30 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
29 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"সমগ্র জ্ঞানের সার - স্মৃতি"
আজ সমর্থ বাবা চারিদিকের সমর্থ সকল বাচ্চাকে দেখছেন। প্রত্যেক সমর্থ বাচ্চা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। এই সমর্থ জীবন অর্থাৎ সুখময় শ্রেষ্ঠ সফলতা সম্পন্ন অলৌকিক জীবনের আধার কী ? আধার হ’ল এক শব্দ – ‘স্মৃতি।’ বাস্তবে, সমগ্র ড্রামাই হ’ল বিস্মৃতি আর স্মৃতির খেলা। এই সময় স্মৃতির খেলা চলছে। তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মাকে বাপদাদা কিসের আধারে পরিবর্তন করেছেন? শুধু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে তোমরা আত্মা, শরীর নও। এই স্মৃতি কতো অলৌকিক পরিবর্তন এনেছে ! সবকিছু বদলে গেছে না ? মানব জীবনের বিশেষত্বই স্মৃতি। বীজ, এটাই স্মৃতি; যে বীজ দ্বারা বৃত্তি, দৃষ্টি, কৃতি সব স্থিতি পরিবর্তন হয়ে যায়, সেইজন্য গাওয়া হয়ে থাকে যেমন স্মৃতি তেমন স্থিতি। বাবা ফাউন্ডেশন স্মৃতিকেই পরিবর্তন করেছেন। যখন ফাউন্ডেশন শ্রেষ্ঠ হয় তখন আপনা থেকেই পুরো জীবন শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়। তিনি কতো ছোট একটা বিষয়ের পরিবর্তন করেছেন, তোমরা শরীর নও আত্মা – যেইমাত্র এই পরিবর্তন হ’ল, আত্মা মাস্টার সর্বশক্তিমান হওয়ার কারণে স্মৃতি ফিরে আসা মাত্রই সমর্থ হয়ে গেছে। এখন এই সমর্থ জীবন কতো প্রিয় লাগে ! নিজেও স্মৃতিস্বরূপ হয়েছ আর অন্যদেরও এ’টা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদেরকে কী থেকে কী বানিয়ে দাও ! এই স্মৃতির দ্বারা তোমাদের সংসারই পরিবর্তন করে নিয়েছ। এই ঈশ্বরীয় সংসার কতো প্রিয় ! যদি সেবার্থে সংসারী আত্মাদের সঙ্গে থাকছ, কিন্তু মন সদা অলৌকিক সংসারে থাকে। একেই বলা হয়ে থাকে স্মৃতিস্বরূপ। যে পরিস্থিতিই আসুক স্মৃতিস্বরূপ আত্মা সমর্থ হওয়ার কারণে পরিস্থিতিকে কী মনে করে ? এ’ তো খেলা। তারা কখনো ঘাবড়ে যাবে না। যত বড় পরিস্থিতিই হোক কিন্তু সমর্থ আত্মার ক্ষেত্রে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সেই সবই রাস্তার সাইড সীন অর্থাৎ রাস্তার দৃশ্য। সাইড সীন তো ভালো লাগে তাই না! পয়সা খরচ করেও সাইড সীন দেখতে যাও। আজকাল, এখানেও আবু-দর্শন করতে যাও, যাও না! যদি রাস্তায় সাইড সীন না থাকে তবে কি সেই রাস্তা ভালো লাগবে ? বোর হয়ে যাবে। একইরকমভাবে, পরিস্থিতি বলো বা পেপার বলো অথবা প্রবলেম, স্মৃতিস্বরূপ সমর্থ-স্বরূপ আত্মার ক্ষেত্রে সব সাইড সীন। কারণ তোমাদের স্মৃতিতে আছে যে লক্ষ্যের পথে অসংখ্যবার তোমরা সাইড সীন পার করেছ। নাথিং নিউ এর ফাউন্ডেশনই বা কী? স্মৃতি। যদি এই স্মৃতি হারিয়ে যায় অর্থাৎ যদি ফাউন্ডেশন নড়ে যায় তাহলে জীবনের পুরো বিল্ডিং নড়তে থাকে। তোমরা তো অনড়, না!
