28 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 27, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - মানুষের মতে তো তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে চলে থাকো, এখন আমার শ্রীমতে চলে পবিত্র হও তবেই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

অসীম জগতের বাবা বাচ্চাদের কোন্ আশীর্বাদ দেন, আর সেই আশীর্বাদ কারা প্রাপ্ত করে থাকে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা আশীর্বাদ দেন – বাচ্চারা, তোমরা ২১ জন্মের জন্য সদা সুখী থাকবে, অমর থাকবে। কাল (সময়) তোমাদের কখনো গ্রাস করতে পারবে না, অকালে মৃত্যু হবে না। কামধেনু মাতা তোমাদের সকল মনোকামনা পূর্ণ করবে। কিন্তু তোমাদের এই বিষ (বিকার) ত্যাগ করতে হবে। এই আশীর্বাদ তারাই প্রাপ্ত করে থাকে যারা এই অন্তিম জন্মে শ্রীমতানুসারে পবিত্র হয় এবং (অপরকেও) বানায়। বাবা বলেন – বাচ্চারা, জগৎ পরিবর্তন হচ্ছে সে’জন্য অবশ্যই পবিত্র হও।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ..

ওম্ শান্তি । ভগবানের বাচ্চারা গান শুনেছে। ভগবানের বাচ্চা তো এখন সকলেই। মানুষমাত্রেই যারা রয়েছে তারা ভগবানকে বাবা বলে থাকে। তিনি হলেন সকলের একমাত্র পিতা। লৌকিক বাবাকে সকলের বাবা বলা যাবে না। অসীম জগতের পিতা সকলেরই পিতা। সকলের সদ্গতিদাতা আর কারো মহিমা হতে পারে না। সকলেই সেই নিরাকার বাবাকেই স্মরণ করে। তোমাদের আত্মাও নিরাকার তো বাবাও নিরাকার। ওঁনারই মহিমা তোমরা শুনেছো। পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা আপনি উচ্চ অপেক্ষাও উচ্চ, সকলের সদ্গতিদাতা। সকলের সদ্গতি করো তাই তারা স্বর্গের মালিক দেবী-দেবতা হয়ে যায়। মানুষ মানুষের সদ্গতি করতে পারে না। মানুষের কোনো মহিমা নেই। বাচ্চারা, এখন তোমাদের অসীম জগতের বাবার মাধ্যমে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে থাকে। অর্ধেক কল্প তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করো। তাকে রাম-রাজ্য বলা হয়ে থাকে তারপর দ্বাপর থেকে রাবণ-রাজ্য শুরু হয়। ৫ বিকাররূপী ভূতের প্রবেশ ঘটে। যেমন ওই ভূত(অশুদ্ধ আত্মা) যার মধ্যে প্রবেশ করে তখন সে তালজ্ঞানহীন হয়ে পড়ে। তেমনই এই ভূতেদের মধ্যে নাম্বার ওয়ান ভূত হলো কাম-বিকার, যা হলো মহাশত্রু। অর্ধেক কল্প এই ভূতেরা তোমাদের অনেক দুঃখ দিয়েছে। এখন এদের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে পবিত্র হও তবেই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। বাবা-ই সকলকে প্রতিজ্ঞা করায়। বাবা বলেন – তোমরা পবিত্র হওয়ার জন্য রাখী বাঁধো তবেই তোমরা ২১ জন্মের জন্য স্বর্গ, পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। আমি এসেছি পতিতদের পবিত্র করতে। ভারত পবিত্র ছিল যখন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। নামই ছিল সুখধাম। এখন হলো দুঃখধাম। এক তো কাম-কাটারী চালায়, দ্বিতীয় হলো লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে, দেখো কত দুঃখ। বাবা আসেনই সঙ্গমযুগে। এ হলো কল্যাণকারী