16 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 15, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে যজ্ঞ রক্ষক, এই যজ্ঞই তোমাদেরকে মনোবাঞ্ছিত ফল প্রদান করবে"

প্রশ্নঃ --

কোন্ দুটি বিষয়ের আধারে ২১ জন্মের জন্য সব দুঃখের থেকে তোমরা মুক্ত হতে পারো ?

উত্তরঃ -:-

ভালোবেসে যজ্ঞের সেবা করো আর বাবাকে স্মরণ করো, তবে ২১ জন্মে কখনোই দুঃখী হবে না। দুঃখের অশ্রুপাত করতে হবে না। বাচ্চারা, তোমাদের জন্য বাবার শ্রীমৎ হল – বাচ্চারা, বাবাকে ছাড়া আর কোনো আত্মীয় পরিজন কাউকেই স্মরণ করবে না । বন্ধনমুক্ত হয়ে ভালোবাসার সাথে যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করো, তাহলে মনোবাঞ্ছিত ফল প্রাপ্ত হবে ।

গান:-

শৈশবের দিন গুলি ভুলে যেও না…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা গীত শুনলো আর এর অর্থও বুঝতে পেরেছে যে, এটা হল আমাদের ঈশ্বরীয় জন্ম, আমরা যাদেরকে মাম্মা বাবা বলি তাঁদের মতানুসারে চললেই আমরা বিশ্বের মালিক হবো। কেননা তাঁরা হলেন বিশ্বের রচয়িতা। এই নিশ্চয়ের কারণেই তোমরা এখানে বসে আছো আর বিশ্বের মালিকানার উত্তরাধিকার নিচ্ছো। এই যে পুরানো বিশ্ব এটা তো বিনাশ হতে চলেছে। এতে কোনোই সুখ নেই। সবাই বিষয় সাগরে গুঁতো খাচ্ছে। রাবণের শৃঙ্খলে বদ্ধ থেকে দুঃখী হয়ে সবাইকে মরতে হবে। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। বাচ্চারা জানে যে, আমরা যার হয়েছি তার থেকে আমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করব। তিনি আমাদেরকে রাজযোগ শেখান। যেমন ব্যারিস্টার বলবে আমি ব্যারিস্টার বানাবে। বাবা বলেন তোমাদেরকে দ্বি-মুকুটধারী বানাব। শ্রীলক্ষ্মী-নারায়ণ বা তার ডিনায়েস্টির (রাজত্বের) উত্তরাধিকার দিতে এসেছি। তার জন্য তোমরা রাজযোগ শিখছো। এইসব কথা ভুলো না। মায়া ভুলিয়ে দেবে, পরমপিতা পরমাত্মার থেকে বিমুখ করিয়ে দেবে। তার কারবারই হল এটা। যখন থেকে তার রাজত্ব শুরু হয়েছে, তোমরা বিমুখ হতে থেকেছো। এখন তোমরা কোনো কাজের নও। তোমাদের চেহারা যদিও মানুষেরই মতো, কিন্তু স্বভাব একেবারে বাঁদরের মতো। এখন তোমাদের চেহারা মানুষের, স্বভাব দেবতাদের মতো বানাচ্ছি। সেইজন্য বাবা বলেন, শৈশবকে ভুলে যেও না, এতে কোনো প্রকারেরই কষ্ট নেই। নির্বন্ধন যারা তাদের বিষয়ে তো বলা হয় অহো সৌভাগ্য ! সেই মাতা – পিতা তো ছেলেমেয়েদেরকে বিকারের দিকে এগিয়ে দেয় আর এই মাতা – পিতা স্বর্গে নিয়ে যান। জ্ঞান স্নান করাচ্ছেন। আরাম করে সবাই বসে রয়েছে। হ্যাঁ অবশ্যই