08 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
7 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - নিজের অবস্থাকে ভালো বানাতে হলে সকাল সকাল উঠে একান্তে বসে চিন্তন (বিচার) করো যে, আমরা হলাম আত্মা, আমাদেরকে এখন ফিরে যেতে হবে, এই নাটক এখন সম্পূর্ণ হয়েছে"
প্রশ্নঃ --
সম্পূর্ণ রূপে বলি চড়ার অর্থ কী ?
উত্তরঃ -:-
সম্পূর্ণ বলি চড়া মানে – বুদ্ধির যোগ একদিকেই থাকা। সন্তানাদি, দেহধারী কেউই যেন স্মরণে না আসে। দেহ বোধ যেন ছিন্ন হয়ে যায়। এইরকম যারা সম্পূর্ণ বলি চড়বে তাদের ২১ জন্মের উত্তরাধিকার বাবার থেকে প্রাপ্ত হবে। যারা একে অপরের নাম রূপে লাট্টু হয়ে যায় তারা বাবার আর নিজের নাম বদনাম করে দেয়।
প্রশ্নঃ --
বাবা সকল বাচ্চাদের উপরে কোন্ কৃপা করে থাকেন ?
উত্তরঃ -:-
কড়ি থেকে হীরে তুল্য বানানোর কৃপা বাবা করে থাকেন। যে বাচ্চারা প্রতিটি কদমে রায় নিয়ে থাকে, কিছুই লুকায় না, তাদের উপরে স্বতঃই কৃপা হয়ে যায় ।
গান:-
কে রচছে এই লীলা খেলা..
ওম্ শান্তি । যারা এই গীতটি তৈরী করেছে তারা তার অর্থ জানে না। তোমাদেরকে অর্থাৎ বাচ্চাদেরকে বাবা বুঝিয়েছেন যে, দেখো তোমাদেরকে কত ভালো উত্তরাধিকার দিয়েছিলাম, যখন তোমাদের রচনা করেছিলাম। স্বর্গ হল নতুন রচনা। দুনিয়া জানে না যে, স্বর্গের রচনা কীভাবে রচিত হয়। তারপর কীভাবে মায়া রূপী ৫ বিকার দখল করে নেয়। এক একটি কথাই হল নতুন, নতুন দুনিয়ার জন্য । সত্যযুগ কাকে বলা হয় – সেটাও তারা জানে না তো তাহলে এ’সব কীকরে জানবে ! এই নলেজ কোনো শাস্ত্রে নেই। স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মাই এসে নলেজ প্রদান করেন, যে নলেজ তারপর প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। নলেজের দ্বারা রাজযোগ শিখে রাজত্ব পেল, ব্যস্। একে বলা হয় স্পীরিচুয়্যাল নলেজ। স্পীরিচুয়্যাল বলা হয় স্পীরিটকে, আত্মাকে । সুপ্রীম স্পীরিট বলা হবে বাবাকে। অনেক নাম দিয়ে দিয়েছে। মানুষ তো বলেও থাকে – স্পীরিচুয়্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন । ফিলোজফি হল শাস্ত্রের জ্ঞান। শাস্ত্র পড়ে সে’সব জানা যায়। পরমপিতা পরমাত্মা তো শাস্ত্র পড়েন না। তাঁকে বলা হয় নলেজফুল। মানুষ মনে করে তিনি অন্তর্যামী। কিন্তু তা তো নয়। ড্রামা অনুসারে যে যেমন কর্ম করবে তার ফল তো পেতেই হবে। বাচ্চাদের কর্ম – অকর্ম – বিকর্মের গতিও বুঝিয়ে থাকেন। কর্ম কখন অকর্ম হয়, তারপর কর্ম বিকর্ম হয়ে যায় । স্বর্গে কোনো খারাপ কাজ হয় না যাতে বিকর্ম হবে। কেননা সেখানে রাবণরাজ্যই নেই। সেইজন্য কর্ম অকর্ম হয়ে যায় । কর্ম ফলের ছাপ তখনই লাগে যখন বিকর্ম করে। পাপ করিয়ে থাকে রাবণ । এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে বাবা বোঝান। মানুষ তো এটা জানে না যে সত্যযুগে বিকার ছাড়া কীভাবে বাচ্চার জন্ম হয়। অনেকে বলে বিকার হয় ঠিকই, তবে এতটা নয়। যেমন এখানেও সন্ন্যাসী বা গুরুরা বুঝিয়ে থাকে বছরে এক বার কিম্বা মাসে একবার বিকারে যাও। কিন্তু বাবা তো একেবারেই বলে দেবেন বাচ্চারা, কাম হল মহাশত্রু, তার ওপরে সম্পূর্ণ বিজয় লাভ করতে হবে। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে। সেখানে যখন রাবণই নেই তাহলে বিকার কোথা থেকে এল। শিখরাও গায় পুতিগন্ধময় কাপড় পরিস্কার করেন (“মূতপলিতি কপড়ে ধোয়ে”)…. এখানে সব হল পুতিগন্ধময়। তিনি কারোর নিন্দা করেন না। ওরা তো যে যেমন তাকে অবশ্যই সেই রকম বলে দেবে। চোরকে চোরই বলে দেবে। গ্রন্থ সাহেবেও অনেক কিছু বুঝিয়ে বলা হয়েছে। গুরু নানক পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা করেছেন। তিনি বলেছেন “জপ সাহেব, সুখমনী… ” (সাহেবের না জপ করো)। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। যাকে আধা কল্প স্মরণ করেছো সেই জিনিস যদি পাওয়া যায় তবে কতো খুশী হওয়ার কথা। কিন্তু তবুও খুশী তাদেরই হয় যারা মুহূর্মুহূ নিজেকে আত্মা মনে করে। নিজেকে আত্মা মনে করলে বাবার সাথে লভ থাকবে। আত্মার এই সময় জানাই নেই যে আমাদের পিতা কে ? বাবার হয়ে বাবার অক্যুপেশনকে না জানলে তাকে বুদ্ধু বলা হবে। প্রহ্লাদের গল্পে আছে বদলা নেওয়ার জন্য থামের মধ্যে থেকে বেরিয়েছিল… । কিন্তু পরমাত্মা থাকেন কোথায়, সেই অ্যাড্রেসই তাদের জানা নেই। এখন বাচ্চারা তোমরা জানো। তোমরা হলে ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। প্রজাপিতা ব্রহ্মারও নাম বিখ্যাত। স্ত্রী তো নেই যার দ্বারা সন্তানের জন্ম দেবেন। তাহলে নিশ্চয়ই মুখ বংশাবলী হবে। তোমরাও এ’কথা বোঝাতে পারো। আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। প্রজাপিতা ব্রহ্মার নাম শুনেছে। তো পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা রচিত করেন। সবার আগে ব্রহ্মার রচনা করেন, তারপর ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করেন। বাবা বোঝাচ্ছেন দেখো, আমার মুখ বংশাবলী কতো। সকলের বর্সা তো শিব বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয়। যাকে অ্যাডপ্ট করেছে সে তো নিশ্চয়ই গরীবই হবে। প্রথমে ব্রহ্মাকে অ্যাডপ্ট করেছেন। ব্রহ্মার দ্বারা তারপর মুখ বংশাবলী তৈরী হয়েছে। সেই কুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ শারীরিক যাত্রা করায়, এই ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী রুহানী যাত্রা করিয়ে থাকে।এই রূহানী বা আধ্যাত্মিক যাত্রার বিষয়ে কারোরই জানা নেই। পুরুষার্থ করে থাকে নির্বাণধামে যাওয়ার । তাহলে তো শারীরিক যাত্রা করবার দরকারই নেই। যাত্রা তো হলই নির্বাণধামের। তাকে তো জ্যোতি জ্যোতিতে বিলীন হয়ে গেছে বা বুদবুদ, বুদবুদের সাথে মিশে গেছে – এই রকম বলা হবে না। এই আত্মা যাত্রা করে থাকে। ব্রহ্ম তত্ত্বে প্রবেশ করে। এ হল আত্মার যাত্রা, বাকি সব হল শারীরিক যাত্রা। তাদের তো জানাই নেই যে নির্বাণধামে কে নিয়ে যেতে পারে। এখন