সঙ্গমযুগ। বাচ্চারা, তোমরা সুখধামে যাওয়ার জন্য নিজেদের কল্যাণ করতে এসেছো। বাবা বলেন, এখন আমার শ্রীমতে চলো। মানুষের মতানুসারে তো তোমরা অর্ধেককল্প চলেছো। সদ্গতিদাতা হলেন একমাত্র বাবাই। ওঁনার শ্রীমতেই তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাও। এছাড়া শাস্ত্র পড়তে-পড়তে তো এখন কলিযুগের অন্ত এসে গেছে। তমোপ্রধান হয়ে গেছে। নিজেকে ঈশ্বর বলে, আর বসে-বসে নিজের পূজাই করিয়ে থাকে। শাস্ত্রতে প্রহ্লাদের কথা দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে যে স্তম্ভের থেকে নরসিংহ ভগবান বেরিয়ে আসেন, তিনি এসে হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন। এখন স্তম্ভের থেকে তো কেউ বেরিয়ে আসতে পারে না। বাকি সবকিছুরই বিনাশ তো হতেই হবে। বাবা বলেন — এই সাধু-সন্ত, মহাত্মা, অজামিলের মতন পাপাত্মাদেরও আমি এসে উদ্ধার করে থাকি। বাবা এসে জ্ঞান অমৃতের কলস মাতাদের উপর রাখেন। গুরু-মাতা ব্যতীত কারও সদ্গতি হতে পারে না। জগদম্বা হলেন কামধেনু, সকলের মনোকামনা পরিপূরণকারী। তোমরা হলে ওঁনার সন্তান। এখন বাবা বলেন, কোনও মানুষেরই কথা শুনো না। পতিতকে পবিত্র করেন একমাত্র বাবা-ই। তাহলে অবশ্যই কেউ পতিতে পরিণতকারীও আছে। রাবণ-রাজ্যে সকলেই পতিত। এখন সেই পতিত-পাবন বাবা এসেছেন স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করার জন্য। তিনি বলেন, ২১ জন্ম তোমরা সদা সুখী থাকবে। আশীর্বাদ দেন, তাই না! লৌকিক মাতা-পিতাও আশীর্বাদ করেন। সে’টা হলো অল্পকালের সুখের জন্য। ইনি হলেন অসীম জগতের মাতা-পিতা, তিনি বলে থাকেন – বাচ্চারা, তোমরা সদা অমর হয়ে থাকো। ওখানে কাল তোমাদের গ্রাস করতে পারবে না। অকালে মৃত্যু হবে না, সদা সুখী থাকবে। কামধেনু মাতা তোমাদের সকল মনোকামনা পূর্ণ করে থাকেন। কেবল বিষ(বিকার) ত্যাগ করতে হবে কারণ অপবিত্ররা ওখানে যেতে পারবে না। বাবা বলেন – আমি তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি, কেবল পবিত্র হও। এমন নয় যে সন্তানের বিয়ে দিতে হবে। না নিজেকে অপবিত্র করবে, না অন্যদেরকেও অপবিত্র হতে দেবে। এই মৃত্যুলোকে অন্তিম জন্মে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে তবেই অমরলোকে যাবে। বাবা বসে আত্মাদের বোঝান। আত্মাই ধারণ করে। বাবা বলেন, তোমরা আমার সন্তান। তোমরা আত্মারা পরমধামে থাকতে, পুনরায় এখন নিয়ে যেতে এসেছি। যারা পবিত্র হবে তাদেরই সঙ্গে করে নিয়ে যাব। তারপর সেখান থেকে তোমাদের স্বর্গে পাঠিয়ে দেব। মীরাও বিষ ত্যাগ করেছিল সেইজন্য তার নামের মহিমা আছে। বাবা বলেন – বৎস, এখন পুরোনো দুনিয়া বদল হয়ে নতুন হয়ে যাবে। নতুন দুনিয়ায় দেবতারা রাজ্য করতেন। আমি ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে থাকি। তোমাদের শ্রীমৎ প্রদান করি, শ্রেষ্ঠ দেবতা হওয়ার জন্য। কৃষ্ণপুরীতে যেতে হবে। দেখো, শ্রীকৃষ্ণের কত মহিমা। তিনি হলেন সর্বগুণসম্পন্ন। আমার মতানুসারে চললে এইরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে যাবে। যারা কল্প-পূর্বে উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিল তারাই শ্রীমতে চলবে। নাহলে আসুরীয় মনমতে চলতে থাকবে। এই বাবাও সেই নিরাকারের থেকে মত নিয়ে থাকেন। শিববাবা ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করে তোমাদের মত দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন – তোমরা সকলেই হলে সজনী বা ভক্ত। অদ্বিতীয় হলেন সাজন (প্রিয়তম) বা ঈশ্বর। মানুষকে কখনো ভগবান বলা যাবে না। এই বিপরীতমুখী মত পাওয়ার জন্যই তোমাদের এ’রকম দুর্গতি হয়েছে। আমিই হলাম একমাত্র পারাপারকারী। এই (পার্থিব) গুরুরা আমার ধামকেই (নিবাসস্থান) জানে না তাহলে আমার কাছে নিয়ে আসবে কীভাবে ? মানুষ তো যেখানেই যাবে সেখানেই মাথা নত করবে, সেইজন্য স্বয়ং আমিই নিতে আসি তারপর তোমাদের স্বর্গধামে পাঠিয়ে দেব। ও’টা হলো বিষ্ণুপুরী, সূর্যবংশীয়। ত্রেতাকে বলা হয় রাম-রাজ্য। তারপর দ্বাপর থেকে শুরু হয় রাবণ-রাজ্য। তখন ভারত শিবালয় থেকে বেশ্যালয়ে পরিণত হয়ে যায়। এই ভারতই সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল, এই ভারতই সম্পূর্ণ বিকারী হয়ে গেছে। এখন তোমরা বাচ্চারা রাজযোগ শিখে সমগ্র বিশ্বের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে নাও। দুই বাঁদরের কথা। আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করি, বিশ্ব-রূপী মাখন তোমরা পাও। তোমরা কেবল শিববাবা আর স্বর্গকেই স্মরণ করো। ঘর-গৃহস্থে থেকেও পবিত্র হও তবেই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। পবিত্রতার জন্যই অত্যাচার হয়ে থাকে। কল্প-পূর্বেও হয়েছিল, অবশ্যই এখনও হবে কারণ তোমরা এখন বিষ দাও না। গাওয়াও হয় — অমৃত ত্যাগ করে কেন বিষ পান করবো। অমৃত পান করতে-করতে তোমরা দেবতা হয়ে যাও। যে পাক্কা ব্রাহ্মণ হবে — সে তো বলবে যাকিছুই হয়ে যাক আমি কিন্তু বিষ দান করবো না। কত সহ্যও করে, তবেই তো উচ্চপদ লাভ করে।

শিববাবাকে স্মরণ করতে করতে শরীরও ত্যাগ করে দেয়। এ হলো শিববাবার আদেশ। আদেশ তো সকলেরই ‌জন্য, সেইজন্য বলেন – আমায় স্মরণ করো তবেই পরমধামে আমার কাছে চলে আসবে। শিববাবা এই মুখ দ্বারা তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের সাথে কথা বলেন। ইনিও হলেন মানুষ। মানুষ কখনো মানুষকে পবিত্র করে দিতে পারে না। বাবাকে আবাহন করে যে পতিতদের এসে পবিত্র করো। তাহলে আমাকে অবশ্যই পতিত দুনিয়াতেই আসতে হবে কারণ এখানে তো কোনো পবিত্র নেই। এখন বাবা বলেন, আমি তোমাদের এই শ্রীকৃষ্ণের মতন পবিত্র, স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিই। যদি কেউ বলে যে আমি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রয়েছি তাহলে বাবা কি করবে! তোমরা জ্ঞান পেয়েছো যে গৃহস্থী জীবনে থেকেও শ্রীমতানুসারে চলো তবেই তোমরা শ্রেষ্ঠ হবে। তোমরা সকলেই হলে ঈশ্বরীয় পরিবারের। শিববাবা, ব্রহ্মাদাদা, তোমরা ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীরূপী পৌত্র-পৌত্রীরা। তোমাদের সকলেরই স্বর্গের উত্তরাধিকার, রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। বাবা স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করেন