20 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

February 19, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"পুরুষার্থের তীব্রগতিতে ঘাটতি থাকার দুই মুখ্য কারণ"

আজ, ব্রাহ্মণদের অনাদি রচয়িতা বাপদাদা তাঁর নিজের ডায়রেক্ট সমীপ রচনা, শ্রেষ্ঠ রচনা, বিশেষ ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের দেখছেন। বাপদাদার তোমরা অতি প্রিয় রচনা ব্রাহ্মণ আত্মা, যারা সমীপ আর সমান হওয়ার লক্ষ্যকে সদা স্মৃতিতে বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছ। তাই আজ বাপদাদা বিশেষভাবে সেই আদি রচনাকে দেখছিলেন। সকল তীব্র পুরুষার্থী আর পুরুষার্থী উভয়ের গতিবিধি দেখছিলেন। বাপদাদা দ্বারা প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সহজ বিধির দ্বারা কখনো তীব্র গতি এবং কখনো কম তীব্র গতি – দুই প্রকারেরই ব্রাহ্মণ বাচ্চা দেখেছেন। একের থেকে সবাই একই রকম পড়া, লালন-পালন আর প্রাপ্তি লাভ করছে, তবুও গতিতে তারতম্য কেন ? তীব্র পুরুষার্থী অর্থাৎ যারা ফার্স্ট ডিভিশনে উত্তীর্ণ হয় আর পুরুষার্থী অর্থাৎ সেকেন্ড ডিভিশনে উত্তীর্ণ হয়। আজ বিশেষ ভাবে সবার চার্ট চেক করেছেন। কারণ অনেক আছে, কিন্তু বিশেষ কারণ হল দুটি। সবাই চায় ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশনে কেউ যেতে চায় না। কিন্তু লক্ষ্য আর লক্ষণ, দুইয়ের মধ্যে প্রভেদ হয়ে যায়। বিশেষ দুটো কারণ কী দেখেছেন?

