে তোমরা যতই পায়ে হেঁটে যাও, কখনও ক্লান্ত হবে না। যোগবলের খুশি থাকে। স্মরণের অভ্যাস থাকলে যে কোনো জায়গায় বসেও স্মরণে এসে যাবে। খাওয়ার সময়ও স্মরণে থাকতে হবে। ব্যর্থ কথাবার্তা বলা উচিত নয়। বাবার স্মরণেই বিকর্ম বিনাশ হবে। তারপর অন্তিমে যেমন মতি তেমনই গতি প্রাপ্ত হবে। এখন ফিরে যেতে হবে। সবার সদ্গতি দাতা, সবাইকে শ্রেষ্ঠাচারী করে তুলতে, শান্তিদেশে নিয়ে যেতে পারেন একমাত্র বাবা। জন্ম-জন্মান্তর ধরে তোমরা বাবা, টিচার গুরু পেয়েছ কিন্তু তারা সবাই শরীরধারী। কেউ-ই দেহী-অভিমানী হওয়ার কথা শেখায়নি। এই অসীম জগতের পিতা হলেন জ্ঞানের সাগর। যে সমস্ত আত্মারা আছে প্রত্যেকের মধ্যে সংস্কার ভরা আছে। শরীর ধারণ করার পর সেইসব সংস্কার ইমার্জ হয়। এখন তোমাদের সম্পূর্ণ ড্রামার নলেজ আছে বাকি সমস্ত মানুষ ঘোর অন্ধকারে ডুবে আছে। গাওয়াও হয়ে থাকে জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দিয়েছেন। সুতরাং জ্ঞান অঞ্জন দেন যিনি তিনি জ্ঞান সূর্য বাবা। সত্যযুগকে দিন, কলিযুগকে রাত বলা হয়। আত্মারা সেই নিরাকার বাবাকে স্মরণ করে। বাবা বোঝান আমি তোমাদের ব্রহ্মা মুখ দ্বারা কল্প পূর্বের মতোই সব ভক্তি মার্গের শাস্ত্রের রহস্য বুঝিয়ে থাকি। এ’সবই ভক্তি মার্গের সামগ্রী, যা অর্ধকল্প ধরে চলে আসছে। মানুষ বলে থাকে এ’সবই পরম্পরা ধরে চলে আসছে। রাবণকেও পরম্পরা ধরে জ্বালিয়ে আসছে। উৎসব যা কিছু পালন করে আসছে সবই বলে থাকে পরম্পরা ধরে চলে আসছে, পরম্পরার অর্থ কি ? সেটা জানা নেই। সত্যযুগের আয়ু লক্ষ বছর লিখেছে, সুতরাং মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে তাইনা। ভক্তি কবে থেকে শুরু হয়েছে, কখন থেকে পবিত্র হতে শুরু করে কিছুই জানে না। ভগবান কখন পতিতদের পবিত্র করে তোলার জন্য আসেন ? বলেও থাকে ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর আগে স্বর্গ ছিল, কিন্তু তারপরও অনেক মত আছে তাইনা। দুনিয়াতে কত রকমের মত কাজ করে চলেছে। বাবা এসে শ্রেষ্ঠ মত দেন। শ্রীমত দ্বারাই তোমরা শ্রেষ্ঠ বা দেবতা হয়ে ওঠো। রুদ্র মালাও আছে। রুদ্রও নিরাকার ভগবান। তিনিই হলেন শ্রী শ্রী। দেবতাদের বলা হয় শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো শ্রী শ্রী’র দ্বারাই শ্রেষ্ঠ দুনিয়া তৈরি হয়। বাবা হলেন শ্রী শ্রী যিনি শ্রী করে তোলেন। এ’সব কথা স্মরণ করতে হবে। কল্প পূর্বে যারা এসেছিল তারাই বুঝবে। এই জ্ঞান সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের জন্য। সবাইকে বাবা বলেন – নিজেকে আত্মা মনে করো। অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে কত সুখ পাচ্ছ। অসীমের পিতা এসে এতো বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করেন। এরা মুখ বংশাবলী তাইনা। কত অসংখ্য বি.কে আছে যারা দেবতা হবে। এ’হলো ঈশ্বরীয় কুল। দাদা হলেন নিরাকার। ওঁনার সন্তানের নাম প্রজাপিতা ব্রহ্মা, এনার দ্বারাই অ্যাডপ্ট করেন। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে শিববাবার পরিবার, তারপর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখন তোমাদের নম্বর ওয়ান সম্প্রদায় (ঈশ্বরীয়)। তোমরা সার্ভিস করো, সবার কল্যাণ করো। তোমাদের জড় চিত্রের মন্দির হুবহু তৈরি করা হয়েছে। এখানে তোমরা চৈতন্য স্বরূপে বসে আছ। তোমরা জানো আমরা পুনরায় স্থাপনা করছি। ভক্তি মার্গে আমাদের স্মৃতি স্মারক রূপে মন্দির নির্মাণ হবে। শিববাবা না হলে তোমরা কোথায় থাকতে। ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর তারা কোথায় ? এখন শিববাবা রচনা করছেন। প্রজাপিতা ব্রহ্মার চিত্র আলাদা হওয়া উচিত। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বলে থাকে কিন্তু তার তো কোনো অর্থই নেই।