শরীরের দ্বারা কাজকর্ম তো করতেই হবে। বেহদের বাবার কাছ থেকে বর্সা প্রাপ্ত হচ্ছে আর কারোর কথা স্মরণ করে কষ্ট পেতে হয় না। কিন্তু যদি বন্ধন থাকে তবে তাদের কথা মনে করলে কষ্ট হবে। কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়ল, কোনও বন্ধুর কথা মনে পড়ল, বায়োস্কোপ মনে পড়ল… তোমাদেরকে তো বাবা বলেন যে আর কাউকেই স্মরণ করবে না। যজ্ঞের সেবা করো আর বাবাকে স্মরণ করো তাহলে ২১ জন্ম তোমরা কখনোই দুঃখ পাবে না। দুঃখের অশ্রু বিসর্জন করতে হবে না। এই রকম অসীম জগতের মা – বাবাকে কখনোই ত্যাগ করা উচিত নয়। যজ্ঞের সেবা করা উচিত। তোমরা হলে যজ্ঞ – রক্ষক। যজ্ঞের সকল প্রকারের সেবা করতে হবে । এই যজ্ঞ মনোবাঞ্ছিত ফল প্রদান করে থাকে অর্থাৎ জীবনমুক্তি, স্বর্গের রাজত্ব দিয়ে থাকে। তাহলে এই রকম যজ্ঞের কতখানি রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত! কতখানি শান্তি থাকা উচিত! যে কেউ এলে তারা যেন ভাবতে পারে যে এখানে তো সুখ – শান্তি লেগেই আছে। এখানে কোনো রকমেরই আওয়াজ করা উচিত হবে না। রাবণের রাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে এসেছি আমরা। এখন আমরা রাম রাজ্যে যাব। বন্ধনমুক্ত যারা তাদের জন্য তো অহো সৌভাগ্য। লক্ষপতি কোটিপতির থেকেও তারা হল মহান সৌভাগ্যশালী যে, তারা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছে। যাদের বন্ধন ছিন্ন হয়েছে তাদের বিষয়ে বলা হবে অহো সৌভাগ্য! যারা বন্ধনমুক্ত হয়ে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেবে তাদের ভাগ্যও প্রসন্ন হয়ে যাবে। বাইরে তো হল ভয়াবহ নরক, যেখানে দুঃখ ছাড়া সুখ বলে কিছু নেই। এখন বাবা বলেন অন্য সকল চিন্তা গুলিকে ছেড়ে, যজ্ঞের সার্ভিস ভালবাসার সাথে করো। ধারণা করো। সবার আগে নিজের জীবনকে হীরের মতন বানাতে হবে। শ্রীমতের আধারেই তা তৈরী হবে। এখানে তো সব বাচ্চারা বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে গেছে। নিজের স্বভাবকেও খুব ভালো রাখতে হবে, সতোপ্রধান হতে হবে। নাহলে তো সতোপ্রধান রাজত্বে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। যজ্ঞের থেকে যা কিছু প্রাপ্ত হবে তাকে স্বীকার করতে হবে। বাবা এ বিষয়ে অনুভাবী। তিনি যত বড়ই জহুরী হোন না কেন, যখনই কোনো আশ্রমে যাবেন আশ্রমের নিয়ম মেনেই চলবেন। সেখানে এইভাবে কোনো কিছু চাওয়া যায় না যে আমাকে অমুক জিনিসটা দাও। অত্যন্ত রয়্যালটির সাথে যে আহার সকলের প্রাপ্ত হয় সেটাই খেতে হয়। এই ঈশ্বরীয় আশ্রমে অত্যন্ত শান্তির প্রয়োজন।

