07 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

6 March 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণে স্মরণে সুখ পাও (অনুভব করো), বাবাকে স্মরণ করো তবেই শরীরের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যাবে, তোমরা নীরোগী হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, এইসময় তোমরা যুদ্ধ স্থলে রয়েছো, জয় বা পরাজয়ের আধার কি ?

উত্তরঃ -:-

শ্রীমতে চললে জয়, নিজ মতে বা অন্যের মতে চললে পরাজয়। একদিকে রয়েছে রাবণ-মতানুসারীরা, অন্যদিকে রয়েছে রামের মতানুসারীরা। বাবা বলেন — বাচ্চারা, রাবণ তোমাদের অনেক বিরক্ত করেছে। এখন তোমরা আমার সাথে বুদ্ধিযোগকে যুক্ত করে দাও তাহলেই বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। যদি কারণে-অকারণে স্ব-মতে চলো বা বিরক্ত হয়ে যাও, পড়া ছেড়ে দাও তাহলে মায়া মুখ ঘুরিয়ে দেবে, পরাজিত হয়ে যাবে, সেইজন্য অনেক-অনেক সাবধানে থাকতে হবে।

গান:-

 দেখ্, তোর সংসারে কি হাল হয়েছে.

ওম্ শান্তি । মানুষকে কত বদলাতে হয়। তা কেবল তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারাই জানো। তাহলে মানুষ কত উচ্চ থেকেও উচ্চে যেতে পারে আবার সেই মানুষই কত নিম্ন থেকেও নিম্নে যেতে পারে। মানুষ সত্যযুগীয় সতোপ্রধান বিশ্বের মালিক হতে পারে আবার মানুষই কপর্দকশূন্য (ওর্থ নট এ পেনী) হয়ে যায়। এ’সবকিছু তোমরা জেনেছো বাবার মাধ্যমে। পতিত-পাবন, সদ্গতিদাতা আছেন একজনই। তিনিই পবিত্র করেন। রাবণ পুনরায় পতিত করে দেয়। পরমপিতা পরমাত্মা এসে পুনরায় কত উচ্চ (পদমর্যাদা সম্পন্ন) বানিয়ে দেন, তবেই তো গায়ন করা হয় যে ঈশ্বরের মতি-গতি আলাদা। ওঁনার মহিমাও সকলের থেকে আলাদা। বাবার মহিমা অপার কারণ ওঁনার মতন মত (শ্রীমৎ) কারোর হয়ই না। সেগুলিকে বলা হয়ে থাকে শ্রীমৎ ভগবত। মত তো সকলেরই থাকে। ব্যারিস্টারের মত, সার্জেনের মত, ধোপার মত, সন্ন্যাসী, উদাসী ইত্যাদিদের মত। তথাপি গাওয়া হয় যে, ‘হে ঈশ্বর, তোমার মতি-গতি সবথেকে আলাদা। পরমপিতা পরমাত্মাই হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ, শ্রেষ্ঠ থেকেও শ্রেষ্ঠ। এ কোনো মানুষ বা দেবতার মৎ নয়। তোমাদের মধ্যেও যে পাকা নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন সে-ই এই কথা বুঝতে এবং বোঝাতে পারবে। তারা জানে যে বাবার শ্রীমতের দ্বারাই আমরা কত শ্রেষ্ঠ হয়ে যাই। বাবা হলেন প্রেমময়, শান্তময়। প্রতিটি বিষয়ে পরিপূর্ণ, তাই তোমাদেরকেও বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার কী ? নাম্বার ওয়ান মালিক হওয়া। কমপক্ষে সূর্যবংশীয় মালায় তো গাঁথা হয়ে যাবে। আমরাই পূজ্য ছিলাম পুনরায় আমরাই পূজারী হয়েছি। সমগ্র দুনিয়া ওঁনার মালা জপ করে। মালা অবশ্যই জপ করে। কিন্তু স্মরণের অর্থ কিছুই জানে না। বলে যে — স্মরণ করতে-করতে সুখ প্রাপ্ত করো অর্থাৎ একজনকেই স্মরণ করা উচিত তাহলে এ’সকল মানুষেরা কেন সবাইকেই স্মরণ করে। বাবা বলেন — সকলকে স্মরণ কোরো না, কেবল একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো। আমায় অর্থাৎ বাবাকে খুব স্মরণ করো, আমাকে স্মরণ করতে করতে তোমরা আমার কাছে পৌঁছে যাবে। আমি ডায়রেক্শন দিয়ে থাকি যে গৃহস্থী জীবনে থেকে কেবল আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। কত সহজ উপায়। বলা হয় যে স্মরণে-স্মরণে সুখ প্রাপ্ত করো অর্থাৎ জীবনমুক্তির পদ প্রাপ্ত করো। শরীরের দুঃখ-কষ্ট সব দূর হয়ে যাবে। ওখানে তোমাদের শরীরে কোনো রোগ থাকে না। বাচ্চারা, এখন বাবা তোমাদের সম্মুখে থেকে শোনাচ্ছেন, তোমরা শুনে অন্যদের শোনাও। সবথেকে ভালো তো এই টেপ-রেকর্ডার শোনায়। এতটুকুও মিস করবে না। তাছাড়া হাব-ভাব তো দেখতে পারা যাবে না। বুদ্ধির দ্বারা বোঝা যাবে যে বাবা এমন-এমনভাবে বুঝিয়ে থাকেন। এই টেপ মেশিন হলো রত্নের খনি। মানুষ তো শাস্ত্র দান করে থাকে । গীতা ছাপিয়ে তা দান করে। এই টেপ কত আশ্চর্যজনক বস্তু। একটু সংবেদনশীল তাই অত্যন্ত যত্ন সহকারে চালাতে হয়। এ হলো হাসপাতাল তথা ইউনিভার্সিটি। সকলকে হেল্থ-ওয়েল্থের উত্তরাধিকার দিতে পারে। মুরলীর থেকেই সবকিছু পাওয়া যায়। কিন্তু মায়া মোহিনী এমন যে সবকিছু ভুলিয়ে দেয়, রাবণ মোহগ্রস্ত করে দেয় নাকি রাম মোহগ্রস্ত করে। রাম তো একবারই আকর্ষণ করে, রাবণ তো আধাকল্প ধরে টানতে-টানতে ধূলো-নোংরা করে দেয়। এখানকার সকল বস্তুই হলো তমোপ্রধান। ৫ তত্বও তমোপ্রধান। সত্যযুগে ৫ তত্বও সতোপ্রধান হবে। এ হলো কত বড় মাপের আমদানি। নেয় কে! কোটি-কোটির মধ্যে কেউ। বাঁদরের মতন বুদ্ধিসম্পন্নদের মন্দির-সম বুদ্ধির বানাতে কত পরিশ্রম করতে হয়। সমগ্র দুনিয়াই বেশ্যালয়ে পরিনত হয়েছে। পুনরায় আমিই এসে শিবালয় গড়ে তুলি। ভারত শিবালয় ছিল, এখন রাবণ বেশ্যালয় করে