23 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

February 22, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা ভালোবাসার সাথে বলে থাকো মিষ্টি বাবা, মুখ তখন রসে ভরে ওঠে, ঈশ্বর বা প্রভু বললে সেই রস আসে না"

প্রশ্নঃ --

কোন্ কর্তব্যটি (ধান্দা) হল সর্বশক্তিমান পিতার, যা মানুষের হতে পারে না ?

উত্তরঃ -:-

পতিত আত্মাদের পবিত্র করে তোলা, সম্পূর্ণ বিশ্বকে নতুন রূপে গড়ে তোলা – এই কর্তব্য বাবার, বাবাই পবিত্র হওয়ার শক্তি দিয়ে থাকেন। এই কাজ মানুষ করতে পারে না। মানুষ তো মনে করে ভগবান যা চান তাই করতে পারেন, আমাদের রোগও ঠিক করে দিতে পারেন। বাবা বলেন আমি এমন আশীর্বাদ করি না। আমি শুধু পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দিই।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো…

ওম্ শান্তি । অসীম জগতের পিতা এসে বাচ্চাদের জাগিয়ে তোলেন। মাতা-পিতা যিনি যাঁর কাছ থেকে সুখ পাওয়া যায় তিনিই এসে অন্ধকার রাত থেকে জাগিয়ে তোলেন। তোমরা মাতা-পিতার সন্তান, জানো যে আমরা ঘোর অন্ধকারে ছিলাম, এখন জেগে উঠছি। সারা দুনিয়াই ঈশ্বরীয় ফ্যামিলি। সম্পূর্ণ দুনিয়ার মানুষ মাত্রই আর এই সম্পূর্ণ দুনিয়া, গড ফাদারের ফ্যামিলি। মাতা-পিতা গডফাদারকেই বলা হয়। গডফাদারের স্ত্রী ছাড়া তাঁর সন্তান কীভাবে হবে ? ভারতবাসীরা বলে তুমি মাতা-পিতা সুতরাং এটা হয়ে গেল ফ্যামিলি। ওরা তো শুধু গায়ন করে, তোমরা এখানে প্র্যাকটিক্যালী আছো আর গডফাদার নিজের ফ্যামিলিকে জাগিয়ে তুলছেন। জাগো বাচ্চারা রাত সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন দিন আসার সময় হয়েছে। গেয়েও থাকে জ্ঞান সূর্য প্রকট হল, তিমির অন্ধকারের বিনাশ….কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। যতই বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে থাকুক না কেন, কিন্তু কিছুই বোঝেনি। যে বুঝেছে – সে যথার্থ রীতিতে উপার্জন করেছে। যে অজ্ঞ সে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বাবা বলেন বাচ্চারা মায়া তোমাদের কত অজ্ঞ করে তুলেছে। একদিকে বলছ ও গড ফাদার, আবার বলছো পরমাত্মা সর্বব্যাপী। একদিকে বলছ সব মানুষ মাত্রই ভাই-ভাই বা আমরা এক পিতার সন্তান। আবার বলছে যেদিকেই তাকাই শুধুই তুমি অর্থাৎ উই আর অল ফাদার্স। এখন বাবা বলছেন বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমি আসি পরমধাম থেকে। সব ধর্মাবলম্বীরাই কোনো না কোনো ভাষায় বলে থাকে ও গডফাদার। সুতরাং মাতা-পিতার পরিবারভুক্ত হলো তাইনা। বাবা বলেন- যাঁকে তোমরা স্মরণ করছ তার পেশা সম্পর্কে তো জানা উচিত না! যিনি এতো বড় সৃষ্টি রচনা করেছেন। বাবার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে, তাঁকে জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল বলা হয়। তিনিই সত্য বলেন। তিনি সত্য বলেন এবং তিনি অমর। তিনিই অমরকথা শুনিয়ে থাকেন।