অসীম জগতের পিতা বলেন আমিই সবাইকে নিয়ে যাই। সকলের পান্ডা হন বাবা’ই। সত্যযুগে মানুষের সংখ্যা খুবই কম থাকে। বাকি সব আত্মারা সকলেই অবশ্যই ফিরে যায়। রাইটিয়াস (সত্য ধর্মের কথা) কথা একমাত্র বাবা’ই বলেন। এখন তোমরা রয়েছো সত্যিকারের যাত্রাতে। আমরা হলাম আত্মা, নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, ফিরে যেতে হবে। এটা একবারে পাকা হয়ে যাওয়া চাই। একান্তে বসে এটাই বিবেচনা করো যে, আমরা হলাম আত্মা বাবা আমাদেরকে নিতে এসেছেন। এই বস্ত্র এখন নোংরা (ছিঃ ছিঃ) হয়ে গেছে। এই ভাবে নিজের সাথে কথা বলতে হয়। একে বিচার সাগর মন্থন বলা হয় । বাবা কর্ম করতে তো মানা করেননি। বাকি রাতে জেগে জেগে এই অভ্যাস করো তাহলে দিনের বেলাতেও ভালো অবস্থা বা স্থিতি ভালো থাকবে, সাহায্য প্রাপ্ত হবে। রাতের অভ্যাস দিনে কাজে আসবে। রাতে জাগতে হবে – রাত্রি ২টোর পরে ; কারণ রাত্রি ৯টার থেকে ১২ টা এই সময়টা হল একেবারেই ডার্টি (খুব খারাপ)। সেইজন্য বিচার সাগর মন্থন ভোর বেলাতেই করা হয়। আমরা হলাম আত্মা, এখন কেবল বাবার কাছেই যেতে হবে। এক বস্ত্র ছেড়ে অন্যটা নেবো। এই ভাবে নিজের সাথে নিজে কথা বলতে হয়। ৮৪ জন্ম পুরো হয়ে গেছে। আর অল্প কিছু দিনই বাকি রয়েছে। এ হল অসীমের ড্রামা। এই ভাবে বুদ্ধিতে থাকলে দেহের চেতনা (ভান) ছিন্ন হয়ে যাবে । বাবা আর বর্সা মনে পড়বে।
বাবা’ই এসে শিক্ষা প্রদান করেন। নাহলে আমরা এই রকম শ্রেষ্ঠ পবিত্র কীভাবে হতে পারতাম। এই সময় খুবই করাপশন রয়েছে, সেইজন্যই সদাচার কমিটি বানিয়েছে তারা। আগে এই সব জিনিস ছিল না। এই করপশন ইত্যাদি সব এখন শুরু হয়েছে। মিনিস্টার ইত্যাদি হয়ে গেলে কতো টাকাপয়সা লুটতে থাকে। কতো ভ্রষ্টাচার (করপশন) করতে থাকে। সত্যযুগে হল শ্রেষ্ঠাচারী গভর্নমেন্ট। তোমরা অত্যন্ত শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে উঠছো। সেখানে পাপের নাম পর্যন্তও হয় না। বাবা এসে স্বর্গের উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন। সকলে যারা ডার্টি হয়ে গেছে তাদেরকে সুন্দর সুন্দর ফুল বানিয়ে থাকেন। স্বর্গ স্থাপন করে সকলকে সদ্গতি প্রদান করে তারপর নিজে গুপ্ত হয়ে যান। আমার পার্টই হল সকলকে সদ্গতি দেওয়া। আমি সমগ্র দুনিয়াকে কী থেকে কী বানিয়ে দিই। এ’কথা তো লোকেও বলে যে যুদ্ধ লাগবেই। খবরের কাগজে আসে ৫ বছরের মধ্যে এটা হবে, ওটা হবে। আচ্ছা বিনাশ যদি হয়, তাহলে সে’ সব কী করে হবে ? এই বিনাশই বা কেন হয়, কারণটা তো বলুক। তোমরা এখন জানো যে বাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন, তাহলে নরকের বিনাশ তো অবশ্যই হবে। বাবা এসে পুরানো দুনিয়ার থেকে নতুন দুনিয়া বানান। সেখানে অকালে মৃত্যু হয় না। মৃত্যু ভয় থাকে না। আত্মার জ্ঞান থাকে যে আমি একটা শরীর ত্যাগ করে আরেকটা নেবো। এটা তোমরা বুঝতে পারো যে যারা দেরীতে আসবে তারা নিশ্চয়ই কম বার জন্ম নেবে। আমাদের ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে। এই দুনিয়া এ’কথা জানে না। তোমাদের, আত্মাদেরকে পরমপিতা পরমাত্মা বসে বুঝিয়ে থাকেন। প্রজাপিতার সন্তান, নিজেরা হলাম ভাই-ভাই। তাহলে কোনো প্রকারের বিকর্ম করতে পারবে না। এমনিতে তো বলে থাকে হিন্দু চীনী ভাই – ভাই। তাহলে বিকারে কীভাবে যাবে। বলা তো সহজ কিন্তু তার অর্থই তারা বোঝে না। ভাই – ভাই এর অর্থ আত্মার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ভাই – বোনের সম্বন্ধে বিকারের দৃষ্টি টিকতে পারে না। লৌকিক সম্বন্ধেও নিকট সম্বন্ধীর সাথে যদি বিবাহ হয় তবে অনেক কথা উঠতে থাকে।
বাবা বোঝান তোমরা সবাই দেবতা তথা শ্রেষ্ঠাচারী ছিলে তারপর ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছো। আমরাই সেই শ্রেষ্ঠাচারী, ১৬ কলার ছিলাম। তারপর ১৪ কলাতে এসে তারপর ভ্রষ্টাচারী হতে হতে এখন আরোই তমোপ্রধান ভ্রষ্টাচারী হয়ে পড়েছি। এই গোলার (সৃষ্টিচক্রের) চিত্রতেও ক্লিয়ার লেখা রয়েছে। বর্ণের রূপও বানানো হয়, কিন্তু তাতে শীর্ষে ব্রাহ্মণকে দেখানো হয়নি। না শিব বাবাকে দেখানো হয় না ব্রাহ্মণদেরকে দেখানো হয়। বাকি দেবতা, ক্ষত্রীয়, বৈশ্য, শূদ্র দেখানো হয়। তোমরা এখন জেনে গেছো যে, আমরা ডিগবাজি খেলি। এখন আমরা ব্রাহ্মণ থেকে তারপর দেবী দেবতা হবো, সেইজন্য দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে । এখন ফিরে যেতে হবে। তখন আমাদের জন্য সমগ্র দুনিয়া স্বর্গ হয়ে যাবে । ধরিত্রী জল পেয়ে যাবে। রাতে এই রকম ভাবে বিচার সাগর মন্থন করো তবে অনেক সহায়তা পেয়ে যাবে। এখন আমরা যাবো সুইট ফাদারের কাছে, যাকে পাওয়ার জন্য আমরা দোরে দোরে ধাক্কা খেয়েছি। কোথা থেকেও রাস্তা পাইনি। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য। কিন্তু মায়াও বড়ই প্রবল। খুব ধোঁকা দিয়ে দেয়। সাথে সাথে নাক, কান পাকড়ে ধরে ফেলে। তখন ভ্রষ্টাচারী হয়ে যায় ।হকামের নেশা এসে যায়। কারো নাম রূপের পিছনে লাট্টু হয়ে যায় প্রেমিক প্রেমিকার মতো। ভীষণ ধোঁকা খেয়ে যায়। লোভীও একদম নাম বদনাম করে দেয়। এই সব কিছু হতেই থাকে। বাবা বোঝান – বাচ্চারা, যোগে থাকতে হবে। ভালো যোগী যারা হয় তারা ৪ – ৫ দিন কিছু না খেলেও কোনও অসুবিধাই নেই তাদের। তাও আনন্দেই থাকে। অবস্থা এই রকমই হওয়া উচিত। দেখতে হবে আমার মধ্যে কোনো জিনিসের লোভ নেই তো ? এইম রাখা উচিত যে, আমরা ফুল পাশ হয়ে দেখাব। এ হল কল্প কল্পান্তরের বাজী। নিজেকে নিজে যাচাই করে দেখতে হবে যে – আমি লক্ষ্মী-নারায়ণকে বরণ করবার অথবা রাজত্ব নেওয়ার যোগ্য হয়েছি ? যদি কোথাও ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে তবে সেটাকে দূর করতে হবে। ত্রুটি ঢাকা থাকতে পারে না। এখন তোমাদের কানেকশ হল শিব বাবার সাথে। কাউকে উঁচুতে ওঠানোর জন্য যদি দৃষ্টি দাও তবে বাবা খুব সহায়তা প্রদান করবেন। ব্রহ্মাকুমারীরা বলে আমরা এটা করেছি, আমি খুব ভালো মুরলী চালিয়েছি – এই অহংকারী