09 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

8 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরানো দেহ-ভাব ভুলে যাও, এর প্রতি মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেললে তোমরা ফার্স্ট ক্লাস শরীর পাবে, এই শরীর তো শেষ হয়েই আছে"

প্রশ্নঃ --

এই ড্রামাতে অটুট নিয়ম কোনটি, যা মানুষ জানে না ?

উত্তরঃ -:-

যখন জ্ঞান থাকে কিন্তু ভক্তি থাকে না আর যখন ভক্তি থাকে তখন জ্ঞান থাকে না। যখন দুনিয়া পবিত্র থাকে তখন পতিত থাকে না আর যখন দুনিয়া পতিত হয়ে যায় তখন কেউ পবিত্র থাকে না….এটাই ড্রামার অটুট নিয়ম, যা মানুষ জানে না।

প্রশ্নঃ --

প্রকৃত কাশী কলবট (প্রকৃত ত্যাগ) খাওয়া কাকে বলা হয় ?

উত্তরঃ -:-

শেষ সময় কারো স্মরণ না আসা, এক বাবারই স্মরণ থাকবে, এটাই হল প্রকৃত কাশী কলবট খাওয়া। কাশী কলবট অর্থাত্ পাশ উইথ অনার (সম্মানের সাথে পাশ করা) যেখানে সামান্যতমও সাজা ভোগ করতে হবে না।

গান:-

তোমার দুয়ারে এসেছি শপথ নিয়ে..

