23 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 22, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

*"মিষ্টি বাচ্চারা - কোনো কর্ম যেন বিকর্ম না হয় সেইদিকে সম্পূর্ণ রূপে মনোযোগী হতে হবে, প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার শ্রীমত নিয়ে কর্ম করতে হবে"*

প্রশ্নঃ --

বিকর্ম হওয়া থেকে কারা রক্ষা পেতে পারে ? বাবার সহায়তা কারা পায় ?

উত্তরঃ -:-

যারা বাবার প্রতি স্বচ্ছ থাকে, প্রতিজ্ঞা করে বিকার দান করার পর কখনও ফিরিয়ে নেওয়ার সঙ্কল্পও করে না, তারাই বিকর্ম করা থেকে বেঁচে যায়। বাবার সহায়তা তারাই পেয়ে থাকে যারা কর্ম, বিকর্ম হওয়ার আগেই বাবার কাছ থেকে পরামর্শ নেয়। সাকার বাবাকে সঠিকভাবে সত্য খবর শুনিয়ে থাকে। বাবা বলেন বাচ্চারা, সার্জনের কাছে কখনও রোগের কথা লুকিয়ে রাখা উচিত নয়। পাপকে লুকালে সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে, পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে, সাজাও ভোগ করতে হবে।