যে পিয়ার সাথে রয়েছে… সেও বাপদাদা দু’জনেই বসে রয়েছেন। তাদের সম্মুখে বসে বাচ্চারা শোনে। এখন যদি সার্ভিসের উপযুক্ত না হও তবে কল্প কল্পান্তরের জন্য পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অন্ধদের লাঠি হয়ে, এই মহামন্ত্র সকলকে দিতে হবে। এটাই হল সঞ্জীবনী বুটি। কোনো কোনো বাচ্চাকে মায়া একেবারেই বেহুশ করে দেয়। এই যুদ্ধের ময়দানে তো বলা হয় যে, বাবা আর বর্সাকে স্মরণ করো। এটাই হল সঞ্জীবনী বুটি। হনুমান তো হলে তোমরাই। তোমরাই নম্বর অনুসারে মহাবীর হয়ে থাকো। অনেকেই আছে যারা বেহুশ হয়ে পড়ে রয়েছে। তাদেরকে হুশে আনলে তারাও তাদের জীবনকে কিছুটা হলেও গড়ে নিতে পারবে। দেহের প্রতিও মোহ রাখবে না। মোহ রাখা উচিত বাবা আর অবিনাশী জ্ঞান রত্নে। যত ধারণা হবে ততই অন্যদেরকেও করাবে। বাবা বলেন জ্ঞানী আত্মা হল আমার প্রিয়। প্রদর্শনীর সার্ভিসের জন্য বাবা জ্ঞানী বাচ্চাদেরকেই খোঁজেন। বোঝানো তো খুব সহজ। বড় বড় মানুষজন শুনে খুব খুশী হন। তখন তারা ভাবেন জীবন এই সংস্থার দ্বারাই তৈরী হতে পারে। কিন্তু সেও কোটির মধ্যে কেউ কেউ বোঝে। এ হল অসীম জগতের সন্ন্যাস। যা কিছু এই পুরানো দুনিয়াতে দেখতে পাচ্ছ সবই শেষ হয়ে যাবে। এখন তো বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। ফিরে যেতে হবে নিজ ধামে। আবার আমরা সূর্যবংশী কুলে গিয়ে রাজত্ব করব। রাজত্ব করেছিলাম, তারপর মায়া ছিনিয়ে নেয়। কত সহজ সব কথা। মিষ্টি মিষ্টি বাবাকে স্মরণ করতে হবে । হৃদয় যেন বাবার সাথেই যুক্ত থাকে। বাকি কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম করতে হবে। শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। আদরের মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, বাবা বলেন, মুখ থেকে কেবল যেন জ্ঞান রত্নই বের হয়, পাথর বের করবে না। কোনো প্রকারের সংসার সমাচারের কথা যেন না বের হয় । নাহলে মুখ তেঁতো হয়ে যাবে। একে অপরকে রত্ন দিতে থাকো। তোমাদের কাছে তো রত্নের ঝুলি রয়েছে । মানুষ তো বিনাশী ধন দান করে। ভারতকে মহাদানী বলা হয়ে থাকে। এই সময় বাবা বাচ্চাদেরকে দান করেন, বাচ্চারা বাবাকে দান করে। বাবা শরীর সহ সব কিছু হল আপনার। বাবা তখন বলেন, এই বিশ্বের বাদশাহী তোমাদের । এই পুরানো দুনিয়ার সব কিছু শেষ হয়ে যাবে, তাহলে আমরা বাবার সাথে সওদা করিনা কেন ! বাবা এ’সব কিছু আপনার। ভবিষ্যতে আমাদেরকে রাজত্ব দেবেন। আমরা এটাই চাই, আর কোনো জিনিসের আমাদের দরকার নেই। এমন যেন কেউ না ভাবে যে আমরা তন – মন – ধন দিয়ে দিলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। না, এ হল শিব বাবার ভান্ডার, যার দ্বারা সকলের শরীরের নির্বাহ হয়ে থাকে আর হতেও থাকবে। দ্রৌপদীর মতো। এখন প্র্যাকটিক্যালে সেই পার্ট চলছে। শিব বাবার ভান্ডার সর্বদা ভরপুর রয়েছে । এও একটা পরীক্ষা ছিল। যারা ভয় পেয়ে গেল তারা চলে গেল। বাকি যারা সাথ দেওয়ার তারা চলে এল। না খেয়ে মরার কোনো ব্যাপারই নেই। এখন তো বাচ্চাদের জন্য মহল তৈরী হচ্ছে। ভালো যদি থাকতে হয় তবে পরিশ্রম করে উচ্চ পদ বানাতে হবে। এ হল কল্প কল্পের বাজি। এইবার পরীক্ষায় ফেল যদি হও তবে কল্প কল্পান্তর ধরে হতেই থাকবে। পাশও এই রকম হতে হবে যাতে মাম্মা বাবার সিংহাসনে বসতে পারো। ২১ জন্ম ধরে পরের পর সিংহাসনে বসবে।

