25 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 24, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা হলেন তোমাদের পিতা টিচার এবং গুরু, জীবিত থেকে তাঁর আপন হয়ে মালায় স্থান অর্জন করতে হবে”

প্রশ্নঃ --

তোমরা বাচ্চারা কোন্ দৃঢ় নিশ্চয়ের আধারে পাকা ব্রাহ্মণ হতে পারবে ?

উত্তরঃ -:-

তোমাদের সর্বপ্রথমে এই দৃঢ় নিশ্চয় হয়েছে যে এই দুটি চোখ দিয়ে যা কিছু দৃশ্যমান – সেসব হল পুরানো। এই দুনিয়া খুবই নোংরা, ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, এই দুনিয়া আমাদের থাকার যোগ্য নয়। বাবার কাছে আমরা নতুন দুনিয়ার বর্সা প্রাপ্ত করি, এই দৃঢ় নিশ্চয়ের আধারে তোমরা জীবিত থেকে এই পুরানো দুনিয়া এবং পুরানো দেহের প্রতি মৃত সম হয়ে বাবার আপন হও। তোমাদের এই নিশ্চয় আছে যে বাবার দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়।

গান:-

মরণ তোমার পথে..

ওম্ শান্তি । এই গান পাথরবুদ্ধি বাচ্চারা গেয়েছে, তারা এখন গান গাইছে পরশবুদ্ধি বা স্পর্শ বুদ্ধি হওয়ার জন্য। একটি গানও আছে যে পাথর গান গেয়েছে। ওই স্থূল পাথর তো গান গায় না, কিন্তু পাথরবুদ্ধি মানুষ গান গায়। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় বুদ্ধি প্রাপ্ত করেছো। ঈশ্বর নিজের সন্তানদের বুদ্ধি প্রদান করেছেন। যখন আমরা ঈশ্বরের আপন হই তখন দেহ সহ আমরা সম্পূর্ণ দুনিয়ার কথা ভুলে যাই। কারণ এই দুনিয়া থাকার যোগ্য নয়। খুব নোংরা, ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, এখানে অনেক মনোমালিন্য আছে, কুকর্মের ব্যবসা আছে। কোনো সুখ নেই, তাই আমরা বাবার গলার মালায় স্থান অর্জন করি। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবা আমরা আপনার আপন সন্তান হই। তখন পুরানো দুনিয়া, পুরানো দেহের প্রতি অনাসক্ত হই, কারণ আমরা জানি আপনার কাছে নতুন দুনিয়ার বর্সা প্রাপ্ত হয়। যতক্ষণ না এই নিশ্চয় হচ্ছে ততক্ষণ ব্রাহ্মণ হওয়া সম্ভব নয়। জীবিত থেকেই বাবার আপন হতে হবে। নিরাকার পিতাকেই বলা হয় বাবা। আপনি হলেন আমাদের পিতা, টিচার ও সদ্গুরু । আপনি আমাদের প্রত্যক্ষফল প্রদান করেন। পিতার রূপে বিশ্বের বাদশাহী রূপী বর্সা প্রদান করেন। শিক্ষকের রূপে সম্পূর্ণ ব্রহ্মান্ড এবং দুনিয়ার আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ প্রদান করেন। সদ্গুরুর রূপে আমাদেরকে মুক্তিধামে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, তারপরে জীবনমুক্তিতে পাঠিয়ে দেবেন। বাচ্চারা বলেও থাকে বাবা আমরা আপনার সঙ্গে যাব। আপনিই হলেন আমাদের প্রকৃত সদ্গুরু । ওই গুরুরা সঙ্গে নিয়ে যান না। তারা তো মুক্তি জীবনমুক্তির পথ জানেন না। তারা বাবাকে সর্বব্যাপী বলে দেন তাহলে বর্সা কে প্রদান করবে! কাকে বলা হবে ও গড! এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা নিরাকার শিববাবার আপন হয়েছি। এখন আমাদের দেহের বোধ বিছিন্ন হয়েছে। আমরা আপনার ডাইরেকশন অনুসারে চলি। আপনি বলেন দেহের সম্বন্ধ গুলির প্রতি বুদ্ধি সরিয়ে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমাকে স্মরণ করো। যখন আত্মা দেহ ত্যাগ করে তখন স্থিতি থাকে তুমি মরলে তোমার দুনিয়াও মৃত। তখন কোনো সম্বন্ধ থাকে না। যতক্ষণ মায়ের গর্ভে প্রবেশ না করছে ততক্ষণ তোমার জন্য কোনো দুনিয়া নেই। তোমরা দুনিয়ার থেকে পৃথক হয়ে থাকো। এখন বাবা বলছেন বাচ্চারা, তোমরা জীবিত থেকে সব কিছু ভুলে আমার আপন হও। আমি তোমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাব। এই দুনিয়ার বিনাশ হবে। দেবতারা কখনও পতিত দুনিয়ায় আসেন না। মা লক্ষ্মীর আহবান করলে স্বচ্ছ করা হয়, কিন্তু এই দুনিয়া তো সত্যযুগ নয় যে লক্ষ্মীর আগমন হবে। তখন নারায়ণ আসবেন কীভাবে ? তাহলে মহালক্ষ্মীর চারটি ভূজ কেন দেখানো হয়েছে ? কেউ জানেনা যে এরাই দুইজন একত্রে উপস্থিত। এমন কোনো চিত্র বানানো হয় না যার ৪ টি ভূজ থাকবে। তাহলে দুইটি মুখ দিতে হবে। ৪ টি পা তো কখনোই দেখাবে না, কারণ এমন মানুষ তো কখনই হয় না। এই সব বোঝানোর জন্য যে এরা হলেন যুগল লক্ষ্মী-নারায়ণ একত্রে। আলাদা হলে দুটি ভূজ, দুটি পদ চরণ হবে। বাবা বলেন সর্ব প্রথমে এই কথাটি নিশ্চয় করাও যে আমাদের পিতা, শিক্ষক ও গুরু তিনজনই আছে, উনি আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। তাঁর কোনো শিষ্য চেলা ইত্যাদি নেই যে পরে জ্ঞান প্রদান করে নিয়ে যাবে। বাবা বোঝান এখন ফিরে যেতে হবে, কারণ মঞ্চস্থ নাটকটি পূর্ণ হয়েছে। বাবা বলেন আমি সকলের সদ্গতি দাতা পতিত-পাবন । কালেরও কাল। এই যমদূত ইত্যাদির সাক্ষাৎকার হয় কারণ পাপ কর্মের দন্ডও ভোগ করে। যদিও যমালয় ইত্যাদি কিছুই নেই। আত্মা এক দেহ ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। গর্ভেও দন্ড ভোগ করে ত্রাহি ত্রাহি করে। এখন সর্ব প্রথমে বাচ্চাদের এই দৃঢ় নিশ্চয় করতে হবে যে শিববাবা হলেন আমাদের পিতা টিচার ও সদ্গুরু এবং একের স্মরণ করতে হবে। রচনাও হল একটিই । ১০ বা ১০০ জন রচয়িতা হয় না, ১০ খানি দুনিয়াও হয় না।

