30 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
29 March 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা বাবার হয়েছো এই দুনিয়া থেকে মরার জন্য, এমন অবস্থা(স্থিতি) দৃঢ় করো যাতে অন্তিম কালে বাবা ব্যতীত আর কেউই স্মরণে না আসে"
প্রশ্নঃ --
সমগ্র দুনিয়াতে এখন সবথেকে তীব্র কোন্ আগুন এই সময় জ্বলছে, তাকে নির্বাপিত করার উপায় কী ?
উত্তরঃ -:-
সমগ্র দুনিয়াতে এই সময় “কাম”-এর আগুন জ্বলছে, এই আগুন সবথেকে তীব্র। এই আগুন নির্বাপিত করার জন্য রুহানী মিশন একটাই, এর জন্য স্বয়ং-কে ফায়ার ব্রিগেড হতে হবে। যোগবল ব্যতীত এই আগুন নির্বাপিত হতে পারে না। কাম বিকার-ই সকলের সর্বনাশ করে এইজন্য এই ভূতকে বিতারিত করতে যথার্থ রীতিতে পুরুষার্থ করো।
গান:-
জলসায় জ্বলে উঠল বহ্নিশিখা.
ওম্ শান্তি । যে সমস্ত ভালো-ভালো সেবাধারী বাচ্চারা আছে, তারা এই গানের অর্থকে যথার্থরূপে বুঝতে পারবে। এই গান শোনার মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টিচক্র, রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানা যায়। গান বাজানো হয় যাতে মানুষ জানতে পারে। কার দ্বারা ? জ্ঞান সাগরের দ্বারা। বাচ্চারা জানে যে আমরা বাবার হই এই পুরাতন দুনিয়া থেকে মরে আমাদের পরমধামে যাওয়ার জন্য। এই পুরুষার্থ আর কেউই করাতে পারে না এক বাবা ছাড়া । বাবা বলেন আমার হওয়ার জন্য তোমাদেরকে এই দুনিয়ার থেকে মরতে হবে। পরবর্তী সময়ে এমন অবস্থা(স্থিতি) দৃঢ় করতে হবে যাতে এক বাবার স্মরণ ব্যতীত আর কারো স্মরণিক না আসে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে অগ্নি শিখা (শমা) এসেছেন বহ্নি-পতঙ্গদেরকে (পরবানে) সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বহ্নি-পতঙ্গ তো অসংখ্য রয়েছে। প্রদর্শনীতেও দেখো কতো কতো মানুষ আসে। অনেক বাচ্চা তো আবার প্রদর্শনীর অর্থও হয়ত বুঝতে পারে না। পুরাতন দুনিয়াকে নতুন দুনিয়ায় পরিবর্তন করার প্রদর্শনী। পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ হয়ে নতুন দুনিয়ার আবার স্থাপনা কীভাবে হয় – এটা সঙ্গমেই দেখানো হয়। দুটো একত্রে হতে পারে না। একটি অবশ্যই শেষ হবে। তোমাদের মধ্যেও যারা ভালো-ভালো বাচ্চা আছে তারা জানে। রামরাজ্য অর্থাৎ নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। রামরাজ্য স্থাপন হওয়ার পরে রাবণ রাজ্য সমাপ্ত হয়ে যাবে। যখন তোমরা রাম রাজ্যে যাওয়ার মতো তৈরী হচ্ছো তখন তোমাদের মধ্যে কোনো ভূত থাকা ঠিক নয়। ভূতেদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করা উচিত । সর্বপ্রথমে কামের অগ্নিকে নির্বাপিত করতে হবে। নিজের জন্য ফায়ার ব্রিগেড হতে হবে। এই আগুন সবথেকে তীব্র আর একদমই কদর্যে পরিপূর্ণ, যোগবল ব্যতীত নির্বাপিত করা যাবে না। তাই তো এই প্রশ্ন সমগ্র দুনিয়ার। সকলের কামের আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়ে