এক বাবাকে ছাড়া আর কাউকেই স্মরণ করবে না। মুরলী লেখা হল খুব ভালো সার্ভিস, সবাই খুশী হবে, আশীর্বাদ করবে। বাবা এর হাতের লেখা খুব সুন্দর। নাহলে বলবে বাবা, হাতের লেখা ভালো নয়, লাইন বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে পাঠায়। আমাদের রত্ন চুরি হয়ে যায়। বাবা আমরা হলাম অধিকারী বাচ্চা – আপনার মুখ থেকে যে রত্ন নির্গত হয় সবই যেন আমাদের কাছে আসে। তারাই এ’কথা বলবে যারা অনন্য বাচ্চা হবে। মুরলীর সেবা খুব ভালো ভাবে করা উচিত। সব ভাষা শেখা উচিত। মারাঠী, গুজরাতি ইত্যাদি… । বাবা যেমন দয়াবান, বাচ্চাদেরকেও দয়াবান হতে হবে। পুরুষার্থ করে জীবন গড়ে তুলবার জন্য সহযোগী হতে হবে। বাকি সেই দুনিয়ার জীবন তো একেবারেই নীরস। একে অপরকে কাটতে থাকে। মানুষ কতো পতিত। এখন কেননা আমরা বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলি। বাবা আমি আপনার, আপনি যে সার্ভিসে আমাকে নিয়োজিত করতে চান, করবেন। তখন বাবা রেস্পন্সিবল থাকবেন। অ্যাসাইলামে যারা আসবে বাবা তাদেরকে সব বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেবেন। বাকি এই দুনিয়া কলুষিত হয়ে গেছে। ঈশ্বর সর্বব্যাপী বলে বিমুখ করে দিয়েছে। যদি সর্বব্যাপী হন, কাছেই বসে আছেন, তবে হে প্রভু বলে আহ্বান করার কী দরকার ? তাদেরকে বোঝাতে গেলে চ্যাঁচামেচি শুরু করে দেয়। আরে ভগবান স্বয়ং বলেন আমি তো কখনো বলিনি যে আমি সর্বব্যাপী। এ তো ভক্তিমার্গের লোকেরা লিখে দিয়েছে। আমি নিজেও তো পড়তাম। কিন্তু সেই সময় এটা বুঝতাম না যে এটা কোনো গ্লানি। ভক্তরা কিছুই জানতে পারে না, তাদেরকে যা কিছুই বলো সেটাকেই সত্য বলে মেনে নেয়। বাবা কতো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেন, কিন্তু তারপর বাইরে গিয়ে হাঙ্গামা করতে থাকে। তাহলে পরে সেখানে গিয়ে দাস দাসী চাকর বাকর হবে। বাবা বলে দিয়েছেন শেষে গিয়ে যখন সময় হবে তখন তোমরা জানতে পারবে। সাক্ষাৎকার করতে থাকবে আর বলতে থাকবে যে, অমুকে অমুকে এই এই হবে। সেই সময় তখন মাথা হেট হয়ে যাবে, তখন সেই খুশী থাকবে না, রাজত্ব যারা পাবে তাদের যে খুশী হবে। ভিতরে ভিতরে মনের মধ্যে যেন কাঁটার খোঁচা লাগতে থাকবে যে এটা কী হল ! কিন্তু তখন টু লেট। খুব অনুশোচনা হবে তখন। তখন আর কিছুই হবে না। বাবা বলবেন – তোমাকে এত বোঝাতাম আর তুমি ও’সব করতে। এখন নিজের হাল দেখো। কল্প কল্পান্তর তখন অনুতাপ হবে। সজনীদেরকে তো নম্বর ক্রমানুসারেই নিয়ে যাব তাই না ! নম্বর ওয়ান থেকে লাস্ট জন পর্যন্ত বুঝবে। পড়াশোনা করেনি বলেই লাস্টে বসে আছে। পরীক্ষার দিন গুলিতে বুঝতে পারা যায় যে, আমরা কত মার্কস নিয়ে পাশ করব। তোমরা বুঝতে পারবে যে আমরা কী পদ পাবো। সার্ভিস যদি না করো তবে ধূলো জুটবে। পড়াশোনা আর সার্ভিসের উপরে নজর দিতে হবে। তোমরা হলে মিষ্টির থেকেও মিষ্টি বাবার সন্তান, তাই তোমাদেরকে খুব মিষ্টি হতে হবে। শিব বাবা কতো মিষ্টি, কতো প্রিয়! আমাদেরকে আবারও এই রকম বানান। কতো বড় ইউনিভার্সিটি এটা! আচ্ছা।