সমগ্র পাঠের চারটি সাবজেক্টের আধারও স্মৃতি। সবচেয়ে মুখ্য সাবজেক্ট হ’ল স্মরণ। স্মরণ অর্থাৎ স্মৃতি – আমি কে ? বাবা কে ? দ্বিতীয় সাবজেক্ট হ’ল জ্ঞান। রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান তোমরা পেয়েছ। তারও ফাউন্ডেশন তোমাদেরকে বাবা স্মরণ করিয়ে দিলেন, অনাদি কী আর আদি কী এবং বর্তমান সময়ে তোমরা কী – ব্রাহ্মণ যে, সেই ফরিস্তা। ফরিস্তা যে, সেই দেবতা, আরও কতো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তাহলে জ্ঞানের স্মরণ তো হ’ল, হ’ল না? তৃতীয় সাবজেক্ট হ’ল দিব্য গুণ। দিব্য গুণও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, এই দিব্য গুণ তোমরা সব ব্রাহ্মণের। গুণের লিস্টও স্মরণে থাকে, তখনই সময় অনুসারে সেই গুণ কর্তব্যে, আচরণে ব্যবহার কর। কোনো সময় তোমাদের স্মৃতি অনুপস্থিত থাকলে কী রেজাল্ট হবে! সময় মতো গুণ ইউজ করতে পারবে না। যখন সময় চলে যায় তারপরে স্মরণে আসে – এটা তো করতে চাইনি কিন্তু হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এ’রকম করব না। সুতরাং দিব্য গুণও কর্ম-ব্যবহারে আনতে সময় মতো স্মৃতির প্রয়োজন। এইরকম মুহূর্তে তোমরা নিজেকেই উপহাস কর। যখন তোমরা কোনো কথা বা কোনো জিনিস ভুলে যাও তো সেই সময় কী অবস্থা হয় ? সেই জিনিস তোমাদের আছে, কিন্তু প্রয়োজনে মনে আসে না, তখন তোমরা ঘাবড়ে যাও, তাই না! এটাও ঠিক একইভাবে সময় মতো স্মরণ না হওয়ার কারণে তোমরা কখনো কখনো ঘাবড়ে যাও। তাহলে দিব্য গুণের আধার কী ? সদা স্মৃতিস্বরূপ। নিরন্তর আর ন্যাচারাল দিব্য গুণ সবরকম আচরণে, কর্তব্যে নিরন্তর আর ন্যাচারালি সহজভাবে প্রয়োগ হতে থাকবে। চতুর্থ সাবজেক্ট হ’ল সেবা। এতেও যদি স্মৃতিস্বরূপ না হতে পার যে আমি বিশ্ব-কল্যাণকারী আত্মা নিমিত্ত, তাহলে সেবায় সফলতা লাভ করতে পারবে না। তখন সেবার দ্বারা কোনো আত্মাকে স্মৃতিস্বরূপ বানাতে পারবে না। সেবা হ’ল নিজেকে এবং বাবাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
সুতরাং চার সাবজেক্টের ফাউন্ডেশন হ’ল স্মৃতি, তাই না! সমস্ত জ্ঞানের সার এক শব্দের – স্মৃতি, সেইজন্য বাপদাদা আগে থেকেই তোমাদের জানিয়েছেন যে লাস্ট পেপারের কোশ্চেন কী হবে! লম্বা-চওড়া পেপার হবে না। একটাই কোশ্চেনের পেপার হবে আর এক সেকেন্ডের পেপার হবে। কোশ্চেন কী হবে ? নষ্টমোহ স্মৃতিস্বরূপ। কোশ্চেনও আগে থেকেই শুনে নিয়েছ, তাহলে তো সবারই পাস হওয়া উচিত, তাই না! সবাই নম্বর ওয়ান পাস হবে, নাকি নম্বর ক্রমানুসারে পাস হবে ?