গান:-

শৈশবের দিনগুলি ভুলে যেও না..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা শুনেছে গানের মধ্যে বাবা বাচ্চাদের সাবধান করে বলছেন যে তোমরা এখন ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছ, তোমরা জানো আমরা ঈশ্বরের সন্তান। সম্পূর্ণ দুনিয়া বিশ্বাস করে যে উনি গডফাদার। ফাদার অর্থাৎ আমরা সবাই তাঁর সন্তান। পরমপিতা তো বাচ্চারাই বলবে। তোমরা হলে লৌকিকের বাচ্চা। এখন পারলৌকিক বাবার হয়েছ। কেন হয়েছ ? অসীমের পিতার কাছ থেকে অনন্ত সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য। বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, সুতরাং অবশ্যই স্বর্গে দেবতাদের বাদশাহী আছে। এসব জেনেই তোমরা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছ। রাজার যদি সন্তান না থাকে তবে সন্তান দত্তক নিয়ে থাকে। বিত্তবানের সন্তানকেই দত্তক নেয়, কখনও গরিবের সন্তানকে দত্তক নেয় না। কিছু লাভ হবে তবেই তো দত্তক নেবে। তোমরাও এখন জেনেছ আমরা ঈশ্বরের হয়েছি, ওঁনার কাছ থেকে স্বর্গের বাদশাহী পাব। এমন বাবাকে কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, ওঁনার মতে চলা উচিত। রাবণের মতে চললে বিকর্ম করতেই থাকবে। ৫ বিকারের বশীভূত হওয়া উচিত নয়। কখনও কোথাও প্রতারণার শিকার হলে সঙ্গে-সঙ্গে বাবার মত নাও। কর্ম-বিকর্ম হওয়ার আগেই বাবাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে বাবা আমি কি এটা করতে পারি ! সুতরাং বোঝান হয় কখনও দেহ-অভিমানে আসবে না। নিজেকে আত্মা মনে করে পরমপিতা পরমাত্মার শ্রীমতে প্রতি পদক্ষেপে চলতে হবে। কখনও কোনো কথা বুঝতে না পারলে জিজ্ঞাসা করে বাবা আমি অমুকের প্রেমে পড়েছি। আমি কাম-বাসনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছি। তুফান তো আসবেই, কিন্তু নিজেকে সামলে চলতে হবে। একবার নর্দমায় পড়া অর্থাত্ অসীমের পিতাকে ভুলে গিয়ে নিজের মুখ কলঙ্কিত করা। বাবা তোমাদের সুন্দর করে তুলতে এসেছেন সেইজন্য ৫ বিকারের ফাঁদে কখনোই ফেঁসে যেওনা। ফেঁসে যাবে তখনই যখন দেহ-অভিমান থাকবে। দেহী-অভিমানী হলে বাবার ভয় থাকবে। বিকার গ্রস্ত হলে বড় বিকর্ম হয়ে যাবে কেননা তোমরা বিকারকে দান করে দিয়েছ। যদি দান করে ফিরিয়ে নাও তবে তেমনই অবস্থা হবে যেমন হরিশ্চন্দ্রের দৃষ্টান্ত আছে। এখানে পয়সার কোনো বিষয় নেই। এখানে ৫ বিকার দানের কথা বলা হয়েছে। তোমাদের কাছে যে কাঁটা আছে সেটা দান করে দাও তারপর কখনও সেটা কার্যে ব্যবহার করবে না। আবার ফিরিয়ে নিলে বাবার কাছে বলতে হবে। না বললে পাপ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। বারবার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়বে। বাবাকে বললে সহায়তা পাবে। আমরা শিববাবার সন্তান। বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি,কখনও হেরে যাব না। ৫ বিকার রূপী শত্রুর সাথে এখন জেতার বক্সিং চলছে। তার কাছে কখনও হার মানব না। যদি নিচে নামি শিববাবা তো জানতে পারবেন। চিঠি লেখার আদেশ দিয়েছেন বাবা, না লিখলে বিকর্ম বৃদ্ধি পেতে থাকবে আর শতগুণ সাজা ভোগ করতে হবে। বাবাকে বললে অর্ধেক কেটে যাবে। এমন অনেক বাচ্চারা আছে যারা লজ্জায় কোনো খবরই দেয় না। যেমন কোনো খারাপ রোগ হলে সার্জনকে বলতে সঙ্কোচ বোধ হয়। সার্জেন তখন কি বলবে ? এতে কি লাভ হবে? রোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। বাবা বোঝান বাচ্চারা কোনো পাপ করে থাকলে লুকিয়ে রেখো না। এতে পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে আর কল্প-কল্পান্তর এভাবেই পদ পাবে না, আর জ্ঞানও ধারণ করতে পারবে না। বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে বাবা তার কি গতি হবে? বাবা বলেন তাকে অধিক দন্ড ভোগ করতে হবে। প্রলয়ের সময় তোমাদের সব কর্মের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে না! মানুষ যেমন কাশীতে আত্মাহুতি (কাশী কলবট) দেয়। প্রকৃত অর্থে তোমরাই এখন শিববাবার কাছে নিজেদের উৎসর্গ করছ। উত্তরাধিকার দাবি করার জন্য তোমরা শিববাবার সন্তান হও। কিন্তু যারা কাশীতে নিজেকে ঘাত করে, তারা আসলে জীবঘাত করে। নবধা ভক্তি করে আত্মাহুতি দেয়, তারা যে পাপ কাজ করে ঐ সময় সেটা ভোগ করে পাপ মোচন করে। কিন্তু পাপ কর্ম করা থেকে তো বিরত হতে পারে না। যোগ অগ্নি দ্বারাই পাপ ভস্মীভূত হয়। মায়ার রাজ্যে কর্ম-বিকর্মই হয়। সত্যযুগে বিকর্ম হয়না কেননা ওখানে মায়া নেই। এখন সম্পূর্ণ দুনিয়া ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে। প্রথম নম্বরে ভ্রষ্টাচার হচ্ছে বিকারে আসা। জন্মই যেখানে ভ্রষ্টাচারে হয়, সেখানে পাপ তো তারা করবেই। এটা হচ্ছে রাবণ রাজ্য। রাবণকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু রাবণ কি জিনিস কিছুই জানে না। ৫ বিকারকেই বলা হয় রাবণ। স্বর্গে এসব বিকার থাকে না, সেইজন্যই তাকে নির্বিকারী ওয়ার্ল্ড বলা হয়। সেখানে অন্য কোনো রাজ্য অথবা খন্ড থাকে না। ইসলাম, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্ম সব পরে আসে। ওরাও প্রথমে সতোপ্রধান হয় তারপর রজঃ তমঃ হয়। সত্যযুগ ত্রেতা সম্পূর্ণ রূপে নির্বিকারী ছিল। এখন ধীরে-ধীরে সম্পূর্ণ রূপে বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বিকারগ্রস্ত হতেও সময় লাগে। সত্যযুগে ১৬ কলা, তারপর ১৪ কলা এইভাবে ধীরে-ধীরে কলা হ্রাস পেতে থাকে। এখন তোমাদের উত্তরণের কলা চলছে। উত্তরণের কলা রাম তৈরি করেন, অবতরণের কলা রাবণ তৈরি করে। যেমন চাঁদের কলা ধীরে-ধীরে কম হতে থাকে। দুনিয়াও ঠিক এরকম, এখন কোনো কলাই অবশিষ্ট নেই। ঠিক এই সময়েই বাবা এসে আবার ১৬ কলা করে তোলেন। এই খেলা সম্পূর্ণ রূপে ভারতকে কেন্দ্র করেই ঘটে থাকে। বর্ণ প্রথাও এই ভারতেই হয়। নাহলে ৮৪ জন্মের হিসেব কিভাবে হবে ? বাবা বোঝান এটা হচ্ছে আয়রন এজেড দুনিয়া। কলিযুগের শেষ সময় তারপর সত্যযুগের প্রারম্ভিক সময় শুরু হবে। যে দৈবী ধর্মাবলম্বীরা ধর্ম ভ্রষ্ট, কর্ম ভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল তারাই আবার আসবে। তোমরা এসেছ তাইনা। দেখ কল্প বৃক্ষের ঝাড়ের শেষে ব্রহ্মা দাঁড়িয়ে আছেন। যিনি তমোপ্রধান এবং নিচে বসে তপস্যা করছেন-সতোপ্রধান হওয়ার জন্য। যেমন ব্রহ্মা তপস্যা করছেন, তেমনই ব্রহ্মাকুমার কুমারীরাও করছে। এখন এই ব্রহ্মা সতোপ্রধান হচ্ছেন, ওনার মধ্যেই পরমাত্মা এসে নিজ পরিচয় দিয়ে থাকেন। ওনাকে যেমন বলে থাকেন, তেমনই বাচ্চাদেরও বলেন। বাবা আর তোমরা বাচ্চারা কল্প বৃক্ষের নিচে বসে তপস্যা করছ দেবতা হওয়ার জন্য। এই মন্দির হুবহু তোমাদের স্মৃতি স্মারক বহন করে চলেছে। এমন কোনো বুদ্ধিমান বাচ্চা হলে এই মন্দিরের সম্পূর্ণ হিস্ট্রি – জিয়োগ্রাফী বলুক যে কত উচ্চ থেকে উচ্চতর এই মন্দির। এখানে মাম্মা আছেন, বাবাও আছেন আর বাচ্চারা তপস্যা করছে। যারা ভারতকে স্বর্গ করে তুলেছে তাদের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী শুনলে বিদেশিরাও বলবে – এ তো আমাদের বাবার মন্দির, যিনি ভারতকে স্বর্গ করে তোলেন। যিনি প্র্যাকটিক্যালী এই সময় বসে আছেন। এটা তো কেউ-ই জানে না। সব চিত্রই অন্ধশ্রদ্ধা থেকে তৈরি করা হয়েছে, একে ভূত পূজা বলা হয়, পুতুলের পূজা। গুরু নানকের আত্মা যিনি শিখ ধর্মের স্থাপনা করেছিলেন তাঁর আত্মা নতুন ছিল, নির্বিকারী ছিল। সেই আত্মা কোথায় এসেছিল ? নিশ্চয়ই কোনো শরীরে প্রবেশ করেছিল। সুতরাং পবিত্র আত্মা কখনও দুঃখ ভোগ করতে পারে না। প্রথমে সে সুখ ভোগ করবে তারপর দুঃখ ভোগ করতে হবে। এমন কোনো কর্মই করেনি সুতরাং দুঃখ কেন ভোগ করবে ? আমরাও প্রথমে সম্পূর্ণ থাকি তারপর ধীরে-ধীরে কলা হ্রাস পেতে থাকে। প্রতিটি মানুষকেই এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মানুষ আহ্বান করে বলে হে পতিত-পাবন এসো নিশ্চয়ই তিনি এসে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করবেন আর পতিত দুনিয়ার বিনাশ করবেন। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা আর শঙ্করের দ্বারা বিনাশ করিয়ে থাকেন, কত চমৎকার যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। এসব তাদের বুদ্ধিতেই বসবে যারা দেবী-দেবতা ধর্মের হবে, সেইজন্যই বাবা বলেন ভক্তদের এই জ্ঞান প্রদান কর। অনেকেই জানে না যে আমরা প্রথমে দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম তারপর অসুর হয়ে গেছি। লক্ষ্মী-নারায়ণ সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছে। এখন তোমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ, যারা পরে আসবে তারা ব্রাহ্মণ হবে না। এইসব বিষয় তাদের বুদ্ধিতেই বসবে যাদের বুদ্ধিতে কল্প পূর্বেও বসেছিল। তা না হলে বাইরে বেরোবে আর সব শেষ( বাইরের আকর্ষণ ভুলিয়ে দেবে)। এতে পরিশ্রম আছে অন্যান্য জায়গায় নানা কথা শুনে ঘরে ফিরে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। গুরুকে ফলো করে না তাদের ফলোয়ার্স কীভাবে বলবে। গুরুরাও তাদের কিছুই বলে না। যদি বলে তাহলে তাদের একজনও ফলোয়ার্স থাকবে না তখন তারা খাবে কি করে ! ওরা তো গৃহস্থদের কাছ থেকেই খেয়ে থাকে। তারপর বিকারগ্রস্ত পরিবারেই জন্ম নিতে হয়। দেবতারা তো সন্ন্যাস নেয় না। এ’হলো প্রবৃত্তি মার্গের সন্ন্যাস। ওটা নিবৃত্তি মার্গের সন্ন্যাস। বাবা এসে স্ত্রী পুরুষ উভয়কেই বোঝান। বাচ্চারা সম্পূর্ণ পবিত্র হলে সম্পূর্ণ রাজ্য পদ পাবে। কম পবিত্র হলে কম পদ পাবে। মা-বাবাকে ফলো করতে হবে।