বাচ্চারা বলে বাবা আমরা আপনার গলার মালায় স্থান নেব। তারপরে আমাদের রুদ্র মালা তৈরি হবে। এই সময় তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে পুরুষার্থী। তোমাদের মালা তৈরী হবে না, কারণ তোমরা উত্থান ও পতনে লিপ্ত থাকো। তোমরা জানো আমরা বাবার গলার মালা হয়ে পরে বিষ্ণুর মালা হয়ে যাব। সর্বপ্রথমে আপনার নিরাকারী মালায় পরমধামে আসব পরে সাকারী মালা হয়ে বিষ্ণু লোকে আসব। মানুষ এইসব কথা জানে না। বাচ্চারা বলে আমরা জীবিত থেকে বাবা তোমার আপন হই। নাহলে সাকারী মানুষ সাকারী মানুষকে অ্যাডপ্ট করে। এখানে তোমরা নিরাকার আত্মা, তোমাদেরকে নিরাকার শিববাবা অ্যাডপ্ট করেন। ব্রহ্মার দ্বারা বলেন হে আত্মারা তোমরা আমার আপন সন্তান। এমন বলেন না যে হে সাকার তুমি আমার । এখানে নিরাকার, নিরাকারকে বলে আমি আপনার আপন সন্তান। বাকিরা যারা অ্যাডপ্ট করে তারা শরীরটাই দেখে। নিজেকেও আত্মা নিশ্চয় করে না। ভাই ভাইকে অ্যাডপ্ট করলে কি প্রাপ্ত হবে ? এখানে তো পিতা অ্যাডপ্ট করেন, বর্সা প্রদান করার জন্য। এই কথা গুলি খুবই গুহ্য যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করবে তাদের বুদ্ধিতে এই কথা গুলি স্থির থাকবে। নিরাকার বাবা বলেন – দেহের বোধ বা ভান ত্যাগ করে আমার আপন হও তবে আমি তোমাদের নিরাকারী দুনিয়ায় সঙ্গে করে নিয়ে যাব। শ্রীকৃষ্ণের আত্মাকে পরমাত্মা বলবে না। কৃষ্ণ তো পুরো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজধানী চলেছে। রাজা হল রাজা, রানী হল রানী। সবার নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন পার্ট আছে। ৮৪ জন্ম নেয়। একজনের কথা নয়। পুনর্জন্ম তো সবাইকে নিতে হবে। বাচ্চারা, তোমাদের বোঝাতে হবে – ৮৪-র চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। ৮৪ লক্ষ জন্ম বলে দিয়ে পুরো কথাটাই ভুল হয়ে গেছে। লক্ষ বছরের কথা তো কারো স্মরণেও নেই। এখন স্মরণে এসেছে। আজ দুনিয়া হল ভ্রষ্টাচারী, আগামীকাল শ্রেষ্ঠাচারী হবে। আমরা লিখতে পারি যেমন শাস্ত্রে লেখা হয়েছে আমরা নিউ ইন্ডিয়া বানিয়ে ছাড়ব। এবারে নিউ ইন্ডিয়া তো হয় নিউ ওয়ার্ল্ডে। সেখানে দেবতা ধর্মের পরিবর্তে অন্য কোনো ধর্ম থাকেই না। এখন তো ভারতে অসংখ্য ধর্ম আছে। অনেক প্রকারের শাখা-প্রশাখা আছে, এইসবই হল শেষের সময়ের। এও দেখানো হয়েছে লক্ষ্মী-নারায়ণ, তারাই এখন ব্রহ্মা -সরস্বতী হয়েছে। পুনরায় ব্রহ্মা-সরস্বতীই হবেন সেই লক্ষ্মী-নারায়ণ তাই দেখানো হয়েছে বিষ্ণুর থেকে ব্রহ্মার উদয়, ব্রহ্মার থেকে বিষ্ণু উদিত হয়েছেন। তোমরা এখন হতে চলেছো বিষ্ণুর কুলের । খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে তাদের যারা ভালো ভাবে বুঝবে যে যথাযথভাবে এখন নাটক পূর্ণ হচ্ছে। নাটক বললে আদি মধ্য অন্ত সবটাই স্মরণে এসে যায়। তোমাদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান সমঝদার হবে বেহদের ড্রামার কথা তাদের স্মরণে থাকবে। প্রথমে হয় সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্ব তারপরে বাইরের থেকে অনেকে আসে। বৈশ্যবংশী, শূদ্রবংশী হয়। আমরা আত্মারা এইভাবে ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকি। এই কথাও অনেকের স্মরণে থাকে না। ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান থাকা উচিত। এ হল ৫ হাজার বছরের নাটক, এই কথাটি বুদ্ধিতে থাকা উচিত। আত্মা আকারে খুবই ছোট। ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করে । পরমাত্মার আকারও খুব ছোট। উনিও পার্ট প্লে করার বন্ধনে আবদ্ধ। ড্রামার বশে আছেন। সঙ্গম আসবে তখন তাঁর পার্ট প্লে করার সময় ইমার্জ হবে। শাস্ত্রে যদিও লিখে দিয়েছে ভগবানের সঙ্কল্প উৎপন্ন হয়েছিল যে নতুন সৃষ্টির রচনা করি, কিন্তু এমন ভাবে লেখা আছে যে কেউ বুঝতে পারেনা। সেসব হল পাস্টের কথা। তোমরা প্রাক্টিক্যালে পার্ট প্লে করছো। তোমরা জানো আমাদের পিতা-টিচার-গুরু তিন রূপেই আছেন। লৌকিক পিতাকে কখনও এইরকম বলা হবে না। গুরুকে তো গুরুই বলবে। এখানে তো তিন রূপে একজনই আছেন। এই কথাটি বুঝতে হবে। নলেজফুল গড ফাদারকেই বলা হয়। ওনার মধ্যে সম্পূর্ণ বৃক্ষের নলেজ রয়েছে কারণ তিনি হলেন চৈতন্য। এসে সম্পূর্ণ নলেজ দেন। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমরা এই দেহ ত্যাগ করে বাবার সঙ্গে চলে যাব। যখন তোমরা কর্মাতীত হয়ে যাবে তখন তোমাদের মধ্যে কোনো ভূত থাকবে না। দেহ-অভিমান হল প্রথম নম্বরের ভূত। এই সব ভূতের মধ্যে বড় ভূত হল রাবণ। ভারতেই রাবণের দহন প্রচলিত আছে, কিন্তু রাবণ কি বস্তু, তা কেউ জানেনা। এই দশহরা বা বিজয়া দশমী, দীপ মালা বা দীপাবলী কখন থেকে পালন হচ্ছে, কিছুই জানেনা। শেষকালে এই রাবণের মৃত্যু হবে নাকি এমনই চলতে থাকবে, কিছুই জানা যায় না। রাবণের দহন করার পরেও পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠে কারণ তারই রাজত্ব চলছে। সত্যযুগে রাবণ থাকে না। সেখানে যোগ বলের দ্বারা সন্তানের জন্ম হয়, যখন যোগ বলের দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হতে পারো তাহলে যোগের দ্বারা সন্তান জন্ম নিতে পারবে না কেন। সেখানে রাবণের অস্তিত্ব নেই, ভোগ করার নাম চিহ্ন নেই তাই শ্রীকৃষ্ণকে যোগেশ্বর বলে। তিনি হলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী। যোগী কখনও ভোগ বা বিকার গ্রস্ত হয় না। যদি ভোগী হবে তবে যোগের সিদ্ধি হবে না। এখন তোমরা যোগ শিখছো। ভোগী হলে অথবা বিকার গ্রস্ত হলে যোগ যুক্ত হতে পারবে না। বাচ্চারা তোমরা পিতা শিক্ষক গুরু তিনজনের বর্সা একত্রে প্রাপ্ত কর। সদ্গুরু সবাইকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, নিয়ে তো সবাইকে যাবেন কিন্তু তোমরা গলার মালা হয়ে যাও। সজন (শিববাবা) সব সজনীদের (আত্মাদের) সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। সর্বপ্রথমে