ডবল বিদেশি কোন্ নম্বরে পাস হবে ? (নম্বর ওয়ান) তাহলে কি মালা সম্পূর্ণ করে দেব ? নাকি আলাদা মালা বানিয়ে দেব ? তোমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা খুব ভালো। ডবল ফরেনারদের বিশেষ চান্স আছে ‘লাস্ট সো ফাস্ট’ যাওয়ার। তোমাদের এই মার্জিন আছে। আলাদা মালা যদি হয় তবে পিকনিকের যে স্থান হবে সেখানে যেতে হবে। সেটা যদি পছন্দ হয়, তাহলে আলাদা মালা হবে ? তোমাদের জন্য মালাতে আসার মার্জিন রাখা আছে, এসে যাবে। আচ্ছা। সব টিচার তো স্মৃতিস্বরূপ হয়েছ, না! চার সাবজেক্টেই স্মৃতিস্বরূপ। তোমাদের পরিশ্রম করতে হয় না তো, করতে হয় ? টিচারের অর্থই হ’ল নিজের স্মৃতিস্বরূপ ফিচার্স দ্বারা অন্যদেরও স্মৃতিস্বরূপ বানানো। তোমাদের ফিচার্সই যেন অন্যদের স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়, আমি আত্মা। সেইসঙ্গে তারা যেন তোমাদের ললাটে দেখে প্রোজ্জ্বল আত্মা বা দ্যুতিময় মণিকে। যেমন, সাপের মণি দেখে কারও লক্ষ্য সাপের দিকে যাবে না, মণির দিকেই যাবে। এইরকম অবিনাশী দ্যুতিময় মণি দেখে দেহভাব যেন স্মরণে না আসে, আপনা থেকেই অ্যাটেনশন যেন আত্মার দিকেই যায়। টিচার্স, তোমরা এই সেবারই নিমিত্ত। যারা বিস্মৃত, তাদের স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়া – এটাই সেবা। তোমরা তো সমর্থ, নাকি কখনো কখনো ঘাবড়ে যাও ? যদি টিচাররা ঘাবড়ে যাবে তো স্টুডেন্ট কীরকম হবে! টিচার্স অর্থাৎ সদা ন্যাচারাল, নিরন্তর স্মৃতিস্বরূপ তথা সমর্থস্বরূপ। যেভাবে ব্রহ্মাবাবা ফ্রন্টে থেকেছেন, টিচার্স – তোমরাও সেইরকম সামনে আছ, আছ না ? নিমিত্ত মানে সামনে। যেমন, সেবাতে সমর্পণ হওয়ার জন্য সাহস বজায় রেখে সমর্থ হয়েছ। তাহলে এই স্মৃতি কী, এ’তো ত্যাগের ভাগ্য। ত্যাগ করেছ, এখন ভাগ্য এমন কী বিষয়! ত্যাগ তো করেছ, যতই হোক, ত্যাগ, ত্যাগ নয় কেননা, প্রাপ্তি অনেক বেশি। কী ত্যাগ করেছ ? শুধু সাদা শাড়ি পরেছ, সে’তো আরও বিউটিফুল হয়ে গেছ, ফরিস্তা, পরী হয়ে গেছ আর কী চাই! বাকি যে ভোজন-পান ছেড়ে দিয়েছ . . . সে’তো আজকাল ডক্টরসও বলে – বেশি খেও না, কম খাও, সাধারণ খাও। আজকাল তো ডক্টরসও খেতে দেয় না। বাকি আর কী ছেড়েছ ? গয়না পরা ছেড়েছ… আজকাল তো গয়নার পিছনে চোরে ধাওয়া করে। ভালো করেছ যে ছেড়ে দিয়েছ, বিচক্ষণতার কাজ করেছ, সেইজন্য ত্যাগের পদম গুণ ভাগ্য পেয়ে গেছ। আচ্ছা!