তাহলে আমরা নিশ্চই বাবার উত্তরাধিকারী। তাহলে অবশ্যই আমাদের স্বর্গে থাকা উচিত। তাহলে আমরা এখন নরকে কেন ? বাবা বোঝান, রাবণ-রাজ্যের জন্য তোমরা নরকে পড়ে রয়েছো। এখন আমি এসেছি তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাবা হলেন মাঝি, সকলকে ওই পারে নিয়ে যান। শ্রীকৃষ্ণ সকলের বাবা নন। স্মরণ একজনকেই করতে হবে। অনেককে স্মরণ করা অর্থাৎ ভক্তিমার্গ। একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করলে তখন অন্তে যেমন মতি হবে তেমনই গতি হয়ে যাবে। অদ্বিতীয় পিতারই শ্রীমতের গায়ন করা হয়, অনেক গুরু-গোঁসাইদের নয়। তারা বলে যে ভগবান নাম-রূপের ঊর্ধ্বে(বাইরে)। কিন্তু নাম-রূপের ঊর্ধ্বে কোনও বস্তু হতে পারে না। আকাশ হলো পোলার তথাপি নাম তো আছে, তাই না! এই ভারত এখন কত কাঙ্গাল, দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাবা বলেন, যখন এ’রকম অবস্থা হয়ে যায়, তখন আমি এসে ভারতকে সোনার পাখি (ঐশ্বর্যশালী) বানিয়ে দিই। খড়ের গাদায় (পুরোনো দুনিয়ায়) আগুন তো লাগবেই। সমস্ত পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে গিয়ে নতুন হবে। বাচ্চারা, শ্রীমতানুসারে তোমরা স্বর্গের রাজধানী স্থাপন করছো। এ হলো ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন। বাকি সব হলো আসুরীয় অধ্যয়ন। এই পড়ার মাধ্যমেই তোমরা স্বর্গবাসী হয়ে যাও, ওই (পার্থিব) পড়ার মাধ্যমে তো তোমরা নরকবাসী হয়ে যাও। দিনে-দিনে এখন দৈবী-বৃক্ষ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। মায়ার তুফানও অনেক আসে, তবেই বাবা বলেন, এ হলো দুঃখধাম। এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করো, পরমধামকে স্মরণ করো আর সুখধামকে স্মরণ করো তবেই তরী পার হয়ে যাবে। বাবা আসেন দুঃখধাম থেকে শান্তিধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর সুখধামে পাঠিয়ে দেবেন। এখন দুঃখধামকে ভুলতে থাকো। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞান এবং যোগের দ্বারা নিজের বন্ধনকে ছিন্ন করতে হবে। এই দুঃখধামকে ভুলে শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে।

২ ) যদি কিছু সহন করতে হয়, প্রাণও ত্যাগ করতে হয় তবুও বাবা পবিত্র হওয়ার যে নির্দেশ জারী করেছেন, সে পথে চলতেই হবে। কখনো অপবিত্র হবে না।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগেই ব্রাহ্মণদের ব্রাহ্মণ থেকে ফরিস্তা হতে হয়, ফরিস্তা অর্থাৎ যাদের পুরোনো দুনিয়া, পুরোনো সংস্কার, পুরোনো দেহের প্রতি আকর্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনটির থেকেই মুক্ত, সেইজন্য ড্রামায় প্রথমে থাকে মুক্তির উত্তরাধিকার তারপর জীবনমুক্তির। তাই ফরিস্তা অর্থাৎ মুক্ত, আর মুক্ত ফরিস্তাই জীবনমুক্ত দেবতা হবে। যখন এ’রকম ব্রাহ্মণ তথা সম্পূর্ণ আকর্ষণমুক্ত ফরিস্তা তথা দেবতা হবে তখন প্রকৃতিও হৃদয় বা প্রাণ, সিক বা (আন্তরিক) প্রেমের সঙ্গে তোমাদের সকলের সেবা করবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য —

“কীভাবে পরমাত্মা করণ-করাবনহার হয়ে থাকেন ?”

