01 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 31, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সদ্গতি প্রাপ্তির জন্য বাবার কাছে শপথ করো যে বাবা আমরা সর্বদা আপনাকে স্মরণ করবো”

প্রশ্নঃ --

কোন্ পুরুষার্থের আধারে সত্যযুগী জন্মসিদ্ধ অধিকার প্রাপ্ত হয় ?

উত্তরঃ -:-

এখন সম্পূর্ণ বেগার হওয়ার পুরুষার্থ করো। পুরানো দুনিয়ার প্রতি আসক্তি মিটিয়ে যখন পুরোপুরি বেগার হবে তখনই সত্যযুগী জন্মসিদ্ধ অধিকার প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা এখন ট্রাস্টি হও। পুরানো আবর্জনা ইত্যাদি যা কিছু আছে সব ট্রান্সফার করো, বাবা ও বর্সাকে স্মরণ করলে তোমরা স্বর্গে আসতে পারবে। বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাই এখন পুরানো ব্যাগ ব্যাগেজ প্যাক করে নাও।

গান:-

ভোলানাথের চেয়ে অনুপম..

ওম্ শান্তি । তোমরা হলে স্টুডেন্ট। উঁচু থেকে উঁচু নলেজফুল পিতা তোমাদেরকে পড়ান, তাই নোট ইত্যাদি নিশ্চয়ই নেওয়া উচিত কারণ পুনরায় রিভাইজ করাতে ও অন্যদের বোঝাতে সহজ হয়। নাহলে মায়াও এমন যে অনেক পয়েন্টস ভুলিয়ে দেয়। এই সময় বাচ্চারা তোমাদের যুদ্ধ হল মায়া রাবণের সঙ্গে। তোমরা যত শিববাবাকে স্মরণ করবে ততই মায়া বিস্মৃত করার চেষ্টা করবে। জ্ঞানের পয়েন্ট ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কখনও কখনও খুব ভালো পয়েন্ট স্মরণে আসবে, তৎক্ষণাৎ সেসব হারিয়েও যাবে কারণ এই জ্ঞান হল নতুন। বাবা বলেন কল্প পূর্বেও এই জ্ঞান ব্রাহ্মণদের অর্থাৎ তোমাদের প্রদান করেছিলাম। ব্রাহ্মণদেরই আপন করেন, ব্রহ্মা মুখের দ্বারা। এই কথা গীতায় লেখা নেই। শাস্ত্র তো পরে লেখা হয়। যখন ধর্ম স্থাপন করা হয়, সেই সময় সব শাস্ত্র তৈরি হয় না। বাচ্চাদের বোঝানো হয় সর্ব প্রথমে হল জ্ঞান, পরে ভক্তি। প্রথমে সতোপ্রধান, পরে সতঃ, রজঃ, তমোতে আসতে হয় অতএব মানুষ যখন রজঃতে আসে তখন ভক্তি শুরু হয়। সতোপ্রধান সময়ে ভক্তি থাকে না। ড্রামাতে ভক্তি মার্গও ফিক্স আছে। এই শাস্ত্র ইত্যাদি ভক্তি মার্গে কাজে লাগে। তোমরা এই যে জ্ঞান ও যোগের বই ইত্যাদি নির্মাণ কর, সেসব পুনরায় পড়ে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। যদিও টিচাররা ছাড়া কেউ এই সব বুঝবে না। গীতার টিচার হলেন শ্রীমৎ ভগবান। উনি হলেন বিশ্বের রচয়িতা, স্বর্গ রচনা করেন। উনি সকলের পিতা, তো অবশ্যই বাবার কাছে বর্সা, স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হওয়া উচিত। সত্য যুগে হল দেবী-দেবতাদের রাজত্ব। এখন তোমরা হলে সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণ। বিষ্ণুর চিত্রে ৪-টি বর্ণ দেখানো হয় তাইনা। দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র… পঞ্চম বর্ণটি হল ব্রাহ্মণদের। কিন্তু তারা এই কথা একটুও জানেনা। উঁচু থেকে উঁচু হল ব্রাহ্মণ বর্ণ। উঁচু থেকে উঁচু পরম পিতা পরমাত্মাকেও ভুলে গেছে। শিব হলেন ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করের রচয়িতা। ত্রিমুর্তি ব্রহ্মা বলে দেয়, কিন্তু তার তো কোনো অর্থ থাকে না। যদি ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর হলেন তিন ভাই তবে তাদের পিতাও থাকা উচিত। অতএব ব্রাহ্মণ, দেবী-দেবতা ও ক্ষত্রিয়… তিনটি ধর্মের রচয়িতা হলেন নিরাকার পিতা, যাঁকে গীতার ভগবান বলা হয়। দেবতাদেরও ভগবান বলা যায় না তো মানুষদের কীভাবে বলা হবে। উঁচু থেকে উঁচু হলেন শিববাবা তারপরে সূক্ষ্মবতনবাসী ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর, পরে এই বতনে সর্ব প্রথম হলেন শ্রীকৃষ্ণ। প্রথমে শিব জয়ন্তী পালন হয়, ত্রিমূর্তি জয়ন্তী কোথাও দেখানো হয় না কারণ তিন জনের জন্মদাতা কে, তা কেউ জানেনা। এই কথা বাবা এসে বলেন। উঁচু থেকে উঁচু হলেন বিশ্বের মালিক, নতুন দুনিয়ার রচয়িতা। স্বর্গে লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতেন। সূক্ষ্ম বতনে তো রাজত্বের কোনো কথা নেই। এখানে যারা পূজ্য স্বরূপে পরিণত হচ্ছে তাদেরকেই পূজারী হতে হবে। দেবতা, ক্ষত্রিয়…. এখন পুনরায় ব্রাহ্মণ হয়েছে। এই বর্ণ গুলি ভারতেই আছে অন্য কেউ এই বর্ণে আসতে পারে না। এই ৫-টি বর্ণের চক্রে শুধুমাত্র তোমরা পরিক্রমা কর। পুরো ৮৪ জন্মও তোমাদেরকেই নিতে হয়। তোমরা জানো যে যথাযথভাবে আমরা ভারতবাসীরা, যারা দেবীদেবতা ধর্মের, তারাই ৮৪ জন্ম নেবে। জ্ঞানের এই তৃতীয় নেত্র কেবল ব্রাহ্মণদের অর্থাৎ তোমাদের খুলে যায়, পরে এই জ্ঞান লুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। তাহলে গীতার শাস্ত্র এলো কোথা থেকে। খ্রীষ্ট যখন ধর্ম স্থাপন করেন তখন বাইবেল শোনান না। উনি ধর্ম স্থাপন করেন পবিত্রতার শক্তি দিয়ে। বাইবেল ইত্যাদি পরে তৈরি হয়, যখন তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তখন গির্জা ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়। যদিও অর্ধেক কল্প পরে ভক্তি মার্গ আরম্ভ হয়। প্রথমে থাকে অব্যভিচারী ভক্তি একের প্রতি, তারপরে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করের। এখন তো ৫ তত্ত্বেরও পূজা করে, একেই বলা হয় তমোপ্রধান পূজা। সেসবও হতেই হবে। ভক্তি মার্গে শাস্ত্রও চাই। দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র হল গীতা। ব্রাহ্মণ ধর্মের কোনো শাস্ত্র নেই। এখন মহাভারত যুদ্ধের বৃত্তান্ত গীতায় আছে। গায়নও আছে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়েছে। অবশ্যই যখন বিনাশ হবে তখনই সত্য যুগী রাজধানী স্থাপন হবে। সুতরাং ভগবান এই যজ্ঞ রচনা করেছেন, একেই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ বলা হয়। জ্ঞান প্রদান করেন শিববাবা। ভারতের শাস্ত্র বাস্তবে একটি-ই । যেমন খ্রীষ্টের বাইবেল – তার জীবন কাহিনীকে জ্ঞান বলা হয় না। আমাদের হল জ্ঞানের কানেকশন। জ্ঞান প্রদান করেন একমাত্র বাবা, উনি বিশ্বের মালিক। ওঁনাকে ব্রহ্মাণ্ডের মালিক বলা হবে। সৃষ্টির মালিক উনি হন না। তোমরা বাচ্চারা হও সৃষ্টির মালিক। বাবা বলেন আমি অবশ্যই ব্রহ্মান্ডের মালিক, বাচ্চারা তোমাদের সঙ্গে ব্রহ্ম লোকে বাস করি। সেখানে যেমন বাবা থাকেন, আমরাও সেখানে যাব তো আমরাও হই মালিক।