বাবা বলেন – মা-বাবার মতো পরিশ্রম (পুরুষার্থ) করলে প্রসিদ্ধ হতে পারবে। মুখ্য বিষয়ই হলো পবিত্রতা। দেহ-অভিমান ত্যাগ করো। আমি আত্মা, বাবা আমাকে নিতে এসেছেন, পবিত্র হলেই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে। কুম্ভের মেলা বলা হয়। ওটা হচ্ছে ত্রিবেণী ইত্যাদি নদীর মেলা, যাকে সঙ্গম বলে থাকে। বাস্তবে এটা হলো অনেক নদী আর সাগরের মেলা। তোমরা সবাই জ্ঞানের নদী – বাবা জ্ঞানের সাগর। বাবা বলেন আমার সাথে যোগযুক্ত হলে তোমরা পতিত থেকে পাবন হতে পারবে। মরতে তো হবেই। বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে, সুতরাং এখনই ভক্তির ফল ভগবানের কাছ থেকে নিতে পার। তা না হলে বুঝব তোমরা ভক্তি করইনি। ভক্তি যারা করেছে তারাই এসে রাজ্য-ভাগ্য নেবে। বাবা কত সুন্দর যথার্থ রীতিতে বুঝিয়ে থাকেন। বাকি সবার বুদ্ধিতে তো শাস্ত্রের কথাই থাকবে। এখানে জ্ঞানের সাগর বাবা এসে বোঝান আর তোমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠছ। রাজধানী স্থাপন করতে কত পরিশ্রম হয়। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ-অভিমানে এসে কখনও বিকারের জালে ফেঁসে যেও না। কর্ম, বিকর্ম না হয় সেইজন্য কর্ম করার আগে বাবার কাছ থেকে পরামর্শ নাও।