ওম্ শান্তি । বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন কেননা বাচ্চারা বাবাকে আপন করে নিয়েছে আর বাবাও বাচ্চাদের নিজের করে নিয়েছেন কেননা দুঃখ থেকে মুক্ত করে শান্তি ধাম আর সুখধামে নিয়ে যেতে হবে। এখন তোমরা সুখধামে যাওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলছ। পবিত্র দুনিয়াতে পতিত মানুষ যেতে পারে না। নিয়মই নেই। এই নিয়ম তোমরা বাচ্চারাই জেনেছ। এই সময় মানুষ তো পতিত বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে। যেমন তোমরা পতিত ছিলে, এখন তোমরা অভ্যাস (অবগুণ) পরিবর্তন করে সর্বগুণ সম্পন্ন দেবী হতে চলেছ। গানেও বলা হয়েছে – আমরা জীবিত থেকেও মৃত অথবা তোমার হতে এসেছি এরপর তুমি আমাদের যে মত দেবে কেননা তোমার মতই সর্বোত্তম। বাকি যে সব মত আছে সবই আসুরি। এতদিন তো আমাদেরও জানা ছিল না যে আমরা আসুরি মতে চলছি। না দুনিয়ার মানুষ মনে করে আমরা ঈশ্বরীয় মতে চলছি না! রাবণের মতে চলে। বাবা বলেন অর্ধকল্প ধরে তোমরা রাবণের মতে চলে আসছ। ওটা হলো ভক্তি মার্গের রাবণ রাজ্য। বলেও থাকে রামরাজ্য জ্ঞান কান্ড, রাবণ রাজ্য ভক্তি কান্ড। সুতরাং জ্ঞান, ভক্তি আর বৈরাগ্য। কিসের প্রতি বৈরাগ্য ? ভক্তি আর পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য। জ্ঞান হচ্ছে দিন আর ভক্তি রাত। রাতের পর দিন আসে। ভক্তি আর পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য আসে। এখানে অসীমের ধর্মীয় বৈরাগ্য। সন্ন্যাসীদের বৈরাগ্য আলাদা। ওদের শুধুমাত্র ঘর পরিবারের প্রতি বৈরাগ্য আসে। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। সীমিত বৈরাগ্য অথবা প্রবৃত্তির সন্ন্যাস। বাবা বোঝান – তোমরা অসীমের সন্ন্যাস কিভাবে করবে। তোমরা আত্মা, ভক্তিতে না আত্মা সম্পর্কে জ্ঞান থাকে, না পরমাত্মার জ্ঞান থাকে। আমরা আত্মারা কি, কোথা থেকে এসেছি, কোন্ পার্ট প্লে করতে হবে, কিছুই জানা নেই। সত্যযুগে শুধু আত্মার জ্ঞান থাকে। আমরা আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করি। ওখানে পরমাত্মার জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে না, সেইজন্যই পরমাত্মাকে স্মরণ করে না। এই ড্রামা এভাবেই তৈরি হয়েছে। বাবা হলেন নলেজফুল। সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ একমাত্র বাবার কাছেই আছে। বাবাই তোমাদের আত্মা পরমাত্মা সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করেছেন। তোমরা কাউকে জিজ্ঞাসা করো আত্মার রূপ কেমন ? উত্তরে বলবে জ্যোতি স্বরূপ। কিন্তু আত্মা জিনিসটা কি কিছুই জানে