দিয়েছে। সময় আধা-আধি। বাবা বলেন — বাচ্চারা, এখন খুব সার্ভিস করো। ওরা(অজ্ঞানী মানুষ) তো বলার কথা বলে দেয় যে পতিত-পাবন এসো, কিন্তু জানে না। অনেক মত-মতান্তর রয়েছে। স্বয়ং ভগবান বলেন, এ হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। মানুষ ভ্রষ্টাচারী হয়ে পড়ে বিষের জন্য। সবথেকে মহান শত্রু হলো কাম-বিকার। ওখানে এই বিকার হয়ই না। এই ভারত সবচেয়ে প্রিয় বাবার জন্মভূমি। রাবণ, যে হলো শত্রু তাকেই জ্বালিয়ে দেয়। যেমন দেবীদের চিত্র তৈরী করে পূজা করে পুনরায় ডুবিয়ে দেয়। এ’সব হলো অন্ধশ্রদ্ধা। পাদ্রীরাও এ’সকল কথা শুনিয়ে অনেককে কনভার্ট করে। এও হলো ড্রামার ভবিতব্য। কিন্তু তারা পরিশ্রম অনেক করে। এইসময় সমগ্র দুনিয়াতেই রাবণের রাজ্য রয়েছে। এ’সময় সকলেই রাবণের বিকারী (ছিঃ ছিঃ) মতে চলছে। পরমপিতা পরমাত্মা পতিত-পাবন, যার সবচেয়ে অধিক মহিমা, ওঁনাকেই সর্বব্যাপী বলা হয়েছে। মানুষের আর কোনো শত্রু নেই। মানুষ মায়ার দ্বারাই নিপীড়িত। তার থেকে তো একমাত্র বাবা এসেই মুক্ত করতে পারবে আর কেউ তো মুক্ত করতে পারে না। স্মরণে এসেছি আমি তোমার, লাজ রাখো প্রভু আমার….. এমনও গান আছে। তোমাদের এখন রাবণের থেকেই বাঁচায়। রাবণ কত বিরক্ত করেছে। বাবা বলে এক, রাবণ নিয়ে যায় অন্যদিকে। বাবা বলেন — আমার মতে চলো, রাবণ পুনরায় ভুলিয়ে দেয়। বাবা আসেন বিশ্বের মালিক বানাতে। রক্ত দিয়েও লিখে দেয় তবুও মায়া ভুলিয়ে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে দেয়। এ’সব হলো বুদ্ধির বিষয়। বাবা বলেন – বাচ্চারা, এখন ফিরে যেতে হবে সে’জন্য আমায় স্মরণ করো তবেই উচ্চ পদ পাবে। বাবা বলেন – বৎস, কখনও শ্রীমৎ ভুলে যেও না। কিন্তু কারণে-অকারণে নিজের মতে বা কারোর বিরক্ত করার জন্য বাবাকে ত্যাগ করে দেয়। একে বলা হয় যুদ্ধক্ষেত্র। একদিকে হলো রাবণের মতানুসারীরা। অপরদিকে হলো রামের মতানুসারী। আরে! তোমরা ভগবানের থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার নাও না। এতজন সব নিচ্ছে, তারা কি মূর্খ! তোমরাও ভগবানের সন্তান, তোমরাও উত্তরাধিকার নাও। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন সৃষ্টি রচনা করেন। এমন নয় যে বিষ্ণুর দ্বারা দেবতা রচনা করেন। ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরী রচনা করেছেন। বলাও হয়েছে যে অবশ্যই ঠিক হয়েছে। বিষ্ণুর রাজধানীতে আমরা রাজত্ব করবো। বসে থেকে-থেকে পুনরায় উধাও হয়ে যায়। কারণে-অকারণে মতবিরোধ হয়ে যায়। কোনো বন্ধনে আবদ্ধ হয় বা কেউ কিছু বললে তা ভুলে যায়। দেখো, এখানে অসংখ্য বি.কে.-রা রয়েছে, তারা পরমপিতা পরমাত্মার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছে। ভালভাবে পড়ছে কিন্তু বাইরে গেলেই তখন ভুলে যায়। মায়া ভ্রষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন করে দেয়। বোঝানোর জন্য কত পরিশ্রম করা হয়। বাচ্চারা, মুহূর্তে-মুহূর্তে কাজ-কর্ম থেকে ছুটি নিয়ে সার্ভিস করতে যায়। সকলের উপর কৃপা করতে চায় কারণ এদের মতন দুঃখী, কপর্দকশূন্য দুনিয়ায় কেউ নেই। সকলের এই ধন-দৌলত মাটিতে মিশে যাবে। আর তোমাদের হলো সত্যিকারের উপার্জন। তোমরা হাত ভরে নিয়ে যাবে, বাকি সকলেই খালি হাতে যাবে। এ তো সকলেই জানে যে বিনাশ অবশ্যই হবে। সকলেই বলে — এ হলো সেই মহাভারতের ভয়াবহ যুদ্ধের সময়, সকলকেই কাল গ্রাস করবে। কিন্তু কি হবে তা জানে না। স্বয়ং বাবা বলেন — আমি তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি। আমাকেই কাল, মহাকাল বলা হয়। মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেইজন্য এখন তোমরা আমার মতানুসারে চলো এবং উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে নাও। জীবনমুক্তিতেও পদ রয়েছে। সব ধর্মস্থাপকেরাই তো মুক্তিতে বসে থাকবে। তারাও প্রথমে যখন আসবে তখন সতোপ্রধান তারপর সতঃ-রজঃ-তমোঃতে চলে আসে। উঁচু আর নীচু, বেগার আর প্রিন্স। ভারত এইসময় সবথেকে নীচ পতিত হয়ে গেছে। কাল পুনরায় পবিত্র প্রিন্স হয়ে যাবে। দেবী-দেবতা ধর্ম অত্যন্ত সুখ প্রদান করবে। এত সুখ আর কোনো ধর্মে হতে পারে না। বাচ্চারা, তোমরা সত্যযুগের মালিক ছিলে, এখন নরকের মালিক হয়েছো তোমরা পুনরায় প্রথম জন্ম সত্যযুগে নেবে। আমরাই সেই (হাম সো)-এর অর্থও কেউ বোঝে না। আমরা জীবাত্মারা এইসময় হলাম ব্রাহ্মণ, এর পূর্বে শূদ্র ছিলাম। কাল আমরাই সেই দেবতা তারপর ক্ষত্রিয় হবো। পুনরায় বৈশ্য, শূদ্র বংশে আসব। এখন আমাদের হলো উত্তরণ কলা। সত্যযুগে এই জ্ঞান থাকবে না, তার পূর্বে আমরা অবরোহণ কলায় ছিলাম। বাবা-ই উত্তরণ কলায় নিয়ে যান। কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে এই জ্ঞান দাঁড়ায় না কারণ বুদ্ধির যোগ আমার সাথে থাকে না সেইজন্য স্বর্ণযুগীয় পাত্রে পরিণত হয়ই না।

