18 April 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

April 17, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ জীবনের তিন বিশেষত্ব"

আজ বাপদাদা তাঁর সকল সদা সাথে থাকা, সদা সহযোগী হয়ে, সেবার সাথী হয়ে সেবারত আর সাথে যেতে সমর্থ শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদেরকে দেখে পুলকিত হচ্ছেন। সাথে থাকা অর্থাৎ সহজ স্বতঃ যোগী আত্মারা। সদা সেবাতে সহযোগী সাথী হয়ে সাথে যেতে সমর্থ অর্থাৎ বাবা সম জ্ঞানী আত্মারা, সত্যিকারের সেবাধারী। সাথে যেতে সমর্থ অর্থাৎ সমান এবং সম্পন্ন কর্মাতীত আত্মারা। বাপদাদা সকল বাচ্চাদের মধ্যে এই তিনটি বিশেষত্বকে দেখছিলেন যে, তিনটি বিষয়ের মধ্যে বাচ্চারা কতদূর সম্পূর্ণ হয়েছে ? সঙ্গমযুগের শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জীবনের এই তিনটি বিশেষত্বই আবশ্যক। যোগী আত্মা, জ্ঞানী আত্মা এবং বাবা সম কর্মাতীত আত্মা – এই তিনটির মধ্যে যদি একটি বিশেষত্বও কম হয়, তবে ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্বের অনুভাবী না হতে পারা অর্থাৎ সম্পূৰ্ণ ব্রাহ্মণ জীবনের সুখ বা প্রাপ্তি গুলির থেকে বঞ্চিত থেকে যাওয়া। কেননা বাপদাদা সকল বাচ্চাদেরকে সম্পূর্ণ বরদান প্রদান করেন। যথা শক্তি যোগী ভব বা যথা শক্তি জ্ঞানী আত্মা ভব – এমন বরদান দেন না। পাশাপাশি সঙ্গমযুগ, যেটা হল সমগ্র কল্পের মধ্যে বিশেষ যুগ, এই যুগ অর্থাৎ সময়কেও বরদানী সময় বলা হয়ে থাকে। কেননা বরদাতা বাবা বরদান বিতরণ করবার জন্য এই সময় আসেন। বরদাতার আসার কারণে সময়ও বরদানী হয়ে গেল। এই সময়কে এটাই হল বরদান । সর্ব প্রাপ্তি গুলির মধ্যেও সম্পূর্ণ প্রাপ্তি লাভের এটাই হল সময়। সম্পূর্ণ স্থিতিকে প্রাপ্তি করবার এটাই হল বরদানী সময়। আর সম্পূর্ণ কল্পে কর্ম অনুসারে প্রালব্ধ প্রাপ্ত করা বা যেমন কর্ম তেমন ফল স্বতঃতই প্রাপ্ত হতে থাকে । কিন্তু এই বরদানী সময়ে এক কদম তোমার কর্ম আর পদমগুণ বাবার থেকে সহায়তার রূপে সহজেই প্রাপ্ত হয় । সত্যযুগে এক এর পদমগুণ প্রাপ্ত হয় না কিন্তু এখন প্রাপ্ত হওয়া প্রালব্ধের রূপে ভোগ করবার অধিকারী হয়ে যাও তোমরা। কেবল যে’গুলো জমা হয়েছে সে’গুলোই খেতে খেতে নীচে চলে আসতে থাকে। কলা কম হয়ে যায়। একটা যুগ সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে কলাও ১৬ কলার থেকে ১৪ কলা হয়ে যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রাপ্তির সময়ই হল এই সঙ্গমযুগ। এই সময়ে বাবা খোলা মনে সকল প্রাপ্তির ভান্ডার বরদানের রূপে, উত্তরাধিকারের রূপে আর ঈশ্বরীয় পড়াশোনার ফল স্বরূপ প্রাপ্তির রূপে, তিন রূপ সম্বন্ধের দ্বারা তিন রূপে বিশেষ রূপে উন্মুক্ত ভান্ডার, ভরপুর ভান্ডার বাচ্চাদের সম্মুখে রাখেন। যত’র তত – এই হিসাব রাখেন না, বরং এক এর পদমগুণ – এই হিসাবে রাখেন। কেবল নিজের পুরুষার্থ করলে আর প্রালব্ধ পেলে, এইভাবে করেন না। বরং করুণাময় হয়ে, দাতা হয়ে, বিধাতা হয়ে, সকল প্রকারের সম্বন্ধের সম্বন্ধী হয়ে স্বয়ং প্রতি মুহূর্তে সহায়ক হয়ে যান। এক সেকেন্ডের সাহসের অনেক অনেক সম্পদের উত্তরাধিকার সম পরিশ্রমের সহায়তার রূপে সদা সহযোগী হয়ে যান। কেননা তিনি জানেন, এরা হল অনেক অনেক জন্মের দিশেহারা হয়ে যাওয়া নির্বল আত্মা, শ্রান্ত – ক্লান্ত এরা। সেইজন্য এতখানি সহযোগ দেন, সহায়ক হন।