এখন তোমরা জানো অমরনাথ শিববাবা আমাদের অমরকথা শুনিয়ে অমরলোকের মালিক করে তুলছেন। যে বাচ্চারা ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করছে, তারা কার সন্তান ? মাতা-পিতার সন্তান। তোমরা সবাই পার্বতী। তোমাদের অমরকথা শোনাচ্ছি। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে প্যারাডাইস ছিল। সৃষ্টির এই নাটকের পুনরাবৃত্তি হতেই থাকে। সত্যযুগ, ত্রেতা….নতুন ঘর পুরানো হয়ে যায়। স্বস্তিকারও ৪ টি ভাগ তৈরী করেছে। এখন তোমাদের উত্তরণের কলা। গাওয়াও হয়ে থাকে তোমাদের উত্তরণ কথায় সকলের কল্যাণ…. সমস্ত মানুষ মাত্রই এখন তমোপ্রধান, দুঃখ থেকে মুক্তি পেয়ে সতোপ্রধান হয়ে যায়। সৃষ্টিও সতোপ্রধান হয়ে যায়। পরমপিতা পরমাত্মা বা শুধুমাত্র ঈশ্বর বললে বাবা ডাকের আস্বাদ পাওয়া যায় না, বাবা বললে উত্তরাধিকারের গন্ধ তখনই পাওয়া যায় যখন নিজেদের বাবার বাচ্চা বলে মনে করে। আমরা বাবার বাচ্চা, এমনিতে সব আত্মাই বাচ্চা কিন্তু বাবা এখন এদের রচনা করেছেন। বলে থাকে পতিত-পাবন সীতারাম। সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণ বলবে না যে পতিত-পাবন এসো, কেননা তখন তারা পবিত্র। সাধু-সন্ত সবাই গাইতে থাকে। গান্ধীজিও বলতেন নতুন দুনিয়া, নতুন ভারতে নতুন রামরাজ্য হোক, হাতে গীতা থাকত। কেননা তিনি জানতেন গীতার দ্বারাই মহাবিনাশ হয়েছিল এবং নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়েছিল। গীতা হলো সর্বশাস্ত্র শিরোমণি, গীতা হলো মা। আচ্ছা- মাতার স্বামী কে ? ভগবান। তিনিই পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। ভগবানুবাচ…কৃষ্ণকে পতিত-পাবন বলা হয় না। মানুষ কখনও পতিত থেকে পবিত্র করে তুলতে পারে না।