রয়েছে। এই আগুনকে নির্বাপিত করার রুহানি মিশন একটাই। ওঁনাকে অবশ্যই এখানে আসতে হয়। বলা হয় যে ও পতিত-পাবন এসো। পতিত কামীদেরকেই বলা হয়ে থাকে। হে কামের আগুন ভস্মীভূতকারী এসো। এখানে বেশিরভাগই তো হল পতিত। স্বল্প সংখ্যকই কেউ পবিত্র থাকে। তোমাদের উপায় বলে দিই কীভাবে একে নির্বাপিত করবে। এই কাম অগ্নিও সতঃ, রজঃ, তমঃতে আসে। তমোপ্রধান তারাই যারা একদম বিরত থাকতে পারে না। আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়েই থাকে। মানুষের সর্বনাশ এই কাম বিকার-ই করে থাকে। সত্যযুগে কোনো শত্রু থাকে না। ওখানে না রাবণ থাকে, না মানুষের কোনো শত্রু থাকে। তোমরা বোঝাও যে ভারতের সবথেকে বড় শত্রু হল রাবণ। সমগ্র খেলাই ভারতের ওপরে বানানো হয়েছে । সত্যযুগে রামরাজ্য, কলিযুুগে রাবণরাজ্য। কার্টুনেও দেখানো হয়েছে – ওরাও মানুষ, এরাও মানুষ। মানুষ দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে করজোড়ে বলে আপনারা হলেন সর্বগুণ সম্পন্ন, আমরা হলাম পাপী দুঃখী। এই ভারত শ্রেষ্ঠাচারী পবিত্র ছিল অবশ্যই। যেখানে দেবী দেবতারা রাজ্য করতেন। লক্ষী-নারায়ন আর রাম-সীতা, উভয়েরই রাজ্য ছিল। ওনাদেরই হল দৈবী বংশ। প্রজাদের চিত্র তো আর বানাবে না। এখন বাবা কত সহজ ভাবে বোঝান। বাবা বুঝিয়ে বলেন যে, বুদ্ধিতে ধারণা হচ্ছে তো না ? যেরকম আমার বুদ্ধির ধারণাতে বৃক্ষ, ড্রামার নলেজ আমার কাছেই আছে এইজন্য আমাকে জ্ঞান সাগর বলা হয়। সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান আমার কাছেই আছে। আমাকে পবিত্রতারও সাগর বলা হয়। পতিত-পাবন আমাকেই বলা হয় যিনি এসে সমগ্র ভারতকে পবিত্র বানান। এ হলো রাজযোগ আর জ্ঞান। যারা ব্যারিস্টারি পড়ে তাদের সেটাকে বলা হবে ব্যারিস্টারী যোগ, কেননা ঐ পঠন-পাঠনের দ্বারাই ব্যারিস্টার হয়ে থাকে । এই বাবা বলেন যে বাচ্চারা আমি এসে তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। সব রাজারাও ভগবানকে স্মরণ করে। ভগবানের থেকে কি প্রাপ্ত হবে ? অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে।
তোমরা সকলকে জিজ্ঞাসা করো যে পরমপিতা পরমাত্মার পরিচয় জানো ? সেই পিতা রচয়িতা হলে অবশ্যই স্বর্গের রচনা করবেন আর স্বর্গের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করান, যা আমরা বাচ্চারা প্রাপ্ত করেছিলাম। এখন আর নেই আবারও প্রাপ্ত করছি, যেরকম কল্প পূর্বেও ভারতবাসীরা প্রাপ্ত করেছিল। এখন আবার ভারতবাসীরাই প্রাপ্ত করবে। (নারদের মতো) তোমরা বাচ্চারাও জিজ্ঞাসা ক’রো বৈকুণ্ঠে যাবে? ভগবানের থেকে নতুন দুনিয়ার উত্তরাধিকার নেবে ? ভারতই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল, এখন আর নেই, আর কেউ প্রাপ্ত করতেও পারবে না কেননা ভারতই হল ভগবানের জন্মভূমি। তাই চ্যারিটি বিগিন্স্ অ্যাট হোম। এখানকার বাসিন্দাদেরই দেবে। কিন্তু অনেক বাচ্চারা বোঝাতে পারে না। অনেক বাচ্চাদেরকে