বাবা বলেন তোমরা সব আত্মারা আমার সঙ্গে ব্রহ্মাণ্ডে নিবাস করো। তো আমিও এবং তোমরাও হলে ব্রহ্মান্ডের মালিক। কিন্তু তোমাদের পদ মর্যাদা আমার থেকেও বেশি। তোমরা মহারাজা – মহারানী হও, তোমরাই পূজ্য থেকে পূজারী হও। তোমরা পতিত, আমি এসে তোমাদের পবিত্র করি। আমি তো জন্ম-মরণহীন, পরে সাধারণ দেহের আধার নিয়ে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য তোমাদের শোনাই। এমন কোনো বিদ্বান, পন্ডিত নেই যে ব্রহ্মান্ড, সূক্ষ্মবতন এবং সৃষ্টি চক্রের রহস্য জানে, তোমরা বাচ্চারাই কেবল জানো। তোমরা জানো জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর হলেন একমাত্র পরম পিতা পরমাত্মা । তাঁর মহিমা গান তখনই করা হয় যখন উনি আমাদের জ্ঞান প্রদান করেন। যদি জ্ঞান দান না করেন তাহলে মহিমা বর্ণনা করবে কীভাবে। উনি একবার এসে বাচ্চাদেরকে বর্সা প্রদান করেন – ২১ জন্মের জন্য। ২১ জন্মের লিমিট আছে, এমন নয় সদাকালের জন্য দেবেন। ২১ বংশ অর্থাৎ ২১ বার বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত। কুল বা বংশ বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্তকেই বলা হয়। ২১ বংশ তোমরা রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করো। এমন নয় একের দ্বারা ২১ বংশের উদ্ধার হয়ে যাবে। এই কথাটি তো বোঝানো হয় যে এই রাজযোগের দ্বারা তোমরা রাজার রাজা হও, তারপরে সেখানে জ্ঞানের প্রয়োজন থাকে না। সেখানে তোমরা সদগতিতে থাকো। জ্ঞান তো তাদের দরকার যারা দুর্গতিতে আছে। এখন তোমরা সদগতির দিকে যাচ্ছ, দুর্গতিতে এনেছিল মায়া রাবণ। এখন সদগতিতে যেতে হলে বাবার আপন হতে হবে, প্রতিজ্ঞা করতে হবে – বাবা আমরা সর্বদা তোমার স্মরণে থাকবো। দেহের বোধ ত্যাগ করে দেহী রূপে অবস্থান করবো। গৃহস্থে থেকে আমরা পবিত্র থাকবো। মানুষ বলে এ কীকরে সম্ভব। বাবা বলেন এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হয়ে আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হও তবে নিশ্চয়ই তোমাদের বিকর্মের বিনাশ হবে এবং চক্রকে স্মরণ করলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হবে। বাবার কাছে অবশ্যই স্বর্গের বর্সা প্রাপ্ত হবে। দৈবী দুনিয়ার রাজত্ব প্রাপ্তি হল তোমাদের জন্মগত অধিকার, সেই প্রাপ্তিই হচ্ছে। তারপরে যে যেরকম প্রতিজ্ঞা করে এবং বাবার সেবায় সহযোগ করে… এ কথা তো জানো যে বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজও এসেই পড়বে, তাই বাবা বলেন নিজের পুরানো ব্যাগ ব্যাগেজ ইত্যাদি সব ট্রান্সফার করে দাও। তোমরা ট্রাস্টি হয়ে যাও। বাবা হলেন জহুরীও লেনদেনও করেন। মানুষ মরলে সব কিছু ডোমকে দিয়ে দেওয়া হয়। তোমাদের এই পুরানো আবর্জনা সব কবরে যাবে তাই পুরানো জিনিস গুলির প্রতি আসক্তি মিটিয়ে দাও, একেবারে বেগার হও। বেগার টু প্রিন্স বাবাকে এবং বর্সাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে, যা তোমাদের জন্মগত অধিকার। কেউ যখন আসে তাকে জিজ্ঞাসা করো বিশ্বের রচয়িতা কে ? গড ফাদার তাইনা। স্বর্গ হল নতুন রচনা। যখন বাবা স্বর্গের রচনা করেন তবে নরকে কেন বাস করো ? স্বর্গের মালিক হও না কেন ! তোমাদেরকে নরকের বাদশাহ বানিয়েছে মায়া রাবণ। বাবা তো স্বর্গের বাদশাহ বানিয়ে দেন। রাবণ দুঃখ প্রদান করে তাই রাবণের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে রাবণ দহন করে কিন্তু রাবণ দাহ হয় না। মানুষ বুঝতে পারে না রাবণ কি জিনিস । বলে খ্রীষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে… গীতা শুনিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় কোন্ ন্যাশনালিটি ছিল সেই কথা বোঝাতে হবে তাইনা। মায়া সম্পূর্ণ পতিত বানিয়ে দিয়েছে। কেউ জানেনা স্বর্গের রচয়িতা কে। অভিনেতা হয়েও ড্রামার রচয়িতা, নির্দেশককে জানেনা তাহলে কোনো কথাই নেই ! বিশালতম যুদ্ধ হল – এই মহাভারতের যুদ্ধ বিনাশের জন্য। গায়নও আছে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা… এমন গায়ন করা হয় না কৃষ্ণের দ্বারা স্থাপনা। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ হল সুবিখ্যাত, যার দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়েছে। বাবা স্বয়ং বলেন আমি এই জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করি। তোমরা হলে সত্য ব্রাহ্মণ, রূহানী পান্ডা। তোমাদেরকে এখন বাবার কাছে যেতে হবে। সেখান থেকে এই পতিত দুনিয়ায় আসতে হবে। এই সেন্টার গুলি হল প্রকৃত সত্য তীর্থ, সত্য খণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য। লৌকিক তীর্থ গুলি হল মিথ্যা খণ্ডের জন্য। সেসব হল জাগতিক দেহ বোধের যাত্রা। এ হল দেহী অভিমানী যাত্রা।