এক – সঙ্কল্প শক্তি যা সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ শক্তি, তার যথার্থ প্রয়োগ বিধি নিজের প্রতি এবং সেবার প্রতি সময় অনুসারে কার্যকালে যথার্থরূপে প্রয়োগ হয় না। দ্বিতীয় কারণ – বাণীর শক্তিকে যথার্থ ও শক্তিশালী রীতির দ্বারা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের ঘাটতি। এই দুইয়ের মধ্যে ঘাটতি থাকার কারণ – ইউজ-এর পরিবর্তে লুজ্ হওয়া। শব্দে সামান্যই পার্থক্য কিন্তু পরিণামে অনেক তারতম্য হয়ে যায়। বাপদাদা শুধু ৩-৪ দিনের রেজাল্ট দেখেছেন, টোটাল রেজাল্ট দেখেননি। প্রত্যেকের ৩-৪ দিনের রেজাল্টে কী দেখেছেন? ৫০% অর্থাৎ অর্ধেক-অর্ধেক। সঙ্কল্প আর বোলে দুই শক্তির সঞ্চয়ের খাতা ৫০% আত্মাদের ঠিক ছিল কিন্তু পুরোপুরিই যে ঠিক সেটা বলছেন না। বাকি ৫০ পার্সেন্ট আত্মাদের সঞ্চয়ের খাতা ৪০% আর ব্যর্থ ও সাধারণের খাতা ৬০% দেখেছেন। সুতরাং ভেবে দেখো জমা কত হয়েছে ! বেশি ওজন কোনটার ? এতেও বাচনিক কারণে মন্সার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে। মন্সা, বাচাকে এর নিজের দিকে টানে। আজ বাপদাদা বাণী অর্থাৎ বোলের প্রতি বিশেষ অ্যাটেনশন দেওয়াচ্ছেন, কেননা, বোলের সম্বন্ধ নিজের সাথেও আছে আর সবার সাথেও আছে। আর কী দেখেছেন ? মন্সার দ্বারা স্মরণে থাকতে হবে – মাঝে মাঝে এর জন্য তোমাদের প্রোগ্রাম থাকে। কিন্তু বোলের ক্ষেত্রে অসতর্ক ভাব বেশি, সেই কারণে বাপদাদা এতে বিশেষভাবে আন্ডারলাইন করাচ্ছেন। দুই বছর আগে বাপদাদা বিশেষ পুরুষার্থে সেবায় এগিয়ে যাওয়া মহারথী আত্মাদের এবং সবাইকে বোলের জন্য তিনটে বিষয়ে বলেছেন – “কম বলো, ধীরে বলো আর মধুর বলো।” ব্যর্থ বলার লক্ষণ হলো – তারা বেশি বলবে, বাধ্যবাধকতায় সময় অনুসারে ও সম্মেলন অনুসারে নিজেকে কন্ট্রোল করবে, কিন্তু ভিতরে এমন অনুভব করবে যেন কেউ শান্তিতে চুপ থাকার জন্য বেঁধে রেখেছে । ব্যর্থ বোল সর্বাধিক কী ক্ষতি করে ? এক তো শারীরিক এনার্জি নিঃশেষিত হয়, কারণ খরচ হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়তঃ সময় ব্যর্থ হয়। যারা ব্যর্থ বলে তাদের অভ্যাস কী হবে ? ছোট বিষয়কে অনেক লম্বা-চওড়া করবে এবং বলার ধরন কল্পিত কাহিনীর মতো হবে। লোকে যেমন রামায়ণ, মহাভারতের কথা ইন্টারেস্টের সাথে শোনায়, নিজেরাও আগ্রহের সাথে বলবে, আর অন্যদেরও আগ্রহ তৈরি করে নেবে। কিন্তু রেজাল্ট কী হবে ? রামায়ণ, মহাভারতের রেজাল্ট কী ? রাম বনবাসে গেছে, কৌরব আর পান্ডবের যুদ্ধ হয়েছে, কাহিনী রূপে দেখায়, সার কিছুই নেই কিন্তু সুর অতি সুন্দর। একে বলে কথা-কাহিনী। মায়ার প্রভাবের কারণে যারা ব্যর্থ বলে তারা দুর্বল আত্মা; অন্যদের শোনানো এবং বলার জন্য খুব তাড়াতাড়ি তাদের সাথী তৈরী হয়ে যায়। এই রকম আত্মা একান্তপ্রিয় হতে পারে না, সেইজন্য সাথী বানানোর ক্ষেত্রে তারা খুব সতর্ক থাকে। বাইরে থেকে কখনো কখনো তাদেরকে দেখে এমন মনে হয় যে, তাদের সংগঠন পাওয়ারফুল এবং বড়। কিন্তু একটা বিষয় সদা স্মরণে রাখো, মায়ার প্রস্থানের এখন অন্তিম ভাগ, সেইজন্য বিদায় নিতে নিতেও নিজস্ব তির নিক্ষেপ করতে থাকে, কখনো কখনো, কোথাও কোথাও মায়ার প্রভাব তার নিজের কাজ করে নেয়। সে সহজে যাওয়ার নয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ডায়রেক্ট না হোক ইনডিরেক্টলি তার তিক্ত রূপ নয়তো খুব মিষ্টি রূপ এবং নতুন নতুন রূপ ধারণ করে ব্রাহ্মণদের ট্রায়াল (পরীক্ষা) করতে থাকে। তখন ভোলাভালা ব্রাহ্মণ কী বলে? এতো বাপদাদা বলেননি যে, এই রূপেও মায়া আসে ! তারা গড়িমসির কারণে নিজেদের চেকিং পর্যন্ত করে না, আর ভেবে নেয় যে, বাপদাদা তো বলেন মায়া আসবে…, তারা অর্ধেক কথা (অক্ষর ) মনে রাখে যে মায়া আসবে, কিন্তু মায়াজিত হতে হবে, সেটা ভুলে যায়।