ঠিক এই মুহূর্তে এথেন্সের ওদেরকে বাপদাদার মনে পড়ছে (এথেন্সে সেবার বড় কোনো সম্মেলন চলছে ), তারাও বাপদাদাকে খুব মনে করছে। যখনই কোনো বিশাল কার্য হয়, সীমাহীন কার্যে অসীম জগতের বাবা আর অসীম পরিবার অবশ্যই স্মরণে আসে। যে বাচ্চারাই ওখানে গেছে, সকলেই সাহসী বাচ্চা। যারা নিমিত্ত হয়েছে, তাদের সাহস কার্যকে শ্রেষ্ঠ আর অটল বানায়। বাবার স্নেহ আর বিশেষ আত্মাদের শুভ ভাবনা, শুভ কামনা বাচ্চাদের সাথে আছে। বুদ্ধিমানদের ‘বুদ্ধি’ যে কোনো কাউকে নিমিত্ত বানিয়ে আপন কার্য দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে বের করে আনেন। সেইজন্য নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়ে লাইট-হাউস, মাইট-হাউস হয়ে শুভ ভাবনা, শুভ কামনার ভাইব্রেশন ছড়াতে থাক। প্রত্যেক সার্ভিসেবল বাচ্চাকে নাম আর বিশেষত্ব সহ বাপদাদা স্মরণ-স্নেহ দিচ্ছেন। আচ্ছা!
সদা নিরন্তর স্মৃতিস্বরূপ সমর্থ আত্মাদের, সদা স্মৃতিস্বরূপ হয়ে সব পরিস্থিতিকে সাইড সীন অনুভবকারী বিশেষ আত্মাদের, সদা বাবা সমান চারিদিকে স্মরণের তরঙ্গ ছড়িয়ে দেওয়া মহাবীর বাচ্চাদের, সদা তীব্রগতিতে যারা পাস উইথ অনার হয়, সেই মহারথী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।
দিল্লি জোন থেকে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকার –
নিজেদের ভাগ্য দেখে সদা উৎফুল্ল হও! সদা ‘বাঃ-বাঃ’র গীত গাও ? ‘হায়-হায়’র গীত সমাপ্ত হয়ে গেছে, নাকি কখনও দুঃখের তরঙ্গ এসে যায় ? দুঃখের সংসার থেকে তোমরা পৃথক হয়ে গেছ আর বাবার প্রিয় হয়ে গেছ, সেইজন্য দুঃখের তরঙ্গ স্পর্শ করতে পারে না। যদি বা সেবার্থে থাকছ, কিন্তু তোমরা কমল সমান থাক। কমল পুষ্প কাদামাটি থেকে বেরিয়ে যায় না, কাদামাটিতেই হয়, জলেই হয় কিন্তু স্বতন্ত্র হয়। তোমরা কি এমন স্বতন্ত্র হয়েছ ? স্বতন্ত্র হওয়ার লক্ষণ হ’ল – যত পৃথক হবে ততই বাবার প্রিয় হবে, আপনা থেকেই বাবার ভালোবাসা অনুভব হবে আর এই পরমাত্ম-ভালোবাসা ছত্রছায়া হয়ে যাবে। যার উপরে ছত্রছায়া হয় সে কতো সেফ থাকে! যার উপরে পরমাত্ম-ছত্রছায়া আছে তার কে কী করতে পারে! সেইজন্য তোমরা এই গরিমায় (ফখুর) থাক যে আমরা পরমাত্ম-ছত্রছায়ায় থাকি। অভিমান নয়, কিন্তু আত্মিক গর্ব। বডি-কন্সিয়াস যদি হবে তো অভিমান আসবে, আত্ম-অভিমানী হবে তো অভিমান আসবে না, কিন্তু আত্মিক