বাবা বলেন – কেবল মুখে বাবা-বাবা করতে হবে না। বরং বাবাকে অন্তরে রেখে এমনভাবে স্মরণ করতে হবে যাতে অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যায়। দেহ-বোধ পরিত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করো। যত নিজেকে আত্মা মনে করবে, বাবাকে স্মরণ করবে ততই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এছাড়া আর কোনো উপায়ই নেই। ভগবানুবাচ – তোমাদের সকলকে বোঝাতে হবে যে, তোমরা এই যে যজ্ঞ, তপস্যা, দান করো – এর দ্বারা আমার সাথে মিলিত হতে পারো না। তোমরা এখন সম্পূর্ণরূপে অপবিত্র হয়ে গেছো। একজনও আমার কাছে আসেনি। ভবিষ্যতে নাটকের সমস্ত অভিনেতাদেরকেই থাকতে হবে। যখন নাটক সম্পূর্ণ হবে তখন সকলকেই ফিরে যেতে হবে। আত্মারা বৃদ্ধি পেতে থাকে। মাঝখান থেকে কেউ ফিরে যেতে পারে না। স্থপতিরাই এখানে বসে রয়েছে। ৮৪ জন্ম নিতে হবে। বৃক্ষকে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হতেই হবে। এ হলো অত্যন্ত ভাল বোঝার মতন বিষয়। অত্যন্ত সাবধানেও থাকতে হবে যাতে মায়া যেন কোথাও ধোঁকা না দিয়ে দেয়। নিজের মুখ উপরদিকে রাখতে হবে, খুশী মনে ফিরে যেতে হবে। (মৃতের মুখ ঘুরিয়ে দেয়) বাবা বলেন — নিজের মুখ স্বর্গের দিকে রাখতে হবে, পা নরকের দিকে, সেইজন্য কৃষ্ণের এ’রকম চিত্র তৈরী করা হয়েছে। শ্যাম সুন্দর হয়ে যায়। তোমরাও গৌরবর্ণের হয়ে যাও তবেই বলা হয় যে মানুষ থেকে দেবতা হতে সসয় লাগে না….. অর্থাৎ কলিযুগকে সত্যযুগে পরিণত করা বাবারই কাজ। বাচ্চারা, তোমরা জানো, আমরা শ্রীমতানুসারে বিশ্বে রাজত্ব স্থাপন করি, সেখানে এসে রাজত্ব করবো। এতে যজ্ঞ, তপস্যা করার প্রয়োজন নেই। বাবা এঁনার মাধ্যমে মত দেন যে আমাকে স্মরণ করো। এখন রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। তাতে যে পদ পেতে চাও তা নিয়ে নাও। যেমন এই মাম্মা হলেন এখন জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী, এরপর গিয়ে রাজ-রাজেশ্বরী হবে। এই নলেজ হলো রাজযোগের। তাই এমন কলেজে কত ভালভাবে পড়া উচিত। বাবা বলেন, আজ অনেক ভাল ভাল পয়েন্টস্ শোনাচ্ছি, সেইজন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ দাও। মিত্র-সম্বন্ধীদের-ও কল্যাণ করো। যাদের ভাগ্যে থাকবে তারা উঠে পড়বে। শিবের মন্দিরে গিয়ে ভাষণ দাও। শিববাবা নরককে স্বর্গে পরিণত করতে এসেছেন। অনেকেই (দেবতা) হতে আসবে। মায়ার সঙ্গে তোমাদের ভয়ানক যুদ্ধ চলছে। ভাল-ভাল বাচ্চাদের আজ নেশা চড়ে, কাল উধাও হয়ে যায়। তোমরা জানো যে পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। আমরা এই পুরানো শরীর পরিত্যাগ করে নতুন দুনিয়ায় গিয়ে পা ফেলবো। এই দিল্লী স্বর্গ হবে। এখন স্বর্গে যাওয়ার জন্য ফুল হও। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ-অভিমান ত্যাগ করে বাবাকে ভিতরে-ভিতরে এমনভাবে স্মরণ করতে হবে যাতে অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যায়। স্মরণের দ্বারা বুদ্ধিকে গোল্ডেন এজে’ড বানাতে হবে।

২ ) কখনও মনমতে বা মতবিভেদে এসে পড়া ছাড়বে না। নিজের মুখ স্বর্গের দিকে রাখতে হবে। নরককে ভুলে যেতে হবে।

বরদানঃ-

আমরা হলাম সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মা, উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবানের সন্তান – এই মর্যাদাই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা, যে এই শ্রেষ্ঠ মর্যাদার আসনে সেট হয়ে থাকে, সে কখনও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারে না। দৈব মর্যাদার থেকেও উচ্চ হলো এই ব্রাহ্মণদের মর্যাদা। সর্বপ্রাপ্তির তালিকা সামনে রাখো তবেই নিজের শ্রেষ্ঠ মর্যাদা সদা স্মৃতিতে থাকবে আর গান গাইতে থাকবে যে, যা কিছু পাওয়ার ছিল তা পেয়ে গেছি…. সর্বপ্রাপ্তির স্মৃতির দ্বারা সর্বশক্তিমানের স্থিতি সহজ হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top