আরেকটা বিষয় – বাপদাদা, ব্যর্থ বা সাধারণ বোলের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখেছেন। এক, সীমার বাইরে অর্থাৎ লিমিটের ঊর্ধ্বে হাসি-ঠাট্টা, দুই – টনটিং ওয়ে (বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গি) তিন – এদিক – ওদিকের কথাবার্তা জড়ো করে শোনা আর শোনানো, চার – কিছু সেবা-বার্তা আর সেবা-বার্তার সাথে সেবাধারীদের দুর্বলতার চিন্তন – এটা হল মিক্সড চাটনি। আর পঞ্চমত, অযৌক্তিক কথা, যা ব্রাহ্মণের ডিকশনারিতেই নেই। এই পাঁচ রূপরেখা দেখেছেন। এই পাঁচটা বিষয়ই বাপদাদা ব্যর্থ বোল হিসেবে গোনেন । এই রকম ভেবো না – হাসি-ঠাট্টা ভালো জিনিস। হাসি-মজা সেটাই ভালো যাতে আত্মিক স্থিতি বজায় থাকবে। আর যার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করো সেই আত্মার লাভ হয়েছে, টাইম পাস হয়েছে নাকি তাদের টাইম ওয়েস্ট হয়েছে? মনোরঞ্জন করার গুণ ভালো বলেই মানা হয়, কিন্তু ব্যক্তি, সময়, সংগঠন, স্থান, বায়ুমন্ডল অনুসারে মনোরঞ্জন হলে তবে সেটা ঠিক আছে। এই সব বিষয়গুলোর যে কোনো একটা বিষয় যদি ঠিক না হয়, তবে ব্যর্থের লাইনে গুন্তি হবে এবং কী ধরনের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে যে, তুমি সবাইকে খুব ভালো হাসাতে পারো, কিন্তু বলো অনেক বেশি। তাহলে তো সেটা মিক্সড চাটনি হয়ে গেল, তাই না ! অতএব, সময়ের সীমা রাখো। একে বলা হয়ে থাকে মর্যাদা পুরুষোত্তম। তোমরা যদি বলো যে, তোমাদের স্বভাবই ওই রকম, তো সেটা কোন্ ধরনের স্বভাব ? সেটা কি বাপদাদার মতো ? অতএব, সেটাও মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা হবে না, সাধারণ পুরুষ বলবে। তোমাদের বোল সবসময় এমন হোক, যারা শুনবে তারা আরও শুনতে চাইবে, তোমরা কিছু বলবে আর তারা চাতক হয়ে শুনবে। সেটাকে বলা হয়ে থাকে অমূল্য মহাবাক্য। মহাবাক্য বেশি হয় না। যখনই ইচ্ছে হবে তখনই বলতে থাকলে – সেটা মহাবাক্য বলা হবে না। তাইতো সদ্গুরুর বাচ্চা, মাস্টার সদ্গুরু, তোমাদের মহাবাক্য হয়, শুধু বাক্য হয় না। যারা ব্যর্থ বলে তাদের নিজেদের বুদ্ধিতে ব্যর্থ বিষয়, ব্যর্থ বার্তা, চারিদিকের নোংরা-আবর্জনা অবশ্যই একত্র করবে কারণ তাদের কথার তো রমণীয় রূপ দিতে হবে ! যেমন শাস্ত্রবিদগণের বুদ্ধি, তাই না ! সেইজন্য যে সময় যে স্থানে যে বোল আবশ্যক, যুক্তিযুক্ত, যা নিজের এবং অন্য আত্মাদের জন্য লাভদায়ক, সেই বোল বলো। বোলের উপরে তোমাদের অ্যাটেনশন কম, সেইজন্য এতে ডবল আন্ডারলাইন।

বিশেষ এই বছর বোলের উপরে অ্যাটেনশন রাখো। চেক করো- বোল দ্বারা এনার্জি আর সময় কতটা জমা করেছ এবং কতটা ব্যর্থ গেছে? যখন এটা চেক করবে তখন আপনা থেকেই অন্তর্মুখিতার নির্যাস (রস) অনুভব করতে পারবে। অন্তর্মুখিতার রস আর বার্তালাপের রস – এতে রাত-দিনের ফারাক। অন্তর্মুখী সদা ভ্রুকুটির কুটিরে নিজেকে তপস্বীমূর্ত অনুভব করে। বুঝেছ !