মান-মর্যাদা হবে। আর যেখানে মান-মর্যাদা বিদ্যমান থাকে সেখানে বিঘ্ন হতে পারে না। হয় চিন্তা হবে, নয় মর্যাদা হবে। একসাথে দুটো হবে না। সর্বোত্তম ডাল-রুটি দিতে বাপদাদা বেঁধে আছেন। রোজ ৩৬ রকম ভোজন দেবেন না, কিন্তু ভালোবাসার ডাল-রুটি তোমাদের অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। এটা নিশ্চিত, কেউ তা’ প্রতিরোধ করতে পারবে না। সুতরাং চিন্তা কিসের! দুনিয়ায় তাদের চিন্তা থাকে যে, আমরাও খাব আর তাদের পরবর্তী প্রজন্মও খাবে। সুতরাং তোমরাও ক্ষুধার্ত থাকবে না, তোমাদের পরবর্তী প্রজন্মও ক্ষুধার্ত থাকবে না। তোমাদের আর কী প্রয়োজন ? ডানলপের বালিশ চাই কি! ডানলপের বালিশ বা বিছানায় ঘুম আসবে, যদি তোমাদের চিন্তা থাকে ? নিশ্চিন্ত হলে মাটিতেও যদি শোবে তো ঘুম এসে যাবে। বাহুকে যদি বালিশ বানিয়ে নাও তা’ও ঘুম এসে যাবে। যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানে শুকনো রুটিও ৩৬ প্রকারের ভোজন মনে হবে, সেইজন্য নিশ্চিন্ত বাদশাহ হও। নিশ্চিন্ত থাকার এই বাদশাহী সবচাইতে শ্রেষ্ঠ। যদি মুকুট পরে সিংহাসনে বসে চিন্তা করতে থাক, তাহলে কি সিংহাসন হ’ল নাকি চিন্তা? ভাগ্যবিধাতা ভগবান তো তোমাদের মাথায় শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা টেনে দিয়েছেন। নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়ে গেছ! ওই টুপি কিংবা চেয়ারের (পদের) বাদশাহ নও। নিশ্চিন্ত বাদশাহ। কোনো চিন্তা আছে ? নাতি-পুতিদের চিন্তা আছে ? তোমাদের কল্যাণ হয়েছে তো তাদেরও কল্যাণ অবশ্যই হবে। সুতরাং সদা নিজের ললাটে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা দেখতে থাক – বাঃ আমার শ্রেষ্ঠ ঈশ্বরীয় ভাগ্য! ধন-সম্পত্তির ভাগ্য নয়, ঈশ্বরীয় ভাগ্য। এই ভাগ্যের সামনে ধন তো কিছুই নয়, সে’সব তো পেছনে পেছনে আসবে। যেমন ছায়া, আপনা থেকেই অনুসরণ করে, নাকি তোমরা বলো পিছনে এসো। সে’সবই ছায়া, কিন্তু ভাগ্য হ’ল ঈশ্বরীয় ভাগ্য। সদা এই নেশায় থাক – যদি পেতেই হয় তা’ সদাকালীন পেতে হবে। যখন বাবা আর আত্মা অবিনাশী তো প্রাপ্তি বিনাশী কেন? প্রাপ্তিও অবিনাশী হওয়া উচিত।
ব্রাহ্মণ জীবনই খুশির – খুশির সাথে খাওয়া, খুশির সাথে বলা, খুশির সাথে কাজ করা, উঠে চোখ খুলতেই খুশির অনুভব হওয়া। রাতে চোখ বন্ধ হ’ল, খুশিতে তৃপ্ত হওয়া – এটাই ব্রাহ্মণ-জীবন। আচ্ছা!