তিনি নিজে অফার করেন যে, সকল প্রকারের বোঝা বাবাকে দিয়ে দাও। নিজে বোঝা বহন করবার জন্য অফার করেন। ভাগ্যবিধাতা হয়ে নলেজফুল বানিয়ে, শ্রেষ্ঠ কর্মের জ্ঞান স্পষ্ট করে বুঝিয়ে ভাগ্যের রেখাকে যতখানি টেনে নিয়ে যেতে পারো টানো। সকল উন্মুক্ত সম্পদের চাবি তোমার হাতে তিনি দিয়ে দিয়েছেন। আর সেই চাবিও কত সহজ। যদি মায়ার ঝড় এসে উপস্থিতও হয়, ছত্রছায়া হয়ে সর্বদা সেফও রাখে। যেখানে ছত্রছায়া রয়েছে, সেখানে ঝড় ঝঞ্ঝা কী করবে ? সেবাধারীও বানাতে থাকে তার সাথে সাথে বুদ্ধিবানদেরও বুদ্ধি হয়ে আত্মাদেরকে টাচও করায়, যাতে নাম হয় বাচ্চাদের, কাজ বাবার, সেটা সহজেই হয়ে যায়। এতখানি আদর আর ভালোবাসা দিয়ে আদরের বানিয়ে প্রতিপালন করতে থাকেন যে, সদাই অনেক দোলনায় দোল খেতে থাকে বাচ্চারা। মাটিতে পা ফেলতে দেন না। কখনো খুশীর দোলায়, কখনো সুখের দোলায়, কখনো বাবার কোলের দোলায় ; আনন্দ, প্রেম, শান্তির দোলায় দুলতে থাকে। দুলতে থাকা অর্থাৎ মজায় দিন কাটানো। এই সকল প্রাপ্তি গুলোই এই বরদানী সময়ের বিশেষত্ব। এই সময় বরদাতা বিধাতা হওয়ার কারণে, বাবা আর সর্ব সম্বন্ধ তার সাথে রাখার কারণে বাবা এখন করুণাময়। এক এর পদম দেওয়ার বিধি এই সময়ের জন্যই। অন্তিম সময়ে তো হিসাবপত্র মেটানোর সাথী রূপে দেখবেন। সাথী কে জানা আছে তো ? তখন এই এক এর পদমগুণের হিসাব সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখন তো তিনি করুণাময়, এরপর হিসাবপত্র শুরু হবে। এখন তো তবু ক্ষমাও করে দেবেন। কড়ি মাত্র ভুলকেও মার্জনা করে আরোই সহায়ক হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওড়াতে থাকেন। কেবল অন্তরে অনুভব মানেই মাফ। দুনিয়াতে যেমন ভাবে ক্ষমা চাওয়া হয় এখানে সেই রীতিতে হয় না, ভুলের অনুভব হওয়া – এটাই হল ক্ষমা লাভের বিধি। অতএব অন্তর থেকে অনুভব করা, কেউ বলার পরে বা সময়ের উপরে ছেড়ে দেওয়ার মনোভাব থাকলে এই ক্ষমা মঞ্জুর হয় না। কোনো কোনো বাচ্চা চতুরও হয়। পরিবেশ দেখে নিয়ে বলে – এখন তো অনুভব করে নাও, ক্ষমা চেয়ে নাও, তারপর দেখা যাবে। কিন্তু বাবাও তো নলেজফুল, তিনি জানেন, তারপর হেসে ছেড়ে দেন। কিন্তু ক্ষমা মঞ্জুর করেন না। বিধি ছাড়া কখনোই সিদ্ধি প্রাপ্ত হয় না, তাই না ! বিধি হল এক কদমের আর সিন্ধি হল পদম কদমের সমান। কিন্তু এক কদমের বিধি তো যথার্থ হতে হবে ! তো এই সময়ের বিশেষত্ব কতখানি বা বরদানী সময় কেন – এ বিষয়ে বললাম।

বরদানঃ-

স্লোগানঃ-

সূচনাঃ – আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। বাবার সব বাচ্চারা সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে ৭.৩০ পর্যন্ত বিশেষতঃ পরমধামের উচ্চ স্থানে স্থিত হয়ে লাইট, মাইট হাউস হয়ে প্রকৃতি সহ সমগ্র বিশ্বকে সার্চ লাইট দেওয়ার সেবা করবেন।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top