তোমরা জানো পুনরায় নতুন দুনিয়ায় এসে নিজের স্বর্ণ মহল নির্মাণ করবো। এমন নয় সাগরের তল থেকে কোনো মহল বেরিয়ে আসবে। তোমাদের তো অনেক খুশীতে থাকা উচিত। যেমন পড়াশোনায় চিন্তা থাকে ব্যারিস্টার হবো ইত্যাদি ইত্যাদি। তোমাদেরও চিন্তন চলা উচিত যে স্বর্গে এমন এমন মহল বানাবো। আমরা শপথ করছি লক্ষ্মীকে অবশ্যই বরণ করবো, সীতাকে নয়। এর জন্য খুব ভালো পুরুষার্থ করার প্রয়োজন আছে। বাবা এখন সত্য জ্ঞান শোনাচ্ছেন, যা ধারণ করে আমরা দেবতায় পরিণত হচ্ছি। নম্বর ওয়ানে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। ম্যাট্রিক যে পাস করে তার নাম খবরের কাগজে বেরোয় তাইনা। তোমাদের স্কুলের লিস্টেরও গায়ন আছে। ৮ জন ফুল পাস, সুবিখ্যাত ৮-টি রত্ন আছে, যারা কর্তব্য পালন করে। ১০৮ এর মালা তো জপ করে। কেউ তো ১৬ হাজারের মালাও তৈরি করে। তোমরা পরিশ্রম করে সার্ভিস করেছ ভারতের, তাই সবাই পুজো করে। এক হল ভক্ত মালা, দ্বিতীয় হল রুদ্র মালা।

এখন তোমরা জানো শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা হল মাতা এবং পিতা হলেন শিব। দৈবী বংশে সর্ব প্রথমে জন্ম হয় শ্রীকৃষ্ণের। রাধাও নিশ্চয়ই জন্ম নিয়ে থাকবে আরও অনেকেই তো পাশ করবে। পরম পিতা পরমাত্মার স্মৃতি বিস্মৃত হলে সম্পূর্ণ দুনিয়া অনাথ রূপে পরিণত হয়েছে। পরস্পর লড়াই ঝগড়া করতে থাকে। তাদের কেউ নাথ নেই। এখন তোমাদের, বাবার পরিচয় সবাইকে প্রদান করতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ বোধের ভান ত্যাগ করে দেহী অভিমানী হয়ে স্মরণের যাত্রায় তৎপর থাকতে হবে, এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হয়ে বাবার পুরোপুরি সহযোগী হতে হবে।

২ ) যা কিছু পুরানো আছে, সেসব থেকে আসক্তি মিটিয়ে ট্রাস্টি হয়ে বাবা ও বর্সাকে স্মরণ করে, বিশ্বের মালিক হতে হবে।

বরদানঃ-

সদা যেন স্মরণে থাকে যে সত্যতার চিহ্ন হল সভ্যতা। যদি তোমাদের মধ্যে সত্যতার শক্তি আছে তবে সভ্যতা কখনও ত্যাগ করবে না। সত্যতাকে প্রমাণিত করো কিন্তু সভ্যতার সঙ্গে। সভ্যতার প্রমাণ চিহ্ন হল নির্মাণ এবং অসভ্যতার চিহ্ন হল জেদ (ক্রোধ যুক্ত)। অতএব যখন সভ্যতাপূর্ণ বোল এবং আচরণ হবে তখনই সফলতা প্রাপ্ত হবে। এ’ হল এগিয়ে যাওয়ার সাধন। যদি সত্যতা আছে এবং সভ্যতা নেই তবে সফলতা প্রাপ্ত হবে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top