এখন তোমরা মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা বলে থাকো আত্মা আর পরমাত্মা দীর্ঘ সময় আলাদা ছিল…। বলে থাকে মহান আত্মা, পুণ্য আত্মা…এমন তো বলে না মহান পরমাত্মা। তারপর নিজেকে শিবোহম পরমাত্মা ইত্যাদি কেন বলে। পুণ্য আত্মা, পাপ আত্মা বলে তারপর আবার নির্লেপ কেন বলে। তোমরা ব্রাহ্মণরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছ। সমস্ত খেলা ভারতকে কেন্দ্র করেই। এ’সবই শিববাবা বোঝান, ব্রহ্মা নন। ব্রহ্মাকে তো ষাঁড় (নন্দী) বানিয়ে দিয়েছে। তারপর ভ্রুকুটিতে শিব দেখানো হয়েছে। শিবের সওয়ারি ভ্রুকুটিতে থাকে। কেউ পিতৃপুরুষকে খাওয়ায়। আত্মাকে ডাকে, সেও এসে পাশে বসে। আত্মা নক্ষত্রের মতো। বলা হয় ভ্রুকুটির মাঝখানে জ্বলজ্বল করে…। তোমরা জানো এ’হলো অসীম জগতের বড় খেলা। প্রতি সেকেন্ডে যা কিছু পার হচ্ছে ড্রামা অনুসারে মানুষ সেই ভূমিকা পালন করছে। মানুষ ৮৪ জন্ম কীভাবে নেয়, সবাই তো ৮৪ জন্ম নেবে না। কেউ-কেউ তো এখনও উপর থেকে আসছে। এখন বাবা বলছেন সজনীরা জাগো….যখন কন্যার বিবাহ হয় তার মাথার উপরে কলসি রেখে তার ভিতর দীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। বাবা বলেন তোমাদের আত্মার জ্যোতিতে ঘৃত এখন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাকে স্মরণ করতে থাকলে আবারও ঘৃত পরিপূর্ণ হয়ে দীপ জ্বলে উঠবে, তারপর তোমরা আমার কাছে আসতে পারবে। ঐ নিরাকার বাবাই ক্রিয়েটার, ডাইরেক্টার, এবং প্রধান অ্যাক্টর। কাকে স্মরণ করে ? ব্রহ্মাকে ? বিষ্ণুকে ? না। দুঃখে সবাই স্মরণ করে গডফাদারকে। এটা সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়ের খেলা। মায়া পরাজিত করে, বাবা জয়ের মালা পরান। বলে থাকেন আমি সর্বশক্তিমান তাইনা। এমন নয় যে আমি রুগী, ভগবান আশীর্বাদ করলে আমি ভালো হয়ে যাব… বাবা বলেন আমি এ’সব ধান্দা করতে আসিনা। আমি আসি পতিতদের পবিত্র করে তুলতে, শ্রীমৎ দিতে। শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতর শিববাবা তারপর নম্বরানুসারে অন্যান্যরা। মালাও আছে না! তোমরা এখন জেনেছ আমরা সবাই ঈশ্বরীয় পরিবারভুক্ত। যেমন শিববাবার মহিমা অপরিমেয় তেমনই রচনার মহিমাও অপরিমেয়, ভারতের মহিমাও অপরিমেয়। ভারতে হীরে জহরতের মহল ছিল। গড যখন ক্রিয়েটার তখন মাদারও প্রয়োজন। তোমরা এখানে যখন বসেছ প্রথমে বাবাকে স্মরণ করা উচিত। তারপর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর সূক্ষ্ম বতনবাসীদের স্মরণ করা উচিত। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হচ্ছে। এই সময় তোমরা ঈশ্বরীয় পরিবারের তারপর দৈবী পরিবার ভুক্ত হবে। সেটাও এই সঙ্গম যুগে। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশীয়, বিরাট রূপের চিত্রও আছে। শুধু চূড়াকে (ব্রাহ্মণদের) দেখানো হয়নি। দেবতা, ক্ষত্রিয়…। কিন্তু দেবতাদের আগে কি ছিল ? এখন অসীম জগতের পিতা বলছেন মন্মনাভব। আমার সাথে বুদ্ধিযোগ লাগাও আর অনন্ত উত্তরাধিকার গ্রহণ করো। জন্ম-জন্মান্তর নিয়েছো। সত্যযুগ, ত্রেতা পর্যন্ত ২১ জন্মের জন্য অনন্ত উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিলে। এখন তো আর কিছুই নেই, আবারও বাবার কাছ থেকে নিতে হবে। ওরা তো বলে থাকে পরমাত্মা নাম-রূপহীন, তিনি এখানে কীভাবে আসবেন। গীতায় আছে শ্রীমত ভগবৎ গীতা। ভগবানুবাচ – কৃষ্ণকে ভগবান বলে মানা হয় না। এ’সবই ড্রামায় নির্ধারিত হয়ে আছে। ভগবান হলেন নিরাকার জ্ঞানের সাগর। পরে যারা রাজত্ব করে তাদের মহিমা ভিন্ন। সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ… এই সময় সবাই হিংস্র কাম বাসনায় লিপ্ত। লক্ষী-নারায়ণের জন্য এমনটা বলা হয় না। ওরা সম্পূর্ণ শ্রেষ্ঠাচারী ছিল। সুতরাং বাবার মহিমা ভিন্ন। প্রত্যেক মানুষ মাত্রেরই আলাদা-আলাদা ভূমিকা। কত ছোট আত্মার মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। আমিও আত্মা কিন্তু আমাকে সুপ্রিম বলা হয়। ভক্তি মার্গে বড়-বড় লিঙ্গ তৈরী করে থাকে। সেটা ভুল হয়েছে। সবার আত্মাই একইরকম নক্ষত্রের মতো। জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান চন্দ্রিমা, জ্ঞানের নক্ষত্রও আছে। ড্রামায় এতো ভূমিকা পালনকারী রয়েছে। প্রত্যেকের নিজ-নিজ ভূমিকা। কীভাবে এই ড্রামা তৈরি হয়েছে, একেই বলে প্রকৃতির নাটক। বাকি সমস্ত নাটক তো সাধারণ। ৪ ঘন্টার রিল। এই নাটকের রিল ৫ হাজার বছরের জন্য। ওরা বলবে কলিযুগের আয়ু ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বছরের। কত অবাস্তব সব কথা। মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে। তবুও ঘোর অন্ধকারে ডুবে আছে।