বুঝতে পারা অর্থাৎ হয়ে ওঠা। যখন কারও কোনো বিষয় বোধগম্য হয়, তখন সে অবশ্যই সেটার অভ্যাস করবে, অবশ্যই বুঝবে। টিচাররা তো বিচক্ষণ বটেই, তবে তো ভাগ্যপ্রাপ্ত হয়েছে, তাই না ! নিমিত্ত হওয়ার ভাগ্য – এর মহত্ত্ব এখন কখনো কখনো সাধারণ মনে হয়, কিন্তু এই ভাগ্য সময়কালে অতি শ্রেষ্ঠ অনুভব করবে। কে নিমিত্ত বানিয়েছেন, আমি আত্মাকে কে এর যোগ্য হিসেবে বাছাই করেছেন – এই স্মৃতিই স্বতঃ শ্রেষ্ঠ বানায়। “কে তৈরি করেন” – যদি এই স্মৃতি বজায় রাখো তবে খুব সহজে নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে। বাবা, যিঁনি তোমাকে তৈরি করেন, তাঁর গুণের গীত যদি হৃদয়ে সদা গাইতে থাকো তবে নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে। এটা ছোট ব্যাপার নয় ! সারা বিশ্বের কোটি কোটি অগণিত আত্মার মধ্যে থেকে কত সংখ্যক তোমরা নিমিত্ত টিচার হয়েছ ! ব্রাহ্মণ পরিবারেও টিচার কত আছে ? সুতরাং অনেক সংখ্যকের মধ্যে তোমরা হলে কতিপয়ের মধ্যেও কেউ, তাই না ! টিচার অর্থাৎ যারা সদা ভগবান আর ভাগ্যের গীত গাইতে থাকে। টিচারদের জন্য বাপদাদা গর্বিত হন, কিন্তু রাজযুক্ত টিচারদের জন্য তিনি গর্বিত হন। আচ্ছা !

প্রবৃত্তির তোমরাও আনন্দে থাক, তাই না ! বিভ্রান্ত হও নাকি আনন্দ অনুভবে থাকো ? ব্রাহ্মণ জীবনে প্রতিটা সেকেন্ড তন, মন, ধন, জনের আনন্দই আনন্দ। ঘুমাও আরামে, খাও আরামে। আরামেই থাকা, খাওয়া, শোয়া আর পড়া। আর কিছু চাই কি ? পড়াও ঠিক আছে, নাকি অমৃতবেলায় ঘুমিয়ে পড়ো ? কিছু কিছু বাচ্চা এই রকম করে, বলবে – সারারাত জেগে ছিলাম, ভোরবেলায় ঘুম এসে গেছে। হয় একটা নির্দিষ্ট সেবা করবে, নয়তো অমৃতবেলা ছেড়ে দেবে। তাহলে সেই সময় কী জমা হলো ? এক্সট্রা কিছু তো জমা হলো না। একদিকে সেবা করেছে, অপরদিকে অমৃতবেলা মিস্ করেছে। তাহলে কী হলো ? যেমনই হোক, নেমিনাথের মতো তন্দ্রার ঘোরে ঢুলে পড়বে, সেই রকম ভাবে বোসো না। ওই টিভি খুব ভালো, যেমন তারা যোগাসন করে – অনেক রকমের পোজ বদলাতে থাকে, তো এখানেও সেই রকমই হয়ে যায়। ভাবে – সহজ যোগ তো সেইজন্য আরামে বসো। কারও কারও তো টিউন বাপদাদা শুনতে পান। বাপদাদার কাছে সেই ক্যাসেটও আছে। সুতরাং বাবা এখন ডবল আন্ডারলাইন তো করবেন, তাই না ! তারপরে বাপদাদা শোনাবেন যে, রেজাল্টে কত ফারাক হলো ! আচ্ছা !