২ ) মা-বাবাকে ফলো করতে হবে। উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পবিত্র অবশ্যই হতে হবে।

বরদানঃ-

পাশ উইথ অনারের (সম্মানের সাথে) সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করার জন্য মুখ আর মন দুটোকেই আওয়াজের ঊর্ধ্বে শান্ত স্বরূপ স্থিতিতে স্থিত হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আত্মা শান্তির সাগরে সমাহিত হয়ে যাবে। এই সুইট সাইলেন্সের অনুভূতি বড় মিষ্টি। এতে তন আর মনের আরাম হয়। অন্তিমে এই অশরীরী হওয়ার অভ্যাসই কাজে আসবে। শরীরে কোনো খেলা (দোলাচল, অসুস্থতা) চললে, অশরীরী হয়ে আত্মা সাক্ষী হয়ে নিজের শরীরের পার্ট দেখলে এই অবস্থাই অন্তিমে বিজয়ী করে দেবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য –

“সৃষ্টিতে কখনও প্রলয় হয়না”

সৃষ্টির বুকে কখনও প্রলয় হয়না। এই যে মানুষ মনে করে বসে আছে যে এই সৃষ্টিতে প্রলয় কখনো অবশ্যই হয়, সেই প্রলয়কে এমনই মনে করে যে, প্রলয়ের অর্থ হচ্ছে সৃষ্টি জলমগ্ন হয়ে যাওয়া। নতুন সৃষ্টি স্থাপন হয়, যেভাবে নতুন সৃষ্টির শুরু দেখানো হয়েছে, কীভাবে শ্রী কৃষ্ণ সৃষ্টির আদিতে অশ্বত্থ পাতার উপর আঙুল চুষতে-চুষতে এসেছে।

তারা এইভাবেই সৃষ্টির শুরু দেখিয়েছে, এটা ভাববার বিষয়। যখন আমরা বলি প্রলয় মানে সবকিছু জলমগ্ন হয়ে যাওয়া, এর অর্থ পৃথিবীতে একজন মানুষও আর অবশিষ্ট নেই। মানুষ জানে না প্রলয়ের অর্থ কি ? প্রলয়ের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে জগতে এত অপবিত্রতার কারণে সৃষ্টি দুঃখী হয়ে পড়েছে, ঐ অপবিত্রতার প্রলয় ঘটে আর সৃষ্টি পবিত্র হয়ে ওঠে অর্থাৎ তমোগুণী থেকে সতোগুণী হয়ে ওঠে। সুতরাং এর অর্থ হলো সৃষ্টিতে প্রলয় হয়না আসুরি অবগুণের প্রলয় (বিনাশ) হয়। কোনো মানুষের প্রলয় হয়না। যদি সৃষ্টিতে প্রলয় ঘটত তবে গীতায় ভগবান যে বলেছেন সৃষ্টি অনাদিকাল ধরে চলে আসছে, তবে কি ভগবানুবাচ মিথ্যা বলে ধরা হবে ? পুরানো দুনিয়া অর্থাৎ তমোগুণী সৃষ্টি বিনাশ হয়ে নতুন সতোগুণী দুনিয়া স্থাপন হয়। সুতরাং বিনাশ আর স্থাপনার কাজ দুটোই একসাথে চলে। এমন নয় যে সৃষ্টি প্রলয় হয়ে যায়। এই সৃষ্টিতেই স্বর্গ আর নরক স্থাপন হয়ে থাকে। যখন স্বর্গ হয় তখন নরক থাকে না, আর যখন নরক হয়ে যায় তখন স্বর্গ থাকে না। স্বর্গ তাকেই বলা হয় যেখানে পবিত্র দেবতাদের নিবাসস্থান আর নরক বলা হয় মৃত্যু লোককে যেখানে অপবিত্র মনুষ্য আত্মাদের নিবাসস্থান, সুতরাং অপবিত্রতার প্রলয় হয়ে যায়।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top