না। তোমরা এখন জানো আত্মা একদম ছোট্ট একটা নক্ষত্রের মতো বিন্দু। বাবাও নক্ষত্র সদৃশ। কিন্তু ওঁনার অপার মহিমা। এখন বাবা সামনে বসে বোঝাচ্ছেন যে তোমরা মুক্তি-জীবনমুক্তি কীভাবে পেতে পার। শ্রীমত অনুসারে চললে তোমরা উচ্চ পদ পেতে পার। মানুষ দান-পুণ্য, যজ্ঞ ইত্যাদি করে থাকে। ওরা মনে করে ভগবান দয়া করে আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাবেন। জানা নেই কোনো না কোনো রূপে তাঁকে পেয়ে যাব। জিজ্ঞাসা করো কবে পাবে ? উত্তরে বলবে এখনও অনেক সময় আছে, শেষে গিয়ে পাব। মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে আছে। তোমরা এখন আলোতে। তোমরা এখন পতিতদের পবিত্র করে তোলার জন্য নিমিত্ত হয়েছ – গুপ্ত রূপে। তোমাদের খুব শান্তির সাথে কাজ করতে হবে। এতো ভালোবাসার সাথে বোঝাও যাতে মানুষ থেকে দেবতা বা কড়িহীন থেকে হীরে তুল্য চট করে হতে পারে। এখন বাবা বলছেন কল্পে-কল্পে তোমাদের সেবা করার জন্য আমাকে উপস্থিত হতে হবে। এই সৃষ্টি চক্র কীভাবে চলে, এসে বোঝাতে হবে। ওখানে দেবতারা খুব আনন্দে থাকে। ওরা বাবার উত্তরাধিকার পেয়েছে। ওখানে চিন্তাভাবনার লেশমাত্র নেই। গাওয়াও হয়ে থাকে গার্ডেন অফ আল্লাহ্। ওখানে হীরে জহরতের মহল ছিল, সবাই বিত্তবান ছিল। এই সময় বাবা তোমাদের ধনবান করে তুলছেন – জ্ঞান রত্ন দ্বারা। তারপর তোমরা ফার্স্ট ক্লাস শরীরও পাবে। এখন বাবা বলছেন দেহ-অভিমান ছেড়ে দেহী-অভিমানী হও। এই দেহ আর দেহের সম্বন্ধ ইত্যাদি যা কিছু আছে সব মেটেরিয়াল। তোমরা নিজেকে আত্মা বলে নিশ্চিত করো, ৮৪ জন্মের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে, ফিরে চল নিজের ঘরে। বুদ্ধিতে যেন থাকে যে এখন মেটিরিয়াল সবকিছু ত্যাগ করতে হবে, তবেই তো বুদ্ধি যোগ বাবার সাথে যুক্ত হবে আর বিকর্ম বিনাশ হবে। গৃহস্থ পরিবারে থেকেও কমল ফুলের মতো থাকতে হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকো। বাণপ্রস্থীরা ঘর পরিবার থেকে সরে গিয়ে সাধুদের কাছে গিয়ে বসে। কিন্তু এই জ্ঞান নেই যে আমরা এখানে কি পাব। বাস্তবে মমত্ব তখনই মেটে যখন প্রাপ্তি সম্পর্কে জানা যায়। অন্তিম সময় যেন বাচ্চাদের কথা স্মরণে না, সেইজন্যই নিজেদের সরিয়ে নেয়। এখানে তোমরা জানো এই পুরানো দুনিয়া থেকে মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেললে আমরা বিশ্বের মালিক হতে পারব। এখানে আমদানি প্রচুর। বাকি যা কিছু করা হয় – অল্প সময়ের সুখের জন্য পড়াশোনা করে থাকে। ভক্তিও করে অল্প সময়ের সুখের জন্য। মীরারও সাক্ষাত্কার হয়েছিল কিন্তু রাজ্য তো পায়নি।