সাক্ষাৎকারও করিয়ে থাকি। তাদেরকে দেখাই যে তোমরা বৈকুন্ঠের রাজা-রানী (প্রিন্স-প্রিন্সেস) হচ্ছো। এ হলোই মনুষ্য থেকে রাজা হওয়ার পাঠশালা। প্রিন্স হওয়া অথবা রাজা হওয়া একই কথা। এই সাক্ষাৎকার হয় যে পুরুষার্থ করে এইরকম তৈরী হও। বাবার শ্রীমতের আধারে পুরুষার্থ করো। কেবল কৃষ্ণকে দেখলে – এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়। এইরকম তো পূর্বেও অনেকেই দেখেছে, আবার চলেও গেছে। সাক্ষাৎকার হল কিন্তু তারপর পঠন-পাঠন করে না, এইরকম তৈরীও হতে পারে না। এতটা পুরুষার্থ ক’রে না, কেননা ভূতেরা আঘাত হানে।দেহ-অভিমানের শক্তিশালী ভূত রয়েছে। বুদ্ধিতে রাখতে হবে যে খেলা সমাপ্ত হয়েছে। আমরা ৮৪ জন্মের পার্ট সমাপ্ত করেছি, এখন আমরা এই পুরাতন বস্ত্র পরিত্যাগ করছি। এটাও যদি স্মরণে এসে যায় তাহলে অহো ভাগ্য ! খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যাবে। এখন আমরা ফিরে যাচ্ছি মুক্তিধামে। এটা কারোরই বুদ্ধিতে বসে না। সন্ন্যাসীরা তারা বলে আমরা শরীর ছেড়ে ব্রহ্মে লীন হয়ে যাব। কিন্তু তত্ত্বকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হয় না, তাহলে যাবে কীভাবে। নিয়ে যাবেন তো এক রাম-ই, প্রত্যেকটি বাচ্চাকেই নিয়ে যাবেন। নিজে নিজে তো কেউ যেতে পারবে না। পুরুষার্থ করে কেননা এই দুনিয়াতে থাকতে ভালো লাগে না। অনেকে আবার বলে যে আমি এই নাটকে আসিনি। অনেক মত মতান্তর রয়েছে । গুরু গোঁসাই ইত্যাদি সংখ্যায় কোটির কাছাকাছিতে রয়েছে । সবার নিজের নিজের মত রয়েছে । যদিও তারা বলে তোমাদের জ্ঞান খুব ভালো। কিন্তু বাইরে বের হতেই সব শেষ হয়ে যায়। আসে তো অনেকেই কিন্তু তাদের ভাগ্যে নেই। এতটা পদমর্যাদা ছেড়ে আসবে, এটা হতে পারে না, এইজন্য গরিবরাই এই জ্ঞান ধারণ ক’রে। এখানে তো এসে বাবার বাচ্চা হতে হবে। কোনো সন্ন্যাসী গুরু এতসব ফলোয়ার্সদের ছেড়ে আসবে, এ বড়ই কঠিন। তাও আবার এই প্রবৃত্তি মার্গে নারী-পুরুষ উভয়কেই একত্রে থাকতে হয়। নিশ্চয় বুদ্ধিসম্পন্নদের সাথে সাথে পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেখা হয় যে গুরুর আধিপত্য ছাড়তে পেরেছে কি পারেনি। বাবার হতে হয় তাই না। বাবা কাউকে বোঝানোর জন্য সহজ উপায়ের মাধ্যমে বোঝান। কেবলমাত্র জিজ্ঞাসা করতে হবে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমার কি সম্বন্ধ ? উনি অবশ্যই মুক্তি জীবনমুক্তি দেবেন। মনুষ্য, মনুষ্যদের তো দিতে পারবে না। বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য এখানে এসে শিখতে হবে, শ্রীমত যা বলবে তাই করবে! প্রথমে নিশ্চয় বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে, তারপর শ্রীমত অনুসরণ করতে হবে। সবার প্রথমে পরিচয় দিতে হবে বাবার। অনেকেই আসে। ব’লে এই পথ খুব ভালো। কিন্তু নিজেরা নিজেদের ভালো করে না, কেবল নিজের মতামত দিয়ে চলে যায়। এটা জানে না যে তোমরা কার মতানুসারে