চারিদিকের, শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য আর শ্রেষ্ঠ লক্ষণ ধারণকারী তীব্র পুরুষার্থী আত্মাদের, যারা সময় অনুসারে সংযমী হয়ে সদা নিজেদের বোল বলে, সেই পুরুষোত্তম আত্মাদের, সদা মহাবীর হয়ে মায়ার সব রূপকে জেনে নলেজফুল হওয়া আত্মাদের, প্রতি সেকেন্ডে সদা পরমানন্দে থাকা নিশ্চিন্ত বাদশাহদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

অব্যক্ত বাপদাদার সাথে পাটিদের সাক্ষাৎ –

১) সাইলেন্সের শক্তিকে ভালোভাবে জানো তোমরা ? সাইলেন্সের শক্তি সেকেন্ডে নিজের সুইট হোম শান্তিধামে পৌঁছে দেয়। সায়েন্টিস্টরা তো আরও ফাস্ট গতির যন্ত্র বের করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তোমাদের যন্ত্র কত তীব্রগতির ! ভাবা মাত্রই পৌঁছে গেলে ! সায়েন্সে এইরকম যন্ত্র আছে যাতে এতদূর বিনা খরচে তোমরা পৌঁছে যেতে পারো ? তারা তো একেকটা যন্ত্র বানাতে কত খরচ করে, কত সময় আর কত এনার্জি লাগায়, তোমরা কী করেছ? বিনা খরচেই পেয়ে গেছ। সঙ্কল্পের এই শক্তি সর্বাধিক ফাস্ট। তোমরা শুভ সঙ্কল্পের যন্ত্র পেয়েছ, দিব্য বুদ্ধি পেয়েছ। শুদ্ধ মন আর দিব্য বুদ্ধি দ্বারা পৌঁছে যাও। যখন চাও তখনই ফিরে আসো, যখন চাও তখনই চলে যাও। সায়েন্সের ওদের তো আবহাওয়াও দেখতে হয়। তোমাদের তো সেটাও দেখতে হয় না যে, আজ বৃষ্টি হচ্ছে, যেতে পারবো না। আজকাল দেখ, শুধু বৃষ্টিই নয়, সামান্য কুয়াশাচ্ছন্ন (foggy) যদি হয় তাহলেও প্লেন উড়তে পারে না, আর তোমাদের বিমান এভাররেডি, নাকি সামান্য ফগ আসে ? এভাররেডি আছে ? সেকেন্ডে যেতে পারে, এমন তীব্রগতি ? মায়া কখনো অবরোধ করে না তো ? মাস্টার সর্বশক্তিমানকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। যেখানে সর্বশক্তি আছে সেখানে কে আটকাবে ! কোনও শক্তির অভাব যদি থাকে তো প্রয়োজনের সময় ধোঁকা হতে পারে। মনে করো, তোমার মধ্যে সহনশক্তি আছে কিন্তু নির্ণয় করার শক্তিতে তুমি দুর্বল, তো যখন এমন কোনো পরিস্থিতি আসবে যে নির্ণয় করতে হবে, সেই সময় লোকসান হয়ে যাবে। নির্ণয় এক মুহূর্তের হয় – হ্যাঁ অথবা না, কিন্তু তার পরিণাম কত বড় হয় ! সুতরাং তোমাদের কাছের সব শক্তি চেক করো। এই রকম ভেবো না যে সব ঠিক আছে, নির্দেশিত পথেই চলেছি, যোগ হচ্ছে। কিন্তু যোগ থেকে যে প্রাপ্তি হওয়া উচিত সেই সব আছে তোমাদের? নাকি অল্পেই খুশি হয়ে গেছ যে বাবা তো আপন হয়ে গেছেন। বাবা তো আপন, কিন্তু প্রপার্টিও (বর্সা) নিজের তো, নাকি শুধু বাবাকে পেয়ে গেছো সেটাই ঠিক আছে ! অবিনাশী উত্তরাধিকারের মালিক হতে হবে তো, তাই না ? সর্বশক্তিই বাবার প্রপার্টি, সেইজন্য বাবার মহিমাই হলো সর্বশক্তিমান আলমাইটি অথরিটি। সর্বশক্তির স্টক জমা আছে ? নাকি এটাই যথেষ্ট – উপার্জন করলে আর খেয়ে নিলে, ব্যস্ ! বাপদাদা তোমাদের শুনিয়েছেন যে ভবিষ্যতে তোমরা সব মাস্টার সর্বশক্তিমানের কাছে ভিখারী হয়ে সবাই আসবে। অর্থ বা অন্নের ভিখারী নয় বরং শক্তির ভিখারী আসবে। সুতরাং যখন স্টক জমা হবে তখনই তো দেবে, তাই না ! দান সেই দিতে পারে যার কাছে নিজের প্রয়োজনের থেকে বেশি আছে। নিজের প্রয়োজন মতোই যদি থাকে তো কী দান করবে? অতএব, সেই পরিমাণ জমা করো। সঙ্গমে তোমাদের আর কাজই বা কী ! জমা করার কাজই তো পেয়েছ। সারা কল্পে তোমাদের জমা করার আর কোনো যুগ নেই। তারপরে তো খরচ করতে হবে, জমা করতে পারবে না। সুতরাং জমা করার সময় যদি জমা না করো তো অন্তিম সময়ে কী বলতে হবে? “এখন নয় তো কখনো নয়”, তারপর ‘টু লেট’-এর বোর্ড লেগে যাবে। এখন তো লেট-এর বোর্ড আছে, টু লেট-এর নয়।