তোমরা জানো বাবার মতে চললে বড় পুরস্কার পাওয়া যায়। পিউরিটি, পীস, প্রস্পারিটি স্থাপন করার জন্য তোমরা কত উপহার পেয়ে থাকো। বাবা বলেন এখন দেহ ভান উড়িয়ে দাও। আমি তোমাদের সত্যযুগে ফার্স্ট ক্লাস শরীর আর দেহের সম্বন্ধ দেব। ওখানে দুঃখের লেশ মাত্র নেই, সেইজন্যই এখন আমার মতে অ্যাকুরেট চলো। মাম্মা বাবা শ্রীমতে চলে প্রথম বাদশাহী পেয়েছিলেন। এই সময় জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী হন, সত্যযুগে রাজ রাজেশ্বরীর পদ পেয়ে থাকেন। যখন ঈশ্বরীয় জ্ঞান অর্জন তোমরা রাজারও রাজা হয়ে যাও তখন এই জ্ঞান আর ওখানে থাকে না। এই জ্ঞান তোমরা এখন পাচ্ছো। দেহ ভান এখন ত্যাগ করতে হবে। আমার স্ত্রী, আমার বাচ্চা এ’সব ভুলে যেতে হবে। এরা সবাই মৃত পড়ে আছে। আমাদের শরীরও মৃতপ্রায়। আমাদের বাবার কাছে যেতে হবে। এই সময় কারো আত্মা সম্পর্কে জ্ঞান নেই। আত্মার জ্ঞান সত্যযুগে থাকে। সেটাও শেষের দিকে যখন শরীর বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন আত্মা বলে থাকে – আমার শরীর এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছে, এবার আমাকে নতুন শরীর ধারণ করতে হবে। তোমাদের প্রথমে মুক্তিধামে যেতে হবে। সত্যযুগে এমন বলবে না যে ঘরে যেতে হবে। এখন ঘরে ফিরে যাওয়ার সময়। এখানে সামনে বসে ঠুকে-ঠুকে তোমাদের বুদ্ধিতে বসানো হয়। সামনে বসে শোনা আর মুরলী পড়ার মধ্যে দিন রাতের পার্থক্য। আত্মা এখন পরিচয় পেয়েছে, একেই জ্ঞান চক্ষু বলা হয়। কত বড় বুদ্ধি চাই। ছোট নক্ষত্রের মতো আত্মার মধ্যে কত পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। এখন বাবার পিছনে আমরাও দৌড়াব। শরীর তো সবারই শেষ হয়ে যাবে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী আবারও রিপিট হবে। ঘর পরিবার ছাড়তে হবে না। শুধু মমত্ববোধ মিটিয়ে পবিত্র হতে হবে। কাউকেই দুঃখ দেবে না। প্রথমে জ্ঞান মন্থন করো তারপর সবাইকে প্রেম পূর্বক শোনাও। শিববাবা তো বিচার সাগর মন্থন করেন না। তিনি বলেন বাচ্চাদের জন্য। তবুও এটাই মনে করবে যে শিববাবা বোঝাচ্ছেন। এনার (ব্রহ্মা) এমন মনে হয় না যে আমি শোনাচ্ছি। শিববাবা শোনাচ্ছেন। একেই নিরহঙ্কারী বলা হয়। এক শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবা যে বিচার সাগর মন্থন করেন, সেটাই শোনান। এখন বাচ্চাদেরও ফলো করতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিজের সাথে কথা বলো, রাত জেগেও মনন করা উচিত। শুয়ে-শুয়ে নয়, উঠে বসা উচিত। আমরা আত্মা কত ছোট বিন্দু। বাবা কতভাবে জ্ঞানকে বুঝিয়েছেন – অপূর্ব এই সুখ প্রদানকারী বাবা। বাবা বলেন নিদ্রাজীত বাচ্চারা, দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ইত্যাদি ভুলে যেতে হবে। এ’সবই শেষ হয়ে যাবে। আমাদের বাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার নিতে হবে আর সবকিছু থেকে মমত্ববোধ মিটিয়ে গৃহস্থ পরিবারে পবিত্র থাকতে হবে। শরীর ছেড়ে গেলেও যেন কোনো রকম আসক্তি না থাকে। এখন প্রকৃতপক্ষে আত্মাহুতি দিতে হবে। স্বয়ং কাশীনাথ শিববাবা বলছেন, আমি তোমাদের সবাইকে নিয়ে যেতে এসেছি।এখন কাশী কলবট (আত্মাহুতি) খেতেই হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগও আসবে। ঐ সময় তোমাদের স্মরণে থাকতে হবে। ওরাও স্মরণে থেকে কুয়োতে লাফিয়ে পড়ত। কিন্তু কুয়োতে লাফিয়ে পড়লে কিছুই হবে না। এখানে তো তোমাদের এমন হতে হবে যাতে শাস্তি ভোগ করতে না হয়। নয়তো পদ কম হয়ে যাবে। বাবার স্মরণেই বিকর্ম বিনাশ হয়। সাথে এই জ্ঞান আছে যে আমরা আবার ৮৪ চক্র ঘুরব। এই নলেজ ধারণ করলে আমরা চক্রবর্তী রাজা হতে পারব। কোনো বিকর্ম করা উচিত নয়। কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকলে বাবার কাছ থেকে রায় (পরামর্শ) নিতে পার। সার্জন তো আমি একজনই তাইনা। সামনে বসে জিজ্ঞাসা করো বা চিঠির মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করো, বাবা পথ বলে দেবেন। বাবা কত ছোট বিন্দু কিন্তু তাঁর মহিমা অপার। কর্তব্য করেছেন তবেই তো তাঁর মহিমা করা হয়। ঈশ্বরই হলেন সকলের সদ্গতি দাতা, এনাকেও জ্ঞান প্রদান করেন পরমপিতা পরমাত্মা যিনি জ্ঞানের সাগর।