বাপদাদার সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ – আজ্ঞাকারী হওয়ায় পরিবারের আশীর্বাদ
(বাপদাদার সামনে গায়ত্রী মোদীর পরিবার বসে আছে)
বাপদাদা এই পরিবারের একটা ব্যাপার দেখে খুব খুশি। কোন্ ব্যাপার ? তারা আজ্ঞাকারী পরিবার। এত দূর থেকেও পৌঁছে গেছ, তাই না! এই আশীর্বাদও প্রাপ্ত কর, যখন তোমরা অন্যদের আজ্ঞা পালন কর। তা’ যে কোনো কারও হতে পারে, একজন কেউ বলল, অন্যজন সেটা মেনে নিল তো খুশি হয়। মন থেকে পরস্পরের প্রতি আশীর্বাদ বের হয়। যদি কোনো ভালো বন্ধু বা ভাই থাকে, আর সে যখন বলে – এ’ খুব ভালো, তাহলে সেটা তো আশীর্বাদই হ’ল, তাই না! কাউকে ‘হাঁ জী’ করা বা আজ্ঞা মানা, এতেও তোমাদের গুপ্ত আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। তাইতো আশীর্বাদ সময়কালে খুব সহায়তা করে। সে’ সময় তোমাদের সেটা উপলব্ধি হয় না, তখন তো সাধারণ ব্যাপার মনে হয় -যা হোক, হয়ে গেছে! কিন্তু এই গুপ্ত আশীর্বাদ প্রয়োজনের সময় আত্মাকে সাহায্য করে। এ’ সবই জমা হয়ে যায়, সেইজন্য বাপদাদা খুশি হন। হতে পারে কোনো কাজের জন্যই এখানে এসেছ, কিন্তু এসেছ তো না! আর এটাও মনে রেখ যে পরমাত্ম-স্থানে যে কোনও কারণে, হয়তো বা শুধুই দেখার জন্য এসে গেছ, অথবা এই ব্যাপারে জানতে এসেছ – তবুও এখানে পা রেখেছ, তারও ফল জমা হয়ে যাবে। এটাও কম ভাগ্য নয়! ভবিষ্যতে এই ভাগ্যও অনুভব করবে। সে’ সময় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করবে – যে কোনো কারণেই হোক আমি পা তো রেখেছি! তবুও এখন জানতে পারবে না। এখন ভাবতে থাকবে – জানিনা, এটা কি! কিন্তু বাবা জানেন, জেনে না জেনে ভাগ্য জমা হয়ে গেছে। ঠিক সময়ে তোমাদেরও মনে পড়বে আর কার্যকর হবে। আচ্ছা!
(চক্রধারী বোন রাশিয়ার ভাই-বোনেদের স্মরণ-স্নেহ দিয়েছেন)
খুব ভালো, অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য ভালোই, আর ভালো ভালো পিপাসু আত্মারা বের হয়েছে। তাদের স্নেহ বাবার কাছে পৌঁছে গেছে। সবাইকে বাবার স্মরণ-স্নেহ জানিয়ে দিও আর ব’লো যে, বাপদাদার স্নেহ সব বাচ্চাকে সহযোগ দিয়ে সামনে এগিয়ে দিচ্ছে। খুব ভালো সেবা হচ্ছে, নিরন্তর বাড়িয়ে যাও।
বরদানঃ-
পুরুষার্থের যথার্থ বিধি হ’ল – ‘আমার’ সর্বক্ষেত্রে এই বোধের পরিবর্তন করে এক “আমার বাবা” – এই স্মৃতিতে থাকা, আর যা কিছুই ভুলে যাও কিন্তু এই বিষয় যেন কখনো ভুলে যেও না “আমার বাবা”। যা ‘আমার’ তাকে এতো স্মরণ করতে হয় না, আপনা থেকেই তার স্মরণ আসে। যখন অন্তর্মন থেকে বলো “আমার বাবা” তো যোগ শক্তিশালী হয়ে যায়। অতএব, এই সহজ বিধির দ্বারা সদা অগ্রচালিত হয়ে সিদ্ধিস্বরূপ হও।
স্লোগানঃ-
লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
কর্মে, বাণীতে, সম্পর্ক ও সম্বন্ধে লভ আর স্মৃতি ও স্থিতিতে লাভলীন থাকতে হবে। যে যত লাভলি হবে, সে ততই লভলীন থাকতে পারে। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার লভ’এ লভলীন থেকে অন্যদেরও সহজে নিজ-সমান এবং বাবা-সমান বানাও।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!