বাবা বলছেন এখন জাগো, তোমরা ভক্তরা ভগবানকে স্মরণ করে আসছো। এখন বাবা বলছেন ভক্তি মার্গ শেষ হতে চলেছে। আমি এসেছি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে। এই সময় দেখো মানুষের কত ক্রোধ। লড়াইও শিখছে। যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকেই এসবের শুরু। সত্যযুগে রামরাজ্য। এখন বাবা বলছেন আমি তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি। তারপর তোমরা যখন নীচে নামতে থাকো পবিত্র রাজারা পতিত হয়ে পড়ে। এখন তো তারাও নেই। বাবা বলেন বাচ্চারা তোমরা বোঝো যে শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা শোনাচ্ছেন। যারা শুনে মহারাজা মহারানী হয়েছিল, তারাও এখন পতিত হয়ে গেছে। এটা হলো আসুরি সৃষ্টি। সত্যযুগ ঈশ্বরীয় সৃষ্টি। রাম এবং রাবণ দুটো নামই প্রসিদ্ধ। রাবণের অর্থ কেউ জানেনা। নর এবং নারী দুই-ই ৫ বিকারগ্রস্ত, সেইজন্যই ১০ টি মাথা দেখানো হয়েছে এবং একেই রাবণ রাজ্য বলা হয়। দীপমালা সাজিয়ে পূজা করে থাকে। মহালক্ষ্মীর ৪ ভূজ বানিয়ে দেয় । দুই ভূজ লক্ষ্মীর, দুই ভূজ নারায়ণের। বাকি বিষ্ণু কিছু নেই। তোমরা এখন রাজারও রাজা হবে, ডবল মুকুটধারী । এই সময় তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে ওঠো। তোমরা জানো আমরা ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকি। অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অনন্ত সুখ, লৌকিক পিতার কাছ থেকে সীমিত সুখ পাও। সত্যযুগ হলো ব্রহ্মার দিন, কলিযুগ ব্রহ্মার রাত। প্রজাপিতাও নিশ্চয়ই এখানেই হবে। শিববাবার সন্তান তো সবাই। তিনি ব্রহ্মা দ্বারাই ব্রাহ্মণ আর ব্রাহ্মণীদের রচনা করেন। তা না হলে এতো বাচ্চারা কীভাবে অ্যাডপ্ট হবে। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেন। বাবা বলেন তোমরা তো আমারই। এখন তোমাদের নতুন জন্ম। দাদার প্রপার্টি তোমরা পেয়ে থাকো, বিশ্বের রাজত্ব পাবে ব্রহ্মার দ্বারা। ব্রহ্মাকে সূক্ষ্মবতনে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে কীভাবে মিলিত হবে। বাবার তো মুরলী চালানোর জন্য রথ প্রয়োজন। ভারতের নম্বর ওয়ান শাস্ত্র হচ্ছে গীতা। বাকি সব শাস্ত্র বাচ্চা। প্রথমে আসে দেবতাদের বংশধর তারপর ক্ষত্রিয়দের…যেই ধর্ম স্থাপন করতে আসুক না কেন তাকে সতঃ, রজঃ, তমঃ’র মধ্য দিয়ে আসতে হয়। যেমন ক্রাইস্ট এসেছিল, সে প্রথমে পবিত্র ছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিকর্ম না হবে দন্ড ভোগ করতে হবে না। সত্যযুগে পবিত্র আত্মারা আসবে। ওখানে মায়া নেই সুতরাং দুঃখও নেই। আমাদের বিকর্ম শুরু হয় তখন যখন আমরা বাম মার্গে আসি। এটা বোঝার বিষয়। বিকর্মাজিত সম্বৎও আছে তারপর আছে বিকর্ম সম্বৎ। কাহিনী তো অনেক আছে। মোহ জীত রাজার কাহিনীও আছে, মোহ জীত হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। ওটা হলো রামরাজ্য। এখানে রাবণ রাজ্য। রাবণকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অর্ধকল্প রামরাজ্য তারপর শুরু হয় রাবণ রাজ্য। স্বদর্শন চক্র সম্পর্কে তোমরা জানো। তোমরা সবাই গডফাদারের সন্তান। বাবা ডাইরেক্ট ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেছেন, সেইজন্যই তোমাদের হারানিধি বাচ্চা বলে থাকেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আত্মা রূপী প্রদীপ সবসময় প্রজ্জ্বলিত রাখার জন্য স্মরণের ঘৃত ঢালতে হবে। স্মরণের দ্বারাই আত্মাকে সতোপ্রধান করে তুলতে হবে।

২ ) সবসময় জ্ঞানের আলোয় থাকতে হবে। অসীম জগতের নাটককে বুদ্ধিতে ধারণ করে স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে।

বরদানঃ-

যদি কোনো ভুল হয়ে যায় তারপর কেন, কি, কীভাবে, এইভাবে না ওইভাবে….এইসব ভেবে সময় নষ্ট করবে না। যত সময় ধরে ভাবনা স্বরূপে থাকো তত সময় ধরে দাগের উপর দাগ লাগিয়ে যেতে থাকো। যে পেপার(পরিস্থিতি) আসে তাকম সময়ের, কিন্তু ব্যর্থ ভাবনার সংস্কার পেপারের সময়কে আরও বাড়িয়ে দেয় । সেইজন্য ব্যর্থ সংকল্পের প্রবাহমানতাকে পরিবর্তন শক্তির দ্বারা সেকেন্ডে স্টপ করে দিলে নির্বিকল্প স্থিতি তৈরী হয়ে যাবে। যখন এই সংস্কার ইমার্জ হবে তখনই বলা হবে ভাগ্যবান আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top