বাবা বলেন – বাচ্চারা, একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে আর খুব মিষ্টি (আচরণ, ব্যবহারে) হতে হবে। শিববাবা কত মিষ্টি। কত স্নেহের সাথে সবাইকে বুঝিয়ে থাকেন। বাবা যখন ভালোবাসার সাগর নিশ্চয়ই তোমাদের ভালোবাসা দেবেন। বাবা বলেন মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, কখনোই কাউকে মন্সা-বাচা-কর্ম দ্বারা দুঃখ দেবে না। কারো সাথে যতই শত্রুতা থাকুক না কেন, তোমাদের বুদ্ধিতে যেন দুঃখ দেওয়ার ভাবনা না আসে। সবাইকে সুখের কথাই বলতে হবে। অন্তরে কারো জন্যই যেন বিদ্বেষ না থাকে। দেখো, শঙ্করাচার্য ইত্যাদি গুরুদের (লৌকিক) কত বড়-বড় রূপোর সিংহাসনে বসানো হয়। এখানে শিববাবা যিনি তোমাদের কড়িহীন থেকে হীরে তুল্য করে তোলেন, তাঁর তো হীরের সিংহাসন হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু শিববাবা বলেন আমি এই পতিত শরীর আর পতিত দুনিয়াতে আসি। দেখো, বাবা কেমন চেয়ার গ্রহণ করেছেন। নিজের থাকার জন্যও কিছুই চান না। যেভাবেই হোক থাকেন। গাওয়াও হয়ে থাকে তোষকে ঢেকে যিনি সবকিছু করেন….ভগবানও এসে পুরানো তোষকে বসেন। বাবা গোল্ডেন এজড বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন। বলেও থাকে এই পতিত দুনিয়াতে তিন পা রাখার মতো জায়গা পাওয়া যায় না। তোমরাই বিশ্বের মালিক হও। ড্রামায় এটাই আমার পার্ট। ভক্তি মার্গেও আমাকে সুখ দিতে হয়। মায়া ভীষণ দুঃখ দিয়ে থাকে। বাবা দুঃখ থেকে মুক্ত করে শান্তিধাম আর সুখধামে নিয়ে যান। এই খেলা সম্পর্কে কেউ-ই জানে না। এই সময় এক হচ্ছে ভক্তির আড়ম্বর, দ্বিতীয় হলো মায়ার জৌলুস। এ’সবই চলে যেতে বসেছে। এতো বড়-বড় সব বাড়ি সব শেষ হয়ে যাবে,তারপর এই সায়েন্স সত্যযুগে তোমাদের সুখের কাজে আসবে। এই সায়েন্স দ্বারাই বিনাশ হবে। তারপর এর দ্বারাই অতীব সুখ ভোগ করবে। এটাই খেলা। বাচ্চারা তোমাদের খুব মিষ্টি হতে হবে। মাম্মা বাবা কখনও কাউকে দুঃখ দেননি। বুঝিয়েছেন – বাচ্চারা কখনও নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করবে না। কোথাও মাতা-পিতার সম্মান খর্ব করবে না। এই মেটেরিয়াল শরীরের প্রতি মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেল। একমাত্র বাবাকেই স্মরণ কর। সবকিছুই শেষ হয়ে যাওয়ার জিনিস,এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে। বাবার সার্ভিসের সহযোগী হতে হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তোমরাই, ঈশ্বরের সহযোগী যারা বিশ্বের ডুবন্ত নৌকাকে পারে নিয়ে আস। তোমরা জানো এই চক্র কিভাবে ঘুরছে। অমৃতবেলায় ৩-৪ টের সময় উঠে মনন করলে অপার খুশি অনুভব হবে আর পাক্কা হয়ে যাবে। রিভাইজ না করলে মায়া এসে ভুল করিয়ে দেবে। মন্থন করো আজ বাবা কি বুঝিয়েছেন! একান্তে বসে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। এ। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মন্সা-বাচা-কর্ম দ্বারা কখনও কাউকে দুঃখ দেবে না। কারো কথা মনে ধরে রাখবে না। বাবার মতো ভালোবাসার সাগর হতে হবে।

২ ) একান্তে বসে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। মন্থন করার পর ভালোবাসার সাথে বোঝাতে হবে। বাবার সার্ভিসের সহযোগী হতে হবে।

বরদানঃ-

আধ্যাত্মিক রয়্যালটির ফাউন্ডেশন হলো সম্পূর্ণ পবিত্রতা। সম্পূর্ণ পবিত্রতাই হলো রয়্যালটি (সত্যতা)। এই রূহানী রয়্যালটির ঝলক পবিত্র আত্মার স্বরূপে প্রত্যক্ষ হবে। এই ঔজ্জ্বল্য কখনও লুকানো যায় না। কেউ যতই নিজেকে গুপ্ত রাখুক না কেন তার কথাবার্তা, সম্বন্ধ-সম্পর্ক, আত্মিক ব্যবহারের প্রভাব তাকে প্রত্যক্ষ করাবে। সুতরাং প্রত্যেকেই নলেজের দর্পণে দেখো যে আমার চেহারায়, আচার-আচরণে সেই রয়ালটি দেখা দিচ্ছে নাকি সাধারণ চেহারা আর সাধারণ আচার-আচরণ এখনও আছে ?

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top