অনেক মানুষ এমন ভেবে বসে আছে যে এই যে অনাদি পূর্ব-নির্ধারিত সৃষ্টি-ড্রামা চলছে তা পরমাত্মার দ্বারাই চালিত হচ্ছে, সেইজন্য তারা বলেন যে কিছুই মানুষের হাতে নেই….. করণ-করাবনহার হলেন স্বামী(মালিক)…. সবকিছু পরমাত্মাই করিয়ে থাকেন। সুখ-দুঃখ দুই ভাগই পরমাত্মাই রচনা করেছেন। এখন এ’রকম বুদ্ধিসম্পন্নদের বুদ্ধি কেমন বলা হবে ? সর্বপ্রথমে এদের এ’টা অবশ্যই বোঝাতে হবে যে এই অনাদি পূর্ব-নির্ধারিত সৃষ্টির খেলা যা এখন সে-ই পরমাত্মা রচনা করছেন, সে’টাই চলতে থাকে। যাকে আমরা বলে থাকি পূর্ব-নির্ধারিত খেলা অটোমেটিক চলতেই থাকে। তাই পরমাত্মার উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে যে এ’সবকিছু পরমাত্মাই করে থাকেন। এই যে পরমাত্মাকে করণ-করাবনহার বলা হয়ে থাকে, এই নাম এখন আবার কোন্ ব্যক্তিত্বের উপর পড়েছে ? এখন সেই কথা বুঝতে হবে। প্রথমে তো এ’টা বুঝতে হবে যে সৃষ্টির এই যে অনাদি নিয়ম আছে তা হলো পূর্ব-নির্ধারিত, যেমন পরমাত্মাও অনাদি, মায়াও অনাদি আর এই চক্রও হলো আদি থেকে নিয়ে অন্ত পর্যন্ত অনাদি অবিনাশী পূর্ব-নির্ধারিত। যেমন এ’টাই মনে করা হয় যে বৃক্ষের জ্ঞান বীজেই নিহিত আছে, তাই না! আর এ’টাও মনে করা হয় বীজের জ্ঞান বৃক্ষে নিহিত রয়েছে, দুই-ই কম্বাইন্ড, দুই-ই অবিনাশী, বাকি বীজে কি কাজ রয়েছে! বীজ বোনা আর বৃক্ষের উৎপত্তি হওয়া। যদি বীজ বপন করাই না হয় তাহলে গাছ উৎপন্নও হবে না। তাই স্বয়ং পরমাত্মাও হলেন এই সমগ্র সৃষ্টির বীজরূপ আর পরমাত্মার পার্ট হলো বীজ বপন করা। পরমাত্মাই বলেন, যখন বীজ বপণ করি তখন আমিই পরমাত্মা। যদি বীজ বপণ করা না হয় তাহলে বৃক্ষ বেরোবে কীভাবে ! আমার নাম তখনই পরমাত্মা যখন আমার কার্য হয় পরম, আমার কার্যই হলো এই যে আমি স্বয়ং পার্টধারী হয়ে বীজ বুনে থাকি। সৃষ্টির সূচনাও করে থাকি আর অন্তও করে থাকি, আমি কর্তা হয়ে বীজ বপণ করি। বীজ বপণ করার অর্থ রচনা করা। পুরানো সৃষ্টির বিনাশ করা আর নতুন সৃষ্টির সূচনা করা – একেই বলা হয় পরমাত্মা সবকিছু করে থাকেন।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top