চলছো। ব’লে এইরকম প্রদর্শনী তো জায়গায়-জায়গায় হওয়া দরকার। মতামত দিতে শুরু করে দেয়। আরে, ঈশ্বরকে কখনোই মতামত দেওয়া যায় ! কিন্তু প্র্যাক্টিসে (অভ্যস্থ) পরিণত হয়েছে এই মতামত প্রদর্শন করার। তাই তারা নিজেদের জন্য কখনই বসে বুঝবে না। এখানে মতামত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, শ্রীমত অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে বাবার হতে হবে, তারপর শ্রীমত অনুসরণ ক’রে, উনি যা নির্দেশ দেবেন সেইভাবে অন্যদেরকে বোঝাতে হবে। আবার যখন কাউকে বোঝাবে যদি সে লিখে দেয় যে শ্রীমত অনুসরণ করব, তখন বোঝা যাবে যে সে কিছু বুঝেছে। আসে তো অনেকেই কিন্তু ভালোভাবে বুঝতে পারে না। তাই তারা জ্ঞানকে ভালোবাসতে পারে না। এই সময় সকলে ভক্তিকে ভালোবাসে। জপ, তপ, পাঠ ইত্যাদি সবকিছুই ভক্তির জন্য করে থাকে। ভগবান বলেন অর্ধ কল্প তোমরা ভক্তি করেছো – ভগবানের সাথে সাক্ষাতের জন্য। সবাই তো ভক্তই হ’লে। ভগবান তো একজনই। একজনকেই বলা হয় পতিত-পাবন। তাহলে তোমরা নিজেরাও সকলে পতিতই হ’লে। এটা হলো রাবণ রাজ্য। এই কল্পের সঙ্গমেরই গায়ন আছে। কল্পের সঙ্গমযুগে যুগে বাবা আসেন।
সত্যযুগ হল কল্যাণকারী স্বর্গ, কলিযুগ হল অকল্যাণকারী নরক। রাবণ হল অকল্যাণকারী, রাম হল কল্যাণকারী। এই নলেজ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সব সময় বেয়ে বেয়ে পড়া উচিত । অধীর থাকতে হবে যে গিয়ে বেচারাদের কল্যাণ করতে হবে। কারো কারো মধ্যে এমনই দুর্বলতা থাকে যে তার জন্য সকলে হয়রান হয়ে যায় । বলে যে বাবা অমুকের মধ্যে এই অবগুন রয়েছে । অনেক সংবাদ আসে। বাবা বলেন যে সংবাদ দিলে তবে তো সর্তকতা দেবো। কোনো অবগুণ থাকলে সেবা কম করবে। আজকাল শিক্ষিত, বিদ্বান, পন্ডিত তো অনেকেই আছে তারা খুব তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন হয়। দুর্বল বাচ্চারা তো মাথা খারাপ করে দেয়, এইজন্য তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওরা মনে করে যে এরা আমাদের থেকে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত। প্রদর্শনী থেকেও বাবা খবরা-খবর নিতে থাকেন – কে কে ভালোভাবে সার্ভিস করছে। এর জন্য অনেক বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তোমরা শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ো ? বলবে, এটা তো আমরা সবাই জানি – এই বেদ শাস্ত্র, জন্ম-জন্মান্তর থেকে সবাই পড়ে এসেছে। এখন আমাদের বাবার নির্দেশ রয়েছে কিছুই পড়তে হবে না। আমি যা শোনাবো সেটাই শোনো। আমার মত অনুসরণ করো, আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এখন মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এসেছি তোমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমি হলাম তোমাদের পিতা। তোমাদেরকে মুক্তি জীবন মুক্তি দেবো। প্রত্যেককে ড্রামা অনুসারে প্রথমে মুক্তিতে যেতে হবে তারপর