তোমরা জানো – পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন। করনকরাবনহার হলেন শিববাবা। এ’সব বিষয় ধারণ করতে হবে। শিববাবা স্বয়ং এসে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। নলেজ প্রদান করছেন সুতরাং সেইসব ধারণ করা উচিত, এর মধ্যে পিউরিটি হচ্ছে প্রথম। সাহস অর্জন করে দেখাতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পবিত্র থেকে দেখাতে হবে। কেউ কন্যাকে রক্ষা করার জন্য স্বয়ম্বর করে থাকে, যাকে গান্ধর্ব বিবাহ বলা হয়। সেখানেও কেউ অসফল হয়ে যায়। কেউ-কেউ এমনও হয়, যারা বিবাহ করার পরেও পবিত্র থাকে। পবিত্র থেকে নলেজও গ্রহণ করে থাকে। ধারণ করে অন্যদেরও নিজ সম তৈরি করে দেখাবে তবেই উচ্চ পদ পাবে। এই জ্ঞান-যজ্ঞে অনেক বিঘ্ন আসে। এ’সব হবেই কারণ ড্রামায় নির্ধারিত। কোনো কোনো কন্যা বলে – ধন সম্পদ দিয়ে কি করব, এর চেয়ে বাসন মেজে রুটি খাওয়া ভালো, পবিত্র তো থাকতে পারব। কিন্তু এরজন্য প্রচুর হিম্মত থাকা চাই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আহার গ্রহন করার সময়ও স্মরণে থাকতে হবে, ব্যর্থ কথাবার্তা বলা উচিত নয়। স্মরণ দ্বারাই পাপের খাতা মিটাতে হবে।

২ ) দিনে শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করে, রাতে জেগে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। মনন করতে হবে যে এই নাটক এখন সম্পূর্ণ হতে চলেছে, আমাদের এখন ফিরে যেতে হবে। সেইজন্যই বেঁচে থেকেও আসক্তি মিটিয়ে ফেলতে হবে।

বরদানঃ-

“মালিক তথা বালক” – যখনই চাও মালিকের স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও আর যখনই চাও বালকের স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও, এই ডবল নেশা সবসময় নির্বিঘ্ন করে তুলবে। এমন আত্মাদেরই টাইটেল হয় বিঘ্ন-বিনাশক। কিন্তু শুধুই নিজের জন্য বিঘ্ন-বিনাশক নয়, সম্পূর্ণ বিশ্বের জন্য বিঘ্ন-বিনাশক, বিশ্ব পরিবর্তক হও। যে নিজে শক্তিশালী স্থিতিতে থাকে তার সামনে বিঘ্ন সবসময় দুর্বল হয়ে পড়ে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top