অবস্থা হলে পতনে ঠেলে দেয়। ভালো ভালো বাচ্চা যারা তারা মনে করে – আমরা বাবার সহায়তা পাই। অনেকের মধ্যে তো মায়ার প্রবেশ ঘটলে পতন ঘটে। এতে সম্পূর্ণ আত্ম – অভিমানী হওয়া উচিত। দেহের দিকে দৃষ্টি যাওয়া উচিত নয়। হবাবা শিক্ষা প্রদান করতে থাকেন যে, সংশোধন হয়ে যাও। মায়ার ধোঁকা খেও না, নাহলে পদ হারিয়ে ফেলবে। লৌকিক পতিকে তো তোমরা কতো স্মরণ করতে থাকো আর ইনি হলেন পতিদেরও পতি যিনি তোমাদেরকে অমৃত পান করান, কড়ি থেকে হীরে বানান, তাঁকে তো স্মরণ করো না। এই রকম বাবাকে তো কতো স্মরণ করা উচিত। শ্রীমতের আধারে পুরুষার্থ করা হয়। কোনো কিছু হলে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে আমার মধ্যে কী অবগুণ রয়েছে ? দেহের চেতনাকে ভাঙতে হবে। যে সম্পূর্ণ বলি চড়ে, সে ২১ জন্মের জন্য অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ বলি চড়ার অর্থ হল সেই দিকেই বুদ্ধি থাকা। এই সন্তানাদি যা কিছু রয়েছে সে’সব কিছুর থেকে বুদ্ধি সরে যাওয়া চাই। বাবা বলে তার পরিবর্তে সেখানে তোমার সব কিছুই নতুন পাবে । বলা হয় ভগবানের কৃপায় সন্তান লাভ হয়েছে। এখন ভগবান স্বয়ং বলেন, সেই কৃপা তো হল অল্প কালের। এখন তো তোমাদের ওপরে অনেক কৃপা করব। তোমাদেরকে কড়ি থেকে হীরের মতো বানিয়ে দেবো। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এই সব কিছুকে বাবারই মনে করবে। প্রতিটি কদমে বাবার থেকে রায় নিতে থাকো। বাবাই রায় দেবেন। কোনো উল্টো কাজ করতে দেবেন না। বিকারীদেরকে দিতে দেবেন না। অবিনাশী সার্জনের কাছে কিছুই লুকানো উচিত নয়। প্রতিটি কদম জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। অনেক বাচ্চারা জিজ্ঞাসাও করে, লেখেও যে, বাবা বিকার খুব বিরক্ত করে। কেউ কেউ তো মুখে কালিমা লেপন করে বসে, বলেও না । যত লুকিয়ে রাখতে থাকবে ততো আরই কালো হয়ে যেতে থাকবে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) ফুল পাশ হওয়ার জন্য যা কিছু ত্রুটি রয়েছে, বিকারের অংশ রয়েছে, তাকে সমাপ্ত করে দিতে হবে। কোনো বিষয়েই অহংকার রাখবে না।
২ ) দৃষ্টি অত্যন্ত পবিত্র শুদ্ধ বানাতে হবে। কখনোই কোনো দেহধারীর পিছনে ঝুলে থাকবে না। সম্পূর্ণ আত্ম-অভিমানী হতে হবে ।
বরদানঃ-
যেমন সায়েন্সের উপকরণ গুলির দ্বারা খারাপ জিনিসকেও পরিবর্তন করে ভালো জিনিসে পরিবর্তিত করে দেয়, তেমনই তোমরা সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা খারাপ কথা বা খারাপ সম্বন্ধকে খারাপ থেকে ভালোতে পরিবর্তন করে দাও। এই রকম শুভ ভাবনা সম্পন্ন হয়ে যাও যে তোমাদের শ্রেষ্ঠ সংকল্পের দ্বারা অন্য আত্মারাও খারাপটাকে ছেড়ে ভালোটাকে ধারণ করে নেয়। নলেজফুলের হিসাবে রাইট আর রং’কে জানা সেটা হল আলাদা ব্যাপার, কিন্তু নিজের মধ্যে খারাপকে খারাপ ভাবে ধারণ করাটা হল ভুল। সেইজন্য কু’কে দেখলে বা জানলেও তাকে সু’তে বদলে দাও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!