জীবনমুক্তি, সতোপ্রধানে আসবে। এইজন্য বলা হয় সকলের সদ্গতি দাতা সর্বোদয়া। সর্ব বললে সমগ্র দুনিয়াই এসে যায়। সর্ব অর্থাৎ সমগ্র দুনিয়ার পিতাকেই বোঝানো হয়, ওরা সকলে হল অল্পকালের হদের সার্ভিসকারী। বেহদের সর্বোদয়া লিডার তো একজনই। সমস্ত বিশ্বের উপর দয়া ক’রে বিশ্বের পরিবর্তন করতে আসেন বিশ্ব পরিবর্তনকারী। তোমরা জানো যে বাবা আমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন। এভারহেলদি, ওয়েলদি হয়ে যাব। কিন্তু এটাও কারোর বুদ্ধিতে বসে (ধারণ) না। দুটো অক্ষরও যদি ধারণ হয় তাও ভালো। আমরা হলাম ভগবান পিতার সন্তান। ভগবানের থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। প্রাপ্ত করেছিলাম, এখন আর নেই আবারও প্রাপ্ত করছি। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো এবং অবিনাশী উত্তরাধিকারকেও স্মরণ করো। একে অপরকে এই মন্ত্রই দাও, আমি তোমাদের বেহদের পিতা। ধর্ম স্থাপনার জন্য ধাক্কা তো খেতেই হয়। বুদ্ধিতে এটা রাখতে হবে যে এখন নাটক সমাপ্ত হয়েছে। স্বল্প সময়ই বাকি রয়েছে, যেতে হবে নিজের ঘরে তারপর আমাদের নতুন পার্ট শুরু হবে। এটি বুদ্ধিতে রাখলে খুব ভালো।
বাচ্চারা, তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে পদম ভরপুর। এটি হলো বিপুল উপার্জন। স্বয়ং ভগবান এই উপার্জনের রায় (পরামর্শ) দেন। রায় অনুযায়ী চললে স্বর্গে পৌঁছে যাওয়া যায়। কিন্তু স্বর্গেও আবার উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হবে। এই উপার্জন হল নিঃশব্দে (চুপচাপ) করার। কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম করো কিন্তু মন সর্বদা সাজনের দিকেই থাকুক, তাহলে তরী পার হওয়া যাবে। এট হলো বিপুল উপার্জন। বাবার সেবায় থাকলে স্বতঃতই (অটোমেটিক্যালি) অনেক আমদানি হতে থাকে। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) এখন এই নাটক সমাপ্ত হয়েছে, আমাদের ফিরে যেতে হবে মুক্তিধামে। এই খুশীতে থেকে পুরাতন দেহের অভিমান পরিত্যাগ করতে হবে।
২) এক বাবার মতানুসারে চলতে হবে। বাবাকে নিজের মতামত দেওয়ার দরকার নেই। নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে বাবার থেকে যে শ্রীমত প্রাপ্ত হয়েছে, সেই শ্রীমত অনুসারে চলতে হবে।
বরদানঃ-
রাজযোগী বাচ্চাদের জন্য ভিন্ন-ভিন্ন স্থিতিই হল আসন, কখনও স্বমানের স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও তো কখনও ফরিস্তা স্থিতিতে, কখনও লাইট হাউস, মাইট হাউস স্থিতিতে, কখনও স্নেহ স্বরূপ লাভলীন স্থিতিতে। আসনে যেমন একাগ্র হয়ে বসে ঠিক সেইভাবে তোমরাও ভিন্ন ভিন্ন স্থিতির আসনে স্থিতিতে স্থিত হয়ে ভ্যারাইটি স্থিতি গুলির অনুভব করো। যখন ইচ্ছা তখনই মন বুদ্ধিকে অর্ডার করো আর সংকল্প করার সাথে সাথেই সেই স্মৃতিতে স্থিত হয়ে যাও। তখন বলা হবে রাজযোগী স্বরাজ্য অধিকারী।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!