তোমরা মাতা’রা, সবাই এতটা জমা করেছ ? তোমরা শিবশক্তি নাকি গৃহ-মাতা ? শিবশক্তি বললে শক্তি স্মরণে আসে। কোন্ মাতা’দের বাবা শিবশক্তি বানিয়েছেন ! যদি কেউ এসে মুখ দেখে তো কী বলবে ? শক্তি কী এইরকম হয়! কিন্তু বাবা চিনে নিয়েছেন যে তোমরা আত্মারা শক্তিশালী। বাবা আত্মাকে দেখেন, না বৃদ্ধ দেখেন, না যুবক দেখেন, আর না বাচ্চা দেখেন। আত্মা তো বুড়ো বা ছোট হয়ই না। তাহলে, এই খুশি তো হয় যে, বাবা আমাদের শিবশক্তি বানিয়ে দিয়েছেন। দুনিয়াতে কত লেখাপড়া জানা অর্থাৎ শিক্ষিত মাতারা আছে, কিন্তু যারা গ্রামের তাদেরকে বাবার পছন্দ, কেন পছন্দ? ‘সরল হৃদয়ের প্রতি প্রভু খুশি।’ বাবার প্রিয় সরলচিত্ত। যারা ভোলাভালা হবে তারা ছল-চাতুরী করতে জানে না। যারা অতি চালাক, ধূর্ত তাদের মধ্যে এই সব বিষয় থাকে। সুতরাং, যারা অকপট হৃদয় অর্থাৎ দুনিয়ার মায়াবী চাতুরীর ঊর্ধ্বে থাকে, তারা বাবার অতি প্রিয়। বাবা অতি শুদ্ধ বা নির্মল হৃদয়কে দেখেন। বাকি পড়াশোনা, চেহারা, বসতি, অর্থ কোনো কিছু দেখেন না। প্রয়োজন কেবল সরল ও উদার হৃদয়, সেইজন্য বাবার নাম ‘দরাজদিল।’ আচ্ছা !

বরদানঃ-

দৃঢ় নিশ্চয় ভাগ্যকে নিশ্চিত করে। যেমন ব্রহ্মাবাবা ফার্স্ট নম্বরে নিশ্চিত হয়ে গেছেন, সেইরকম আমাদেরও ফার্স্ট ডিভিশনে আসতেই হবে – এই দৃঢ় নিশ্চয় রাখতে হবে। ড্রামাতে প্রত্যেক বাচ্চার এটা গোল্ডেন চান্স। শুধু অভ্যাসে যদি এই অ্যাটেনশন রাখো তাহলে সামনের দিকে নম্বরে থাকতে পারো, সেইজন্য মাস্টার নলেজফুল হয়ে সব কর্ম করতে থাকো। সাথে হওয়ার অনুভব বাড়াও, তবে সব সহজ হয়ে যাবে, যার সাথে স্বয়ং সর্বশক্তিমান বাবা আছেন তার সামনে মায়া পেপার টাইগার।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top