সজন এগোবেন তারপরে থাকবে সূর্য বংশী, চন্দ্রবংশী তারপরে তাদের সম্পূর্ণ বংশধররা, ইসলামদের বংশধর, বৌদ্ধদের বংশধর। সব আত্মাদের নিজস্ব সেকশনে গিয়ে বসতে হবে। আত্মা হল স্টার, নক্ষত্র। এই কথাটি খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। ভাগ্যবান আত্মারা ধারণ করতে পারবে, ধারণ করে অন্যদের বোঝাবে। তারা পরে মহিমাও লেখে। অমুক আত্মা আমাদের এমন বুঝিয়েছে যে আমাদের বুদ্ধির কপাট খুলে গেছে, সে আমাদের জীবন দান করেছে, তখন তার সঙ্গে প্রীতির সম্বন্ধ তৈরি হয়ে যায়। তাকেই স্মরণ করতে থাকে, তখন তার সঙ্গে বুদ্ধি যোগ ছিন্ন করা হয়। মিডিয়েটরকে স্মরণ করা হয় না। সে তো নিজের মিডিয়েটর হওয়ার কর্তব্য করেছে, ব্যস্। তারপরে সজনকে (শিববাবা কে) সজনীরা স্মরণ করে। ব্রহ্মাও হলেন মিডিয়েটর। স্মরণ শিববাবাকেই করতে হবে। এই মিডিয়েটর (ব্রহ্মাও) তাঁকেই স্মরণ করেন, এনার কোনো মহিমা নেই। ইনি তো হলেন পতিত। প্রথমে এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনাকে পবিত্র করেন। একজন পতিত, এক হলেন পবিত্র। সূক্ষ্মবতনে ব্রহ্মা হলেন পবিত্র। তারও চেহারা দেখানো উচিত। বোঝানো হয় বার বার, কিন্তু যখন এসে বাবার আপন হয়। বাবা আমরা আপনার আপন হয়েছি। আপনি আমাদের পিতা, টিচার এবং সদ্গুরু । বাবা বলবেন আমিও তোমাদেরকে স্বীকার করি, কিন্তু স্মরণে রেখো আমার সম্মান হারাবে না। আমার আপন হয়ে বিকার গ্রস্ত হবে না । বাস্তবে এসময় সবাই হল নরক বাসী। স্মরণ করে স্বর্গকে। বলে অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে। এখন স্বর্গ আছে কোথায় ? যদি স্বর্গে গেছে তো এখানে আহবান করে ভোজন ইত্যাদি করাও কেন ? পতিত দুনিয়ায় পতিত ব্রাহ্মণদের ভোজন করাও। পবিত্র তো কেউ নয়। কিন্তু এই ছোট কথাটিও কেউ বুঝতে পারেনা। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞান প্রদানকারী মিডিয়েটরের সঙ্গে প্রীতি না রেখে একমাত্র শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। তিনি জীবনদান করেন।

২ ) এই অসীম জগতের নাটকের কথা বুদ্ধিতে রেখে অসীম খুশীতে থাকতে হবে। দেহের বোধ ত্যাগ করে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

বরদানঃ-

সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণ আত্মাদের কর্তব্য হল সদা খুশীতে থাকা এবং খুশী বিতরণ করা কিন্তু তার জন্য খাজানা ভরপুর থাকা দরকার। এখন অতি দুঃখের সময় কাছে আসবে তখন অনেক আত্মারা কিছুক্ষণের খুশীর অনুভূতি চাইতে আসবে। অতএব সেই সময় এত সেবা করতে হবে যাতে কেউ খালি হাতে ফিরে না যায়। তার জন্য চেহারায় সদা খুশীর চিহ্ন যেন থাকে, কখনও মুড অফ করা, হেরে যাওয়া, উদাসীন চেহারা যেন না থাকে। সদা খুশীতে থাকো এবং খুশীর বিতরণ করতে থাকো – তখন বলা হবে হিরো হিরোইন পার্টধারী।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top