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত। আত্নাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ সহ সব কিছুর থেকে মোহ বের করে দিয়ে, বাবা এবং অবিনাশী জ্ঞান-রত্নের প্রতি মোহ রাখতে হবে। জ্ঞান-রত্ন দান করে যেতে হবে।

২ ) পড়াশোনা আর সার্ভিসের ওপরে সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে। বাবার সমান মিষ্টি হতে হবে। জগৎ সংসারের খবরাখবর – না নিজে শুনবে, না অন্যকে শুনিয়ে মুখ তিক্ত করবে।

বরদানঃ-

যেমন গোলাপ ফুল কাঁটার মাঝে থেকেও আলাদা আর সুগন্ধ যুক্ত হয়ে থাকে, কাঁটার কারণে খারাপ হয়ে যায় না, এইরকম যারা হল আত্মিক গোলাপ, তারা সকল জাগতিক পরিধির থেকে বা দেহের থেকে পৃথক থাকে। কোনো কিছুর প্রভাবে তারা আসে না। তারা আত্মিকতার সৌরভে সম্পন্ন থাকে । এইরকম সুরভি যুক্ত আত্মারা বাবার এবং ব্রাহ্মণ পরিবারের প্রিয় হয়ে ওঠে । পরমাত্ম ভালোবাসা হল অগাধ, অটল, এতো যে সকলে তা পেতে পারে। কিন্তু তাকে প্রাপ্ত করবার বিধি হল – অনাসক্ত (ন্যারা) হওয়া।

স্লোগানঃ-

অমূল্য জ্ঞান-রত্ন (দাদীদের পুরানো ডায়েরি থেকে) –

এই জ্ঞান বল হল অনেক বড় এবং এই জ্ঞান আত্মার ভিতরে ভরা থাকে। বাইরে হয়ত হাত দিয়ে কাজ করছো, কিন্তু আন্তরিক শুদ্ধ বৃত্তির দ্বারাই পদের প্রাপ্তি হয়ে থাকে। আন্তরিক বৃত্তিতেই সব কিছু স্বাহা করে দেওয়া উচিত। যদি আন্তরিক বৃত্তিতে সব কিছু স্বাহা না করে আর বাইরে যত কাজই করুক না কেন তাদের পদ প্রাপ্ত হয় না । স্বাহা করার সময় মনে যেন কখনো না আসে যে আমি সব কিছু স্বাহা করেছি। আমি করেছি – এই কর্তা ভাব যদি মনের মধ্যে রয়ে যায়, তবে তার থেকে আসন্ন সব প্রাপ্তি চলে যাবে। তখন তার থেকে কোনও ফল নির্গত হবে না, নিস্ফল হয়ে যায় । সেইজন্য কর্তা ভাবের অভাব থাকা চাই। এই আন্তরিক বৃত্তি থাকা উচিত যে, বিশাল ফিল্ম অনুসারে সব কিছু হয়ে থাকে, আমি নিমিত্ত হয়ে পুরুষার্থ করছি। এই আন্তরিক মন্সার বৃত্তির দ্বারাই পদের প্রাপ্তি হয়ে থাকে। ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top